গুরুচন্ডালী - ০১৯

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৩/২০০৯ - ৭:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
বসন্ত আসতে এখন হপ্তা দুই বাকি। হাঁড় কাঁপানো শীত তারও আগে চেহারায় কমলা রঙের পট্টি লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। মাঝে মাঝে ইতিউতি উকিঝুঁকি দিলেও তেমন কাউট্টাকামড় দেয়ার আর সুযোগ পাচ্ছে না বেচারা। সেদিন তো বেশ ঘটা করেই সূর্য্যিমামা গনগনে ভাব নিয়ে জানান দিয়ে গেলো "শীত মিয়া তোমার আর বেইল নাই!" [এর মধ্যে জনৈক মোটারাম মোঢিমু, সন্ন্যাসী দাদুর দেশীয় ললনাযোগে বরফের ফটুক কেমনে তোলে সেইটা তদন্তের স্বার্থে উল্লেখ করা হলো না]

আমাদের দেশের শীতের সাথে এখানকার বড় একটা পার্থক্য হলো বৃষ্টি। ঝিরঝির ফুরফুর কুরকুর হরেক রকম স্টাইলে বৃষ্টি পড়ে এখানে শীতের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই। অবস্থা এমন যে খড়টা যেতে চায় না তার মধ্যে ট্রিপলএক্স-এল সাইজের মুগুর ধরে ঠাসাঠাসি। একেতো শীতে মরিমরি তার ওপর ফ্যাচকাঁদুনে বৃষ্টি, বিরক্তির চরম অবস্থা। মন মেজাজ থাকে উগ্রে। কেউ 'ভাই' বলে হাঁক দিলেও মনেহয় বুঝি 'শালা' বলে গালিটা দিলো! এইভাবেই যায় শীতের পুরো সময়টা। এর মধ্যে 'হঠাশ' করে রোদ ঝলমল করে উঠলে দুম করে মনটা ভালো হয়ে যায়। সব শালাকে ভাই বলে গলায় লাগাতে ইচ্ছে জাগে। উকিলের ঘরের পেছনে একটা কুকিল ডেকে ওঠে কা-কা করে। পচুর গিয়ানজামে ভরা পুরা দুনিয়াটাই পেয়ারছে ভরে যায়! কিন্তু...

আবার সেই ফ্যাচকাঁদুনে বৃষ্টি শুরু হলে কেমন লাগে! গত একুশ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। একবারে নেমে শেষ হয়ে গেলেও তো হয়, তা না। গুড়গুড় করে কখনো টিপটিপ করে ঝরেই চলেছে। এই বিরক্তিকর বৃষ্টি আরও বিরক্তিকর লাগে যখন এতে ভেজা ছাড়া কোনো গতি থাকে না। ছাতা নিয়ে চলার অভ্যাস কখনোই ছিলো না। এখনো এর গত্যন্তর হয়নি। তাই ঘর থেকে বেরুলে, বাইরে থেকে ঘরে ফিরতে হলে এই অকালের বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, বাধ্য হয়ে। দেশের বৃষ্টির মতো রোমান্টিক হলেও নাহয় ভিজা যায়, কিন্তু এইসব যান্ত্রিক দেশের বৃষ্টিও যে যান্ত্রিক। মাথায় পড়লে চামড়ায় কোনো অনুভূতি হয়না, হয় একেবারে ভেতরে, মগজ ব্যথা করতে থাকে। মায় জ্বরটরও চলে আসে কদাচিৎ। আজকে একবার না, কয়েকবার পুরো কাকভেজা ভিজতে হয়েছে এই বেরসিক, বেআক্কেল, জালেম বৃষ্টিতে। ঘর থেকে বের হয়ে বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত, বাস থেকে নেমে হাঁটা পথে, ট্রেন থেকে নেমে ফের হাঁটা পথে। অন্যসময় চিপাচুপা ধরে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে পারলেও, চলার চেষ্টাটা থাকলেও আজকে তার কিছুই হয়নি। একেবারে ঠাঁয় 'রেইনড্রপস কেপ্ট ফলিং অন মাই হেড'। মাথা ভিজেছে, শরীর ভিজেছে, ভিজেছে পরনের সব জামা। পুরা চুপচুপা অবস্থা! বৃষ্টির প্রত্যক্ষ সাপোর্ট নিয়ে জেঁকে আসা ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে ফিরে গেছি সেদিনে, যেদিন এমনি করে কাঁকভেজা ভিজেছিলাম হাইস্কুলে থাকাকালীন। বৃষ্টিবিলাসের ডাকে সাড়া দিয়ে সেদিনও কাঁপছিলাম অনবরত। ছিলো কম্বাইণ্ড ক্লাস, চোখ ঘুরাতেই অপর পাশে কয়েকজনের দিকে দৃষ্টি আটকে গিয়েছিলো। ওড়না ভাজ করে ব্যাগে ঢুকাচ্ছে কেউ কেউ। তাদেরই একজন, খুব সতর্কতায় নিজের ভাজ করা ওড়নাটা নির্দেশ করে এগিয়ে দিতে চেয়েছিলো। সেদিন গোলগাল হলদেটে মুখের হালকা কোঁকড়ানো চুলের সেই বালিকার এগিয়ে দেয়া ভাজ করা সাদা রঙের ওড়নাটা আমার নেয়া হয়নি। কে জানে, হয়তো দরকারের চেয়ে আমার সঙ্কোচটাই বড় হয়ে উঠেছিলো সেদিন...!

