এক প্রবাসী বাংলাদেশীর দিনলিপি [৩য় পর্ব]

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৭/০৪/২০১০ - ৫:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্ত বিহঙ্গ

৩য় পর্বঃ

আমি প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ। ভালো লাগে বৈশাখের তোলপাড় করা কালবৈশাখি ঝড়, শ্রাবণের বৃষ্টি, শরতের আকাশে সাদা মেঘ, হেমন্তের পাকা ধানের মাঠ, শীতের সকালের শিশির, আর ভালো লাগে বসন্তের ফোটা ফুল, সাথে পাখির কলরব। আমি বাংলাদেশে জন্মেছি বলে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি। এই কানাডায় জন্মালে বোধহয় প্রকৃ্তির সাথে ভালোভাবে পরিচয়-ই হতোনা কখনো।

বাংলাদেশে আমার ছেড়ে আসা হলের রুমটার কথা খুব মনে পড়ে। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙতো অসংখ্য পাখির কোলাহলে। কাঁচের জানালা দিয়ে দেখতাম শুধু সবুজ গাছ। আমার রুমের বারান্দায় মাঝে-মাঝে সন্ধ্যায় একটা দোয়েল পাখি আসতো; সদা ব্যস্ত। লেজটা এতো সুন্দর করে নাড়তো, শুধুই চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করতো!

ঢাকায় থাকবার সময়, রাতের বেলা টিউশনি থেকে রিক্সায় করে হলে ফিরবার পথে কখনো আকাশের চাঁদ চোখে পড়লে, অপলক তাকিয়ে থাকতাম। চাঁদটাও বোধহয় বুঝতো সেই কথা, তাই মাঝে-মাঝে মেঘের আঁচলে মুখ লুকোতো। হুড ফেলা রিক্সায় চলতে-চলতে যে পূর্ণিমা দেখেনি, সে পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এই এডমন্টন শহরে যে জিনিসটার অভাব সবচাইতে বেশি অনুভব করি সেটা হলো ঝুম বৃষ্টি। এখানে বৃষ্টি একেবারে হয়না বললেই চলে। যদি কখনো হয়-ও, সেটা টিপ-টিপ আর সেই বৃষ্টির পানি বরফের চাইতেও ঠান্ডা। এডমন্টন বিখ্যাত তুষারপাত আর ঠান্ডার জন্য। তবে আমি এখন তুষারপাত টাও বেশ উপভোগ করি; সেই প্রসঙ্গে আরেকদিন বলবো।

বাংলাদেশের এক বৃষ্টি-ভেজা দিনের ঘটনা দিয়ে আজকের পর্বটা শেষ করি। ঘটনার দিন-তারিখ ভুলে গেছি। শুধু মনে আছে, সেই দিন ইউনিভার্সিটি তে কোন এক টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার শেষ দিন ছিলো। হল থেকে যখন পরীক্ষা দিতে গেছি, তখন আকাশ ছিলো সম্পূর্ণ পরিস্কার, তাই সাথে ছাতা নেইনি। পরীক্ষার উত্তেজনার মাঝেও জানালা দিয়ে লক্ষ্য করেছি বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ করে হলে ফিরবো, বৃষ্টি তখনো শেষ হয়নি। সবাই অপেক্ষা করছে বৃষ্টি থামবার জন্য। পরীক্ষা শেষ হবার আনন্দে সবাই আত্মহারা! কয়েকজন নেমে গেলো বৃষ্টিতে গোসল করতে। আমার কাছে ক্যালকুলেটর, বই-সহ আরো সব জিনিসপত্র। বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে, আবার এই জিনিসগুলোকে ভিজাতে চাচ্ছিনা। অবশেষে আমার হলের এক বন্ধুর কাছে (যে বৃষ্টি না ছাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, বৃষ্টি ছাড়লে হলে যাবে) আমার এই জিনিসগুলো দিয়ে বৃষ্টিবিলাসে শামিল হলাম। [সৌভাগ্যক্রমে এর ফলশ্রুতিতে আমার জ্বর আসেনি হাসি ]

মাঝে মাঝে ফেইসবুকে বাংলাদেশী বন্ধুদের বৃষ্টিতে ভেজা বিষয়ে আনন্দময় স্ট্যাটাস দেখি। খুব মন খারাপ হয় নিজে ভিজতে পারছিনা বলে। তখন এই গানটা দেখি –

এডমন্টন সিটি
এপ্রিল ৭, ২০১০
রাত চারটা।

এক প্রবাসী বাংলাদেশীর দিনলিপি [১ম পর্ব]

এক প্রবাসী বাংলাদেশীর দিনলিপি [২য় পর্ব]


মন্তব্য

তানভীর আহম্মেদ এর ছবি

ভালো লাগলো, আর সাত দিন পরে পহেলা বৈশাখ, প্রবাসে 'পহেলা বৈশাখ' পালনের উপর লিখা চাই কিন্তু!

