চাকুরী - ০৫

দেবোত্তম দাশ এর ছবি
লিখেছেন দেবোত্তম দাশ (তারিখ: শনি, ২২/১১/২০০৮ - ৭:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small
শক্ত শক্ত বিষয় খুব সহজ সরল ভাবে বোঝানোর অসাধারণ প্রক্রিয়াটি আমার জানা নেই বা এখনো করায়ত্ত হয় নি। এমন কেউ কেউ আছেন বা দেখেছি যারা অবলীলায় বলা ভালো হেলা-ফেলায় এই কাজটা করে থাকেন। সচলায়তনে এমন অনেকের লেখা দেখে আমার সামান্য ঈর্ষা হলেও, স্বীকার করতে এতটুকু বাধা নেই যে ইনারা নিশ্চয়ই উনাদের অধ্যাবসায় আর অসাধারন মেধার মনন ক্রমশঃই করে চলেন আর তাই বলেই উনাদের লেখা এত সাবলীল আর মনোমুগ্ধকর হয়। আমি তো শুধু কঠিনই নয় অনেক সময় সোজা-সাপটা লেখাও কঠিন, প্যাঁচালো করে তুলি। কোথায়ই বা শুরু করি আর কোথায়ই বা শেষ করি। কখনো এমনও মনে হয় বোধহয় ওটা আমার কম্মো নয়। ফাঁকি দেওয়া কথা আরকি! তবে এটাকে আমি নিজের অক্ষমতা বলেই মানি, মেনে নিই। তবু আপনারা যারা কৌতুহল নিয়ে আমার এই সিরিজটা পড়েন তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ। আরেকটা কথা না বললে অন্যায় হবে, জুলিয়ান ভাই (জুলিয়ান সিদ্দিকী) আমাকে প্রথম তার মন্তব্যে জানান লিখে যেতে হয়, শুধু লিখে যেতে হয়। আমিও তাই করি, লিখে যাচ্ছি ভালো-মন্দের প্রত্যাশা না রেখেই। পেটের খোরাকের সাথে মনের খোরাক বড়ই দরকারী।

আমাদের নতুন প্রজেক্ট শুরু হতে আর দেরী নেই তাই সেকেণ্ড রাউণ্ড ইণ্টারভিউ এর জন্যও আমরা আর দেরী করতে পারছি না।

এজেন্সীর সাথে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে এই সপ্তাহের প্রথমদিকেই সেকেণ্ড রাউণ্ডের প্রথম টেকনিক্যাল ইণ্টারভিউ রাখা হলো। বাছাইকৃত সবাইকেই তারিখ, দিনক্ষন এজেন্সীকে জানিয়ে দেওয়া হলো। এজেন্সী আগামী কালের মধ্যেই আমাদের ফাইনাল আপডেট করে দেবে বলে আশ্বাস দিল।

এই পর্য্যায়ে মোট আট জনকে বাছাই করা হয়েছে। আমার যতদূর অভিজ্ঞতা তার থেকে মনে হচ্ছে আবেদন পত্র আর প্রথম রাউণ্ড ইণ্টারভিউ এর পর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দুজনকে মোটামুটি ভাবে বাছাই করা হয়ে গেছে, আশা করা যাচ্ছে এরা দুজন এবং বাকীদের মধ্য থেকে আর একজনকে নেওয়া হলেই আমাদের হয়ে যাবে। কিন্তু আমি জানি যত সোজা ভাবা হচ্ছে ব্যাপারটা অত সোজা নয়। নাঃ এসব বকবক না করে বরং অপেক্ষা করাই ভালো। দেখা যাক না কি ভাবে কি হয় ?

