গল্প: পড়ন্ত বেলার জনৈক জুয়াড়ি

অমিত আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন অমিত আহমেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৮/২০০৮ - ১২:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoনিজের সাথে নিজে বাজি ধরেন কখনো? আমি কিন্তু ধরি। জ্বী, নিজের সাথেই। এটি আমার একটি খেলা বলতে পারেন। কিংবা সময় কাটাবার অবলম্বন। বুঝতে পারলেন না-তো? এই ধরুন পার্কে বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছেন। আপনি হয়তো একাকিত্ব কাটাবার জন্য ফস করে একটি সিগারেট ধরিয়ে ফেলবেন। ব্যাগ থেকে বের করবেন অর্ধেক পড়া কোনো গল্পের বই। কিংবা পকেট থেকে হাল মডেলের মোবাইল ফোন। আমার আবার এগুলো নিষেধ আছে। বয়স হয়েছে তো, শরীরে নানান অসুখ বাসা বেঁধেছে। ডাক্তারের নির্দেশে সিগারেট ছাড়তে হলো। চোখের অবস্থাও ভালো নয়। আর এসব যন্ত্রপাতির ব্যাপার, বুঝলেন না, আমার মাথায় আবার ঠিক ঢোকে না! তাই সময় কাটাবার জন্য নিজের সাথেই বাজি ধরি।

খুব উত্তেজক কিছু যে হতে হবে তা নয়। এই যেমন ধরুন সামনে বৈদ্যুতিক তারে একটি শালিক বসে আছে। আমি বাজি ধরবো এক থেকে দশ গোনার মধ্যে শালিকটি উড়ে যাবে। যদি উড়ে যায় তবে আমার জিত হলো, না গেলে হার। বাজির শর্ত থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই, তবে থাকলে উত্তেজনা একটু বাড়ে বৈকি! আমার শর্তগুলিও নেহায়তই সাধারণ টাইপের। উদাহরণ দিলেই বুঝবেন। এই ধরুন শর্ত দিলাম - আজ যদি বেশিরভাগ বাজিতে হারি তবে রাতে ভাত খাবো শুধু করল্লা ভাজি দিয়ে। করল্লা সবজিটি, বুঝলেন, আমার গিন্নীর যতই প্রিয় হোক, আমার আবার ঠিক রোচে না! হে হে!

পার্কে বসে ফয়জুরের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা একই সরকারী অফিসে কাজ করতাম। রিটায়ারও প্রায় একইসাথে করেছি। বিকেল বেলায় দুই বুড়োতে মিলে পাড়ার পার্কে বসে টুকটাক গপ্প করি। ফয়জুরের ডায়াবেটিসের প্রভাব আছে বলে ডাক্তার প্রতিদিন একটু করে হাঁটতে বলেছে। ওর সাথে আমারও হাঁটা হয়ে যায়। পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ভালো, দারোয়ান আছে, শান্ত নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ। আমাদের তাই বেশ লাগে।

আজ একটু আগে সবে বেঞ্চে এসে বসেছি - পার্কের বাঁধানো সরু রাস্তাটি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ‘থুক’ করে একদলা কফ ফেলে গেলেন জনৈক ভদ্রলোক। নিজে নেহায়তই ভদ্র বলে ‘ভদ্রলোক’ বলছি। তা-না হলে যেই কাজটি উনি করলেন আর যাই হোক ভদ্রলোক উনাকে বলা যায় না! আমার মেজাজ যে গরম হয়নি তা বলবো না। আরে ব্যাটা কফ-থুতু ফেলবি ভালো কথা, চারপাশে এত্ত খোলা জায়গা আছে, সেখানে ফেল! ঠিক বেঞ্চের কাছেই কেনো ফেলতে হবে? ফয়জুর থাকলে এতক্ষণে এই নিয়ে তুলকালাম করে ফেলত। ফয়জুর দেখতে যেমন গাঁট্টা-গোট্টা তেমনি ওর মাথাও, বুঝলেন না, একটু গরম। একটুতেই চিল্লা-পাল্লা করে। আমি চাপা মানুষ, ঝামেলা এড়িয়ে চলি। তাই ব্যাপারটি দেখাও না দেখার ভান করে চুপচাপ বসে থাকলাম।