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

২.
এমনিতে পেটুক কিসিমের না হলেও সারাক্ষণই একটা খাইখাই ভাব থাকে আমার মধ্যে। মশার কামড় থেকে শুরু করে জিলাপীর প্যাচ, সবই খেতে ইচ্ছে করে। জিলাপী, মশা পাইনা বলে খাইনা। কিন্তু সেদিন একজনকে খুঁচিয়ে রাজী করিয়েছি রসমালাই বানানোর জন্য। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে অবশেষে যে জিনিষ তৈরী হলো সেটাকে রসমালাই তকমা দেয়া গেলেও এই নামে যে জিনিষের স্বাদ এখনো জিভে লেগে আছে তার কাছ ধার দিয়েও যায় নি। বুন্দিয়ার চেয়ে একটু বড় সাইজের অই জিনিষ ৪টা মুখে দিয়েই আমার রসমালাই খাওয়া মিশনের সমাপ্তি ঘটেছে এযাত্রা!

পেস্ট্রী কেকটা খুব পছন্দ করতাম, এখনো করি। কিন্তু পাই কই? এখানে যা পাই তাতে 'ফোম' দিয়ে ভরা। মুখে দিলে ফ্যাশফ্যাশ করে। চকোলেট কেক ভালো লাগে, কিন্তু ঐযে ৫-৮ টাকায় কেনা এক টুকরা পেস্ট্রী কেক, সেটা তো আর পাই না!

বছর খানেক আগেক আগেও পেটভরে একাকীত্ব খেতাম। গরমের সময় রাতের বেলায় ট্রেনে চেপে চলে যেতাম বড় শহর কোলনের রাইনের ধারে। রাতের নদীর আলাদা একটা শব্দ আছে। সেই শব্দ শুনতে শুনতে বেশ অনেক খানি জায়গা হেঁটে, খনিকটা বসে শেষ ট্রেন ধরে ফিরতাম ঘরে। সবসময় না হলেও প্রায়ই করতাম এমনটা, একাকীত্ববিলাসিতা। কিছুদিনের পরে অইটুকু সময় নিজেকে দিতাম একেবারে নিজের করে। নিজের মনের ভেতরের প্রশ্নের জবাব দিতাম নিজেই। নিজেকে ভাঙতাম, আবার গড়তাম নিজেরই মতো করে, প্রতি মুহূর্তে। একটা মোটা সাদা দাগ টানা ছিলো চারপাশে, এই দাগের ভেতরে কারোরই প্রবেশাধিকার ছিলোনা বলে তখন খেতাম কেবল নিজেকেই। এখন সেই গণ্ডি বেড়েছে কিঞ্চিৎ। নিজের মাথা খেতে গেলে এখন নানান হিসাবের বেড়াজলে পড়ে মনে নোনাজল গড়ায়, তাই এখন আড্ডা খাই। হাতে গোণা জনাতিন-চারেকের সাথে আড্ডা। নিজের জন্য বরাদ্দকৃত সময়টা ওখানেই যায়। সেভাবে কোলন যাওয়া হয়না অ-নে-ক দিন। কালকে খবর পেলাম, নির্মানাধীন আণ্ডার গ্রাউণ্ড ট্রাম লাইনের পাশের কয়েকটা বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। আজকে সেটা খবরের কাগজেও দেখলাম। বলছে, কয়েকজন পথচারীও নিঁখোজ হয়ে থাকবে সেখানে। ভাবছিলাম, একসময়ের কোলনের অতি পরিচিত সেই জায়গাটায় ঘটা কালকের ঘটনায় আমিও আজ হয়ে যেতে পারতাম ধ্বংসস্তুপের খাবার!

