গণরুমে গণধোলাই..

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১১/০১/২০০৯ - ১২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গণরুমে গণধোলাই...

যে দিন-ই ঢাবিতে যাই সে দিন-ই আমার কোন না কোন পরিচিত, লীগবন্ধুদের হাতে গণরুমে গণ ঢলা খেয়েছে শুনতে পাই । হলে থাকা হয়না , থাকা হলে হয়তো নারী চুলাচুলী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করা যেতো । আমার এক বন্ধু ডিপার্টমেন্ট এর ফার্স্ট বয় ,ফকরুদ্দীনের আমলে শিবির ভাই এর আদরনীয় হয়ে হলে শাহী জায়গা (সিঙ্গেল সিট) পেয়েছিল । ঐ বন্ধু এখন লীগভাইদের রাম ঢলার মধ্যে আছে । ঐ বন্ধু আবার পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে , বিড়ি ফোকেনা ,গার্লফ্রেন্ডও নেই সুতরাং সে দল করুক আর না করুক লীগ ভাইরা তাকে শিবির কর্মী বলিয়া ঘোষনা দিয়াছে।তাকে বলিয়াছে অতি সত্তর গার্লফ্রেন্ড সহ তাকে বিড়ি ফোকা অবস্থায় দেখিলে তাহাকে তারা ছাড়িয়া দিবে .....................!!! আমার এই বন্ধুটি গণরুম থেকে তার হাড্ডি সমেত ফেরত এসেছে । বন্ধুটিকে এখন সর্বদা গালে হাত রাখিয়া বসিয়া থাকতে অথবা পলাইয়া বেড়াইতে দেখা যায় । আমি জয়ি...সকল সমস্যার সমাধান পকেটে নিয়ে ঘুরি(মর্ডান মেয়ে প্রমাণ করতে পকেট সমেত প্যান্ট পরা হয় ) । আমার বেকুব ফ্রেন্ডকে বললাম- বৎস তোমার সকল চিন্তার অবসান আমার পকেটে । ( বেকুব কি মনে করিয়া আমার দিকে চাহিয়া রইল ) তাহাকে বলিলাম অর্থের কিন্চিত জলপ্রপাত ঘটাও আমরা বালিকা গণ এক এক জন এক এক টাইমে তোমার সহিত ডেটিং এ যাইব এবং লীগ ভাইয়ারা সামনে পরিলে তোমার বিড়ি ফোকা কার্যক্রম হা করিয়া তাকাইয়া দেখিব ( এই আইডিয়া বিড়ির এ্যাড থেকে পেয়েছি ) । আমার বেকুব বন্ধু আমার দিকে বেকুবের ন্যয় দৃস্টিপাত করিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলিল ( বোধ করি আইডিয়া পছন্দ হয় নাই ) ।

তারুণ্য গোয়ালে...

