প্রথম আলোর আশরাফুল তোষণঃ কোয়ালিটি পড়ে যাচ্ছে

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: রবি, ০৫/১২/২০১০ - ৩:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'আশরাফুলকে চেয়েছিলেন সাকিব-সিডন্স' শিরোনামে প্রথম আলোর একটা ক্রীড়া প্রতিবেদন পড়ে আমি যারপরনাই হতাশ। প্রথম আলো ঘরানার আশরাফুল বন্দনার সেই কোয়ালিটি এখন আর নাই । মন খারাপ

আজকের সংবাদটি বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত। আসুন আবিষ্কার করি সেই বিশ্বস্ত সূত্রটি কে বা কি বা কারা?

সংবাদের কেন্দ্রে মূলত অধিনায়ক সাকিব, কোচ সিডন্স, বাদ পড়া আশরাফুল এবং আশরাফুলকে দলে চেয়েও (!) যাদের কারণে পাওয়া যায়নি সেই এনায়েত হোসেন ও রফিকুল আলম। এদের কেউই দাবি করেননি, সাকিব-সিডন্স জুটি আশরাফুলকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের ২য় ম্যাচে দলে চেয়েছিলেন। 'কাল এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম, ‘সিরিজ চলছে। আমাদের এখন সামনে তাকাতে হবে। এসব নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’ প্রথম আলোর কাছে যাদেরকে সব নষ্টের গোড়া বলে মনে হয়েছে তাদের আরেকজন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন তো  বেরসিকের মত বলেছেন উলটো কথা,'কোচ-অধিনায়কের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করে সর্বসম্মতিতেই একাদশ নির্বাচিত হয়েছে ’। এ কথা শোনার পরও যেহেতু খবরটা ছাপা হয়েছে, তার মানে এনায়েত হোসেনকে প্রতিবেদকের কাছে খুব বিশ্বস্ত মনে হয় নি। এনায়েত হোসেনের উচিত অচিড়েই খাসি ফেলে প্রতিবেদককে দাওয়াত খাইয়ে প্রথম আলোর বিশ্বস্ততা অর্জন করা। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান সবার বিশ্বস্ত না হলে হয় বলেন!

যাদেরকে নিয়ে সংবাদ সেই সিডন্স ও সাকিবের বক্তব্য কি? 'কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সাকিবও। ' আর সিডন্সের ধারেকাছে বোধহয় ঘেষতেই পারেননি আমাদের প্রতিবেদক সাহেব, বক্তব্য নেয়া তো দূরের কথা।

তাহলে বাকি রইল কেবল বাদ পড়া নিরীহ, নিষ্পেষিত আশরাফুল। হ্যা! সে একজন বিশ্বস্ত সূত্র বটে। সে যাই হোক, নিচের প্যারাটি পড়ে আমার মত আপনারাও হয়তো সংবাদের বিশ্বস্ত সূত্রটি কি হতে পারে সেটা বুঝে ফেলবেন-

'সিরিজের শুরুতে সিডন্স আশরাফুলকে জানিয়েছিলেন, সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে অন্তত প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলানো হবে তাঁকে। নিজের সে কথা রাখতেই হয়তো কোচ আশরাফুলকে আরেকটি সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। সাকিবও মনে করেছেন, এক ম্যাচ খেলিয়েই বাদ দিলে আশরাফুলের ওপর অবিচার করা হয়। শেষ পর্যন্ত নিজেদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে না পেরে কিছুটা বিব্রত বোধ করে থাকতে পারেন সাকিব-সিডন্স। হয়তো সে কারণেই নিজে না বলে ম্যাচের আগের রাতে দলের আরেক খেলোয়াড়কে দিয়ে ফোনে আশরাফুলের কাছে বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অধিনায়ক।'

জয়তু মনের মাধুরী মেশানো রিপোর্টিং! কিন্তু এভাবে ধরা পড়ে গেলে চলবে? এত 'হয়তো'র ব্যবহার আশরাফুলকে ভবিষ্যতে দলে ঢুকানোর পরিবর্তে চিরদিনের জন্য রাস্তা দেখিয়ে দেবে না তো? সামনে আশরাফুলের তো খারাপ দিন!

আশরাফুলের প্রতি প্রথম আলোর বিশ্বস্ততা এখন আর নিরীহ নেই, চরমপন্থী পর্যায়ের। কিন্তু আগের সেই রাখঢাক ভাবটা আর নাই, নিউজিল্যান্ডের পাহাড়ের চূড়ায় বসে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে আশরাফুলের স্কুপ শট মনে পড়ে যায় জাতীয় অমর সাহিত্য থেকে আজ আমরা বঞ্চিত হতে চলেছি। এখন যা বেরোয় তা সরাসরি, ডাইরেক্ট একশন। সংবাদ পরিবেশনের চাইতে বেশি থাকে উষ্মার প্রকাশ। আশরাফুলকে কেন দলে নেয়া হলো না সেই উষ্মা, সেই ক্ষোভ।

আশরাফুলবিহীন বাংলাদেশ দল ২য় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে নাস্তানাবুদ করায় মনে হয় প্রতিবেদকের মেজাজ যারপর নাই বিরক্ত ছিল। তিনি শুরুই করেছেন এভাবে -

'ম্যাচ জয়ের পর সবাই ভালো ভালো কথাই বলেন। পরশু সাকিব আল হাসান যেমন বললেন। কিন্তু প্রথম ওয়ানডের মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেটাও যদি হেরে যেত বাংলাদেশ, অধিনায়ক আরেকটা বোমাই হয়তো ফাটাতেন। দল জিতলেও এই ম্যাচেও যে খেলেননি সাকিব আর কোচ জেমি সিডন্সের পছন্দের খেলোয়াড়েরা!'

আশরাফুল সাকিব ও সিডন্সের পছন্দের খেলোয়াড়! লাইনটা আসলে হবে এরকম - দল জিতলেও এই ম্যাচেও যে খেলেননি দৈনিক প্রথম আলোর পছন্দের খেলোয়াড়েরা!

জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম ম্যাচে হারার পর আশরাফুল সাকিবের যে কত পেয়ারের প্লেয়ার সেটা বোঝা যাবে ম্যাচ শেষে তার করা মন্তব্যে - "... Those who were in the team are not capable. Actually we can't expect more from this team as they did what they are capable of..." (ক্রিকইনফো) মিসফিল্ডিং, রান আউট ও বাজে আউটের প্রদর্শনীর পর কে কে 'not capable' সেটা বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না।

সিডন্সের প্রসঙ্গে যা লেখা হয়েছে সেটা পড়ে হাসতে হাসতে আমি চেয়ার থেকে পড়ে গেছি। 'সিরিজের শুরুতে সিডন্স আশরাফুলকে জানিয়েছিলেন, সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে অন্তত প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলানো হবে তাঁকে। ' ১৬৪ ম্যাচ খেলার পরও আশরাফুলকে তার সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে যেতে হয়, এমন দুর্ভাগা আর কয়জন আছে দুনিয়ায়!

দুর্ভাগা হইলেও আশরাফুল মহান। প্রমাণ? 

'কোচ সিডন্স সে কাজটাই করতে চেয়েছিলেন পরদিন, মানে দ্বিতীয় ওয়ানডের দিন সকালে। কিন্তু কোচের কথা বলার আহ্বানে আশরাফুল সাড়া তো দেনইনি, উল্টো নাকি রূঢ় ভাষায় শুনিয়ে দিয়েছেন কিছু কটু কথা। কারন যাই হোক, তিন ম্যাচ খেলানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে কোচ এক ম্যাচ পরই দল থেকে কাউকে বাদ দিয়ে দেন, তাঁর প্রতি তো ক্ষুব্ধ হওয়ারই কথা! বাদ পড়া নিয়ে সাকিবের ওপর কোনো রাগ নেই আশরাফুলের।

আশরাফুল বলেছেন, সাকিবের ওপর কোনো রাগ নেই তার। যদিও আমি বিশ্বসংসার তন্য তন্য করে খুঁজেও কোথায়ো কোনো সূত্র পেলাম না যে আশরাফুল সত্যিই এই কথাটি বলেছেন, তাতে কিছু আসে যায় না। বিশ্বস্ত সূত্র বলে কথা!

প্রতিবেদক সাহেব আমাদের দল নির্বাচনে কি কি ঘাপলা হচ্ছে তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তার কাছে দল হারুক বা জিতুক সেটা বড় কথা নয়। তার কাছে তালগাছ কেবল আশরাফুলের। আশরাফুলকে তালগাছ গছিয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদক নসিহত করেছেন, 'আশরাফুলের জায়গায় সুযোগ পেয়ে গত ম্যাচে রকিবুল রান পেয়েছেন। এদিক দিয়ে আশরাফুলকে বাদ দিয়ে হয়তো বাহবাই কুড়াচ্ছেন নির্বাচকেরা। কিন্তু প্রশ্নটা সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণের নয়, দল নির্বাচনে অধিনায়ক-কোচের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর।'

কিন্তু একি?

নিচে তিনি আবার কি বলছেন এসব?

'কী অদ্ভুত! যেন যুদ্ধ করে করে যুদ্ধ শেখা! মহড়ার দরকার নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামার আগে মাশরাফির যে ম্যাচ প্র্যাকটিসেরও দরকার, সেটা কি ভুলেই ছিলেন সবাই?'

