ঘোলা কাচের প্রতিবিম্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৪/০৩/২০০৮ - ১১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক. দুঃস্বপ্নের হাতছানি

দৌড়াচ্ছি অনেকক্ষণ ধরে। চারপাশে ঘন জঙ্গল। গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা। সরু একটা পথ ধরে দৌড়াচ্ছিলাম, কোথায় কখন যে সেটা হারিয়ে ফেলেছি খেয়ালও করিনি। মাঝে মাঝে বিজলী চমকাচ্ছে। বৃষ্টির বেগও বেশ বেড়েছে হঠাৎ করেই! পিচ্ছিল হয়ে গেছে পথটা আরো বেশি। এর মাঝেই কয়েকবার পিছলে পড়েছি। হাত পায়ের চামড়া ছিলে গেছে অনেক জায়গায়। জ্বালা করছে। কিন্তু সেদিকে নজর দেবার মত অবস্থা নেই, এমনকি কোন ব্যথাও অনুভব করছি না। কারন পেছনে ওদের পায়ের আওয়াজ পাচ্ছি। বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে মনে হচ্ছে। কারন গাছের পাতায় বৃষ্টির আওয়াজ আর অবিরাম বজ্রপাতের মাঝেও ওদের পায়ের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি মনে হচ্ছে! একটানা দৌড়িয়ে খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি। আর কতক্ষণ ওদের কাছে ধরা না দিয়ে ছুটতে পারব, বুঝতে পারছি না। আর, একবার ধরা পরলে যে কি হবে, ভাবতেই শিউরে উঠলাম! অজান্তেই ছোটার গতি বেড়ে গেল কিছুটা। বুকের ভেতরে যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে কেউ। আশেপাশে কোথাও বিকট শব্দে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ল। কড়াৎ করে বাজ পড়ল আবার। দিনের আলোর মত উজ্জ্বল হয়ে গেল চারপাশ। হঠাৎ করেই শিরদাড়া বেয়ে ভয়ের একটা স্রোত বয়ে গেল। তীব্র ভয়ে মানুষ যে আক্ষরিক অর্থেই বোধশক্তিহীন জড় বস্তুতে পরিণত হতে পারে, তার কিছুটা নমুনা পেলাম! কয়েক পা সামনেই বিশাল এক খাদ। রাস্তা হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেছে এখানে। খাদের গভীরতা বোঝা যায় না কিন্তু খাদের অপর প্রান্ত দেখেই বোঝা যায় যে একবার পড়লে আর রক্ষা নেই! কপালটা যথেষ্ট খারাপ মনে হল। কারন যে গতিতে দৌড়াচ্ছিলাম, তাতে করে প্রাণপন চেষ্টা করেও তাল সামলাতে পারলাম না। একদম শেষ মুহুর্তে পা হড়কালো। ততক্ষণে আমি মরিয়া হয়ে চারপাশ হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছি যদি কোন কিছুতে হাতটা আটকায়। বৃথা চেষ্টা, হাতের নখ উপড়ে গেল, কিন্তু তবুও পিছলে যাবার গতি রুখতে পারলাম না। পতন অবধারিত বুঝতে পেরে কেন যেন ফাঁকা হয়ে গেল ভেতরটা। ঠিক সেই মুহুর্তে চিৎকার বেরিয়ে এল, দুনিয়া কাপিয়ে। খাদের অতলে তলিয়ে যাচ্ছি, চারপাশ শূন্য, হাত পা ঝাপটিয়েও ধরার কোনকিছু পেলাম না। ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি ...

