পরমানুর পঞ্চবাণ - ১৩ (হাসির গল্প)

এক চাকার সুন্দর এক মোটর-সাইকেল নিয়ে ছেলেটি তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেল।

এক চাকাওয়ালা মোটর-সাইকেল দেখে বন্ধুটি বলে উঠলো এই মোটরসাইকেল
তুমি কোথায় পেলে?

আর বলো না, কাল রাতে এক সুন্দর পরী এই বাইক নিয়ে এসে আমার সামনে তার জামাকাপড়
খুলে আমাকে বলল “যেটা পছন্দ সেটা নাও”

বন্ধুটি বলে উঠলো, এক চাকার মোটর-সাইকেলটা নিয়েই তুমি ঠিক করেছ, মেয়েদের জামা-কাপড় নিয়ে বা তুমি কিই বা করতে বলো !!

***********************

এক মহা কিপটে অনেক টাকাওয়ালা লোক তার গাড়ী করে কোথাও যাচ্ছিল, হটাৎ লোকটা দেখতে পেল একটা লোক মাঠের ঘাস ছিঁড়ে খাচ্ছে।

কি ব্যাপার, লোকটা গাড়ী থামিয়ে জিজ্ঞেস করলো।

লোকটা জানালো, তার টাকা-পয়সা সব নষ্ট হয়ে গেছে, খাবার দাবার কেনার নাই তাই ঘাস খাচ্ছে।

কিপটে লোক ঘাস খাওয়া লোকটাকে গাড়ীতে উঠে আসতে বলল

লোকটা জানালো তার বউ ছেলে মেয়েরাও না খেয়ে আছে।

কিপটে লোকটা সবাইকে গাড়ীতে উঠে আসতে বলল।

গাড়ীর ড্রাইভার তো হতভম্ব, ভাবছে আমার কিপটে মালিকের আজ কি হয়েছে ? লোকটা এতো ভালো হলো কবে থেকে !!

ঘাস খাওয়া লোকটা আর তার বউ মিলে কিপটে লোকটাকে বার বার ধন্যবাদ দিতে লাগলো।

কিপটে লোকটা বলল না না এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে ? আমি জানি ওখানে তোমাদের একদম অসুবিধা হবে না, আমার বাগানে হাঁটু অবদি লম্বা লম্বা ঘাস আছে ।

***********************

ফাতেমাকে তাদের বাগানে গর্ত খুঁড়তে দেখে, পাশের বাড়ীর জর্জ বলল, "কি ব্যাপার ফাতেমা, গর্ত খুঁড়ছ কেন" ?

কাঁদতে কাঁদতে ফাতেমা বলল আমার গোল্ড ফিস-টা কাল মারা গেছে।

জর্জ দুঃখিত হয়ে বলল “ ওহ এটা সত্যিই দুঃখের বিষয়, কিন্ত তুমি এইটুকু মাছের জন্য এতো বড় গর্ত খুঁড়ছো কেন" ?

এইবার ফাতেমা রেগে গিয়ে বলল, "আমার মাছ তোমার বেড়ালের পেটে আছে কি না" ?

***********************

পাড়ার মুখরোচক গল্পগুলি যখন এক বৌদি যখন অন্য বৌদিকে কানে কানে বলে সেটাকে আমরা কম্পিউটারের ভাষায় কি বলবো ?

এক্কেরে সোজাঃ- ডাটা ট্রানন্সফার

***********************

এক ভদ্রলোকের চার ছেলে ছিল তার মধ্যে বড় তিন ছেলেরা দেখতে একদম একরকম, কিন্তু
কোনো কারনে ছোট ছেলেটা দেখতে অন্যরকম হয়েছে।

তা এক্সিডেণ্ট হয়ে ভদ্রলোক মৃত্যুশয্যায় তার স্ত্রীকে একটা মাত্র প্রশ্ন করলেন, “তুমি জানো আর
কিছুক্ষনের মধ্যেই আমি মারা যাবো, তুমি শুধু আমাকে একটা সত্যি কথা বলো, তোমার ছোট ছেলেটা কি সত্যিই আমার ঔরসজাত ?

মহিলা তার স্বামীর মাথা ছুঁইয়ে বললেন ছোট ছেলে তার স্বামীরই ঔরসজাত।

খুশী হয়ে ভদ্রলোক মারা গেলেন।

মহিলা হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন, মনে মনে ভাবলেন, ভাগ্যিস তার স্বামী প্রথম তিন ছেলের কথা
জিজ্ঞেস করেননি

***********************