মাশরাফিকে কিন্তু দলে নিয়েছেন ঐ অধিনায়ক-কোচই। তাহলে তার বেলায় 'কী অদ্ভুত' হবে কেন? কারণ মাশরাফি আশরাফুল না। আর এইখানেই নির্লজ্জভাবে প্রকাশ পেয়ে গেছে আশরাফুলের প্রতি প্রথম আলোর অন্ধ প্রেম। আশরাফুলকে যুদ্ধ শেখাতে গিয়ে ১৬৪ ম্যাচ খরচ হোক - সেটা ব্যাপার না। কিন্তু মাশরাফির বেলায় সেটা কেন হবে? দয়া করে কেউ আবার বলবেন না যেনো, নিস্প্রভ মাশরাফির ৩য় ম্যাচেও দলে থাকাটাও কেবল এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য নয়, দল নির্বাচনে অধিনায়ক-কোচের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে বলেই সম্ভব হয়েছে।

সেটা করলে যে আশরাফুলকে নিয়ে ত্যানা পেঁচিয়ে এই খবরটাই আর পরিবেশন করা যায় না!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মাশরাফি দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়। দলের প্রতি তার কমিটমেন্ট নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সে যদি মনে করে ফিট আছে, খেলবে।

প্রতিবেদকের ক্ষুব্ধ হবার কারণটা আন্দাজ করতে পারছি। বেচারা... খাইছে

কুটুমবাড়ি

দ্রোহী এর ছবি

উটপোঁদ শুভ্রের কষ্টে চউক্ষে পানি আয়া পড়ল।

বাঁশরাফুলকে এম এ জলিল অনন্ত ভাইয়ের পরবর্তী সিনেমার ভিলেনের ভূমিকায় নেয়ার তীব্র দাবি জানালাম।


কাকস্য পরিবেদনা

হিমু এর ছবি

আলুপেপারের স্পোর্টস সেকশনে কিছু সংশোধনের অযোগ্য ছাগু আছে। এই ছাগুগুলি পাকিস্তান নিয়ে প্রত্যেকদিন লোল ফেলে আর্টিকেল হাগে। আলুর স্পোর্টস পাতা দেখলে বোঝা যায় পৃথিবীতে ক্রীড়াজগত দুই ভাগে বিভক্ত। একটা পাকিস্তান ক্রিকেট, বাকিটা সব জাতির সব ধরনের খেলা।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ফারুক হাসান এর ছবি

একটা পাকিস্তান ক্রিকেট, বাকিটা সব জাতির সব ধরনের খেলা।
হা হা হা, জটিল বলছেন। প্রথম আলোর পাকিপ্রীতি প্রবাদতুল্য।

আবির আনোয়ার এর ছবি

আলুর শালারা টিমে একটা প্যঁাচ না লাগানো পর্যন্ত থামবে না মনে হয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

আমারো মূল আশংকা সেটাই। তবে আশা করা যায়, সাকিব এইসব পাত্তা দেবে না।

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

উটু শুভ্রের সাথে আলুতে তারেকমাহমুদ নামে আরেকটা নিম্নশ্রেণীর ছাগুর আবির্ভাব হয়েছে। এই গর্দভ যেভাবে সাকিবের পেছনে লেগেছে, তাতে শংকিত বোধ করছি। ২য় ম্যাচ জেতার পরে মোটামুটি সাকিবের শাস্তি-ই দাবী করে বসেছিল ছাগলটা। আজকে তার রিপোর্টিংয়ের ভাষাটা এমন---"হায় রে ফ্লাডলাইট, এ কি খেলা দেখিয়ে দিলি তুই?" একটা পত্রিকার প্রথম পাতায় যে এমন বাক্য ব্যবহার করা যায়, এইছাগু না থাকলে জানতাম না।

অতিথি লেখক এর ছবি

নিউজিল্যান্ডের পাহাড়ের চূড়ায় বসে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে আশরাফুলের স্কুপ শট মনে পড়ে যায় জাতীয় সেই অমর সাহিত্য থেকে আজ আমরা বঞ্চিত হতে চলেছি।

আহা রে। চোখে পানি চলে আসতেসে

---আশফাক আহমেদ

সবুজ বাঘ এর ছবি

পথমালো নিয়া আমরার কুনো ছে নাই। কিন্তু আছরাফুল নিয়া আছে। আইচ্ছা কছে দেহি, সাকিব আর তামিম ছাড়া বাংলাদেশ টিমে আশরাফুলের চেয়ে আর ক্যারা ভালু খেলে? ক্যারা নিয়মিত রান চুদায়? কুনো চুদানির পুলায়ই না। তাইলে আশরাফুলরে না খেলানের কী যুক্তি?

সিডন্স চুদনার ভাই আশরাফুলের ব্যাটিং শিখানের বিরাট দুলাভাই হইয়া গেছেগা মুনয়? যে পুলা সতের বছর বয়সে মুরালিরে মাইরা সেমচুরি মারে, তারে নতুন কইরা ব্যাট ধরা যে হালায় হিকায়, বুঝতে হইব তার মুনে গিয়ানজাম আছে। জেমি আহার পর থিক্যাই আশরাফুলের পিছে লাগছে চুদানির পুলায়, ওরে মাইরা খেদিয়া দিলেই আশরাফুল ঠিকই ১৫৮ নটআউট থাকা হারব।

এই রকিবুল মকিবুল বাল ছাল সবখানেই পাওয়া যায়, কিন্তু আশরাফুল একটাই। এইডা বুঝতে হইব।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আশ্রাফাল কতদিন ধইরা বালছাল খেলে তার হিসাব আছে?



অজ্ঞাতবাস

সবুজ বাঘ এর ছবি

বালছাল তো সব শালাই-ই খেলতাছে। খালি আশরাফুলেরডা ধরো ক্যা?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কারণ যেই পরিমাণ বালছাল খেলার পরে যেই পরিমাণ চান্স তারে দেওয়া হইছে সেইটা অতীতে আর কাউরে দেওয়া হয় নাই।



অজ্ঞাতবাস

ফারুক হাসান এর ছবি

আশরাফুল দ্যাশের বেস্ট ব্যাটসম্যান, খালি পব্লেম হৈল সে রান করতে পারে না। মামু, তোমার এই কমেন্ট দুই বছর আগে দিলে ঠিকাছিল, এহন দিন পাল্টাইছে। তামিম, সাকিব, মুশফিকুর, রকিবুল আর আশরাফুল - এদের ক্যারিয়ারের এভারেজ পত্থম থিকা আজ পর্যন্ত ইনিংসপ্রতি কেমন আছিল দেহো - তাইলেই বুঝতে পারবা, আশরাফুল আর আগের সেই আশরাফুল নাই। হুদা স্ট্রোক দিয়া কিছু অয় না, যদি কন্সিস্টেন্সি আর টেম্পারামেন্ট না থাহে। রোকন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা স্ট্রোক প্লেয়ার - কিন্তু সে প্রমাণ কইরা গেছে যে খালি স্ট্রোকই সব না।

জিম্বাবুয়ের হাতেকার পত্থম খেলায় আশরাফুল তো দলে আছিল, কি ফালাইছে সেইটা তো দেখছই। হ্যার লাস্ট ফিফটি বারো ম্যাচ আগে, গত জানুয়ারি মাসে করছিল, আরেক জানুয়ারি আইয়া পড়ছে পরায়। হে ১৫৮ মারছিল, ঠিক আছে। কিন্তু তাই বৈলা সে দলরে তো আর কিন্যা নেয় নাই। তুমি আমারে গত পাঁচ বছরে একটা উদাহরণ দেখাও যেহানে আশরাফুল তার ভারতের লগে করা ১৫৮ কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করা সেঞ্চুরির মত আরেকটা ইনিংস খেলছে! উলটা প্রতিবার দল যখন বিপদে, সে নিজে ফালতু আউট হয়া আরো বিপদে ফালাইছে- এইরহম উদাহরণ ভুড়ি ভুড়ি আছে।

আমার খালি একটাই পশ্ন- আর কত চান্স আশরাফুলকে দিতে ওইবো? ১৬৪ ম্যাচ খেইলা যে বান্দার এভারেজ ২৩.৩৩ সে কি গ্রেট প্লেয়ার? রকিবুল বাল ছাল অইতে পারে, কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীন না। গত পাঁচ ম্যাচে তার দুইটা ফিফটি আছে। তার ম্যাচপ্রতি এভারেজ আশরাফুলের চাইতে কমছে কম ছয় রান বেশি। রকিবুল স্ট্রোক প্লেয়ার না হইতে পারে, কিন্তু সে একজন রেস্পন্সিবল প্লেয়ার। মিডল অর্ডারে সেইটাই বেশি দরকার এহন। সে বাংলাদেশের দ্রাবিড় হইতে পারে, সম্ভাবনা আছে, কিন্তু আশরাফুল বাংলাদেশের শচিন না, সেইটা নিশ্চিত।

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

আরে ভাই...বাঙ্গালাদেশ টীমে ১০বছর লাগাইয়া খেললে আমারও দুই-তিনডা সেঞ্চুরী থাকতো, শিউর কইলাম। খাইছেখাইছে:P

বিপর্যস্ত মানুষ এর ছবি

রকিবুল ২য় ওয়ানডেতে নিজের স্বভাবসুলভ রক্ষণাত্নক ব্যাটিং থেকে বের হয়ে এসে এত চমৎকার একটা ইনিংস খেললো।তারপরও মন ভরলোনা?লাস্ট কবে খেলেছে আশ্রাফুল এম্ন একটা ইনিংস?@sobuj bagh

সবুজ বাঘ এর ছবি

রকিবালো একটা পিলিয়ার তেলাচুরাও একটা পাকি। হালার তো চেহারাই হয় নাই। উ কি বাল খেলব?

