ফাটল

ক্রেসিডা এর ছবি
লিখেছেন ক্রেসিডা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৮/০৯/২০১২ - ৯:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফাটল
-------------

"as the sky contained my garden,
I opened my door"

রোদ নেমে আসে; বিকেলের লিলির পাঁপড়িতে
বাতাস দোলে

ব্যালকনিতে বিয়ারের ক্যান,
ব্যালকনিতে রক্তের দাগ,

ক্যানের অগ্রভাগে ঢুকে যাওয়া আঙ্গুল টনটন করে ব্যাথায়

একটা মুখ ভাবি -

আমার শেভ করা গালে একটা হাত; গাল ঘসে ঘসে
চিবুকে এসে থামে

ক্যানভাসের বাড়িয়ে দেয়া হাতে ফুঁটে ওঠে মিলিত অবয়ব
স্তনের ভাঁজে তিল

তকতকে গাল ঘসে ঘসে আমাদের উষ্ণতা ভেদ করে
একটা সাপ বেরিয়ে আাস;

একবাটি দুধ নিয়ে আসি।

[English লাইন দুটি Allen Ginsberg এর Transcription of Organ music থেকে ব্যবহৃত]


মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

পড়ে বেশ মজা পেলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

কৈশোরে দুর্দান্ত এক কাব্য রচেছিলুম। রীতিমতো ক্লাসিক।

"চরণ চুমিয়া চলে চেনা চামেলি
কলতলে কাছাকাছি, কলাকাকলি!"

বন্ধুরা প্রায় এক সপ্তাহ কথা কয় নাই আমার লগে। নির্মল চরন দু'টি নাকি একে অশ্লীল, তার ওপর সংহতিহীন অশ্বডিম্ব বিশেষ। সেই থেকে ভেতরের জ্বলন্ত আগুনটি একেবারে নিভে গেলো।

---
খাইশুই

অমি_বন্যা এর ছবি

ভালো লেগেছে। অনেক দিন পর আপনার কবিতা পড়লাম। কেমন আছেন?

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আরো যত্নবান হোয়া উচিৎ, ভালো লাগে নাই।


_____________________
Give Her Freedom!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাদের। ব্যস্ততার কারনে আলাদা করে পোষ্ট না দিতে পারায় দুঃখিত।

অমি ভাই@ ভালো আছি, কিন্তু দৌড়ের উপর; ভালো থাকা হোক আপনার - হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সাত্যকি এর ছবি

পোস্টের শিরোনামের বানান ঠিক করেন।

ক্রেসিডা এর ছবি

ঠিক বানান কোনটা যদি বলে দিতেন ঠিক করে নিতাম;

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ফাঁটল = ফাটল

দেবেশ এর ছবি

ফাঁটল কী জিনিস? কবিতার শিরোনামেই বানান ভুল জ্বলজ্বল করে চেয়ে থাকলে চলবে?

অরফিয়াস এর ছবি

ইয়ে মানে কিছু বেয়াড়া প্রশ্ন উঁকি দিলো মনে, কি ফাঁটলো? মানে কিসের ফাঁটল? আর ফেঁটেই বা গেল কেন?

আর শেষ লাইনে একবাটি দুধের এহেন অপচয় কেন? এভাবেই দেশে খাঁটি দুধের অভাব !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

কেমন আছেন অরফিয়াস ভাই?

ফাঁটল টা সম্পর্কের। শেষ লাইনগুলোর আগে যে উষ্ণতার কথা বলা, তার মধ্যে থেকে যে শীতলতা বা সম্পকের টান ও পোড়ন , অবিশ্বাস, সেটা বিষাক্ত কিছু.. সাপ (রূপক অর্থে).. আর সেটাকে পুষে রাখা বা অভিনয় করে যাওয়া এইসব সম্পর্কের টা্ন ও পোড়নে.. সো.. একবাটি দুধ নিয়ে আসি .. বলতে আসলে তাকে পোষা

বাই দ্য ওয়ে, এখনো সাপ দুধ খায় নাই, সো অপচয় হয় নাই চোখ টিপি লাগবে?

ভালো থাকবেন হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সত্যপীর এর ছবি

আর ফেঁটেই বা গেল কেন?

হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

মেঘা এর ছবি

হা হা প গে

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ফাহিম হাসান এর ছবি

সাপ দুধ খায় - এই বিষয়টা স্রেফ মিথ। সাপ Reptilia এর অন্তর্গত - এদের পুষ্টির জন্য দুধের দরকার হয় না। আর খেলেই বা কিভাবে সে দুধ হজম করবে? কিছু সাপুড়ে নানা অনুষ্ঠানের বেশ আগে থেকে সাপদের ডিহাইড্রেটেড অবস্থায় রাখে - তারপর জোর করে দুধ খাওয়ায়।

এরকম একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে ভাবতেই খারাপ লাগে। জানি কবিতার ক্ষেত্রে অনেককিছুই রূপক ও শিথিলযোগ্য। কিন্তু মূল বিষয়টাই যদি ভুল হয় তাহলে সেই ভুলে ভরা রূপক/উপমা কিভাবে মনে অনুভূতির সঞ্চার করবে?