ঘুমটা ভাঙল ঠিক এরকম মুহুর্তে, চিৎকার দিয়ে। হাপরের মত ওঠানামা করছে বুক। সারা গা ঘামে জবজব করছে। বিছানার পাশের টেবিলে রাখা ঘড়ির লুমিনাস ডায়াল দেখে বুঝলাম রাত বাজে তিনটা সাইত্রিশ। দূরে কোথাও বাজ পড়ল। বাইরে বেশ ভালরকম ঝড় হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে। জানালাটা খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, বিকট শব্দে বাড়ি খাচ্ছে। বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠেছি বুঝে উঠতে আরো কিছু সময় কেটে গেল। মাথাটা পুরো ভোঁ ভোঁ করছে। প্রবল পানির পিপাসা পেয়েছে। খুট করে টেবিল ল্যাম্পটা অন করলাম। হাত বাড়িয়ে গ্লাসটা ধরে দেখি খালি। ঘুমানোর আগে পানি রাখতে ভুলে গিয়েছিলাম মনে হয়। উঠে গিয়ে পাশের ঘরে পানি খেয়ে আসতেও কেমন আলসেমি লাগছে। কিছুটা ভয়ও! দুঃস্বপ্নের রেশ তখনো পুরোপুরি কাটেনি। কাঁপা কাঁপা হাতে সিগারেট ধরালাম একটা। কিছুটা থমকে গিয়েও উঠলাম শেষ পর্যন্ত। উঠে জানালার পাল্লা বন্ধ করলাম। ঘরের ভেতর শব্দের বেগ কিছুটা কমল। যদিও ততক্ষণে ঘরের ভেতর অনেকখানি ভিজে গেছে। সিগারেট টাও কেমন বিস্বাদ লাগছে। কয়েক টান দিয়েই ফেলে দিলাম। ঘুম আর আসবে কিনা কে জানে। যদিও ঘুমানোটা খুবই দরকার। সকালে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ আছে অফিসে। এতক্ষণে অবশ্য কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে দুঃস্বপ্নের ভয়াবহতা।

আগে কয়েকজন বন্ধু মিলে থাকতাম। বছর দুয়েক হল, চাকুরীতে ঢোকার পর একা একটা বাসা নিয়ে থাকি। বাসা না বলে ফ্ল্যাট বলাই ভাল। ছোটখাট দুইটা রুম। ভাড়া যদিও কম না। ধানমন্ডি এলাকাতে বলেই হয়ত ভাড়াটা এমন বেয়াড়ারকম বেশি। অবশ্য চিন্তা করছি অফিসের কাছাকাছি কোথাও উঠে পড়ব খুব শীঘ্রই। প্রতিদিন এতটা পথ ঠেলে অফিসে যাওয়া-আসা করাটা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে। এমনিতেই অনিদ্রারোগ আছে, তার উপর উঠতে হয় অনেক সকালে। না হলে বাসের লাইন লম্বা হয়ে যায়, রাস্তায় ভিড়ও বেড়ে যায় প্রচন্ড।

মাথার ভেতর কেমন ভোঁতা একটা অনুভূতি নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। যদিও বৃথা চেষ্টা ছিল। কারন বাকি রাতটা কাটল নির্ঘুম, প্রবল অস্বস্তি আর চাপা যন্ত্রণা নিয়ে!একবার ভাবলাম উঠে পানিটা খেয়ে আসব কিনা, কিন্তু পরক্ষণেই রাজ্যের ক্লান্তি ভর করল, মনে হল থাক না, কি দরকার!

দুই. সূর্যোদয়ের আভাস

সকালটা বেশ উজ্জ্বল, রোদ উঠেছে কড়া। আগের রাতের ঝড়ের আভাস যদিও কিছুটা পাওয়া যায় রাস্তায়, যত্রতত্র। আর বাতাসেও কেমন যেন একটা মন খারাপ করা গন্ধ। অফিসে যাওয়ার পথটা কেমন এক ঘোর লাগা উদাসীনতাতেই কেটে গেল। ভিড় ঠেলে গাড়িতে ওঠা, রিকশা না পাওয়ায় অনেকটা পথ হেটে কিছুটা ঘর্মাক্ত কলেবরে পথচারীদের ধাক্কা সহ্য করাটাকেও অন্যদিনের তুলনায় ততটা বিরক্তিকর ঠেকল না। এমনকি ভাড়া বেশি চাওয়ার পরও ওই রিকশাটাই নিয়ে ফেললাম কি মনে করে। তবে অফিসে ঢুকতেই মেজাজটা তিতিয়ে গেল। কার্ড পাঞ্চ করে লিফটের জন্য দাড়িয়ে আছি, এমন সময় হেলতে দুলতে কবিরের আগমন। এমনিতেই নির্ঘুম রাতের কিছুটা রেশ রয়ে গেছে, তার উপর ওর ক্যাবলামার্কা হাসি আর "কি হে, সারা রাতভর চুরি করতে গিয়েছিলেন নাকি?" শুনে মেজাজ ধরে রাখা আর সম্ভব হল না। যদিও চেষ্টা করলাম যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থাকার।

