কেন আমি ঈশ্বর ও ঐশ্বরিক ধর্মে আস্থাহীন (প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০২/২০১০ - ৯:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

*ঈশ্বর ও ধর্মকে যারা যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চায় এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য,যারা ইশ্বর ও ঔশ্বরিক ধর্মকে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় তাদের জন্য নয়।এই পোস্টটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা,কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।

১।কোন কিছুর অস্তিত্ব প্রমান সাপেক্ষ,অস্তিত্বহীনতা নয়।তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা প্রয়োজন,যতক্ষন না ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষন ঈশ্বর সম্পর্কে প্রচলিত ধারনাকে অবিশ্বাস করাটাই আমার কাছে বেশি যৌক্তিক মনে হয়।

২।ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমানিত হলেই কিন্তু কোন ধর্ম ঔশ্বরিক বলে প্রমানিত হয় না।কারণ সব ধর্মই ঈশ্বরের কথা বলে কিন্তু এক ধর্মের ঈশ্বরের সাথে অন্য ধর্মের ঈশ্বরের মিল নেই।তাছাড়া ধার্মিকতা ও আস্তিকতা এক নয়।যেমনবৌদ্ধধর্ম ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না।

৩।ঈশ্বর আছেন কি নেই-এই প্রশ্নের উত্তর আমরা কখনো জানতে পারব কিনা জানি না তবে সমাজে প্রচলিত ধর্মগুলি যে যুক্তিহীন আবেগের উপর টিকে আছে তা খুব সহজেই বুঝা যায়।একটু লক্ষ করলেই দেখবেন মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে ধর্মগুলি বিবর্তিত হয়েছে।যখন মানুষ সাপকে বশ করতে শেখে নি, তখন সাপই ছিল ঈশ্বর;যখন মানুষ আগুনের ব্যাখ্যা জানত না তখন ঈশ্বরের অস্তিত্ব ছিল আগুনে,সৌরজগতের ব্যাখ্যা না জানা মানুষের কাছে সূর্যই ছিল ঈশ্বর।যা আমাদের কাছে এখনো ব্যাখ্যাহীন,তাকে ব্যাখ্যা করেই ধর্ম বেঁচে আছে।

৫।আজ সমাজে যে ধর্মগুলি টিকে আছে সেগুলি খুব পুরোনো নয়,মোটামুটি দুই হাজার বছরের মতো।পৃথিবীর বয়সের কাছে দুই হাজার বছর খুব নগন্য সময়।তাই এই ধর্মগুলিকে সুপ্রতিষ্ঠিত ভাবার কিছু নেই।হয়তো আরো দশ হাজার বছর পরে এই ধর্মগুলি থাকবে না,তখনকার ধর্মগুলি সেই সময়ের জাগতিক-মহাজাগতিক রহস্যকে ব্যাখ্যা করে টিকে থাকবে,যদি ততদিনে মহাজাগতিক সবকিছু বিবর্তনের হাত ধরে না বদলায়।

শাফিন হক


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে মন্তব্য হিসেবেই কথাগুলো লিখেছিলাম।কিন্তু কথাগুলো সবাইকে বলার লোভ সামলাতে পারছিলাম না।তাই পোস্ট করে দিয়েছি।

স্নিগ্ধা এর ছবি

শাফিন, ঠিক এটাই বোধহয় মন্তব্যের আকারে অতিথি নীরবতা'র পোস্টে দিয়েছেন, তাই না? আপনার

কোন কিছুর অস্তিত্ব প্রমান সাপেক্ষ,অস্তিত্বহীনতা নয়।তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা প্রয়োজন,যতক্ষন না ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষন ঈশ্বর সম্পর্কে প্রচলিত ধারনাকে অবিশ্বাস করাটাই আমার কাছে বেশি যৌক্তিক মনে হয়।
- এই কথাটার সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমি সম্পূর্ণ একমত, কিন্তু সাধারণত কারুর সাথে এগুলো নিয়ে তর্ক করি না, অন্তত না করারই চেষ্টা করি। প্রথমত, 'অযৌক্তিক' বুঝেও জীবনের একটা সময় পর্যন্ত আমি নিজেই ঈশ্বরবিশাসী ছিলাম, দ্বিতীয়ত, 'ধর্মবিশ্বাস' আমার দেখা সবরকম 'বিশ্বাস'এর মধ্যে সবচাইতে কম্পলিকেটেড ভাবে কাজ করে।

মন্তব্য আকারে ঠিক আছে, কিন্তু পোস্ট হিসেবে আপনার যুক্তিগুলোর আরো একটু ব্যাখা বা বিস্তৃতির দরকার ছিলো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পোস্টটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা,কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।

আর এই কথাগুলো সবাইকে বলার জন্য মন আঁকুপাকু করছিলো।তাই পোস্ট করে দিলাম প্রথম পর্ব হিসেবে।আশা করি পরে আবার ব্যাখ্যা করতে পারব।
যুক্তির উপর আস্থা থাকলে ধর্ম কি খুব কম্পলিকেটেড?আপনার নিজের ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম কি আপনাকে যুক্তি দিয়ে convinced করতে পারে?যদি না পারে তাহলে বুঝবেন আপনার ধর্মের প্রতি আপনার যে বিশ্বাস তা যৌক্তিক নয়,এ কেবল অন্ধবিশ্বাস যা খুব ছোটবেলা থেকে আমাদের মাথায় গেছে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনার নিজের ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম কি আপনাকে যুক্তি দিয়ে convinced করতে পারে?যদি না পারে তাহলে বুঝবেন আপনার ধর্মের প্রতি আপনার যে বিশ্বাস তা যৌক্তিক নয়,এ কেবল অন্ধবিশ্বাস যা খুব ছোটবেলা থেকে আমাদের মাথায় গেছে।

আপনি খুব সম্ভবত আমার মন্তব্যটা মন দিয়ে পড়েন নি। আমার নিজের ধর্মই তো আমাকে কনভিন্সড করে রাখতে পারে নি, সেখানে অন্য ধর্ম বা সামগ্রিকভাবে 'ধর্ম' জিনিষটাই তো পারবে না। যখন আমি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করতাম, তখনও এই কথাটা খুব স্পষ্টভাবেই বুঝতাম যে আমি মুসলমান পরিবারে না জন্মে ইহুদি পরিবারে জন্মালে ইহুদিই হতাম। অতএব, সেই হিসেবে অন্য ধর্ম আমাকে convinced করেছিলো বৈকি!

হ্যাঁ, যুক্তির ওপর আস্থা থাকলেও ধর্মবিশ্বাস কমপ্লিকেটেড। কারণ, আমি নিজেকে দিয়েই জানি তখন অনেক প্রশ্নকে আমি সিম্পলি - 'সব প্রশ্নের উত্তর আমি/আমরা এখনও পাই নি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে উত্তর নেই, হয়তো একসময় বুঝতে পারবো' এই বিশ্বাস/যুক্তি/সান্ত্বনাবাক্য দিয়ে স্থগিত রাখতাম।

আমার বিশ্বাস চলে গেছে যতটা না যুক্তির অভাবে (ভালোই কম্পার্টমেন্টালাইজ করতে পারতাম), তার চাইতে বেশি পৃথিবীতে মানুষের কষ্ট দেখে। এটা একদমই ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার, আমি নিশ্চিত এরও হয়তো পাল্টা কোন যুক্তি থাকবে - কিন্তু, বিশ্বাস আর আসেই না।

শাফিন  এর ছবি

স্নিগ্ধা,
আমি বোধহয় ভাগ্যবান;ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আমি কোন ধরনের দ্বিধায় ভুগছি না।

আমার নীতি খুব সরল-যতদিন না ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমি কনভিন্সড হবো ততদিন পর্যন্ত আস্তিক হচ্ছি না।তবে আমাদের কেউ সৃষ্টি করলেও করতে পারে,এমনও হতে পারে আমরা মহাজাগতিক কিংবা মহাজগতের বাইরের কোন শক্তির সৃষ্টি-কিন্তু প্রমাণ ছাড়া আমি এনিয়ে মাতামাতি করতে নারাজ।