জিনিসটি দেখতে খুব একটি শোভন নয়। কেমন যেনো গা গুলিয়ে আসে! থকথকে, একটু হলুদাভ। আঠার মতো ত্যাকত্যাকে। দেখতে না চাইলেও নজর ওই দিকেই চলে যাচ্ছে দেখে ভাবলাম আজ না-হয় এ নিয়েই বাজি ধরা যাক। পার্ক ছেড়ে যাবার আগে পিন্ডটি কেউ মাড়িয়ে গেলে আমার জিত হবে, না গেলে হার। বাজির শর্তও ঠিক করে ফেলি। আজ পাকাবাজারে আমাদের লুচি-বুন্দিয়া খেতে যাবার কথা। ডায়াবেটিস হবার পর থেকেই খেয়াল করেছি ফয়জুরের মিষ্টান্নের ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ জন্মেছে। কোন বাজারের কালোজাম ভালো, কিংবা কোন বাজারের রসমালাই - তার সব মহাশয়ের মুখস্থ থাকে। আজ লুচি-বুন্দিয়ার পরিকল্পনাটিও তার। যদি আমার হার হয় তবে আজকের পুরো বিলটি না-হয় আমিই ভরবো। ঠিক আছে তো?

যে কোনো বাজি ধরার পরেই আমার কেমন যেনো উত্তেজনা হয়। রক্তে বেশ একটি চনমনে ভাব চলে আসে। বয়স একধাপে বিশ বছর কমে যায়।

বাজি ধরতে না ধরতেই কমবয়সী একটি মেয়ে থুতুপিন্ডের ঠিক পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যায়! আর মাত্র দুই ইঞ্চি, বুঝলেন, মাত্র দু’ইঞ্চি হলেই আর দেখতে হতো না! আজকালকার মেয়েদের কাপড়-চোপড়ের হাল দেখলে নিজেরই শরম লাগে! বয়স কম হলে কি হবে, বুঝলেন, মেয়েটির বক্ষ আবার বেশ উন্নত। তার উপর আবার ছোট্ট টাইট গেঞ্জি পড়েছে। নাভি-টাভি সবই দেখা যায়! জ্বী? না, আমি আবার কি করলাম! এভাবে খুলে রাখলে, মানে, চোখ তো একটু যাবেই, বুঝলেন না? আচ্ছা বাদ দেন এইসব কথা!

এরপরে যায় সাইকেল চড়ে এক ছেলে। বেয়াদ্দপটা এমন ভাবে সাইকেল চালাচ্ছে যেনো ওটি সাইকেল নয়, এরোপ্লেন! রাস্তায় বয়স্ক মানুষজন থাকতে পারেন - সেদিকে তো একটু খেয়াল রাখতে হবে না-কি? সেও দেখি সাইকেল পিন্ডের খুব কাছ দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যায়। কফে চাকা ফেলে না। সাইকেলে চড়ে কফ মাড়িয়ে গেলেও তো সেটিকে আমার বিজয় হিসেবেই ধরে নেয়া যেতো, না?

এরপরে আসেন বাচ্চাসহ এক মহিলা। মহিলার দেহ, ব্বাপরে বাপ, হাতিও লজ্জা পাবে! নিশ্চিত ছিলাম বাজি এবারে জিতেই যাচ্ছি। হস্তিশাবক যেভাবে রাস্তা জুড়ে লাফালাফি করছে শিকার ওরই হবার কথা ছিলো। আর সে বাদ গেলেও ওর হস্তিনী মা’র প্রকান্ড পা থেকে নিশ্চই পিন্ডটি রেহাই পাবে না। কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়ে ওরা দু’জনেই নির্ঝঞ্ঝাটে রাস্তা পেরিয়ে গেলো।

এরপর আসেন পাইপ মুখে সুবেশী এক ভদ্রলোক। প্রায় আমার বয়সী। সাথে আবার বিদেশী কুকুর! ভাব, বুঝলেন না? এগুলো ভাব! চোরাকারবার করে টাকা কামিয়ে কুকুর নিয়ে পার্কে মকশো করতে আসেন। জ্বী-না, আমি কিভাবে চিনবো! তবে এ বোঝার জন্য কি আর চিন-পরিচয় লাগে, বলেন? দেখলেই বোঝা যায়। কুত্তাওয়ালাও বেহায়ার মতো সুট করে সাইড দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। পিন্ডে পা দিলেন না।

