অমিত আহমেদের সাথে বিরিয়ানী সন্ধ্যা (সচিত্র শেষ পর্ব)

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ২১/১০/২০০৮ - ৪:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তখন বুঝে যাই সুদর্শন অমিত আহমেদের সাথে বাজারে উঠলে আমার ভাত নাই। কারণ, ঐ কিশোরী অপলক তাকিয়ে থাকে অমিতের দিকে। আর আমি তাকিয়ে থাকি কিশোরীর দিকে। 'এক পলকে চলে গেলো আহ কী যে তার মুখখানা'।
অমিত আমাকে বলে, 'বুঝছো, রাস্তাঘাটে নানান হাতছানি প্রলোভন আছে। এসবই পরীক্ষা। নিজেকে ঠিক রাখবা। দেখবা, সমস্যা হবে না।'
আমার তখন জরুরী কথা মনে পড়ে যায়। ডাউনটাউনের দিকে থাকবো জেনে দেশের এক সাবেক কানাডাবাসী বড়োভাই বলেছিলো জিরান স্ট্রীট নাকি জেরান্ড স্ট্রীটে যেতে। সেখানে নাকি দেশীয় উপমহাদেশীয় আপুনিরা কামিজ-লেহেঙ্গায় বৈকালিক ভ্রমণে বের হয়। টুকটাক টাংকিও নাকি মারা যায়। ইচ্ছে ছিলো, বন্ধু অমিতকে নিয়ে ওদিকে যাবো। এ স্থবির শহরে অন্য রকম বিকেল খুঁজে নিবো। কিন্তু, গত ৩/৪ ঘন্টার তব্ধায় এই প্রসংগ তুলতে সাহসই পেলাম না।

তারপর আমরা টিম হর্টনস কফি শপে বসি।
আগে যখন অমিতের সাথে দেখা হয়েছিলো চা-কফির সাথে সিগারেট না হলে অমিতের চলতোই না। এবার দেখি অমিত সিগারেট খাচ্ছে না। ছেড়ে দিয়েছে। এ কথা শুনে আমি এবার নিশ্চিতভাবে রঙীন পানি খাবার ইচ্ছাটা কবর দিয়ে দিই। তবে মিস করি দূর্দান্ত এক দৃশ্য, এটা কেবল অমিতকেই করতে দেখেছিলাম আগে; সিগারেট শেষ করে আঙুলের টোকায় শেষ টুকরা ছুড়ে মারা, আর টুকরাটা ডিগবাজি দেয় তিনবার। আমি আমার দেখা চরম এক স্মার্ট স্মোকারএর এ দৃশ্য আর দেখবো না ;
তখন অমিত আমাকে বলে, অপচয় জীবনের জন্য কতো ক্ষতিকর। মাদক-তামুক আরো বেশি খারাপ।
আমি চুপ থাকি।

কফি হাতে ছবি তোলার ইচ্ছে হলো। বিরিয়ানী খাওয়ার সময় দুজন একসাথে ছবি তুলতে পারিনি। এবার ভাবি, দুজনে এক সাথে ছবি তুলি।
কিন্তু কাকে রিকোয়েস্ট করা যায়?
আমাদের ডানে এক সত্তোরোর্ধ সিনিয়র, কাঁপা কাঁপা হাতে কফি খাচ্ছে।
অমিতের পেছনের টেবিলে দুই উদ্ভিন্না তরুণী, সম্ভবতঃ ব্লগার সংসারে সন্ন্যাসী'জির পাড়াতো ভাগ্নী।
আমি জিজ্ঞেস করি, ঐ পেছনের মেয়েটাকে বলি?
অমিত চোখ রাঙায়। বলে, 'পাশের সিনিয়র মাইন্ড করতে পারে।'
কী আর করা 'বুড়ো'কেই দিলাম ক্যামেরা। কাঁপা কাঁপা হাতে ছবি তুললো । ঝাপসা ছবি।
- ছবি তোলার পরে আমাদের কথা আর আগায় না। রাত বেড়েছে। সাবওয়ের শেষ ট্রেন চলে যাবে। ঠিক হয় একদিন অমিতের ওখানে যাবো। আরও কিছু ব্রাদার-সিস্টারের সাথে অমিত পরিচয় করিয়ে দিবে। আমার ভালো বন্ধুর নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হবে। অমিত ঠান্ডা বাতাসে স্টেশনের দিকে হেঁটে যায়।