শাফিন

[আমার এই মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হতে পারে কিন্তু সাময়িক ব্যস্ততার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষে এ নিয়ে আর কিছু লেখা সম্ভব না,তাই আমার উদ্দেশ্যে কোন প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য করে লাভ নেই]

পদ্মজা  এর ছবি

বিষয়বস্তু পুরানো। কিন্তু তর্কের জন্য চিরসবুজ।
তাড়াহুড়োয় লেখা বঝাই যাচ্ছে।

পুরোটাই আবেগ বলে মানতে পারছিনা। আমার মতে, যখন মানুষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তখন'ই শেষ আশ্রয় হিসেবে একটা supreme power এর খোঁজ করে। ঈশ্বর ধারণা'র মূল সেখানে বলে'ই আমার মত।
প্রতিটি মানুষ ই চায় সমাজে গ্রহণযোগ্যতা। দলছুট হবার ভয় থেকেই ধর্মচিন্তার উদ্ভব।

৫নঃ মন্তব্যটাই মূল। সবকিছু'ই বদলায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

'পুরোনো বিষয়বস্তু' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি আমার জীবন নিয়ে সংশয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। তাই আমার কাছে এ কেবল তর্কের ব্যাপার নয়,এর চেয়েও অনেক বেশি কিছু।যখন মানুষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়,তখন সে ধর্মাচারে ব্রতী হয় কিন্তু ধর্ম বিশ্বাসটা আবেগ প্রসূত বলেই আমার মনে হয়।অবশ্য যারা ধর্মের প্রবর্তক তারা মনে হয় সৃষ্টির কূল-কিনারা করতে পারেন নি,তাই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা/নিয়ন্ত্রনের জন্য
ধর্মের অবতারনা করেছেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শাফিন হক

সিরাত এর ছবি

ধর্ম বা বিশ্বাস মূলত 'আরাম'-এর ব্যাপার, আমার ধারণা, মানসিক আরাম। পৃথিবীতে এই কারণে কেউ, কখনো পুরাপুরি স্ট্যান্ডার্ডাইজড কোন ধর্ম চালু করতে পারে নাই। বড় ধর্মগুলাও *আসলে* ভিতরে স্ট্যান্ডার্ডাইজড না।

শেষতক এটা বেশিরভাগের কাছেই মূলত যুক্তির ব্যাপার বলে মনে হয় না। বা, যুক্তির হলেও, এত বেশি চলক জড়িত, 'পথ দেখানো' বড়ই কঠিন। অনেকটাই স্নিগ্ধা আপুর মন্তব্যের শেষাংশের সাথে একমত। যারা ধর্মবিশ্বাসী, তারা এক জায়গায় গিয়ে একটা লাফ মারেই। এই লাফটা ব্রিজ করাটাই ঝামেলা।

বরং এগনস্টিক বনাম এথেয়িস্টদের নিয়ে একটা লেখা দেন!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধর্মবিশ্বাসীরা যে লাফ দেয় সেটা যুক্তি দিয়ে কোনদিনও ব্রিজ করা যাবে না,আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।

ঈশ্বর আছেন কি নেই-এই প্রশ্নের উত্তর আমরা কখনো জানতে পারব কিনা জানি না

আমি মনে হয় agnostic ও atheist এর মাঝামাঝি।এ নিয়ে লিখতে চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ।
শাফিন হক

s-s এর ছবি

প্রথমে ঔশ্বরিক নামক অদ্ভুতুড়ে বানানটা ঠিক করে দিতে বলুন কাউকে প্লিজ! এটা আমার পাঠক হিসেবে সীমাবদ্ধতা, ভুল বানান দেখলে কাউকে সিরিয়াস কথা বলতে দেখলেও সিরিয়াসলি নিতে পারিনা হাসি, মনে হয় ফাজলামি করছে :)আর লেখাটা বেশ মজার, সংশয়বাদী বনাম নাস্তিকতা তো অনেক পরে, নাস্তিকতাকে "ধর্ম " হিসেবে শ্রেণীকরণেই আমার আপত্তি আছে। জীবনযাপনের পদ্ধতি হিসেবে দ্বাবিংশ শতাব্দীতে যা টিকে থাকবে, তাকে আদৌ ধর্ম বলে ডাকা যাবে কি'না সেটা পশ্চিমা
চিন্তাবিদদের বেশ ভোগাচ্ছে এখনই, আমাদের, মানে প্রতীচ্যের উপাসনামূলক সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা মানুষদের সাথে সবসময়ই ধর্মের আরো মৌলিক বিষয় নিয়ে তর্ক করে অনেক সময় নষ্ট করতে হয়, যে কারণে করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। "ভালো" লাগার থেকেও "ঠিক" লাগাটা এখনও মানুষের কাছে জরুরী। কিছু মানুষ হয়তো "ঠিক" খুঁজতে নাস্তিকতার কাছে যায়, কিছু মানুষ "ভালো" লাগা খুঁজতে ধর্মের কাছে যায়- হয়তো "ঠিক" হবার জন্য হাসি :) খুব সার্কুলার রেফারেন্স মতো হয়ে গ্যালো ব্যাপারটা তাই না? হাসি হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি 'ঈশ্বর' বানানও ভুল করেছি:)।ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।বানান ঠিক করতে জানি না যে!

জীবনযাপনের পদ্ধতি হিসেবে দ্বাবিংশ শতাব্দীতে যা টিকে থাকবে, তাকে আদৌ ধর্ম বলে ডাকা যাবে কি'না সেটা পশ্চিমা
চিন্তাবিদদের বেশ ভোগাচ্ছে এখনই
'অচেনা বিঁভুইয়ে' বসে পশ্চিমা চিন্তাবিদদের সাথে সাথে আপনারও এমন মনে হতে পারে,কিন্তু এই বাংলাদেশে বসে আমার মনে হচ্ছে তালেবান,শিবসেনারা থাকবেই হয়তো দ্বাবিংশ শতাব্দীর রূপে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ছোটো মানুষ হিসাবে। আমি "ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমানিত হলেই কিন্তু কোন ধর্ম ঔশ্বরিক বলে প্রমানিত হয় না।কারণ সব ধর্মই ঈশ্বরের কথা বলে কিন্তু এক ধর্মের ঈশ্বরের সাথে অন্য ধর্মের ঈশ্বরের মিল নেই।তাছাড়া ধার্মিকতা ও আস্তিকতা এক নয়।যেমনবৌদ্ধধর্ম ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না।" কথাটার একটু বিপক্ষে।যিনি এই কথাটা লিখেছেন তিনি মনে হয় সব ধর্ম গ্রন্থ এর জড় টা জানেন নি কখন। সব ধর্ম গ্রন্থেই ঈশ্বর কে এক বলে মেনে নেওয়া আছে।যাই হোক, যদি আপনি যানতে চান ত আমি বলতে পারি। দুই হাজার বছর আগের ইতিহাসও এর প্রমান। আমি অন্য কিছু নিয়ে তর্ক করব না, শুধু বলব কেও যদি কোরআন কে মনুষ এর তৈরি বলে প্রমান করতে পারে সেই দিন আমি আপনার এই মূল কথাটি মেনে নিব। কিছু মনে করবেননা আশা করি।

অতিথি লেখক এর ছবি

বৌদ্ধধর্মে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে একটু ঘেটে দেখবেন দয়া করে।

কুরআন ঈশ্বরের তৈরী-এ কথা কি কেউ প্রমাণ করেছে?