(একই কথা ইথার বিষয়েও প্রযোজ্য - জাফর ইকবালের এ নিয়ে একটা ছোট লেখা ছিল)

ক্রেসিডা এর ছবি

ফাহিম ভাই, "দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষি, সেটা থেকে সাপ টা আসে".. কিন্তু দুধটকেও তো রূপক অর্থে নেয়া যায় .. যেমন যে অবিশ্বাসটুকু তাকে ঢাকতে বা অভিনয় করতে আরো কিছু লোভনীয় মিথ্যে নিয়ে আসা হাসি বা এরকম কিছু।

ধন্যবাদ।

*সময়ের সল্পতার কারনে পরে কারো পোষ্ট এর জবাব দিতে না পারলে পরে এসে কখনো দিয়ে যাবো। অবসর পাচ্ছি না.. ১৬ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে!

ভালো থাকবেন সবাই।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

চরম উদাস এর ছবি

অবশ্যই দুধ খায়, দুধও খায় কলাও খায়। না খেলে মানুষে দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষে ক্যামনে? হজম হয়না বলে তরল দুধ না খেয়ে গুড়া দুধ খায়। কয়পাতা বিজ্ঞান পড়ে এইসব সত্য অস্বীকার করলে হবে?? কয়দিন পরে বলবেন সাপের মনিও একটা মিথ, বেদের মেয়ে জোসনা একটা মিথ ...

স্যাম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

বেদের মেয়ে জোসনা শেষ পর্যন্ত কি কথা দিয়ে কথা রাখছে কারো?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মেঘা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সাফি এর ছবি

আমি সাক্ষী দিতেছি জোৎস্না আপাকে আমি নিজ চক্ষে দেখ্ছি।

সত্যপীর এর ছবি

উনি কি টাইমলি আসছিলেন?

..................................................................
#Banshibir.

সাফি এর ছবি

জি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আপ্নে খুপ খ্রাপ!! শয়তানী হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

মেঘা এর ছবি

কবিতা পড়ে কিস্যুই বুঝতে পারি নাই দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ক্রেসিডা এর ছবি

বানান টা ঠিক করে দিলাম; ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেবা জন্যে।

আর যারা রিপ্লাই দিয়েছেন কষ্ট করে পড়ে, তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। হাসি

বি:দ্র: স্যাম ভাইকে নিয়মিত কমেন্ট করতে দেখে ভালো লাগলো, আগে শুধূ ব্যানারের নীচে দেখতাম নিকটা। আপনার কাজের একজন মুগ্ধ দর্শক আমি।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

মুস্তাফিজ এর ছবি

তারেকানু জীবনানন্দের কবিতার সাথে ছবি মেলায়, আর আমি মেলাই আপনার সাথে

১।

ব্যালকনিতে বিয়ারের ক্যান,
ব্যালকনিতে রক্তের দাগ,

2

২।

ক্যানের অগ্রভাগে ঢুকে যাওয়া আঙ্গুল টনটন করে ব্যাথায়

1

...........................
Every Picture Tells a Story

চরম উদাস এর ছবি

আমার শেভ করা গালে একটা হাত; গাল ঘসে ঘসে
চিবুকে এসে থামে

স্তনের ভাঁজে তিল

(মন দিয়া খুজলে তিল পাইবেন)

তকতকে গাল ঘসে ঘসে আমাদের উষ্ণতা ভেদ করে

একটা সাপ বেরিয়ে আাস;

একবাটি দুধ নিয়ে আসি।

সাফি এর ছবি

শেষের বিড়ালটাকি পুষি? না মেনি? নাকি হুলো?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

জুন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গুরু গুরু গুরু গুরু

আর পারলাম না। ভাবছিলাম কোবতে যখন বুঝি নাই তখন এইখানে মন্তব্য না করাই ভাল।।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তারানা_শব্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি =)) হাসি আটকাইটে পার্লাম না আর!! !!

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

দিগন্ত বাহার* এর ছবি

হো হো হো গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

মেঘা এর ছবি

হা হা ম গে ( হাসতে হাসতে মরেই গেলাম) গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অরফিয়াস এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই আর চৌ'দা, হাসতে হাসতে পাঠকের মৃত্যু হলে আপনারা দুজন দায়ী থাকবেন এই কইয়া গেলাম !! রেগে টং

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

চলুক

---------------------
আমার ফ্লিকার

স্যাম এর ছবি

চরম উদাস একটা অভিশাপ (মতিকন্ঠ) গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আপ্নে লুক্টা পুরাই অমানুষ!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুল্লি

---------------------
আমার ফ্লিকার

সুমন চৌধুরী এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

ওরে! মারা গেলাম!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ইফতি

বোকা মেঘ এর ছবি

ভাইরে, হাসতে হাসতে ধপ্পাস !!!
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

মানুষ এত্তো খ্রাপ!! গুল্লি

---------------------
আমার ফ্লিকার

ধুসর গোধূলি এর ছবি

একবার এক এয়ারপোর্টে আগত সুন্দরীরে তার মিনি সাইজের কুত্তারে নিজের তকতকে গালের সাথে যেই ঘষা দিছিলো, সেটা দেখে মনে তাৎক্ষণিক আক্ষেপ হৈছিলো, কুত্তার জনম সার্থক বলে!

