একেকটা দিন চলে যায় আর তার সাথে চলে যায় কিছু আলো, কিছু রঙ, কতগুলো চেনা-অচেনা অবয়ব। আমরা কখনও যেতে দেই, মনমরা হয়ে ভাবি – ধরে কি রাখতে পারতাম না একটু! আবার কখনও ধরেই রাখি, বেঁধে রাখি স্মৃতীতে! ঝাপসা হয়ে যাবার পরও তো তাই আমরা খুঁজে বেড়াই বার বার! এরকম হাজারো আলো আঁধারিতে মিশে যেতে থাকি, মিশিয়ে নিতে শিখে যাই নিজের স্বত্তাকে সময়ের সাথে সাথে।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হই, বুঝে উঠতে পারি না যে কেনো এই পাগলামী আমার ফটোগ্রাফি নিয়ে। আর মজার ব্যাপার হলো, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়, বহু আগে থেকেই আমি এরকম! আমাকে যারা ব্যাক্তিগত ভাবে চিনেন, তারা খুব ভালো করেই এটা জানেন! মনে পড়ে অনেক আগের কিছু ঘটনা, ৮৯ কি ৯০ সালের দিকে হবে। বাসায় যত অনুষ্ঠান হতো সেখানে অবধারীত ভাবে ক্যামেরাটা আমার গলায়ই ঝুলতো। অন্য কোনো দায়িত্ব নেবার কথা বললেই আমার হাজারো অজুহাত কিন্তু ছবি তুলতে হবে – এটা বলা হলেই আমার আর কোনো রা নেই। ছবি তুলতে যারা ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতো, তাদের চেয়েও বেশি ব্যস্ত থাকতাম আমি ছবি তোলায়! কি এক বিশাল কর্মযজ্ঞ করে যাচ্ছি – এমন একটা ভাব নিয়ে এলোমেলো ছুটোছুটি লাগিয়ে দিতাম। আমরা তিন ভাইবোন মিলে টিফিনের টাকা, বাজার থেকে ‘মেরে’ দেয়া টাকা জমিয়ে ফিল্ম কিনতাম। ফুজি আর কোডাক ফিল্ম গুলো তখন স্টুডিও গুলোতে খুবই সহজলভ্য ছিলো। ISO জিনিশটা তখনও বুঝতাম না, শুধু ISO 100 লেখা দেখে কিনতাম। কারণ কোন এক স্টুডিও থেকে জেনেছিলাম যে, এটা বেশি স্পিডের ফিল্ম! কিন্তু কেনো এর স্পিড বেশি বা সেই স্পিডটাই যে কি, তা জানতে চাইনি। এখনো বাসার ‘ফ্যামিলি ফটো এ্যলবাম’-এ সবার মাঝে আমার অনুপস্থিতি এটাই মনে করিয়ে দেয় যে, ফটোগ্রাফারটি আমিই ছিলাম।
ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার পথচলা বহুদিনের। দিন-মাস-বছরের হিসাবটা আর নাইবা করলাম। কারণ এই পথচলাটা ‘ধারাবাহিক’ নয়। মাঝে মাঝে কিছু ‘বিশাল’ বা ‘ছোট্ট’ বিরতী রয়েছে।
অফিসে বসেই শুনলাম খবরটি। তখনও লাঞ্চ করিনি। অনেকক্ষন 'হা' করে বসে থাকলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, ঠিক কি হলো বা কি হতে যাচ্ছে। অফিসের জামাতপ্রেমীদের মুখে ফিঁচেল হাসি, কেউ অবশ্য আমার সামনে পড়ছে না ভয়ে। আর লীগ-বিরোধীদের একরাশ উচ্ছাস নিয়ে জিজ্ঞাসা - ' স্যার, আপনি যে বলতেন জামাতের অনেক টাকা, আসলেই সত্যি। দেখলেন কেমন করে হাসিনাকেও কিনে নিলো!' এই বলে শুরু হলো তাদের ঘটনা ব্যাবচ্ছেদ। আমি কোনো কথা না বলে বোঝার চেষ্টা করছি, অনেকটা বোবার মতো - শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে। পুরোপুরি 'পাজলড' যাকে বলে, আমার অবস্থা সেই রকম!