আমি কিছু মনে করি নি।কারন যতদূর মনে পড়ে,আমার দেখা সব চেয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গির আস্তিক আপনি:)।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আর ও ধর্ম পালন এক জিনিস না। ঐশ্বরিক ধর্ম বলতে কি বুঝালেন ঠিক বুঝলাম না।

বিশ্বাস আর অনুসরণে অনেক তফাত।

-নীরবতা

অতিথি লেখক এর ছবি

'ঐশ্বরিক ধর্ম' বলতে ঈশ্বরের ধারনার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ধর্মকে বুঝাতে চেয়েছি।

ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আর ও ধর্ম পালন এক জিনিস না।
কিন্তু এ দুটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী না হয়েও ঈশ্বরের ধারনার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ধর্ম পালন বড় মাপের ভন্ডামি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শাফিন হক

সৈকত চৌধুরী [অতিথি] এর ছবি

সুন্দর লিখেছেন। বেশ ভালো লাগলো। এ বিষয়ে একটু বিস্তারিত লিখে একটা পোস্ট দেন প্লিজ। অনেক ধন্যবাদ

শাফিন হক [অতিথি] এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।লিখতে অনেক কষ্ট লাগেঃ)।তবু সময় করে অবশ্যই লিখব।

অতিথি লেখক এর ছবি

বোদ্ধ ধর্ম একজনরে অনুসরন করে।ইতিহাস পর্যবেক্ষন করলে আপনি এর মূল টি খুজে পাবেন আশা করি।যেমন খ্রিস্টান রা যিশু কে ঈশ্বর মনে করেন।আপনি একটু ভাল করে দেখবেন যিশুরও পরিবার আছে।ঈশ্বর এর কোন পরিবার থাকার কথা না। যেমন কেউ যদি আমাদের নবীকে ঈশ্বর বলে তাহলে বিরাট ভুল করবে। আসলে আমি বলতে চাচ্ছি ধর্মের ভেদাভেদ টা মুল কথা না। মুল বিষয় একটাই।একজন ঈশ্বর।সত্যিকারের বাইবেল যেমন সত্য, ঠিক তেমন কোরআন ও সত্য। কোরআন এর এমন কিছু বিষয় আছে যা প্রমান করে এটা ঈশ্বরের তৈরী। কোরআন এর কিছু যুক্তির জন্য আমি এটা
বিশ্বাস করতে বাধ্য হইছি। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি কোরআন বিস্লেশন করে দেখতে পারেন।
আসলে আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা হুট করে একটা সিদ্ধান্তে চলে আসি। বিভ্রান্তে কেন থাকবেন? এটা বরং দুর করার চেস্টা করুন। আমি কোন কিছু বিশ্বাস করতে বলছিনা। শুধু বলছি সত্যটাকে প্রমান করুন।হুট করে একটা সিদ্ধান্তে চলে আসবেননা।

শিবলী

শাফিন হক [অতিথি] এর ছবি

যারা ইশ্বর ও ঔশ্বরিক ধর্মকে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়।
ভাই,আপনি আপনার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে থাকেন,আমি চাইনা যুক্তি-তর্কে এসে আপনি আপনার মগজের গভীরে প্রোথিত বিশ্বাসে,আবেগে আঘাত পান।

কুরআনের অনেক কিছুই স্থান ও কালের উর্ধ্‌বে নয়।এর বেশি কিছু আপনাকে বলতে চাই না,কারণ এতে কেবল তিক্ততাই বাড়বে।

আসলে আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা হুট করে একটা সিদ্ধান্তে চলে আসি।
ঠিক তাই,এটা আপনার একটা সমস্যা।বয়স সাত হওয়ার আগেই সিদ্ধান্তে আসা একজন মুসলমান হিসেবে আপনার জন্য ফরজ ছিল।তা না হলে আপনার সালাত কায়েম করা হত না,আপনি গুনাহগার হতেন।আমার ভাগ্নে চার বছর বয়স থেকেই আমাকে প্রশ্ন করে-
"মামা,তুমি নাকি আল্লাহকে ভয় পাও না?"
সে আরো আগেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌছে গেছে!
আবারো বলছি,ভাই,আপনি আপনার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে থাকেন,আমি চাইনা যুক্তি-তর্কে এসে আপনি আপনার মগজের গভীরে প্রোথিত বিশ্বাস ও আবেগে আঘাত পান।
ভালো থাকবেন।

হিমু এর ছবি

কোরআন এর এমন কিছু বিষয় আছে যা প্রমান করে এটা ঈশ্বরের তৈরী।

কোন বিষয়গুলি ভাই?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

দুর্দান্ত এর ছবি

ঈশ্বর।সত্যিকারের বাইবেল যেমন সত্য, ঠিক তেমন কোরআন ও সত্য।

সত্যিকারের কোরান কোনটা?

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

যুক্তির আলোকে কোন অবস্থান না নিয়েই আপনার পয়েন্টগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু দৃষ্টি তুলে ধরছি


তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা প্রয়োজন

যুক্তির খাতিরে কথাটা ঠিক আছে। কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্ব যদি ল্যবরেটরিতে কোন তত্ব প্রমানের মত প্রমান করার উপযোগীই হবে তাহলে সবাইতো ঈশ্বরে বিশ্বাস করত। সেক্ষেত্রে ঈশ্বর যদি মানুষকে পরীক্ষার জন্যই প্রেরণ করে থাকে এই পৃথিবীতে তার সাথে এই প্রমানযোগ্যতার ধারনাটা কি কিছুটা সাংঘর্ষিক নয়?


ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমানিত হলেই কিন্তু কোন ধর্ম ঔশ্বরিক বলে প্রমানিত হয় না

কিন্তু একজন অনুসন্ধানী মানসিকতার মানুষ পরের ধাপে প্রবেশ করতে পারে। অর্থাৎ সে যদি এটা গ্রহন করে যে সৃষ্টিকর্তা রয়েছে তাহলে তার সমস্যা হচ্ছে কোন ধর্ম ঐশ্বরিক সেটার খোঁজ করা।


যারা সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস করেন আপনার এই পয়েন্টের উত্তর হচ্ছে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি সংক্রান্ত ভাবনা আসার ব্যপারটা একটা সহজাত প্রবৃত্তি যেটা সৃষ্টিকর্তার মানুষকে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করার একটা বিশেষ লক্ষ্যন।

৪/৫
মানুষ আসলে ইতিহাসের একটা অল্প অংশ সম্পর্কেই জানে। কাজেই এই ব্যপারটা এই স্বল্প পরিসরের পরিচয় বহন করে হয়ত। আপনি যে সময়ের কথা বললেন তার আগেও ধর্মবিশ্বাস ছিল এমন অনেক প্রমান রয়েছে। আর যদি আপনি আব্রাহামিক ধর্মগুলোর স্ক্রিপচার ঘাটেন সেখানে নানা ধরনের ইঙ্গিত রয়েছে এধরনের পূর্ববর্তি গোষ্ঠীর বা সম্প্রদায়ের।

ধর্মবিশ্বাস করা বা না করা দু'টোর ক্ষেত্রেই লাফ দেবার ব্যপারটা থাকে। সেক্ষেত্রে এগনস্টিকরা তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ অবস্থানে।

হিমু এর ছবি

মানুষের মধ্যে সৃষ্টি সংক্রান্ত ভাবনা আসার ব্যপারটা একটা সহজাত প্রবৃত্তি যেটা সৃষ্টিকর্তার মানুষকে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করার একটা বিশেষ লক্ষ্যন।

এই কথাটা আরেকটু বিবেচনার দাবি করে। মানুষের মধ্যে সৃষ্টি সংক্রান্ত ভাবনা আসার ব্যাপারটা সহজাত প্রবৃত্তি কীভাবে? আমরা এমন একটা জগতে জন্মাই আর বড় হই, যেখানে এ সংক্রান্ত ভাবনা ও শিক্ষা চারপাশে গিজগিজ করছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটা বড় খালি গামলায় যদি আমি বা আপনি জন্ম নিতাম আর বড় হতাম, তাহলেও কি সহজাত প্রবৃত্তি বশে আমাদের সৃষ্টি সংক্রান্ত ভাবনা আসতো?

