গ্রন্থমেলা ডায়রি: আলোকিত মানুষেরা ও পাঁপড় ভাজা

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০২/২০০৮ - ৫:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ডায়রি
৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮

বিকেল সাড়ে চার কী পাঁচটার দিকে আজিজ মার্কেটে জাগৃতির অফিসে দেখা হয়ে গেল আরিফ ভাইয়ের সাথে। প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলেন। তার উপর আগামীকাল যাচ্ছেন দেশের বাইরে। সেই ব্যস্ততার মাঝেই কথা হয়। "তাকে ডেকেছিলো ধূলিমাখা চাঁদ" এর কাজ শেষ। ৬ তারিখ মেলায় চলে আসবে। ট্রেসিং এর কাজে আটকা পড়ে ছিলাম বলে আমাকে রেখেই আরিফ ভাই মেলার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েন।

আধা ঘণ্টা পরেই ফোন, "অমিত কি আসতেছো?"

"জ্বী আরিফ ভাই। এই হাতের কাজ শেষ করেই।"

"আরে এখানে তো অপু (নজমুল আলবাব) আর অয়ন বসে আছে।"

কথাটি শুনেই আমার মন আনচান করে ওঠে। আমার প্রিয় ব্লগাদের কোনো লিস্ট বানালে এই দুই ব্যক্তির নাম অনায়াসেই সেখানে উঠে আসবে। অপু ভাইয়ের সাথে ইমেইল আর ফোনে অসংখ্যবার কথা হলেও চোখের দেখা হয়ে ওঠেনি। অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে ছিলো সম্মুখ-সাক্ষাত করার। গতদিন উনি সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন বলে দেখা হয়নি। এবার তাকে আর সেই সুযোগ দেয়া যাবে না। অয়নের সাথে দেখা হয়েছিলো সচল সমাবেশে। প্রথম দেখাতেই প্রচন্ড আপন মনে হয়েছিলো। এরপরে বহুবার ভেবেছি ওকে ফোন করে দু'টো ভালো কথা বলি। কিন্তু করি করি করেও কেনো জানি আর ফোন করে হয়ে ওঠেনি।

"আরিফ ভাই আপনি আছেন তো?"

"আরে না! আমি এক্ষুনি বের হয়ে যাবো। তুমি আসো। ওরা আছে।"

আমি সুপারম্যানের মতো সুপার-দ্রুততায় কাজ সেরে দুদ্দাড় মেলায় ছুটে যাই।

মেলায় ঢুকে লিটলম্যাগ কর্নারে দাঁড়িয়ে অপু ভাইকে কল করি। উনি বলেন, "কাছেই আছি। আস্তেছি।"

ফোন রাখতে না রাখতেই দেখি সুদর্শন এক যুবক। ততাধিক সুদর্শন এক শিশুর হাত ধরে দৃপ্ত পায়ে হেঁটে আসছেন। পেছনে এক তরুনী... নিপাট, সাদামাটা কিন্তু একই সঙ্গে আকর্ষনীয়া। সন্দেহ থাকে না এই হচ্ছেন "বউ, বাটা, বলসাবান"-এর সুলেখক নজমুল আলবাব। সাথে বাবাই। আর তুলি আপু। পাশে হেঁটে আসা অয়নকে আগেই দেখেছি। শিশুসুলভ সারল্য আর একই সাথে নিজ মতাদর্শে আত্মবিশ্বাসী তেজস্বী এক সুপুরুষ। অয়ন কথা বলে কম। কিন্তু যা বলে ভেবে চিন্তে যুক্তি খাটিয়ে বলে।