আশরাফুল যে ইনিংস খেলাইছে, ওইডা তো বিশ্ব দরবারের কুনো হালায়ই খেলবার পারব না।

আর মানসিক চাপ নিয়া ভালো খেলা যায় না। সিডন্স বুকাচুদা শুরু থিক্যাই আশরাফুলরে চাপে রাইখা দিছে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হ এখন সব দুষ সিডন্সের .... দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

সবুজ বাঘ এর ছবি

সব দুষ আশরাফুলের। বাংলাদেশ হারলেই আশরাফুলের সব দুষ? আর কেরোরই না। অন্যরা বাল হালাইতে মাটে নামে।

ফারুক হাসান এর ছবি

প্রথম ম্যাচে হারছে মূলত ব্যাটসম্যানগো দোষে। তামিম, কায়েস আর সাকিব চেষ্টা চালাইছে, মুশফিকুর ব্যাটিংয়ে ফেল মারলেও মূল কাজ কিপিংয়ে ঠিক ছিল। জুনায়েদ প্রথম ম্যাচে ফ্লপ মারলেও ইদানিং রানের মধ্যে ছিল, পরের ম্যাচেই ফিফটি মারছে। রিয়াদ খারাপ খেলছে, বাদ পড়ছে। বাদ থাকে খালি আশরাফুল। তার কন্ট্রিবিউশন কি? অগুনতি মিসফিল্ডিং, ক্যাচ মিস, জুনায়েদের রান আউট এবং নিজে চরম ফাউলভাবে আউট হওয়া। রিয়াদ বাদ পড়লে আশু বাদ যাবে না কেন?

স্বপ্নহারা এর ছবি

বন্ধু, মুশফিকরে নিয়া চিন্তার দরকার আছে...প্রতি ম্যাচে উনি কিপিং-য়ে গড়ে দুইটা ক্যাচ, দুইটা স্টাম্পিং, আর দুইটা কইরা রান-আউট মিস করে...ওইদিন ও করছে! ওরে দেশে চৈত্র মাসে নিয়া পাঁকাল মাছ ধরার ট্রেনিং দিতে হইবো! তার গুণ, ব্যাটিং-য়ে ড্যামেজ ম্যানেজম্যান্ট...কিন্তু ভাল কিপার না হইলে বাংলাদেশ অনেক ম্যাচই জিততে পারব না...টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে যুবরাজের সেই স্টাম্পিং মিস পুরা ম্যাচ শেষ করে দিছিল!

বহুত দিন আগে আশারফুলের ক্যাপ্টেন্সির সময়ে কিছু দুঃখের কথা লেখছিলাম এম্নেঃ

আরে শোন শোন দেশবাসী শোন দিয়া মন,
বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের গুণের কথা করিব বর্ণন।
কত্ত ভাল প্লেয়ার আমগো, কিন্তু কপাল মন্দ
খেলতে গিয়া মাঠে নামলে, হইয়া যায় সব অন্ধ!
আমগো টীমের কাপ্তান ছিল নামে আশার ফুল,
সে খেলতে নামলে আমরা...মাথার ছিঁড়ি চুল।
কী যে ভাল কাপ্তান ছিল- কী বলিব আর
মুখের কথা দিয়া চার মারে, বিশাল খেলোয়াড়!!
স্বপ্ন দেখতাম তারে নিয়া মারব সেঞ্চুরি,
কী করবে ভুইলা যায়...খায় শুধু মুড়ি;
যখন রান করা দরকার, হইয়া যায় আউট
দেশের মানুষ সবাই ভাবে- ব্যাটা বিশাল টাঊট।
দুইশ ম্যাচ খেলার পরে, গড় আঠার!
অনেক হইছে, মাফ চাই, এইবার খেলা ছাড়।
আমগো টীমের কোচ সিডন্স, মাথায় টাক্কু বেল
প্লেয়ারগরে কয় খালি, "ব্যাটা ধইরা খেল"!
না হয় কোন উন্নতি, কোচিং দিয়া যায়
মাস শেষে ডলার গণে, আমরা বলি "হায়"!

আমগো টীমের উইকেটকীপার...দেশের মধ্যে "বেস্ট" (!)
কীপিং করার সময় সে নেয় শুধু রেস্ট।
কত স্ট্যাম্পিং মিস করে...কত দেয় চার!
সে থাকলে আমগো দরকার তিনজন কীপার।
মুশফিকুর নাম তার, বড়ই সুন্দর গেল-মান
সে ব্যাটিং করার সময় লুঙ্গির কাছায় পড়ে টান।
আমগো আছে মহাবোলার 'নড়াইল এক্সপ্রেস'
স্লগ ওভারে বল করলে খেলা তখনই শেষ!
বাকীদের কথা আর না কইলাম ভাই
ব্যাটিং করার সময় দেখি- এই আছে এই নাই!!
এত এত বেতন পায়, ফূর্তি দিনরাত
তাগো উপরে আশা কইরা মাথায় দেই হাত।
তবু ভাই দেশের টীম- আমরা সাপোর্টার
জিতার কথা ভাবলে দেখি, জুটে খালি হার!
এমন ভাবে চলতে থাকলে- খেললে এমন মন্দ
আজকে থেকে খেলা দেখা- করে দিলাম বন্ধ!

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

ফারুক হাসান এর ছবি

দোস্ত, তোমার পর্যবেক্ষণ সঠিক। মুশফিকের আরো অনেক দূর যাইতে হবে পাইলট হৈতে। কিন্তু আমার কাছ মনে হৈছে যে পোলাটার চেষ্টা আছে, নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সরি টু সে, আশরাফুল সম্পর্কে সেটা কেউ বলতে পারবে না।

পুঁথি পুরাই পাংখা হৈছে। বহুতদিন আগের লেখা হৈলেও আশরাফুলের অপরিবর্তনীয় মনোভাবের কারণে পুঁথিটা মনে হয় কালজয়ীও হয়ে গেছে হাসি

বাই দ্য ওয়ে, কালকের খেলার টাইম কিন্তু আউগাইছে। ফ্লাডলাইটে সমস্যার কারণে বিডিটাইম সকালে শুরু হবে ডে-নাইটের বদলে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চাপ কমানোর জন্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলার পরেই ওকে দলে নেয়া দরকার। আশারাফুল এমন খেলোয়াড় যে ভালো ইনিংস খেললে দলে ঢুকতে ওর সমস্যা হবে না। কিন্তু ওকে আসলেই অনেক সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এটাও হতে পারে যে ওর উপর নানামূখী চাপ আছে। তা যা-ই হোক, পেশাদার খেলোয়াড়কে চাপের মধ্যেই রান পেতে হবে।

হক এর ছবি

ক্রিকেট খালি ব্যাট দিয়া খেলে না, সাথে মাথাও লাগে। আশরাগুল যদি মানসিক চাপের জন্য খেলতে না পারে, ওর মহল্লার ক্রিকেটই খেলা উচিত। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে চাপ ছাড়া খেলার আশা করাই উচিত না। সাকিবের উপর দিয়া ঝড় কম গেছে। ইমরুল কায়েস জানে ঘাড়ের উপর শাহরিয়ার নাফিস বইসা রইছে। এইটা চাপ না? এর গত এক বছরের পার্ফরমেন্স দেখেন। আশরাফুলের এখন ফিডার নিয়া প্যারাম্বুলেটরে বইসা থাকা উচিত। ওরে বহুত সুযোগ দেওয়া হইছে। আর পথমালোর সাম্বাদিকগো পিটায়া পশ্চাতদেশের চামড়া তুইলা নেওয়া দরকার। নিজের দলে গোলমাল লাগানোর জন্য উইঠা পইড়া লাগছে হারামির দল।

লালবাঘ এর ছবি

আসলে মানিকগঞ্জের বাঘ সাবে এট্টু ছ্যাটায়ার মানে পান করতাছে, মাগার কেউ বুঝার পার্তাছেনা খাইছে

ফারুক হাসান এর ছবি

মানিকগঞ্জে বাঘ আছে নি? আমাগো বাঘ টাঙ্গাইলা!

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আশরাফুল খেলেনি বলেই তো বাংলাদেশ জিতেছে।

কামরুল হাসান রাঙা

সবুজ বাঘ এর ছবি

হাহাহাহা। আশরাফুল খেলে নাই দেইখাই বাংলাদেশ জিতছে? হাহাহাহাহা। তাইলে পথম ম্যাচে বাংলাদেশ খালি আশরাফুলরে নিয়া মাঠে নামছিল? আর দশজনে বাল ছিড়ছিল?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সাকিব ৬৩ রানে একলাই ফাইট করছে অনেকক্ষণ।

যাউগ্গা অনেকদিন পরে চান্স পাইয়া ছিড়াছিড়িতে তার আউগাইয়া থাকাটা কিছুতেই উড়াইয়া দেওয়া যায় না।



অজ্ঞাতবাস

সবুজ বাঘ এর ছবি

তারমানে বাংলাদেশ টিমে দুইজন পিলিয়ার আছিল? একজন সাকিবুল আরেকজন আছ্রাফুল? একজন খারাপ খেলছে আরেকজন ভালো খেলছে? আর কেউ কিছুই খেলে নাই? হাহাহাহাহা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আর সবাই বালই খেলছে।

কিন্তু উই তো আর আইজকা নতুন বালফালাইতেছে না। কতদিন ধইরা বাল ফালানোর পরে ওরে বাদ্দেওয়া হইছিল খিয়াল আছে?