এমন এক ডিপার্টমেন্টে পড়ি যেখানে কারণে অকারণে প্রোগ্রাম লেগে থাকে, আর প্রোগ্রাম মানেই ম্যাডামের হুকুমে ক্লাসের সব মেয়েদের দল বেঁধে শাড়ি পরে আসতে হয় । প্রথম দিকে খুব উপভোগ করলেও একবছর পার হওয়ার পর শাড়ি পরা এখন মাথায় বাড়ি।প্রোগ্রামের কপালে গুলি মেরে বন্ধু বান্ধব সহ সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে চা খেতে চলে এলাম । সেখানে দেখি ATN চ্যানেল এর ক্যামেরা আমাদের পেছন ঘুর ঘুর করছে।পরে তাদের একজন এসে বলল যারা এবার প্রথম ভোটার হয়েছে তাদের মতামত সংগ্রহ করতে এসেছে । আমার পাশে বসে থাকা বন্ধু মহদয় এমন লাফ দিয়েছে যে ক্যামেরা কাছে থাকলে ক্যামেরার ভেতরেই ঢুকে যেত।কিন্তু ক্যামেরা ম্যান এর কথায় তার নাচা নাচি বন্ধ হয়ে গেল। ক্যামেরা ম্যান শুধু লারকি আই মিন মেয়েদের কমেন্টস নেবেন।এটা শুনে আমরা মহদয়ারা কিচ কিচ শুরু করে দিলাম। আমরা আবার কোন ভাবেই ক্যামেরার সামনে পরতে চাইছিনা । তাদের অনেক ঘ্যন ঘ্যনানির পর ক্যামেরার সামনে পট পট করার দায়িত্ব আমার কন্ধে পরল। আমাকে আবার এর আগে একই দিনে তিনটি চ্যানেলে একই সময়ে খবরের ফাকে বকবক করতে দেখা গেছে,খুব তাড়াতাড়ি খবরের চিপা পার্টি রুপে সুনাম হয়ে যাবে এই ভয়ে ক্যামেরা দেখলেই আমি উল্টা দৌড় দেই । সেই আমাকে যখন বলতে বলা হল তখন বন্ধু মহদয় ও মহদয়াগণ অবিরাম আমার কানের কাছে বলা শুরু করল যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের কথা বলতে,কেউ বলল সন্ত্রাস দূর করার কথা , কেউ দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দেওয়ার কথা , দুর্নিতি কমানোর কথা ই.টি.সি....আমি মনে মনে বলি এই কথা আমার কানের সামনে না বলে ক্যামেরার সামনে বল্ । আমি আবার ইদানিং সচালায়তনেই পরে থাকি সেই সুত্রে এখানে নতুন একটা দাবীর কথা শুনলাম আর তা হল ইউনিভার্সিটি গুলো আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা.........এবারের নির্বাচনে সবাই বলছে তারুণ্যের জয় হয়েছে, সেই তারুণ্য কোথায় কিভাবে বুড়িয়ে যাচ্ছে সেটা দেখেছে কেউ ? পড়াশোনা এদেশে টাকা দিয়ে কেনা মুদির দোকানের দ্রব্যের মত । যে ইউনিভার্সিটি তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব করে সেই ইউনিভার্সিটি গুলোর একটিও গবেষণা ধর্মী আন্তর্জাতিক মানের নয় । এ দেশে শিক্ষার বাস্তবিক প্রয়োগ নেই । এখানে দর্শনে পড়ে কেউ দার্শনিক হয়না । এত গুলো তরুণ ,যারা দেশের সংকটে বার বার দেশকে নতুন করে সাজিয়েছে তাদের এ দেশে কোন ভবিষ্যত নেই । অন্যের গোলাম হয়ে বিদেশ পারি দিতে হয় নয়ত সরকারী কেরানী হয়ে দুর্নিতির সামিল হতে হয় । এবারের সরকার হয়তো এবার এটা নিয়ে ভাববেন..................।যাই হোক বন্ধু মহদয় ও মহদয়া গণদের আমার এই পয়েন্টের কথা শোনানোর পর তাদের প্রশ্ন করলাম .....এ তারুণ্য কোথায় যাচ্ছে....??? পাশ থেকে এক বন্ধুমহদয় বললেন .................."গোয়ালে'' ।

( জয়িতা )


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জয়িতা আপনার হাল্কা কথা বার্তার মাঝখানে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা ভাবনা দেখে ভালো লাগল।

ভাল থাকবেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

হাসি ভালো লাগলো আপনার লেখা। আমি ঢাবির মেয়েদের হলের বাসিন্দা। আমার হলে ছাত্রদলের নেত্রী লেজ গুটিয়ে পালিয়েছেন। ইউনি খুলার পরে সেই ".....ভাই" নাম্নী আপাটির বদন মুবারক আর দেখিনি। লীগের নেত্রী এখনও দল গুছাচ্ছেন। পুরোপুরি জগে ওঠেননি।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

নিবিড় এর ছবি

আপনি কি নাসরীন ভাইয়ের কথা বলছেন ???????????
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

উঁহু, লিলিভাই।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এখানে দর্শনে পড়ে কেউ দার্শনিক হয়না

