নামটা নামতা

ক্রেসিডা এর ছবি
লিখেছেন ক্রেসিডা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৩/০৬/২০১২ - ১১:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নামটা নামতা
-----------------------

নামটা নামতা
-----------------------

"নামতা" নামটা কেমন নাম হিসেবে, সে নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। তথাপি, আশেপাশে আমাকে বা তার মাকে প্রায়শই দুইরকম কমেন্ট শুনতে হয়। প্রথমটা হচ্ছে - "ওয়াও! খুব আনকমন নেম তো!" । দ্বিতীয়টি হচ্ছে - "এইটা কি নাম রাখছেন এরকম একটা ফুটফুটে মেয়ের?" যা বলছিলাম, আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই এটা নিয়ে, যেহেতু নামটা আমার রাখা; শুধু তার মা দ্বিতীয় কমেন্ট শুনলে এদিক-ওদিক জিজ্ঞেস করে, "আচ্ছা নামটা নামটা কেমন বলতো?"। স্বভাবিক ভাবেই সে সব লোকের কাছে তার প্রশ্নগুলো যায়, যেখান থেকে তার অনুকূলে যাবে উত্তরটা! আমি মনে মনে হাসি; কারন যদি আমার ২য় সন্তন আসে এই পৃথিবীতে, তবে তার নাম ও আমি ঠিক করে রেখেছি, ছেলে হলে "দ্বিতীয়"; মেয়ে হলে "দ্বিতীয়া"। তখন তার হয়তো আরো বেশি প্রশ্ন করতে হবে তার অনুকূলে আরো বেশী উত্তর পেতে।

নামতা নামটি নিয়ে বা তার শুরু কিভাবে, সে সম্পর্কে কিছু বলি।প্রেম করলে যা হয়, নানা-রকম ছেলেমানুষী ও খামখেয়ালি ভরা স্বপ্ন থাকে; তার মধ্যে সবচেয়ে কমন স্বপ্ন হচ্ছে, ছেলে হলে কি নাম রাখবে আর মেয়ে হলে কি নাম রাখবে। এটা বোধহয় সব প্রেমের সম্পর্কের সময়টাতে খুব কমন একটা বিষয়। আমাদের পছন্দ করা নাম ছিল "নীল" ও "নীরা"। কিন্তু, নীরা হয়ে গেল নামতা! কিভাবে? আমি যেদিন নমাতা কবিতাটি লিখি, সেদিন কবিতা থেকে বরং এই "নামতা" শব্দটা আমার অসম্ভব পছন্দ হয়েছিল। আরো একটা ভাবনা ছিল, যে এই শব্দটার সাথে আমরা সবাই খু্ব ছোটবেলা থেকে পরিচিত। কিন্তু এটা নাম হিসেবে যে ব্যবহার হতে পারে সেটা হয়তো কারো মাথায় আসেনি। এরকম ভাবনার কারন হলো, এখনো এই নামে আমি কাউকে দেখিনি। সে যাই হোক, ঐ লেখাটা লেখার সময় শুধু শব্দটার সাথে নতুন করে প্রেম। তখনো আমি এটাকে কারো নাম হিসেবে ভাবিনি। কিন্তু, মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম যে, আমার প্রথম বইয়ের নাম হবে নামতা। নামতা যখন তার মায়ের গর্ভে, একদম শেষ দিকে, তখন আমার প্রথম বই প্রেসে। বইয়ের নাম নামতা ঠিক করে রাখা। তখন যখন নামতা এলো, আমার মনে হলো, নামটা ওরই হোক। বইয়ের নাম পাল্টে অন্যকিছু রাখি। নামতা নামটা এখান থেকে শুরু। অপ্রাসঙ্গিকভাবে আর একটা কথা উল্ল্যেখ করি, বাংলা টাইপ করতে যেয়ে, ই আর উ মাঝে মাঝে ওলটপালট হয়ে যায়। তাই যতবারই "বই" লিখতে যাই, হয়ে যায় "বউ"!!!!