-- কেন, চুরি ছাড়া আর কোন কারনে রাত জাগা যায় না বুঝি?

আমার রহস্যময় হাসি দেখে কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল বেচারা। কি বলবে যেন বুঝে উঠতে পারছে না। ওকে নিয়ে সবার হাসাহাসি করার এটাও একটা অন্যতম কারন। কথার পিঠে কোন কথাটা বলা মানানসই, কোথায় কখন কি বলা উচিত আর কথার কোন পর্যায়ে মুখে লাগাম দিতে হয়, আজ পর্যন্ত সেটা রপ্ত করে উঠতে পারেনি ও। আর একারনেই প্রতিনিয়ত সবাইকে হাসির খোরাক জুগিয়ে চলেছে ও। যদিও সেটাও যে খুব একটা বুঝতে পারে ও, তাও না। বোকার মত কাজ তো করেই, তা ছাড়াও প্রায়ই নানান রকম বেফাঁস কথা বলে বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে মজা হয় যখন কেউ ওকে ডাকে কোন কারনে। আত্মবিশ্বাসের মাত্রা এতই কম যে, কেউ ডাকলে পাংশু মুখে কাঁচুমাচু ভাব করে এগিয়ে আসে। আমি যদিও সচরাচর ওকে ঘাটাই না। কি দরকার, এমনিতেই তো কম হাসাহাসি করে না ওকে নিয়ে লোকজন! আর এসব আমার কাছে বরাবরই কিছুটা ছেলেমানুষী মনে হয়। লিফটের বাকি সময়টা অবশ্য হালকা কিছু কথাবার্তাতেই কেটে গেল।

আমি একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কাজ করি। অফিস গুলশানে। বেতন বেশ ভালই পাই। যা পাই, তাতে বাড়িতে কিছু টাকা পাঠিয়ে, নিজের খরচ চালানোর পরও দিব্যি অনেকটা বেঁচে যায়। অফিসে আমার সুনামও বেশ ভাল। সেলস্ এ কাজ করি। কপাল ভাল যে চাপার জোর ছিল। এর জোরেই অনেক জায়গায় অনেক সুবিধা করতে পারি।

মেজাজ খারাপের মাত্রাটা আরো বাড়ল মেইল চেক করতে গিয়ে। ইন্টারনেটটা আজ বেজায়রকম স্লো। মনে হচ্ছে যেন কোন সত্তর বছরের ল্যাংড়া বুড়ো খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। ধুত্তেরি ছাই! নিকুচি করি মেইলের! উঠে পড়লাম চেয়ার ছেড়ে। ঘাড় উচিয়ে শরিফ ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম চা খেতে যাবে কিনা। অফিসের এই একটা দিক আমার ভীষণ পছন্দ। যখন ইচ্ছা চা পাওয়া যায়। কিন্তু উত্তর দেয়ার বদলে শরিফ ভাইয়ের মিটিমিটি হাসি কেন যেন সন্দেহজনক মনে হল। ব্যাপারটা কি! আমি যেখানে বসি সেখান থেকে দরজাটা দেখা যায় না। একটা পিলারে আড়াল পড়ে থাকে। ঠিক তখনি দেখতে পেলাম ওকে, পিলারের আড়াল থেকে বেড়িয়ে এল।

