একটি ইউনিকর্ন ও আমার বোধশূন্যতা...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৯/০৭/২০০৯ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সব রাস্তা সামনে হাঁটার জন্য না, কিছু রাস্তা পিছনে চলার জন্য। সেই রাস্তায় পা রাখতেই যে অতিথি পাখিরা লেকের পানিতে গা ভিজাচ্ছিলো তারা সব উড়ে যেতে থাকলো পিছ পথে। কিছুক্ষন আগের বৃষ্টির গোলক ফোটাগুলো উড়ে গেলো উচুঁতে, মিলেঝুলে বানালো মেঘ। মানুষের চোখে সেই তৃষ্ণার্ত অপেক্ষা, জিভ ভেজাবে বৃষ্টিতে। নিকোটিনগুলো ফুসফুস থেকে বেড়িয়ে পকেট চাপা থ্যাতলানো সিগারেট হল। বুঝতে পারলাম আমি সময়ের রিওয়াইন্ড ফর্মে আছি। যেখানে এসে তা থামল, সেখানে আমি রিক্সা থেকে নামতে যাচ্ছিলাম, ঘটনার আকৎসিকতায় প্রায় পড়েই যাচ্ছিলাম, কেউ একজন আমার হাতটা ধরল। আরে এ যে বৈশাখী!! দূর্ঘটনার উছিলায় হলেও তার স্পর্শ পাওয়া গেলো। ওহে পাঠক তুমি কী টিউলিপ দেখেছো? বৈশাখী ছিল টিউলিপের মত মসৃন, বাকে বাকে চমকের খনি, এক ক্রমবর্ধমান কৌতুহল… বৈশাখী এমনই এক সাধারন সবুজ জলের ডোবা ছিল, আমার যৌবনের অনন্ত গ্রীষ্মে সাঁতার কেটেছি তার জলে, জলের বুক চিরে সে সাঁতার কিছুটা উড়ার মতই ওজনহীনতার অনুভূতি দিয়েছিলো। তার চুলগুলো বাতাসে উড়তে দেখলে তাকে ম্যাজিকাল উনিকর্ন মনে হত।

বৈশাখীর আমার সহপাঠি ছিল, ওকে এতো দীর্ঘ পরিচিত মনে হত যে ঠিক কবে থেকে তার সাথে ঘনিষ্ঠতা মনেও পড়ে না। মনে হয় নিরন্তন পরিচয়ের একটা ক্ষনিক অংশ হল পার্থিব পরিচিতিটা। বৈশাখীর সাথে আমার কোন প্রেম ছিলনা, খুব জোড় সহপাঠি বলা যেতে পারে। আমার সবচেয়ে শীতল দৃষ্টির বন্ধু, যাকে অবলিলায় সব বলতাম। যদিও তাকে বলতে পারিনি কতটা গড়ে তুলেছি নিজের ভেতর স্বমাতাল শিল্প উৎসবে! যেখানে এসে ঘটনার প্রবাহচূত হলাম সেখানে ফিরে যাই, আমার হাতটা ধরতেই বৈশাখীর কাজের চুড়িগুলো পরষ্পর বাড়ি খেয়ে বেজে উঠল মৃদুস্বরে, এত সূক্ষ্ শব্দ কখনো খেয়াল করিনি আগে, এই প্রথম শব্দটা মনের মেমোরী বুকে তুলে রাখলাম। বৈশাখী জিজ্ঞেস করল, “দেখে নামতে পারো না!” মায়ের শাষন কোনদিন ভালো লাগে নাই, তবে এই শাষনটাকে বড় সৌভাগ্য মনে হল। আকাশে বড় মেঘ জমে আসলো। আমরা রাস্তার পাশে একটা টিন শেড দোচালা পুরাতন বাড়ির নিচে গিয়ে দাড়ালাম সম্ভাব্য বৃষ্টি থেকে নিজেদেকে বাঁচানোর জন্য। বৈশাখীর জন্য এক তোড়া গোলাপ রাখাছিল ব্যাগের ভেতর, তা দেবার জন্য যেইনা ব্যাগের চেইন খুলেছি, ওমনি বৈশাখী বলল, “হাসান, একটা কথা… ”। ওর গলা স্বাভাবিকের চেয়ে ভারী ছিল। ও আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমার বিয়ে, এই যে কার্ড…” কোন ভূমিকা ছাড়াই এমন একটা খবর আমাকে কিছুটা সাময়িক মৃত করেছিল। আমি কিছু সময়ের জন্য আততায়ী শোকে খুন হয়েছিলাম। কিছুক্ষন পর নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে বৈশাখী বলল, “আচ্ছা হাসান তুমি কী আমাকে ভালোবাসো?”
আমি বললাম, “না।”
আবার সে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কী আমাকে ভালোবাসো”?
আমি বললাম, “না”। খুব চেষ্টা করেও চোখের পানিগুলো আটকে রাখতে পারিনি। সামাজিক লজ্জাটুকুকে অবজ্ঞা করেই আমি চোখের পানিগুলো মুছলাম না।
বৈশাখী জিজ্ঞেস করল, “ভালো না বাসলে কাঁদছো কেনো”? ওর চোখেও পানি। ও ভীষন কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি কী আমাকে ভালোবাসো”?
আমি বললাম, “না।”
তবে সেদিন আর বৃষ্টি নামলো না। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষন। হঠাৎ পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছিলো। আমি দ্রুত সময়ের হেচকা টানে আবার সামনে আগাতে থাকলাম, এ কী! পাঠক আপনার হাতে কী সময়ের কোন রিমোট আছে! আমার আরো কিছু বলার ছিল! ফিরে আসি আবার সেই কত নতুন এক বিচ্ছিরি পৃথিবীতে।