আমি বাসায় ফিরি। ততক্ষণে আমার মাথাটায় ড্রিল মেশিন ঘুরছে। কোথাও কী যেনো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। এ অনুভূতি ঘিরে থাকে পরের আধ ঘন্টা। টের পাই, আমার অনেক চিন্তা পালটে যাচ্ছে। কোনো এক অবোধ্য শক্তি আমার উপরে ভর করেছে, আর বলছে - 'ভালো হয়ে যা, হে মানুষ। ঠিক হয়ে যা। দুইন্যা দুই দিনের।'
অমিতের এ পরিবর্তন কি আমার উপরও ভর করছে। নেজাম ডাকাত কিভাবে আউলিয়া হয়ে যায় সেটা নিজের মাঝে টের পাই। তাই সিদ্ধান্ত নিই, আমিও ভালো হয়ে যাবো। একেবারে পুরা ভালো মানুষ। কিন্তু আমার কে আমাকে গাইডলাইন দিবে? কে হবে আমার আলোর দিশারী? কোথায় পাবো তারে?

প্রথমেই কম্প্যুটার অন করি।
এফ ড্রাইভে হিডেন ফোল্ডারে উলটাপালটা কিছু জিনিশপাতি ছিলো। ওগুলো কন্ট্রোল প্লাস এ, শিফট প্লাস ডিলিট মারি। আর ঠিক করি কীভাবে মনকে শুদ্ধ করা যায়, চিন্তা শুদ্ধ করা যায়!
পরের সিদ্ধান্তটি হয় - আর ডেবু বাবুর সাইটে যাবো না, ওগুলো খারাপ। মনের শুদ্ধতা নষ্ট করে। ওকে, ঐটাও ডিটারমাইন্ড হলাম। আর ? আর কী? অস্থির লাগে খুব। মনে হয় জীবনের সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত।
৩ নম্বর সিদ্ধান্ত ছিলো, ১৮০ মিনিটের ক্লাসে টায়ার্ড লাগলে প্রায়ই সামনের সারিতে বসা চঞ্চলমতি টিংটিঙ্গা স্বল্প বসনা যে মেয়েটির এখানে ওখানে তাকাতাম, সেরকম আর তাকাবো না। অমিত বলেছে - নানান হাতছানি প্রলোভন, এ সবই পরীক্ষা...'।

রাতে কখন ঘুমিয়ে যাই জানি না।
তবে পরদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই মনে হয় - আজ থেকে আমি অন্য মানুষ।
নিজেকে পরিশুদ্ধ মনে হয়।
জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই। অটাম এসে গেলো। গাছের সব পাতা হলুদ থেকে লাল হয়ে যাচ্ছে।
অদ্ভুত সুন্দর লাগে এ পৃথিবী।
অসীম আর সসীমের মাঝে আমার নিজেকে তুচ্ছ মনে হয়। বড়ো তুচ্ছ।
অভ্যাসমতো কম্প্যুটারে মেইল চেক করতে গিয়ে দেখি ইনবক্সে অমিতের মেইল।