এই লেখাটা আমি বাবা হিসেবে কেমন, বাবা হিসেবে কি কি করি সে ব্যাপারে যাবো না; বরং ১বছর ৮মাস এর নামতা আমার মেয়ে হিসেবে বাবার জন্যে কি কি করে, সেটাই বলি।

namta

নামতা আমার চিন্তা-ভাবনা হয়তো তার মায়ের গর্ভে থেকেই টের পেয়ে পৃথিবীতে এসেছে। আমি সবসময় চাইতাম আমার প্রথম সন্তান মেয়ে হোক, আর সে মেয়ে হোক অসম্ভব দুষ্ট। সব বাচ্চারাই হয়তো দুষ্ট, কিন্তু সে যেন সবকিছু ছাড়িয়ে গেছে। একটা উদাহরন দেই তার দুষ্টমির আর দস্যিপনার। তার যখন ১বছর ৬মাস বয়স, সেটা খুব একটা বেশী না বয়স হিসেবে। তার দাদা, মানে আমার বাবা প্রায়শই একটা এলুমিনিয়ামরে মই খুলে সেটা বেয়ে উঠে ফ্যান এর ময়লা পরিষ্কার করে বাসায়। সেরকম এক সকালে, তার দাদা ময়লা পরিষ্কার করে ময়লা বাথরুমে ফেলতে গেছে। হঠাৎ সেই রুমে তার দাদী ঢুকে দেখে, নামতা মই বেয়ে একদম উপরে উঠে নাচতেছে আর হাত উপরে করে গান গাচ্ছে - "না না না..না না না.. না না না.."। তার গান বলতে শুধু ওইটুকু ওই বয়সটায়। এখন অবশ্য সে দুটো গান পারে একটা লাইন করে -

"আমার সোনার বাংগাআআ (বাংলা)..ভালোবাসি
একদিন অনেক দূরে চলে যাবো.. (একদিন ছুটি হবে এর এই অংশটুকু পারে শুধু)"

আর একটা ছড়া:-

তাই তাই তাই
মামা বাড়ি যাই
দাদা বাড়ি যাই
নানা বাড়ি যাই
শশুর বাড়ি যাই
শশুর বাড়ি যাই.."

397824_217644881658510_100002390000827_463227_2096007853_n

এখন তার ১বছর ৮ মাস চলে। টুকটাক কথা শিখেছে। শিশুরা অসম্ভব অনুকরনপ্রিয় হয়। নামতার খেলার সাথী তার ফুপাতো বোন তাসবিহ! তার বয়স ২ বছর ৫মাস। সে আরো বেশী পাকনা। তাই স্বভাবতই নামতা অনেক কিছুতে তাকে ফলো করে। তার টুকটাক কথা বলতে শেখা ওই তাসবিহ থেকেই। এখন আসি তার বাবার প্রতি প্রীতি নিয়ে। আমার বাসায় আমাকে খুব একটা কেউ ধরতে পারেনা। তার দাদী, দাদা বা যেই হোক, কেই আমাকে ধরলে তার চোখে জল আর কান্না।আর সে বলবে, "আমার বাবাতাআআ"। কখনই সে আমাকে বাবা ডাকে না, বরং বাবাতাআআ ডাকে। শুধু আমাকে ধরা না, তার বাবার জামা, প্যান্ট, ঘড়ি, মোবাইল, বা বালিশ পর্যন্ত কেউ ধরতে পারে না। সে কেঁদে-কেটে ওগুলো কেড়ে নিয়ে আমার কাছে দিয়ে যায়। বা আমি বাসায় না থাকলে সে ওগুলো বুকের মাঝে ধরে রাখে। আর মুখ ফুলিয়ে ভাঙা ভাঙা শব্দে বলে "আন্না (দাদী) দুট্টট্ট.."।

408

আমার মনে আছে, ৩ কি ৪ মাস আগে, আমি মশারীর মাঝে বসে খেলছি মেয়ের সাথে। সে ঘুমায়নি, বা ঘুম থেকে জেগে গেছে। হঠাৎ তার নজরে পড়লো যে, একটা মশা তার বাবার গায়ে বসে কামড় দিচ্ছে। সে কি কান্ন তার। কাঁদতে কাঁদতে ঠোঁট ফুলিয়ে আর ছোট্ট আঙ্গুল তুলে সে মশাকে বল্লো -" দুট্টঅঅঅ"।আমি জানি না, সে কোথা থেকে শিখলো কাশি হলে পানি খেলে যায়। কিছুদিন ধরে অসম্ভব কাশি। আমি কাশলেই সে সাথে সাথে বলে.. " বাবাতা, মাম (পানি) থাও (খাও)"। অথবা সে দৌড়ে যেয়ে নিয়ে আসে। তার একটা ধারনা, তার বাবাতা শুধু টা খায়। তাই, আমার ক্ষিধে লাগলে, তাকে বল্লেই সে বলে, চা তাও..চা তাও..। প্রতিদিন বিকেলে আমি তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। সে এখন জানে আমি কোন টংএর দোকানে চা খাই।সে আমার সাথে যেয়ে দোকানে বলে, বাবাতাকে চা দাও!!

