ব্যাথা /*** নীল ভূত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/১২/২০০৯ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাইনাস এবং মাইগ্রেন এই দুইটা শব্দের সাথেই খুব আমার ভালো রকমের সখ্যতা আছে। মেয়ে বান্ধবীর সাথে মাসে একবার দেখা হলেও এই দুইজনের সাথে আমার মোলাকাত সপ্তাহান্তে একবার না একবার হবেই। আর উনাদের আতিথেয়তার জন্য আমার প্রস্তুতি যুদ্ধে যাবার মতোই। কতো ডাক্তার-কবিরাজ-টোটকা যে ব্যবহার করলাম, তারপরও কিছু হয় না। যেই লাও সেই কদু। আবার ও মাথাব্যাথা হয়। আর আমি বিছানায় শুয়া শুয়া কাতরাই, মনে মনে ভাবি মাথা না থাকলেই ভালা ছিলো।

প্রথম যখন এই দুই মহারথীর সাথে পরিচয় হয় তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। ষান্মাসিক পরীক্ষার ঠিক তিনদিন আগে জীবনে প্রথমবারের মতো উনাদের দেখা পাইলাম। সন্ধ্যার দিকে মাথার উপর বালিশ চাপা দিয়ে শুয়ে আছি। মা এসে উঠতে বলতেসে, আমি কোনমতে বালিশ সরায় আম্মুরে বললাম মাথা ব্যাথা, তারপরে আবারো মরার মতো শুয়ে আছি। আমার কোন অসুখ হলে সহজে আম্মুরে বলিনা। সে অনেক হাংগামা করে। আর এতো বার জিজ্ঞেস করে যে এটা দিবে, ওটা দিবে নাকি যে তখন মনে হয় ক্যান বলতে গেসিলাম। যাই হোক আস্তে আস্তে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতে থাকে, আমার ব্যাথাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে বারোটার দিকে আম্মু নিকটস্থ হাসপাআতলে নিয়ে যায়। ওইখানে ডাক্তার সাহেব গরম পানিতে মেন্থল (Menthol) দিয়ে জোরে শ্বাস নিতে বলেন। এখন কতো জোরে সেটাতো বলেন নাই, আমি ও শেষ নিশ্বাস নেয়ার মতো করে দিলাম জোরে টান। সাথে সাথে মনে হলো আমার নাক দিয়ে কেউ আগুন ঢুকায় দিলো, পুরা মগজ পর্যন্ত মনে হয় জ্বলে গেলো। আর আকাশ বাতাস ফাটায় কাশতে লাগলাম। এভাবে কয়েকবার নরক যন্ত্রনা ভোগ করে বাসায় ফেরত আসলাম।

তারপর থেকেই উনাদের সাথে আমার এতো সখ্যতা। বড় বড় ডাক্তারদের সাথে মোলাকাত করলাম, একেক মুনির একেক মত। একজন বললেন মাইগ্রেন, একজন বললেন সাইনাস, একজন বললেন দুইটাই আসে, কিন্তু কেউ আর বলে না কি করলে এটা সারবো। সবাই ঘুরে ফিরে ওই মেন্থলেই ফেরত যান।

মেন্থল নেয়ার সময় আমার চেহারার এক্সপ্রেশন পুরাই ড্রাগ এডিক্টদের মতো হয়ে যায়। একদিন আমাদের বাসার টেরাসে (আমাদের বাসার দুইতলায় একটা উঠানের মতো আছে) সন্ধ্যার দিকে মেন্থল দিয়ে ভাঁপ নিতেসি, পাশের বাসা থেকে কেউ মনে হয় দেখে ফেলে। পরেরদিন আম্মুর কাছে শুনি উনারা নাকি মনে করতেছে আমি মাদক আসক্ত, আমার প্রতি পরিবার থেকে খেয়াল রাখা হয় না। প্রসংগত উল্লেখ্য, সেদিন ওই সময়ে বাসায় কেউ ছিলো না।