এখানে একটু বলে রাখা ভালো, আমি আমাদের কোম্পানীর ভারতে বেশ কিছু প্রজেক্ট চলছে। প্রযুক্তির এই রমরমার দিনে, হালে এখানের প্রচুর কাজ ভারতে আউটসোর্স করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য উন্নত দেশের এই কোম্পানীগুলি উন্নয়নশীল এই দেশগুলিতে আউটসোর্স করে বিরাট মুনাফা লুটছে, তবে এতে উন্নয়নশীল এবং অন্যান্য যে দেশ গুলিতে আউটসোর্স করা হচ্ছে তাদেরও যে লাভ হচ্ছে না এটা বলা ঠিক হবে না। ওইসব দেশেরও মাথাপিছু আয় বেড়েছে তাছাড়া সেইসব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোর দিকে।

এখানে এত কিছু বলার মানে হচ্ছে এই যে, আমাদের কোম্পানী কিছুদিন হলো বেশ বড়োসড়ো একটা প্রজেক্ট পেয়েছে সেই প্রজেক্টটির নব্বই শতাংশ কাজই ভারত থেকে করানো হবে, আর বাকি যে দশ শতাংশ কাজ এখানে করা হবে তার প্রায় সাত শতাংশ কাজ ম্যানেজমেণ্টের আর বাকি তিন শতাংশ কাজ টেকনিক্যাল। নেটওয়ার্ক ডিজাইন আর কিছু সিকিওর্ড কাজ ছাড়া প্রায় সবই ভারত থেকে করানো হবে।

এখানে আরো একটা সুক্ষ ব্যাপার রয়ে গেছে, এই প্রজেক্টের জন্য আমাদের কিছু লোক চাই যারা বছরের কয়েক মাস এখানে থাকবে আর বাকি সময় ভারতে থাকা প্রজেক্ট টীমের সাথে থাকবে। আমরা এমন লোক খুঁজছি যাদের এদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে সেইসাথে ভারতেও কাজ করার অল্প হলেও অভিজ্ঞতা আছে। যদিও এরকম লোক পাওয়া একেবারে অসম্ভব নয় তবে সবকিছু একসাথে পাওয়া কিছুটা কঠিন বটে।

এই কাজের জন্য আমাদের প্রাথমিক অবস্থায় দুই থেকে তিন জন চাই। পরে প্রয়োজনে আরো নেওয়া হতে পারে আর এই কাজের জন্য আমাদের চাই কিছু “স্পেসিফিক স্কিল” আছে এমন লোক। মাইনের প্যাকেজটাও বেশ মোটাসোটা, বলে চলে অফার বেশ লুক্রেটিভ।

প্রজেক্ট আকারে বিশাল, আর চলবে কমপক্ষে তিন বছর থেকে পাঁচ বছর ধরে। এতেই শেষ নয় প্রজেক্ট ইম্পলিমেণ্ট হয়ে গেলে শুরু হবে নেটওয়ার্ক রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব, সেটাও কমপক্ষে আরো পাঁচ সাত বছর।

এখানে আমরা ধরে নিচ্ছি প্রজেক্টের নাম “প্রজেক্ট বিগ” ।

****************

দেরী না করে বিকেলেই এজেন্সী জানিয়ে দিল দ্বিতীয় দফার ইণ্টারভিউতে সবাই আসছে শুধু একজন ছাড়া।

আমি জানতাম সে কে, আমি নিশ্চিন্ত আপনারা সবাই বুঝে গেছেন সে কে।

এখন দেখা যাক সে কেন আসছে না? তা জানতে হলে আমাকে আবার অতীত নিয়ে নাড়া-চাড়া করতে হবে।

সেই সময়ের কথা, বলছি আমার প্রথম চাকুরীর কথা যেখানে নুতন নুতন সব কাজ সব শিখছি। প্রথম চাকুরী যেখানে হয়ে গেছে প্রায় বছর দুয়েক,

প্লান অনুযায়ী মাস ছয়েকের মধ্যে তিন তিনটে মেট্রোপলিটনে NOC সেটআপ করা হয়ে গেলো। কোলকাতারটা নিয়ে চারটা, তার সাথে সাথে চলতে লাগলো POP সেটআপ এর কাজ। আমাদের তিনজনের একটা গ্রুপের দায়িত্বে দক্ষিন ভারত পুরো ছিল, তা ছাড়া পরে পশ্চিম ভারতেও অনেক জায়গায় যেতে হয়েছিল।