অপু ভাই অন্তর্জাল আর মুঠোফোনে যেমন সাক্ষাতেও ঠিক তেমনি ঘরোয়া। যে কাউকে আপন করে নেবার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে। ঠিক একই ক্ষমতা আছে তুলি আপুর। এই প্রথম দেখা। অথচ মনে হয় - আরে! এদেরকে তো আমি অনেক আগে থেকেই চিনি। বাবাই ছেলেটাও যে বাবা-মা'র মতো হবে তা বোঝা যায় সদ্য পরিচিত অয়নের সাথে ওর সখ্যতা দেখে। সামান্য পরিচয়েই দু'জনে দেখি পাল্লা দিয়ে প্লাস্টিকের কৌটোর সাবানপানি দিয়ে নল ফুঁকে বুদবুদ বানাচ্ছে।

মেলা প্রাঙ্গন পাঁচ ভাষাশহীদ সালাম রফিক জব্বার বরকত ও শফিউরের নামে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমার ভালো লেগেছে এটি। আরো ভালো লেগেছে একাডেমী ভবনের পাশে মুক্তধারার স্বত্বাধিকারী প্রয়াত চিত্তরঞ্জন সাহার ছবি প্রদর্শন করাতে। তবে আমার মনে হয়েছে যার একক উদ্যোগে চালু করা বইমেলা আজ এই ব্যপ্তি পেয়েছে তাঁকে আরেকটু বেশি শ্রদ্ধা জানানো যেতো।

সাড়ে চারজন মিলে মেলা ঘুরে দেখি। লোক সমাগম মন্দ নয় তবে বিক্রিবাট্টা মনে হয় তেমন হচ্ছে না। বইমেলায় সবার হাতের দিতে নজর রাখা আমার অভ্যেস। সিংহভাগ দর্শনার্থীদের হাতই আজ খালি ছিল। মেলার ধূলোকে এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমী আয়ত্বে রাখতে পেরেছে। ভেজা ভেজা মাটি দেখে বোঝা গেলো তারা নিয়মিত বিরতিতেই মাঠে পানি ছেটাচ্ছে।

নতুন বই তেমন কিছুই আসেনি। বেছে বেছে পাঁচটি নতুন বই কিনলাম। শস্যপর্ব থেকে জাহেদ সরওয়ারের এর "এই মিছা কবি জীবন"। বিদ্যাপ্রকাশ থেকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের "অনুরন গোলক"। অন্যপ্রকাশ থেকে সেলিনা হোসেনের "পূর্ণ ছবির মগ্নতা" নাসরীন জাহানের "কুয়াশার ঘর" আর হুমায়ূন আহমেদের "মিসির আলির চশমা"। গতবার কিনতে পারিনি বলে এবার জাগৃতি প্রকাশনী থেকে আরিফ ভাইয়ের "পলিটিক্যাল জোকস"-ও ঝুলিতে পুরি।

এরই মাঝে বড় বোনের দাবিতে তুলি আপু আমাকে আর অয়নকে উপহার দেন আতাউর রহমানের "বিশ্ব-বরেণ্যদের রম্য উপাখ্যান" আর বড় ভাইয়ের দাবিতে অপু ভাই আবুল হাসানের "রচনা সমগ্র"।

মেলায় বেশ কিছু লেখক চোখে পড়ে। আনিসুল হককে দেখা যায় ক'জন সঙ্গী নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। আমার প্রিয় লেখক নাসরীন জাহানকে দেখি লিটলম্যাগ কর্নার থেকে বই কিনছেন। পাতি লেখকদের বই কেনার অভ্যাস তার আছে জেনে মুগ্ধ হয়েছি।

হাঁটতে হাঁটতে ব্লগার-কবি মুজিব মেহদী, ব্রাত্য রাইসু আর অন্যমনস্ক শরৎ এর সাথে দেখা হয়ে যায়। অপু ভাই চেনেন সবাইকেই। তাই দাঁড়িয়ে পরিচয় বিনিময় দু'দন্ড কথা হয়। আমার ধারণা ছিল কবি মুজিব মেহদীর নতুন বই বেরুবে এবার। সেটি ঠিক নয় জেনে সামান্য আশাহত হয়েছি। অন্যমনস্ক শরৎ কথাবার্তায় বেশ সাবলিল।