৩.
সু-ইয়ন, আমাদেরই এক কলিগ। সেদিন অন্য এক কলিগ জানালো 'এই মেয়েকে যে বিয়ে করবে সে খুবই সুখী হবে'। ললনা সংক্রান্ত ভাগ্য আমার দূর থেকেই প্রসন্ন, একেবারে শের-ই-টাইম-এর হুংকার। কিন্তু কাছে গেলে সেই শেরভাগ্য বিড়ালের মতো মিঁউমিঁউ করতেও ভুলে যায়! আমি এক গাল ধূয়া গিলে, বাকি এক গাল ছেড়ে বলি, 'বটে'। কলিগ বকে চলে, আমি হুঁ-হাঁ করি। একসময় খেয়াল করি আমাদের মধ্যে একটা ডীল হয়ে গেছে। এই 'সর্বা ভবান্তু সুখিতা হন্তু' ললনাকে 'গলায়' লাগাতে পারলে দারবিশ-এ খাওয়ানো হবে আমাকে, আর আমি নাকি "হুঁ-হাঁ"র চক্করে পড়ে কখন ডীলে রাজী হয়ে গেছি। এখন এই ডীল আমাকে রাখতে হবে। সেটা কোনো ব্যাপার না। কিন্তু জ্বলজ্ব্যান্ত ললনাকে আমি 'ঈদ মোবারক' বলে কোলাকুলি করতে গেলেই গাল বরাবর মানচিত্রের দাগ বসে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে- সমস্যাটা হলো এখানে! আবার ভদ্রলোকের এক জবান, ডীলটা বাইপাস করাটাও কেমন দেখায়! তো সিগারেট শেষ না হতেই দেখি সু-ইয়ং সেখানে এসে হাজির...!

[পানি গরম হইছে, যাই পানিতে একটা টি-ব্যাগ ফেলে সেটা খেয়ে আসিগে]


মন্তব্য

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

যাই পানিতে একটা টি-ব্যাগ ফেলে সেটা খেয়ে আসিগে

টি-ব্যাগ খাইবেন? অ্যাঁ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অনিকেত এর ছবি

হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার লেখার বিশেষ দিক হল- দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমিও খুবই চমৎকার ফুটে ওঠে, লেখার গুনেই পড়তে ভাল লাগে, একঘেয়ে লাগে না।

কলেজে থাকতে একবার আমিও ঝুম বৃষ্টির মধ্যে নেমে গিয়েছিলাম, বারান্দা থেকে মাঠে থাকা বাস পর্যন্ত হেঁটেছিলাম। কেউ অবশ্য তার ওড়না এগিয়ে দেয়নি, কিন্তু একজনের ঝাড়ি খেতে হয়েছিল দেঁতো হাসি

আপনি গল্প লেখেন না জন্য স্ক্রল করে নিচে দেখি না। কিন্তু এখন থেকে আপনার লেখাগুলোর ক্ষেত্রেও নিচে আগে দেখে নিতে হবে চা খাওয়ার ব্যামোতে আক্রান্ত কি না। আর কখনও এরকম হলে আপনার পোস্টে "কালো মন্তব্য" করব কিন্তু!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কালো মন্তব্যের জন্য অগ্রিম কালো ধন্যবাদ বিডিআর ভাই। চলুক