বর্তমান সময়ের হটকেক হচ্ছে রাজনীতি। ফেসবুকে-ব্লগে সবাই বেশ সরব এ নিয়ে। আমি হলাম বোকা হদ্দ মানুষ, ওসব আমার মাথায় ঢুকে না। সক্কাল সক্কাল অফিস যাই, সারাদিন কামলা খাটি, এর ফাঁকে সময় পেলে ফেসবুকে ঢুঁ মেরে সবার স্ট্যাটাস পড়ি, ব্লগেও হানা দেই আর রাত করে অবসন্ন হয়ে বাড়ি ফিরে খেয়ে ঘুম।
কিছু না, কিচ্ছু না, শুধু এলোমেলো বিচ্ছিন্ন কিছু চিন্তাগুলোকে শব্দের প্রতিচ্ছবি দেয়ার চেষ্টা।
আসলেই কিছু না ...
আগের পর্বেই কইছিলাম যে সমস্ত পক-পকান্তিস শ্যাষ। এখন কাজ হাতে কলমে। এই পর্বে আপনাদের সামনে নায়িকারে ঘষা-মাজা দেওনের পয়লা স্টেপটা দেখামু। আমাদের হাতে আছে ক্যাম্রা, কম্পুতে আছে কতগুলা সফটওয়্যার আর মাথায় আছে ক্যাম্নে কইরা আলাদা আলাদা এক্সপোজারে Image Bracketing কর্তে হপে। এখন আমাদের জানা লাগবে এইসব Bracketed Image গুলারে ক্যাম্নে কইরা HDR ইমেজে মার্জ করা লাগে আর Tone Mapping কইরা ক্যাম্নে এইগুলারে মানুষ বানান যায়।
ডিসক্লেইমারঃ এই ব্লগে কুনু ছবি দেউয়া হয় নাইক্কা। এইটা একটা টিউটোরিয়াল সিরিজের পয়লা পর্ব। এইখানে আমরা HDR লয়া প্রি-প্রোসেসিং শিখুম। এর পর থিকা শুরু হইবো পোস্ট প্রসেসিং পর্বগুলান। HDR-এর ক্ষেত্রে শুধু পোস্ট প্রসেসিং-ই কিন্তু সব কিছুনা। প্রি-প্রোসেসিং এর সময় সব ঠিক মতো না হইলে কিন্তু ফাইনাল ছবিতে কুনু কারিশমা-কারিনা আইবো না। সুতরাং বাচ্চালোগ, HDR শিখতে চাইলে এখন থিকাই সব খিয়াল কইরা চলতে হইবো। তো, শুরু হো যা ... ...
আপনের কি ক্যাম্রা আছে, কছম কইরা ঈমানে কন, আপ্নের কি সত্যি সত্যিই ক্যাম্রা আছে? আপনে কি হেইটা দিয়া চিপা চিপি টিপা টিপি কইরা ছবি তুলেন?? তারপর কি আপনের ছবি গুলান হাইলাইটের ঠেলায় এক্কেলে চেগায়া থাকে আবার শ্যাডোর যন্ত্রনায় এক্কেলে ভাঁজ মাইরা থাকে??? আপ্নের ছবি গুলা দেখতে কি নিচের যেকুনু একটা বা দুইটার মতোই লাগে -
এইডাই হয়, হঠাৎ চাইট উডে আর চাট্টি-বাট্টি গুলগাল কইরা রওনা দিয়া দেই। মাইনষে কয় - তারা দেহি খালি গুপুনে যায়-আসে, কাউরে লগে নেয়না, কাউর লগে ইডা লয়া কুনু কতা কয়না, এক্কেরে লেপচা লুকজান !!! আমরা এমনই, সন্ধ্যায় কতা কইতে কইতে মনে হইলো ঢাকা থাকন যাইবো না, অন্য কুথাও ঘুইরা আসিগা।