যদি সে কোথাও বেড়াতে যায় কিছুদিনের জন্যে তার মায়ের সাথেও, কোথাও মোবাইল পেলে সে আমাকে ফোন করে।(মানে ফোন কানে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা, ফোন তো নিজে এই বয়সে করতে পারার প্রশ্নই আসে না। তবে, যখন ফোন করে বাবাকে, তখন তার এক্সট্রিম প্রাইভেসি মেইনটেইন করে। আশেপাশে কেউ থাকলে সে নির্জন ও গোপন কোন স্থান বেছে নেয়। মাস ৪ কি ৫ আগে, একবার তার এক খেলনায় পায়ে লেগে অল্প একটু ব্যাথা পেয়েছিলাম। সেকি কান্না তার! একটু পর সেটা থেমে গেছে। ভেবেছিলাম ব্যাপারটা সেখানেই মিটে গেছে। কিন্তু না, তার পরবর্তী ১ মাস রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সে প্রথমে যায় খেলনাটার কাছে। যেয়ে দেয়ল ধরে পা উচিয়ে খেলনাটাকে লাথি আর মুখে বলে " বপ..বপ.(বপ মানে তার ধমক।)।

400995_217645191658479_100002390000827_463232_522023039_n

ঠিক একমাস আগে, আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মূহুর্ত।আমি ফ্রিল্যান্সার! তাই, রাতে কাজ করি, দিনে একটু বেলা করে উঠি। আবার বাসায় অনেকটা সময় আমার থাকা হয়। আমার মেয়েই আমাকে মোটামুটি সকাল ১০ থেকে ১১টার দিকে উঠিয়ে দেয়। আমার ঘুম ভাঙ্গে হয়তো বুকে চুমুর স্পর্শ পেয়ে বা গালে চুমু ও নামতার মুখের ঘ্রান নিয়ে। এটা মোটামুটি আমার প্রতিদিনের চেনা ছবি। সেই একমাস আগে, সে নতুন কথা হয়তো শিখেছে, আমি ঘুমিয়ে, আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তার প্রথম কথা .. "বাবাতা, ভালো আচো (আছো)?"!!!

আমি ভালো আছি মা!! আমি ভালো আছি!!

404390_217645554991776_100002390000827_463239_1726620410_n

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মডেল:

385


মন্তব্য

কালো কাক এর ছবি

নামটা খুব সুন্দর। নামতাকে আদর হাসি

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

একটা কথা বলে রাখি এখানে, এই লেখাটা ব্লগ হিসেবে ঠিক কিনা, বা আপনাদের বিরক্তের উদ্রেক করবে কিনা আমি জানি না; শুধু আমার মাথায় ছিল, একটা লেখা নামতার জন্যে থাকুক। কোন একদিন সে যদি খুঁজে পায়।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

কানিজ ফাতেমা এর ছবি

নামতাকে অনেক অনেক ভালবাসা দিচ্ছি।

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- সঠিক ডাকবক্সে পৌছে দেব।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

পাঠক এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। নামতা বড় হয়ে হয়ত একদিন এই লেখাটা পড়বে আর চিন্তা করবে তার বাবা কত ভালবাসে তাকে। নামতার জন্য শুভকামনা রইলো।

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অমি_বন্যা এর ছবি

অসাধারণ আবেগ মেশানো লেখা। প্রাণ জুড়ে গেলো নামতার ছবি দেখে। আসলে পুচকেদের পাকামো দেখতে খুব মজা লাগে যেন এটা কেবল এদেরই মানায়। পাকুনি নামতা অনেক পাকা পাকা কথা বলুক আর ভরে তুলুক আপনার সুন্দর সব স্মৃতির ভাণ্ডার । অনেক শুভকামনা আপনার পরিবারের জন্য। ভালো থাকবেন, ক্রেসিডা ।

ক্রেসিডা এর ছবি

এই সুইট, আদুরে পাকনামি গুলো যদি এভাবেই থাকতো!!! কোন এক সচলের একটা লাইন আজো মাথায় গেঁথে আছে, যে, এই সন্তান আজ যেভাবে ঘুমোচ্ছে, একদিন বুড়ি হয়েও ঘুমাবে। সেদিন আমি থাকবোনা! দেখতে পারবো না, ভাবতেই অসম্ভব কষ্ট লাগে!!