আমার বেশ অধৈর্য লাগে। এরপরে রাস্তা একদম ফাঁকা, কাছে-পিঠেও কেউ নেই। এদিকে সময় চলে যাচ্ছে। যে কোনো সময় ফয়জুর চলে আসবে। আর এসেই বাজারে যাবার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেবে। পার্কের নিরাপত্তার উপরে এখন একটু রাগই লাগে আমার। এতো কড়া পাহারা না থাকলে অন্তত্য শসাওয়ালা-মুড়িওয়ালাদের ভিড় থাকতো। রিটায়ার করার পর টাকা নিয়ে একটু টানা-টানিতেই থাকি। হিসেব করে চলতে হয়। ছেলে-মেয়ের কাছে চাইতেও কেমন যেনো লজ্জা লজ্জা লাগে। এর মাঝে দুম করে বাজিতে হেরে লুচি-বুন্দিয়ার ভার নেয়াটা কোনো কাজের কথা নয়! তবে এটি এড়ানোর একটি দুই-নম্বরী বুদ্ধি আছে, হে হে! যা করতে হবে তা হলো - আরেকটি বাজি ধরতে হবে। সেই বাজিতে জিতে গেলে আজকের বিলটি আর আমি দেবো না। আর যদি হেরে যাই, আল্লা না করুক, আগামী দিনের বিলটিও আমি ভরবো।

কেমন যেনো একটি শব্দ আসে কানে। শব্দ সন্ধানে পাশে তাকাতেই পেয়ে যাই নতুন বাজির বিষয়। পাশের বেঞ্চে সিমেন্টের হাতলের উপরে কে যেনো একটি প্রানকোলা-র মোচড়ানো টিনের বোতল রেখে গেছে। বোতলটি পুরো খালি নয় নিশ্চই। খালি হলে যে পরিমান বাতাস দিচ্ছে এতক্ষণে ঠিক পড়ে যেতো। সামান্য পানীয় ভেতরে আছে বলেই কোনো মতে টিকে আছে। বাতাস এলেই প্রবল ভাবে দোল খাচ্ছে আর সিমেন্টের সাথে টোকা খেয়ে কেমন টক্‌-টক্‌ আওয়াজ করছে। বাজি ধরা যাক, পার্ক ছাড়ার আগেই বোতলটি পড়ে যাবে।

বাজিটি ধরে বেশ আরাম লাগে। এটিতে জিতে যাবার সম্ভাবনাই বেশি। বেশ ভালো বাতাস দিচ্ছে। বোতলটি হাতলের একদম কিনারে সেঁটে আছে, আরেকটু জোরে বাতাস দিলেই নির্ঘাত পড়ে যাবে। আর টাইমিং দেখেন, বাজি ঠিক হতে না হতেই দেখি ফয়জুর দূর থেকে ইশারা দিচ্ছে! আমি দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকি। ফয়জুরের পায়ের তলে কফপিন্ড পড়লেও আমি জিতে যাচ্ছি। ওই না-হয় আসুক এদিকে। বুদ্ধিটি কাজে দেয়। দেখি বড় বড় পা ফেলে আসছে ফয়জুর। এদিকে বাতাসের জোরও বাড়ছে। সে এক উত্তেজনাময় মুহূর্তরে ভাই। আমি টান-টান বসে থাকি। বলেন দেখি, এই উত্তেজনা আপনি আপনার গল্পেই বইয়ে পাবেন? পাবেন মোবাইল ফোনে? ইম্পসিবল!

তবে দিনটি যে কুফা তা বেশ বোঝা যায়। ফয়জুর ব্যাটা থুতুপিন্ডের ঠিক কোনা দিয়ে ঠিক-ঠিক বেরিয়ে আসে। মনটা হতাশায় ভরে যায়, দু’টো বাজিতেই হেরেছি! কাছে এসে একগাল হাসে ফয়জুর। মহা আনন্দ নিয়ে বলে, ‘আজকের প্ল্যান মনে আছে তো?’