তুমার আছ্রাফাল প্রীতি উৎপাত শুভ্ররে ছাড়াইয়া যাইতেছে।



অজ্ঞাতবাস

সবুজ বাঘ এর ছবি

তুমাগো রকিবুল কয়দিন ভালু খেলে আমো দেহুমনি। হেহেহেহে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

রকিবুল আশ্রাফালের কফাল পুড়ায় নাই। হে তার কফাল নিজেই পুড়াইছে।



অজ্ঞাতবাস

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মতে, আশরাফুলের এই মহত্ত্বকে চিরঅম্লান করে রাখতে হলে তার তওবা করে ক্রিকেট খেলা বাদ দিয়ে ভ্যাটিকানের পোপ নির্বাচনে দাড়ানো উচিত। আশরাফুল তো বলেছেন, সাকিবের ওপর কোনো রাগ নেই আশরাফুলের। যদিও আমি বিশ্বসংসার তন্য তন্য করে খুঁজেও কোথায়ো কোনো সূত্র পেলাম না যে আশরাফুল সত্যিই এই কথাটি বলেছেন, তাতে কিছু আসে যায় না। প্রথম আলো যেমন আশরাফুলের একান্ত বিশ্বস্ত, সেরকমভাবে আশরাফুলের কাছে হয়তো একমাত্র বিশ্বস্ত পত্রিকা প্রথম আলোই। যে দিন কাল পড়ছে, সবাইকে কি বিশ্বাস করা যায়?
ফারুক ভাই, আপনার লেখার এই অংশটাও অনেকটা প্রথম আলোর রিপোর্টের মতই হয়ে গেল চোখ টিপি

প্রথম আলোর তাকে নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে এরকম রিপোর্ট লেখার পেছনে আশুর কোন হাত নেই বলে আমার ধারণা।

বাকী অংশে দ্বিমত করতে পারছি না হাসি

ফারুক হাসান এর ছবি

মানছি। সিরিয়াস টোনে লিখতে বসেও আসলে সেই টোনটা আর ধরে রাখতে পারি নি।

আশরাফুলের আসলে কোনোকিছুতেই কোনো হাত নেই। সেইটাই সমস্যা। এমন ট্যালেন্টেড পোলাটার মাথা যারা খাইছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, টিভি চ্যানেলগুলানই সকল গিয়ান্জামের মূলে চোখ টিপি তারে টক শো, ফক শো, নাটুক করতে হয়, গান গাইতে হয় গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি, খেলপো কি, পভার লগে আদিম খ্যালা খ্যালতে ব্যস্তু চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম আলোর তাকে নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে এরকম রিপোর্ট লেখার পেছনে আশুর কোন হাত নেই বলে আমার ধারণা।

হাতটা আশুর না, আশুবন্দনার। চোখ টিপি

কুটুমবাড়ি

মাহমুদ ফয়সাল [অতিথি] এর ছবি

আশরাফুলকে নিয়ে সাহিত্য রচনার অবকাশ আর আমাদের আলুপত্রিকা পায় না। লাভও নাই। একজন খেলোয়াড়কে অনবরত সাপোর্ট করতে করতে নিজেই আবিষ্কার করেছি অনেক আগেই, এই জাতীয় অখেলোয়াড়রা যতই "ট্যালেন্ট" হউক না কেন, তাদের জন্য প্রয়োজন শলার ঝাড়ু। আশরাফুল একটা সময় অনেক কিছু করে থাকতে পারে, কিন্তু তারে এখন দলের আশেপাশে রাখারও কোন অর্থ হয় না। দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন অসভ্যদের দলে নিয়ে এক বছরে বারো ম্যাচে একটা ফিফটি দেখার চাইতে রকিবুলদের মতন 'সাধারণ মানের' ছেলেদের রাখা শতগুণ ভালো আর বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয়।

আশরাফুলের অ্যাটিচিউট দেখে গতদিনও মনে হয় নাই সে কোন দ্বায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছে। তার গড় দেখলে এখন লজ্জাই লাগে! এমন না যে সে পুরানো খেলোয়াড় বলে তখন বাংলাদেশ সবসময় খালি আঙ্গুলই চুসছিলো। আর যাই হোক, ২৩ কোন গড় হইতে পারে না।

আলুপত্রিকার কথা আর বললাম না। মন্তব্যের অধিক এইসব নির্লজ্জ রিপোর্টিং। লেখাটা ভালো লাগলো ফারুক হাসান ভাই

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

সবুজ বাঘ,

১) আপনার কথাগুলো আমি মানতে পারলাম না। আপনি আশরাফুলের তিন চারটা ইনিংস নিয়ে এখনো পরে আছেন - প্রথম আলোর আশরাফুল বন্দনার মতই।

২) বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরুর দিকে আশরাফুলের দরকার ছিল। এখন আর নেই। কারন এখন আমরা প্রতিটা খেলাই জেতার জন্য খেলি। এ রকম না যে প্রতি ১০ টা খেলা খেলে ১টা বড় স্কোর ৭০-৭৫ করলেই হয়ে যাবে, যেটা আশরাফুল করে।

৩) আশরাফুলের গড় ২৩ - যেটা একজন ৪ নম্বর প্লেয়ারের ব্যাটিং গড় না - একজন বোলারের ব্যাটিং গড়। এর মানে হল, ও যদি ৪ টা খেলা খেলে তাহলে মোট রান হয় ৯২। একবার যদি সে ৭০ করে, বাকি তিনটা মিলে সে ২২ করবে - প্রতিটাতে সে ৫ -৬ করে করবে। মনে রাখতে হবে, ক্রিকেটে গড়ের হিসাবটা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন। ব্রাডমানের টেস্টে গড় - ৯৯, পন্টিং, টেন্ডুলকার, লাড়াদের ৫০-৫৫। রানের গড় বলে দেয় একজন প্লেয়ার কোন লেভেলের। হতে পারে তার ন্যাচারাল ট্যালেন্ট আছে - যেটা আশরাফুলের আছে, কিন্তু সেটা দিয়ে সে তো কিছু করতে পারছেনা। ১৬০ খেলায় শুধু তার গড় ২৩ না, ২০১০ এ তার গড় ১৮ এর মত।

৪) আপনি তামিম, শাকিব ছাড়া বাংলাদেশের আর সব প্লেয়ারকে যে পাত্তা দিতে চাচ্ছেন না আশরাফুল ছাড়া - সেটা মস্ত ভুল। ক্রিকেটে সবার কনট্রিবিউসনেই দল জিতে। শুধু খারাপ দল গুলোই একজনের উপর নির্ভর করে থাকে, যেমনটা থাকে/ছিল বাংলাদেশ। সেই আশরাফুল নির্ভর বাংলাদেশের কাল এখন শেষ। সাকিবের উপরও আমরা বেশি নির্ভর। এখান থেকে না বের হতে পারলে দলের জিততে খবর আছে - যেটা আমরা দেখেছি জিম্বাবুয়ের সাথে প্রথম খেলায়।

৫) চলুন আমরা অন্য প্লেয়ারদের দিকে দেখি। বাংলাদেশের আগের জেনারেশনে ২৩ খুব ভাল গড় হিসেবে বিবেচিত হত। কিন্তু এখন আমরা নতুন জেনারেশনে ঢুকেছি যেখানে ভাল গড় হবে ৩০ এর উপর বা কাছাকাছি। কাদের এই গড় আছে?
( ১। ইমরুল কায়েস, ২। তামিম, ৩। সাকিব ৪। রাকিবুল ৫। মাহমুদুল্লাহ, ৬। শাহরিয়ার নাফিস)
এদের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ ও শাহরিয়ার নাফিসের ফর্ম ফিরে পেলে খুব জোড়ালো কেস আছে দলে ফেরার। রাকিবুলের গড় কিন্তু ভাল - তার মানে সে চারটা খেলা খেললে গড়ে ঠিকই ৩০ কনট্রিবিউট করবে।
ইমরুল কায়েসের গড় তামিমের চাইতে বেশি। ইমরুল ও তামিম যতদিন ওপনে করছে, এত ভাল ওপেনিং বাংলাদেশ আগে কখনো করতে পারেনি। তাই শুধু তামিমের চার ছয় দেখে আনন্দিত হলেও শুরুটা স্টাবল করা ও রান কনট্রিবিউট করার জন্য ইমরুল খুবই গুরুত্বপুর্ন। এত ভাল ওপেনিং এর পরেও শুধু মিডল অর্ডারের জন্য আমরা ভাল করেতে পারি না।
জুনায়েদ ও মুশফিকের গড় আশরাফুলের মতই - ২০-২২। ওদেরকে আরো ভালো করতে হবে। তা না হলে জুনায়েদের ড্রপ হয়ে নাফিসের ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

