আমার ছেলেবেলাঃ ডিলিটেড সীন - "এ্যায় দিলওয়ালী, রুখ য্যাহ্..."

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: সোম, ২২/০৬/২০০৯ - ৩:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[আমার ছেলেবেলা ডিলিটেড সীন, (পর্ব নাম্বারঃ কইতে পারি না)
টেক ওয়ান শট থ্রী এণ্ড ফাইনাল...]

এই সিরিজের লেখা নিয়ে ভূমিকা দেওয়া হয়েছিলো আগেই। আমার ছেলেবেলার ডিলিটেড সীনও খুব নামকরা সিনেমার মতোই, সম্পাদনার পর সিনেমা বাজারজাত করার সময় বাদ পড়ে যাওয়া কিছু দৃশ্য, যেগুলোর নাম দেয়া হয় ডিলিটেড সীন। মূল গল্প থেকে বাদ পড়ে যাওয়া কিছু 'গঠনা' নিয়ে জোড়াতালি মেরেই এই ডিলিটেড সীনের কাহিনী।

ডিলিটেড সীন সিরিজের এটা ঠিক কতো নাম্বার গল্প বলতে তা এই মুহূর্তে জানাতে পারছি না, কারণ পিছনে গিয়ে দেখে আসতে আলিস্যি লাগছে। তবে এই লিংক থেকে ট্র্যাকব্যাক করা যেতে পারে বৈকি!

তো সিট টাইট, শুরু হলো আমার ছেলেবেলা ডিলিটেড সীন, টেক ওয়ান শট থ্রী...

আসল ঘটনাটা খুব সম্ভবতঃ ক্লাস এইটের আমলের। শেষের দিকে। কো-এডুকেশনের স্কুল হলেও এইট'এর আগে এর স্বর্গীয় সুধা অনুধাবনের সুযোগ দেয়নি আমাদের পাষণ্ড, পাপিষ্ঠ মডু শিক্ষকেরা। দূর থেকেই দেখে গেছি কেবল, স্বর্গের হুর-পরী মার্কা একেকটা ক্লাসমেটদের। মনে মনে জাল বুনে গেছি, "খালি এইটে উইঠ্যা লই, দেখায়া দিমু নে!"

নাম্বারিং করে গেছি সকলেই, "এইটা তোর নাম্বার ওয়ান ভাবী, আর ঐযে হাত নাড়ায়া হেলে দুলে কথা কৈতাছে, ঐটা তোর চার নাম্বার ভাবী! আর হ্যাঁ, ঐযে কলতলায় হাতপাও নাড়ায়া জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতাছে, ঐটা কিন্তু তোর ভাবী না, ঐটা আমার ভাবী- মানে তুই আমার ভাই!"

এর মধ্যে আবার নাম্বারিং কমন পড়ে গেলে বিরাট ক্যাচাল। তখন আইন ও শালিস কেন্দ্রে চলে যেতো ব্যাপারটা। সেখান থেকেই রফা হতো কে নাম্বারিং করার সরাসরি অধিকার পাবে আর কে পাবে কেবল ভাবী ডাকার অধিকার!

এমনি করে রেগুলার সবাই নতুন করে নাম্বারিং রি-নাম্বারিং গেইম খেলতো বারান্দায় কিংবা মাঠে দাঁড়িয়ে, ক্লাস শুরু হবার আগে, টিফিন ব্রেকে কিংবা ক্লাস ছুটির পরে। কিন্তু কোনো বীর জনতার-ই কোনোদিন সাহসে কুলায়নি নাম্বারিং করা নিজের 'পরিবার'-এর কাছে গিয়ে দুইটা হাই-হ্যালো মূলক কথা বলার।

এভাবে দিন যেতে যেতে, ক্লাসে স্যারদের পিটনা খেতে খেতে, ক্লাসমেট আলতাফের "অসংখ্য নৌকা নদীতে ভাসে" টাইপের কাব্যের সাথে পরিচিত হতে হতে আর প্রতিদিন গণিত শিক্ষকের হাতে তাকে প্রবল শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে দেখে মনে পুষে রাখা কবিত্বের বীজ অঙ্কুরে মাটিচাপা দিতে দিতে আমরা একদিন 'এইট'এ উঠে গেলাম। আমাদের স্বর্গের হুরপরীরাও হুট করেই যেনো মর্ত্যে নেমে এসে বললো, "বল গোলামের পুত গোলাম, কে কারে চাস!"