যাক বাবা বাঁচা গেলো
না হলে সচলায়তনের লোকজন আমাকে রীতিমতো ঠ্যাঙাতো পরমসত্তার অনুপপত্তি আর অনুসিদ্ধান্তের জ্বালায়

রণদীপম বসু এর ছবি

দর্শন পড়ে দার্শনিক, বিজ্ঞান পড়ে বিজ্ঞানী, সাহিত্য পড়ে সাহিত্যিক হওয়া শুরু হলে আমরা আম পাবলিকরা যাবো কোথায়..! দোহাই আপনার, কাউকে ওগুলো হতে বলবেন না..! তাহলেই কাম সারছে..! মাহবুব লীলেনের দর্শনতত্ত্বের ঠেলায় সবাইকে সচলায়তন ছেড়ে পালাতে হবে ! আর বাকিরা যদি বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ আর সিদ্ধান্তের বন্যা বইয়ে দিতে শুরু করে দেন, তাহলে তো....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঠিক আছে।

সিরাজ এর ছবি

এ বিষয়ে আমার একটা হাইপোথিসিস আছে:

পত্রিকায় "পাত্র চাই" বিজ্ঞাপনগুলো দেখুন,ওখানে পাত্রের যে সমস্ত গুণ প্রত্যাশা করা হয়, ছেলেরা তাই অর্জনে ধাবমান - পড়াশুনা যাতেই হোক। আগে ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সামরিক কর্মকর্তা তারপর দুবাই, কানাডা, আমেরিকা,এম বি এ... আমাদের সমাজ ডিপ ইনসইড এখনও অত্যান্ত নগ্ন আর্থিক লোভে অন্ধ - কাকে দোষ দিবেন?

:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com

:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পাত্রের গুন প্রত্যাশা পিতারাই কন্যর জন্য করেন কন্যার নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় । ইদানিং নারীদের পুরুষরা তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে........কিন্তু এর আগে এই রীতি কে চালু করেছে জনাব ?? আপনারাই তো সব কর্মের মাথা । আপনারাও তো এখন চাকরী করা বউ চান ।

( জয়িতা )

অবাঞ্ছিত এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

বিপ্রতীপ এর ছবি

হুম...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

নামহীন [অতিথি] এর ছবি

সচলায়তনকে বলছি...

লেখাটি তো ‘অতিথি লেখকের ব্লগ’-এও দেখলামঃ(http://www.sachalayatan.com/guest_writer/21038)

ব্যাপার টা ঠিক বুঝতে পারলাম না...

...নামহীন

বর্ণচোরা [অতিথি] এর ছবি

একই লেখা 'নীড়পাতায়' ও 'অতিথি লেখকের ব্লগ'-এ দুই জায়গাতেই...!!!!!

বা বাহ্‌...

...বর্ণচোরা

হিমু এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও অনুধাবন পারঙ্গমতা আমাকে মুগ্ধ ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আপনি আমার ধন্যবাদ নিন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সবজান্তা এর ছবি

নামহীনের বক্তব্য তা'ও কিছুটা মেনে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু বর্ণচোরার বক্তব্যের ভঙ্গিমা দম ফাটানো হাসির।


অলমিতি বিস্তারেণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অতিথিদের নিয়ে হাসাহাসি--এমন তো হতে পারে বর্ণচোরা-ই নামহীন চোখ টিপি

কেউ কিছু মনে নিয়েন না, একটু রসিকতা করলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

সব জান্তা সহ সবার উদ্দেশ্যে...