আস্তে আস্তে সময় যতো যাচ্ছে আমার মাথা ব্যাথা ততো সেয়ানা হচ্ছে, আগে একটুকরো দিয়ে ভাঁপ দিলে ব্যাথা কমে যেতো। এখন দিতে দিতে অর্ধেক বোতল খালি করে ফেলি তাও ব্যাথা কমে না। একবার ব্যাথা এতো বেশী ছিলো আমার সত্যি সত্যি ইচ্ছা করতেসিলো মাথাটা কেটে ফেলি। আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আর ভাঁপ নেই না। ব্যাথার তীব্রতা বাড়তে বাড়তে একসময় কেমন যেনো একটা ট্রান্স স্টেটে চলে যাই। আশেপাশের সবকিছু ধোঁয়া ধোঁয়া মনে হয়। মনে হয় আমি আকাশে ভাসছি। কোন কিছুই স্পষ্ট ভাবে কাছে আসে না। দুই বালিশের নিচে চাপা পড়া মাথাটাকে তখন আর আমার শরীরের কোন অংশ বলে মনে হয় না। তখন স্বাধীন এক আত্মা হয়ে যাই।মনে হতে থাকে আমি মেঘে মেঘে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আমি উড়তে পারি। আমার নিজেকে তখন অসীম স্বধীন একজন মনে হয়, যে কিনা এই পৃথিবীর কেউ না। এই অনুভূতিটার সাথে আমি মিশে যাই, আর কখন যেনো ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম থেকে যখন উঠি তখন ওই অনুভূতি গুলো স্পষ্ট ভাবে মনে করার চেষ্টা করি, কিন্তু তারা ধরা দেয় না। আমিও বেশী পীড়াপীড়ি করি না, হয়তো আগামীকালই আবার আমার মাথা ব্যথা হবে, আবার আমি ওই অনুভূতিটাকে ফিরে পাবো। আগে মাথা ব্যথাটাকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করতাম, এখন কেন জানি ভালই লাগে।

---নীল ভূত


মন্তব্য

এনকিদু এর ছবি

আমার সাইনাসের সমস্যা ছিল, বেশ খারাপ । বিড়ি ধরা মাত্র সেরে গেল । তবে এটার পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা আমার কাছে খুব একটা পরিষ্কার না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক এর ছবি

বিড়ি ধরা মাত্র সেরে গেল

ভাই বিড়ি তো আমিও খাই, কিন্তু আমারটাতো যায় না । কি করি কন তো ?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভাই, বানানটা

ব্যথা

মডুগুলারে বলি ভেতরে যাই থাক না কেন অন্তত হেডিং ভুল বানানে থাকলে ঠিক করে ছাপান। আর সেই কষ্ট করতে না চাইলে ওই লেখা ছাপায়েন না। যে লেখক হেডিং ভুল বানানে লেখে তাঁর অমনোযোগ প্রচুর।

ব্লগে বানানের কি হাল দেখেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বানানটা নিয়ে শিওর ছিলাম না। তাই আপনি যেই লিংক দিলেন সেই কাজটা আমি ও করসিলাম। ব্যাথা লিখে সার্চ দেয়ার পর এতো গুলা রেজাল্ট দেখে ভাবলাম ঠিক-ই আছে মনে হয়।

আর আপনারা, অতিথি লেখকদের নিজ পোস্ট সম্পাদনার অপশন কেনো দেন না আমি সেটা বুঝি না। কাজটা কি খুব কঠিন ?

---নীল ভূত।

হিমু এর ছবি

অতিথি লেখক অ্যাকাউন্টটা কমন, অর্থাৎ এটা ব্যবহার করে ১০০ জন ১০০টা পোস্ট দিতে পারবেন। আগে পোস্ট সম্পাদনার সুযোগ ছিলো। সেই সুযোগ নিয়ে এক হারামীর বাচ্চা অন্য অতিথিদের লেখা আটটা পোস্ট মুছে দিয়েছিলো। এরপর অতিথি লেখকের নিজ পোস্ট সম্পাদনার সুযোগ রহিত করা হয়।

