সেই মেয়েটি......

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৪/০২/২০১০ - ৩:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বন্ধু, আমার গুরু জাহিদের (সচল জাহিদ) অনুপ্রেরনায় সচলায়তনে লিখছি। আমি মূলত এক সপ্তাহ ধরে এখানে শুধু পড়ছি, এবং বলতে দ্বিধা নেই, বইমেলা মিস করাটা পুরাপুরি পোষাইয়া নিচ্ছি! যাদের লেখা বেশ পছন্দ হয়েছে, তাদের নাম বলে তাদেরকে আর লজ্জা দেব না, কিন্তু একজনের কথা বলতেই হয়, সে হচ্ছে রেনেট! তার ক্রিকেট বিষয়ক লেখাগুলাই আমাকে এখানে টেনে নিয়ে আসতে একরকম বাধ্যই করেছে।
ফেসবুকে বন্ধুদের নির্মল আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যে একটা গল্প লিখেছিলাম! ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে সে গল্পটাই হুবুহু এখানে তুলে দিচ্ছি।

ফার্স্ট লেখাটা একটু ছোটবেলার ঘটনা নিয়ে লিখতে চাই। চিন্তা করছিলাম কি বিষয় নিয়ে লিখব? স্কুল-লাইফ, খেলাধুলা, প্রেম-পিরিতি না কি অন্য কিছু? শেষমেষ সিদ্ধান্ত নিলাম কিশোর-প্রেম নিয়েই লেখা যাক।

কিশোরবেলার দিকে যখন ফিরে তাকাচ্ছি, দেখতে পাচ্ছি ক্লাস এইট আমার লাইফের অন্যতম একটা ঘটনাবহুল বছর। কিশোর-প্রেম নিয়ে এই বছরেরই ২ টা মজার গল্প মনে পড়ছে। প্রথম দিন শুধু প্রথমটাই বলি...

আমার জন্ম, শৈশব, কৈশোর সবই বকশীবাজারে। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি, টের পেলাম যে বালিকামহলে আমার বেশ নামডাক। ভাল ছাত্র তো ছিলাম-ই, তার উপর ছিলাম খুব ভাল ক্রিকেটার! এই দু'এর সংমিশ্রন বাচ্চা-বাচ্চা মেয়েদের 'ছোট্ট' হৃদয়টাকে চূর্ন-বিচূর্ন করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল!

একটা মেয়ের গল্পই বলব আজকে - তার নাম হচ্ছে বেবী। পড়ত ক্লাস ফাইভে, দেখতে-ও বেশ সুন্দর ছিল। আমাদের বাসার পাশের ছোট্ট গলিতেই ওদের বাসা। আমি ওদের বিল্ডিং এর ৪ তলায় যেতাম স্কুলের এক স্যারের কাছে পড়তে; বেবীরা থাকত একতলায়। আমি প্রথম প্রথম ঐভাবে লক্ষ্য করি নাই, পরে হঠাৎ একদিন খেয়াল করলাম, আমাকে দেখলেই মেয়েটা কেমন যেন কুঁকড়ে যাচ্ছে, পারলে দেয়ালের সাথে মিশে যায়! বুঝতে বাকি থাকল না, এই মেয়ের 'সর্বনাশ' শুরু হয়ে গেছে!

মনে মনে খুবই খুশী আমি। জনপ্রিয়তা কে না পছন্দ করে, তার উপর তা যদি হয় বালিকামহলে?

গল্পের বাকি অংশে যাওয়ার আগে ছোট্ট আরেকটা ঘটনা বলি। আমাদের পাড়ার বেশীরভাগ ছেলে-মেয়েই নবকুমার স্কুলে পড়তাম। ছেলেরা ছিলাম ডে-শিফটে, মেয়েরা মর্নিং শিফটে। একদিন সকালে এক বন্ধুর সাথে রিকশা করে স্কুলের সামনে দিয়ে যাচ্ছি। তখন মনে হয় মেয়েদের টিফিন-ব্রেক চলছিল, এ কারনেই দোতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত বারান্দায় শুধু মেয়ে আর মেয়ে!
আমরা মেয়েদের দেখতে দেখতেই যাচ্ছি! এমন সময় হঠাৎ ৩০-৪০ টা মেয়ের সমস্বর একটা চিৎকার শুনে একটু থমকে গেলাম! দুই সেকেন্ড পর দারুন এক আনন্দ-শিহরণ বয়ে গেল মনের মধ্যে যখন আমার ব্রেইন আবিষ্কার করলো যে, মেয়েদের সুর-করে উচ্চারিত শব্দটা ছিল ''কা--য়ে--শ''!!
বন্ধুটাও প্রথমে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল, পরে আমাকে বলেছে, ''দোস্ত, তোমার তো দেখি সেরকম ক্রেজ!''