কাজের সুত্রে প্রায় বছর খানেক ঘোরা হলো সারা দক্ষিন ভারত আর পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু শহর। আমি, নীল আর সুমন মিলে করে ফেললাম পুরো দক্ষিন ভারত জয়। থ্রী মাস্কেটিয়ার্স নামে আমাদের সুনাম ছড়িয়ে গেল কোম্পানীতে। তিনজনের মধ্যে বোঝাবুঝিও মারাত্মক। আমাদের তিনজনের গ্রুপকে ভয় পায় অনেকেই। ঘাঁটায় না বেশী একটা কেউ।

তিনজনের মধ্যে বয়েসে আমিই বড় তবে আমরা সবাই অবিবাহিত। কাজে সুমন একেবারে মেশিন সম, রাত নেই দিন নেই কাজেও ওর কোনো অনিহা নেই। নীল ভালো তবে সবকিছু শর্টকার্টে করতে চায়। উল্টোপাল্টা দুনম্বরী কাজ করতে ও সিদ্ধহস্ত। কোন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ থেকে Leased Line দরকার, কোথায় রাস্তা খোঁড়ার পারমিশন বের করতে হবে, তিন মাসের কাজ তিন দিনে করে ফেলবে।কোথায় কাকে ঘুষ কিভাবে দিতে হবে বা কে ঘুষ খায় না, কার সেণ্টুতে কি ভাবে আঘাত করতে হবে শালা নীল সবই জানে। তবে আমাদের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক বোঝাপড়া।

হই হই করে কেটে গেলো অনন্দের সময়গুলি, ততদিনে আমরা সবাই অবশ্য অনেক পরিনত হয়ে গেছি। কাজের অভিজ্ঞতা আর বয়স বাড়লেও ঈর্ষা আমাদের মধ্যে তখনও সেভাবে আসেনি। দীঘির জলের মতো স্বচ্ছ না হলেও মনে তখনো ঘুন ধরে নি। প্রফেশনাল হওয়ার পঙ্কিল সাপ তখনো মাথায় ঘোরাফেরা করতে শুরু করে নি, আসলে তখন আমাদের বাইরের বন্ধুর প্রয়োজন পড়ে নি। আমাদের যার যা যা দরকার পড়তো, অর্থাৎ নিজেদের সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশা নিজেদের মধ্যেই ভাগ করে নিতাম।

কিন্তু পৃথিবীতে কিছুই স্থির নয় আর এই ব্রহ্মাণ্ডে কিছুই অপরিবর্তনশীল নয়। আমার মাথায় আসে নি এটা। যখন এসেছে তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে।

****************

প্রথম দিকের কথা হলেও বেশ কয়েক বছর হয়ে হয়ে গেছে কাজের, কোম্পানীতে প্রথম দিকে কাজ শুরু করা অনেকেই বেশ গুছিয়ে বসেছে তাদের মধ্যে পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য্য, দ্বৈপায়ন ঘোষ, শ্যামাপ্রসাদ চ্যাটার্জি, বিপুল সাহা, নীলোৎপল চক্রবর্তী, সন্দীপ দাস আর আমি মিলে আমাদের অনেকেই এখনো টিকে আছি এখানে।

এর মধ্যে কোম্পানী অশ্বথ থেকে বটবৃক্ষে পরিনত হয়েছে, ডালপালা প্রচুর বেড়েছে। একটা সার্ভিস দিয়ে শুরু কোম্পানী শুরু হয়েছিল, এখন আরো হাজারটা বিভিন্ন রকম সার্ভিস দিতে শুরু করেছে। বড় বাবারা ( বিরাট উঁচু উঁচু পোষ্টে যারা কাজ করে)এতো বড়ো হয়েছে যে অফিসে শুধু আলাদা বসার ঘর বা শুধু অফিসেরই গাড়ী নয় আলাদা থাকা আর চড়ার জন্য বাড়ী-গাড়ী সবই দেওয়া হয়েছে। ঠাট বাট সবই বেড়েছে, কত যে নুতন মুখ এসেছে তার ইয়ত্তা নেই। রোজই প্রায় কেউ না কেউ জয়েন করছে। এদের অনেকের সাথেই কোনদিন পরিচয় হয়ে ওঠে নি।