৬) আশরাফুল ১৬০ ম্যাচ খেললে চারটা ম্যাচ ভাল খেলবেই। কিন্তু কন্সট্যান্ট পারফর্মার হিসেবে ওকে কি কখনো দলে নেয়ে যাবে? আপনি আমার দেয়া গড়ের হিসাব দেখে সেটা বিবেচনা করুন। আর ওর দশটাতে একটা ভাল খেলা দেখার জন্য দলকে ডুবানোর চ্যান্স দিতে আমি সাপোর্ট করি না। ইউটিউবে আশরাফুলের খেলা (১৬০ টার মধ্যে ৪টা ইনিংস) দেখেই অনেক মজা পাওয়া যায়।

৭) আশরাফুল খুবই ট্যালেন্টেড প্লেয়ার - কোনো সন্দেহ নেই, বাংলাদশের যে কোনো প্লেয়ারের চাইতে ন্যাচারালি গিফটেড। ও কিছুটা হাবাগোবা ধরনের - ওর বুদ্ধির কিছুটা ঘাটতি আছে। যে জন্য দেখবেন ও একইভাবে বারবার আউট হয়। কখনো নতুন কিছু শিখে না। এখন সে যদি ১৬ বছর বয়সের ন্যাচারালি গিফটেড প্লেয়ারের মত এখনো খেলে যায় - কিভাবে হবে। বোলার রা কি সব ঘাস খায় নাকি। তারাতো সবাই জানে অ্যাশের দুর্বলতা কোথায়। তাকে একই ভাবে বল করলে সে একই ভাবে আউট হয়। তার তো বোলারদের 'আউট উইট' করার জন্য শিখতে হবে, তা না হলে একজন বোলারের মত ২৩ ব্যাটিং এভারেজ নিয়েই ওকে থাকতে হবে। ন্যাচারালি গিফটেড দিয়ে কিছুই হবে না যদি না সে তা বুদ্ধি খাটিয়ে অ্যাপ্লাই করতে পারে।

৮) আমি আগে যে গড়ের হিসাব দিয়েছি, তাতে দেখা যায়, দলে জায়গা করার জন্য ও টিকে থাকার জন্য এখন ৩০ এর বেশি রানের গড় থাকতে হবে। আমাদের পাইপলাইনে আরো অনেক তরুন ব্যাটসম্যান আছে। জহুরুল, সাব্বির - এরকম। আশরাফুল এতদিন অটোমেটিক ভাবে দলে চ্যান্স পেয়েছে। এখন কমপিট করে দলে ঢুকতে হবে। সেইদিন শেষ। আমরা এখন - ক্রিকেটের ৩য় জেনারেশনে, আকরাম- নান্নু, বাশার-আশরাফুল, আর এখন তামিম-সাকিব। আশরাফুলকে আমি ২য় জেনারেশের প্লেয়ার হিশেবেই দেখি। তখন আমরা খেলতে নামতাম হারব ভেবে ও দুএকটা জিতলেই খুশি থাকতাম। সেই সময়ের জন্য আশরাফুল পারফেক্ট ছিল। এখন আমরা সব খেলাই জেতার জন্য খেলতে নামি। আশরাফুল নতুনদের সাথে কমপিট করে দলে ফিরুক সেটাই আমি চাই - কিন্তু প্রথম আলো বা আপনাদের আপডেট হওয়ার সময় এসেছে।

ফারুক হাসান এর ছবি

চলুক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আশরাফুল অমিত প্রতিভাবান খেলোয়াড়- ঠিকাসে। সমস্যা হলো- তার এই প্রতিভার কানাকড়ি না থাকা সত্ত্বেও মিচেল জনসনের গড় আশ্রাফুলের প্রায় সমান। বাংলাদেশ দল এখন প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে- একশো ভাগ সত্য। এই সময় আশ্রাফুলের মত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাউকে দলে নেয়ার চেয়ে রকিবুলের মত সাপোর্টিং ব্যাটসম্যানকেই আমি প্রাধাণ্য দেবো। রকিবুল একশো ওয়ানডে খেলেও আশরাফুলের মত ৫২ বলে ৯৪ করতে পারবে না- কিন্তু ৫২ ম্যাচে ১০এর নিচে অন্ততঃ বিদায় হবে না; ২০-৩০ সে নিয়মিত করবে।

প্রথমালোর স্পোর্টস সেকশন নিয়ে একসময় মুগ্ধতা ছিলো। সেটা ক্রমশঃ ফিকে হয় আজকাল। রিপোর্টিং এর মানের কথা বাদই দিলাম, তথ্যগত ভুল থাকলে সেটা অসহ্য লাগে। যেমন আজকের পত্রিকাতেই লেখা দেখলাম -বার্সেলোনা বনাম ওসাসুনার মধ্যের ম্যাচ গতকাল হয় নাই, পিছিয়ে আজকে নেয়া হয়েছে। প্রকৃত গঠনা হলো কালকের ম্যাচেই বার্সা ৩ গোলে জয় পেয়েছে। হয়তো এগুলো খুব ক্ষুদ্র ভুল- কিন্তু প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে এই ভুলটাই একটা ক্ষুদ্র উদাহরণ মাত্র।

ভালো টপিকে লিখেছেন। প্রথমালোর স্পোর্টস ডেস্ক নিয়ে একটা লেখা আমিও প্রস্তুত করতে চাই, একটু সময় করে।
_________________________________________

সেরিওজা

ফারুক হাসান এর ছবি

সুহান, লেখা নামিয়ে ফেলেন তাড়াতাড়ি। মনের মাধুরী মেশানো রিপোর্টিং হয়ত জনগণের পড়তে ভালো লাগতে পারে, কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে তার ফল ভয়াবহ হবে। যারা 'আশরাফুলকে দলে চেয়েছিলেন সাকিব-সিডন্স' রিপোর্টটা পড়েছেন তাদের অনেককেই দেখছি কমেন্টে, ফেসবুকের স্ট্যাটাসে আশংকা প্রকাশ করেছেন যে এই ধরণের রিপোর্টিং দলে কোন্দল ছড়াতে পারে। এই আশংকা একদম অমূলক নয়।

সবাই আশরাফুল নিয়ে মেতে আছে। সে একটা কেস। কিন্তু সার্বিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা জরুরী।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

যুগান্তরেও লাগলো ক্যান টিমের পিছে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

ফারুক হাসান এর ছবি

এর কথা বলছেন?
পড়ার সময় মনে হলো মানব্জমিন (ট্যাবলয়েড) পড়ছি খাইছে

ইশান এর ছবি

প্রথম আলোর কথা জানিনা তাই কিছু বললাম না।

আশরাফুল খারাপ খেলছে বাদ পরছে এইটা মানতে কোন সমস্যা নাই।কিন্তু তারে যেইভাবে গালাগালি...গরু,ছাগলের মাথা কেটে তার মাথা বসান হচ্ছে(ইত্যাদি) সেটা কিন্তু খুবই পীড়া দায়ক।যেন মনে হয় এইছেলেটা কখন ভাল খেলে নাই এবং এরে ধরে ডাস্টবিনে পাঠানো হোক।।একটা কথা কই(ছোট মুখে) বাঙ্গালী আশরাফুলের শ্রাদ্ধ তো মোটামুটি complete করছে..সাকিবের মইটা কবে সরায় সেইটাই দেখার বিষয়।(হাবিবুল বাশাররেও কিন্তু আমরা ছাড়ি নাই)।।

ফারুক হাসান এর ছবি

প্রথম আলোর কথা না জানলে বদলে দিবেন, বদলে যাবেন কীভাবে ভাই? সবাই আশরাফুলের মুণ্ডপাত করতেছে তার সাম্প্রতিক (মানে গত পাঁচ বছরের) ফর্মের কারণে। এমনি এমনি না। এই পোস্টের কমেন্টেই অনেকে একদম যুক্তি ও তথ্যসহ আশরাফুলের মহিমাকীর্তন করছেন, দয়া কইরা সেগুলাতে একটু চোখ বুলান। আবেগ ভালো জিনিস, কিন্তু আবেগের মরা লাশ কান্ধে আর কতদিন টানবেন সেইটা হৈতেছে আসল প্রশ্ন। যে যুক্তি আর ডাটা আসছে এখানে তার বিপরীতে ক্রিকেট দুনিয়া ঘাইটা খালি একটা উদাহরণ আনেন যেখানে কোনো খেলোয়াড়কে তার সাত/দশ বছর আগের সিরাম পারর্ফমেন্সের কারণে ফর্মহীন থাকলেও দলে নেয়া হৈছে। আশরাফুল ছাড়া আর কাউকেই পাইবেন না। আশরাফুলের অবদান তো কেউ অস্বীকার করতেছে না। কিন্তু সেই অবদানের বদলা হিসেবে তারে কি বেশিই সুযোগ দেয়া হয় নাই? আর কত?