এই কোবতেয় 'স্তনের ভাঁজে তিল'এর কথা পড়ে তাও যাও থাকা গেছিলো, কিন্তু 'এক বাটি দুধ' খাওয়ার কথা শুনে আর নিজেরে আটকায়া রাখতে পাল্লাম না। সাপ আমি যতোই অপছন্দ করি, এইবার সর্পজনমের উপরেও আমার হিংসা হওয়া শুরু কর্ছে! বিধাতা ক্যান আমারে শেভ করা গালের সর্পরাজ বানাইলো না! মন খারাপ

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
জুন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি শয়তানী হাসি

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

অরফিয়াস এর ছবি

তাও খাঁটি দুধ !! ওঁয়া ওঁয়া

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

হোহহোহোহোহোহোহোহোহ গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে চোখ টিপি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ক্রেসিডা এর ছবি

অনেকের ই দেখলাম একবাটি দুধ নিয়ে আসি লাইনটাতে চরম মজা পেয়েছেন. যদি এভাবে লেখা হতো -

ক্যানভাসের বাড়িয়ে দেয়া হাতে ফুঁটে ওঠে মিলিত অবয়ব
স্তনের ভাঁজে তিল

তকতকে গাল ঘসে ঘসে আমাদের উষ্ণতা ভেদ করে
আমাদের অবিশ্বাসটুকু ফুঁটে ওঠে;

আমি তাকেও প্রশ্রয় দেই / (বা) আমি তাকেও যত্ন করে লালন-পালন করি।

- তাহলে বোধহয় এত্তো গুগল করে ছবি পোষ্ট করা লাগতো না - কিন্তু ওভাবে সরাসরি না লিখে মেইন পোষ্ট এ যেভাবে লিখলাম, সেখানে কেন এত্তো আপত্তি সেটা আমার জানা নেই; হ্যাঁ, লেখা এখানে ২০ জন পড়লে ১৯ জনের খুব খারাপ লাগতেই পারে, সেটা যার যার ব্যাপার, কিন্তু সাপ ও দুধ সম্পর্কিত ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য অবাক করার মতো।

যাই হোক - আমি ওভাবে না লিখে যেভাবে লিখেছি সেভাবেই ভালো বোধ করি এখনো ;

জীবনানন্দ দাস এর "আকাশনীলা" কবিতার শেষের আগের দুটি লাইন

"তোমার হৃদয় আজ ঘাস" - দেঁতো হাসি কবে যেন যারা "কিভাবে ফেঁটে গেল" প্রশ্নে জর্জরিত, তাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে.. "ঘাস কে খাইলো?"

শুভকামনা সবাইকে। চোখ টিপি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সত্যপীর এর ছবি

জীবনানন্দ দাশ.

..................................................................
#Banshibir.

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ক্রেসিডা এর ছবি

চলুক ধন্যবাদ। নাম ভুল করাটা বড় একটা অপরাধ; তাড়াহুড়াজনিত কারনে হয়েছে, যদিও হওয়া মোটেও উচিৎ ছিল না।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তাসনীম এর ছবি

আকাশলীনা।

জীবনানন্দ পড়লেই চোখের সামনে বনলতা সেনকে দেখতে পাই, বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতও অচেনা থাকে না। হৃদয়ে নাড়া দিতে পারলে দুর্বোধ্য থাকে না আর কিছু। যে কোন ভালো কবিতা পড়লেই তা হয়।

আপনার কবিতা কি ব্যক্তিগত চৌহদ্দি পার হয়ে গিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছেছে? নিজেকেই প্রশ্ন করুন না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ক্রেসিডা এর ছবি

তাসনীম ভাই@ কবিতা কি ব্যক্তিগত চৌহদ্দি পার হয়ে গিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছেছে কি পৌঁছায় নাই, সেই কারনে ঐ লাইনটা টেনে আনা না, উদাহরন টা টেনে আনা প্রশ্নের কারনে, পাঠকের কাছে না পৌঁছানো মানে বলে দেয়া লেখা ভালো লাগে নাই, বা যদি সেটা নিয়ে কোন কথা বলারই থাকে, প্রশ্ন করার ই থাকে, সেটা সুন্দর ভাবে হোক। সেটাই তো কাম্য নাকি? লেখা পাঠকের কাছে পৌছায় নাই, বা ধরেন হয়তো বোঝাতে আমি একদমই ব্যর্থ, সেখানে আমি এখানে আছি, ব্যস্ত হলেও সময় করে একটু উত্তর দিতে তো পারবো, সেটা মনমতো হতে পারে.. নাও পারে।