অতিথি লেখকের প্রিভিলেজ অতিথি সচলরাও শেয়ার করেন, তাই তাদেরও নিজ পোস্ট সম্পাদনার সুযোগ বন্ধ। আরো কিছু সূক্ষ্ম কারণে এই সুযোগটি খোলা হচ্ছে না।

আর আপনি অতিথি লেখক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন কেন? ভালোমতো মেইল চেক করুন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

আর আপনি অতিথি লেখক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন কেন? ভালোমতো মেইল চেক করুন।

আপনি বলার পর আবারও চেক করলাম, নতুন কোন মেইল আসে নাই আমার কাছে। আর আমার কাছে রেজিস্ট্রেশনের সময় যে পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়েছিলো সেটাও তো কাজ করে না।

---নীল ভূত

মজনুভাই [অতিথি] এর ছবি

আর আপনি অতিথি লেখক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন কেন? ভালোমতো মেইল চেক করুন।

হিমুভাই,
এইটা কী হইলো?

আমিও কি ভালোকইরা মেইল চেক করবো?

-মজনু

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গুগলে সার্চ দিয়ে বানান ঠিক করা যাবে না। ব্লগে ভুল বানানের মেলা বসে গেছে।

আপনার লেখা ভালো। মাথাব্যথা নিয়ে আমি নিজেও বেসামাল। আর আমি নিজেও হাচল। সম্পাদনা করতে পারি না লেখা।

অতিথি লেখক এর ছবি

যে লেখক হেডিং ভুল বানানে লেখে তাঁর অমনোযোগ প্রচুর।

জ্বি ধন্যবাদ বলে দেয়ার জন্য। চেষ্টা করবো আর কোন লেখা না দেয়ার জন্য।

---নীল ভূত।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আরে লেখা থামায়েন না। বানান চেক করেন ভালো করে। অন্তত হেডিং-য়ে। এই যা। চোখ টিপি

মূলোদা কই গেলেন কে জানে?

সাফি এর ছবি

মাইন্ড খাইয়েন না গো, যা কইসে, আপনার ভাল চাইয়াই কইসে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে ভাই আমি কি ইচ্ছা কইরা বানান ভুল লিখছি নাকি ? আমি বানানটা সঠিক ভাবে জানতাম না। গ্রররররররর।

--নীল ভূত।

অতিথি লেখক এর ছবি

রোগ দুইটার সাথে আমার কোন পরিচয় নাই। ভাল থাক।
অফটপিকঃ কোন ছেলে বান্ধবী আছে নাকি? দেঁতো হাসি

স্পার্টাকাস

অতিথি লেখক এর ছবি

অফটপিকঃ কোন ছেলে বান্ধবী আছে নাকি?

আবার জিগস।। আসেতো, কিন্তু তেমন সখ্যতা নাই দেঁতো হাসি

মিয়া, গার্ল ফ্রেন্ড্রে বাংলা কইরা, মেয়ে বান্ধবী বানায় ফেলছি।। এটাও বুঝেন না ?

---নীল ভূত।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনের লগে আমার বেশ মিল আছে দেখা যায়...। আমিও এই দুইটায় আসক্ত। গতকালও একবার অভিসার হৈসিলো। ...

_________________________________________

সেরিওজা

তাসনীম [অতিথি] এর ছবি

একটা ওষুধ পাওয়া যায় আমেরিকাতে, নাম হোল excedrin migraine, try করে দেখতে পারেন।

http://www.excedrin.com/excedrin-migraine.shtml

ওষুধটা prescription ছাড়াই পাওয়া যায়, মাইগ্রেনওয়ালা বন্ধুরা এর সুনাম করেছে। আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন তবে ঢাকার কলাবাগানের লাজফার্মাতে হয়ত পাবেন। তবে বেস্ট হবে বন্ধুবান্ধব অথবা রিলেটিভ কাউকে বাইরে থেকে আনতে বলা। MRI ও CT scan করে দেখুন অন্য প্রবলেম আছে কিনা। মাইগ্রেন প্রাণঘাতী অসুখ নয় তবে দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটায় প্রচুর, please accept the fact that you would have to live with it and try to mitigate the symptoms. There are many other ways than menthol inhalation.

