হযবরল

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০২/২০০৮ - ৯:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হযবরল

সময়টা এমন যে কি ভাবি, কি করি নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা! গত তিনরাত খুজেঁও পেলামনা এতটুকু স্পেস কবিতার জন্য; যা খেলাপী ঋনের দায়ে নিলামে উঠেনি! শব্দ বা বাক্য গঠনেও আজকাল যে নতুনত্ব তাও অসাড় লাগে, শেষ খেলার সমাধান জানি বলে।

নেশাটাও আজকাল ছুটে যায় নিমিষে। কখনো বা রতির মাঝপথে থেমে ভাবি, গত ভোররাতের চাদঁটা কেন এমন তীব্রভাবে চিতকার করার চেষ্টা করছিলো নীভে যাবার আগে!

দুঃখিতঃ এক মিনিট বিরতি চাই ধুমপানের জন্য।

গতদিন আমার নানুও চলে গেল; শুনলাম তার ছোট্ট ফ্ল্যাটটিতে তিনি মরে পড়েছিলেন প্রায় একদিনেরও বেশী! নানা ভাইও মারা গেছিলেন প্রায় উন্মাদ হয়ে। বাবাও বুদ্ধিমানের মতো চলে গেলেন কিছুই না বলে। আপনজনেরা হঠাতই সবাই চলে গেল বড় পাহাড়টার আড়ালে। হাসতে হাসতে ভাবি, আমি কি জেনেটিক্যালি একলা মরবো বলে জন্মেছি?

বিরতিঃ আগুনটা নীভে গেছে হঠাত; একটু বসেন!

......তবুও এখন স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি আমার বুকের ভেতর অবিরত বাজতে থাকা ড্রামের তাল! তোমার কিংবা ধরনীর, তোমাদের তালও জানা আমার। একভাবে একঘেয়ে সুরেই মরণ সবার; কিন্তু তবুও কেন মানুষে বিশ্বাস হারাতে পারি না আজও? হয়তো এই মিথ্যেটুকু আকঁড়ে থেকে নিজেকে যদ্দিন রাখা যায় বাচিঁয়ে !!

২৮ ফেব্রুয়ারী’০৮, ভোর রাত ৪টা, রেডব্রীজ, লন্ডন।
(বিঃ দ্রঃ উপরের ছবিটি আমার প্রিয় ফরাসী শিল্পী André-Aimé-René Masson-র: Automatic Drawing. (1924). Ink on paper, Museum of Modern Art, New York.)


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এসব চিন্তা বাদ দেন। এর পরে এত ভোরে উঠলে বাইরে গিয়ে ভোরে সূর্য ওঠা দেখেবেন। প্রকৃতির সবচেয়ে অবধারিত বিষয়গুলোর মাঝে আছে অদ্ভুত বব সৌন্দর্য-- বারবার দেখলেও প্রত্যেকবারই নতুন মনে হবে।

অপালা এর ছবি

হমমমমমম, কি বলব!!
লিখাটা খুলেছিলাম, মন্তব্য করব বলে, নাম দেখে ই, পড়ার পড়, ঐ মন্তব্য টা মাথা থেকে চলে গেল।

মির্জা এর ছবি

শক্তির মত সুন্দরেরও মৃত্যু নেই, সুন্দর মানুষেরওতো আরও না.........

রায়হান আবীর এর ছবি

---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

দ্রোহী এর ছবি

কি বলব? কথা খুঁজে পাচ্ছি না।


কি মাঝি? ডরাইলা?

জিফরান খালেদ এর ছবি

eita ekta kothin jinish hoise...

mashallah mashallah...

bisheshoto style ta... adhunikder dhong, kintu, aijo kemon darun.. aha, kobita...

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আধুনিকদের ঢং এরকম নাকি জানিনা তো! তবে এইটাতো ঠিক বাসতো করি গালভরা আধুনিক সমাজেই,সো হতেই পারে একই সুর ! কি বলো? কষ্ট করে পড়ার জন্য এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়াবো নে...।

শেখ জলিল এর ছবি

হয়তো এই মিথ্যেটুকু আকঁড়ে থেকে নিজেকে যদ্দিন রাখা যায় বাচিঁয়ে !!...ঠিক।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ধ্রুব হাসান এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ, কারণ ধন্যবাদেই ভালোবাসা আর শুভকামনার প্রকাশ। কি বলেন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।