উদাহরন দিলে যে বাজে একটা ব্যাপার প্রকাশ পায়, আমি বরাবাই সেটা ট্রাই করি এড়াতে, যে কেই সেভাবে ই প্রশ্ন করুক, চেষ্টা করি নিজের স্বল্প জানার গন্ডি নিয়ে উত্তর দিতে; কিন্তু এখানে প্রশ্ন গুলো কতোটা স্বাভাবিক? এবং প্রশ্ন করার পরও আমি কিন্তু উত্তর দিয়ে গেছি। সেই উত্তরের সূত্র ধরে ি আবার কোন প্রশ্ন এসেছে? অথবা উত্তর মনমতো না হলে সে আপত্তি ও? যা এসেছে, শুধু মাত্র দুর্দন্ত কিছু ব্লগার থেকে আজেবাজে কিছু মন্তব্য, বা আজেবাজে না বলে বলি - অপ্রাসঙ্গিক। চাইলে তো যে কোন লেখা নিয়েই প্যারোডি করা যায়। কদিন আগে মাহবুব ভাই এর "অওরতনামা" কবিতাটা পড়ছিলাম। অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা। যে প্রসঙ্গে টানা ব্যাপারটা (স্মৃতি থেকে বলছি, ভুল হতে পারে লাইন.. এরকম একটা লাইন ছিল মিনারের মতো স্তন.. / অথবা সেরকম কোন তুলনা ধরে স্তনের বহিঃপ্রকাশ), এখন যদি কেই সেই লাইন ধরে গুগল করে করে স্তনের বিভিন্ন আকৃতি পোষ্ট করা শুরু করে? আপনি এটা তো মানবেন, যে ধরেন "অওরতনামা" লেখাটা যত ভালো লেখাই হোক, ২০ জনের ১/২ জন তো থাকবে যাদের ভালো লাগে নাই। সব লেখার ই তো ভালো না লাগা কিছু পাঠক থাকে , আবার কিছূ লেখার ভালো না লাগা পাঠক বেশি থাকে.. যে যা হোক.. তো যে কজনের সেই লেখাটা ভালো লাগে নাই, বা বুঝতে পারে নাই.. তাদের কি গুগল করে ফটো পোষ্ট করে নিজেকে কমেডিয়ান বানানো জায়েজ হয়ে গলে?

ভালো না লাগলে সেটার প্রকাশও সুন্দর হোক.. কিছু না বুঝলে বুঝতে চাইবার প্রশ্নটাও স্বাভাবিক হোক, আহেতুক ত‌্যানা প্যাঁচানো না হোক,

("অওরতনামা" প্রসঙ্গ শুধু টেনে আনা উদাহরন টা দিতে, এজন্য দুঃথিত আন্তরিক ভাবে ও ক্ষমাপ্রার্থি যদি ঐ লেখার লেখক কিছু মনে করে থাকেন। )

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কৌতুহল থেকে জানতে চাইছি, আপনি যখন লেখেন তখন কি এটা বিশ্বাস করে লেখেন যে কবিতায় আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা পাঠক বুঝতে পারবে?

কলেজে পড়ার সময় লিটলম্যাগ বের করব। এক বন্ধু কবিতা লিখেছে। সেখানে একটা লাইন হচ্ছে, "মেয়েরা জরায়ু আক্রান্ত ছিল..."। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'জরায়ু আক্রান্ত' মানে কীরে? সে বলল, "এটা রূপক। মানে হচ্ছে মেয়ারা কামার্ত ছিল"। কলেজ জীবনে বালিকা মাত্রই আগ্রহের বিষয়। সেই বালিকা কামার্ত হলে তো আর কথাই নেই। দুম করে কবিতা প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়ে গেল।

আপনার কবিতা পড়ে সেই কথা মনে পড়ল। আপনি সম্ভবত পাঠককে বেশি বেশি প্রতিভাবান মনে করেন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ক্রেসিডা এর ছবি

অনার্য ভাই@ আমি যা বোঝাতে চেয়েছি, বা আমি যা লিখেছি সেটা পাঠক কতটুকু বুঝবে, বা কতটুকু গ্রহন করবে, সেটা তো লেখার আগে বা মন্তব্য দেখার আগে বোঝা সম্ভব না; এমনও না যে, ৫টা লেখা লিখলে সবকটা ভালো হবে, বা ৪টাই পাঠক গ্রহন করবে। সেখান থেকে হয়তো নিজের অজান্তে বা সচেতন ভাবে ধীরে ধীরে লেখায় পরিবর্তন আসে।

