এক ক্ষত্রিয়ের পরাজয়

বর্ষা এর ছবি
লিখেছেন বর্ষা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৬/০৯/২০০৯ - ৪:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১)

নায়লা হুট করেই বিদেশ চলে এসেছে মাস্টার্স করতে। কানাডার ঘোর শীতের সময় নায়লার জন্য তাই বাসা ভাড়া পাওয়া যায়নি। একটা বাড়ি পাওয়া গেছে যেটা দিন পনের পর খালি হবে। ভাগ্যিস বুয়েটের এক সহপাঠী ছিলো এই ইউনিভার্সিটিতে। তার বদৌলতে বুয়েট-বাড়ি (যেখানে ৮টি বুয়েটের ছেলে থাকে) নামে খ্যাত এক বাড়ির লিভিংরুমে আশ্রয় মিলেছে। বিদেশে সাধারণত কয়েকজন ছাত্র একসাথে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারপর একেক রুম নিয়ে থাকে। এই বাড়ির প্রায় সবাই বুয়েটের ছাত্র বলে এই বাড়ির নাম বুয়েট-বাড়ি।

দেশে নায়লা এক গ্লাস পানিও মনে হয় না নিজে ঢেলে খেয়েছে। এখন এখানে এসে সিনিয়র ভাইদের এবং সহপাঠীর কাছ থেকে রান্নার প্রাথমিক ধারণা নিচ্ছে। তাকে একদিন ভাত রান্না শেখালো এক ভাইয়া। নায়লা বললো আজ রাতে সে সবার জন্য ভাত রাঁধবে। রাতে সবাই ক্ষুধার্ত পেটে খেতে এসেছে, দেখে নায়লা ২ রাইসকুকারে চাল আর পানি দিয়েছে ঠিকই কিন্তু রাইসকুকার সুইচ অন করতে ভুলে গেছে। সবচেয়ে সিনিয়র ভাইটি তখন নিয়ম জারি করলেন নায়লা আর রান্না ঘরে ঢুকতে পারবে না এবং তাকে নিজের বাড়িতেও রান্না করার দরকার নেই। নায়লার যেই পাখির মতো শরীর, সবার উচ্ছিষ্ট খাবার থেকে ওর খাবার হয়ে যাবে!!!

২)

ইউনিভার্সিটিতে এক মহিলা চাইনিজ শিক্ষক আছেন, অতিশয় বর্ণবাদী। সবাই তাকে ডাকে প্রফেসর ঝ্যাং বলে। চাকরী এখনো স্থায়ী হয়নি বলে মহিলা খুব ভয়ে ভয়ে থাকেন। এর ইংরেজী বোঝা দায়, ভালো পড়াতে পারেন না। কানাডিয়ানদের বেশী নম্বর দিয়ে দেন যেনো এরা তার খামতি নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য না করে। খুব দরকারী কোর্স বলে এটা নায়লার নিতেই হলো। টার্মপেপার করার সময় সদ্য চীন থেকে আসা এক মেয়েকে পার্টনার করে নিলো। ওই মেয়ে মোটামুটি কোনো ইংলিশ পারেনা। একদিন নায়লাকে অনেকক্ষণ ধরে একটা শব্দ বোঝাতে চাইছিলো। তার চাইনিজ-ইংলিশ ক্যালকুলেটর সাইজের ট্রান্সলেটর দিয়ে, ছবি এঁকে, অনেকক্ষণ ‘guess what?’ গেইম খেলে শেষপর্যন্ত নায়লা যখন বলতে পারলো শব্দটি 'sand', চাইনিজ মেয়েটির চোখে সে রীতিমতো দেবী হয়ে গেলো। নায়লার মাথায় আইডিয়া ভালো খেলে, কিন্তু সে অনেক অলস। চাইনিজ মেয়েটি আবার বেশ খাটতে পারে। এই বিপরীত গুণের সমন্বয়ে তারা দুজন মিলে বেশ ভালো একটা টার্ম পেপার লিখে ফেললো, যেটা প্রফেসর ঝ্যাং এক কনফারেন্সের জন্য পাঠিয়ে দিলো। যেহেতু মূল আইডিয়া নায়লার, তাই মূল লেখক হিসেবে ওর নাম গেলো। কনফারেন্স কমিটি বললো পেপারটা খুব ভাল হয়েছে তাই অমুক জার্নাল পেপারে ছাপাতে দেয়া যেতে পারে। জার্নাল পেপারে জমা দেবার সময় প্রফেসর ঝ্যাং টুক করে মূল লেখক হিসেবে নিজের নাম দিয়ে দিলো। নায়লা ইমেইলটি পেয়েই রেগেমেগে প্রফেসর ঝ্যাং এর রুমে গেলো।
- আমি জার্নাল পেপারে কেনো দু’নম্বর লেখক?
- কারণ জার্নাল পেপারের জন্য আমার বাড়তি খাটুনি গেছে।
- বটে!!! দু’টি পেপারের মাঝে তো কোনো পার্থক্য নেই— একদম একই রকম।
- তোমার নামে পেপার গেলে কেউ ছাপাবে না। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে মূল লেখক করতে হয়েছে।
- সেটা তুমি আগে দিয়েই দেখতে!!! আমি কোর্সেও এ্যাসাইনমেন্টগুলোতে সবার চেয়ে মোট ১৩ মার্ক বেশী পেয়েছিলাম, আমার টার্ম পেপার তুমি পাবলিশ করছো, তারপরো তুমি আমাকে ‘এ’ দিয়েছো আর ‘এ+’ দিয়েছো দুই গাধা কানাডিয়ানদের।
বিশাল তর্ক বেঁধে গেলো দুজনের মাঝে।
............
..............
..................
প্রফেসর ঝ্যাং একসময় বললেন, ‘তুমি বাংলাদেশ হতে এসেছো, গরীব একটি দেশ, তোমরা খাটতে থাকো। দেখবে তোমরাও একসময় চায়নার মতো জায়গায় চলে আসবে।’
একথার পর, চিৎকার চেঁচামেচিতে পুরো ডিপার্টমেন্টে জেনে গেলো নায়লা এবং প্রফেসর ঝ্যাং এর মাঝে সাপে-নেউলে সম্পর্ক বিদ্যমান।

৩)

ঠিক একবছর পর, নায়লা তখন নতুন ছেলেমেয়েদের বাসা ঠিক করে দিতে পারে। কোথায় মুড়ি ভালো পাওয়া যায়, সেই ব্যাপারে বুদ্ধি দিতে পারে। এমন কি পোলাউ হাঁড়ির নিচে না লাগার টেকনিকও মানুষকে শেখাতে পারে। ইউনিভার্সিটিতে তার প্রাণবন্ত হাসি দিয়ে আর সৎমানুষ হিসেবে বুড়ো জাঁদরেল প্রফেসরদের মন জয় করে নিয়েছে।

অনেক বাঙ্গালি বাংলাদেশে কাজ করা অবস্থায় কানাডার ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করে, পরে ইমিগ্র্যান্ট হয়ে পরিবারসহ এখানে এসে বিপদে পড়ে। কারণ এখানে কানাডিয়ান ডিগ্রী ছাড়া চাকরীতে তেমন কাউকে পাত্তা দেয়া হয়না। তখন ওনাদের বাধ্য হয়ে মাঝবুড়ো বয়সে আবার পড়াশুনায় ফেরত আসতে হয়। আধাসমাজতান্ত্রিক দেশ বিধায় পড়াশুনা করার ঋণ সরকার হতে পাওয়া যায়। মোটের উপর, খারাপ না ডিলটা। যেহেতু আমাদের দেশে ইংরেজীতে কথা বলাটা তেমন ভালো করে শেখানো হয়না এবং তারা অনেকদিন পড়াশুনা হতে বিচ্ছিন্ন, তাই তা্দের মাঝে বেশিরভাগই ঠিক সবার সাথে তাল মেলাতে পারেননা।