যাই হোক, মূল গল্পে ফেরৎ আসি। বেবী যতই সুন্দর হোক, আমি তখন বাস করি অন্য জগতে, অহংকারে মাটিতে পা পরে না আমার! এদেরকে পাত্তা দেয়ার টাইম আছে না কি?
যদিও মেয়েটার বিবর্ন হয়ে যাওয়া চেহারা অথবা দেয়ালে মিশে যাওয়ার চেষ্টা দেখে বেশ পুলকিত বোধ করতাম, তারপরও সবসময় একটা কৃত্রিম গাম্ভীর্য নিয়ে চলতাম আমি! যার ফলে মেয়েটা কখনোই আমার সাথে কথা বলার সাহস পায় নাই!

মাস দুয়েক এরকম চলার পর একটা ঘটনা ঘটলো। আমাদের পাশের বাসার এক আপু আমাকে ডেকে একটা খাম ধরাইয়া বললো, ''তোমাকে বেবী দিসে্ এটা''!
খাম খুলে দেখি সেটা একটা প্রেম-পত্র! বেশ মজার একটা চিঠি, বিভিন্ন স্টাইলে (বাংলায়, ইংরেজীতে, ছোট হাতের, বড় হাতের) শুধু 'আই লাভ ইউ' আর 'আই লাভ ইউ' লেখা!
এই বিচিত্র প্রেম-পত্র পেয়ে আমার বিবেকের একটা অংশ বেশ খুশী হল বটে, কিন্তু আরেক অংশ উদ্ধত স্বরে চেঁচিয়ে উঠল, ''কী-ই, আমারে প্রেম-পত্র দিসে্? এততো বড় সাহস মেয়েটার? আজ ওর একদিন, কি আমার একদিন!''
অহংকার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে শেষ পর্যন্ত বিবেকের দ্বিতীয় অংশেরই জয় হলো।

বিকালবেলা চিঠি হাতে গেলাম ওই গলিতে!
বেবী ও তার বান্ধবীরা তখন ওখানে খেলছে। আমাকে দেখে বেবী দিল দৌড় (হয়তো ভয়ে, হয়তোবা লজ্জায়)! আমি রুদ্র-মূর্তিতে বান্ধবীদের কাছে গিয়ে ভীষণ বকা-ঝকা শুরু করলাম, ''ও কিভাবে এততো সাহস পাইলো? আমাকে চিঠি দিসে্? আ-আ-মা-আ-কে? কোত্থেকে সে সাহস পাইলো?'' হেন-তেন ঝাড়ি!

ওরা প্রথমে কিছুক্ষন ঝাড়ি হজম করলো।
একটু পর একটা মেয়ে বলে উঠলো, ''বেবীর কি দোষ ভাইয়া, আপনিই তো ওকে প্রথমে ফুল দিসে্ন!''

শুনে তো আমার আক্কেল-গুড়ুম! বলে কি এরা??
রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললাম, ''কীইই? আমি ওকে ফুল দিসি্? তোমাদের মাথা ঠিক আছে তো? এরকম আজেবাজে কথা বলার সাহস পাচ্ছো কোথায় তোমরা?''

ওরা বললো, ''আমরা জানি না, ও-ই আমাদের বলসে্ যে আপনি ওকে ফুল দিসে্ন!''
''ওর এততো বড় সাহস মিথ্যা কথা বলে! ওকে তোমরা বলে দিয়ো আর জীবনে যেন আমার সাথে কথা বলার বা আমাকে চিঠি দেয়ার সাহস না করে!'.......রীতিমতো হুংকার দিয়ে বাসায় ফিরলাম।

আমার শাসানিটা কাজে দিয়েছিল। বেবী আর কখনোই কিছু করে নাই; শুধু হঠাৎ যখন দেখা হয়ে যেত, সেই আগের মতই বিবর্ন-ফ্যাকাশে হয়ে যেত, চেহারায় থাকতো না-প্রাপ্তির একটা হাহাকার!! কিন্তু আমি একটুও প্রশ্রয় দিতাম না, খুবই ক্ষেপে ছিলাম ওর উপর, কেননা সে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছে যে আমি নাকি তাকে ফুল দিসি্!