আবশ্যই সেটা ব্যবহার করি লেখায়, সেটার প্রতি আমার কিছুটা পক্ষপাতিত্ব থাকে, কিন্তু পাঠকের উপরও তো কিছুটা ছেড়ে
দেই। আমি শেষটায় লেখাখাটা কোন এঙ্গেলে লেখঅ যেত সহজ ভাবে তার উদাহরন দিয়েছি আমার মতো করে, কিন্তু সেভাবে না লিখে কেন এভাবে লেখা সেটাও বলা হয়েছে ওখানে। মূলতঃ সাপ বা দুধ তেমন কোন বড় ইস্যু না, কোন কোন সময় লেখা থেকে বড় ইস্যু হয়ে দাড়ায় লেখাটা কোন নিক থেকে এলো। উপরের সাপ, দুধ বিষয়ক আহেতুক পোষ্ট গুলো নিতান্তই ত্যানা প্যাঁচানো ছাড়া কিছুনা; যেমন, কেউ তার প্রশ্ন তুলতেই পারে, সেক্ষেত্রে "কবিতার নাম ফাটল কেন?" এরূপ প্রশ্ন কি যথেষ্ট না নাকি কেন ফাটল, কি ফাটলো.. যদিও তার উত্তর আমি দিয়েছি.. তার পরো আহেতুক ত্যানা প্যাচানোয় আমার আগ্রহ নেই।

একজন "স্তনের ভাঁজে তিল" নিয়েও কিছুটা ঈঙ্গিত দিল, যেন এরূপ কোন প্রকারের লাইন বা এরকম লাইনের ব্যবহার তার কাছে একদমই নতুন। ... মূলতঃ এইসব ত্যানা প্যাচানো কতটা যুক্তিসঙ্গত?

কোন রূপক ব্যবহার মানে এই না যে, সেটা তার নিজ স্থানে দাড়িয়ে গেল॥ পাঠকেকে আবশ্যই প্রতিভাবান ভাবি, তাবে এখানে যেরকম রিপ্লাই বা ত্যানা প্যাচানো দেখছি.. সেটা আশা করি পাঠকদের বোঝা উচিৎ তাদেরও একটা লাড়াম টেনে ধরা উচিৎ সম্মিলিত হুড়ো তে গা না ভাসিয়ে দিয়ে।

এনিওয়ে, এত্তো ব্যস্ত থাকি যে, ইদানিং সময় বের করা কঠিন একটু. পরে অনেকদিন সময় না পেলে এখানে মন্তব্য না করার , কোথা্ও কেউ বলে বসতে পারে পালিয়ে গেলাম.. তাই ব্যস্ততার কথা জানিয়ে রাখা।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কোন কোন সময় লেখা থেকে বড় ইস্যু হয়ে দাড়ায় লেখাটা কোন নিক থেকে এলো

সহসচলদের জন্য অভিযোগটা গুরুতর।
আপনাকে আপনার পুরনো লেখায় ফিরে যেতে অনুরোধ করি। সেখানে পাঠকের প্রশংসা রয়েছে বলেই মনে হয়। আমি নীড়পাতায় রোমেল চৌধুরীর কবিতা দেখলে খুশি হয়ে যাই। আপনার কবিতার ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখেছি তাঁকে। পাঠকের কি আপনার উপর ব্যক্তিগত ক্ষোভ রয়েছে নাকি?

আপনি কি এমন কিছু করেছেন যেজন্য পাঠক আপনার নামটাকেই অপছন্দ করে? "কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আমি করলে পাপ" ধরনের উদাহরণ দিতে দেখলাম আপনাকে! এই বিষয়টা যে হাস্যকর সেটা কাউকে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়!

পাঠকের যেকোন রকমের মন্তব্যের জন্য আপনি প্রস্তুত থাকেন বলে দাবী করেছিলেন বলে মনে পড়ে। নীতি এত দ্রুত টলে গেলে কী করে হবে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশালতা এর ছবি

সহসচলদের জন্য অভিযোগটা অবশ্যই গুরুতর এবং অসম্মানজনকও বটে। আপনার বক্তব্যের অর্থ দাঁড়ায় যে সচলেরা লেখার মান বিচারে বায়াসড। অথচ ভালো লেখার প্রশংসা করতে সচলদের কখনও পেছোতে দেখিনি। এখানে একেবারে অনামা লেখকের লেখা দুহাত খোলা তারিফে যেমন ভেসে যায় তেমনি বাজে লেখার কারণে প্রতিষ্ঠিত লেখকের গণ ধোলাইয়ের নজিরও কিন্তু বিরল নয়।

ভালো লাগা বা না লাগা যেটা, সেটা আসে লেখা থেকে। নিক ক্রেসিডার ওপর পাঠকের যদি বিরক্তি বা অপছন্দ থাকে সেটা সেই নিকের নিজের তৈরি। তাতে হয়ত পাঠ সংখ্যা কমে যেতে পারে কিন্তু সে ভালো লেখা লিখলেও সবাই তাতে শুধু নিকের কারণে খুঁত ধরতে আসবে এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এইরকম বক্তব্যের নিন্দা জানাই।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তিথীডোর এর ছবি