কোম্পানীতে চা-কফি, লাঞ্চ, ডিনার সব ফ্রী, রোজ বেড়ে উঠছে কোম্পানী, আগে কোন এক পর্বে বলেছিলাম ক্রিস রেবেলো অতি ধুরন্দর মহিলা, এখন বলছি উনি শুধু ধুরন্দরই নন ভীষন রকমের দুরদৃষ্টি ছিল মহিলার। বিদেশের প্রজেক্ট পাবার জন্য ইউ এস, কানাডা, ইউরোপ ঘুরতে লাগলেন। মজার ব্যাপার হলো শুধু প্রজেক্ট নয় সাথে সাথে ইনভেষ্টারও খোঁজা শুরু হলো।

এসব ব্যাপারে অবশ্য আমাদের এতো মাথা ব্যাথা ছিল না কারন আমরা হচ্ছি টেকি লোক, মাঝে মাঝে এসব খবর পাই, এটাই আমাদের কাছে অনেক। শুনতে ভালো লাগে, আজ কাল আর আমাদের সবাইকে নিয়ে মিটং হয় না, স্পেফিসিক কাজের জন্য স্পেফিসিক লোকেদের নিয়ে মিটিং হয়। শুধু একবার তিন মাসে জেনারেল মিটিং এ সাবাইকে জানানো হয় কোম্পানী কি কি বাঘ-ভাল্লুক মারলো।

অনেকের পদোন্নতি হতে লাগল, বলা নিষ্প্রয়োজন তবু বলা উচিৎ পদোন্নতির সাথে আমাদেরও ঠাট-বাট বাড়তে লাগলো। একটু স্থির হলাম আমরা, অবুঝ আর সাড়াহীন রঙ্গীন বোকা বাক্সের থেকে মাথা সরানো গেলো, মাথা কিছু হাল্কা হলো। কাজের চাপ বেশ কিছুটা কমে এলো, হটাৎ করে আর আমাদের ট্যুরে বেরিয়ে পড়তে হয় না। এখন অনেক নুতন মুখ আছে, যারা জীবন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

তখনো আমাদের বন্ধুত্ব ত্রয়ীর প্রচুর সুনাম, অনেকেই চেষ্টা করেও আমাদের বন্ধুত্বে এতটুকু চিড় ধরাতে পারি নি।

কিন্তু আমার মাথায় সম্ভবতঃ এটা ছিল না যে এই ব্রহ্মাণ্ডের কিছুই অপরিবর্তনশীল নয়। পৃথিবীতে কিছুই স্থির নয় আর আজ যা ঘটেনি তা কাল যে ঘটবে না তার কোন গ্যারাণ্টী আজ অবদি কেউ দিতে পারে নি।

কানাঘুষায় একটা কথা শুনতে পাচ্ছিলাম হেডঅফিস নাকি নামে কোলকাতায় থাকবে কিন্তু আসলে সেটা মুম্বাই (বোম্বে) চলে যাবে। তাতে অবশ্য আমাদের কিছু যায় আসে না, তা নিয়ে আমাদের অত মাথা ব্যথ্যা নেই।

কে জানতো আরো কতো শক অপেক্ষা করে আছে আমাদের জন্য। তবুও কারো জন্য কিছু থেমে থাকে না, কিছু থেমে থাকে নি আজো,

***************

আজকের পর্ব ভালো ভাবে শেষ করতে পারিনি, পাঠকদের অনেকেই মনে বেশী বড় হচ্ছে বলে ছোট করে দিতে অনুরোধ করছেন, আজ তাইই করলাম। চেষ্টা করবো পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিতে। ওহ হ্যালো, ভুলেই গেছিলাম আজ থেকে আবার দুইদিন ছুটি। কি করে যে দিনগুলো কেটে যাচ্ছে বুঝতেই পারছি না। ভালো সময় নাকি খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়। হুমম আমি বেশ ভালো আছি ......

(চলবে ...)

আগের পর্বগুলি পড়তে চাইলেঃ- চাকুরীঃ- ১ চাকুরীঃ- ২ চাকুরীঃ- ৩ চাকুরীঃ- ৪


মন্তব্য

রণদীপম বসু এর ছবি

ছবির কালো বস্তুটা কী ?