বৈদেশে আসলে বৈচিত্র কম। আগে তাও খুঁজে পেতে যে দুয়েকটা পেতাম এখন সেগুলোও লাপাত্তা। পুরাই একঘেয়ে সময় ক্ষেপণ। এর মঢ্যে রিলিফ হলো ফেলে আসা কিছু সময়। ঐগুলা কালারফুল। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কেমনে কেমনে জানি ঐসব দিলে চলে যাই। সেখানে সবকিছু অনুভব করি, ধরি, ছুঁই-সব কিছুই করি। সমান্তরাল আরেকটা পৃথিবী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি তো ভাবসিলাম "কালো মন্তব্য" খারাপ কিছু, কিন্তু আপনার রিঅ্যাকশন দেখে তো মনে হচ্ছে না বুঝে বিরাট ভাল কিছু আপনাকে দিয়ে দিলাম চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এইগুলা তো ঠিক না! খোলাসা কইরা বলেন তাড়াতাড়ি! :-|

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভাগ্যভালো 'সব খুইলা' বলতে বলেন নাই। একবার এক দোস্তরে 'সব খুইলা' বলতে বইলা বিরাট গ্যাড়াকলে পড়ছিলাম!
আহা স্মৃতি তুমি ব্যাদনা! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কীর্তিনাশা এর ছবি

জট্টিল সময়ে টিব্যাগ খাইতে যাওয়ার জন্য আপনারে টিব্যাগ সাইজের মাইনাচ দিলাম. রেগে টং

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নিবিড় এর ছবি

নাহ ধূগোদা আপ্নেও শুরু করলেন শেষ পর্যন্ত, এই টাইমে চা খাইতে যাওয়ার কোন মানে হয় রেগে টং ইদানিং আপানার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আপনাকে আর শালীওয়ালদের পিছনে লাইন দিতে হবে না বরং আপানার পিছনেই লোকজন লাইন দিবে চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নারে ভাই। আমি হইলাম 'যো দিখতাহে ও তো হু নেহি, যো হু ও তো দিখতা নেহি' টাইপের দেঁতো হাসি

লাইন অন্য কেউ দেক আর না দেক, আমার লাইন লাগানো জারী আছে। শালীবাজ দুলারা সাবধান! ধুগো ইজ ব্যাক! (তালিয়া)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

চা খাইতে যাওয়ার ব্যারাম তো মহামারী আকারে শুরু হইলো দেখি। ইয়ে, মানে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গান্দেন্নাইকেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা হা।
অনেকদিন পরে ক্লাসিক কমেন্ট!!!

স্বপ্নাহত এর ছবি

এই মেয়েকে যে বিয়ে করবে সে খুবই সুখী হবে'

গুরুরে সুখী দেখতে মঞ্চায় হাসি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ফাহিম এর ছবি

১। বৃষ্টির কথা আর বইলেন্না। সেম কেস হিয়ার, সকালে পুরা ভিজা অফিসে ঢুকসি...
২। খবরটা স্পিগেলে পইড়া আমার মনে হইসে, শালার জার্মান বিল্ডিংও ধ্বইস্যা পড়লো??? যামু কোন্দিকে...
৩। "গলায়" লাগানো! ব্যাপারটা বুঝলাম্না, একটু ঝাইড়া কাশেন...
৪। আগেও কার কোন একটা পোস্টে কইসিলাম, চা খাইতে যাওয়া (প্রকারান্তরে গরম পানির মইধ্যে টিব্যাগ ফালায় খাওয়া) সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হউক...

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভাই এক নাম্বারটা একেবারে পঁচাইয়া ফেললো। রাইনের পানি কী পরিমান বাড়ছে দেখছেন নাকি? মাইনের পানিও! আর দুইদিন এমনে চললে বন্যা মনেহয় হয়েই যাবে একটা।

দুই নাম্বারটা নিয়ে কথা বলছিলাম কালকে একজনের সাথে। নরম্যালি তো সিটি কাউন্সিল সব প্ল্যান অনুমোদন করে। তো ট্রাম লাইনের সেই প্ল্যানে নাকি কোনো ঘাপলা ছিলো না। ঘাপলাটা হয়েছে যারা কাজ করেছে তাদের 'কেয়ারলেস' এর জন্য।

তিন নাম্বারে এসে আপনাকে বলবো, 'আ গালে লাগ যা' বলে একটা হিন্দি সিনেমা আছে সেটা দেখার জন্য, চোখ টিপি

চার নাম্বারটার ব্যাপারে পূর্ণ সহমত থাকলো আপনার সঙ্গে। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

সব আবেগবিষন্নঘন কথাবার্তা দিয়ে শুরু করে
শেষ হলো সেই বালিকা হাহুতাশ দিয়ে
পোলাপান আর মানুষ হলোনা চোখ টিপি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আহ পেস্ট্রী কেক আমারো খুব প্রিয়
তারপর কি হইল?? আপনার প্ল্যান কি?

