একা আছি, শূন্যতায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/১২/২০০৯ - ৯:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নভেম্বর মাস শেষ হয়ে ডিসেম্বর এলেই কিরকম যেন উচাটন লাগে। মনে হয় বেরিয়ে পড়তে হবে। ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না, অফিসে যেতে মেজাজ খারাপ হয়,বরের সাথে নিত্যদিন খিটিমিটি লাগে। বর বেচারা মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে রাজী হয়, মাঝে মাঝে বাঘের মত গর্জন করে ওঠে, এই গর্জনের পিছনের কথাটি হল তার টাকা নেই। নিয়ে যেতে না পারার অক্ষমতা থেকে ব্যাঘ্র-গর্জনে ঘর-বাড়ি কেঁপে ওঠে। কিন্তু আমি নির্বিকার। এর আগের দু-দুটো বছর আমি এই ঘোরাঘুরির ধাক্কা সামলেছি। নিজের গ্যাটেঁর টাকা খরচ করে ঘুরতে বেরিয়ে বরকে বলতে শুনেছি এর ওর কাছে,-হে হে হে, বউকে ঘুরাইয়া আনলাম। খুব ভালো হোটেলে রাখসিলাম। এবার তাই আমি চুপ কিন্তু পরিকল্পনা চলছে জোর এবং তা একা একা মনে মনেই। ডিসেম্বর যাই যাই করছে।

অফিসে আসি,যাই। যাই-আসি, কাজের কাজ কতটা করি! এইরকম মন কেমন করা রোগ কবে থেকে হল আমার, ধ্যাততেরিকা, বিরক্ত লাগে।ম্যালা কাজ করেছি জীবন ভর, এখন কদিন আমার ভাব এসেছে, কাজ কম, ভাবনা বেশী। বসের রক্তরাঙা চোখ!দেখব না, চোখ কদিন বন্ধ করে রাখব। কলিগের পিএনপিসি, অসহ্য লাগছে আজকাল। ফেসবুকে একটা প্রোফাইল আছে, জীবনে ঢুকতে ইচ্ছে করে না। ফেসবুকে লোকে কি পায় কে জানে। আমার কাছে অরকুট ভালো। অরকুট অনেক সহজ-সরল। অরকুটেও ঢুকে দেখি আমারে কেউ স্ক্র্যাপ করে না,। আবার রাগ হয় মনে মনে। থাক তার থেকে বরং ভাবি।

সেদিন একজনে বললেন, ইংরেজী সাহিত্য না জানলে নাকি লেখালিখি করা যায় না। কি জানি সত্যি কি না। আমি ইংরেজী কেন, বাংলা সাহিত্যেরই বা কি জানি! জানি না সেভাবে কিছুই। লেখালিখি করার খুব সাধ হয়, কিন্তু ওই যে জানি না কিছুই, তাই আমার দ্বারা লেখালিখি হবে না, ধরেই নিয়েছি। মধ্যযুগের ইউরোপীয় সাহিত্য বাঙালীর কাছে কিভাবে সমাদৃত সেইটা নিয়ে একটা লেখা দেখলাম সেদিন, তাতে অনেক কঠিন কঠিন কথা। আমি অর্ধেক বুঝি, অর্ধেক বুঝি না, কিন্তু ভাবি আস্তে আস্তে এগুলো জানতে হবে।

মধ্যযুগের ইংরেজী সাহিত্য আগে পড়ব না বাংলা সাহিত্য? বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের কথা তো কিছুই জানি না। অথচ আমি বাঙালী, অথচ আমি লিখতে চাই। টানাপোড়েনে কোনটাই ধরা হয় না।