নায়লা একটা কোর্সে বাঙ্গালী এক মধ্যবয়স্ক লোককে দেখল। প্রথম এ্যাসাইনমেন্টে রীতিমতো ডাব্বা মেরেছেন। করুনাবশত গিয়ে, জিজ্ঞেস করলো সাহায্য লাগবে না কি? লোকটি পুরো আকাশের চাঁদ হাতে পেলো। কথাপ্রসঙ্গে জানা গেলো, ওনার নাম জামান এবং উনি এই কোর্স ছাড়াও প্রফেসর ঝ্যাং এর কোর্স নিয়েছেন। তাই কুলিয়ে উঠতে পারছেনা। ইংরেজী পারেননা দেখে জামান ভাইকে প্রফেসর ঝ্যাং এর অনেক কটু কথা শুনতে হয়। নায়লার পুরানো ক্ষোভ ফিরে এলো, দাঁত কিড়মিড় করে বললো, ‘তাই বুঝি!! আপনি আপনার এ্যাসাইনমেন্টগুলো আমাকে দেখাবেন, আমি আপনাকে সাহায্য করবো।’

ধীরে ধীরে খাতির বাড়লো। নায়লার বিষ্ময় বাড়লো শুনে যে উনি ঢাকায় মাস্টার্স করে ১০ বছর সরকারী চাকরী করেছেন। তারপরও কানাডায় চাকরী না পেয়ে এখানে আবার আন্ডারগ্রাজুয়েট করেছেন, এখন মাস্টার্স করছেন। এরমাঝে প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে কানাডায় কাজ করার লাইসেন্সটাও নিয়ে রেখেছেন।
ওনার বউ বাংলাদেশ মেডিক্যাল হতে এম,বি,বি,এস করে এসেছেন, কিন্তু এখানে শুধু হাউসওয়াইফ। ওনাদের নয় এবং ছয় বছরের দুই ছেলে আছে, বেশ সুখী পরিবার। নায়লাকে প্রায়ই ওনাদের বাসায় দাওয়াত দেন জামান ভাই। নায়লার সামনেই ভাবিকে আনস্মার্ট বলে খোঁটা দেন, ভাবীর দ্বারা এইখানের পড়াশুনা হবেনা বলে তার দাবী। নায়লা ভাবীর পক্ষ নেয়, ‘জামান ভাই, আপনিতো ঘরের কোনো কাজ করেন না। ভাবীতো একলা হাতে পুরো সংসার চালান। ভাবী কিভাবে পড়াশুনা আবার শুরু করবে?’ ভাইয়া ভুলে যান কানাডা আসার অর্থনৈতিক সাহায্য ভাবীর বড়োলোক বাবাই তাদের দিয়েছিলেন। এখন না হয় জামান ভাই কানাডিয়ান সিটিজেন হয়ে গেছেন, কিন্তু শ্বশুরআব্বার জোর না থাকলে, এইখানে আসা হয়ে উঠতো না তার। ভাবী কেনো যেনো সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেন। শান্ত নিরীহ একজন মানুষ। নায়লাকে সে দুঃখ করে বলে, ‘তোমার ভাই আসলে একটু স্মার্ট মানুষ পছন্দ করে- আমি সংসার সামলে আর নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার সময় পাইনা।‘

নায়লার নিজের কোর্সওয়ার্ক আর রিসার্চের কাজ করে রাতের আগে সময় করে উঠতে পারেনা। জামান ভাইয়ের এ্যাসাইনমেন্টগুলোতে লেখালেখির কাজ প্রচুর, তাই অনেক সময় লেগে যায়। নায়লার বাসা ইউনিভার্সিটির কাছে দেখে ওর বাসায়ই রাতে কাজ করা হবে ঠিক করা হলো। দেখা গেলো উইকএ্যান্ডেই বেশী কাজ করা হয়। হাউসমেইটরা পার্টি করছে, আর নায়লা ও জামান ভাই ওর ঘরে ঘাড় গুঁজে কম্পিউটারে কাজ করছে। নায়লার বাসায় ৪ জন থাকে-- ও বাদে থাকে হলো মার্ক, স্টিভ এবং সারাহ। মার্ক গ্রীক দেবতার মতো সুন্দর সমকামী ছেলে, স্টিভ ম্যানিটোবার খনিতে অনেকদিন কাজ করে টাকা জমিয়ে এখন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ আন্ডারগ্রাজুয়েট করতে এসেছে। সারাহ এক সুন্দরী যে তার ছেলেবন্ধুসহ থাকে। এবাসায় এসে প্রথম তিনদিনের মাথায় নায়লা সিদ্দিকা কবিরের রেসিপি বই পড়ে চটপটি বানাতে গেছে। শুকনা মরিচ গুঁড়ো ভাঁজতে গেছে সব দরজা জানালা বন্ধ এবং হিটিং চালুরত বাসায়। ফলশ্রুতিতে, নায়লাসহ বাকীরা কাশতে কাশতে বাসা থেকে বেরুতে হয়েছে মাইনাস পনের ডিগ্রী তাপমাত্রার মাঝেও। পুরো দেড় ঘন্টা বাসার সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো!!

সবাই মিলে একদিন লিভিং রুমে টিভি দেখছে। মার্ক বললো ওই যে মাঝবয়সী লোকটা আসে, ও কি তোমার ছেলেবন্ধু? নায়লা বললো, ‘না তো!!!’ মার্ক বললো, ‘তাহলে উইকএ্যান্ডে তোমরা এতো কি করো?’ নায়লা উত্তর দেয়, ‘আমি ওকে এ্যাসাইনমেন্ট করতে সাহায্য করি।’ স্টিভ কথা কেড়ে নেয়, ‘ মার্ক, নায়লার দ্বারা এটা সম্ভব!!! আমি ওর ভয়ে একটা কোর্স ড্রপ করেছি এবার।’ মার্কের জিজ্ঞাসু দৃষ্টির উত্তরে স্টিভ বললো সে অংক ভুলে গেছে দেখে, একটু নায়লার কাছে সাহায্য চেয়েছিলো। এরপর থেকে নায়লা স্টিভের টিভিতে আইসহকি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলো।’ নায়লা মুখ ঝামটা দেয়, ‘তুমি সারাক্ষণ টিভি দেখলে পড়াশুনা করবে কখন?’ স্টিভ ভয়ার্তভঙ্গী করে বলে, ‘আমিতো কোর্স ড্রপ করে দিয়েছি, এবারতো দেখতে দাও।’ মার্ক উচ্চস্বরে হেসে উঠে বলে, ‘কিডো (সম্মোধনসূচক আদরের শব্দ)!!! তুমি ছেলে হলে আমি ঠিক তোমাকে বিয়ে করতাম!!’ এবার নায়লা গম্ভীরকন্ঠে উত্তর দেয়, ‘তুমি তোমার স্বাদ পাল্টালেই এখনো আমাকে বিয়ে করতে পারো।’ এবার সবাই একসাথে হেসে উঠে।

৪)

সামার চলে আসায় সবাই বাসা ছেড়ে ছুটিতে নিজের নিজের প্রদেশে চলে যাচ্ছে । সামার পুরোটা বাসায় খালি নায়লা একা থাকবে। সারাহ সবার শেষে গেলো, জড়িয়ে ধরে বললো সে বিয়ে করলে নায়লা যেন অবশ্যই যায়। ঐদিকে জামান ভাইও ‘এ’ পেয়েছে প্রফেসর ঝ্যাং কোর্সটায়। নায়লা নিজের কোর্সেও বেশ ভালো করেছে। জামান ভাই ফোন করে বললেন, ‘একটু কাজ আছে বাসায় আসতে চান।’ নায়লা বললো, ‘আচ্ছা, আসেন।’ জামান ভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার বাসার সবাই কি চলে গেছে?’ নায়লা বললো, ‘হু।’ জামান ভাই বললেন, ‘চলে আসো আমাদের বাসায়। তোমার ভাবী খুশী হবেন।’ নায়লা রাজী হলোনা। জামান ভাই বললেন ঐদিন সন্ধ্যা সাতটায় আসবেন।

জামান ভাই বাসায় এসে ঘুরে ঘুরে খালি ঘর দেখছেন। নায়লা অস্থির হয়ে উসখুশ করছে, টিভিতে তার প্রিয় শো শুরু হলো বলে। জামান ভাইকে সে বললো, ‘ভাইয়া, কি কাজ বললেন না তো?’ একটা কড়িডোরের কোনায় দাঁড়িয়ে ছিলো দুজনে। হঠাৎ উনি নায়লাকে জড়িয়ে ধরে তার ঠোঁটে চুমু দেবার চেষ্টা করলেন। নায়লা কোনোমতে মুখ সরিয়ে জামান ভাইকে একটা লাথি দিয়ে ছুটে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। একদৌড়ে একি গলির আরেক বাসার জুনিয়র সোমনাথের দরজায় কড়া নাড়লো। রাতে পোলাও খাওয়াবে প্রতিশ্রুতিতে টেনে নায়লা ওকে নিজের বাসায় নিয়ে আসলো। সোমনাথের নজরে পড়েনি নায়লার পায়ে কোনো স্যান্ডেল নেই।