অতিথি লেখক এর ছবি

তানভীর আহম্মেদ,

ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম হাসি

বিপদে ফেলে দিলেন তো! 'পহেলা বৈশাখ' নিয়ে তো আমার মাথায় অণুগল্প ঘুর-পাক খাচ্ছে!! দেঁতো হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

ভাই - কিছু মনে কইরেন না - কমপ্লিট অফটপিক একটা কথা বলি। ভিডিও বিষয়ে আমার একখান কথা আছে। এই গানটাতে বৃষ্টিতে ভেজার বাংলাদেশী আকাশ বাতাস কাঁপানো স্বৃতি জাগানিয়া তেমন কোনো ভালো সিন নাই - যেখানে হোস পাইপ চাইপ্প্পা ঝির ঝির পানি আছে - সেখানে কনা ছাতা হাতে দাড়াইয়া আছে বা বারান্দায় রানী মাতার মতন হাত নাড়াইতেছে। আর শেষে বৃষ্টির অভাবে একটা ডোবায় বৈসা জলকেলি। রাত চার্টার সময় অবশ্য এত কিছু বোঝার কথা না। খাইছে

লেখালেখি সম্পর্কে আমার এলেম কম, তবুও বলে রাখি - আপনার তুষারপাত লইয়া যখন লেখবেন - তখন "আইজকা এডমন্টনের বিখ্যাত তুষারপাতে ভিজছি। তবে সৌভাগ্যক্রমে আমার ঠান্ডা লাগেনি। খুদাপেজ।" টাইপ পোস্ট না দিয়ে আরেকটু বর্ণনা দিলে আপনার আবেগটা বুঝতে সুবিধা হতো। চোখ টিপি পরের পর্বের অপেক্ষায় হাসি

ফারুক হাসান এর ছবি

এই পর্বে আপনার লেখাটা যথেষ্ঠ পরিপক্কতা পেয়েছে, যদিও একটু তাড়াতাড়িই শেষ করে দিয়েছেন। আরেকটু টানতে পারতেন। প্রতিটা পোস্টেরই একটা অপটিমাম বিস্তার থাকে যতটুক হলে বোরিংও মনে হয় না আবার তাড়াহুড়াও মনে হয় না। লিখতে থাকুন, আস্তে আস্তে ব্লগিংয়ের টেকনিক্যাল দিকগুলো আপনাআপনিই বুঝে ফেলবেন।

পোষ্ট পড়ে ভালো লেগেছে, সেটা জানিয়ে গেলাম। বৃষ্টি আমারো খুব প্রিয় একটা বিষয়, তিতুমীর হলে থাকতে প্রায়ই বৃষ্টি ভেজা হতো। বৃষ্টি বাড়লেই হয় ছাদে উঠে যেতাম, নয়ত এক দৌড়ে বুয়েট মাঠে। ঝুম বৃষ্টি যখন কুয়াশার মত ঢেকে ফেলে সবকিছু, দশ হাত দূরের জিনিসও দেখা যায় না, তখন বুয়েট মাঠের মাঝখানে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভেজার অনুভূতিই ছিল অন্যরকম, মনে হতো ভিন্ন কোনো জগতে আছি। আর ভেজা ঘাসের উপর স্লাইড করা (খাস বাংলায় যাকে বল 'চ্যাল্লৎ মারা'), বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলা তো ছিলই।

আরেকটা ব্যাপার, তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে সাথে সাথে পুকুরে নেমেছেন কখনও? একটু উষ্ণ উষ্ণ ভাব থাকে পানিতে, সেইরকম লেভেলের একটা প্রাকৃতিক ম্যাসাজ হয়ে যায়।

এইখানে, সিংহপুরে বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে গায়ে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ওয়াইল্ড-স্কোপ,

বড়ই মজা পাইলাম আপনার অফটপিক এর কমেন্ট পইড়া দেঁতো হাসি

বুঝতাম পারছি! আমার দিন শ্যাষ হয়্যা আসতাছে!! হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ফারুক ভাই,

হুমম... বুঝতে পারলাম, আরেকটু বড় লিখতে হবে হাসি

আপনার অনুভূতির কথা শুনে তো আবার বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে হাসি

আমি সাঁতার ভালো জানতাম না। তবে মিরপুর সুইমিং পুলে দুইদিন বৃষ্টির মধ্যে সাঁতার কেটেছি। কিছুটা হলেও অনুভব করেছিলাম হাসি

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

মুক্ত বিহঙ্গ

বিবাগিনী এর ছবি

ভাল লাগলো হাসি

::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

ফারুক হাসান এর ছবি

মনে হয় একযুগ পরে বিবাগিনীকে দেখলাম ব্লগে। ভালো তো?