আজকাল সম্পর্করক্ষায় আধুনিক এবং জরুরী বিষয় স্পেস[/i] । তাই ভুল করে যদি বর ল্যাপু ছেড়ে লগ আউট না করে উঠে যায়, খবরদার সেসবের দিকে তাকানো যাবে না। বরের পার্সোনাল এরিয়াতে ঢোকা ঠিক না। কিম্বা, আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বরের কানে সেলফোন আঠার মত জুড়ে থাকলেও সেদিকে নজর দেওয়া যাবে না। এমনকি কুড়ি বছর আগের প্রেমিকা ‘বনলতা সেন’ বর্তমানের প্রবাসী, যদি অন্তর্জালের সহায়তায় পুরোনো প্রেমিক অর্থাৎ বর্তমানে আমার বরকে খুঁজে বের করে দুজনেই আলাদা আইডি বানিয়ে মেলামেলি শুরু করে, সেটি যদি ধরাও পড়ে যায় সহসা, কিছু ভাবা যাবে না। এমন হতেই পারে।

নাহ্,এসব চিন্তাভাবনা থাক। আমি বরং মনে মনে সাগরতীরে যাই।ঝিনুক কুড়োব না, চুপ করে বসে থাকব, যদি সে আসে, যদি পাশে বসে। যদি সে বলে-

তুমি বললে, রৌদ্রে যাও, রৌদ্রে তো গেলাম
তুমি বললে, অগ্নিকুন্ড জ্বালো, জ্বালালাম।
সমস্ত জমানো সুখ-তুমি বললে বেঁচে দেওয়া ভালো
ডেকেছি নীলাম।
তবু আমি একা।

যদি সে এমন করে বলেই, সব ফেলে চলে যাব তার কাছে। আমারও স্পেস চাই।

মধুবন্তী মেঘ
অতিথি লেখক
[পংক্তি:পূর্ণেন্দু পত্রী]


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালই ব্লগরব্লগর। কয়েকটা জায়গায় দাড়ি-কমা'র পরে স্পেস বাদ পড়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই,
স্পেস টা খেয়াল না করা....এটা একটা বাজে অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে, আর বেখেয়ালে প্রিভিউ না করলে যা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
মধুবন্তী

শেখ নজরুল এর ছবি

'নাহ্,এসব চিন্তাভাবনা থাক। আমি বরং মনে মনে সাগরতীরে যাই।ঝিনুক কুড়োব না, চুপ করে বসে থাকব, যদি সে আসে, যদি পাশে বসে। যদি সে বলে-

তুমি বললে, রৌদ্রে যাও, রৌদ্রে তো গেলাম
তুমি বললে, অগ্নিকুন্ড জ্বালো, জ্বালালাম।
সমস্ত জমানো সুখ-তুমি বললে বেঁচে দেওয়া ভালো
ডেকেছি নীলাম।
তবু আমি একা।'

ভালো লাগলো পুরো লেখাটা। সবচেয়ে ভালো লাগলো শেষটা। ধন্যবাদ আপনাকে।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভেচ্ছা জানবেন, নজরুল।
মধুবন্তী মেঘ

অনিকেত এর ছবি

মধুবন্তী দি,

লেখাটা পড়া শুরু করেছিলাম বেশ হালকা মুডে।
লেখাটা যত এগুলো তত উচ্চারণ গুলো হয়ে এল ভীষন ব্যক্তিগত।
এতটাই ব্যক্তিগত যে মনে হল চুরি করে কারো ডায়েরী পড়ে নিচ্ছি।
আমরা সকলেই আমাদের মনের অলিগলির মাঝে গোলকধাঁধা রাখতে ভালবাসি।মনের গলিঘুঞ্জিকে সব সময় আঁধার করে রাখি। উদ্দেশ্য আর কিছুই না---অন্যকে মনের ভেতরটা দেখতে না দেয়া।

যারা মনের মাঝে আলো জ্বেলে রাখেন, তারা শুধু সাহসী নন, তারা সৎ।

আপনার সারাটা লেখা সেই সততায় ভাস্বর।

শুভেচ্ছা রইল মধুবন্তী দি।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনিকেত,
শুভেচ্ছা রইল। আসলে আমরা এখনকার সময়ে কি রকম একটা যেন হয়ে যাচ্ছি। স্পেস স্পেস.............শূন্য সব। ফিজিক্সের থিওরী তে কি বলে?
মধুবন্তী মেঘ

শ্যাজা এর ছবি

লেখাটা পড়তে পড়তে কে লিখেছে না জেনেই আমার হঠাৎ মনে হল এটা মেঘের লেখা এবং সাথে সাথেই নিচের দিকে এসে দেখলাম, সত্যিই মেঘের লেখা!