হাসেন, যত পারেন হাসেন। হাসা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে হৃদপিন্ডটাও ভাল থাকে, আয়ু বাড়ে। বেঁচে থাকুন এই পৃথিবীতে আরো আরো দিন, সুস্থ্যভাবে...। মরে গেলেই তো সব গেল।
আমি এখানে নতুন। এখনও সাইটটার কোথায় কী বলতে পারি না, একটাও পোষ্ট করি নাই। বাংলাও লিখতে পারি না ভাল...
অন্যভাবে সাহায্য না করুন বলবেন তো- কেন হাসির খোরাক হলাম?
একজনের কথা শুনে এখানে এসেছি, এখানে সবাই নাকি খুব হেল্পফুল, জ্ঞানীদের ভীড়, অনেক বড় বড় লেখক আছেন...
লেখাগুলো পড়ার চেষ্টা করছি... খুঁজে পেতেও জানি না ভাল।

কি, হাসি পাচ্ছে না? আরে হাসুন না...। হাসতে কি মানা আছে? নাই...

আপনাদের হাসাতে পেরেছি- এটাই তো অনেক...। এই যুগে হাসতে পারা খুব কঠিন...
যে হাসতে পারে সে সুখি। আরে হাসুন না...। সুখে থাকবেন...

আমি এক ক্ষুদে পাঠক, নামহীনের সাথে আমার কোন চেনাপরিচয় নাই। দেখলাম উনিও অতিথি... খামোখাই উনাকে আমার সাথে জরাবেন না প্লিজ। আমি আমি-ই...
বর্ণচোরা নামে আরো অনেক জায়গায়ই আমাকে খুঁজে পাবেন...। তবে খুঁজতে হবে....। জানি প্রয়োজন হবে না।

হা হা। আমারই তো হাসি পাচ্ছে। আপনাদের পাচ্ছে না? আরে ভাই হাসুন...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই বর্ণচোরা,

কিছু মনে করবেন না ভাই বললাম বলে। আসলে আমি তো জানি না আপনি ভাই নাকি বোন। আর সবাই সবাইকে ভাই বলতে পারে বলেই জানি। মেয়েরাও মেয়েদেরকে ভাই বলতে পারে, বলতে শুনেছিও...

দুঃখ করেন না, আমিও অতিথি। আপনার লেখাটা পড়ে অন্যকারো কেমন লাগলো জানি না, আমার খুবই খারাপ লাগছে...

আমরা নাকি অতিথি!!! এটাই হলো ‘সচলায়তনের অতিথি আপ্যায়ন’, বুঝলেন?

দেখেন থাকতে পারেন কি না?

...আর সচলায়তনকে বলি- এরকম অতিথি আপ্যায়ন করলে ঢং করে কেন ‘অতিথি’ নাম রাখলেন?

...নামহীন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, (উপরের দুইজনরেই বলি) এইখানে গুরুগম্ভীর আলোচনা যেমন চলে, নিষ্কলুষ হাসিঠাট্টাও চলে। একটা পরিবারের ফ্রেন্ডলী মনোভাবের সব সদস্যের বেলায় যেমন হয় আরকি! সচলায়তনের মডুরাম-ডেভুমহারাজদের থেকে শুরু করে ম্যাঙ্গো-গেস্ট, কেউ-ই এইটা থেকে নিস্তার পায় না। হাসি

খুব সম্ভবতঃ এইজন্যই সচলায়তনের বন্ডেজটা একটু শক্ত! এর সাথে মানিয়ে নিন, কোনো ঠাট্টার উত্তর সিরিয়াসলী না নিয়ে আপনিও ঠাট্টায় জবাব দিন। এনজয় দ্য মোমেন্ট ম্যান! চিয়ার্স চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলায়তন,

কেন এটা ( http://www.sachalayatan.com/comment/reply/21038/155248 ) এডিট করা যাচ্ছে? এটা তো হবার কথা নয়।

...বর্ণচোরা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সবজান্তা এর ছবি

বর্ণচোরা, আপনাকে আঘাত করে থাকলে দুঃখিত। সচলায়তনের অতিথি আপ্যায়নের বিষয়েও যদি ভুল ধারণা হয়ে থাকে আমার কারণে, তবে পুনরায় দুঃখিত।