আটটার দিকে আবার ফিরে যাই লিটলম্যাগ কর্নারে। সেখানে মাহবুব লীলেন ভাই ছিলেন। বাবাই ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে সামলাতে সামলাতেই জম্পেস আড্ডা জমে ওঠে পাঁচজনে। একটু পরে সে আড্ডায় যোগ দেন আহমেদুর রশীদ ভাই। ন'টার দিকে মেলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেখে আড্ডার সমাপ্তি কেটে বেরিয়ে যাই যে যার পথে।

গত লেখার মন্তব্যে তিথি আর হাসান ভাই জানিয়েছিলেন তাদের নাকি মেলার বাইরের ফেরিওয়ালা আর খাবারের স্ট্যান্ড ভালো লাগে। তাদের জন্য সুখবর। আজ দেখলাম মেলার বাইরে বেশ ভালো ভিড় হয়েছে। এই হারে ফেরিওয়ালা আর খাবারের স্ট্যান্ড বাড়তে থাকলে আর এক সপ্তাহের মধ্যে মেলার বাইরের প্রাঙ্গন সেই চেনা পূর্বরূপ ধারণ করবে।

অপু ভাইরা চলে গেলে এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ভাবছিলাম আমি আসলে কি চাই?

মেলার সামনে একটু পর পর ফেরিওয়ালাদের "এইটা লইবেন? ওইটা লাগবো?" টাইপ প্রশ্নবান। ঘিরে ধরা সুঠামদেহী ভিক্ষুকদের সাহায্যপ্রার্থনা। ফুটপাথ থেকে পাইরেটেড বই বিক্রেতার সুর করে "এই নেন... পঞ্চাশ! সব বই... পঞ্চাশ! গেলো গেলো... পঞ্চাশ!"। চটপটি কিংবা চিংড়ি-মাথা স্ট্যান্ডের একটু বসে যাবার আহবান। এই সবই আমার বিরক্ত লাগে ঠিক।

কিন্তু মজাও যে লাগে তার প্রমান দেবে আমার হাতে ধরা ভেলপুরি ঝালমুড়ি পাঁপড় ভাজা আর একটি পাইরেটেড বই!

© অমিত আহমেদ


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

হেঃ হেঃ
ভরা বাজারে এভাবে লুঙ্গি ধরে কেউ টান দেয় বলেন?
আমাকে গোপনে জিগাইলেই তো পারতেন দেঁতো হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ছিছি, আপনেও দেহি খাইস্টা কথা কন মিয়া। অযু কইরা আসেন আসেন তওবা পড়াই।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাল লাগলো। হায় রে বইমেলা!!

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার কেমন লাগছে সেটা আমি আমাকে দিয়েই বুঝতে পারি মন খারাপ


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

স্নিগ্ধা এর ছবি

কিছুক্ষণ আগে দেখলাম 'গন্দম' এর প্রচ্ছদ তারপর সেটা কোথায় হাওয়া হয়ে গেল?

নব্য প্রকাশিত ঔপন্যাসিককে অভিনন্দন !

অমিত আহমেদ এর ছবি

কই স্নিগ্ধা? "গন্দম" এর প্রচ্ছদ তো আমার ডিসপ্লেতে দেয়াই আছে হাসি অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সৌরভ এর ছবি

অযু কৈরা ভেষজ নেশা করা পোলাটার লগে তওবা পইড়া আসেন।
তয় ঈর্ষিত বোধ করতেসি। রং নম্বর বাউল, মুনতাসির ভাই, তুলি ভাবি, পিচ্চি বাবাই - এইসব মানুষের সাথে আমার ইহজনমেও দেখা হবেনা।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নজমুল আলবাব এর ছবি

রং নম্বর বাউল, মুনতাসির ভাই, তুলি ভাবি, পিচ্চি বাবাই - এইসব মানুষের সাথে আমার ইহজনমেও দেখা হবেনা।

হ, তরে কইছে, তুই বেশি জানস, অনেক বুইঝা গেছস।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আলবাব ভাইকে জাঝা

অমিত আহমেদ এর ছবি

অপু ভাইকে বিপ্লব


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ইস ! যদি আগে ভাগে খবর পেতাম সচল ওয়ালারা ভীড়বে বইমেলায় তবে আমিও সুযোগ পেতাম একঝাক সচলব্লগারদের সাথে মোলাকাতের ।

নামগুলো খুব চেনা চেনা ঠেকছে । আরিফ জেবতিক, তুলি ...........