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করেছে, এটাও মানুষেরই ভাবনাপ্রসূত। আমরা একটা অ্যানথ্রোপোসেন্ট্রিক আত্মম্ভরিতা নিয়ে বড় হই আর বাঁচি। কোনো ছাগল যদি ধর্মপ্রচার করতে পারতো, তার ঈশ্বর দেখতে ছাগলের মতোই হতো। পিঁপড়া গ্রন্থ লিখতে পারলে লিখতো, ঈশ্বর কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই পিঁপড়া সৃষ্টি করেছেন। আমরা এই মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা অংশের সাম্প্রতিকতম বুদ্ধিমান প্রাণীমাত্র। শুধু আমাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার কোনো কারণ এত বড় ঈশ্বরের নাই।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শাফিন হক [অতিথি] এর ছবি

হিমু ভাই,আপনাকে ধন্যবাদ।
সচলায়তনে কিছু লেখা মানে চেইন রিঅ্যাকশন শুরু করা-এটা লেখার আগে বুঝি নি।ধারাবাহিকভাবে যুক্তিখন্ডন করতে করতে আমি ক্লান্ত। আমার হয়ে যুক্তিখন্ডন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।

শাফিন হক

হিমু এর ছবি

আপনি কলা ছিলসেন, এখন বুজাইয়া দিতে বল্লে কি হবে?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শাফিন ভাই, এটা সচলায়তনের একটা অনন্য গুরুত্ব। মন্তব্যে-পাল্টা মন্তব্যে চেইন রিয়্যাকশন হতে পারে, এমন বিষয়ে সাধারণত "মনে হইলো তাই লিখে ফেললাম" নীতি অনুসরণ না করাই শ্রেয়। একটু যত্ন নিয়ে গুছিয়ে লিখুন না। নিজেকেই তৈরী রাখুন সব ধরণের যুক্তি মোকাবেলা করতে। নিজে একটা লেখা লিখে যুক্তির জন্য অন্যের দ্বারস্থ হওয়াটা কি ভালো দেখায়?

বিশ্বাস যা-ই হোক, আপনার এই লেখাটায় পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে আপনাকে ঝাঁঝর করে দেয়া যায়। সেই পথ আপনিই খোলা রেখে দিয়েছেন।

ধীরেসে লিখুন, এতো তাড়াহুড়া কীসের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাফিন হক [অতিথি] এর ছবি

ধুসর গোধূলি,
ঝাঁঝরা করে দিন;তবে আমাকে নয়,আমার যুক্তিগুলিকে।তবে দয়া করে আমাকে কেতাবি তত্ত্ব দিয়ে আক্রমন করবেন না,ওকামের রেজর আমি বুঝি না,এক্ষেত্রে আমি একেবারেই অসহায়।১৮ তারিখ আমার বিএসসি ইঞ্জিনীয়ারিং এর ফাইনাল এক্সাম শুরু হচ্ছে,তাই আপাত ক্ষান্তি দিতে চেয়েছি,যুক্তির অভাবে আমি আপনাদের দ্বারস্থ হইনি।পরীক্ষার পর আপনার সাথে যুক্তির খেলা খেলতে পারি।

ভাল থাকবেন।
শাফিন হক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাহ, বড় ভাই। এইটা আমার লাইন না। আপনি যেমন অন্য একজনের 'বিপথে' যাওয়া দেখে তাকে আটকাতে লেগে গেলেন, আমার মধ্যে এই পরোপকারী গুণটা নাই।

আপনার বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফাইনাল এক্সামে শুভকামনা জানাচ্ছি। আশা করছি আপনার বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফাইনাল এক্সাম শেষে 'বিপথগামী' ভাইদের 'সুপথে' আনতে আপনি সুকঠিন মনোরথে মাঠে নামবেন। অগ্রিম শুভকামনা থাকলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাফিন হক [অতিথি] এর ছবি

আমি পথ চিনি কিন্তু কোনটা 'সুপথ' আর কোনটা 'বিপথ' তা জানি না।আপনি যদি জানেন তো সবার সাথে শেয়ার করেন।আর,
অন্যের জন্য কিছু করতে পারবেন না ভাল কথা,চুপ করে থাকেন।গায়ে পড়ে আবার উপদেশ দেয়া কেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, গায়ে পড়ে উপদেশ দিচ্ছি না। গায়ে চুলকানী হচ্ছে, হয়, আপনার মতো এরকম কারো জুড়ে বসা পরোপকারী ভাব দেখলে। রাস্তায় তাবলীগি স্টাইলের কারো হাতের তালু চেপে ধরে ধর্মের কথা শোনানোর মতোই লাগে। দুইটা জিনিষই চরম বিরক্তিকর, এইটা বুঝেন?

গায়ে পড়া উপদেশের টোনে বিরক্তিটা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু বুঝলেন না, অতএব বিরক্তির সুরেই বলতে হলো।

ক্লিয়ার?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাফিন  এর ছবি

পরের বাড়িতে দাওয়াত ছাড়া গেলে শুধু চুলকানি কেন কুকুরে কামড়ালেও বাড়িওয়ালার কোন দায় নেই।

গায়ে পড়া উপদেশের টোনে বিরক্তিটা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম।
স্বভাব সুবিধের নয়।
আমার ব্লগে এসে এখন পর্যন্ত 'ধুসর গোধূলি' ব্যতীত কারো চুলকানি উঠেনি।খুব বেশি অ্যালার্জি থাকলে আমার ব্লগে আসার দরকার নেই।উটকো ঝামেলা করলে কুকুর লেলিয়ে দেব।

শাফিন

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

প্রিয় শাফিন

এখন কিছু বলতেই হয় তাহলে। যে মন্তব্যে "যুক্তি খন্ডন" করতে আপনি ক্লান্ত উল্লেখ করেছেন সেই মন্তব্যের আগে আপনি কারো যুক্তি খন্ড করেছেন বলে দেখতে পাইনি। রিয়াজ উদ্দীনের যুক্তির উত্তরে হিমু উত্তর দিয়েছে। এর আগে যারা এই পোস্টে উত্তর দিয়েছেন তারা আপনার লেখায় পাল্টা যুক্তি দিয়েছে বলেও মনে হয়নি, তাই রিয়াজ উদ্দীনের মন্তব্যের আগে আপনি যুক্তি খন্ডন করেছেন তা বোধহয় ঠিক নয়।

আপনি কতদিন সচলায়তন পড়েন তা জানিনা তবে সচলায়তনে আপনার কোন লেখা আগে চোখে পড়েনি। উপরের যে মন্তব্যটি করেছেন তা সচলায়তনে স্বাভাবিক নয়। আমিতো ভেবেছিলাম নাস্তিকেরা সহজে রাগেনা, সবসময় যুক্তি দিয়েই চলে। এখন দেখছি আপনার টেম্পারমেন্ট কুশিক্ষিত ধার্মিকের মতই, কোন যুক্তি উপস্থাপন ও খন্ডনের আগেই মাথা গরম করে ফেলেছেন।

যে ভাষা আপনি ব্যবহার করেছেন তাতে বেশ অবাক হয়েছি। কোন কিছু লেলিয়ে দিয়ে কাউকে লেখা পড়াতে পারবেন কি? পরের বাড়িতে দাওয়াত ছাড়া যাওয়ার ব্যাপারটা দ্বারাই বা কী বোঝালেন? আপনার লেখা পোস্ট করার পরে পড়তে গেলে আপনার অনুমতি নিতে হবে-- এমন?