আছড়ে পড়ি সাহাবাগের মোড়ে। দেখি খুব দূরে একটা বাচ্চা মেয়ে একটা প্রজাপতি ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে। কিন্তু সে কিছুতেই ধরতে পারছে না। হঠাৎ বুকের ভেতরটা বড় ফাকা লাগে, কি জেনো এক না বোঝা কথা বলে দেয় মেয়েটা। সবার জীবনের এমন কিছু প্রজাপতি থাকে, কখনোই ধরা যায় না। বরাবরই থেকে যায় স্পর্শের বাইরে, স্পর্শের কবরে!

কাজী আফসিন শিরাজী


মন্তব্য

বেগুনী-মডু এর ছবি

নীড়পাতার সৌন্দর্য রক্ষার্থে শিরোনামের বানান শুদ্ধ করে দেওয়া হল (শুণ্য > শূন্য)। লেখা এবং শিরোনামে বানানের বিষয়ে একটু মনোযোগী হতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ...

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

এক বর্ণের ছোট্ট একটি শব্দ 'না'; অথচ এই শব্দের কারণে কতকিছু বদলে যায়। কত শত বৈশাখী আছে আমাদের চারপাশে, জানা হবে না কভু।
ভালোবাসা? সে কি জিনিস? সেটাও জানা হলো না।

লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। চেনা কিছু ঘটনার সাথে মিলে গেলেও উপস্থাপনে মুগ্ধ হয়েছি। চলুক

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

বৈশাখী একজন নারী না বরং একটা অপ্রাপ্তি, সে নারীও হতে পারে, অন্য কিছুও হতে পারে... সবার জীবনেই এমন কিছু বৈশাখী থাকে!

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

এভাবে চিন্তা করে তো আরও বেশী ভালো লাগছে দেঁতো হাসি
আবারও ধন্যবাদ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আপনার লেখার স্টাইলটা সুন্দর।
সচলে স্বাগতম।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ আরিফ ভাই। ফেইসবুকে আগে লিখতাম, তবে সাম্প্রতিক গালিব-কুলদা, অদিতি ফাল্গুনি-পাপড়ি রহমান, সুব্রতদা-চয়নভাই, তাব্রিজ-নৃপু আরিপ ইত্যাদি কাদা ছোড়া ছুড়ি দেখে সচলায়তনে রিফিউজি হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে... আহা! শান্তি!

স্পর্শ এর ছবি

বর্ণনা এবং কল্পনার এই ভঙ্গিটা ভালো লাগে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

এটাই আমার স্টাইল... ধন্যবাদ স্পর্শ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো আফসিন
সত্যিই চমৎকার।

তাসলিম রেজা

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ রেজা ভাই, আপনার মন্তব্য সব সময়ই অনুপ্রেরণা দেয়!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

বাহ-কি সুন্দর লেখা! তবে আপনার লেখার রেশ ধরেই বলি, যে ধরা যায়না বলেই বোধকরি প্রজাপতিরা এত আকর্ষণীয়!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

তাতো বটেই। অভাব পূরনের প্রচেষ্টাই সুন্দর। অভাব পূরন হয়ে গেলে তা লাবন্য হারায়!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সব রাস্তা সামনে হাঁটার জন্য না, কিছু রাস্তা পিছনে চলার জন্য।