এই ব্রহ্মাণ্ডের কিছুই অপরিবর্তনশীল নয়।

কথাটা কয়েকবার আসায় ভাবছি কোথাও কোন টেরবেটের হতে শুরু করেছে কি ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কালো জিনিষটা কি জানি না, তবে কোথাও কোন নড়চড় এখনও হয়নি হাসি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

হিমু এর ছবি

সচলায়তন পরিবারে স্বাগতম।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

থ্যাংকু হিমু ভাই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পুরো সচল হওয়ার জন্য অভিনন্দন, দেবু'দা। আরো লিখুন। ভাল থাকুন।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আজকে জানতে পেরে আমি তো মহাখুশী। থ্যাংকু প্রহরী ভাই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অভিনন্দন প্রিয় দেবোত্তম। আগ্রহ নিয়ে পড়ছি আপনার "চাকুরী" সিরিজ। সাথে সাথে নিজের কর্মজীবন শুরুর কথাও মনে হয়ে যাচ্ছে, যদিও আপনার আমার লাইন এক নয়।

একটা সমস্যার কথা বলি (সমাধানের উপায় বাতলাতে আমি অক্ষম)। আমরা যখন উপন্যাস পড়ি তখন ঘটনা দ্রুত বা বার বার প্রসঙ্গান্তরে গেলে অসুবিধা হয়না। কারন, তখন আমরা একটানা পড়ি বলে। ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত লেখার ক্ষেত্রে উপন্যাসের মত দ্রুত প্রসঙ্গান্তরে গেলে পাঠক একটু বিভ্রান্ত হয়ে পরেন। কারন, তার পক্ষে তো আর পাতা উলটে আগের ঘটনাটা দেখে নেয়া সম্ভব না। আপনার এই সিরিজটি উপন্যাসের এই আঙ্গিকটি অনুসরণ করায় মাঝে মাঝে একটু বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছি।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

থ্যাংকু ষষ্ঠ পাণ্ডব,

আপনার প্রথম মন্তব্যই আমার মনে ধরেছে। ব্যাপারটা আমারো মনে হয়েছে। কিছু একটা করতে হবে

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অভিনন্দন প্রিয় দেবোত্তম। আগ্রহ নিয়ে পড়ছি আপনার "চাকুরী" সিরিজ। সাথে সাথে নিজের কর্মজীবন শুরুর কথাও মনে হয়ে যাচ্ছে, যদিও আপনার আমার লাইন এক নয়।

একটা সমস্যার কথা বলি (সমাধানের উপায় বাতলাতে আমি অক্ষম)। আমরা যখন উপন্যাস পড়ি তখন ঘটনা দ্রুত বা বার বার প্রসঙ্গান্তরে গেলে অসুবিধা হয়না। কারন, তখন আমরা একটানা পড়ি বলে। ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত লেখার ক্ষেত্রে উপন্যাসের মত দ্রুত প্রসঙ্গান্তরে গেলে পাঠক একটু বিভ্রান্ত হয়ে পরেন। কারন, তার পক্ষে তো আর পাতা উলটে আগের ঘটনাটা দেখে নেয়া সম্ভব না। আপনার এই সিরিজটি উপন্যাসের এই আঙ্গিকটি অনুসরণ করায় মাঝে মাঝে একটু বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কয় কি?
দেবুদা এতোদিন সচল ছিলেন না? অ্যাঁ
স্বাগতম আপনাকে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

হাসি থ্যাংকু শিমুল বোন
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

আলমগীর এর ছবি

অভিনন্দন।
লেখাটা কি অনুবাদ?

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

থ্যাংকু। না এটা অনুবাদ নয়।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগছে

BTW: আমার মত অচলদের দল থেকে শুভ বিদায়

...........................
Every Picture Tells a Story

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

থ্যাংকু মুস্তাফিজ ভাই।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শুভ সচলতম।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

থ্যাংকু, আপনাকে আবার ফোন দিলাম, ধরলেন না। সব ঠিকাছে তো !!
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।