এষা, আমাদের নতুন সহকর্মী। কয়েক সপ্তা হল যোগ দিয়েছে। অন্য ডিপার্টমেন্টে। অফিসে মেয়ের সংখ্যা কম হলে যা হয়, তারা যেখানেই বসে, চারপাশে উৎসুক লোকজনের ভিড় বেড়ে যায়। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে যেচে পড়ে সবাই খাতির জমাতে যায়। বিষয়টা আমার খুবই অপছন্দের একটা কাজ। আমি পারতপক্ষে সবসময়ই এসব এড়িয়ে চলি। কি দরকার খামোখা দাঁত কেলিয়ে বেকুবের মত বসে থাকা, আর ঘন্টা ধরে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় (লিপস্টিক, কারিনা-শাহিদ এর ছাড়াছাড়ি, সাইফের সাথে নতুন প্রণয়, এইসব হাবিজাবি) বকবক শুনে মাথা ধরানোর! তবে সবসময়ই যে ওরা শুধু এসব অহেতুক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, তা না। কিন্তু পাঁচ মিনিটের কোন কাজের কথা শোনার জন্য এক ঘন্টা অকাজের বকবক হজম করার ধৈর্য আমার কোনকালেই ছিল না, হবে বলেও মনে হয় না।

তবে এই নতুন মেয়েটার ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। কিছু একটা তো এর ভেতরে আছেই যা আমাকে সেই প্রথম কি দ্বিতীয় দিন থেকেই চুম্বকের মত টানছে! অনেকবারই চিন্তা করে বের করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু ফলাফল সেই শূন্যই। মেয়েটা অদ্ভুত রকম সুন্দর। না, প্রচলিত অর্থে হয়ত ও ডানা কাটা পরী না, কিন্তু ওর আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে যা ওকে বাকি সবার কাছ থেকে নিশ্চিতভাবেই আলাদা করে রেখেছে। আমার কাছে সবচেয়ে ওর চেহারার ভালো লাগে যে দিকটা তা হল হাসলে ওর গালে টোল পড়ে। এতদিন খালি বইতেই পড়ে এসেছি হাসলে নাকি মুক্তা ঝরে। এই প্রথম কথাটার মর্মার্থ বুঝতে পারলাম। নাহ, কবি সাহিত্যিকরা মিছিমিছি সব লিখে যান নি! সাধে কি আর তারা পাতার পর পাতা জুড়ে বন্দনা করে গেছেন!

এষার চোখ দুটোও আমাকে টানে খুব। কি গভীর, কালো দুটো চোখ। কেমন একটা সম্মোহনী মাদকতাময় দৃষ্টি। তাকালেই বুকের ভেতর কেমন একটা শূন্যতা জাগে, হাহাকার করে! আর চেহারার পাশাপাশি ওর বুদ্ধিমত্তারও প্রশংসা করতেই হয়। গোছানো কথাবার্তা আর সাবলীল ব্যবহারও ওকে বাকি সবার থেকে আলাদা করে রেখেছে। আগে যা কখনোই মনে হয়নি, অথবা যা কখনো কোনদিন এভাবে করব বলে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি, শেষ পর্যন্ত তাই করে বসলাম। কিভাবে কিভাবে যেন ওর প্রেমে পড়ে গেলাম। মোটামুটিরকম না, বেশ ভালোরকমই। যদিও বলা হয়ে ওঠেনি এখনো ওকে। সুযোগই বা পেলাম কই।

কিন্তু একি! আমাকে ভীষণ রকম হতভম্ব করে দিয়ে এষা সরাসরি এগিয়ে এল আমার দিকেই। আগেও কথা হয়েছে ওর সাথে টুকটাক। কিন্তু কথাবার্তা এখন পর্যন্ত অফিসের ওই কাজের মাঝেই সীমাবদ্ধ। প্রসঙ্গকে এর বাইরে টেনে নেবার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। একবার দু'বার যে সুযোগ পাইনি তা না, কিন্তু ওর সামনে কেন যেন নিজের সহজাত সপ্রতিভতা হারিয়ে ফেলি। কাছে এসে গালে টোল ফেলা সেই হাসিটা দিয়ে দাঁড়াল ও।

-- শাফায়েত, আপনিই তো বাংলালিংক অ্যাকাউন্টটা দেখছেন, তাই না? সায়ীদ অসুস্থ, দু'সপ্তা ছুটি নিয়েছে। ওর পার্টটা আপাতত আমি দেখব। আপনি কি আমাকে আজ লাঞ্চের পর একটু ব্রীফ করতে পারবেন?