আর কিছু রাস্তা বারবার পিছলা খাওয়ার জন্য

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

এইতো ভাই দিলেন মনে করায়া।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ঠিক, কিছু কিছু শিং মাছ ছাই দিয়েও ধরা যায় না। কিছু রাস্তায় তেমনি পিছলা খেতেই হয়, আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নাই, পিছলা হইয়া যায় সব কিছু... মানুষ আনমনে পিছলা খায়...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্য ধন্য...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা রে ভাই। দারুণ ফিনিশিং। মনে হচ্ছিল চোখের সামনে দেখা ঘটনা।

চলুক

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ পিপিদা, আমি যখন ক্লাই নাইনে পড়ি তখন আমার এ ফিনিশিংটা মাথায় এসেছিলো, শুধুমাত্র শেষ চরনটা মাথায় ঘুরতো কিন্তু গল্পের বাকিটা গড়ে উঠে নাই। অনেক দিন ভেবেছি গল্পটা লিখে ফেলব লেখা হয় নাই। আর এখন আমার বয়স ২১, এতটা সময় পার করে এসে লিখে ফেললাম গল্পটার ডেমো। ভবিষ্যতে কী পুরোটাই লিখে ফেলবো নাকি কে জানে! নাকি এটাও থেকে যাবে একটা না ধরা প্রজাপতির মত, জানি না।

লীন এর ছবি

আসলেই আমরা মনে হয় হারানোর আগ পর্যন্ত বুঝতেই পারি না আমার কি ছিলো বা কি পেতে পারতাম...

(এই পোলাটা এতো ভালো লেখে ক্যামনে?)

______________________________________
তুমি আমাকে চিনোই বা কতটুকু?

______________________________________
লীন

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

হু, ঠিক বলেছেন। আফসোস... সেলুকাসের পিঠ চাপড়ায় আফসোস করি তাই...

(কোন পোলাডা!!!!)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লেখাটা খুবই ভালো লেগেছে। পাঠক হিসেবে আপনার উপর অধিকারবোধ থেকেই বানান ভুলগুলো ধরে দিচ্ছিলাম। এত ভালো যাঁর লেখা, তাঁর লেখায় বানান ভুল মানায় না।

আফসোস, কীভাবে যেন পৃষ্ঠা রিফ্রেশ হয়ে গেলো। গোটা পনের লিখেছিলাম, হারিয়ে গেলো। বানান ভুল না থাকলে লেখাটা আরও অনেক ভালো লাগতো, ভাবতেই আপনার উপর মেজাজটা খিচড়ে যাচ্ছে... ধুর! রেগে টং

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

আমার বানান সংস্কারে এগিয়ে আসার জন্য শুকরিয়া। স্কুল বা কলেজ জীবনে বানান অতটা ভুল হত বলে মনে হয় না। কিন্তু এরপর থেকে মাইক্রোসফট অফিসের উপর নির্ভরশীলতা খেয়ে নিলো আমার বানান জ্ঞান, হইয়া গেলাম অজ্ঞান। (হায়রে আফসোস মন খারাপ ) আমার একজন বাংলার টিউটর রাখতে হবে, সারাদিন ইংরেজীতে বকর বকর করতে করতে বাংলার শব্দ জ্ঞান লোপ পাইসে, যদিও ঘটনা সত্য। আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেসে মনে হয়, আমার সাইক্রিয়েটিস্ট বলসে এইটার কারন আমি বেশি ভাবি, তাই মেমোরী ভালো কাজ করেনা, উনি বলসেন- বাছা, ফূর্তি ফার্তা করো। তাইলেই সব ঠিক হইয়া যাবে। তাই করব ভাবছি। হি হি হি...

মাথা গরম করে লাভ নেই, লেবুর শরবত খান। বানানগুলো শিখিয়ে দিয়েন। দেখি আমার গাধা মেমোরীটাকে ঘোড়া বানাইতে পারি নাকি! ধন্যবাদ+সরি...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ক্ষণ
ফোঁটা [ফুল ফোটে]
আকস্মিকতা
দুর্ঘটনা [দূর = দূরত্ব, দুঃ = খারাপ]
তুমি কি টিউলিপ ["হ্যাঁ/না"-তে জবাব হলে 'কি' ব্যবহার হবে]
মসৃণ
বাঁকে [বাক = কথা]
কৌতূহল
সাধারণ
ক্ষণিক
খুব জোর [জোড় = দুই বা তার গুণীতক, জোর = শক্তি]
অবলীলা
প্রবাহচ্যুত
শাসন
হেঁচকা
শাহবাগ
দৌঁড়াচ্ছে
ফাঁকা
কী যেন [জেনো = জেনে নিয়ো]