পুরোটা পড়িনি এখনো, পড়ে আবার লিখছি হাসি

------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

খুব ভালো লাগলো
-----------------------------------------------
যে জানে না এবং জানে না যে সে জানে না, সে একটা বোকা – তাকে এড়িয়ে চলো
যে জানে না এবং জানে যে সে জানে না, সে সরল মানুষ – তাকে শেখাও
যে জানে এবং জানে না যে সে জানে, সে ঘুমিয়ে আছে – তাকে জাগাও
যে জানে এবং জানে যে সে জানে, সে জ্ঞানী – তাকে অনুসরণ করো।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মতাহির ভাই।
মধুবন্তী মেঘ।

শ্যাজা এর ছবি

মেঘ,
তোমার লেখাটা পুরো পড়ে মনে পড়ল অন্য একটা লেখার কথা, একেবারেই অন্যরকম সেই লেখা, বিষয় বক্তব্য সবই অন্যরকম, একটা লাইন, শুধু একটা লাইন খুব মনে পড়ছে, মন ভালোর সাথে কী মন খারাপের দেখা হয়েছিল কখনো?

সত্যিই কী দেখা হয় কখনো?

মন ভালো বরং থাক মন ভালোকে নিয়ে আর মন খারাপ থাক মন খারাপের সাথে..

তুমি ভালো থাকো মেঘ...

------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...

অতিথি লেখক এর ছবি

বাহ্ শ্যাজা বাহ্...... খুব ভালো লাগলো তোমাকে পেয়ে।
শুভেচ্ছা জেনো।
মধুবন্তী মেঘ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুণ। আরো লেখা চাই...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মধুবন্তী মেঘ এর ছবি

আমার পোস্টে আপনাদের উপস্থিতি আনন্দদায়ক।
মধুবন্তী মেঘ

তিথীডোর এর ছবি

প্রিয় পংক্তিগুলো বেশ মিলে যায় দেখছি!!
আগের পোস্টটার মতই ভীষণ ভাল্লাগলো...
লিখুন নিয়মিত!

--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

তিথীডোর, শুভেচ্ছা জানবেন।
মধুবন্তী মেঘ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখা খুব ভালু পাইলাম।

একটা প্রশ্ন।

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ বলতে কি বোঝাতে চাইতেসেন?

শূণ্যতা > শূন্যতা

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষ বাবু, প্রথমে সাধুবাদ জানাই পোস্ট পড়ে বানান শুধরে দেবার জন্য। অফিসে বসে বসে লেখা, আর বানানে খুব যে পারদর্শী নই সে তো বুঝতেই পারছেন।

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ বা ইংরেজী সাহিত্যের, যেটাই হোক, আমি বেবাক যুগেই সমান জ্ঞান রাখি (ভ্যালু-শূন্য)। তবে মধ্যযুগের (পনের/ষোল থেকে আঠার শতক) বাংলা সাহিত্যের ভাগে দেখেছি যে, নাথ ও সহজিয়া সাহিত্য (প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ সাহিত্য), ধর্মমঙ্গল, মুসলিম ধর্মসাহিত্য, বৈষ্ণব পদাবলী, জঙ্গনামা. লোক সাহিত্য বিবিধ র কথা বলছি।
মধুবন্তী মেঘ

রাহিন হায়দার এর ছবি

নির্লিপ্ত ভঙ্গির পেছনের দীর্ঘশ্বাসটা শুনতে পেলাম তবু।
লেখা খুব ভালো লাগলো।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