আর কথায় কথায় বাঙালির প্রসঙ্গ টানা ঠিক না। ক্রিকেট খালি বাঙালি খেলে না, আশরাফুলের ভক্তও খালি বাঙালিরাই ছিল না, অবাঙালিরাও ছিল। তারা কিন্তু এখন তামিম-সাকিবের ভক্ত।

অতিথি লেখক এর ছবি

আলু পত্রিকাকে নিয়ে বলার কিছু নাই।
তবে আশরাফুলকে নিয়ে কথা বলা এখন সবচে নিরাপদ। ব্লগ লিখলে, ফেসবুক স্টাটাস দিলে অনেক কমেন্ট, লাইক, নোটিফিকেশন পাওয়া যায়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারল, কারণ আশরাফুল খেলেছে। দাও গালি, ঝোলাও গলায় মুলা! পরের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতল, তার কারণও নাকি আশরাফুল খেলে নাই!!!
বাংলাদেশ টিমে আলোচনার আর কোন বিষয় বস্তু নেই!!
আশরাফুল বাজে খেলার কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাদ পড়েছে, মাঝে জাতীয় লীগে একটু ভাল খেলে আবার টিমে এসেছে, খারাপ খেলে আবার বাদ পড়েছে।
সহজ সরল ব্যাপার। পারফর্ম করতে পারলে আবার টিমে আসবে। কিন্তু ঐ যে!! কাউকে গালি দিতে না পারলে তো পেট ভরে না।
শুধু চিন্তা করি আশরাফুল যদি আইসিএল খেলত কিংবা অভিমানী "ফ্লিনটফ রকিবুল" এর মত অবসর নিয়ে আবার অবসর ভাঙত, তাহলে কী হত!! অামরা আরও কিছু মুলা, বদনা, কলা কিংবা গাধা, ছাগল টাইপ পোস্ট পেতাম। আর পরবর্তী টার্গেটও প্রস্তুত। নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি।

ফারুক হাসান এর ছবি

আলু পত্রিকাকে নিয়ে বলার কিছু নাই।

বুজছি। খালি এই লাইনটা লিখলেই হৈত ভাই। নিচের এত ব্যাখ্যা না দিলেও চলতো। হাসি
ভালো থাকবেন।

অভদ্র এর ছবি

@সবুজ বাঘ

সবুজ বাঘ এর মন্তব্য গুলোতে এত গালাগালি কেন? উনি তো দেখছি খুব ভদ্র পরিবার থেকে এসেছেন! হাজার হোক, "ভদ্রতায় বংশের পরিচয়"| তা ভাই, এইসব ভদ্রতা কি আপনের বাপের কাছ থেকে শিখছেন নাকি মায়ের কাছ থেকে?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

গালাগালি মনে হয় না কেউ মাবাবার কাছ থেকে শেখে। এইসব ফিউডাল প্যারাডক্স থেকে বের হন।

মন্তব্য বা লেখার বক্তব্যে মনোযোগ দিতে শিখুন।

মাস্টারির জন্য দু:খিত।



অজ্ঞাতবাস

সাফি এর ছবি

একটা সময় ছিল আমরা প্রতি ম্যাচ খেলতাম 'হারানোর কিছু নেই' হিসেবে। এই না হারানোর দিনগুলোর মাঝে হঠাৎ করে একটা দিন আসত যেদিন আশরাফুলের উপর লারা/শ্চীন ভর করত আর তাতে ভর করে বাংলাদেশ জিতত বা সম্মান রেখে হারত। আর সেই আশায় আমরা আশরাফুলের দিকে প্রতি ম্যাচে তাকিয়ে থাকতাম। দিন বদলেছে। দলে ম্যাচ উইনারের সংখ্যা বেড়েছে, সুতরাং আশ্রাফুলের সেইসব স্পেশাল মূহুর্তের আশায় তাকে বয়ে নিয়ে বেড়ানোর আর মানে হয়না। স্পেশালদের ছাড়াই কয়েকজন সাধারনের প্রচেষ্টাতেই আমরা ম্যাচ জিততে শিখেছি।

ব্লগার সবুজ বাঘের ব্লগ ভাল লাগে, কিন্তু আশরাফুলপ্রেমে একগুয়েমিমূলক কমেন্ট দেখে অবাক হলাম, উৎপল শুভ্রকে আর গালি দেই কেন আমরা? আন্তার্জাতিক খেলার চাপের কথা বাদই দিলাম। ঘরোয়া খেলার কিছু তথ্য ক্রিকইনফো থেকে নিচে দিলাম -

খেলোয়ার - প্রথম শ্রেণীর খেলায় গড় / একদিনের খেলায় গড়
আশ্রাফুল - ২৮,২৮/২৩,৫৩
মুশফিক - ২৯,২০/২৫,৬৫
ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স - ৩৯,১০/৩৩,৯৮
জহুরুল - ৩৬,২৬/২৫
মাহমুদুল্লাহ ৩৫,২৯/২৯,৮৩
জুনায়েদ ২৫,২৩/২৪,৫৫
রাজিন ৩৫,৪১/২২,৩০
নাফিস ৩১,১৪/৩০,৮৩
কাপালি ২৭,১০/২৫,৮৩
সাকিব ৩২,৮৬/৩২,৬৯
রকিবুল ৩১,৬৭/২৭,১১
নাঈম ৩৫,৭৬/৩৩,৭৭
তামিম ৪০,৬৬/২৯,০৮

আশ্রাফুলের চেয়ে কমগুলোকে বোল্ড করে দিলাম

ফারুক হাসান এর ছবি

এই সিরিজে তো রাজিনকে দলে নেয়া হয় নাই। তাহলে আশরাফুলের বাদ পড়াতে এত হৈচৈ কেন? তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, প্রথম ওয়ানডেতে আশরাফুল এত খেলোয়াড় টপকে দলে আসে কীভাবে? ওয়ানডে এভারেজ বিবেচনায় তো আশরাফুল কেবলমাত্র রাজিনের চেয়ে ভাল।

দাদাভাই [অতিথি] এর ছবি

প্রথম ওয়ান-ডের মতো একইভাবে, এশিয়ান গেমস এ আশরাফুল আফগানিস্তানের বিপক্ষে আউট হয়েছিল, দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে।

ভাগ্যিস, অল্পের জন্যে স্বর্ণপদক হাতছাড়া হয়নি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ক্রিকেটের দল নির্বাচনের সময় সবার আগে যেটা মাথায় রাখা জরুরী সেইটা হলো, "ইনফর্ম" আর "আউট অফ ফর্ম"। এর বাইরে কে কতবড় নাপিত, কে কবে কতো আঁটি কী ফেলছে, সেইটা নিয়া ভাবনা চিন্তা করা কাবাডি'তে চললেও চলতে পারে, ক্রিকেটে না।

আর আশরাফুলের মতো আউট অফ ফর্ম খেলোয়াড় নিয়া বিশাল বড় রিপোর্ট ফেঁদে ফেলা আলু পেপারের স্পোর্টস ডেস্কের জন্য একটা ফটুক নজরানা হিসাবে দিলাম।

auto










বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দ্রোহী এর ছবি

উটপোঁদ শুভ্র

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি


কাকস্য পরিবেদনা

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

পোস্টটা ভালো লাগছে, মনের কথাগুলো বলেছেন। কাল প্রথম আলোর অপ্রয়োজনীয় মাত্রার আশরাফুল-ফোকাসিং দেখে বেশ বিরক্তই হয়েছিলাম। সদ্য হ্যাট্রিক করা রাজ্জাক একটা স্পেস দাবী করে স্পোর্টসের ঐ পাতায়।

তামিম, ইমরুল, জুনায়েদ, সাকিব, রকিবুল (এমনকি ফর্মটা আবার ফিরে এলে রিয়াদ/মুশফিকও) -- এই নতুন প্রজন্মের দেয়াল ভেদ করা যে আশরাফুলের জন্য কঠিন হবে সেই বাস্তবতাটা এখন আমাদের মেনে নিতে হবে। আশরাফুলের অসুরীয় স্ট্রোকগুলোকে একটা চান্স হিসেবে কাজে লাগানোর ফ্যান্টাসী থেকে বের হয়ে আসা হয়তো এখনও আমাদের ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকের জন্য কঠিন, তবে সেটাকে ব্যাটিং লাইনাপের শুরুর দিকে রাখার দিন আর নেই।

আশরাফুল এখন হতে পারে স্লগ ওভারের একটা হাতিয়ার, তবে এখানে তার প্রতিদ্বন্দী অনেক, ইনফর্ম নাঈম, শুভ থেকে শুরু করে অলক, আফতাবসহ এরকম আরো অনেক খেলোয়াড়ই শর্টস্প্যান তাউড়া বাড়িতে আশরাফুলের সমান পর্যায়েরই। ফলে ফিল্ডিংয়ে ভয়ানক মাত্রার উন্নতি ছাড়া আশরাফুলের আসলে জাতীয় দলে টিকে থাকার তেমন সম্ভাবনা নেই।

একটা কথা আমাদের ক্রীড়াসাংবাদিকদের বুঝতে হবে, যেটা হলো বাংলাদেশীদের বেলায় ব্যাটসম্যানদের ফিটনেসের বয়স অস্ট্রেলিয়া/ইংল্যান্ড তো দূরের কথা এমনকি ভারত পাকিস্তানীদের মতোও নয়।
আমাদের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে ভালো ফর্মের বয়েস মনে হয় ২৫ এর দিকে। এরপর ফর্ম খুব দ্রুত নিন্মগামী হয়। কাজেই আশরাফুলের আসলে বয়েস শেষ। আশরাফুলকে চান্স দিয়ে দেখার চেয়ে নতুন সম্ভাবনাময় শামসুর, শুভাগত হোম, জহুরুলরা বেশী মনোযোগের দাবী রাখে।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