দুজনে এসে দেখে এখনো জামান ভাই বসে আছে। সোমনাথ না বুঝেই জামান ভাইয়ের সাথে গল্প করা শুরু করে দিলো। রাত একটার দিকে জামান ভাই রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যাবার পর সোমনাথকে নায়লা সব ঘটনা খুলে বললো। এক নির্বাচনের সময় চাঁদপুরের বাসিন্দা সোমনাথের বোনদের মুখে রং মেখে কালো করতে হয়েছিলো ওদের নিরাপত্তার জন্যই। সে মেয়েদের অসহায় অবস্থা বেশ ভালোমতোই জানে। সোমনাথ রাগে পুরো ফেটে পড়লো, ‘আপনি আগে বললেন না কেনো? এইসব লোকদের দরকার শক্ত মার।’ সোমনাথকে নায়লা বললো, ‘দাঁড়াও, আমি আইনিপথে যাবো। তুমি চিন্তা করোনা একদম।’ সোমনাথ ওকে অপরিচিত কাউকে দরজা না খোলার পরামর্শ দিয়ে চলে গেলো। ক্লান্ত নায়লা পায়ের রক্ত মুছে দেশে প্রেমিককে ফোন করে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করলো। তারপর ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট খুলে হিউম্যান রাইটসের অফিসের ঠিকানাটা নিলো।

পরেরদিন নায়লা হিউম্যান রাইটসের মহিলা অফিসারকে গিয়ে পুরো ঘটনা বর্ণনা করল। মহিলা সব শুনে প্রথমেই বললো, ‘পানি খাবে?’
নায়লা বললো, ‘হু।’
মহিলা পানি এনে দিয়ে বললো, ‘শোনো, আমি খেয়াল করে দেখেছি, তোমাদের উপমহাদেশের মেয়েরা এইসব বিষয়ে একদম মুখ খুলতে চায়না। তাই প্রথমে কিছু বলেনা। পরে যখন মুখ খোলে, সব প্রমান নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাপারটায় তোমার কিন্তু কোনো দোষ নেই। শরীরে কোনো আঘাত-টাঘাত থাকলে এখনি বলো।’
নায়লা তাকে আশ্বস্ত করলো তেমন কিছুই হয়নি। মহিলা বললেন, ‘আচ্ছা, তাহলে আমি সব লিখে নিচ্ছি। তুমি বলছো যে একজন সাক্ষী ঘটনার পর ঐ লোককে তোমার বাসায় দেখেছে?’ নায়লা সায় দিলো।
নায়লা জিজ্ঞেস করলো, ‘লোকটার কি শাস্তি হতে পারে?’ মহিলা লিখতে লিখতে জবাব দিলো, ‘ঐ লোকের ইউনিভার্সিটির ডিগ্রী ও প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু পুলিশ কেস হয়তো হবেনা।’
মহিলা লেখা শেষে বললেন, ‘নাও, সাইন করো নীচে।’ নায়লা জিজ্ঞেস করলো, ‘কেউ জানবে না তো এই ঘটনা?’ মহিলা ওর কাঁধে হাত রেখে বললেন, ‘এই ব্যাপারে তুমি নিশ্চিত থাকতে পারো। পুরো ব্যাপারটি বন্ধ ঘরে করা হয়। শুধু লোকটির পরিবার এবং তুমি থাকবে।’
নায়লা তাও ইতস্তত করে বললো, ‘আমি কাল এসে সাইন করি?’
মহিলা বললো, ‘অবশ্যই। যতখুশী সময় নাও, কিন্তু লোকটাকে ছেড়ে দিওনা। আজ তোমার সাথে এইকাজ করেছে, কাল আরেক মেয়ের সাথে করবে। আর আমার মনে হয় তোমার কাউন্সিলিং লাগবে। তোমাকে কিছু ঠিকানা দিচ্ছি। এরা বিনে পয়সায় এইসব সমস্যা সমাধানে কাউন্সিলিং করায়। এইসব ঘটনা মনে খারাপ ছাপ ফেলে যায়।’

নায়লা বাসায় এসে চুপ করে বসে থাকে। চিন্তা করে কেইস ফাইল করলে ফলাফল কি হবে? লোকটির ইউনিভার্সিটির ডিগ্রী বাতিল হবে। তাতে তার কিছু যায় আসেনা। এই লোকের ইংলিশের যে অবস্থা, কানাডায় অড-জব করেই খেতে হবে। এর ইউনিভার্সিটির ডিগ্রী তেমন কাজে লাগবেনা। আর অন্যপ্রদেশে স্থানান্তরিত হলেই নতুন করে সব শুরু করতে পারবে। ঘটনা জানার পর ভাবীর মনের অবস্থা কি হতে পারে অনুমান করার চিন্তা করলো। ভাবীর কাছে দু’টি পথ খোলা আছে – প্রথমত, উনি জামান ভাইকে ছেড়ে দিতে পারেন। ঢাকায় বড়লোক বাবার বাড়িতে ভালোই থাকবেন উনি কিন্তু সারাজীবন একা থাকতে হবে। জামান ভাই এখন কানাডিয়ান সিটিজেন। ঢাকা থেকে আরেকটি কমবয়সি মেয়েকে বিয়ে করে আনা তার জন্য বা হাতের খেল হবে। নায়লার ধারণা মতে, ভাবী দ্বিতীয় পথই বেছে নেবেন, তা হলো---কিছুই করবেন না। মেনে নেবেন সবকিছু। ভাববেন, তার নিজেরই কোনো খামতি আছে, তাই স্বামী অন্য মেয়ের দিকে হাত বাড়িয়েছে। উনি কোনো প্রতিবাদই করবেননা— বরং বাকী জীবন আরো কুঁকড়ে গিয়ে সংসারের ঘানি টানবেন।

সারাজীবন নায়লা নিজের যোগ্যতা দিয়ে যুদ্ধ করে সব কিছু অর্জন করেছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কম ঝামেলা পোহায়নি। তাই নিজেকে সে গর্ব করে ক্ষত্রিয় দাবী করে। এই মুহূর্তে নায়লা যতবারই ভাবীর নিরীহ চেহারা এবং নিস্পাপ বাচ্চা দু’টির চেহারা মনে করছে, ততোবারই দোটানায় পড়ে যাচ্ছে। এই সত্য প্রকাশে ভাবী এবং বাচ্চা দুটির অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। সংসারে কিছু সত্য অপ্রকাশিত থাকাই সবার জন্য মঙ্গলজনক।

পরাজয়ের নিঃশ্বাস বুকে চেপে নায়লা তার মুঠোফোনটা টেবিল থেকে তুলে নেয়।
*******************************************************
উৎসর্গঃ বাংলাদেশে সেইসব শিশু এবং কিশোরীদের উদ্দেশ্যে; যারা নিজেদের বাসায় নির্যাতিত হয়েও মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষত্যেও হবে। আবার পড়ুন, হিউম্যান রাইটসের মহিলা অফিসার ও নায়লার মাঝে কথোপকথনটি; বাংলাদেশে কবে নির্যাতিত মেয়েরা এই অধিকার পাবে?
এ সর্ম্পকিত লেখাঃ যৌন হয়রানি এবং ভিকটিমের পক্ষে আইন।


মন্তব্য

রানা [অতিথি] এর ছবি

বর্ষা, সুন্দর লাগলো গল্পটি । কিছু কিছু অংশ (যেমন মেয়েটির বাসা শেয়ারের ব্যাপারটি) সামান্য অবাস্তব মনে হয়েছে, তবে সম্ভাবনা কম হলেও এরকম হতেই পারে । (কানাডার কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, সেখানে প্রচুর বুয়েটি।)

আরো একটি ব্যাপার । তুমি লিখেছ, "একটা কড়িডোরের কোনায় দাঁড়িয়ে ছিলো দুজনে। হঠাত্ উনি নায়লাকে জড়িয়ে ধরে তার ঠোঁটে চুমু দেবার চেষ্টা করলেন। নায়লা কোনোমতে মুখ সরিয়ে জামান ভাইকে একটা লাথি দিয়ে ছুটে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।"