কী একেকজনের ঠমক, আর কী তাদের চমক। তাদের ঠমকের সাথে নিজেকে চমকে দিয়ে কতোজনই দেখি রেগুলার বিশাল মাঞ্জা দিয়ে স্কুলে আসে। আমরা কয়েকজন, যাদের অবস্থান সেই প্রথম বেঞ্চ থেকে শুরে হয়ে ধীর লয়ে পিছাতে পিছাতে শেষ বেঞ্চে গিয়ে স্থির হয়, তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকি মাঞ্জা মেরে আসা চান্দুর ইন করা শার্টের কোন কোণাটা কে আগে বের করে আনতে পারে, এই নিয়ে। অর্জুন স্যার যখন আমাদের উপপাদ্য পড়ান, আমরা তখন বেঞ্চের নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে চান্দুর শার্ট ধরে টানি! ক্লাশের মধ্যে ডামাডোল তৈরী করার কারণে পিঠের পরে কিছু উত্তম-মধ্যমও পড়ে। সঙ্গে জোটে উপরি হিসেবে চান্দি জ্বালানো কিছু খিলখিল হাসি। আমরা এবারও নাম্বারিং করি, তবে আগের মতো "তোর ভাবী" ট্যাগ দিয়ে না, এবার সরাসরি "মালেকায়ে হামিরা" ট্যাগে। আগের ভাবী সংক্রান্ত নাম্বারিং-এর ফ্যান্টাসী এইটে ওঠার কয়েক মাসের মধ্যেই টাটা-বাইবাই করে ফেলেছে। ক্লাসে সারাক্ষণ হৈহুল্লা করি, হাউকাউ করি, এর ইন খুলে ফেলি তো তার স্টাইলিশ চুলের ভাজ নষ্ট করে দেই। এইসব করে পড়ে গেলাম কো-এডুকেশনের রোষাণলে, আমরা কয়েকজন। আমাদেরকে দেখলেই সহপাঠীনিদের ব্রহ্মতালু নাকি জ্বলে, এমন খবরও পেয়েছি উড়াধুড়া। আমরা সেমতেই চলি, তফাতে। পিছনে বসি, ঠমকওয়ালীরা ইংরেজী শব্দের নাড়ি নক্ষত্র না পেরে ভর্ৎসনা পেলে শব্দ করে হাসি, আর আলতাফের বানানো কবিতা আউড়াই, 'কী বা তার চেহারা, নাম রাখছে পেয়ারা- আবার কয়ে কুয়ারা...!'

আমরা কবিতা আউড়াই আর কিছু কিছু চোখের চাউনিতে ভষ্ম হয়ে যাই। এমনই ভষ্ম হতে হতে একদিন বন্ধু কাইয়ুম বলে বসে, "আমি ওর (বালিকার নামটা বললাম না) চোখের আগুনে সারাজীবন ভষ্ম হইতে চাই!" বিট লবন আর মরিচের গুঁড়া সহযোগে আমড়ার ফালিতে কামড় দেয়া আমি মুখ বন্ধ করতে ভুলে যাই, "এইটা তুই কী কস মমিন!"