গল্পটা শেষ হতে পারতো এখানেই, কিন্তু যেহেতু আমার লাইফের গল্প, আরেকটা 'কিন্তু' তো থাকবেই!!

৬/৭ মাস পর হঠাৎ একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল আমার!
বছর দুই আগের ঘটনাঃ

''সিক্সে পড়ি তখন। আমাদের পাশের বাসার এক আপার বিয়ে হচ্ছিল কমিউনিটি সেন্টারে। আমরা কিশোর-কিশোরী, বাচ্চা-কাচ্চা সবাই দুই সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম জামাইকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। আমরা অপেক্ষা করছি, এ সময় হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমার ঠিক সামনেই এক অপরূপ রুপসী দাঁড়িয়ে আছে ফুল হাতে নিয়ে! তাকে দেখেই আমার প্রেমিক হৃদয়ে একটা ছোটখাটো ঢেউ খেলে গেল!
তাই জামাই আসার পর সবাই জামাইয়ের দিকে ফুল ছুঁড়তে থাকলেও, আমি আমার হাতের ফুলগুলো আস্তে আস্তে ছুঁড়তে থাকলাম রুপসীর মাথায়-গালে-কপালে!
দুজনের চোখাচোখি হল কিছুক্ষন - আমার ঠোঁটে মুচকি হাসি, আর রুপসীর ঠোঁটে তখন লাজুক, অথচ মিষ্টি হাসি! সে এক সাংঘাতিক রোমান্টিক মুহূর্ত!''

মুহূর্তটা মনে পড়ার পর রীতিমতো চমকে উঠলাম আমি! মনের আয়নায় পরিষ্কার দেখতে পেলাম সেই রুপসী আর কেউ নয়, বরং ক্লাস থ্রি তে পড়া আমার সেই 'বেবী-গার্ল'!

......বেবী কিন্তু মিথ্যা বলে নাই, আমি সত্যিই তাকে ফুল দিসি্লাম!!

..........................................................................................।

(গল্পের নায়িকা চরিত্রের নাম-ধাম যদি কারো স্ত্রী, বোন, শ্যালিকা, বান্ধবীর সাথে মিলে যায়, প্লিজ মনে করবেন নামটা কাল্পনিক)

কাকুল কায়েশ


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

"ছোট্টবেলার প্রেম... আমার ফাস্ট ফ্লেম/
কোথায় গেলে হারিয়ে..." চোখ টিপি
সচলে স্বাগতম!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! ফাস্ট ফ্লেম কথাটা দারুন লাগল!

কাকুল কায়েশ

সাবিহ ওমর এর ছবি

ফ্লেম, না অ্যাশ! মন খারাপ

বাজপাখি এর ছবি

আপনার গল্পটা পড়ে ভাল লাগল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

কাকুল কায়েশ

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহা!!!
লেখা ভাল লাগল । এরপর কি হল?

বানানের দিকে লক্ষ্য রাখতে পারেন ।
শেষের দিসিলাম শব্দটা একটু কেমন জানি লাগল!

বোহেমিয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই! এবং একই সাথে লজ্জিত ওই বানানটির কারনে! ফেসবুক বন্ধুদের জন্য লেখা ছিল কিনা, তাই আরো বেশ কিছু কথ্য ভাষার প্রয়োগ ছিল! আমি কারেকশন করেছি অনেকগুলা, অথচ একটু অসতর্ক থাকাতে এই বানানটা খেয়াল করি নাই।

আর ভাই, এখন এই বুড়া বয়সে সে মেয়েটির ভালবাসাকে যেভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম, তখন যদি সে অনুভূতিটা হত, তাহলে আজকে দুই-তিন বাচ্চার বাপ হয়ে যেতাম চোখ টিপি
আপনাকে আবার অসংখ্য ধন্যবাদ!

কাকুল কায়েশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার নাম আর কমেন্ট দুইদিন থেকে দেখছি আর ভাবছি, আপনার ছেলেবেলা কোনোভাবে চিটাগাঙে কেটেছে কিনা।
এই নামের একজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলাম যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। তিনটা স্টিচ পড়েছিল তার কপালে।
আজ ভুল ভাঙলো। যদিও মনে পড়িয়ে দিয়েছেন বহু কিছু। দেঁতো হাসি
ওহ! লেখা ভাল্লাগছে।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

এই নামের একজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলাম যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।

ক্লাস ফাইভটা কিন্তু মিলে যাচ্ছে! আর আপনার ওই কাকুলটা কি তখন ক্লাস এইটে পড়ত? হাসি
আমিও কেমন যেন পাজলড হয়ে যাচ্ছি!