তুমি কি ঠিক জান এই ঘটনা যৌন হারানিতে পরবে কানাডিয়ান/আমেরিকান আইনের আওতায়? আমার মনে হয় আরও ডিটেইলস থাকতে হবে, যেমন নায়লা না বলেছে, তারপরও জামান চুমু দেবার চেষ্টা থামায়নি বা জামান আরও কিছু করার চেষ্টা করেছে, ইত্যাদি। এটা বলছি, কারণ হঠাত্ করে ঠোঁটে চুমু দিয়ে মনের ভালবাসার/দূর্বলতার কথা জানানো পশ্চিমা সংস্কৃতিতে প্রচলিত, অপরপক্ষ অনিচ্ছুক হলে না করে বা বাধা দেয় এবং সেটার সেখানেই ইতি হয়। শুধুই আইনি দৃষ্টিকোন থেকে বলছি, কারণ আমরা জানি বাংলাদেশি ছেলে জামানের জন্য এই অজুহাত প্রযোজ্য নয়, তার উপর সে বিবাহিত।

কানাডিয়ান/আমেরিকান আইনে যাই হোক, বাংলাদেশি আইনে এই ঘটনা যৌন হারানিতে পরবে বলেই জানি এবং তা আমাদের সংস্কৃতির সাথে সংগতিপূর্ণ।

বর্ষা এর ছবি

'কিছু কিছু অংশ (যেমন মেয়েটির বাসা শেয়ারের ব্যাপারটি) সামান্য অবাস্তব মনে হয়েছে, তবে সম্ভাবনা কম হলেও এরকম হতেই পারে ।'-সত্যি।
'তুমি কি ঠিক জান এই ঘটনা যৌন হারানিতে পরবে কানাডিয়ান/আমেরিকান আইনের আওতায়?' --- ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রাইটস এর আওতায় সত্যি।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

জি.এম.তানিম এর ছবি

সুন্দর গল্প বর্ষাপু। তবে শেষে ক্ষত্রিয়ের হেরে যাওয়াটা মেনে নিতে পারিনি। মিথ্যে স্বর্গের থেকে সত্য নরক ভালো কিনা সেটা নিয়ে নানা মত থাকতে পারে। একটা যায়গাতে একটু দুর্বল লেগেছে। রানা এর মন্তব্যের ৩য় প্যারা দ্রষ্টব্য।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

বর্ষা এর ছবি

ওই !! ক্যাটাগরিতে 'গল্প ' দিছি??? এটি একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে রচিত। সবাই গল্প পড়তেছে। পাদটিকাটার মুল্য ই নাই!!! রাত জেগে, কাজ বাদ দিয়া যেই কারণে লিখলাম , আপসুস ওই মেসেজ পৌছালো না!!! ব্যর্থ রে ব্যর্থ!!!
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

রণদীপম বসু এর ছবি

শেষপর্যন্ত আসলে বাঙালি আবেগের কাছেই হেরে গেছে নায়লা। এতে মেরিটস ও ডিমেরিটস দুটো আছে। একজন অসহায় ভাবীকে রক্ষার জন্য একটা অপরাধের সাজাকে ধামাচাপা দিলো। এতে সাময়িক বিরতি হলো, সমাধান হলো না। আসলে এইসব টানাপোরেন নিয়েই জীবন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বর্ষা এর ছবি

রণদীপম বসু, পুরো ব্যাপারটি খুব কনফিউজিং। 'আসলে এইসব টানাপোরেন নিয়েই জীবন।'---- একদম একমত।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগলো তবে আগেরটার মত মজা পেলাম না।

বর্ষা এর ছবি

এইটা মজা পাবার জন্য লেখা হয় নাই। ঝাঁকানি দেবার জন্য লেখা হইছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

এতোদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন বর্ষাপু ?
আরো কিছুদিন আগে আপনাকে এখানে পাওয়া গেলে কতো ভাল ভাল লেখা পড়তে পারতাম !!!
পড়তে পড়তে একদম লেখাটার ভেতরে ঢুঁকে গিয়েছিলাম।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

বর্ষা এর ছবি

ধন্যবাদ!! ওরে ম্ডুরা কই গেলেন সবাই!!! আমার পাদটিকায় লাল রঙ চাই।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

বর্ষা - আপনার কাছে 'একটি আকুল আবেদন' - কোনভাবে কি ঐ নায়লাকে ভার্জিনিয়ায় আসানো সম্ভব??? থাকা খাওয়া ফ্রি, খালি একটা কাজই করতে হবে - স্টীভকে যেমন কড়াস্য কড়া হাতে সাইজ করেছিলো, জনৈকা 'আদু খালা'কে সেরকম করতে হবে। প্লিজ, নায়লার কাছে এই প্রস্তাবটা একটু পেড়ে দেখবেন ......

এবার ফাজলামি বাদ দিয়ে লেখার ঘটনা নিয়ে দু'একটা কথা বলি। প্রথম ধাক্কায় নায়লা বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলো বুঝলাম, কিন্তু তারপর সোমনাথসহ ফিরে এসে কী কারণে সে এতোক্ষণ ধরে জামান নামের ঐ লোককে নিজের বাড়িতে সহ্য করলো? কেন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলো না?!

আইনি পথে এগুলে তার স্ত্রীও জানবেন, তাদের সাংসারিক শান্তি বিঘ্নিত হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি - ঠিকই। কিন্তু, তাই বলে লোকটার একদম কিচ্ছুই হবে না?! আর যদি কিছু নাও হয়, ব্যক্তিগত পর্যায়ে তো নায়লার কাছে মাফ চাইতে পারে? নায়লার উচিত ঐ লোককে ভালোমত শাসানি দেওয়া যে সে ইউনিভার্সিটি লিগাল কাউন্সেলরের কাছে গিয়েছিলো, এবং যে কোন সময়ে জামানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের কোন কিছু করলে তার পরিণাম কী হতে পারে সেটা ভালোমত মাথায় রাখে। শাসানির সাথে জামানের কিছু অপমানও প্রাপ্য অবশ্য।

নায়লার মতো একজন শিক্ষিত অর্থাৎ 'এক্সপোজড', লড়াকু, একা বিদেশে পড়াশোনা করতে আসা অর্থাৎ যথেষ্ট আত্মনির্ভরশিল এবং সাহসী মেয়েও যদি ব্যাপারটা (হলোই বা মায়া বা করুণাবশতঃ) একেবারেই ছেড়ে দেয়, অন্যান্য যেসব মেয়েরা নায়লার চাইতে কম প্রিভিলেজড অবস্থানে থাকে, তাদের জন্য কোন পরিবর্তনই তো আসবে না।

মন্তব্যটা 'উপদেশমূলক' এবং 'মাতব্বরিমার্কা' শোনাচ্ছে বুঝতে পারছি, আশা করছি কিছু মনে করবেন না হাসি

বর্ষা এর ছবি

আচ্ছা! তাহলে তো চলে আসতেই হয় দেখছি।

এই ঘটনাটা নিয়ে আমার নিজেরো একটু কনফিউসন আছে। কিন্তু কিছু করার নাই, গল্পটি একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা। আপনাদের কমেন্ট হতে মেয়েটির আসলে কি করা উচিত ছিলো বেরিয়ে আসবে। আর আমার লেখার উদ্দেশ্য শেষের পাদটিকা।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আর আমার লেখার উদ্দেশ্য শেষের পাদটিকা।

সেটা বোঝাই যাচ্ছিলো, কিন্তু আমার মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিলো 'জামানের অন্তত একটা কিছু শিক্ষা যদি হওয়ানো যেতো' - সেটা হাসি

গল্পটা যে সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা, সেটাও খুব স্পষ্ট। এমনকি মাঝে মাঝে বর্ষা এবং নায়লাকে গুলিয়ে ফেলার ঝুঁকিও থেকে যায় চোখ টিপি

বর্ষা এর ছবি

হি হি হি, আমি কিন্তু খালি বলেছি, সত্যি ঘটনা।
পাদটিকার লেখাটা পড়ে আমি খুব মুভড হয়েছিলাম। আমার অনেক পরিচিতের নিরব কান্না মনে পড়ে গেছিলো।
বাংলাদেশে যেকয়টা কেইসেই শাস্তি হয়েছে, মেয়েটির পরবর্তী মানসিক উন্নয়নের কথা না ভেবে মিডিয়ার, উকিলের লাফালাফি বেশী চোখে পড়েছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

তানবীরা এর ছবি

নায়লার মতো একজন শিক্ষিত অর্থাৎ 'এক্সপোজড', লড়াকু, একা বিদেশে পড়াশোনা করতে আসা অর্থাৎ যথেষ্ট আত্মনির্ভরশিল এবং সাহসী মেয়েও যদি ব্যাপারটা (হলোই বা মায়া বা করুণাবশতঃ) একেবারেই ছেড়ে দেয়, অন্যান্য যেসব মেয়েরা নায়লার চাইতে কম প্রিভিলেজড অবস্থানে থাকে, তাদের জন্য কোন পরিবর্তনই তো আসবে না।

সহমত।

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শিরোনামহীন [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। তবে কিছু নিতান্তই বাজে প্যাচাল পাড়তে চাই।

এটি কি নিছক গল্পই নাকি সত্য কোনোও ঘটনা?

ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যাই হোক না কেন চুমু খাওয়াটা (বা খেতে চাওয়াটা) cognizable offence এর মধ্যে পড়ে কি?

বর্ষা এর ছবি

আসলে আমার মূল উদ্দেশ্য গল্পের নীচের পাদটীকাটি। এইটি একটি অন্যায়ের মাঝে পড়ে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

রেনেট এর ছবি

ঘটনাটি সত্য না হলেই ভালো লাগতো বেশী
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

বর্ষা এর ছবি

ঃ(
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

দময়ন্তী এর ছবি

বিষয় ও তার উপস্থাপনা চমত্কার লাগল৷

জামানের কিছু একটা শাস্তি হওয়া খুব দরকার ছিল৷ এড়িয়ে যাওয়া নয়, রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন৷ ভাবী ও তাঁর বাচ্চাদুটোকে রাষ্ট্র (এক্ষেত্রে কানাডা) নিরাপত্তা ও সাহায্য দেবে না? তাঁর দু:খ পাওয়া তো মনে হয় শেষপর্যন্ত ঠ্যাকানো যাবে না, কারণ এই লোক গিয়ে আবার কাউকে খাবলাবার চেষ্টা করবে৷ আর ভেবে দেখুন বর্ষা, বাংলাদেশে আইন হলেও এরকমই অনেকে কিন্তু এগিয়ে গিয়ে অভিযোগ জানাতে ইচ্ছুক হবে না৷ ঠিক ঐ একই ক, খ কিম্বা গ'কে দু:খ না দেবার জন্য৷

না না জামানকে অন্তত বেশ কিছু লোকের সামনে কড়া করে ধমক তো দেওয়াই যেত৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বর্ষা এর ছবি

আমি নিজেও একমত। জামানের কিছু একটা শাস্তি হওয়া উচিত ছিলো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

স্পর্শ এর ছবি

ক্ষত্রিয়দের পরাজয় মানতে পারিনা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বর্ষা এর ছবি

আমিও !! আমিও!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখার ধরনটা খুব চমৎকার। এক টানে পড়ে ফেললাম।

ইয়ে, যদি কিছু মনে না করেন, পড়তে পড়তে আমিও কেন যেন নায়লার সাথে লেখিকাকে গুলায়া ফেলতেসিলাম ইয়ে, মানে...

এভাবে ছেড়ে না দিয়ে জামান লোকটাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পক্ষপাতী আমি। নইলে এমন ঘটনা সে যে আর ঘটাবে না, তার কী নিশ্চয়তা? এবং পরবর্তী শিকার যদি নায়লার মতো এতো বলিষ্ঠ মানসিকতার মেয়ে না হয়? তবে? চিন্তিত

আরো লিখুন।

বর্ষা এর ছবি

উমম, প্রতেক লেখকই তার আশেপাশের অভিজ্ঞতা থেকে মালমশলা সংগ্রহ করে লেখে। বুয়েটবাড়িটির সবাই আজ কে কোথায় ছিটিয়ে গেছে!! দু'জন এখনো আছি। মাঝে মাঝে স্মৃতিচারণ করি। বেশীর ভাগই খাবার সম্পর্কিত!!!
নায়লাকে আমার বলিষ্ঠ মানসিকতার মেয়ে বলে মনে হয়নি।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

প্রবাসিনী এর ছবি

আপু , ফাটাফাটি ধরণের লেখা হয়েছে! আরও লিখবেন।

আমার ডাক নামও কিন্তু বর্ষা।

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

বর্ষা এর ছবি

তাই নাকি, তাহলে বর্ষাকে ধন্যবাদ- বর্ষা।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো পাদটিকা- আপনি সেটা উল্লেখ করে দিয়েছেন...। তাই আর প্রশ্নগুলো করলাম না- সবাই মোটামুটি আগেই সেটা করে ফেলেছেন...।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

বর্ষা এর ছবি

হুম।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

এনকিদু এর ছবি

হেরে গিয়ে কি লাভ হল ? হেরেই যদি যাবে, তাহলে কষ্ট করে লেখককে দিয়ে আবার গল্প লিখিয়ে সটতা সচলায়তনে পোস্ট করারো কোন দরকার ছিল না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

বর্ষা এর ছবি

আমি আপনার মন্তব্য বুঝতে পারলাম না তাই উত্তর দিতে পারলাম না।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

এনকিদু এর ছবি

ক্ষত্রিয়ের হেরে যাওয়াটা আমার সহ্য হয়নি । তাই বেশি আবেগী মন্তব্য করে বসেছিলাম ।

গল্প সবসময় বাস্তবসম্মত না হলেও তো চলে । এর পর আরো দশটা বাস্তবসম্মত গল্প দিতে পারতেন, শুধু এই গল্পে ভিলেনকে একটা উচিৎ শিক্ষা দিয়ে দিতেন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বর্ষাপু, লেখা ভালো লাগলো, কিন্তু ক্ষত্রিয়দের পরাজয় মানতে চাইনা!

---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

বর্ষা এর ছবি

ধন্যবাদ দুষ্ট বালিকা। আমারো ভালো লাগে না।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

মূলত পাঠক এর ছবি

পড়ে খুব ভালো লাগলো লেখা হিসেবে, যদিও এই সব ঘটনা শুনতে কি আর ভালো লাগে। কিন্তু ঘটেও তো রোজ দিন, নানা জায়গায়।

আমি শাস্তি দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে আপনার অবস্থানটা শেয়ার করি, সব সময় কড়া হতে ইচ্ছে হলেও হওয়া যায় না, সামাজিক জীব হওয়ার এই অসুবিধাটুকু মেনে নিতেই হয়। যদিও বদ ব্যাটাকে কোনো ভাবে সাজা দেওয়া গেলে (তার বৌকে কষ্ট না দিয়ে) ভালো হতো, কিন্তু সে বোধ হয় হবার নয়।

আপনি লিখুন এমন 'গল্প' আরো, পড়ার জন্য বসে আছি আমরা।

বর্ষা এর ছবি

ধন্যবাদ, মূলত পাঠক।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

বর্ষা এর ছবি

আমি লেখক হিসেবে ব্যর্থ হয়েছি এটা বলা প্রয়োজন বলে মনে করছি। আমার বক্তব্য আমি পাঠকদের কাছে পৌছুতে ব্যর্থ হয়েছি।
রানা এবং শিরোনামহীন কে বলছি, জোর করে যেকোনো কিছু করাটাই অন্যায়। স্নিগ্ধা আপু ও অন্যান্যদের 'মেয়েটার কি করা উচিত ছিলো' তার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষন করছি। প্রথমেই মেয়েটির ৯১১ কে কল করা উচিত ছিলো। নায়লা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