এই মেয়ে বিরাট মারদাঙ্গা ভাব নিয়ে থাকে সারাক্ষণই। ফাইভে বৃত্তির ক্লাসে দেখলেও কোনোদিন কথা বলার জুররত করি নি। এইটের বৃত্তি কোচিং ক্লাসেও তাই। দূরে থেকে আল্লাহরে ডাকি, এমন অবস্থা। আমরা কিছু বললেই যেনো মোহাম্মদ আলীর মতো বক্সিং বাগায়ে তেড়ে আসে। ডরে ভয়ে আমরা কেউ-ই তার ছায়াটাও মাড়াই না। বাই দ্য ওয়ে, এ হলো মালেকায়ে হামিরা নাম্বার টু!

তো এই মালেকায়ে হামিরা নাম্বার টু-এর প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে ফেললো দোস্ত। কয়, 'কিছু একটা কর, নাইলে কল তলায় জান দিয়া দিমু কইলাম।' আমি আমড়ার ফালিতে কামড় দিয়া হিসাব মিলাই। "তুই হালায় জান দিলে আমার কী ক্ষতি!" কিন্তু পরক্ষণেই তার বাপের কঠিন মুখটা আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। 'চীজ-ও রে ভাই একটা', এইটা আমার কথা না, স্বয়ং সেই দোস্তের কথা। আমি নিজেও বহুত ঠাণ্ডা ঝারি খাইছি এই চাচার কাছে। কইলজা শুকায়া কাঠ হইয়া যায়।

যাউকগা, পোলা কলতলায় জান দিলে তার বাপের ঠাণ্ডা ঝারি যে আমার উপর দিয়াই যাবে, এটার কোনো অন্যথা নাই। বাধ্যে হয়েই রাজী হলাম, "কী করতে চাস! মাইর টাইর দিতে আইলে কইলাম আমি নাই, আগেই কইয়া লই!" আমি বন্ধু নামের কলঙ্ক, আমি পুরুষ না- ইত্যাদি নানান হাবিজাবি কথা বার্তা শুইনা মন শক্ত করি, 'আমি পুরুষ না হইলাম, মহাপুরুষই সই। যা, যামু তোর লগে।'

সাঙ্গপাঙ্গও যোগাড় হয়ে গেলো। ঐ লাস্ট বেঞ্চিগ্রুপ। সবাই মোটামুটি থ্রীলড। আমি খালি চিন্তায় আছি, মিশন আনসাক্সেসফুল হইলে অর্জুন স্যারের বেতের নিচে কালকা কার পিঠ ক্যাডা বাঁচাইবো? অবশ্য বাকি সবার লাফালাফিতে আমার পিঠাপিঠি চিন্তা বেশি সুবিধা করতে পারলো না, তাই আমরা স্কুল ছুটির পরপরই পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক মূসা লাইব্রেরীর কোণায় খাড়ায়ে থাকলাম।

মালেকায়ে হামিরা নাম্বার টু, তার মালেকায়ে হামিরা গ্রুপ অব কোম্পানিজের সাথে ক্লাস থেকে প্রথমে কমনরুম তারপর মেইন গেটের দিকে হাঁটা দিলো। মূসা লাইব্রেরী ক্রস করতেই আমরা তার পিছু নিলাম। সাহস করে আর কেউ পাশে হাঁটতে পারে না, কিছু যে জিজ্ঞেস করবে সেই সাহসেও কুলাচ্ছে না। স্টেথোস্কোপ ছাড়াই ঢাউস সাইজের ঢুপুশ ঢুপুশ শব্দে একেকজনের হৃদয় বাইড়াবাইড়ি শুরু করেছে ইতোমধ্যেই। আমি গিয়ে 'পাগল' হওয়া দোস্তকে তাড়া দেই, "অই তাত্তারি কর, এমনে চলতে থাকলে সবগুলাই হার্টফেইল কইরা রাস্তায় পইড়া থাকবো। তখন হার্ট অ্যাটাকে ইন্ধন যোগানোর অভিযোগে তুই যাবি হাজতে হালার্পুত, ইনক্লুডিং মি!"