গল্পটা কিন্তু শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে!
যাই হোক, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মজার কমেন্টটার জন্য!

কাকুল কায়েশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আরে নাহ!
সে পড়তো আমার এক ক্লাস ওপরে। হাসি
তবে ভাবলে এখন অবাক লাগে, এই পুরো ঘটনায় দোষ দিতে সে আমার নাম একবারো নেয়নি। গাধা টাইপ বলে হয়তো বুঝিও নাই, এর মধ্যে দিল-কা-মামলা ছিলো কিনা... খাইছে

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি কিন্তু কৌতুহল বাড়িয়েই দিচ্ছেন! বলে ফেলুন না প্লিজ, কি ঘটেছিল?
আর না হলে গল্পটা লিখেই ফেলুন!
অপেক্ষা করছি কিন্তু!

কাকুল কায়েশ

শাফক্বাত এর ছবি

ছি আপনি মানুষ ভালো না। অহংকারীদের ভালা পাইনা মন খারাপ
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

অতিথি লেখক এর ছবি

স্যরি শাফক্বাত আপু!
অবশ্য আমি কিন্তু এ গল্পের শেষে মেয়েটার ভালবাসার জয়কেই তুলে ধরার একটা প্রয়াস চালিয়েছিলাম! মন খারাপ
কিন্তু বুঝতেই পারছি একটু ইঁচড়ে-পাকামি হয়ে গেছে দেঁতো হাসি
জানি আপনি মাফ করে দেবেন......

কাকুল কায়েশ

শাফক্বাত এর ছবি

দিলাম মাফ করে, যান !! দেঁতো হাসি
নেক্সট টাইম যেন কারো ভালবাসা-নিবেদনে কোনও অহংকারের বাস না-হয় !! চোখ টিপি
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।

সচল জাহিদ এর ছবি

অবশেষে কায়েশকে দেখা গেল নিজের লেখা নিয়ে সচলে। কায়েশকে সবসময় ক্রিকেট আর আড্ডা নিয়েই মেতে থাকতে দেখতাম, কিন্তু এর আড়ালে যে একজন লেখক লুকিয়ে আছে সেটা বুঝেছিলাম ফেইসবুক নোটসে তোমার লেখা দেখে। অনেক বেশি ভাল লাগল সচলে তোমার লেখা প্রকাশিত হতে দেখে। এটি একটা সূচনা মাত্র এখন তোমাকে আরো লিখে যেতে হবে। সচল একটি পরিবারের মত এখানে নতুন অতিথিকে সবাই সানন্দে বরন করে নেয়, তার ভুল ত্রুটি শুধরে দেয়, উৎসাহ দেয় আবার বকেও দেয় মাঝে মাঝে তবে সবই আপনজন মনে করে।

আরো লেখার জন্য বসে রইলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু, তোমার অনুপ্রেরনা ছাড়া এটা অসম্ভব ছিল! সচল পরিবারের অংশ যদি হতে পারি, সেটা আমার জন্য একটা বিরাট কিছু হবে!
তবে, আমিও কিন্তু 'মূলত পাঠক' চোখ টিপি! আমি গত এক সপ্তাহ ধরে পড়েই যাচ্ছি আর পড়েই যাচ্ছি! আশা করি, এই পড়াটা যেন অব্যাহত রাখতে পারি!
আর তোমার বেশী বেশী লেখা চাই কিন্তু! হাসতে নাকি জানে না কেউ - এর পরের পর্ব কবে পাব?

কাকুল কায়েশ

তুলিরেখা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। ভারী মিষ্টি প্রেমের গল্প! আপনার "বেবী গার্ল"কে পরে পেলেন? মানে এখন কি তিনিই আপনার.....?
হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে অনেক অ-নে-ক ধন্যবাদ! আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমি খুবই আনন্দবোধ করছি।

আর, আপনার প্রশ্নটার উত্তর?..................