আসলে নায়লা বা জামান কেউই এই লেখার মূল কেন্দ্রবিন্দু নয়। পাদটীকার 'যৌন হয়রানি এবং ভিকটিমের পক্ষে আইন' লেখাটা পড়ে আমি পুরোপুরি সহমত পোষন করেছি। দেশে নির্যাতিত মেয়েদের জন্য আইন তেমন কড়া নয়। বেশিরভাগ মেয়েই প্রতিবাদ করেনা। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলে মিডিয়া, উকিলেরা মেয়েটির প্রাইভেসির দিকটি তেমন নজর দেয়না। নইলে আত্মহত্যা করেই তো অনেকে জ্বালা জুড়ায়।আর এতোদিন গেছে, এই ব্যাপারটি বেশ অবহেলিত এবং উপেক্ষিত। আমরা মনে হয় মেনেই নিয়েছি, এরকম হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আমার লেখার ১, ২, ৩ অংশটি দিয়ে আমি যথাসম্ভব তরল রাখার চেষ্টা করেছি ( লেখিকার জীবনের সাথে এ ঘটনাগুলোর মিল পাওয়া স্বাভাবিক), শুধু বিষয়টির শুষ্কতার কমানোর জন্য।

আমার উদ্দেশ্য ছিলো, ৪ নং অংশটি দিয়ে আমাদের দেশের এবং এখানকার আইনি ব্যবস্থার পার্থক্যটা গল্পছলে তুলে ধরা এবং পাঠকদের একটু জোরে ঝাঁকুনি দেয়া। লেখক হিসেবে আমি নায়লার সাথে অনেক নিষ্ঠুরই হতে পারতাম ( ঘটনার আরো বাজে পরিনতি দেখিয়ে)। হয়তো তাহলে আমার বক্তব্য পাঠককের কাছে ঠিকমতো প্রকাশ পেতো।

নায়লা আসলে দেশের একটি সাধারণ মেয়ে। ওর কি করা উচিত ছিলো ব্যাপারটি নিয়ে মানুষ কি ভাবছে, সেটা জানার আমারো কৌতুহল ছিলো। মানে এই দোটানাটা... একটি সংসার নষ্ট করার অনুতাপ সারাজীবন বহন করা বনাম ন্যায়ের পক্ষে থাকা। জনগণের রায় কোনটির পক্ষ এ যাবে?
কিন্তু সেই সাথে আমি পাঠকদের কাছ হতে পাদটীকা সম্পর্কিত মন্তব্য আশা করছিলাম।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পড়ে ভাবলাম কিছুক্ষণ। নাহ্‌, ন্যায় ও সংসার নষ্ট করার আক্ষেপের মাঝে ব্যালেন্স করার কোনো উপায় খুঁজে পেলাম না। নায়লা সে সময় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটাই হয়তো ভালো হয়েছে, বা জামানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়াটাই হয়তোবা হতো সর্বোত্তম।

লেখার সর্বশেষ প্যারাতে যে লিঙ্ক দিয়েছেন, সেখানে পাণ্ডবদা একটা কথা বলেছেনঃ 'নতুন আইন বানানোর খুব একটা দরকার আছে বলে মনে হয় না। আইনের সীমার ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা আর আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকাটা জরুরী। ' কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?

নায়লার চরিত্র-চিত্রন যেভাবে হয়েছে, তাতে নায়লাকে 'সাধারন' মেয়ে হিসাবে মানতে পাঠককে বেগ পেতে হবে।

লিখে যান আরো। হাসি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

'লেখার সর্বশেষ প্যারাতে যে লিঙ্ক দিয়েছেন, সেখানে পাণ্ডবদা একটা কথা বলেছেনঃ 'নতুন আইন বানানোর খুব একটা দরকার আছে বলে মনে হয় না। আইনের সীমার ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা আর আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকাটা জরুরী। ' কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? '--সহমত

চশমাওয়ালি এর ছবি

পড়তে পড়তে আমিও নায়লার সাথে লেখিকাকে বার বার মিলিয়ে ফেলছিলাম।
নায়লা যেটা করেছে সেটা ঠিক ছিল কি না সেই প্রসংগে গেলাম না কারণ পরিস্থিতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। লেখা ভাল লেগেছে।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

'কারণ পরিস্থিতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। '----সহমত।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে, আর আমি নায়লার কাছে পিঠে থাকলে তাকে সাহায্য করতাম, আর কিছু করতে না পারলেও জামান ব্যাটাকে ভয় দেখিয়ে বা দৈনন্দিন জীবনের গতিতে খান কতক গতিরোধক বসিয়ে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

বুদ্ধিটা চরম ভালু লাগসে...। ধন্যবাদ সাইফ।

বর্ষা এর ছবি

বুদ্ধিটা চরম ভালু লাগসে...। ধন্যবাদ সাইফ।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

লেখিকার সঙ্গে নায়লার মিলামিল খোঁজাটা আমার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হইলো না। এইটা একটা ঘটনা। সেইটাই সত্যি। এরকম অহরহ ঘটতেছে। এই দেশেও।

এই দেশের বড় পত্রিকার একেবারে উপরের কাতারের (সম্পাদক পরবর্তী স্থানীয়) এক সাংবাদিকের বউ, যে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বড়পদে চাকরি করে, তার বস মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে হাজির হতো। তবু কিন্তু এই কথাও বাইরের কেউ জানে না। কোনো মায়া থেকে না। এরকম কিছু খারাপ লোক আছে দুনিয়ায়, এদের এসব ঠেকিয়েই বেড়ে উঠতে হবে নায়লাদের। এরকমটাই আমরা ভাবি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বর্ষা এর ছবি

নজরুল ভাই, বড়রা না হয় এইসব সালাম দিতে অল্প হইলেও পারে। পিচকাগুলার কথা চিন্তা করেন, কাউরে বলতেও পারেনা। কেউ কিছুই করতেছে না।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

বর্ষা এর ছবি

নজরুল ভাই, অ্যাডাল্টরা তো ব্যাপারটি কিছু হলেও সামাল দিতে পারে। কিন্তু দেশে শিশু, কিশোরীদের ক্ষেত্রে ওরা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা কি করবে...
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পাদটিকার লেখাটা আগেই পড়েছি, মন্তব্যও রেখেছি সেখানে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগল। এই ঘটনা শুধু কানাডায় না আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত ঘটে। ছাত্র জীবনে ঘটে নোট, রিপোর্ট করার নামে আর চাকুরি জীবনে ঘটে বসিং এর কারণে। এরা সুযোগ দিয়ে এবং নিয়ে অমানুষ হয়ে যায়। বর্বর আচরণ করে প্রিয় জনের সাথে।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

দলছুট।

বর্ষা এর ছবি

জি! আমি শুধু একটা ঘটনা উল্লেখ করলাম।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হায়, জীবন!

বর্ষা এর ছবি

শিমুল, সহমত।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লেখাটা অত্যন্ত সাবলীল। এজন্য প্রথমেই আপনার লেখনীশক্তির প্রশংসা করি।

তবে পাদটীকায় উল্লিখিত বিষয়বস্তুর উদাহরণ হিসেবে লেখাটা অতি মাত্রায় দুর্বল। কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করি।

১। ঘটনার নায়ক বা খলনায়ক সম্পর্কে নায়িকার অ্যাটিটিউডকে আমার কাছে তার নিজস্ব ব্যক্তিত্বের সমস্যা মনে হয়েছে। যেমন, জামান 'ডাব্বা' মেরেছে, জামানের ইংরেজির যে অবস্থা তার 'অড জব' করেই খেতে হবে, তাকে 'করুণা' করতে গিয়েছে ঘটনার নায়িকা। সহপাঠীকে পড়া দেখিয়ে দেয়াটাকে করুণা বলে তাচ্ছিল্যটা খুব চোখে পড়ে। দুনিয়া গিভ অ্যান্ড টেইক। বিদেশের মাটিতে স্বদেশীদের কাছ থেকে 'সাহায্য' যেহেতু নায়িকা নিজেও পেয়েছে, সেহেতু তার মাঝে এখনো কাউকে সহযোগিতা করা 'করুণা'র সমার্থক, এটা তার সম্পর্কে ভালো ধারণা দেয় না।

২। কানাডা সম্পর্কে আমার ধারণা কম। কিন্তু কানাডায় আন্ডারগ্রাড করা একজন ইংরেজি 'পারে না', এটা কেমন অবিশ্বাস্য মনে হয়। এরপরে প্রফেসর ঝ্যাং (Xiang/শিয়াং/শ্যাং?) এর প্রতি পূর্বের ক্ষোভ থেকেই মূলত সে জামানকে 'সাহায্য' করতে শুরু করে। এ পয়েন্টে এসে জিনিসটা কি করুণা, নাকি নায়িকার নিজস্ব ইগোর ব্যাপার, তার কিছুটা আভাস পাওয়া যায়।