প্রিয় পোস্টে রাখুন-- অপশনটা কি নেই এখন? খাইছে
তাহলে ইচ্ছে হলেই পড়া যেতো আর কী। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখা পছন্দ না হলেও "বুলি" না করাই ভালো।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চলুক

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ অবশেষে কেই একজন বলার জন্যে।

when the behavior is habitual > বাকিটা না বলাই ভালো দেঁতো হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ধুসর জলছবি এর ছবি

লেখা পছন্দ না হলেও "বুলি" না করাই ভালো।

চলুক
কবিতাটার মাথামুণ্ড আমি কিছুই বুঝিনি। সেই সাথে নিচের মন্তব্য গুলোও। ক্রেসিডা এর অনেক কবিতা যেমন ভাল লেগেছে আবার অনেক গুলো লাগেওনি। অনেক কবিতায় সবাইকে দেখেছি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে আবার অনেক কবিতায় দেখেছি ভাল না লাগা জানাতে, আমি নিজেও কয়েকটাতে ভাল লাগা মন্দ লাগা জানিয়েছি। ভাল না লাগলে ভাল লাগেনি বলাটাই যথেষ্ট , সেই সাথে কেন ভাল লাগেনি সেটা বুঝিয়ে দেয়াটা উদারতা। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি উদার সেইসব পাঠকদের অনেক শ্রদ্ধা করি। এজন্যই সচলের পরিবেশ এত ভাল লাগে। কিন্তু এ লেখাটা দেখে কেন যেন ভয় হল, আমার নিজের লেখা নিয়ে আমার কনফিডেন্স একেবারেই কম, তাই কোন লেখা যদি খারাপ লিখে ফেলি আর এ ধরনের "বুলি" র মুখোমুখি হই , আজকে থেকে সেই আতংকে দিন কাটাব। মন খারাপ মন খারাপ

আবছায়া এর ছবি

বুলিতে ডরে না জলিল।। খাইছে

কল্যাণ এর ছবি

লেখা পছন্দ হয় নাই অফ যা

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে তবুও পড়ার জন্যে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তাপস শর্মা এর ছবি

দায়িত্ব নিয়েই বলছি আপনাকে এটা কি লিখেছেন আমি সত্যি বুঝিনি। এটা কবিতা? কবিতা দুর্বোধ্য হয় মানি। কিন্তু আমার মতো কবিতার সামান্য খবর রাখা ও জানা মানুষ কবিতায় খুঁজতে জানে ছুঁয়ে দেখা কোন কোলাজ। একটা ইমেজ দাড় করাতে চায়। আমি কিছুই খোঁজে পাইনি। মনে হয়েছে ডিক্সেনারি থেকে কিছু শব্দ লটকে দেওয়া হয়েছে। ব্যস ওটুকুই

০২

নারীর দেহের কোন বিশেষ জিনিষকে শব্দে বহন করলেই কবিতা হয়না। শিল্পী নগ্নকে নগ্নই বলবে কিন্তু তা হবে শৈল্পিক। আপনার কবিতায় এইগুলিও ঠোকরা ও ফসকে যাওয়া প্রলাপ মনে হয়েছে।

একটা কবিতা শেয়ার করি আপনার সাথে। ঐতিহাসিক এই কবিতাটি অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত এবং নিম্ন আদালতে দণ্ডিত হয়েছিল। কবিকে চোরের সাথে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। কবির নাম মলয় রায়চৌধুরী। বিংশ শতকের ৬০ এর দশকে সাহিত্যের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া হাংরি আন্দোলন বা হাংরিয়ালিস্ট মুভমেন্টের জনক। রাষ্ট্রযন্ত্র ও রক্ষণশীলদের কাছে এই কবিতাটি দুর্বোধ্যতা ও অশ্লীলতার চূড়ান্ত সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত। কিন্তু আমার কাছে তা শৈল্পিক মনে হয়েছে। একটা শব্দও কোথাও আরোপিত মনে হয়নি

কবিতা - ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’