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কোন প্ল্যানের কথা জিগাও এই জনসন্মুখে! প্ল্যান ফাঁস কইরা কি দাবড়ানি ওরফে পঁচানি খাবো নাকি তোমার?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আরেহ না আমি এখন কাউরে পঁচাই নাতো, আপ্নের প্যালেনটা বলেন পিলিজ কানেকানে দেঁতো হাসি প্রোমিস কাউরে কমুনা, পঁচামুও না দেঁতো হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চা খায়া তার্পর মন্তব্য করবো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হুর মিয়া, আমি আপনার লাইগা কফি বানাইতেছি, আর আপনে কন চা। আপনেরে নিয়া তো যুদ্ধে যাওন যাইবো নারে ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অভ্রনীল এর ছবি

সরাসরি কুলাকুলি না কইরা "ঈড মুব্যার‌্যাক" কইয়া আরবী স্টাইলে গালে গাল লাগান... হাতে হাত মেলান... তারপর কোলে কোল লাগানোর টেরাই মারতে পারেন... গালে মানচিত্র বসলেও সেইটা গুগল ম্যাপের মত হাই ডেফিনিশন না হইয়া ক্লাস ফাইভের সমাজ বইয়ের মানচিত্রের মত এক রঙ্গা হইবো...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার টার্গেট তো 'ঈড মুব্যার‌্যাক' না, আমার নজর তো ঐ 'সালসা ড্যান্সে'র দিকেই! তাতে হাই ডেফিনিশন অঙ্কনকর্ম পাইলেও সইতে রাজী আছি! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ইস আপনার চা খাওয়ার যন্ত্রনায় লগ- ইন করতে বাধ্য হলাম।
আপনার আর হিমুর এক ব্যারাম কেন?
যখন তখন চা খেতে চান।
সচলে পোস্ট দেওয়ার আগে একসাথে দু মগ চা খেয়ে নেবেন।
তারপর পুরো কাহিনী একবারে শেষ করবেন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার আর হিমুর এক ব্যারাম কেন?

সন্দেহজনক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
দোস্তানার হাওয়া লাগছে চাইরদিকে...চোখ টিপি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চা-য়ের তেষ্টা কি আর একমগ-দুইমগে যায়? এইটা হইলো মনের তেষ্টা, প্রাণের তেষ্টা না! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

এতো চা খাইলে লোক-জন শুনসি কালা হয়...
আর আপনি হয়া গেলেন "ধূসর"...
ধুরো মিয়া...!!!
(শব্দশিল্পী)

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সচল তো মোতাব্বিরের ছায়ের দোকানায়তন হয়ে গেল!

গান দেন নাই দেখে মাইন্ড খাইসি, তয় লেখাটা বেশি ভাল্লাগছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গান্দিমু মানে, আমি ছা'য়ের দোকান ফেলায়া গানের কারবারে মন্দিমু?
তাও এতো কইরা যখন কইলেন ভূপেন বাবুর একটা গান্দিয়া দিলাম পোস্টে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

গান্দিসেন বইলা থ্যাঙ্কসাইলাম। ভাগ্যিস ছা-ওয়ালার কাছে ফান ছাই নাই...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ধুগো দাদার সাথে আমি একমত ! ঠাণ্ডার মধ্যে বৃষ্টি হইলে আমার মেজাজ খুব খারাপ হয়ে যায়। আমি আবার এমনিতেই খুব শীত কাতুরে মানুষ আরকি !
বালিকার ব্যাপারে কি কোনও অগ্রগতি হইল ধুগোদা ?
-----------------------------------

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বালিকার ব্যাপারে অগ্রগতির খবর আসবে কমার্শিয়াল বিজ্ঞপ্তির পর। ততোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন। টেনটেনাটেন... হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব জামান এর ছবি