সবুজ বাঘ ভাই আপ্নের দলে আগে আছিলাম, কিন্তু দল চেঞ্জ কইরা লাইসি বছর খানেক হইলো।

আশরাফুল রে চালাইতে হইলে এখন রাইতে চালাইতে হইবো। মানে অ বাতিল মাল অয়া গেছেগা। আপ্নে ১০ ম্যাচে একটা ৫০ মাইরা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান কিংবা রশীদ লতিফের মতে এখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আফগানিস্তান দলে চান্স পাইতে পারেন কিন্তুক বাংলাদেশ দলে খেলতে হইলে এখন আপ্নেরে ৩ ম্যাচে একটা তে ৫০ বা তার বেশি করতে হবে নাইলে দেখবেন নেক্সট সিরিজে আপ্নে শিক্ষামূলক শাস্তি হিসেবে দলের বাইরে e.g. (এর মানে কি আল্লায়ই জানে) শাহরিয়ার নাফিস। ভালো খেলোয়াড় কিন্তুক বেশি বেলাল; খেলার চেয়ে কথা বেশি কয়।
যাই হোক আশরাফুলরে বিরাট ভালু পাইতাম আমার লগে নামের মিল আছে দেইখা আর দারুণ শট খেলে দেইখা, এখন কামের মিল খুজি।
চিনি ফারুক লেখা সিরাম অইছে।
..................................................................
শ্যামল (আসল নাম আশরাফুল)

ধুসর গোধূলি এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দ্রুত দুইটা পড়া মানে আবার ভালো। মানে নতুন করে শুরু করা আরকি। এরা তো ভালোই এগোচ্ছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভালো আর খারাপ পিপিদা, আমি খেলা দেখতে বসলেই তো মড়ক লাগা শুরু হয়!
খেলা তো হচ্ছে ভালোই। উইকেটে তো আহামরি কিছু নেই মনে হচ্ছে। সামান্য ময়েশ্চার থাকতে পারে ম্যান্দামারা আবহাওয়ার কারণে। তবে এইটা হয়তো ব্যাপার না। মাথা পরিষ্কার রাইখা খেলতে পারলেই হৈলো। আজকা হারলে আলু গ্রুপের আশু বন্দনার জ্বালায় টেকা দুষ্কর হয়ে যাবে।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ফারুক হাসান এর ছবি

মুশফিক কি পাগলাপানি খায়া নামছে নাকি আজকে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

শুধু আশরাফুলের জন্য বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে হেরেছে, এটা বললে আশরাফুলকে বড্ড বেশি পাত্তা দেয়া হয়ে যায়। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে আশরাফুলের ট্যালেন্ট আছে কিন্তু শুধু ট্যালেন্ট থাকলেই যে সব হয়না এরকম উদাহরণ ভুরিভুরি আছে।
আশরাফুলকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়েছে ওর ট্যালেন্টের সদব্যাবহার করার জন্য কিন্তু ও ব্যর্থ হয়েছে।
আমাদের এখন সামনে তাকানোর সময়, বারবার একই ভুল করার মত বিলাসিতা আমরা এখন করতে পারিনা। তবে আশরাফুল যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে এক্সট্রা অর্ডিনারী কিছু করে তাহলে ওকে আবার দলে সুযোগ দেয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশের ওউয়ান ডাউনে অবশ্য এখনো ভালই সমস্যা। জুনায়েদ তেমন ধারাবাহিক না। এই সিরিজে শাহরিয়ার নাফিসকে সুযোগ দেয়া উচিত ছিল, ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে খারাপ খেলেনি।

পাগল মন

স্পর্শ এর ছবি

সাকিব কি মানুষ নাকি অন্যকিছু!
ঠিক যখন যেভাবে খেলা দরকার, ঠিক তখন সেভাবই সে খেলে!
ক্রিকেটের ঈশ্বর থাকলে সাকিব হইতো তার প্রেরিত-প্লেয়ার!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফারুক হাসান এর ছবি

ভাই, সাকিব মানুষ না, অমানুষ! সাকিব তুমি এগিয়ে চলো!!!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভয়ে ভয়ে ভাবি এই বুঝি শেষ। কিন্তু না, ছেলেটা সবসময়ই নির্ভরতার সাথে খেলে। এরকম খেলোয়াড় আমাদের আছে তা বিশ্বাস হতে চায় না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মুশফিকের আসলেই পানিশূন্যতা ব্যারাম হৈছিলো আজকে। হালায় জোয়ান মানুষ, খিইচ্যা বাড়ি দে, তা-না আমাশার রোগীর মতো মেইরা বাড়ি দিয়ে আউট! তবে আশুরামের চাইতে হাজার গুণে ভালো খেলছে মুশফিক।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ফারুক হাসান এর ছবি

রকিবুল আর জুনায়েদ গত ম্যাচে ফিফটি মেরে ওয়ান আর টু ডাউন পজিশঅন বুক করে ফেলছে। আজকে বুক করলো মুশফিক। তামিম আর সাকিব অটোমেটিক চয়েস। কায়েসের সাথে কম্পিটিশঅন নাফিসের।

আশুর কপাল আসলেই পুড়লো। আজকে নাঈম খালি দুইটা ছক্কা মারলেই হৈছে, সাত নম্বর পজিশনো শ্যাষ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমি এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ টিম নিয়ে আশাবাদী (অতি অবশ্যই আশুরামের মতো মৌসুমি ব্যাটসম্যান বাদ্দিয়া)। কী ম্যাচটারে কৈত্থাইকা কৈ নিয়া গেছে! (তালিয়া)



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ফারুক হাসান এর ছবি

(তালিয়া)

খালি পাওয়ার প্লে কখন নেয়া লাগে সেইটা শিখতে হবে। বজ্জাতগুলান শেষে আইসা ডুবাইতেছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পাওয়ার প্লে'তে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স কেমন? যদি নিয়মিতভাবে খারাপ হয়ে থাকে, তাইলে সাকিবের ডিসিশন ঠিকই আছে। কারণ, আগেই মারতে গিয়ে আউট হওয়ার চেয়ে শেষের দিকে আউট হওয়া অনেক কাজের।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ফারুক হাসান এর ছবি

আজকে সাকিব খুবই ভুল সিদ্ধান্ত নিছে, মুশফিক থাকতে থাকতেই পাওয়ার প্লে না নিয়া। ৩৯/৪০ ওভারের দিকে পিপি নিলে মুশফিক আউট হয় না এবং দুইজনে মিলা অনেক রান করতে পারত, অন্তত একজন সেঞ্চুরি পাইতো, দলের রান হৈত ২৬০+
আরেকটা ভুল সিদ্ধান্ত মাশরাফির আগে শুভকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো। মাশরাফি এক ওভার পেয়েই রান ২৪৬য়ে নিইয়ে গেছে। আরো আগে নামলে ৪৬/৪৭ ওভারে রান আরো ১০টা বেশি আসতো।

যাই হোক, ওভারঅল, বিরাট বিপর্যয় থেকে এতদূর আসছে। মুশফিক আর সাকিবকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

বোলিং এর সময়ে ক্যাপ্টেন্সি দারুণ হচ্ছে। আবহাওয়া পেসারদের হেল্প করছে, তাই সাকিব নিজে এখনও অ্যাটাকে আসে নি। এর মধ্যে ৫ উইকেট নাই।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অনিন্দ্য এর ছবি

শেষের দিকে নাঈম আর মাশরাফি ভালোই খেলছে। এই ম্যাচ জেতা উচিত।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ব্ল্যাডি এক্সিলেন্ট বাংলাদেশ দল (তালিয়া)

মিডল অর্ডার দায়িত্ব নিয়া কেমনে খেলে আশু এবং তার সমর্থকগোষ্ঠীর জন্য আজকের ম্যাচ একটা যথাযথ উত্তর হয়ে থাকলো।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অনিন্দ্য এর ছবি

শেষ ১০ ওভারে ৭৫ রান নিছে। হাসি

জি.এম.তানিম এর ছবি

আশরাফুলের সাথে কারো ব্যক্তিগত শত্রুতা নাই। বাংলাদেশ দলে আশরাফুল যে পরিমাণ সুযোগ পেয়েছে, আর কেউ এতটা পায় নি। তারপরেও তার গড় সেই কোথায় পড়ে আছে। আমার যেটা মনে হয়, তার প্রয়োজন থেরাপি। তার যোগ্যতা যে নেই তা নয়, কিন্তু একজিকিউশনে সমস্যা। ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া হয়ে হয়তো এতদিনে সেই থেরাপির ব্যবস্থা করা হতো, আমাদের দেশে এই ধরনের সমস্যাকে কেউ গা করে না, অনেকে হয়তো হাসাহাসি করবে তাই এসব নিয়ে কথাও বলে না।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই”

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

রবি [অতিথি] এর ছবি

মাশরাফির ফর্মে ফেরা দেখে খুব ভালো লাগলো।মাশরাফি সাথে তো প্রথম আলোর খাতির খারাপ না।হঠাৎ পোলাটার পিছে লাগলো কেন? মন খারাপ
আসলে প্রথম আলো সবসময় সফলদের পিছে থাকে।আশরাফুলের ক্ষেত্রে ও একটু বোকাসোকা বিধায় ওরে এখন সাপোর্ট দিলে পরে ফায়দা পাওয়া যাবে।তবে আশরাফুলকে প্রথম আলোর মত এত উপরে উঠানো ঠিক না আবার বেশি পঁচাইলে ভালো দেখায় না।বিশ্বকাপে ওর জায়গা হবে কিনা তা দেখার জন্য শেষ ওয়ানডে তে সুযোগ দিয়ে দেখা যেতে পারে।এইখানে (নিশ্চিত)ব্যর্থ হলে কেউ আর ত্যানা প্যাঁচানোর সুযোগ পাবে না।

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

ফারুক হাসান লিখেছেন:
মানছি। সিরিয়াস টোনে লিখতে বসেও আসলে সেই টোনটা আর ধরে রাখতে পারি নি।

আশরাফুলের আসলে কোনোকিছুতেই কোনো হাত নেই। সেইটাই সমস্যা। এমন ট্যালেন্টেড পোলাটার মাথা যারা খাইছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।


আশরাফুল চাপ হ্যান্ডল করতে পারে না.. এইটাই ওর ব্যাটিং নষ্ট করসে.
I miss the batting of aftab ashraful also.. but alas they are not the same as they were..

