বিগত চার শতাব্দী ধরে ঢাকা নগরীর অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নানা ধরনের বুনো প্রাণীর অস্তিত্বের জড়িয়ে আছে ওতপ্রোত ভাবে, যার মাঝে কিছু প্রাণী মানববিশ্বে ভয়াবহ বিপদজনক বলেই পরিচিত। যদিও কয়েক শত বছরে ক্রমবর্ধমান শহর তাকে ঘিরে থাকা বুনোজগতের অস্তিত্বকে কোণঠাসা করে ফেলেছে ক্রমাগত। বুড়িগঙ্গার তীরে অল্প কয়েকজন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে স্থাপিত ঢাকা নগরী সতের শতকেও বিশাল অরণ্যে পরিপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে শহর
ক্লাসের সবচেয়ে উচ্ছল, মেধা তালিকায় প্রথম সারির, নাচ-গান-বক্তৃতায় মঞ্চ কাঁপানো, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দুই হাতে ট্রফি বয়ে নিয়ে যাওয়া সহপাঠিনীর বিয়েতে বেশ আনন্দ হয়েছিল। জামাই ভাল চাকুরে, আলিশান বাড়ী-গাড়ীর মালিক। অনেকেই অবশ্য হৃদয়ে আঘাত পেয়েছিল বেচারির এমন অসময়চিত পারিবারিক সিদ্ধান্তের বিয়েতে।
কাছের বন্ধু হওয়ায় বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে জানতে পারলাম সে অন্তঃসত্ত্বা।
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী শব্দ তিনটির সাথে প্রথম পরিচয় ধোঁয়াটে শৈশবে, গ্রাম থেকে আগত এক চাচাতো বড় বোন আমার বাবার কাছে অস্ফুট স্বরে বলেছিল এই ক্রিমটি কিনে দিতে, এটা নিয়মিত গায়ে মাখলে নাকি চামড়া ফর্সা হয়।
উপকরণ অতি সামান্য।
আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের,পরে হাত,
সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙ্ক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে!
শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি।
এপ্রিল ২৮, ১৯৭১ পাটোয়ার বাগান লেন
আজ আমার জন্য খুব দুঃখের দিন। সৈয়দ মুজতবা আলী আমাকে তার ৫ নং পার্ল রোডের তেতলার ঘর থেকে বের করে দিলেন।