ইন্টারনেট ঘেটে দেখুন, অনেক support group পাবেন। আলোচনা করুন তাদের সাথে।

Good Luck...

তাসনীম

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, ঔষধটার নাম দেয়ার জন্য। আমি আনানোর চেষ্টা করবো। আর বইলেন না ভাই, প্রতি সপ্তাহে একবার এদের সাথে মোলাকাত করতে হয়। আর ভাল্লাগে না। মন খারাপ

নীল ভূত।

তানবীরা এর ছবি

আমার আছে এ সমস্যা আছে ভালো মতোই। আমি একটা খেলা খেলি, আমি জিতি বা ব্যথা? কাহিল হলে বিছানায় পড়ি তখন দুই দিন হুশ থাকে না।

মেন্থল করতে করতে আর ভালো লাগে না।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনিও মেন্থল সেবক ছিলেন? আহারে। সম-ব্যথী পেয়ে ভালো লাগ্লো । খাইছে

--নীল ভূত।

দময়ন্তী এর ছবি

কি সর্বনাশ! এরকম ব্যথা নিয়ে ঘুরে বেড়ান কেন? ভাল করে ভাল ডাক্তার দেখান৷ প্রথমে ভাল নিউরোলজিস্ট দেখান৷ সিটি স্ক্যান, এম আর আই ইত্যাদি করিয়ে ওষুধ দেবে৷ মাইগ্রেনের প্রকোপ অনেক কমে তো৷ আমারই কমেছে৷ আগে যখন তখন হত৷ এখন মোটামুটি বছরে একবার কি খুবজোর দুইবার শুইয়ে ফেলে৷ আর মাইগ্রেনের জন্য আজিনোমোতো দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলবেন৷ সাধারণত চাইনিজ ডিশগুলোতে আজিনোমোতো দেয়৷ এছাড়াও আরও কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে বলেন ডাক্তাররা৷ আমাকে যেমন সিঙ্গাপুরি কলা একদম বাদ দিতে বলেছিলেন৷কলাগুলো নাকি হজম হয়ে আমার রক্তে কিসব বাড়িয়ে কমিয়ে দেয়৷

আর সাইনাসের সমস্যাও ছিল ছোটবেলায়, মেজবেলায়৷ এখন ঐ রোজ সকালে ঈষদুষ্ণ জলে লেবু চিপে এক চামচ মধু দিয়ে খেয়ে আর রোদ্দুর এড়িয়ে চলে দিব্বি আছি৷ ঐ সকালে নিম্বুপানিটা আসলে শরীরে ইমিউনিটি বাড়ায়, ফলে সর্দিকাশি হয় না, ফলে ব্যাটাদের গিয়ে কানে মাথায় জমা হওয়ার চান্সও থাকে না৷

সুস্থ থাকুন৷ মনের আনন্দে লিখুন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল করে ভাল ডাক্তার দেখান৷ প্রথমে ভাল নিউরোলজিস্ট দেখান৷ সিটি স্ক্যান, এম আর আই ইত্যাদি করিয়ে ওষুধ দেবে৷

বাংলাদেশ উচ্চ পর্যায়ের ডাক্তার দেখানো শেষ। সিটি স্ক্যান, এম আর আই করানো হইছে, তারা আমাকে দীর্ঘমেয়াদী ঔষুধ ও দিছে। এক মাস দুই মাস চালানোর পরে দুই তিন মাস থাকে না ঠিকই, কিন্তু আবার আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে।

আজিনোমোতো

ভাইয়া/ আপু, এটা কি জিনিস ? বায়ো সম্পর্কে আমার জ্ঞান শূণ্যের কোঠায়।

এখন ঐ রোজ সকালে ঈষদুষ্ণ জলে লেবু চিপে এক চামচ মধু দিয়ে খেয়ে আর রোদ্দুর এড়িয়ে চলে দিব্বি আছি৷

রেসিপিটা ভালো, কিন্তু হলে থাকি, বানানোটা একটু কষ্টকর হবে। তারপরেও চেষ্টা করে দেখবো।