শিমুল,
গতকাল আমার আচরণে তুমি অবাক হয়েছো নিশ্চয়ই। হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কষ্ট পেয়ে থাকলে, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তুমি তো জানোই, আমি গল্প/উপন্যাস যা-ই লিখি অনেক ভেবে চিন্তে লিখি। গল্পের চরিত্র-চারপাশ বোঝার চেষ্টা করি। দরকারী তথ্যগুলো চেক করে নিই নানান সুত্রে। গত দু'মাস ধরে একটা গল্প নিয়ে আঁটকে গেছি। রাইটার্স ব্লক। কোনো ভাবেই আগাতে পারছি , শেষ করতে পারছি না। যেখানে আঁটকে গেছি তা হলো - একজন মানুষ তার কাছের বন্ধুটিকে একেবারে বদলে যেতে দেখলে কেমন রিয়্যাক্ট করে। আমার গল্পের চরিত্র বাংলাদেশের মানুষ। এই বিদেশ-বিভুইয়ে সেরকম মানুষ অবজারভ করার সুযোগ কই? আমার গল্পের এই চরিত্রটির সাথে তোমার খানিক মিল আছে। তাই আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম, তোমার সাথে টরন্টোতে প্রথম সাক্ষাতেই এই এক্সপেরিমেন্টটা করে নিবো। যথেষ্ট প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। ঐ ৩টা উপন্যাস জোগাড় করেছি অনেক কষ্টে। ঐ অভিনয়ের মহড়া নিজের সাথে নিজের অনেকবার দিয়েছি। তাই, তুমি গতকাল যেই আমাকে দেখেছো, আমি মোটেও সেরকম নই। এক বিন্দুও পাল্টাইনি। তবে নিজেকে পাল্টানোর ভাব করে গতকাল তোমার প্রতিক্রিয়াগুলো আমি মনে মনে টুকে নিয়েছি প্রতি মুহুর্তে। বিশ্বাস করবা না, গল্পের কোনো উপাদান বাকী ছিলো না। সব পেয়ে গেছি এখন। আজকালের মধ্যেই গল্পটা শেষ করে ফেলবো। আমার ধারণা, এই গল্পটা হবে আমার লেখা সেরা একটা গল্প। লেখা শেষ হলে, ১ম পাঠক হিসেবে গল্পটা তুমিই পড়বে। থ্যাংক্স এ লট, ব্রো! শেষে আবার ক্ষমা চেয়ে নিই, যদি একটুখানিও কষ্ট পেয়ে থাকো আমার আচরণে...। আরেকটা কথা, আগামী ১৯ তারিখ রোববারে মিলা-হায়দার হোসেন-নকুল কুমার আসবে একটা প্রোগ্রামে। যাবা? অন্ততঃ মিলার জন্য যাই, চলো। কী বলো?
- অমিত।

মেইল পড়ে আমি আবার তব্ধা খাই।
এবার কী করবো, কী ভাববো বুঝতে পারি না।
চিন্তাশক্তি একদম কাজ করে না।

তখন সাথে সাথে দেখি জি-টকে অমিত আহমেদ।
জিজ্ঞেস করি, 'গল্প লেখা শেষ হইছে?'
অমিত বলে, 'সিগারেটটা শেষ করে নিই। বি আর বি।'

-
(সমাপ্ত)


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনের ভালো হওয়ার কী হইলো তাইলে?

আর তাইলে অমিত্রাক্ষর ছন্দ শুকায়া গেলো কেনো? এই রহস্যের তো সমাধান হইলো না! চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভালো হইলে তো জাপান-কানাডা-জার্মান সমিতির সদস্যপদ বাতিল করে দিবেন। তাইলে?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অমিতউদ্দীন আউলিয়া হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রানা মেহের এর ছবি

শিমুলের 'ভালো হওয়া' পরবর্তী পর্যায় নিয়ে
একটা লেখা পাবোনা?
'আস্তলেখা'?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হে! শিমুলার্ভালৈছে ...চোখ টিপি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হে শিমুল, আসো সত্যের পথে, তোমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একার চেয়ে জামাত ভালো...।