নিজের অজান্তেই একটা ঢোক গিলে ফেললাম।

-- হ্যাঁ, কেন নয়! আপনি তাহলে চলে আসুন আমাদের ফ্লোরে। কনফারেন্স রুমে বসে ব্রীফ করি!

-- ঠিক আছে। থ্যাংকস।

উফ্, আবার সেই হাসি। পাগল করে ফেলবে নাকি আমাকে এই মেয়ে! আগে তো কখনো নিজেকে এত বোকা বা অপ্রতিভ লাগেনি কোন মেয়ের সামনে! তবে এবার কি হল! ঠিক করলাম, আজ যে করেই হোক পরিচয়ের পরিধিটাকে বাড়াতে হবেই!

স্বার্থপরের মত প্রার্থনা করে বসলাম। "সায়ীদ, তুমি আরো কিছুদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে থাক না রে ভাই!"

(চলবে)

"অতন্দ্র প্রহরী"


মন্তব্য

স্বপ্নাহত এর ছবি

হেভি লাগসে।ভাই আপনার লেখার হাত চরম।
চালায়া যান।অপেক্ষায় রইলাম...

আর এষা মাইয়াডারে একটু ভালামত টেক কেয়ার কইরেন।

কান কথাঃ টোল পড়া মেয়েগুলান আমারও খুব পছন্দ চোখ টিপি

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রায়হান আবীর এর ছবি

রনি ভাই, কি আর কইতাম...এতো জোশ লেখেন আপ্নে...
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

অতিথি লেখক এর ছবি

হু ভালো starting করেছেন।আমরা মনে হয় আরও একটি প্রেম কাহিনী শুনবো।তারাতারি বাকীটুকু লিখে ফেলেন।
-নিরিবিলি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রেমকাহিনী না, দিলজ্বালা কাহিনী পেতে যাচ্ছি আমরা। টোলাটুলিটাই এখানে দায়ী, পরিসংখ্যান বলে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

স্বপ্নাহত,

এষার জন্য তোমরা দোয়া করে যাও, আর বাকিটা তো আমার হাতে! চোখ টিপি
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। তবে লেখা পোস্ট করার পর মনে হয়েছে কিছু জায়গা আরো ভাল করা যেত! (সবারই মনে হয় তাই মনে হয়)

"অতন্দ্র প্রহরী"

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই রায়হান,

তুমি তো মিয়া পুরা লইজ্জায় ফেইলা দিলা! যেমনে কইছো, এত্ত ভালও আমি লেখি না, আমি জানি। তারপরও প্রশংসা শুনতে কারই বা খারাপ লাগে! চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ "নিরিবিলি"। আশা করছি পরের অংশটুকুও শীঘ্রই লিখে ফেলতে পারব। দেখা যাক ...

অতন্দ্র প্রহরী

অতিথি লেখক এর ছবি

"ধুসর গোধূলি"-দা, সামনে দেখেনই তো আগে প্রেমকাহিনী না দিলজ্বালা কাহিনী আসে! হাহাহা। তয় টেরাই করুম যেন দিল আর না জ্বলে, এমনিতেই অনেক জ্বলছে, আর না!

অতন্দ্র প্রহরী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এষা
নামটাই ধরিয়ে দিলো অনেকজনের নেশা।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম...

........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপামনি, পরের পর্ব এখন আন্ডার কন্স্ট্রাকশন! আইতেছে ...

আর হ্যাঁ, এষা নামটা আমার অসম্ভব রকম প্রিয় হাসি

অতন্দ্র প্রহরী

হিমু এর ছবি

দয়া করে মেইল চেক করুন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।