আর ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য।

---নীল ভূত।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও ঐ দুই বন্ধু অনেক দিন ধরে সাথে আছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ইয়োগা ক্লাসে টিচার শেখালেন হালকা গরম পানি লম্বা নলওলা পটে করে নিয়ে নিজের মাথাটা ৪৫º কাত করে সামনে ৪৫º ঝুকে নল দিয়ে হালকা গরম পানি এক নাক দিয়ে ঢাললে আরেক নাক দিয়ে বেরিয়ে আসবে। এটা নাকি ঐ দুই বন্ধুকে তাড়াতে মহা সাহায্য করে। আমি এখনো ট্রায় করিনি ;( তবে আপনি করে দেখতে পারেন । চোখ টিপি

দিশা___

অতিথি লেখক এর ছবি

। গতকাল সন্ধ্যায় ইয়োগা ক্লাসে টিচার শেখালেন হালকা গরম পানি লম্বা নলওলা পটে করে নিয়ে নিজের মাথাটা ৪৫º কাত করে সামনে ৪৫º ঝুকে নল দিয়ে হালকা গরম পানি এক নাক দিয়ে ঢাললে আরেক নাক দিয়ে বেরিয়ে আসবে।

সচিত্র বর্ণনা দিলে ভালো হইতো। পরে দেখা গেলো পানি ঢুকছে কিন্তু আর বের হওয়ার নাম নাই, তখনতো আমি শ্যাষ । ধন্যবাদ উপেদেশ -এর জন্য।

---নীল ভূত।

দ্রোহী এর ছবি

মাথাব্যথার কথা পড়ে হেবোর অমর বাণী মনে পড়ে গ্যালো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
কী যে এক সমস্যা, অন্তর্জালে এখন মাথাব্যথার কথা লেখাই যায় না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফি এর ছবি

যেকোন বিবাহিত পুরুষের জীবনেই মাথাব্যথা একটা মূর্তিমান বিভীষিকা। হেবোর বাণীটা কি হে দ্রোহী?

দ্রোহী এর ছবি
ঐশী এর ছবি

আমার ও এইরকম ব্যথা আছেরে ভাই।

ভ্রম এর ছবি

মাইগ্রেন আসলেই ভয়াবহ খাটাশ। দিনরাত মুড়ি মুরকির মত অ্যাডভিল খেয়ে বেঁচে থাকি...

অতিথি লেখক এর ছবি

দিনরাত মুড়ি মুরকির মত অ্যাডভিল খেয়ে বেঁচে থাকি

ভাই এত্তো খাইয়েন না, পেটে পাথথর অইবো। (যদিও আমি জানি না অ্যাডভিল খাইলে পাথর হয় কিনা, তবু মুড়ির মতো খাইয়েন না।)

---নীল ভূত।

হাসিব জামান এর ছবি

এই ব্যথা, মেনথল দুটোর সাথেই পরিচয় আছে। খুব কষ্টকর।
লেখাটা আমার নিজের খুব আপন মনে হলো। ভাল থাকবেন ভাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার জন্য ও সমবেদনা রইলো। আপনি ও ভালো থাকবেন।

---নীল ভূত।

অনিকেত এর ছবি

নীল ভূত
মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ে এত সুন্দর লিখেছ যে আমার ধারণা অনেকেই হয়ত হয়ত মনে মনে আফসোস করছেন--তাদের কেন মাইগ্রেন নেই!
আমার মনে হয় 'মাইগ্রেন' তাড়ানোর সবচাইতে কার্যকরী পদ্ধতি হল, 'মাইগ্রেন' কে 'ইয়োরগ্রেন' বলা। 'মাই' গ্রেন বলি বলেই হয়ত আমাদের ছেড়ে যেতে চায় না।

ইয়ার্কি বাদ দিয়ে বলি, এই সমস্যায় আমিও ভুগতাম। এখনো ভুগি। তবে বয়েস হবার সাথে সাথে দেখা সাক্ষাৎ কিঞ্চিত কমে গিয়েছে।