ওঃ মরে যাব মরে যাব মরে যাব
আমার চামড়ার লহমা জ্বলে যাচ্ছে অকাট্য তুরুপে
আমি কী কোর্বো কোথায় যাব ওঃ কিছুই ভাল্লাগছে না
সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব শুভা
শুভা আমাকে তোমার তর্মুজ-আঙরাখার ভেতরে চলে যেতে দাও
চুর্মার অন্ধকারে জাফ্রান মশারির আলুলায়িত ছায়ায়
সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে
আর আমি পার্ছিনা, অজস্র কাঁচ ভেঙে যাচ্ছে কর্টেক্সে
আমি যানি শুভা, যোনি মেলে ধরো, শান্তি দাও
প্রতিটি শিরা অশ্রুস্রোত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে হৃদয়াভিগর্ভে
শাশ্বত অসুস্থতায় পচে যাচ্ছে মগজের সংক্রামক স্ফুলিঙ্গ
মা, তুমি আমায় কঙ্কালরূপে ভূমিষ্ঠ করলে না কেন ?
তাহলে আমি দুকোটি আলোকবর্ষ ঈশ্বরের পোঁদে চুমু খেতুম
কিন্তু কিছুই ভালো লাগে না আমার কিছুই ভালো লাগছে না
একাধিক চুমো খেলে আমার গা গুলোয়
ধর্ষণকালে নারীকে ভুলে গিয়ে শিল্পে ফিরে এসেছি কতদিন
কবিতার আদিত্যবর্ণা মুত্রাশয়ে
এসব কী হচ্ছে জানি না তবু বুকের মধ্যে ঘটে যাচ্ছে অহরহ
সব ভেঙে চুরমার করে দেব শালা
ছিন্নভিন্ন করে দেব তোমাদের পাঁজরাবদ্ধ উত্সব
শুভাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিয়ে যাব আমার ক্ষুধায়
দিতেই হবে শুভাকে
ওঃ মলয়
কোল্কাতাকে আর্দ্র ও পিচ্ছিল বরাঙ্গের মিছিল মনে হচ্ছে আজ
কিন্তু আমাকে নিয়ে কী কোর্বো বুঝতে পার্ছিনা
আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
আমাকে মৃত্যুর দিকে যেতে দাও একা
আমাকে ধর্ষণ ও মরে যাওয়া শিখে নিতে হয়নি
প্রস্রাবের পর শেষ ফোঁটা ঝাড়ার দায়িত্ব আমায় শিখতে হয়নি
অন্ধকারে শুভার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়া শিখতে হয়নি
শিখতে হয়নি নন্দিতার বুকের ওপর শুয়ে ফরাসি চামড়ার ব্যবহার
অথচ আমি চেয়েছিলুম আলেয়ার নতুন জবার মতো যোনির সুস্থতা
যোনিকেশরে কাঁচের টুকরোর মতো ঘামের সুস্থতা
আজ আমি মগজের শরণাপন্ন বিপর্যয়ের দিকে চলে এলুম
আমি বুঝতে পার্ছিনা কী জন্য আমি বেঁচে থাকতে চাইছি
আমার পূর্বপুরুষ লম্পট সাবর্ণ চৌধুরীদের কথা আমি ভাবছি
আমাকে নতুন ও ভিন্নতর কিছু কোর্তে হবে
শুভার স্তনের ত্বকের মতো বিছানায় শেষবার ঘুমোতে দাও আমাকে
জন্মমুহুর্তের তীব্রচ্ছটা সূর্যজখম মনে পড়ছে
আমি আমার নিজের মৃত্যু দেখে যেতে চাই
মলয় রায়চৌধুরীর প্রয়োজন পৃথিবীর ছিল না
তোমার তীব্র রূপালি য়ুটেরাসে ঘুমোতে দাও কিছুকাল শুভা
শান্তি দাও, শুভা শান্তি দাও
তোমার ঋতুস্রাবে ধুয়ে যেতে দাও আমার পাততাড়িত কঙ্কাল
আমাকে তোমার গর্ভে আমারি শুক্র থেক জন্ম নিতে দাও
আমার বাবা-মা অন্য হলেও কি আমি এরকম হতুম ?
সম্পূর্ণ ভিন্ন এক শুক্র থেকে মলয় ওর্ফে আমি হতে পার্তুম ?
আমার বাবার অন্য নারীর গর্ভে ঢুকেও কি মলয় হতুম ?
শুভা না থাকলে আমি কি পেশাদার ভালোলোক হতুম মৃত ভায়ের
ওঃ বলুক কেউ এসবের জবাবদিহি করুক
শুভা, ওঃ শুভা
তোমার সেলোফেন সতিচ্ছদের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীটা দেখতে দাও
পুনরায় সবুজ তোশকের উপর চলে এসো শুভা
যেমন ক্যাথোড রশ্মিকে তীক্ষ্ণধী চুম্বকের আঁচ মেরে তুলতে হয়
১৯৫৬ সালের সেই হেস্তনেস্তকারী চিঠি মনে পড়ছে
তখন ভাল্লুকের ছাল দিয়ে সাজানো হচ্ছিল তোমার ক্লিটোরিসের আশপাশ
পাঁজর নিকুচি-করা ঝুরি তখন তোমার স্তনে নামছে
হুঁশাহুঁশহীন গাফিলতির বর্ত্মে স্ফীত হয়ে উঠছে নির্বোধ আত্মীয়তা
আ আ আ আ আ আ আ আ আ আঃ
মরে যাব কিনা বুঝতে পার্ছিনা
তুল্কালাম হয়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরকার সমগ্র অসহায়তায়
সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যাব
শিল্পের জন্যে সক্কোলকে ভেঙে খান-খান করে দোব
কবিতার জন্য আত্মহত্যা ছাড়া স্বাভাবিকতা নেই
শুভা
আমাকে তোমরা ল্যাবিয়া ম্যাজোরার স্মরণাতীত অসংযমে প্রবেশ কোর্তে দাও
দুঃখহীন আয়াসের অসম্ভাব্যতায় যেতে দাও
বেসামাল হৃদয়বত্তার স্বর্ণসবুজে
কেন আমি হারিয়ে যাইনি আমার মায়ের যোনিবর্ত্মে
কেন আমি পিতার আত্মমৈথুনের পর তাঁ পেচেছাপে বয়ে যাইনি
কেন আমি রজঃস্রাবে মিশে যাইনি শ্লেষ্মায়
অথচ আমার নিচে চিত আধবোজা অবস্থায়
আরাম গ্রহণকারিনী শুভাকে দেখে ভীষণ কষ্ট হয়েছে আমার
এরকম অসহায় চেহারা ফুটিয়েও নারী বিশ্বাসঘাতিনী হয়
আজ মনে হয় নারী ও শিল্পের মতো বিশ্বাসঘাতিনী কিছু নেই
এখন আমার হিংস্র হৃৎপিণ্ড অসম্ভব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে
মাটি ফুঁড়ে জলের ঘূর্ণি আমার গলা ওব্দি উঠে আসছে
আমি মরে যাব
ওঃ এ সমস্ত কী ঘটছে আমার মধ্যে
আমি আমার হাত হাতের চেটো খুঁজে পাচ্ছি না
পায়জামার শুকিয়ে যাওয়া বীর্য থেকে ডানা মেলছে
৩০০০০০ শিশু উড়ে যাচ্ছে শুভার স্তনমণ্ডলীর দিকে
ঝাঁকে ঝাঁকে ছুঁচ ছুটে যাচ্ছে রক্ত থেকে কবিতায়
এখন আমার জেদি ঠ্যাঙের চোরাচালান সেঁদোতে চাইছে
হিপ্নোটিক শব্দরাজ্য থেকে ফাঁসানো মৃত্যুভেদী যৌন-পর্চুলায়
ঘরের প্রত্যেকটা দেয়ালে মার্মুখী আয়না লাগিয়ে আমি দেখছি
কয়েকটা ন্যাংটো মলয়কে ছেড়ে দিয়ে তার অপ্রতিষ্ঠ খেয়োখেয়ি