ধুরো লেখাটা আস্তে আস্তে রোমান্টিক লাইনে যাইতেছিল আর সেই সময়ে কিনা টী-ব্যাগ মন খারাপ
চা-খোর পাব্লিকদের মাইনাস।
-----------------------------------------
ভালবাসা তুমি - প্রেয়সীর ঠোঁটে প্রগাঢ় চুম্বন;
ভয়হীন তবু, দেখলে দেখুক না লোকজন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দময়ন্তী এর ছবি

কিন্তু রসমালাই বানানো তো খুবই সোজা ৷এমন অবস্থা হল কেন? অ্যাঁ

------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বানানে ওয়ালার কাছ জিনিষটা সোজাই, কিন্তু আমার মতো খানেওয়ালা কেবল খাইতেই জানে, আর কিছু জগতে জানার আছে যে সেইটাই জানা নাই! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

যাউকগা, আমিতো রসমালাই বানিয়ে খাওয়াচ্ছি না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খাওয়াচ্ছেন না মানে, আলবৎ খাওয়াচ্ছেন। মেন্যু পাঠিয়ে দেয়া হবে সময় মতো। যাওয়াটাই তো হবে একটু ভালোমন্দএটাসেটা খাওয়ার লোভেই! ভয় পাইয়েন না, আপনাকে নিরাশ করবো না। বিবাহের পর বদ্দা আকাশভঙ্গি গ্রহণ করলেও হিমু আর আমি পুরাই ফর্মে আছি। মাশাল্লাহ রূচিও কমে নাই, বাড়ছে অনেক! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তা ভাইজান, একাকীত্ব জিনিসটা ক্যামনে খায়। আমারে একবার দেহাইয়েন কিন্তু!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সাইফুল আকবর খান এর ছবি

উকিলের ঘরের পেছনে একটা কুকিল ডেকে ওঠে কা-কা করে।

চলুক

আর, ‌'ঈদ মোবারক' ব'লে কোলাকুলি না ক'রে বরং অন্যকিছু ব'লে খোলাখুলি হয়ে যান সু-বালিকা সু-ইয়নের সাথে। ওম শান্তি, ওম শান্তি, ওম শান্তি। চোখ টিপি

লেখা ঠিকঠাক শেষ না ক'রে আবার চা-ফাঁকিবাজি! আবার খাইখাই!! হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

যাচ্ছেতাই। চোখ টিপি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধুসর তুমিও...

ঠিকাছে চা খাও।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দিনগুলো কিভাবে কেটে যায়, তাইনা? এই সময়, এই চারপাশ, এই মানুষ, এই সবকিছু একদিন আর থাকবেনা। হয়তো সবই থাকবে কেবল থাকবেনা এই মানুষগুলো এতো কাছে। যে যার মত ছুটে চলবে অনন্তকাল অথবা ছুটবেনা।

এইসব লেখা পড়ে মন্তব্য আসেনা, অনুভূতি গুলোই শুধু লিখে রাখলাম।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঈশ পিপিদা, যে কথাগুলোকে আমি এতো বিশাল একটা পোস্টেও তুলে আনতে সক্ষম হলাম না, আপনি কী সুন্দর করে সেই কথা গুলোই মাত্র কয়েকটা লাইনে বলে দিলেন!

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা পিপিদা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কী যে বলেন.. আপনার লেখার প্রত্যেক পরতে পরতে এই সুর।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

গানটা খুবই চমৎকার!

আচ্ছা গালে মানচিত্র আকিঁয়েছিলেন কি? (!)

............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

কল্পনা আক্তার এর ছবি

কেন! জিগাইলে কি হয় খাইছে

...........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

কনফুসিয়াস এর ছবি

মিষ্টি নিয়ে কদিন আগেও খুব দুঃখে ছিলাম, টিন কেটে মিষ্টি খেতে মন চাইতো না।
এখন অবশ্য দুঃখ নাই, খেতে ইচ্ছে করলেই নীচতলার দরজায় গিয়ে নক করি। হাসি

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কনফুসিয়াস এর ছবি

জ্বি না, তার গুরু থাকেন।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

বন শহরে বসবাস ,ঠিক?? বনবাস??

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।