বিবাগিনী এর ছবি

এক যুগ! ওরে বাপরে ! দেঁতো হাসি
নামটাই বিবাগিনী ভাল থাকার সময় কই??
ফিরে আসতে ভাল লাগে যেখানেই হোক হাসি

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বিবাগিনী হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনাকে কিছু সিরিকাস কথা বলব। ধইরযো ধরে শুনেন। এই পর্ব নিয়ে কথা বলি।

১। আপনার প্রকৃতিপ্রেম বিষয়ে প্রথম তিন প্যারায় বর্ণনা দিলেন। চরম ক্লিশে বিবরণ। এই ভাষায় এখন কেউ লেখে না।

২। চতুর্থ প্যারার ভাষা ঠিকাছে।

৩। পঞ্চম প্যারা। আপ্নে বিষ্টিত ভিজলেন। বাহ্‌। এটাই গল্প। ভাই এসব কথা লিখতে থাকলে আপ্নের দিনলিপির প্রভুখণ্ড কোথায় গিয়ে শেষ হবে - তার মালুম করছি।

আমি কি বলছি ইনশাল্লাহ্‌ আপনি বুঝতে পারছেন।

ভাল থাকুন।

মূলত পাঠক এর ছবি

প্রভুখণ্ডের কপিরাইট কিন্তু আমার, সেইটে ভুলিলে চলিবেক নাই।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ। প্রভুখণ্ডের কপিরাইট আপ্নের। ভুলে সেটা লেখা হয় নাই। দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষ দা,

অনেক ধন্যবাদ আমার ভুলগুলো সুন্দর ভাবে ধরিয়ে দেবার জন্য হাসি

আশা করি ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন হাসি

বুঝতে পেরেছি হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সময় নিয়ে লেখেন। তাড়াহুড়া করে লেখার জন্য না লিখে বরং লেখায় সম্পূর্ণতা আনাতে পারলে পাঠকের দিক থেকে বাহবা পাবেন।

প্রকৃতির প্রতি ভালো লাগা কিংবা ভালোবাসা প্রকাশের ধরন যত পুরনোই হোক, এর আবেদন সবার কাছে কমে যায়না। এই আবেদন শুধু বর্ণনা পড়ে নয়, হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়। লেখাটাতে স্মৃতিকাতরতা বেশ ফুটে উঠেছে। আমার কাছে লেখাটা ভালোই লেগেছে। বর্ণনা একটু বেশী করলে অবশ্য আরো ভালো হতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক,

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

আশা করি ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবো!

মুক্ত বিহঙ্গ

নাশতারান এর ছবি

লেখা আগের চেয়ে অবশ্যই ভালো হয়েছে।

তবে প্রথম তিন প্যারার কথাগুলো যতখানি না আপনার, তারচেয়ে বেশি পাঠ্যপুস্তকের রচনার মতো মনে হয়। এটা স্বাভাবিক মনে হয় আমার কাছে। সৃজনশীল লেখার পুরনো অভ্যেস না থাকলে রচনা বই থেকে বের হতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু আপনি বেরিয়ে আসতে পারবেন। এর প্রমাণ শেষ দু'টো প্যারা। ওগুলো আপনার নিজের কথা। আমি আপনার নিজের ভাষার আপনার নিজের কথা জানতে আগ্রহী।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বুনোহাঁস,

হুমম.... বুঝেছি হাসি

আপনার আশা পূরণ করতে সর্বাত্বক চেষ্টা থাকবে হাসি

[এই লেখায় আমি কোন বানান ভুল করিনি!!!]

মুক্ত বিহঙ্গ

নাশতারান এর ছবি

সর্বাত্বক > সর্বাত্মক দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মর্ম এর ছবি

লেখা ভালো হচ্ছে দিনে দিনে। উন্নতির গ্রাফটা ধরে রাখেন, তাহলেই চলবে। হাসি

পড়তে পড়তে হলের কথা মনে পড়লো অনেকদিন পর, স্মৃতিচারণে ঘি-টুকু ঢেলে দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। দেঁতো হাসি

আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

মর্ম,

অনেক ধন্যবাদ হে নতুন অতিথি হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

মূলত পাঠক এর ছবি

কিছু সমালোচনা হয়েছে, শাকের আঁটি চাপানো উচিত নয় আর। তাও একটা কথা বলি, যেটা আসলে শুধু আপনাকেই বলছি তা নয়।