শান্ত হোন, ধর্ম প্রচার করতে যেমন ধৈর্য লাগে (নবী রসূলদের জীবনী পড়ে দেখতে পারেন), নাস্তিকতা প্রচার করতে আরো বেশী ধৈর্য লাগবে। ইশ্বর আপনার সহায় হোন।

শাফিন এর ছবি

প্রিয় প্রকৃতিপ্রেমিক,
যুক্তির কাছে হারতে আমি সবসময় প্রস্তুত কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমন মেনে নিতে শিখি নি এখনো।
আমি নাস্তিক নই,কিন্তু এখন পর্যন্ত ঈশ্বরের অস্তিত্বের ব্যাপারে আমি কনভিন্সড নই।

সচলায়তনে কিছু লেখা মানে চেইন রিঅ্যাকশন শুরু করা-এটা লেখার আগে বুঝি নি।
সচলে এটা আমার প্রথম লেখা।

নিজে একটা লেখা লিখে যুক্তির জন্য অন্যের দ্বারস্থ হওয়াটা কি ভালো দেখায়?
এর উত্তরে আমি আমার ব্যক্তিগত কারনে সময়সল্পতার কথা উল্লেখ করেছি।
আপনার এই লেখাটায় পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে আপনাকে ঝাঁঝর করে দেয়া যায়।
এর উত্তরে আমি বলেছি
ঝাঁঝরা করে দিন;তবে আমাকে নয়,আমার যুক্তিগুলিকে।
এখন পর্যন্ত কি আপনি মন্তব্যকারীকে আমার যুক্তি কে ঝাঁঝরা করতে দেখেছেন।
১।
নাহ, বড় ভাই।

২।

আপনি যেমন অন্য একজনের 'বিপথে' যাওয়া দেখে তাকে আটকাতে লেগে গেলেন, আমার মধ্যে এই পরোপকারী গুণটা নাই

৩।

'বিপথগামী' ভাইদের 'সুপথে' আনতে আপনি সুকঠিন মনোরথে মাঠে নামবেন।
এগুলো কী যুক্তি নাকি ব্যক্তিগত আক্রমন?

আপনার লেখা পোস্ট করার পরে পড়তে গেলে আপনার অনুমতি নিতে হবে-- এমন?
অবশ্যই না।তাই বলে কি ব্যক্তিগত আক্রমণ গ্রহনযোগ্য??

শুভ কামনা রইল।
শাফিন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বস্‌ , ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফাইনাল এক্সাম দিবেন- অতি উত্তম কথা। এর অর্থ হচ্ছে, আপনি আমার বড় ভাই। শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে। কিন্তু ভাই, এই যে আপনি সময়স্বল্পতার কথা বলে যুক্তিপ্রদান করা থেকে বিরত রইলেন- অথচ অন্যান্য অযৌক্তিক (আপনারই ভাষ্য) সকল মন্তব্যের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন, এটা চোখে লাগছে। এর বদলে নিজের লেখার দুয়েকটা ব্যাখ্যা দিলে বরং আলোচনাটা আকর্ষনীয় হতো...।

_________________________________________

সেরিওজা

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

হিমু এর ছবি

শাফিন, আপনি একটা কাজ করেন। আপনার পরীক্ষা শেষ হবার পর এক বছর মন দিয়ে সচলায়তন পড়েন। আলোচনা তর্কবিতর্কগুলির ভাষা মন দিয়ে দেখেন, কিছু শেখার আছে মনে করলে শেখেন।

২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার লেখা শুরু করবেন। তার আগ পর্যন্ত বিদায়।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শাফিন এর ছবি

জনাব হিমু,

আপনার এই লেখাটায় পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে আপনাকে ঝাঁঝর করে দেয়া যায়।
এর উত্তরে আমি বলেছি
ঝাঁঝরা করে দিন;তবে আমাকে নয়,আমার যুক্তিগুলিকে।
এখন পর্যন্ত কি আপনি মন্তব্যকারীকে আমার যুক্তি কে ঝাঁঝরা করতে দেখেছেন।
১।
নাহ, বড় ভাই।

২।

আপনি যেমন অন্য একজনের 'বিপথে' যাওয়া দেখে তাকে আটকাতে লেগে গেলেন, আমার মধ্যে এই পরোপকারী গুণটা নাই

৩।

'বিপথগামী' ভাইদের 'সুপথে' আনতে আপনি সুকঠিন মনোরথে মাঠে নামবেন।
এগুলো কী যুক্তি নাকি ব্যক্তিগত আক্রমন?

আপনার লেখা পোস্ট করার পরে পড়তে গেলে আপনার অনুমতি নিতে হবে-- এমন?
অবশ্যই না।তাই বলে কি ব্যক্তিগত আক্রমণ গ্রহনযোগ্য??

উত্তর দেবেন আশা করি।
শাফিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

খুব বেশি অ্যালার্জি থাকলে আমার ব্লগে আসার দরকার নেই।উটকো ঝামেলা করলে কুকুর লেলিয়ে দেব।
বস, সচলে লিখবেন, এমনটাই আশা করি। কিন্তু পোস্ট দিয়েই যদি "আমার ব্লগ" "তোমার ব্লগ" বলে আলাদা হয়ে যান তাহলে তো ব্যাপক সমস্যা। এই মনোভাব হলে তো মনেহয় ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন আপনি। কিংবা অন্য কোনো ব্লগের সাথে সচলায়তনকে গুলিয়ে ফেলেছেন। যতোদূর জানি সচলায়তনে এই ব্যাপারটাকে কেবল নিরুৎসাহিতই করা হয় না বরং এমন মনোভাবধারী সম্পর্কে খুব বাজে একটা ধারণা পোষণ করে। সচলের মডুরাও একটু "বেশিই কড়া"। তাঁদের ব্যাপারে বড়ই খারাপ কথা প্রচলিত আছে বাজারে।

"উটকো ঝামেলা", "কুকুর লেলিয়ে দেয়া"- এই শব্দগুলোর ব্যবহার নিয়ে আমি কিছু বলার আগে আপনি নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছেন আপনি সচলের পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নন। সেটা সব সচলকে উদ্দেশ্য করে বলার দরকার নেই। আমার মতো একজন অতি সাধারণ সচলকে উদ্দেশ্য করে বললেও যথেষ্ট।

আসলে মন্তব্য হিসেবেই কথাগুলো লিখেছিলাম।কিন্তু কথাগুলো সবাইকে বলার লোভ সামলাতে পারছিলাম না।তাই পোস্ট করে দিয়েছি।
ওপেন দাওয়াত তো দিয়েই রেখেছেন। এটার পরেও কোনো স্পেশাল দাওয়াতপত্রের সিস্টেম রেখেছেন, এটা বুঝতে পারি নাই ভাই।


এই পোস্টটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা,কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।
উইথ ডিউ রিসপেক্ট, সচলায়তনে লিখতে শুরু করার আগে এর নীতিমালা ভালো করে পড়ুন। সচলায়তনে কোনো পাদ্রী, মোল্লা, ইমাম, পুরোহিতের পোস্ট খালি নাই। এই দায়িত্ব নিয়ে জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার জায়গা সচলায়তন না মিয়া ভাই।

পরের বাড়িতে দাওয়াত ছাড়া গেলে শুধু চুলকানি কেন কুকুরে কামড়ালেও বাড়িওয়ালার কোন দায় নেই।
বলেন কি! সচলায়তনের প্লট কিনে বাড়িও তুলে ফেললেন নাকি?

পারসোনালি নিয়েন না শাফিন ভাই, একটা কথা বলি। সচলায়তনে অনেক ছাগলই বাঘের ছাল গায়ে জড়িয়ে অতিথি নিকে কমেন্ট-পোস্ট করে। সবাইকে তো আর চেনা যায় না। কারো কারো বোঁটকা ছাগ-দুর্গন্ধ আর ম্যাৎকার শব্দ বেরিয়ে পড়ে বাঘের ছালের নিচ থেকেও। সচলায়তনে তখন সেইসব ছাগলকে গদাম লাথি দেয়া হয়, তা সে বিকম পাস মুন সার্টেফায়েড ইঞ্জিনিয়ারই হোক আর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারই হোক।

পরিশেষে, আপনার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি। ভালো থাকবেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাফিন এর ছবি

যার 'চুলকানি হওয়ার' অভ্যাস আছে,তার সাথে কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে আপনি এখনও আছেন দেখছি! এখনও মডুরামের এক্সেস পাচ্ছেন দেখি!

বেশ উন্নত মানের ব্যাঘ্রছাল জড়িয়েছেন মনে হচ্ছে।

রুচিতে বাঁধার তো প্রমাণ দেখলাম না। উপরের দুটো কমেন্টেই তো দেখলাম আমাকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তা আপনার কি ধারণা উক্ত দু'জন আপনার উদ্ধৃতি দেয়ার আগে সেগুলো দেখেন নি!

তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আগে আপনার নিজের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন বস। শুরু থেকে পড়ুন আবার। কাজে দিবে ভবিষ্যতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শাফিন লিখেছেন:
উটকো ঝামেলা করলে কুকুর লেলিয়ে দেব।

খাইছে! হাসি সহমতের দুর্জনের চেয়ে, ভিন্নমতের সুজনও ভালো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শাফিন এর ছবি

গায়ে চুলকানী হচ্ছে, হয়, আপনার মতো এরকম কারো জুড়ে বসা পরোপকারী ভাব দেখলে।

গায়ে পড়া উপদেশের টোনে বিরক্তিটা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম।

?

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

উটকো ঝামেলা করলে কুকুর লেলিয়ে দেব।

পরীক্ষার জন্য ধরে নিচ্ছি আপনার মাথা গরম আছে। ঠান্ডা মাথায় ভালোভাবে পরীক্ষা দেন তারপর পারলে কুকুর নিয়া ফেরত আইসেন। মাঝখানে যুক্তিগুলোতে একটু সান দিয়া নিয়েন, আপনার যুক্তিগুলো বেজায় ভোতা চোখ টিপি একটা কথা মনে রাখবেন, ব্লগ পরের চালে ইট মাইরা পালাইয়া যাবার জায়গা না - ইটটি মারলে পাটকেল খাইতেও রেডি থাকতে হয়।

শাফিন এর ছবি

আপনার যুক্তিগুলো বেজায় ভোতা।

একটু ব্যাখ্যা করলে আমি উপকৃত হবো।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

উটকো ঝামেলা করলে কুকুর লেলিয়ে দেব।

তর্কের মধ্যে উপরের থ্রেট দেবার পর নিজের যুক্তির উপর এখনো আপনার আস্থা আছে দেখে অবাক হচ্ছি অ্যাঁ

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

আমি যেই পয়েন্টগুলো উল্লেখ করেছি তা মূলত যুক্তির খাতিরে। এসব ব্যপারে আপনার বক্তব্যগুলোও ঠিক কোন কিছুকে খন্ডন করছেনা বোধ হয়। কারন, আপনি যেই যদি গুলো উল্লেখ করলেন সেগুলো যে হয়নি তা আপনার কাছে মনে হচ্ছে "দৈবক্রমে"। অর্থাৎ দৈবক্রমে পিপড়া বই লিখতে পারেনা, বা ইত্যাদি।

এই কথাটা আরেকটু বিবেচনার দাবি করে

অবশ্যই দাবি রাখে। সে জন্যই কথাটার উপস্থাপনা।

আমরা এমন একটা জগতে জন্মাই আর বড় হই, যেখানে এ সংক্রান্ত ভাবনা ও শিক্ষা চারপাশে গিজগিজ করছে

কিন্তু জগতটাযে এরকম একটা অবস্থানে এসেছে সেটাত একটা কাকতাল নয়। দেখা যাচ্ছে নানা ভাবে নানা ধর্মের আকারে মানুষের মধ্যে ঐশ্বরিক শক্তিকে খূঁজে পাবার একটা বাসনা দেখা গেছে। কারন আক্ষরিক অর্থে না হলেও আদতে একসময় তো মানুষ "প্রশান্ত মহসাগরের বুকে কোন একটা গামলায়" জন্মানোর মত অবস্থাতেই ছিলাম। তারপর মানুষ তাদের প্রজন্মগুলোকে নিজেদের মত করে মটিভেট করার চেষ্টা করেছে মাত্র, যেমন এখনকার বাবা-মায়েরা করে থাকেন।
এন্থ্রোপোসেন্ট্রিসিটির ব্যপারটা সত্যি। এটা আছে। ব্যক্তিপর্যায়েও আছে।

হিমু এর ছবি

এ কারণেই তো এটা "সহজাত প্রবৃত্তি" নয়। কালটিভেটেড বা ইনস্টিলড প্রবৃত্তি। আজকে আমরা কয়েক হাজার বছরের ডিসটিল্ড ধারণা পেয়েছি ঈশ্বরের, এবং সেটা নিয়ে তর্কবিতর্ক করছি। যখন ঈশ্বরচিন্তাটাই নতুন ছিলো, তখন ঈশ্বরের ধারণা আর এখন ঈশ্বরের ধারণার মধ্যে বিরাট পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক, আছেও।

একটা সময় ঈশ্বর ছিলো একটা মার্কার, যে কাছাকাছি বাস করা কয়েক গোত্র হান্টার-গ্যাদারারের মধ্যে একটা কমন চুক্তির কাজ করতো, যে এই প্রতীককে যারা সম্মান করে তারা নিজেদের মধ্যে মারপিট করবে না। ভিন্ন প্রতীকের লোক পেলে ধরে কষে ঠ্যাঙাবে। ঈশ্বরের ধারণাটা বিভেদ তৈরির জন্যেই সৃষ্ট, কোনো মহৎ উদ্দেশ্যের জন্যে নয়। আমাদের মৌলিক চাহিদার নিরাপদ নিবৃত্তির নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আমরা ভাবতে বসেছি, ঈশ্বর কি এতই তুচ্ছ? প্রায়োগিক ঈশ্বর থেকে আমরা তাত্ত্বিক ঈশ্বরের দিকে গিয়েছি, এবং পুরোহিততন্ত্রের স্বার্থোদ্ধারের জন্যে তাকে আকাশচুম্বি মহৎ হিসেবে কল্পনা করেছি। কারণ পুরোহিতকে কেউ ভয় পায় না, যদি তার পিছনে আরো বড় মস্তান হিসেবে ঈশ্বর না থাকে। একটা ধর্ম বের করে দেখান যে ধর্মে পুরোহিততন্ত্রের বাড়াবাড়ি নাই, আমার যুক্তির দুর্বলতা মেনে নেবো।

প্রায়োগিক ইসলামে আল্লাহর চেয়ে মুহাম্মদকে বেশি সম্মান করা হয়। প্রায়োগিক খ্রিষ্টধর্মে ঈশ্বরের চেয়ে যীশুকে বেশি। আমরা প্রচলিত অনুষ্ঠানে যতবার মুহাম্মদকে বেহেস্ত নসিব করার কামনা করি কিংবা তার প্রশংসা করি, ততবার আল্লাহর গুণগান করি না। ঈশ্বরের পিআরও যখন ঈশ্বরের চেয়ে বড় হয়ে যায়, তখন সেই ঈশ্বরের অবস্থা হয় ২০০৬ এর শেষের রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দির মতো, কেউ তাকে পোঁছে না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

আমার আর আপনার আলোচনার বিষয়বস্তু মনে হচ্ছে একটু আলাদা হয়ে গেছে। যুক্তির খাতিরে আমি যেটা বলেছি তা হচ্ছে ঐশ্বরিক শক্তির অস্তিত্বকে বিশ্বাস করাটা বিশ্বাসিদের চোখে একটা সহজাত ব্যপার মনে হতে পারে। আর আপনার আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে জন্মগত ভাবে পাওয়া ধর্মবিশ্বাসের প্রতি একটা বায়াস। এটাকে অগ্রাহ্য করাটা কঠিন (ক্ষেত্র বিশেষে অনাকাংখিত হলেও)।

দ্বিতীয় প্যারায় আপনি ঈশ্বর নির্ভর বিশ্বাসের বিবর্তনের কথা বলেছেন, আর একটা গোষ্ঠীর সেটাকে পুজিকরে রাজনৈতিক ফয়দা তুলে নেবার বিষয় বলেছেন। অর্থাৎ ধর্মকে পুজি করে একটা ধর্ম বিশ্বাসভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তি টিকিয়ে রাখার একটা চেষ্টা ছিল। ঠিক আছে।

তৃতীয় প্যারায় একটা অভিমত জানাচ্ছেন যেটা প্রমান বা অপ্রমান কোনটাই করা কঠিন। সেই অর্থে হয়ত একটা ভিন্ন প্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিং হতে পারে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সহজাত কি এই অর্থে বলছেন যে বহু আগে বাজ পড়তে দেখে মানুষ ভয় পেয়ে ব্যাখ্যা না পেয়ে অধীশ্বর কর্তাকে অনুমান করেছে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি দ্বারা? নাকি বর্তমানে আমরা যখন আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য নির্ধারণের চেষ্টা করি, তখন সহজাত হয়ে পড়ে ঈশ্বর প্রেরণ করেছে এমন কিছু কল্পনা করা?