নিন, দিলাম বানানগুলো। আগামী বার যেন এগুলোর ভুল না দেখি। বাংলা আমিও ভুলে গেছি চর্চার অভাবে। এটা বাস্তবতা আর অবহেলার সামষ্টিক কুফল। তবুও তো একটু চেষ্টা করতেই হয়।

বানানের বরাতে দ্বিতীয় বার পড়া হল। খুব ভালো লিখেছেন। তেমন কেউ থাকলে একটা ফোন করে বসতাম... খাইছে

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ! যাক আজকে পুরান বোতলে নতুন কিছু মদ ঢুকাইলাম। ব্যাপারটা যেটা হয় যে আমি সব কিছুই ভাসা ভাসা দেখি। খেয়াল করে দেখা হয় না কিছুই। বাংলাদেশের কোন টাকার উপর কী ছবি বলতে পারবোনা। অথচ এতবার ব্যবহার করেছি। সবই ভাসা ভাসা দেখা।

আগামী বার ভুল করলে বেতের বাড়ি দিয়েন, ইয়ে ... মানে এই বাড়ি বানানটা কি ঠিক আছে... !!! দেঁতো হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাই... উত্তম জাঝা!

আমার আর আফসোস হয়না লেখালেখি পারিনা বলে। আমার দুইটা ভাই আমার হতাশা পূরণ করে দিচ্ছে! আর কী চাই?

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

এমন বোন থাকলে লেখা লেখি তো চলবেই যতই খারাপ লিখি না কেন... ধন্যবাদ আপু!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার লেখা !! শিরোনামটা খুবই আকর্ষণীয়...

বানান প্রমাদ একটু বেশী হয়েছে- আমার মত হেঁজিপেঁজি কেউ এই ভুল করলে বলার কিছু থাকতোনা। কিন্তু এতো ভালো লেখক এরকম ভুল কেন করবেন ??
(মাইন্ড কইরেন না, লেখা উড়কি হইসে ...)
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ভালো লেখক!! উহু... আমি ভানুষের বন্ধু একটা ফানুশ... বানান ভুল হয়, কী আর করা! ব্যার্থতা... মাইন্ড করার প্রশ্নই আসে না। সবাই সব সময় বলে। মাইন্ডের চামড়া মোটা হয়ে গেসে... ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

ক এর ছবি

বরাবরই থেকে যায় স্পর্শের বাইরে, স্পর্শের কবরে!


অসাধারন!!!!!!!!!!

তোর একটা কবিতার কথা মনে পড়এ গেলো।সুতপা সিরিজের কিন্তু এখানে শেষ কথাটা একটা ফিলসফি মনে হলো।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

ফিলোসফি! তা তো বটেই। ওটাতেই আমার ইন্টারেস্ট, লেখায় তো আসবেই।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগল লেখাটা। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা পড়ে পুরাই মুগ্ধ। লেখক এখনও সচলে আছেন কিনা জানি না তবে ভাই আপনাকে বলছি,আপনার লেখা পড়ে পুরাই ভক্ত হয়ে গেলাম।
এক কথায় চমৎকার এক লেখা।
আমার ইচ্ছা করে এমন লেখা লিখতে, কিন্তু কেন জানি পেরে উঠি না।
আপনার এই লাইনটা আমার খুব ভালো লেগেছেঃ

ওহে পাঠক তুমি কী টিউলিপ দেখেছো? বৈশাখী ছিল টিউলিপের মত মসৃন, বাকে বাকে চমকের খনি, এক ক্রমবর্ধমান কৌতুহল…[b]

এবং শেষ লাইনটা।
আসলে ভালোবাসা যে কি, বোঝা বড় দায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে আবার মুখ দিয়ে 'না' বের হয়।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা পড়ে পুরাই মুগ্ধ। লেখক এখনও সচলে আছেন কিনা জানি না তবে ভাই আপনাকে বলছি,আপনার লেখা পড়ে পুরাই ভক্ত হয়ে গেলাম।
এক কথায় চমৎকার এক লেখা।
আমার ইচ্ছা করে এমন লেখা লিখতে, কিন্তু কেন জানি পেরে উঠি না।
আপনার এই লাইনটা আমার খুব ভালো লেগেছেঃ

ওহে পাঠক তুমি কী টিউলিপ দেখেছো? বৈশাখী ছিল টিউলিপের মত মসৃন, বাকে বাকে চমকের খনি, এক ক্রমবর্ধমান কৌতুহল…[b]

এবং শেষ লাইনটা।
আসলে ভালোবাসা যে কি, বোঝা বড় দায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে আবার মুখ দিয়ে 'না' বের হয়।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।