পরাজিতের মতো উঠে দাঁড়াই আমি। এক কদম সামনে বেড়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে খ্যাক করে বলি, ‘কিসের প্ল্যান?’

বাঁধভাঙা আনন্দে পান খাওয়া লাল দাঁতগুলো বের করে দেয় ফয়জুর। পিঠে দড়াম এক কিল মেরে বলে, ‘আর্‌-রে! লুচি... হা হা হা... বুন্দিয়া! মনে নাই?’

দেখতে ছোট-খাট হলে কি হবে, ফয়জুরের শক্তি আছে! এই দিকে আমি নেহায়তই শুকনো-পাতলা একহারা মানুষ। পিঠে ওর বল্গাহারা চাপড় খেয়ে টলমল দুলে যাই। তাল সামলাতে আঁকা-বাঁকা নড়বড়ে পায়ে হেঁটে যাই দুই কদম। নিচে না তাকিয়েই বুঝতে পারি আমার ডান পা গিয়ে পড়েছে সেই থ্যাকথ্যাকে পিচ্ছিল জিনিসটির উপরে। স্যান্ডেল ভেদ করেও ঘিনঘিনে জিনিসটির অবস্থান বেশ ভালোই বুঝতে পারি। আরও বুঝতে পারি হড়কে যাচ্ছি আমি। মনে হয়, প্রথম বাজিটি জিতে গেলাম। ইচ্ছে করে যখন পা ফেলিনি, জিত তো আমারই হলো, নাকি?

ভাবতে ভাবতেই আমার ডান পা-টি কফে পিছলে যেনো যাদুবলে বাতাসে উড়ে যায়। ছোট্ট বলের মতো পাশের বেঞ্চে ছিটকে পড়ি আমি। সিমেন্টের শক্ত গাঁথুনিতে খট্‌ মাথা করে মাথা ঠুকে যায়। আর ঠুকে যাওয়া মাথায় পাকা ফলের মতো টুক করে খসে পড়ে আধ খাওয়া প্রানকোলার মোচাড়ানো বোতলটি।

হেহ! আর আমি কিনা ভাবছিলাম আজ দিনটি কুফা!

© অমিত আহমেদ

দ্বিতীয় প্রকাশ: ই-গল্পগ্রন্থ, "ফেলে আসা গল্প যতো", সীমাহীন সংলাপ, ২০০৯

ব্যবহৃত ছবি: Salvador Dali-র আঁকা The Persistence of Memory (1931)


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার!

মূলত পাঠক এর ছবি

নিটোল সুন্দর গল্প, পড়ে ভালো লাগলো।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি দারুন! খুব ভাল লাগল চলুক
অবশ্য এই বাজির জিনিসটা আমিও করি যেমন কোন লিফ্টটা আসবে নেক্সট বা কোন ট্রেনটা আসবে, কিন্তু হারজিতের কোনও পুরষ্কার বা লস কখনও ঠিক করিনা। এমনি এমনি করা, জিতে গেলে খুব খুশি খুশি লাগে খাইছে স্টুপিড কিন্তু মজার একটা খেলা হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দারুণ লাগছে বস। দূর্দান্ত সাসপেন্স।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কীর্তিনাশা এর ছবি

গল্পটা তো জোশ হইছে !! হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দৃশা এর ছবি

উমদা হইছে । টুইস্টা ভালই।
-------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

আবু রেজা এর ছবি

চমত্কার!!!!!
অন্যরকম ভাবনা, অন্যরকম গল্প।
দারুণ! দারুণ!! দারুণ!!!

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ভাল্লাগছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অনিন্দিতা এর ছবি

অমিত, অনেকদিন পর আপনার গল্পের স্বাদ পেলাম।
ধন্যবাদ।

সবজান্তা এর ছবি
পলাশ দত্ত এর ছবি

।। গল্পের প্রথম লাইনটা পড়েই প্রিয় পোস্টে এ্যাড করলাম ।।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ফাটাফাটি হইছে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

রাদিয়া এর ছবি

গল্পের নামটা ভাল হয়েছে।
আর গল্পটাও দারুণ।

তানভীর এর ছবি

পড়ে ভালো লাগল। চমৎকার চলুক

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভালো লাগলো, অমিত হাসি

ঝরাপাতা এর ছবি

ড্যাবস . . .