অতিথি লেখক এর ছবি

....পিছনে পড়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস যত
মধুবন্তী মেঘ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

স্পেস শব্দটা পড়েই ধড়াস করে একটা ধাক্কা লাগলো
সম্ভবত সিমন দ্যা বোভ্যোর (এই বানানটা জীবনেও করতে পারি না ঠিকমতো) এর কোনো এক লেখায় পড়েছিলাম- কান্নার জন্য স্পে চাই

তারপর আবৃত্তিকার মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায় আমার জন্ম শহর সিলেটের একটি হোটেলে গিয়ে আত্মহত্যা করে সুইসাইড নোটে লিখে গেলেন- মৃত্যুর জন্য একটা স্পেস খুঁজছিলাম আমি...

০২

পার্সোনাল স্পেস কথাটা শুনলেই কেন জানি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে ওই দুইটা কথা

০৩

লেখাটা যাযাবারের আরেকটা কতা স্মরণ করিয়ে দিলো- বিজ্ঞান (নাকি আধুনিকতা?) দিয়েছে গতি- কেড়ে নিয়েছে যতি...

স্পেস শব্দের আরেকটা অর্থ কি যতি?

তিথীডোর এর ছবি

লীলেন্দা : ধৃষ্টতা খেমা কইরেন পিলিজজজজ..
"দিয়েছে বেগ / কেড়ে নিয়েছে আবেগ"
লাইনগুলো এরকম না?

--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

যাযাবরের কথাটা ছিল এই রকমঃ

"আধুনিক বিজ্ঞান মানুষ কে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। এতে আছে গতির আনন্দ, নেই যতির আয়েস।"

অতিথি লেখক এর ছবি

লীলেনভাই, আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে খুব ভালো লাগল। আমি তো ভাবতেই পারিনি।
ভালো থাকুন।
মধুবন্তী মেঘ

দময়ন্তী এর ছবি

যাযাবরের ঐ লাইনটা "দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ' না? কলেজে থাকতে আমরা ঐ "দিয়েছে বেগ' অংশটা নিয়ে প্রচুর খিল্লি করতাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এখন মনে হচ্ছে যাযাবরের লাইনটা আমার মতো না হয়ে ওইরকমই ছিল
আমার মগজে এসে ওটা কম্প্রেসড হয়ে গেছে (মগজে স্পেস কম)

তুলিরেখা এর ছবি

সেদিন একজনে বললেন, ইংরেজী সাহিত্য না জানলে নাকি লেখালিখি করা যায় না।

কথাটা আরো কিছু লোককে বলতে শুনেছি যারা না লেখে ইংরেজী, না লেখে বাংলা, বলেও একটা খিচুড়ী ভাষা।

বাঙালীর নিজস্ব সংস্কৃতি ইতিহাস শিল্পভাবনা ভাষারীতি এসবের সঙ্গে ইংরেজীয়ানার অনুকরণ করা(দূর থেকে দেখে হাত পা নাড়া অনুকরণ) কতদূর ভালো হতে পারে? আদানপ্রদান চলতেই পারে, কিন্তু লেখালিখিই করা যাবে না ইংরেজী সাহিত্য না জানলে, এটা হাস্যকর দাবী বলে মনে হয়। আর অন্যদের রীতি যদি আবশ্যকই, তবে রুশ সাহিত্যই বা নয় কেন, পোলিশ বা ফরাসী বা স্প্যানিশ বা সুইডিশই বা চৈনিক বা জাপানীই বা নয় কেন? এগুলো তো আরো বেশী সমৃদ্ধ!