হাংরি বুলেটিন
১৯৬৪

০৩

সচলায়তনে কেউ কাউকে শুধু শুধু নিরাশ করেনা। আপনার এবিলিটি থাকলে সব্বাই আপনাকে কুর্ণিশ করবে। যেমন আপনার পূর্ববর্তী অনেক পোস্টেও করেছে। কিন্তু কবিতার নামে এইসব জিনিষ প্রসব করলে পাঠক মকিং করবেই। সেটা যতই দৃষ্টিকটু হোক না কেন, আর ভালো জিনিষের কদরও করবে অকৃপণভাবে

ক্রেসিডা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে; লেখা ভালো না মন্দ সে তর্ক না, কিন্তু লেখা দুর্বোধ্য হলেই যে সেটা গ্রহনযোগ্যতা হারাবে সেটা তো না!
ডিক্সেনারি থেকে কিছু শব্দ >> উপরের লেখায় এমন কোন শব্দ ব্যবহার হয় না যেটা খুঁজতে ডিক্সেনারি ঘাটতে হবে।

যাই হোক - লেখা দুর্বোধ্য হলে, কিছু প্রশ্ন আসে, সেই প্রশ্নটা বোধ হয় অরফিয়াস ভাই থেকে প্রথম এসেছে এখানে; আমি তার উত্তর ও দিয়েছি। উত্তর শুনে দুটো ব্যাপার হতে পারতো : ১. লেখার বক্তব্য বোঝা সহজ হতো.. ২. উত্তর মনমতো না হলে, সেখান থেকে আরো প্রশ্ন আসতো। ১ নং টা হয়নি ( উপরের কমেন্ট দেখে বোঝা যায়), তাহলে ২ নং? সেটার ধারে কাছে দিয়েও কেউ যায়নি। তার মানে কি দুর্বোধ্য হলে মকিং করবে? হাসি

লেখাটা ততো কঠিন ছিল না বোধহয়, বা কঠিন ছিল হয়তো, কিন্তু্ উপরের ২টা প্লেসে আমি কিছুটা দুর্বোধ্যতা খুলে দিয়েছি কেন ওভাবে লেখা হলো সেটা বলে- বোধহয় সেটা বিবেচ্য না, বরং কমেন্ট থেকে বা আপনার কথা মতে মকিং করাটা স্রোতের মতো চলে আসে।

যাই হোক- আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।