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

অমিত আহমেদ এর ছবি

অনিকেত: ধন্যবাদ।
মূলত পাঠক: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুশফিকা মুমু: এটা আমার প্রিয় একটি খেলা। তবে আমিও সবসময় শর্ত রাখিনা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মুমু।
পরিবর্তনশীল: ধন্যবাদ। তোমার গল্প-টল্প দেখিনা যা অনেকদিন? ব্যস্ত বেশি?
কীর্তিনাশা: মন্তব্যও জোসিলা! ধন্যবাদ হাসি
দৃশা: অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
আবু রেজা: এভাবে প্রশংসা দিলে মাটিতে পা আর নামতেই চায় না হাসি ধন্যবাদ।
জ্বিনের বাদশা: জেনে উদ্বেলিত হলাম।
অনিন্দিতা: ধন্যবাদ অনিন্দিতা। ভালো আছেন তো?
সবজান্তা: থ্যাংকু ব্রো!
পলাশ দত্ত: নির্লজ্জকে লজ্জা দিতে আপনার এই একটি মন্তব্যই যথেষ্ঠ। ধন্যবাদ পলাশ।
দেবোত্তম দাশ: শুকরিয়া, মেহেরবান।
রাদিয়া: নাম শেষমেষ পছন্দ হলো তাহলে হাসি
তানভীর জেনে খুব ভালো লাগলো।
স্নিগ্ধা: আছেন কেমন স্নিদ্ধা? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঝরাপাতা: ড্যাবস স্কয়ার।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍বেশ ভালো লাগলো।
আমি নিজেই আশৈশব মনে মনে জুয়াড়ি হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তারেক এর ছবি

মজা লাগলো পড়ে। হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রায়হান আবীর এর ছবি

গতকাল রাতে অফ লাইনে পড়েছিলাম লেখাটা। অসাধারণ লাগলো।

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই সুন্দর গল্প। আমিও মনে মনে প্রায়ই নিজের সাথে বাজি ধরি! শেষে যে এরকম কিছু হবে তা কিছুটা আন্দাজ করেছিলাম কিন্তু তারপরও ভালো লাগা তাতে বিন্দুমাত্র কমেনি হাসি
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

অমিত আহমেদ এর ছবি

সংসারে এক সন্ন্যাসী: ধন্যবাদ সন্ন্যাসী'দা। আমারও ভাল্লাগে এই খেলা।
তারেক: ধন্যবাদ ব্রাদার।
রায়হান আবীর: প্রাপ্যের চেয়ে বেশি প্রশংসা। গ্রহনে আমার বন্দুমাত্র আপত্তি নাই অবশ্য।
অতন্দ্র প্রহরী: এটা ঠিক। দাগী পাঠকদের এই গল্পের শেষ সহজেই অনুমান করে ফেলার কথা।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পড়ছিলাম।

জীবন জুড়ে জুয়া, বন্ধু...।

একজন পাঠক এর ছবি

ভালো লিখেছেন।

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বহুবছর পরে এই সেদিন জুয়া খেললাম এবং ভালই জিতলাম। থ্রি কার্ড। তিনজন বাংলাদেশি, একজন পাকিস্তানি আর একজন নেপালিজ। তবে জুয়া খেলে জেতা টাকা দিয়ে পশ একটা খাবারের দোকানে ডিনারের বিল দিতে গিয়ে জেতা টাকা ছাড়াও নিজের বেশ কিছু টাকা নেমে গেলো। তবে আমি বাজী ধরাধরির মধ্যে নেই, আরাম পাই না।

আপনার লেখাটা কিন্তু খুবই ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাই। উত্তম জাঝা!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অমিত আহমেদ এর ছবি

বাহ! জুয়ার যে উত্তেজনা, তার আকর্ষণ অনেক সময় টাকার চেয়ে বেশি।
ধন্যবাদ।

তিথীডোর এর ছবি

দারুণ!
উত্তম জাঝা!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।