ভালো থাকবেন, লেখালিখি কখনো থামাবেন না।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো থাকব তুলিরেখা। কথাটা ঠিক বললেন, অন্য সাহিত্যই কেন নয়।
শুভেচ্ছা জানবেন।
মধুবন্তী মেঘ

ভেড়া  এর ছবি

অসাধারণ লাগলো লেখাটা ।

কি বলবো বলেন ? শুধু মন খারাপটা শেয়ার করতে পারি আপনার সাথে ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
মধুবন্তী মেঘ

দময়ন্তী এর ছবি

ভাল লাগল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

দময়ন্তী,
শুভেচ্ছা জানবেন। আমি আপনাদের পোস্ট পড়ি, কিন্তু আমার পোস্টে আপনাদের মন্তব্য আসতে পারে, ভাবিনি। খুব ভালো লাগছে।
ভালো থাকুন।
মধুবন্তী মেঘ

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সোজা সাপটা ভাষায় লেখা ব্যাক্তিগত কিছু কথা কিন্তু ভীষন ভালো লাগলো!*নক্ষ্ত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আমি যা লিখি সবই এমন সোজা, তবে ব্যক্তিগত ঠিক না,যা কিছু ব্যক্তিগত ভাবছেন, এই সমস্যাগুলো দ্রুতবেগে ধাবমান এবং প্রচ্ছন্ন ছায়া ফেলেছে আপনার আমার সবার মধ্যে। কেউ ভাবি, কেউ ভাবি না।
মধুবন্তী

অতিথি লেখক এর ছবি

কেমন আছেন ধুসর গোধূলী ভাই?
মধুবন্তী

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
ইদানিং অনেক নাম না জানা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, 'স্পেস' এর মোড়কে।
তবে আধুনিকতার দোহাই দিলেও আমরা আসলে ভেতরে ভেতরে সেই পুরোনো 'আমরা'ই থাকি। ইদানিং দেখা একটা হিন্দি সিনেমা মনে পড়ে গেলো, লাভ আজ কাল। হাসি

'বনলতা সেন' এ একটু হোঁচট খেয়েছি! চোখ টিপি
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাবিয়ে দিলেন, পুরোনো 'আমরা' র কথা বলে।
মধুবন্তী

ভেড়া এর ছবি

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধাক্কা খেয়ে পুরানো 'আমরা'য় ফিরে যেতে ইচ্ছা করে । এইরকম টেম্পোরারি সেটব্যাক স্বাভাবিক ।

ভুল করার সাহসটাকে ভালা পাই । আরো ভালা পাই স্পিরিট না হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোকে ।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

স্পেসের নামে সম্পর্কে বিশাল ফাঁক হয়ে যায়, তবু স্পেস খুঁজে যাই...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম...
মধুবন্তী

ঐশী এর ছবি

অনেক অনেক ভাল্লাগ্লো পড়ে। আরো লিখতে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে
মধুবন্তী

হিমু এর ছবি

স্পেসে এলিয়েন ঢুকে পড়েছে হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা...সে-ই..... তবে, কার না ঢোকে !!
মধুবন্তী

হিমু এর ছবি

পরশুরামের একটা ছোটগল্প আছে, নামটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। গল্পের প্লট হচ্ছে এরকম, এক বিবাহিত কবি একেবারে প্রেমহাহাকারে ছ্যাড়াব্যাড়া সব কবিতা লেখে। কবিতাগুলো কোনো নাম-না-বলা মানসপ্রিয়ার উদ্দেশে। কবির বউয়ের বান্ধবীরা এ নিয়ে কবির বউকে নানা জিজ্ঞাসাবাদ করে, কে এই রমণী যাকে নিয়ে কবির এতো হুলুলুলু? সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে কবিপত্নী ঠিক করলেন, তিনিও কবিতা লেখা শুরু করবেন। তার কবিতাগুলি আবার উদ্দাম লিবিডোপূর্ণ। তিনি আফগান যুবকের উদ্দেশে "ক্রাংকশাফটের মতো তোমার দুই বাহুতে আমায় পিষে ফেল, পিষে ফেল" বা চৈনিক সৈনিকের উদ্দেশে "রুশকে বল লুশ, দুটাকাকে তু লুপি" টাইপ গরম গরম সব কবিতা লিখে চললেন। পরে কবির বন্ধুরা সবাই কবিকে ছেঁকে ধরে, যে ব্যাপার কী, তোমার বৌ এইরকম ইয়ে কবিতা লেখে কার উদ্দেশে? শেষমেশ দুজনেই কবিতা লেখা ছেড়ে দেয়।

গল্পটা শিক্ষণীয়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হিমুভাই, বুঝতে পারছি ।
মধুবন্তী

হাবিব এর ছবি

লাইকাইলাম।

আপনার শেষের পংক্তিগুলো ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে চাই..................