৩। ভাবিকে আনস্মার্ট বলার সাথে তার বড়লোক বাবার টাকায় বিদেশে আসার সম্পর্ক কি তা পরিষ্কার নয়। নাকি শ্বশুরের টাকায় বিদেশে এলে বউয়ের সাথে একরকম আচরণ করতে হবে, আর নিজের বাপের টাকায় এলে অন্যরকম? খারাপ ব্যবহার যদি হয়ে থেকে, তাহলে সেটা দুইক্ষেত্রেই খারাপ।

৪। পায়ের রক্ত মোছার বিষয়টা বুঝতে পারলাম না। জামানকে লাথি দিয়ে কি পা কেটে গেছে, নাকি খালি পায়ে একবার বাইরে গিয়েই পায়ের দফারফা? সন্ধ্যা আটটা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত কাটা পায়ের যত্ন নেয়া হয় নি, এটাও অবিশ্বাস্য।

৫। জোর করে কিস করতে চাওয়া অবশ্যই খারাপ। কিন্তু তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ক্যানসেল করে দিবে!!! যেখানে পুলিশ কেসও হবে না, সেখানে ডিগ্রি ক্যানসেল? সেলুকাস কি কানাডায়ও আছে? হাসি

৬। এবারে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আসা যাক। একটা ছেলে ও একটা মেয়ে অনেকদিন একসাথে কাজ করার পরে যদি এদের অন্তত একজন অন্যের প্রতি শারিরীক বা মানসিকভাবে আকৃষ্ট হয় এবং সেটা প্রকাশের চেষ্টা করে, তাহলে সেটাকে কতোটা দোষের দৃষ্টিতে দেখা যায়, বা যৌন হয়রানিজাতীয় ট্যাগ লাগানো যায়, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পারফেক্ট কেসে কাউকে কিস করতে চাইলে তার পারমিশন নেয়ার দরকার হয়তো। তবে মানসিক ব্যাপারগুলো সবসময় পারমিশন নিয়ে হয় না। এক্ষেত্রে হতে পারে জামান নায়লার ব্যাপারে ভুল রিড করেছে। সে ভাবতে পারে, নায়লা এতে বাধা দিবে না, সে হয়তো সাহসী হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু গল্পে যেটা বলা আছে (আমার ধারণা, এখানে জামানের প্রতি কোনোরূপ সহমর্মিতা দেখানোর চেষ্টা করা হয় নাই। সো, তার ব্যবহার গল্পের চেয়ে খারাপ না।), তাতে জামানকে পুলসিরাতে দাঁড় করানোর পক্ষে স্ট্রং কোনো যুক্তি দেখি না। নায়লাকে যেরকম স্মার্ট মেয়ে হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, তাতে সে এরকম ঘনিষ্ঠ পরিচিত কারো এরকম আচরণকে সহজেই হ্যান্ডেল করতে পারার কথা। এরপরেও দীর্ঘ সময় জামানের সাথে বাহ্যিকভাবে হলেও স্বাভাবিক আচরণ করে যাওয়া থেকে এ ধারণা জন্মায় যে, জামানের ব্যবহার অতি উগ্র বা জোর করে কিছু করতে চাওয়ার মতো ছিলো না। সেরকম স্ট্রং কিছু হলে তাকে যেভাবেই হোক বাসা থেকে বের করে দেয়া হতো।

৭। শেষটায় এসে গল্পটার সবচেয়ে দুর্বল দিক প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনা থেকে যতোটা বুঝা যায়, লোকটাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ, তাকে ধরে রাখার মতো স্ট্রং কিছু পাওয়া যায় নি। যেখানে পুলিশ কেস হওয়ার সম্ভাবনাই নেই, সেখানে তাকে কতোটা বিপদে ফেলা সম্ভব, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আবেগ দিয়ে অনেক হাতিঘোড়া মারা যায়; কিন্তু শাস্তির জন্য চাই সুনির্দিষ্ট যুক্তি ও প্রমাণ। স্বামী অন্য একটা মেয়েকে কিস করার চেষ্টা করেছে, এর জন্যই তাকে ত্যাগ করার কাজটা যে তার স্ত্রী করবেন না, এটা ঘটনার নায়িকাও বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং নায়িকা যদি এরপরেও তার নামে মামলা করেন, বুঝাই যায়, লোকটার তাতে খুব একটা ক্ষতি হবে না। সুতরাং এটাকেই রণে ভঙ্গ দেয়ার কারণ হিসেবে সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত মনে হয়। এদিক দিয়ে দেখলে গল্পের শেষে এসে নায়িকার মহানুভবতা প্রকাশক অভিব্যক্তিকে একদম মেকি মনে হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

চলুক চলুক
ভাই আপনার ঠিকানাটা একটু দিয়েন - আমার নেক্সট লেখার প্রুফ-রিড আপনাকে দিয়ে আগে করিয়ে নেব দেঁতো হাসি

বন্যরানা এর ছবি

পুরা রিভিউয়ারের কমেন্টের মত লিখলেন- একেবারেই নিরাআবেগী। খুব ভাল লাগল।

বর্ষা এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই,
ধন্যবাদ। আমি আপনার ফিডব্যাকের আশা করেছিলাম। 'পাদটীকায় উল্লিখিত বিষয়বস্তুর উদাহরণ হিসেবে লেখাটা অতি মাত্রায় দুর্বল। '----আমি অতিশয় সহমত। পাদটীকার লেখাটা পড়ে আমার এই ঘটনার কথা মনে পড়েছে---- ক্যাটাগরিতে তাই গল্প হিসেবে আমি উল্লেখিত করিনি। এই লেখার প্রতিটা ঘটনা আমার শোনা বা নিজের অব্জারভেশন। কিন্তু আমি স্বীকার করছি লেখক হিসেবে আমি যখন ঈশ্বর, আমি আরেকটু রং চং মেখে ঘটনার গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে পারতাম। বিশেষত, অফেন্সটা অতো বেশী জোরালো মনে হয়নি পাঠকের কাছে।

তবে আপনার বিষয় গুলোর উত্তর দিচ্ছি।
১। মনে রাখতে হবে কখন সে এই জিনিস গুলো ভাবছে। আমাদের প্রতি কেউ খারাপ আচরন করলে কিন্তু আমরা তার দুর্বল দিকগুলোই মনে করার চেষ্টা করি। তখন হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায় আমাদের সবারই কম বেশী।
২। সাইন্সের সাবজেক্ট গুলোতে পার পেতে আমাদের অংকের জ্ঞানই যথেষ্ট। কিন্তু আমার দেখা অনেকেই কানাডায় আন্ডারগ্রাড করা ( একটু বয়স্ক যারা) কিন্তু গুছিয়ে ইংরেজীতে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেনা। টরেন্টোর অনেক আঙ্কেলরাই আসলে অলসতার জন্য চাকরী না করে সরকারী ভাতার উপর ঘরে বসে দিন কাটায়।
অবশ্যই প্রফেসর ঝ্যাং (zhang) এর প্রতি পূর্বের ক্ষোভ থেকেই মূলত সে জামানকে 'সাহায্য' করতে শুরু করে এবং তা নায়িকার নিজস্ব ইগোর ব্যাপার।
৩। ভাবিকে আনস্মার্ট বলার সাথে তার বড়লোক বাবার টাকায় বিদেশে আসার সম্পর্ক নেই---- অবশ্যই দুইই খারাপ। কিন্তু লোক্টি কানাডায় এসে নিজেকে হিরো ভাবা শুরু করেছে তো.....তাই কথাটি এসেছে। দেশে সরকারী চাকরী করে , জেলায় জেলায় ঘুরলে নিশ্চয় ভাবীর সাথে কানাডিয়ান মেয়েদের তুলনা করতে পারতোনা!!!
৪। পা থেকে নিশ্চয় গলগল করে রক্ত বের হয়নি, খালি পায়ে বাইরে গিয়েই পায়ের দফারফা হয়েছে নিশ্চয়। রাস্তায় নুড়ি পাথরে পা অল্প কেটে যাওয়াটা রান্না করার সময় হাত কাটার মতো ব্যপার।
৫। গল্পে আনফিসিয়ালি এসেছে। কিন্তু আপনি যেকোনো ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন অপরাধ ভেদে সিন্ডিকেট তাই করতে পারে। এই ক্ষেত্রে লোক্টির কারেন্ট স্টুডেন্ট স্ট্যাটাস ক্যান্সেল হবে ।