পাপর ভাজা, ভেলপুরি আর সঙ্গে আবুল হাসান (রাজা যায় রাজা আসে, আমার কেবলই রাত হয়ে যায় )থুক্কু পাইরেটেড বই

নুরুজ্জামান মানিক

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমরা প্রায় প্রতিদিনই জাগৃতি প্রকাশনী কিংবা লিটলম্যাগ কর্নার এর কাছে থাকি। স্টলের বিক্রেতাদের সুধালেই আমাদের (বিশেষ করে লীলেন ভাই ও আহমেদুর রশিদ ভাইকে) দেখিয়ে দেবে।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

অয়ন এর ছবি

আমি ভাবছিলাম বইমেলা নিয়া একটা পোস্ট দিমু। আপনি দেয়ায় বাইচা গেলাম।

আপনের লাইগা গান
একটি গন্দমের লাগিয়া
আল্লায় বানাইছে দুনিয়া
দেঁতো হাসি

অমিত আহমেদ এর ছবি

অয়ন, পোস্টটা বরং দিয়েই দাও।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

মুজিব মেহদী এর ছবি

ডিটেলে ডায়েরিটা ভালো লিখছেন।

আমার ধারণা ছিল কবি মুজিব মেহদীর নতুন বই বেরুবে এবার। সেটা ঠিক নয় জেনে সামান্য আশাহত হয়েছি।

আপনি আশাহত হলেন জেনে আমারো কষ্ট হলো। এখন মনে হচ্ছে হলেও পারত। অবশ্য প্রতিবছর বই ব্যাপারটায় আমার কেমন যেন ইয়ে বোধ হয়। মাত্র গত ফেব্রুয়ারিতেই তো হলো ময়দানের হাওয়া (পাঠসূত্র)। তার আগে জুনে বৃষ্টিগাছের তলায় (বাংলাপ্রসার)। খ্যাতিমান লেখকদের কথা অবশ্য আলাদা। তাদের তো একসঙ্গে পাঁচটাও হয়।
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

অমিত আহমেদ এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ মেহদী ভাই।
আপনার পুরানো বই দুটোর আমি হার্ড কপিই কিনবো।
আর আপনি কি বলতে চাইছেন তা বুঝতে পেরেছি হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নিঘাত তিথি এর ছবি

চমৎকার চলছে অমিত। বইমেলার পরিবেশটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে একদম। পাঁচ ভাষাশহীদের নামে মেলা প্রাঙ্গন ভাগ করার নিয়মটা কয়েক বছর ধরেই চলছে, চমৎকার লাগে এটা। আর গ্রামীন ফোনের বড় বড় ব্যানার নেই এবার? ব্যাপারটা বানিজ্যিক কিন্তু ব্যানারগুলো শৈল্পিক হয় সন্দেহ নেই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ চলমান এই লেখার জন্য।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

অয়ন এর ছবি

গ্রামীণ তো দেখলাম না, এইবার আছে ওয়ারিদ, ব্রাক ব্যাংক আর মিউচুয়াল ট্রাস্ট।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আসলে আমার শেষ দেখা বইমেলা ৬ বছর আগে বিধায় সে অভিজ্ঞতার সাথেই মেলাচ্ছি হাসি ব্যানার গুলো আমারো মন্দ লাগে না। শৈল্পিক বিজ্ঞাপনেরও আলাদা আবেদন আছে।

আপনাকেও অ-নে-ক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নজমুল আলবাব এর ছবি

এভাবে কেউ ভালবাসা জানালে কেমন এক শূন্য অনুভব আমাকে গ্রাস করে... কি এক অসীম শূন্যতা...