হাজতের ভয়েই কিনা, দোস্ত আমার মিন মিন করে পেছন থেকে ডাক দিলো মেয়েটিকে। এই ডাক মেয়ে শুনবে কি, পাশে দাঁড়ানো আমিই ঠিকমতো শুনি নাই। এদিকে মেয়েটি ক্রমেই তার সঙ্গিনীকে নিয়ে কিলবিল করে হেসে চলে যাচ্ছে তার নিজের এলাকায়। তার এই কিলবিল মার্কা হাসি যতোটা না সঙ্গিনীর সাথে গল্পের কারণে তার চেয়ে বেশি পেছন পেছন আসতে থাকা আমাদের সাহসহীনতার কারণে! অধৈর্য হয়ে দোস্তের পশ্চাৎদেশে পদযুগলের যুগপৎ কিঞ্চিৎ প্যাডেল-আদর বুলিয়ে এই কথাটা পাড়তেই দোস্ত কেঁপে উঠলো অজয় দেবঘনের মতন। তখন আবার দিলওয়ালে, ফুল অউর কাঁটা'র যুগ। পশ্চাৎদেশে মৃদু লাথি খেয়েই হোক আর অজয় দেবঘনের বিদেহী আত্মার জোড়েই হোক, দোস্ত চিৎকার করে ওঠে বালিকার নাম ধরে, "ঐ দিলওয়ালী রুখ য্যাহ্..."। বালিকা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখারও আবশ্যকতা অনুভব করে না। আমাদের গায়ে লাগে প্রচুর। সবচেয়ে লাগে আমার সেই দোস্তের। সে বেশ জোড়ে শোরেই বলে ওঠে, "ঐ, ডাকি কানে যায় না? খাড়াও অখনই, নাইলে বড় হইয়া তোমারে বিয়া কইরা খারাপ কাম করুম কইলাম..."


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বীফ ভিজাইয়া রাখছি। ঐটা না রানলে খামু কি? যাই কাইট্টা কুইট্টা চুলায় চড়াইয়া দিয়া আসি এখনই...
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বীফ রান্না হয়ে গেছে পিপিদা, এখন কিনে আনা রুটি তাওয়ায় সেঁকে খাবো। ফ্লোরমেট ইয়ানকে দাওয়াত দিছি। দুইজনে মিলে রুটি-গোশত খাবো আর আমাদের ফ্লোরমেইট, বিল্ডিংমেইট সব মেয়েদের নামে বিচিং করবো। হাসি

হঠাৎ সর্দি লেগে জ্বরজ্বর লাগতেছে। তাই রুটি খাওয়ার প্ল্যান। দোয়া রাইখেন, জানি খাওয়া অবস্থায় কারো হাতে মাইর টাইর না খাই বিচিং-এর ফলস্বরূপ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধুগোদা, লেখা না পাইলে কিন্তু কমান্ড স্টাইলে আক্রমন করিব, হে হে হে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- না বস, কমাণ্ডো স্টাইলে আক্রমন করিতে হইবে না। খারাপ লুকের এক জবান, "আমার জবানের কোনই ঠিক ঠিকানা নাই!" দেঁতো হাসি

সেইজন্যই লেখাটা দিয়া দিলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নাইলে বড় হইয়া তোমারে বিয়া কইরা খারাপ কাম করুম কইলাম..."

উফফ্ বস, আপনে একটা কঠিন চিজ, গড়াগড়ি দিয়া হাসি এখনও হাসি থামাইতে পারতেসি না, বিয়ার পরে যে আর কামডা খারাপ থাকে না, ঐডা মনে হয় আপনার দোস্তের মাথায় ছিল না, তবে, তাড়াতাড়ি দিয়েন বস পরের পর্ব, রিসাইকেল বিন খালাস করার আগেই হো হো হো , আর তাও ভালো, আপনার বন্ধু বলে বসে নাই, "কাফের মাইরতন্য"

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হা হা হা
না, কাফের মারা কাহিনী যখন আমরা জানি ততোদিনে 'আমার ছেলেবেলা' কাটিয়ে বড়ো বেলায় পদার্পন করে ফেলেছিলাম। সেই কাহিনী তাই ছেলেবেলার নথিতে যুক্ত নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