(গল্পের নায়িকা চরিত্রের নাম-ধাম যদি কারো স্ত্রী, বোন, শ্যালিকা, বান্ধবীর সাথে মিলে যায়, প্লিজ মনে করবেন নামটা কাল্পনিক) মন খারাপ

কাকুল কায়েশ

স্বাধীন এর ছবি

তুমি তো দেখছি পুরানো পাপী। হাসি
সচলে স্বাগতম।

লেখা চালিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করি। খেলাধুলা নিয়েও লেখা দিও। বুয়েটের মাঠে বিকেলে কর্মচারীদের পোলাপাইনদের নিয়ে ফুটবল খেলার দিনগুলো খুব মিস্‌ করি। যদি বুয়েটে আবার ফিরি তবে সেই খেলার টানেই ফিরবো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি প্রথমে কনফিউজড হলেও এখন মনে হয় বুঝতে পারছি!
কানাডা-প্রবাসী, বুয়েট মাঠে ফুটবল এবং বুয়েটে ফেরা......একজন মানুষকেই কিন্তু ইংগিত করছে! চিন্তিত
রায়সা-মাহিন নামগুলো কি আপনার খুব পরিচিত? দেঁতো হাসি

কাকুল কায়েশ

স্বাধীন এর ছবি

পৃথিবীটা খুব ছোট হয়ে গেছে আসলেই। জানতাম ধরতে পারবে। পরিচিত মানুষগুলোকে নুতন ভাবে আবিষ্কারের মাঝেও এক রকম আনন্দ আছে। তোমার লেখালেখির শুভ কামনা করি। ভাল থেকো।

রাহিন হায়দার এর ছবি

মজা পেলাম।
সচলে স্বাগতম। লিখতে থাকুন।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ, ভাই!

কাকুল কায়েশ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সচলে স্বাগতম!
ভালো লাগল। নিজের স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, ভাই!
আপনার লেখা কিন্তু আমার বেশ পছন্দ! আপনি স্মৃতিগুলো একা একা রোমন্থন না করে একটু আমাদের সাথে শেয়ার করুন না!
কিশোরপ্রেমটাকে কেন যেন আমার কাছে বাংলা সাহিত্যের একটা অবহেলিত অধ্যায় বলেই মনে হল আজীবন!

কাকুল কায়েশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বালিকারা আপনার নামে কোরাস করেছে, কী সৌভাগ্য আপনার!

আমার নামেও বালিকারা কোরাস করেছে, কিন্তু আনন্দে না। স্যারের কাছে বিচার দিতে। এইটে ওঠার পর ছেলে-মেয়ে একই কক্ষে ক্লাস করতে হতো আমাদের স্কুলে। এইটে ওঠার পর থেকেই আমাদের কয়েকজনকে কোনোমতেই সামনে বসিয়ে রাখা যায় নি। পিছনের দিকে গিয়ে ঠেলাঠেলি করে জায়গা নিতাম। কতোবার যে গাল টেনে, কান ধরে স্যার এনে সামনে বসিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। পরবর্তী ক্লাসে আবার গিয়ে জায়গামতো হাজির!

সামনে বসে ঠিকঠাক শয়তানী করা যায় না বলেই আমাদের ঐ কাজ ছিলো। আর এই শয়তানীর শিকার যারা হতো তারাই কোরাস করে আমাদের নাম উচ্চারণ করতো স্যারদের কাছে। শুনতে ভালোই লাগতো যদিও, কিন্তু পরিনামটা সুবিধার হতো না! মন খারাপ

পাপিষ্ঠ সেই বালিকারা আমাদেরকে কোনো কালেই ভালো পায় নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাহা, সহপাঠী স্কুলের বালিকারা নরমালি পাপিষ্ঠাই হয়!
আপনার কমেন্টটা পড়ে বেশ মজা পেলাম! তবে ভাইরে, সেই সুখের দিন এখন আর নাই! এখন আর কেউ ডাকে না মন খারাপ

কাকুল কায়েশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লিংকগুলা দেখে তো আমার মাটি থেকে পড়ে যাওয়ার অবস্থা! বেশী মজা পাইসি আপনার বিএইচএমএইচ 'হাসিনা'-র গল্পটা পইড়া চোখ টিপি! ভাই আপনি পারেনও বটে!

অফটপিকঃ হাসিনার গল্পটা পড়ে, আজকে ফেসবুকে এক ছোটভাইয়ের স্ট্যাটাসের কথা মনে পড়ল (সেও মনে হয় কোথা থেকে কপি-পেস্ট মারসে)

'HAzrat Shahjalal INternational Airport: code name- HASINA.... কন্ট্রোল টু ককপিট, "ইউ আর ক্লিয়ার টু ল্যান্ড অন হাসিনা।"

''কন্ট্রোল টু ককপিট, হাসিনা ইজ রেডি/ক্লিয়ার, ইউ আর অলসো ক্লিয়ার টু এন্টার হাসিনা'' দেঁতো হাসি

কাকুল কায়েশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।