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অমিত আহমেদ এর ছবি

মুখোমুখি কেন জানি আমার কিছুই বলা হয়না, তাই অন্ধের যষ্ঠি এই বর্ণমালাই ভরসা।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অমিত:
ভালো হচ্ছে। আরও চাই। প্রতিদিন টাটকা ভ্রমণ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

বইমেলা থেকে এসে, ঘুমাবার আগে, একটানে, মোটামুটি নিয়মিত ভাবেই এই সিরিজটা দেবার ইচ্ছে আছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ডায়রিটা সচিত্র হলে আরো জমবে। করা যায়?

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অমিত আহমেদ এর ছবি

অবশ্যি যায়। আমার ব্যাগে সবসময় ক্যামেরা থাকে। তবু কিভাবে যেন এই দু'দিন ছবি তোলার কথা মনেই পড়েনি! সামনের এন্ট্রিতেই ছবি পাবেন।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

বেশ প্রাণবন্ত বর্ণনা। চলুক...


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অমিত আহমেদ এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

নজমুল আলবাব এর
যেই অখাদ্য টা মেলায় বেরিয়েছে
তার একটা ছবি দেবেন অমিত?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অমিত আহমেদ এর ছবি


অপু ভাই এর বই এর প্রচ্ছদ।
অনুমতি ছাড়াই দিয়ে দিলাম।
ঝাড়ি খেলে রানা মেহের ভাই এর দোষ!


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওই আমি কি কখনও ঝাড়ি দিছিলাম? তয় তোমার রানা মেহের ভাই দিতে পারেন। এমন লিঙ্গান্তরে তিনি নাখোশ হওয়ার চান্সই বেশি। কি বলেন রানা ভাই?হো হো হো শয়তানী হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অমিত আহমেদ এর ছবি

লা হাউলা ওয়ালা... আমি তো এত দিন... আচ্ছা যাই হোক... মনীষী বলেন, "ক্ষমাই পরম ধর্ম!"


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রচ্ছদটা দারুণ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

অনেক কস্টে ফটুক দেয়া শিখলাম। মগার বড় করতে পারিনা। এরা কেমনে এত বড় করে?

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ফটুক আপলোড করলে একটা কোড লাইন আসে, মানে যে কোড লাইনটা আপনি পোস্টে পেস্ট করেছেন ওটায় দেখবেন width - length এর কিছু ডিফল্ট ভ্যালু দেয়া আছে। ওগুলো আপনার ইচ্ছা মতো বাড়িয়ে নেন। হয়ে যাবে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ওকে। দেখি টেরাই মেরে

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

ভাইরে প্রতিদিনই দেয়াটা আমার জন্য একটু কঠিন হয়ে যায় মন খারাপ


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এইটারেই কয় কপাল ... শালার সারাজীবন ঢাকায় কাটাইলাম, তখন আপনাগো কাউরে চিনি না ... দেশ ছাড়লাম আর সবাই একলগে বইমেলা যান মন খারাপ...

সচল সমাবেশটাও মিস করলাম, দেশ ছাড়ার আগে লাস্ট চিটাগাং যাইতে গিয়া মন খারাপ(

লেখা দারূণ হইতেছে, চালায়া যান ... পইড়াই দুঃখ ভুলি ...

অমিত আহমেদ এর ছবি

এই হলো জীবনের আয়রনি হাসি


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

হযবরল এর ছবি

শুভেচ্ছা। নতুন বইয়ের গন্ধ লাগছে কেমন ?

অমিত আহমেদ এর ছবি
বিবাগিনী এর ছবি

আমি যাব!!!! কিন্তু কেমনে??? মন খারাপ

ভাললাগে না কিছু।

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

অমিত আহমেদ এর ছবি

অনেকদিন পর বিবাগিনী!
কই ছিলেন এতদিন?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।