ধু-গো--- হাসতে হাসতে জান শেষ----
বহুদিন পর ধু-গো বাবুর স্ব মহিমায় প্রত্যাবর্তন----

শুভেচ্ছা---

ধুসর গোধূলি এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হো হো হো

কিন্তু সীন এইখানে কাট করলে চলবেনা। বাকীটা জানতে চাই, জানাতে হবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা কীরাম দাবী হইলো পিপিদা? বাকি ঘটনাতো মনে নাই। দেঁতো হাসি

তাছাড়া, ডিরেক্টর্স কাট বলে একটা জিনিষ আছে না? চোখ টিপি
নাহ, আপনে খালি ভরা মজলিশে আমার তহবন ধরে টান দেন, (শিমুল তো পারলে নিয়া দৌড়-ই দেয়। আগের একটা ছেলেবেলার কাহিনীতে বলছিলো শিরোনামের সাথে নাকি মিলে নাই, আমি নাকি গুল মারছি!)

কানাডার লুকজন ভালু না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি যতটা জানি-- ডিরেক্টরের একটা নিজস্ব ক্যামেরায় পুরো ব্যাপারটা ভিডিও করা হয়। "কাট" শুধু মূল ক্যামেরার জন্য প্রযোজ্য, ডিরেক্টরের ক্যামেরা এর বাইরে। ফলে সেই ক্যামেরা থেকে ডিলিটেড সীনের যে কয় শতাংশ এখানেও ডিলিট মারা হইলো সেগুলো দেখতে চাই দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনে দর্শক ভালো না গো পিপিদা। ডিরেক্টেরের বুচকির দিকে আপনার কঠিন দৃষ্টি। চোখের সামনে ইয়া বড় ওয়াইড স্ক্রীনে নায়কনাইকা চাকভুম চাকভুম নাচে, সেইটা না দেখে আপনি ডিরেক্টরের নাচ দেখতে চান। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঠিকাছে, তাহলে দর্শকের দৃষ্টিকোণ থেকে জিজ্ঞেস করি-- এরকম ডিলিটেড সিন আরো আছে নাকি? থাকলে প্রতি সপ্তাহে একটা করে ছাড়েন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আবেগ একটু কম হয়েছে এই পর্বে চোখ টিপি
তবে ৫ তারা ঃ)

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

তারপর কি হইল ধুগোদা ? কেমনে কি করলেন আপনারা তারপর মাইর খাইতে হইসিল কিনা এইসব জানতে মঞ্চায়। তাড়াতাড়ি লিখেন । লেখাডা ভাল হইসে বরাবরের মতই। সবচে' হাসি পাইসে শেষের লাইনটা পইড়া, "বিয়া কইরা খারাপ কাম করুম"। গড়াগড়ি দিয়া হাসি =)) গড়াগড়ি দিয়া হাসি
---------------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জনগণ খালি শ্যুটিং-এ কী হইছিলো সেইটা জানতে চায়! আরে 'বিহাইণ্ড দ্য ক্যামেরা'র ঘটনা তো এই সিরিজে বলা যাবে না, ঐটার জন্য আলাদা সিরিজ আছে। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

তাইলে সেই সিরিজের অপেক্ষায় থাকলাম। না দিয়া আবার আমাগো আশাহত কইরেন না কইলাম !
--------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

মাইনষে যে আমার আর কতো নয়া নয়া নাম বাইর করবো তাই ভাবতাসি।
--------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শেষ বাক্যটা অসামান্য!! দেঁতো হাসি

স্বপ্নাহত এর ছবি

শেষ লাইনে তো পুরা সেইরকম প্যাডেল সুইপ করলেন গুরু ! দেঁতো হাসি

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঐসব সুইপ মুইপ আমি পারি না, ব্যাট হাতে নিয়া চোখ বুইজা বাড়ি দেই। লাগলে বাউণ্ডারি নাইলে উড়ে স্ট্যাম্পের গুঁড়ি! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রায়হান আবীর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কঠিন!!! কঠিন!!!