বিবর্তনীয় গবেষণায় অনেকে মনে করেন ঈশ্বরের ধারণা পোষণ করা আমাদের জন্য খুব সহজ। তবে সেইটা কি এই জন্যে যে এই ধারণা পোষণ করা আমাদের টিকে থাকে সাহায্য করেছে, নাকি এইটা কেবল একটা ফাও বা আমাদের চিন্তা-ধারার উপজাত হিসেবে এসেছে (টিকে থাকার জন্য কাজের কিছু না), সেইটা নিয়া একটা তর্ক আছে। অর্থাৎ অদেখা কর্তার অনুমান আমাদের জন্য সহজ, সহজাত। এইটা নিয়া এই লেখাটা দেখতে পারেন। কিন্তু সেইটা থেকে কিন্তু যাচাই করা যায় না, ধারণাটা ভুল কি ঠিক। অনেক কিছুই মানুষের সহজাত। হিংসা, ঘৃণা, বর্বরতা, আরো কত কিছু।

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

ঈশ্বরের অস্তিত্বের জন্য এবং সেই ক্ষেত্রে মানুষের ঈশ্বরানুগামী হবার জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব কল্পনা করার সহজাত ক্ষমতা থাকাটা একটা নেসেসারি কন্ডিশন (সাফিশিয়েন্ট নয়)। সেই অর্থে মহাশক্তিধর এক সত্ত্বার অস্তিত্ব উপলব্ধি করার একটা প্রয়োজন পড়ে ধর্মবিশ্বাসিদের জন্য। এর বেশি কিছু সিগনিফিকেন্স নেই আমার এই বক্তব্যের।

আপনি যেই বক্তব্যের অবতারনা করেছেন তাতে একটা অভিমতঃ ঈশ্বরে বিশ্বাস যুগে যুগে মানুষের সমাজগুলোকে টিকে থাকতে ভাল মতই সাহায্য করেছে। এটা না থাকলে বিবর্তনের অন্য কৌশলগুলো হয়ত কাজে আসত না। (একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত)।

হিমু এর ছবি

কিন্তু ঈশ্বরের ধারণাটা কত পুরনো? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলে সামাজিক বিবর্তনের ঠিক কোন পর্যায়ে এসে ঈশ্বরচিন্তা এই বিবর্তনকে প্রভাবিত করেছে, সেটা বোঝা যাবে।

আমরা ধারণা ঈশ্বর মিমটির বয়স দশ থেকে বারো হাজার বছর। আজকে থেকে দশ হাজার বছর আগে ফারটাইল ক্রিসেন্টে প্রথম কৃষি সম্প্রসারণ ঘটে। সেটাকে কৃষি ব্যবস্থার উৎকর্ষ ধরে নিলে তার বছর দুহাজার আগে থেকে হয়তো মানুষ বনচারিতা থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে সেডেন্টারি কৃষকে পরিণত হয়েছে। ঈশ্বরের সাথে কৃষির সম্পর্ক উদ্বৃত্ত রিসোর্সে। যখনই কিছু সম্পদ বাড়তি থাকে, তাকে রক্ষার জন্যে সৈন্য আর ঈশ্বরের প্রয়োজন পড়ে। হান্টার-গ্যাদারার সমাজে কোনো উদ্বৃত্ত সম্পদ [কোনো সম্পদই আসলে সে অর্থে ছিলো না] ছিলো না, তাদের বড়জোর কোনো টোটেম ছিলো, প্রতিদ্বন্দ্বী গোত্রের সাথে টেরিটোরির হিসাব মেটানোর জন্য।

ঈশ্বরে বিশ্বাস অন্তত একটি সমাজের ধ্বংসের জন্যে দায়ী ... ঈস্টার দ্বীপের সমাজটি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

পুরুজিত এর ছবি

কোন কিছুর অস্তিত্ব প্রমান সাপেক্ষ,অস্তিত্বহীনতা নয়।তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা প্রয়োজন,যতক্ষন না ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষন ঈশ্বর সম্পর্কে প্রচলিত ধারনাকে অবিশ্বাস করাটাই আমার কাছে বেশি যৌক্তিক মনে হয়।

আপনার প্রথম দাবিটাই অপ্রমাণিত। এইটা মূলত ওক্যাম'স রেজরের একটা প্রয়োগ এবং ওক্যাম'স রেজরই প্রমাণিত নয়।
ঈশ্বরের অস্তিত্বের বিপক্ষে একটা ভাল প্রমাণ হতে পারে প্রাণ সৃষ্টি করে দেখানো।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এটা ওকামের রেজরের প্রয়োগ কি অর্থে বললেন জানার ইচ্ছা হচ্ছে, তবে এই দাবী কিন্তু যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদের (logical positivism) দাবী। যা পর্যবেক্ষণ করা যায় না, তা নিয়ে তর্ক তাদের মতে অর্থহীন। অস্তিত্বহীনতার প্রমাণ এ কারণে নিষ্প্রয়োজন। আমি একটা উদাহরণ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করি - 'ঘোড়ার চির-অদৃশ্য ডিম আছে'। অনস্তিত্ব প্রমাণ করার আগ পর্যন্ত কি বলবেন এর অনস্তিত্ব অপ্রমাণিত? একজন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী বলবেন এই সংক্রান্ত তর্ক অর্থহীন। এই মতবাদের সাথে কিন্তু বিজ্ঞানের দর্শনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

----------------------------------
~জীবন অনেকটা জড়ই, কিন্তু অনন্য!~

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আপনি ভুল বুঝছেন।আমি বিলিনি আপনি ধর্ম বিশ্বাস করুন।আমি শুধু বলছি ঈশ্বর আছে কিনা এটা আগে ভাল মত বুঝে নিন।আপনি মুসলমান পরিবার এ জন্ম গ্রহন করেছেন বলেই যে আপনারে আল্লাহ বিশ্বাস করতে হবে এমন কোন কথা নেই।তাই বলে সত্য জানবেন না? আমিও আপনার মত বিভ্রান্তে ছিলাম ভাই। সত্য জানার চেস্টা করেছি। আশা করি আপনি আমার কথা একটু ভেবে দেখবেন। আপনার বিরক্তির কারন হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।

শিবলী

হিমু এর ছবি
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনি কি সত্য জানলেন জানতে খুব মন চাইছে। উপরওয়ালার ধর্ম কি? ইসলাম, খ্রীষ্ট, বৌদ্ধ না হিন্দু? নাকি সাইন্টোলজি?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

জেনেছি অনেক কিছুই। বিস্তারিত জানতে চাইলে আমকে সময় দেয়া লাগবে। তবে এটুকু করতে পারব আশা করি। ধন্যবাদ।

রণদীপম বসু এর ছবি

মনে হচ্ছে যে, আলোচনাটা ধর্ম-দর্শন ছেড়ে কূটতর্কের দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। আমরা বরং আলোচনাটাকে সুনির্দিষ্ট কোন ধর্মগোষ্ঠি বা কম্যুনিটির দিকে না নিয়ে মূল পয়েন্ট ধর্মতত্ত্ব এবং এর জন্ম ও দর্শনের দিকে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারি। মূল ভিউতে আলোচনা হলে পরবর্তী ধাপের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ইত্যাদি ইত্যাদি গোষ্টিবদ্ধতার ভেতরে আর ঢুকতে হবে না মনে হয়। সবার অংশগ্রহণও সচ্ছন্দ হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