দেখুন, সবকিছুর একটা "টোন" থাকে। আপনি অতিথি মানুষ, স্বাভাবিকভাবেই আপনি কিছুই জানার কথা নয়। তাই আপনার প্রশ্নে হাসারও প্রশ্নও উঠে না। কিন্তু আপনি নিজেই দেখুন - আপনি অতিথি হয়েও, বিন্দুমাত্র না জেনেও - একটা মন্তব্য করলেন যার মধ্যে "ব্লেইম"-এর সুর ষোল আনা।

আমি নিজের অকালহাসির জন্য দুঃখিত, তবে সেই সাথে এটাও আশা করবো, আগামীদিনগুলিতে আপনি শুরুতেই অভিযোগ নয়, বরং জিজ্ঞাসা নিয়েই হাজির হবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলায়তনের আনাচে-কানাচে এই লেখা একশ বার পাইলেও এই লেখা আমারই ,কোন সন্দেহ নাই । আমি ভাই এখনও জানিনা কিভাবে লেখা পোষ্ট করতে হয় ।লেখা পেষ্ট করে সংরক্ষন এ ক্লিক করলে ব্লগ তৈরী হয়েছে দেখা যায় তার ওপর নীড়পাতাতেও লেখা চলে আসে..........হাসি

( জয়িতা )

রণদীপম বসু এর ছবি

বিষয়টা অতি মারাত্মক মনে হচ্ছে ! মডুরামদের উদ্দেশ্য তো সুবিধার মনে হচ্ছে না ! সম্ভবত নীচে বন্ধনীতে আপনার চমৎকার নামটাই যতসব সমস্যার মূল ! কই, আমি যখন অতিথি ছিলাম, তখন তো এমন সুযোগ বা সুবিধা পাই নাই ! আজকে লেখা পোস্ট করে অনির্দিষ্টকাল হা করে বসে থাকতাম..!
জয়িতা, আপনি প্রতিবাদ করুন, সাথে সাথে অতিথির লেখা নীড়পাতায় চলে আসা অন্যায় ! আর ব্লগ তৈরি হয়ে যাওয়া তো মারাত্মক অনিয়ম ! আমি কি মডুরামদের চরিত্রস্খলনের নিন্দা জানাবো ! আপনি কী বলেন ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার লেখা লইয়া আপত্তি থাকিলে বলিয়া দেন আমি আর লিখিবনা এখানে । তবে ভাই আমি সাধারন অতিথি লেখক,আমার পেছনে লাগিয়া আর কি ফায়দা হবে ? তবে ভাই আপনাকে আমাদের গণরুমে আমন্ত্রন রইল ( গণ ঢলা দেওয়া হইবে )...........।

( জয়িতা )

অতিথি লেখক এর ছবি

সাথে সাথে আসেনাই ভাই । আমিও অনেক অপেক্ষা করেছি ।বারবার এক লেখা পোষ্ট করার পর এসেছে........

( জয়িতা )

আরিফ জেবতিক এর ছবি

লিখা ভালৈছে ।
কমেন্ট ভালহৈনাই।

নিবিড় এর ছবি

লেখা ভাল লাগছে চলুক । আরেকটা ব্যাপার বুঝলাম না, অতিথি লেখকরা এই জিনিস নিয়ে প্রশ্ন করছেন কেন ??? কোন অতিথি লেখকরা লেখা দেওয়ার পর মডুরা যাচাই করে যদি তা প্রথম পাতায় প্রকাশিত হতে দেন তাইলে তা প্রথম পাতার সাথে সাথে তো অতিথি লেখকের ব্লগেও আসার কথা । এতে তো অবাক হওয়ার কিছু নাই । কারন কয়েক সাপ্তাহ আগে আমিও অতিথি লেখকের কোটা দিয়ে লিখতাম আর তখন তো তাই হত আর নতুন কিছু হয়েছে বলে তো শুনি নাই ।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার লেখা ভালো লাগছে, জয়িতা।
লিখতে থাকুন, প্লিজ... হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব চমৎকার লেখা। আপনার আগের লেখাটাও ভাল লেগেছিল। ওই যে, জায়েদ ভাইয়ের সাথে কথোপকথন। নিয়মিত লিখুন আপনি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।