অনীক আন্দালিব এর ছবি

হাসতে হাসতে শ্যাষ! পুরাই পাঙ্খা কাহিনী। রাতে রান্না করতেছেন দেখে কিছু বুঝি নাই। এখন পইড়া বিষম মজা পাইলাম। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শুরু করার পরার দেখি মাথাব্যথা শুরু হইছে। সর্দি লাগছে তো তাই! এদিকে পেট, ফ্রিজ সব-ই খালি। বাধ্য হইয়া চুলার ধারে যাইতে হইছে। খাওয়ার পর আসলো গাও কাঁপায়া জ্বর। কিন্তু তাই বৈলা তো আর খারাপ লুকের 'এক জবান' টলবার পারে না। দিয়া দিলাম তুইলা। পড়ছেন দেখে ধন্যবাদ বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
আপনি একটা জিনিস বটে!
ব্যাপক মজা পাইলাম। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নিবিড় এর ছবি

গুরু দেখি ছোটকাল থেকেই সিরাম ছিলেন হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রণদীপম বসু এর ছবি

মাইর খাওনের কাট-পিসটা নষ্ট কইরেন না কইলাম।
হাড্ডিগুড্ডি গুড়াগাড়া হওনের দৃশ্য দেখার মাজেজাই অন্যরকম !.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইটা একটা সেইরম কমেণ্ট হৈছে রণ'দা। চলুক
হাসি পাইতাছে, নিজের ঘটনার সিক্যুয়েন্স কল্পনা কইরা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

জাহিদ হোসেন এর ছবি

খুবই ভাল লেগেছে লেখাটি। মজার এবং হাসির। যা আজকাল বেশীর ভাগ লেখাতেই খুঁজে পাইনা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।

আপনার একজন হিটলারের গল্প ৪টা খণ্ডই চমৎকার লেগেছে। অসাধারণ বললে মোটেও অত্যুক্তি করা হবে না। সময় করে লিখবেন আমাদের জন্য। আপনি, আপনারা লিখলে কষ্ট করে আমাদের আর লিখতে হয় না, আমরা তো আছি কেবল পড়ার জন্য। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

গৌতম এর ছবি

আপনার দোস্ত কি বড় হইসে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ইস্কুলের দোস্তরা কি আর বড় হয়! মন খারাপ
মাঝখান থেকে ঐ বালিকা নিজেই বড় হয়ে গেলো! দেখেছিলাম বোধহয় একদিন, বছর সাতেক আগে এক ত্রিচক্রযানে, বড় কোনো অপরিচিত ব্যাটার বাহুলগ্না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

গৌতম এর ছবি

জনম দুঃখী কপালপোড়া গুরু আপনার দোস্ত একজনা (দুষ্ক) । সাথে অবশ্য আপনিও আছেন (মোটেও দুষ্ক না)
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

বেশ

শামীম রুনা এর ছবি

হা-হা-হা, হাসতে হাসতে পুরানা কাহিনী মনে পড়লো। আপনার দোস্তের রচিত কবিতাটা আমরাও স্কুল লাইফে জানতাম, তবে সামান্য পার্থক্য ছিল, " যা একখান চেহারা, মনে হয় বেয়ারা....."
ভালো হইছে।
___________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অবলা পোলাদের নিয়ে এমন নিদারুণ ছড়া কাটতে আপনাদের একটুও কষ্ট হইলো না, এতোই পাষাণ আপনারা? মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

ধূ-গো, আজকে লগ ইন এর পরিকল্পনা ছিলো না। তবে তোমার কারনে করতেই হলো। আমারো অবস্থা তোমার মতো ছিলো, সারা ক্লাশের মেয়েরা কলেজে পটাপট প্রেমে পড়তেছে, আমাদের কোন গতি হয় না, আমরা সবাইকে ভেঙ্গিয়ে অস্থির করে ফেলতাম। সে নিয়ে অনেক মজার মজার কাহিনী হতো। একদিন আমিও লিখবো ভাবছি তোমার মতো কিছু ঃ)