উপরে যে সময়ে মন্তব্যটা করেছিলাম সে সময়কালের পরে এই পোস্ট-লেখকের বিভিন্ন মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে উপরের মন্তব্য করাটাই আমার ভুল হয়ে গেছে ! কিংবা ওইটা আমার ভুল-মন্তব্য !
আমি দুঃখিত !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সিরাত এর ছবি

ইন্টারেস্টিং আলোচনা!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শাফিন,
আপনার মন্তব্যগুলো কিন্তু যথাস্থানে হচ্ছেনা। একটু খেয়াল করে মন্তব্য করুন। যার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছেন তার মন্তব্যই কোট করুন। একজনের মন্তব্য কোট করে অন্যের মন্তব্যে জবাব দেয়াটা যৌক্তিক নয়। আপনি (এই সাইট ব্যবহারে) নতুন বলে বোধহয় এমনটা হচ্ছে। তাই জানিয়ে গেলাম।

শাফিন এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক,
আপনাদের অনেককেই আমার যে কথাটি আঘাত করেছে,তা একজনের কথার জবাব হিসেবে পোস্ট করেছি।আপনি সেই কথার সূত্র ধরেই মন্তব্য করেছিলেন বলেই আমি উদ্ধৃতিগুলি দিয়েছি।

আমার কথাটি ব্যক্তিগতভাবে একজনকে বলা।কিন্তু আমার কথা আপনারদেকে আঘাত করে থাকলে আমি এর জন্য দুঃখিত।
Please,drop this issue.

শাফিন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শাফিন,
নিউবির একটা সিনড্রোম আছে। সেটা হচ্ছে যে কোন মন্তব্য বাঁকা ভাবে দেখা। আপনি অনুগ্রহ করে বিশ্রাম নিন। পরীক্ষা শেষে এসে ভেবে চিন্তে আবার ব্লগিং শুরু করবেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শাফিন এর ছবি

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।আমি আসলে খুব exhausted.ব্লগটি মুছে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সচলায়তনে তা কিভাবে করতে হয় জানি না।

শাফিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শাফিন, খুব বাজে লাগছে ব্যাপারটা। তাও লিখতে হচ্ছে আপনার বারংবার কমেন্টের পর।

এই পোস্টটা অন্য একটা পোস্টে করা কমেন্টের হুবহু রূপ! আর বিষয়বস্তুও জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু না যে কমেন্টে বলা কথাটা পোস্টে আসতেই পারে। আলোচনা যেটা চলার সেটা উক্ত পোস্টেই চলতে পারতো!

মোদ্দাকথা, বিষয়বস্তু এবং লেখনির কারণে লেখাটা আলাদা পোস্ট হিসেবে আসার দাবী রাখে না।

যাইহোক, সচলায়তন সম্ভবত এটা সাপোর্ট করে না। পোস্টের শুরুই করেছেন এমন একটা কথা দিয়ে

(এই পোস্টটি খুব তাড়াহুড়া করে লেখা,কিন্তু একজন সচল বন্ধু কোন পথ খুজে পান না,তাই ধর্মের পথে হাটঁছেন জেনে চুপ করে থাকতে পারলাম না।)
যা সচলায়তনের নীতিমালার পুরোপুরি ভায়োলেশন। তারপরেও পোস্টটা প্রকাশিত হয়ে থাকবে মডারেশন প্যানেলের ফাক গলে। আপনার এই পাদ্রী, তাবলীগি মনোভাব সচলায়তন ধারণ করে না, যেটা একবার ইতোমধ্যে উপরে এক মন্তব্যে বলেছি।

পোস্টে দেখলাম আপনি কারো কথারই তেমন যুক্তি খণ্ডন করছেন না বরং অন্য একজন ব্লগারের সাহায্য কামনা করছেন আপনি "যুক্তি দিয়ে বুঝাতে বুঝাতে টায়ার্ড" বলে। যুক্তিই দিলেন না কোথাও, অথচ এরই মাঝে টায়ার্ড হয়ে গেলেন! ব্যক্তিগত জীবনের বন্ধুদের কথা বলছিলেন মনে হয়। আপনি যে সচলের সাথে পরিচিত নন, এটাও কিন্তু তার একটা প্রমাণ। এখানে যাঁরা পড়েন, যাঁরা লিখেন, তাঁদেরকে আপনার ব্যক্তিজীবনে যুক্তি না বুঝে আপনাকে টায়ার্ড বানিয়ে দেয়া কারো সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না যেনো। ভুল করবেন।

আর নিজে যে কথার শুরু করবেন, সেটা ডিফেন্ড করার প্রস্তুতি তো নিজেরই নিয়ে রাখা উচিৎ। সেটা থেকেই আপনাকে আমার প্রথম কমেন্টটা করা। আপনার সাথে তর্ক করার ইচ্ছা থাকলে সেখান থেকেই করতাম। এতোটুকু বোঝার জ্ঞান নিশ্চই আপনার হয়েছে। এরকম একটা বিষয়ের এতো দুর্বল উপস্থাপনা (যাকে আমরা বালছাল বলি) মানে হলো পেছনের ছতরে বিশাল একটা ছিদ্র রেখে দেয়া। যেখান দিয়ে পাবলিক এসে আপনাকে বলাৎকার করে যেতে থাকবে মনের আনন্দে।

এই কথাগুলিই বলেছিলাম কমেন্টে ভদ্রভাবে। তো আপনার মনেহয় সেটা পছন্দ হয়নি। আমাকে চেপে ধরলেন আপনাকে রেখে আপনার যুক্তিকে ঝাঁঝরা জন্য। এখানে বলাই বাহুল্য যে আপনার পোস্টটাই যেখানে অপ্রোয়জনীয়, সেখানে আপনার সঙ্গে যুক্তিতে যাওয়ার কোনো দরকার মনেহয় না আছে। আর যুক্তি জিনিষটা আপনি নিজে বুঝেন কিনা, সেটা নিয়েই তো আমি তীব্র সন্দিহান এখন।

আপনি যেভাবে পোস্ট করেছেন, সেই একই ভাবে ব্লগিং রাজ্যের স্বনামধন্য ছাগল যদি এখন পোস্ট দিয়ে বসে তাহলে আপনার এই পোস্টের সাথে সমতা বজায় রাখতে সচলে সেই পোস্টও প্রকাশিত হতে পারে। সেই পোস্টে গিয়ে কিন্তু কেউ যুক্তিতর্ক করবে না। কারণ ঐ ছাগুরামের সাথে যুক্তির কিছু নাই। তার দরকার গদাম লাথি, সেটাই দেয়া হবে তাকে।

অভিজ্ঞতা থেকে জানি, গদাম লাথি খেয়ে সেও আপনার মতো এখানে সেখানে কমেন্ট উদ্ধৃত করে বেড়াবে। এবং অতি অবশ্যই যেখানে তাকে লাথিটা দেয়া হয়েছে সেই অংশটা। কেনো দেয়া হয়েছে সেটা সে কখনোই উল্লেখ করতো না, আপনারই মতো।

প্রিয় শাফিন, আমি পাগল আর ছাগলের সাথে কখনো তর্ক করি না। পাগলের সব কথায় মাথা কাত করে সায় দিয়ে যাই আর ছাগলকে দেই গদাম লাথি।

মাথা ঠাণ্ডা করেন, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সাম দেন। তারপর আবার লিখতে শুরু করুন। সাথে অনুরোধ করবো, পুনরায় লিখতে শুরু করার আগে সচলায়তনের নীতিমালাটা একটু নেড়েচেড়ে দেখুন। এখানে যাঁরা লিখেন, যাঁরা পড়েন তাঁদের ব্যাপারে একটু জানুন। যেমনটা উপরে হিমু বলেছেন। তড়াক করে এমন কিছু লিখে ফেইলেন না যে আমি না হলেও অন্য কেউ এসে গদাম করে এসে একটা লাথি দিয়ে যায়। নিজের কর্মফলের জন্য লাথিটা খেলেও মায়া লাগবে আপনার জন্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।