ইশাণ [অতিথি] এর ছবি

আবেগ ভালো জিনিস, কিন্তু আবেগের মরা লাশ কান্ধে আর কতদিন টানবেন সেইটা হৈতেছে আসল প্রশ্ন।

প্রথমেই বলছি বাদ দিছে ভাল।অনেক সুযোগ পাইছে কামে লাগাতে পারে নাই এইটাও মানলাম।জনগন ওর উপ্রে বিলা এইটাও ঠিক।বিশ্বে অন্য দেশে খেলোয়াড়গো কঠোর সমালোচনা এবং দলে সুযোগ পাওয়া আরো কঠিন তাও ঠিক কইছেন।কিন্তু বিশ্বে আর কোন দেশে (মা বাবা) তুলে গালাগালি করে খেলায় ব্যর্থ হলে এইটা বলতে পারেন।।এসিয়া কাপে ও ব্যর্থ এইটা ঠিক কিন্তু সেই কিন্তু ক্যাপ্টেন ছিল এবং বাংলাদেশ সোনা জিতছে। বাদ দিছে ঠিক করছে।।কিন্তু আমার মনে হয় আরো কিছুটা সম্মান তারে দেখান যায় (সেইটা যে তারে দলে নিয়া আমি তাও বলছি না)।।তাই আপনার আসল প্রশ্ন আর আমারটা একই।খালি লাইন টা আলাদা।।

ফারুক হাসান এর ছবি

মা-বাবা তুলে আশরাফুলকে কেউতো গালি দিচ্ছে না। বরং আশরাফুল অনেক ক্ষেত্রেই অনেক বেশি সৌভাগ্যবান। এতদিন দলে নেগেটিভ কন্ট্রিবিউশনের পরও সে অনবরত সুযোগ পেয়ে গেছে। পৃথিবীর অন্য দেশে এরকম হলে মিডিয়া তাকে নাঙ্গা করে ছাড়তো। অথচ, প্রথম আলোর কাছ থেকে এখনো কেমন জামাই আদর পাচ্ছে দেখুন!

রু [অতিথি] এর ছবি

আমার মতে সাকিবের man of the match হওয়া উচিত ছিল। যেখান থেকে সে দলকে টেনে উঠিয়েছে, সেটা সত্যি প্রশংসনীয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

সাকিবের সাথে কিন্তু মুশফিকও ছিল। দুজনের অবদানই কম নয়। এদিকে বোলিংয়ে বলতে গেলে রাজ্জাক একাই জিম্বাবুয়ের মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে। শফিউরও উইকেট পেয়েছে কিন্তু তার আগেই রাজ্জাক কাজ সেরে রেখেছিল। মনে রাখতে হবে ২৪৭ রান এই উইকেটে খুব টাফ কিছু ছিল না। কিন্তু রাজ্জাকের ৪ উইকেট পাওয়ার সাথে সাথেই জিম্বাবুয়ের হার নিশ্চিত হয়ে গেছিল।

আব্দুল্লাহ এ এম এর ছবি

অনেক দিন আগের কথা, তখন বাংলাদেশের খেলার একটাই পরিণতি ছিল, পরাজয়। তেমনি এক সময়ে বাংলাদেশ গেছে জিম্বাবুইতে, যথারীতি পরাজিতও হচ্ছে। একদিন এক ওয়ান ডে ম্যাচে হটাৎ দেখি নাবালগ এক ছোকরাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু ছোকরার ব্যাটিং দেখে চমকে উঠলাম। বাংলাদেশ টিমের প্লেয়াররা তখন ব্যাট করে টিমটিম কইরা, কোনরকমে ৫০ ওভার খেলতে পারলেই বেজায় খুশী, কিন্তু সেই ছোকরা ১০-১২ বলের ছোট্ট ইনিংসটাতে কভার এক্সট্রা কভার মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে এমন কয়েকটি কতৃত্বপূর্ন শট খেললো যে টিভি ভাষ্যকারেরা ম্যাচটির ফলাফল নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু করলো, সে আউট হয়ে যাওয়ার পরও অনেকক্ষন ধরে সেই ব্যাটিংয়ের সৌরভগাঁথা তাদের কন্ঠে অনুরণিত হতে থাকলো। কি কারনে জানি না, এর পরের ম্যাচগুলোতে তাকে আর নামানো হলো না।
এর কিছুদিন পর বাংলাদেশ গেল শ্রীলংকায় টেষ্ট সিরিজ খেলতে, সেখানে ছেলেটি এক অবিস্মরণীয় কান্ড করে ফেললো, অভিসিক্ত হয়েই কনিষ্ঠতম খেলোয়ার হিসেবে সে একটা শতরান করে ফেললো। ব্যাস, আর কি চাই, ছেলেটাকে একেবারে আকাশের চুড়ায় তুলে ফেলা হলো। আর শুরু হয়ে গেল উপদেশবর্ষন, এ ভাবে খেলো, ওভাবে খেলো। ক্রিকেট দলগত খেলা, এককভাবে কেউই দলকে টেনে তুলতে পারে না, গাভাস্কার পারেন নি, টেন্ডুলকার পারেন নি, লারাও পারেন নি! আশরাফুলও পারেন নি। পরাজয় বাংলাদেশের ললাটলিখনই হয়ে রইল, তবে তার মধ্যে হটাৎ হটাৎ ফুটতে লাগলো আশার ফুল।
দিন অনেক গড়িয়েছে, নানাজনের নানা উপদেশ আশরাফুলের খেলার স্বাভাবিক যোগ্যতা বিনষ্ট করেছে অনেক আগেই। এখন সে যেদিন ওয়ান ডে ম্যাচ খেলতে নামে, মনে হয় টেষ্ট খেলতে নেমেছে। ক্রমাগতভাবে বল ডিফেন্স করে যেতে থাকে। তারপর যখন অনেকগুলো বল নষ্ট হয়, তখন স্বভাবিক শটের বদলে অস্বাভাবিক সব শট খেলায় মনোনিবেশ করে, যেমন মিড উইকেটের উপর দিয়ে তুলে মারার চেষ্টা, যে কোন বলে পুল খেলার চেষ্টা, যে কোন বলে স্কুপ করার চেষ্টা, স্লিপের মধ্য দিয়ে বল গলিয়ে দেয়ার চেষ্টা, ইত্যাদি। ক্রিকেটে যে ষ্ট্রেট ব্যাটে খেলা বলে একটা জিনিষ আছে, তা যেন সে বেমালুম ভুলে বসে থাকে। আবার টেষ্ট ক্রিকেটে সে ক্রিজে এসে সেট হওয়ার আগেই বাহারী ড্রাইভ খেলতে উদগ্রীব হয়ে পড়ে। ফলাফল, অসময়ে অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে আউট। এভাবে দীর্ঘদিন থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটে সে একজন রং হেডেড খেলোয়ার। এরকম একটি মাত্র বাজে শট খেলে বিনোদ কাম্বলীর মতো প্রতিভাবান খেলোয়ার চিরদিনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলে অপাংতেয় হয়ে গেছেন, কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়, আশরাফুল বারংবার সুযোগ পেয়েছেন এবং বারংবার একই দোষের পুনরাবৃত্তি করে গেছেন। তারপরও তার বিদায় ঘটে নি, কারন বিগত দিনের বহু প্রথিতযশা খেলোয়ার এখনও তার প্রতিভাদৃপ্ত খেলার জাবর কাটেন। আশরাফুল বাদ পড়লে তারা সংশ্লিষ্ট সবার মুন্ডুপাত করেন, সংবাদ সন্মেলন করে, পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে, ফিচার লিখে বোর্ডের তীব্র সমালোচনা করেন। এবারও আশরাফুল হয়তো বাদ পড়তেন না, যদি না তার বিরুদ্ধে গণরোষ এত তীব্র হতো, আর কর্তাব্যাক্তিরা যদি গণমানুষের উপলব্ধিটা সময়মতো অনুধাবন করতে ব্যার্থ হতো। গুডবাই আশরাফুল, মিনমিনে বাংলাদেশের যুগে কয়েকটি পৌরুষদীপ্ত ইনিংস খেলার জন্য আমরা তোমাকে চিরদিন স্মরন করবো।

ফারুক হাসান এর ছবি

চলুক

আরিফ জেবতিক এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।