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনি তো লুক ভালো না তাতাপু! প্রেমে না পড়তে পারার পেরতিশোধ নিলেন যারা প্রেমে পড়লো তাদেরকে ভেঙচি কেটে? মেয়েরা যে কেমন হিংসুইট্টা এই যে তার প্রমাণ। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কাহিনীর শেষ অংশের সাথে আমার ক্লাস সেভেনের একটা ঘটনার অনেক অনেক মিল আছে। আমার কোনো লেখায় সেইটা আসলে কিন্তু লেখা চুরির দায়ে আমাকে অভিযুক্ত করা যাবে না। চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঘটনার অংশ বিশেষ চুরি করেন অসুবিধা নাই, আমার পুরা কাহিনী চুরি না করলেই হইলো।

আর অংশ বিশেষও চুরি কইরা ধরা পড়লে ঠাকুরঘরে জামাই আদর করা হবে না, এই বিষয়ে কথা দিতে পারতেছিনা জনাব! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কীর্তিনাশা এর ছবি

কমেন্ট পরে আগে হাইসা লই -

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কীর্তিনাশা এর ছবি

ডিলিটেড অক্ষরখান নিশ্চয় হইবে, তাই না ধুগো ভাই ?? হো হো হো

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জ্বি না নাশু ভাই, আমার ক-বর্গীয় অক্ষরে পোষায় না। ডাইরেক্ট প-বর্গে যাইগা লম্ফ মাইরা! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিন্দিতা এর ছবি

অনেকদিন পর আবার আমাদের পরিচিত ধুগোকে পেলাম।
দারুণ মজার লেখা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
জুম্ম [অতিথি] এর ছবি

ধুগোদা, শেষ পর্যন্ত ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটেছে নাকি বোল্ড আউট/ রান আউট......? লেখা সিরাম হইছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

আমিও ক্লাস ফাইভে থাকতে বড় হইয়া একটা মাইয়ারে বিয়া কইরা খারাপ কাম করতে চাইছিলাম। আফসোস, মাইয়াটা পালাইয়া গেছিলোগা একটা ব্যাডার লগে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনের তো মিয়া গ্যাদাকাল থাইকাই নিয়ত খারাপ সেইটা বুইঝাই মাইয়া ব্যাডার লগে দোয়া দরূদ পড়তে গেছেগা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

নিয়ত খারাপ হইবো ক্যান? আমিতো বিয়া কইরাই খারাপ কাম করতে চাইছিলাম। তাও বড় হবার পর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার লিস্টিতে যে পরিমান নাম আছে ঐগুলা লিখতে গেলে এই কমেন্টের এডিটরে কুলাইবো না। আমি সাধে কি আর ঠিক্কইরা রাখছি যে মরার পরে নরকেই যামু! আমার লিস্টির বেবাকেই তো ঐখানে একেকজনের নামে ফ্লাট বুকিং দিয়া রাখছে। আমি একলা একলা স্বর্গে গিয়া কী করুম! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চ্রম, ধুগো'দা, চ্রম! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

বেশ অনেকদিন পর একটা 'অরিজিন্যাল ধুসর গোধূলি প্রোডাকশন' পড়লাম দেঁতো হাসি

আরো লেখেন...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ। চীনদেশ হৈতে তাড়াতাড়ি বিতাড়িত হন মিয়া। নাইলে কয়দিন পরে দেখবেন আপনের নিজের নাকও বোঁচা বোঁচা লাগতেছে। তখন আয়নার সামনে খাড়ায়া কানবেন আর বলবেন, "কইছিলো, ধুগো একদিন কইছিলো।"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নজমুল আলবাব এর ছবি

পড়ছি, এইডা জানায়া গেলাম।
হেডে বিষ কইচ্চে হাসতে হাসতে।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

কল্যাণ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।