৬। 'এক্ষেত্রে হতে পারে জামান নায়লার ব্যাপারে ভুল রিড করেছে। সে ভাবতে পারে, নায়লা এতে বাধা দিবে না, সে হয়তো সাহসী হয়ে উঠতে পারে। '-- কিন্তু সেজন্য পাত্রপাত্রির মাঝে যতটুকু তরল সম্পর্ক আগে থেকেই থাকা উচিত, তা তো ছিলো না।

'নায়লাকে যেরকম স্মার্ট মেয়ে হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, তাতে সে এরকম ঘনিষ্ঠ পরিচিত কারো এরকম আচরণকে সহজেই হ্যান্ডেল করতে পারার কথা। '-----------------আমরা সবাই স্টেরিও টাইপ করে ফেলি একেকজনকে। আসলে একটি ঘটনার সামনে কে কেমন আচরণ করবে তা বলা বেশ মুস্কিল। স্মার্ট মেয়ে হলেই যে ভ্যাবাচ্যাকা খাবে না তা কি ঠিক? আমার মতে নায়লার সোমনাথকে প্রথমেই বলা উচিত ছিলো। তা হলে একটা শক্ত মার খেতো।

৭। 'এদিক দিয়ে দেখলে গল্পের শেষে এসে নায়িকার মহানুভবতা প্রকাশক অভিব্যক্তিকে একদম মেকি মনে হয়।'---সহমত। আমি লেখার সময়ই বুঝতে পারছিলাম এই অংশটা বেশি নাটুকে হয়ে যাচ্ছে। এখানে নায়লা আসলে বর্ষা হয়ে গেছে। আমি চিন্তা করছিলাম আমি জামান ভাবী হলে কি করতাম বা নায়লা হলে কি করতাম।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

মূলত পাঠক এর ছবি

সহমত।

মণিকা রশিদ এর ছবি

বর্ষা, আপনার গল্পটা সুখপাঠ্য। আমার তাও দুই একটা কথা বলার ছিল। আমার বোঝার ভুলও হতে পারে...লোকটি যে নায়লাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে চাইলো, এটা কি আসলে অপরাধের মধ্যে পড়ে? গল্পে কিন্তু কোথাও আমার মনে হয়নি যে সে জোড় করে কিছু করেছে। যখন বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছে , সে থেমে গেছে। একটি সাধারণ সমস্যা আমাদের সমাজে কিন্তু রয়েছেই...মেয়েদের ওপেন আচরণের প্রায়শঃই ভুল অর্থ করে থাকে আমাদের দেশের ছেলেরা। যে মেয়ে খুব সাবলীল্ভাবে সবার সাথে মিশছে, আমার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি অনেকেই ভাবছে সে খুব সহজলভ্য...এটা আমাদের সমাজের পুরুষ মনোভাবের বেসিক ত্রুটি বলে অনেকবার আমার মনে হয়েছে। তাই বলছিলাম, লোকটিকে শাস্তি দেয়ার আগে হয়ত ভেবে দেখা যেতে পারত যে সে কোন ভুল মেসেজ পায়নি তো!
_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

বন্যরানা এর ছবি

সহমত

বর্ষা এর ছবি

মণিকা রশিদ, অতি মাত্রায় সহমত। আমার নিজেরও তাই মনে হয়েছে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার কাছে বিষয়টাই কিন্তু ক্ষত্রিয়ের পরাজয় কিংবা যৌন হয়রানি কোনোটাই মনে হয়নি

জামানের আচরণটা মনে হয়েছে দুর্বলতার অতি আবেগীয় কিংবা বেসামাল প্রকাশ আর নায়লারটা মনে হয়েছে বিচক্ষণতা

নারী পুরুষ যখন অন্য নারী পুরুষে দুর্বল হয় তখন কিন্তু বিবাহিত অবিবাহিত বাচ্চাকাচ্চা কিছুই মাথায় রেখে দুর্বল হয় না
এখানে জামানের নায়লার প্রতি দুর্বল হবার বিষয়টা ঘটেছে স্বাভাবিকভাবেই আস্তে আস্তে। একসাথে কাজ করতে করতে
আর প্রকাশটা ঘটেছে আকস্মিক

লেখাটা পড়ে কিন্তু কোথাও মনে হয় না যে জামান আগে কিংবা পরে নায়লাকে আর কোনোভাবে ডিস্টার্ব করেছে এবং এ কারণেই আমার কাছে বিষয়টা হয়রানির থেকে দুর্বলতার বেহিসাবি প্রকাশই মনে হচ্ছে বেশি

এবং এই জিনিসটা একবার ঘটলে বোধহয় তা অপরাধের পর্যায়ে ফেলার সুযোগ নেই

(লেখা থেকে একবারর বেশি কোনো ইনফরমেশন পাচ্ছি না আমি)

এটা স্বাভাবিক মানবিক দুর্বলতা
এটা এখানে জামানের ক্ষেত্রে ঘটেছে
অন্য কোথাও হয়তো নায়লার ক্ষেত্রেও ঘটতে পারতো

০২

নায়লার জামানের নামে অভিযোগ করতে যাবার ঘটনাটাও কিন্তু আকস্মিকতার প্রতিক্রিয়া রাগ এবং ক্ষোভ

আর শেষ পর্যন্ত অভিযোগ না করাটা কিন্তু বিবেচনা

হয়তো নায়লা শুধু জামানের বৌ বাচ্চার কথা ভেবেই অভিযোগ থেকে ক্ষান্ত হয়নি

বরং ক্ষান্ত হয়েছে পুরো পরিস্থিতিটাকে একবারের একটা দুর্ঘটনা কিংবা দুর্বলতার প্রকাশ ভেবেই...

০৩

কুরুর যুদ্ধে একশো ক্ষত্রিয় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে দুর্বল পাঁচ ক্ষত্রিয়ের কাছে
কারণ পাঁচ ক্ষত্রিয়ের সঙ্গে ছিল নিরস্ত্র এক ব্রাহ্মোণোত্তর ক্ষত্রিয় কৃষ্ণ

যুদ্ধ মানে শুধু নির্বোধ ঘটোৎকচের মতো হা হা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া নয় বরং প্রধান তীরন্দাজ অর্জুনকে টিকিয়ে রাখার জন্য কৃষ্ণের সময়মতো পিছিয়ে আসা কিংবা ঝিম মেরে বসে থাকাও বোঝায়

০৪

লেখাটা পড়ে আমার বরং নায়লাকে কৃষ্ণক্ষত্রিয়ই মনে হচ্ছে এখানে
যে সামনের জয়টা দেখতে পেয়ে মুল ৫ পাণ্ডবকে বাঁচাতে ৫ শিশু পাণ্ডবকে সঁপে দেয় অশ্বত্থামার তরবারির নিচে

বর্ষা এর ছবি

সহমত।
এখন আপনার লেখাটা পড়ছিলাম। আমার জ্ঞানগম্যি কম বিধায় পড়তে বেশ সময় লাগছে। বিশেষত মন্তব্য গুলো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পড়েছি। প্রায় সব দৃষ্টিকোণ থেকে মতামত এসেছে বলে আমার নতুন কিছু যুক্ত করার সুযোগ নেই। তোমার কাছ থেকে আরো চমৎকার সব গল্প আশা করছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বর্ষা এর ছবি

চেষ্টা করবো মুর্শেদ।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

s-s এর ছবি

বর্ষা, লেখার সাফল্য ব্যর্থতা জানিনা, কিন্তু দুনিয়া নানা কিসিমের জামান ভাইয়ে ভরপুর -এটা যে কত বড় সত্য তা জানি।

বর্ষা এর ছবি

s-s, এদের কেম্নে যে সাইজ করা যায়!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

ক্যাটেগরী: সমাজ বুঝলাম তবে "প্রৌঢ় (৩০ বছর বা তদুর্দ্ধ)" কেন বুঝলাম না! তাইলে তো আমার পড়া উচিত হয়নি ইয়ে, মানে...

বর্ষা এর ছবি

পুচকাগুলা কেন বাজে জিনিস পড়বে? আর চেপে যাও পড়েছো যে!!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।