আলমগীর এর ছবি

হিডেন ফাইল আসলেই শিফট-ডিলিট মারছিলেন না খালি ডিলিট? ব্যাপার না, হয়ে যাবে চোখ টিপি
আমি একটা সফটওয়ার পাঠাইতেছি।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পাঠান।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

উপসংহারটা জোশ হইছে। শেষে আইসা পইড়্যা বনফুলের গল্পের মতো তব্দা খাইছি। হাছাই কইতেছি।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শুক্রিয়া, জনাব।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শিফট ডিলিট পর্যন্ত ঠিক ছিলো। কিন্তু ইমেইলে এসে ব্যাপক দুঃখ পেলাম। একটা ছেলের দ্বীনের পথে যাওয়া দেখে তার বন্ধুও যখন ভালো হয়ে যাচ্ছিলো তখনই এই বেঈমানী ইমেইল। এমন বিদ'আতি ইমেইলের আইপিসহ ব্যান চাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রাশেদ এর ছবি

এইভাবে মুমিন বান্দরা ভয় পেয়ে সত্য লুকিয়ে ফেললে তো হবে না। পথে পথে বাধা উপড়এ এগিয়ে যেতে হবে। খাইছে

আর হিডেন ফাইল মুছলেও সম্সয়া কি! এইগুলা সিডিতে ব্যআকআপ আচে নিশ্চয়। দেঁতো হাসি :D

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নাহ, এইবার ম্যাঞ্চেস্টারের দুশমন হাজির। কই যাই। ভালো হওয়ার উপায়ই পাই না।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

কি জানি কিছু তো বুইঝা উঠতে পারতেছিনা মন খারাপ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুন! মূল লেখার কথা বললে, অমিত ভাইয়ের লেখাটা (আপনাদের দু'জনের ভ্রমণকাহিনী) পড়ে অনেক বেশি হেসেছিলাম, কিন্তু ওইটার এন্ডিং-এ চমক থাকলেও কেন যেন অতটা ভাল্লাগেনি (হয়ত অনেক হাসির পর, ওরকম একটা ইমোশনাল এন্ডিং আশা করিনি)। কিন্তু আপনার কাহিনীর শেষের চমকটা এতো দারুন যে কি বলব! অসাধারণ লাগলো।

অমিত আহমেদ এর ছবি

দিলো আমার ইজ্জতের বারোটা বাজিয়ে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমি প্রিন্ট স্ক্রীন নিয়ে রাখলাম চোখ টিপি

সৌরভ এর ছবি

আমি মনে করছিলাম, গল্পের শেষে আসবে, আসলে "অমিত আহমেদ" বইলা কেউ নাই। কে একজন মধ্যবয়েসী চৌধুরি দুবাই থাইকা এই নিকে ব্লগায়। চোখ টিপি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

হো হো হো ...

তবে অমিতকে পাওয়া গেছে। এখন চেক করে দেখতে হবে ও কি বিরিয়ানির প্রথম দুই পর্বের অমিত না শেষ পর্বের অমিত।


হাঁটুপানির জলদস্যু

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বেচারা অমিত আহমেদ না হয় এক্সপেরিমেন্ট করিয়াছিলেন, কিন্তু ভ্রাতঃ, আপনার যে পরিবর্তন আসিলো তাহা লুক্কায়িত রাখিবার হেতু কি?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সাধু ভাষায় করা প্রশ্নের জবাব দিলেন বাউলের ভাষায়, কেমনে কি? :।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অমিত আহমেদ এর ছবি

শিমুল, চলো জেরার্ডে হানা দেই। আজ থেকে তুষারাপাত শুরু হলো। আর দেরি করলে কপালে জুটবে না। চোখ টিপি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হু, আজকেই দেখলাম অনেকে জোব্বা পরা শুরু করছে। নাকি আবার আগামী সামারে?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এক্সপেরিমেন্ট কর্লেন অমিত, আর্ধরা খেলেনাপ্নি। হিডেন ফাইল্ডিলিট করে আলহামদুলিল্লাহও বলেছিলেন হয়তো চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বলেন্তো, কতো জি/বি ছিলো?
__