বুড়ো হবার এই একটা মাত্র ফায়দা খুঁজে পেলাম।

ভাল থাকো, সুস্থ থাকো---আর এইরকম চমৎকার লেখা লেখ (আশাকরি মাইগ্রেন নিয়ে তোমাকে আর লিখতে হবে না)।

ভিন্ন প্রসঙ্গঃ সুপারকন্ডাকটর বিষয়ে কিন্তু তোমার কাছ থেকে লেখা আশা করছি বস।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনিকেতদা,

আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন, এটা দেখেই খুশি লাগ্লো। আর দাদা, আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন, প্লীজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জ আপনার ঠিকানাটা আমাকে একটু দেবেন, আপনাকে আমি সামনে থেকে একবার দেখতে চাই। দেখতে চাই একজন মানুস এতো স্নেহ কোথায় লুকিয়ে রাখে।

ভিন্ন প্রসঙ্গঃ সুপারকন্ডাকটর বিষয়ে কিন্তু তোমার কাছ থেকে লেখা আশা করছি বস।

দাদা, আমার মতো নবিশের লেখা পড়ে তো মজা পাবেন না। তবুও শুধু আপানার জন্যই আমি লেখাটা লিখবো।

আবারও ধন্যবাদ, আমার এই অকিঞ্চিতকর লেখটি পড়ে দেখার জন্য।

---নীল ভূত।

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার মাইগ্রেন-সাইনাস কোনটাই নেই...কিন্তু মাথাব্যথার কারণে আমার জীবন অস্থির! পেইনকিলার-প্যারাসিটামল-ভিক্স ব্যবহার করতে করতে অইগুলাতে এখন কোন কাজই হয়না...কারণটাও জানিনা!

লেখা খুউউব ভাল লাগছে...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা খুউউব ভাল লাগছে...

ধন্যবাদ।।

---নীল ভূত।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমারও মারাত্মক সাইনাস মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল। ব্যাথা শুরু হলে আর দুই চোখে কিছুই দেখতে পারতাম না। ঐ সময়গুলোর কথা মনে করলেও ভয় করে।

যাই হোক, ক্লাস টেনের পর আমার সেই ভয়াল আর ব্যথা হয়নাই, ভাবছিলাম একটা হোমিওপ্যাথ ওষুধের গুনে, কিন্তু এখন এনকিদু ভাইয়ের মন্তব্যে ভুল ভাঙলো। সিগ্রেট খাওয়া শুরু করাই সাইনাস দূরীকরণের প্রধান কারণ ছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার অবশ্য এই টাইপ মাথাব্যথা নেই। হঠাৎ হঠাৎ ঢুস করে ধরে, আবার ঢুস করে ছেড়ে যায়। কিন্তু মাথাব্যথা নিয়ে টিভি দেখা বা আড্ডা দিতে পারি, কিন্তু পড়তে কেন পারি না- এইটা বুঝি না! স্টুডেণ্ট লাইফে নাকি এটা থাকবেই!

মেন্থল নেয়ার সময় আমার চেহারার এক্সপ্রেশন পুরাই ড্রাগ এডিক্টদের মতো হয়ে যায়।

এটা পড়ে খুব মজা পেলাম। দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

স্টুডেণ্ট লাইফে নাকি এটা থাকবেই!

আমাকে ও এক প্রফেসর ডাক্তার এটা বলছে। বলছে পড়ালেখা শেষ করে যখন চাকরি করবো , বিয়ে শাদী করবো তখন ব্যথা কমে যাবে !!!! এটা কিভাবে সম্ভব আমি জানি না।

উদ্ধৃতি

মেন্থল নেয়ার সময় আমার চেহারার এক্সপ্রেশন পুরাই ড্রাগ এডিক্টদের মতো হয়ে যায়।

এটা পড়ে খুব মজা পেলাম। দেঁতো হাসি

মিয়া আপ্নেরা খুব খ্রাপ লুক। এতো সুন্দর সুন্দর লাইন থাকতে এই লাইন্টাই ভালু পাইলেন ?

---নীল ভূত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।