প্রাচ্চ্যের ভিনদেশী

ভণ্ড_মানব এর ছবি

অনিকেতদার মত করেই বলছি...মনে হলো যেন কারো ব্যক্তিগত ডায়রীর একপাতা পড়লাম।
অনেক ভাল্লাগলো। তবে 'মন খারাপ' ব্যাপারটাকে স্পেস দিয়েন না। আরো লেখা আসুক। শুভকামনায়।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে কি বলি! করতে গেলাম ব্লগর ব্লগর, হয়ে গেল সিরিয়াস ব্যাপার। আমি ভালো আছি।
মধুবন্তী মেঘ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অল্প কথায় অনেক কিছু বলে দিলেন যে!
........................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কেমন আছেন পান্থ? পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
মধুবন্তী

অতিথি লেখক এর ছবি

সে বাড়ির নেই ঠিকানা, শুধু অজানা লাল সুড়কির পথ শূণ্যে দেয় পাড়ি।।
(মহিনের (নাকি মুহিন?) ঘোড়াগুলি)

--- নীল ভূত।

গৌতম এর ছবি

আপনার লেখাটা ছুঁয়ে গেল। কী সহজ ভাষায় অনেক কঠিন বিষয় তুলে আনলেন!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ গৌতম।
মধুবন্তী

রেজওয়ান এর ছবি

আপনার লেখাটি দেরিতে পড়া হল। ভাল লেগেছে - হাত খুলে লিখতে থাকুন।

আমি কিন্তু একাকিত্ব এবং স্পেসের পক্ষে। সম্পর্কের দাবী হচ্ছে দুজনের মধ্যে কোন লুকোচুরি থাকবে না। অজানা কোন বিষয় থাকবে না। কিন্তু তার পরেও সু সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেও মানুষ মাত্রেরই নিজস্ব একাকিত্ব আছে, এটা মেনে নিতেই হবে। চিন্তা করে দেখুন আমাদের মধ্যে কিছু গোপন কথা থাকে শুধু কাছের লোককে জানানোর মত। আর কিছু থাকে যেটা কখনও কাউকে বলা যায় না। এছাড়াও থাকে আরও কিছু ..

ঐ যে জীবনানন্দের কথায়:

নারীর হৃদয় - প্রেম -শিশু - গৃহ - নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয় -
আরো এক বিপন্ন বিষ্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে

পুরানের লোকেরা বনবাসে যেতেন সেই বিপন্ন বিস্ময়কে ধরতে। আমাদের কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই। তবে আমরাও পারি আমাদের নির্জন একাকিত্বের ক্ষেত্রটিকে তৈরি করে নিতে, যে কোন অবস্থায়। ইংরেজীতে এর একটি মোক্ষম নাম আছে - সলিচিউড

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগল আপনার মন্তব্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
মধুবন্তী

ইবরাহিম যুন [অতিথি] এর ছবি

“লেখালিখি করার খুব সাধ হয়, কিন্তু ওই যে জানি না কিছুই, তাই আমার দ্বারা লেখালিখি হবে না, ধরেই নিয়েছি”-এত সহজ করে এত ভালো লেখার পরেও ? আপনার “হীরককুচি ভালোবাসা” নামকরণ’টা সুন্দর, সাথে আপনার নিক’টাও “মধুবন্তী মেঘ”।

ইবরাহিম যুন

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিই আমি লিখতে পারি না, আমার কাছে এমনটাই মনে হয়। ভালো থাকবেন।
মধুবন্তী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।