আপ্নীদানিং বদ্দাশটাইলে লিখতেছেন। আপ্নি মুরুব্বী মানুষ, ডর্করে, তবুও একটু ঠিক্কোরে দিইঃ

এক্সপেরিমেন্ট কর্লেনোমিতার্ধরা খেলেনাপ্নি।

চোখ টিপি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কর্লেনোমিত - মান্তে পার্লাম্না। সন্ধির্নিয়মে হসন্ত+অ=ও নয় হাসি

আর্কথায় কথায় মুরব্বি ডাকার্কারণ্টা কী? রেগে টং

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঠিক্বলেছেন। চলুক

মুরুব্বী কী জন্য ডাকি সেইটা সময়মতো জানানো হবে। ঃ)

স্নিগ্ধা এর ছবি

বুঝলাম না শিমূল, আপনি সঠিক পথে যেতে যেতে আবার এবাউট টার্ন করলেন কি বলে??? অমিত দো্যখে গেলে কি আপনারও যেতে হবে? আর অমিত দোযখে যাবেই -

তবে, আমার কেমন মনে হচ্ছে আপনারও বিশেষ আশা নেই। আপনিও যাবেন কারণ -

দুজনকেই বলছি - কোন কিছুরই বেশী ভালো, ভালো না! সেটা, এমনকি, লেখালেখি হলেও হাসি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা । থ্যাঙ্কু।

অমিত যাবে নাকি?
আমি তো জানি, দোজখে মাধুরী দীক্ষিত যাবে, কংকনা সেন শর্মা যাবে, শ্যারন স্টোন যাবে, নোরা জোন্স যাবে, শাহরুখ-টম ক্রুজ থেকে শচীন- রোনাল্ডো। সব দোজখে।
একেই বলে নরক গুলজার।

ওদিকে নিজামী-গোলাম্রা বেহেশতে পানের পিক ফেলে পরিবেশ খারাপ করে রাখবে। অমিত সেখানে কী করবে? দোজখই ভালো।

আমি নিজের কথা আর কী বলবো? বুঝে নেন চোখ টিপি

রণদীপম বসু এর ছবি

অ-সা-ধা-র-ণ !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

থ্যাঙ্কু।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অন্ততঃ মিলার জন্য যাই

মিলা'র মইধ্যে পুলাপাইন কী যে পাইল! ভালো করে খুঁইজা দেখতে হবে। এক্কেবারে দেশলাই জ্বালাইয় খুঁজে দেখতে হবে।

লেখা ভালৈছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পুলাপাইন

???

অমিত আহমেদ এর ছবি

দেখছো? কিউইলাভারের কামটা দেখছো?


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আগে তো ওরে ছেলে মনে করতাম, এখন প্রোফাইলের ছবি দেখে বুঝি মেয়ে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আর কে। মহিব। আবার নাম নিছে ছেলের দেখছেন?


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দৃশা এর ছবি

সেন্টু সাদাত ভাই এর মাঝে লুকিয়ে আছে ভবিষ্যত প্রজন্মের একজন পলিটিশিয়ান । এইটাতে কোন সন্দেহ নাই। দেঁতো হাসি
--------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহাহাহা গড়াগড়ি দিয়া হাসি সব পর্বই পড়লাম। অমিত ভাইতো দারুন চাল্লু, আপনার এমন সহজ সরল মনটার এমন এডভ্যান্টেজ নিল। খাইছে
আফসোস সিডনীতে কোনও সচল ব্লগার নাই, তাইলে তো অন্তত ফ্রি বিরিয়ানি খাওয়া যেত মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অভ্রনীল এর ছবি

দারুন... দারুন...
_________________________________
| নাদানের ছোট্ট জগৎ |
auto

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।