আপনিও ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সুমাদ্রী এর ছবি

মিষ্টি মেয়ে আপনার। তার জন্য অনেক আদর রইল। আশাকরি আপনারা ওকে মানুষ হিসেবে বড় করে তুলবেন।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

বন্দনা এর ছবি

আপনার মেয়েটার জন্য অনেক আদর রইলো ক্রেসিডা। বাচ্চাকাচ্চা আমার ভীষণ পছন্দ, আর আমার সাথে ও কেমন করে যেন অদের খাতির হয়ে যায়।আমার নিজের বোনের পিচ্চিটার বয়স তিন হতে চললো, এখন ও কথা বলতে পারেনা, ফোন করলেই ওর চেচামেচি শুনি, তাইতে কি যে ভালো লাগে।আপনার পিচ্চির আধো আধো বোল আপনার কাছে নিশ্চয় অসাধারন লাগে।

ক্রেসিডা এর ছবি

শিশুদের আধো বোল এর মতো শ্রুতিমধুর ব্যাপার এর সাথে অন্য কোন ভালো লাগা কমপেয়ারই চলে না।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সুজনেষু এর ছবি

নামতার বাবাটা তার কাব্যিক প্রতিভার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে,
স্নেহের, ভালোবাসার সবচে সুন্দর রং এর ছোঁয়ায়,
আবেগীয় ঢংয়ে, যে চিত্র কর্মটি এঁকেছেন,
তা দেখে যে শিল্পী এ ধরায় সম্পর্কের সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছেন
তিনি তাঁর কাজের সার্থকতায় আনন্দিত হবেন।।

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

নামতা ভাল থাকুক- অনেক ভাল... হাসি

কড়িকাঠুরে

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ধুসর জলছবি এর ছবি

আপনার মেয়েটা অনেক মিষ্টি। অনেক শুভকামনা রইল নামতার জন্য। হাসি

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

মর্ম এর ছবি

অন্যরকম নামখানি তার- নামতার জন্য আদর।
সবার দোয়া সঙ্গে থাকুক, থাকুক হয়ে চাদর!!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মেয়েটির জন্য স্নেহ রইলো__________
_____
"এসো এসো এসো আজ জয়ের বন্দরে,
হাত দুখানি দেখ মেলেছি ধরে,
প্রেম পুণ্য মায়া আর মমতায়,
একাকার রব ধরণী জুড়ে,
বিপ্লবী সুর অস্পষ্ট বর্ণ,
ভালবাসার আকুলতা,
থেমে থেমে জ্বলে"
__অভয়

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। দোয়া করবেন ওর জন্যে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

প্রার্থনা এর ছবি

বাবা দিবসের লিখা বলে মনে হচ্ছে. অদ্ভূত হয়েছে. বাবা তাকে ভীষণ ভালবাসেন. এবং বাসেন মাও. কিন্তু নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যাগুলোর ভিড়ে যেন এই ভালবাসা ঢাকা না পরে যায়. পরবর্তিতে ওকে যেন পুরোটা জীবন এই সমস্যাগুলো বয়ে বেড়াতে না হয় এই কামনাই রইলো. দোয়া করি, নামতা তার "আগামীকালের এবং একান্তই নিজের" জীবনটাকে ঠিক নিজের মত করে ডিফাইন করুক. কারো অধিকার নেই তাকে দেখিয়ে দেয়ার "তোর জীবনটা এরকম". তার বাবা-মারও নেই.

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

নামতার বাবা মায়ের জন্যে আরো অজস্র অসাধারণ ঘটনা অপেক্ষা করে আছে। শিশুরা বাবা মাকে এই পিচ্চিকালে সান্নিধ্যের যে দুর্লভ অমৃতের যোগান দেয় তার জন্যে ওদের ভবিষ্যতের সমস্ত অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া যেতে পারে।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ক্রেসিডা এর ছবি

রিটন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

নামতা নামটা আসলেই খুব অন্যরকম,আগে কখনো শুনিনি । দ্বিতীয় নামটাও সুন্দর।
আপনার লেখাটা আমাকে কিছুটা আবেগপ্রবন করে দিয়েছে, আমারও একটা ছোট্ট বোন আছে(খাচাত বোন আর কি, খালাত এবং চাচাতো একত্রে), ওর কথা মনে হল। এখন দেশের বাইরে আছি, অনেকদিন দেখিনা।
নামতার জন্য অনেক আদর আর ভালবাসা!

ক্রেসিডা এর ছবি

এই পুরনো লেখাটা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। অলমোষ্ট ৩ মাস নামতা থেকে বিচ্ছিন্ন আছি ( সে তার নানা বাড়ি, UK তে), ইদানিং বেশ পাকনা পাকনা কথা শিখেছে। সেদিন নাকি একটা ব্যাডমিন্টন এর ব্যাটা দুপায়ের মাঝে রেখে বলতেছে - " আমি হ্যাই পট্টা (হ্যারি পটার)" হিহিহিহি..

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।