আমরা যারা বাংলাদেশ কি ভারত থেকে বিদেশে আসি তারা অনেকেই মনে করি, দেশে থাকতে প্রকৃতির অনেক কাছে ছিলাম, যেমন আপনি লিখেছেন: "এই কানাডায় জন্মালে বোধহয় প্রকৃতির সাথে ভালোভাবে পরিচয়-ই হতোনা কখনো"। এই পর্যবেক্ষণটা শুধু ভুলই যে তাই নয়, সত্যের একেবারে বিপরীত। কারো স্বদেশপ্রেমে আঘাত দিতে বলছি না, কিন্তু আমেরিকা বা কানাডায় প্রকৃতিকে যেমন কাছ থেকে দেখা যায় তেমনটা দেশে সত্যি দেখতেন? বনভূমি ওখানেও আছে, এখানেও, এখানে মানুষের ভিড়ের অত্যাচার নেই। ন্যাশনাল পার্কে গিয়ে প্রকৃতি দেখতে পান নি? দূষণে ঘোলা আকাশের চেয়ে এখানে বেশি নীল আকাশ চোখে পড়ে নি? আমি অনেক অচেনা পাখি দেখেছি শহরের বাইরে না গিয়েই, বাড়ির হাতায়, দেশে কাক শালিক চড়ুই ছাড়া কিছু দেখতাম না।

যাক, এই সব কথায় ঘাবড়াবেন না যেন, লেখা চলতে থাকুক।

মূলত পাঠক এর ছবি

এইখানে যে সব পাখির ছবি সবই এ দেশে তোলা, কোনো চিড়িয়াখানায় নয়, মুক্ত প্রকৃতিতে, এবং বেশ কিছুই বাড়ির হাতায় তোলা।

অতিথি লেখক এর ছবি

মূলত পাঠক,

পাখির ছবিগুলো এক কথায় অসাধারণ!!

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সাবিহ ওমর এর ছবি

খুবই সত্যি কথা। আমিতো এখানে এসেতক খালি আকাশ-বাতাসের ছবিই তুলছি। এমন না যে আমি দেশে থাকতে প্রকৃতি দেখি নাই (আমার জীবনের প্রথম ষোল বছর কেটেছে চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে)। তারপরও আমার ভালই লাগছে, ঢাকার চেয়ে তো বটেই। বিশেষত বসন্তের শুরুতে সব কিছু হঠাৎ কেমন সবুজ হয়ে উঠলো...দারুণ লাগছে। আর এখানকার আকাশ চট্টগ্রামের শরতের আকাশের মতই নীল, মাঝে মাঝে যেন তাকে ছাড়িয়েও যায়। যাই হোক, এখন ফলের জন্য বসে আছি, দেখি আর কি দেখায়...

তিথীডোর এর ছবি

(তালিয়া) আরেকজন চাঁটগাঁইয়া!!
ইয়া হাবিবি...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হুড ফেলা রিক্সায় চলতে-চলতে যে পূর্ণিমা দেখেনি, সে পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
চিন্তা করেন, পৃথিবীর অন্যতম এই দৃশ্য দেখার সময় যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে এমন একটা কিছু বাজতে থাকে...

আগের পর্বটাও পড়লাম। লিখে চলুন। লিখতে লিখতেই হবে। তবে, উপরে পিপিদা'র মন্তব্যের প্রথম অংশটাও খেয়াল রাখবেন বিশেষ করে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাবিহ ওমর এর ছবি

পূর্ণিমা দেখার জন্য কারেন্ট যাওয়া মাস্ট। কিন্তু ঢাকা শহরে এখন ঘরে ঘরে জেনারেটর, কারেন্ট গিয়াও শান্তি নাই মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

সাবিহ ওমর,

হাহ হাহ দেঁতো হাসি

ভালো বলেছেন !!

মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুসর গোধূলি,

লেখা পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

আমার কিন্তু মনে হয়, পৃথিবীর অন্যতম এই দৃশ্য দেখার সময় যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে এমন একটা কিছু বাজতে থাকে.... তাহলে আরো বেশি ভালো হয়; কী বলেন? হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নাউজুবিল্লাহ, কি সব লটকান, যাই ওজু কইরা আসি চোখ টিপি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করলাম না...
তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে, কিভাবে মানুষের তুষারপাত ভাল লাগতে পারে? (আমার তো এটা ভাল লাগে ঘরের ভিতর থেকে, কফির মগ হাতে)

পাগল মন

অতিথি লেখক এর ছবি

পাগল মন,

আমারো তুষারপাত কফির মগ হাতে ঘরের ভিতর থেকেই ভালো লাগে হাসি

তবে প্রথম পাঁচ মিনিট বরফের ভিতর দাঁড়িয়ে থাকতেও কিন্তু মন্দ লাগে না [অবশ্যই গরম কাপড় সহ] হাসি

কী করবো বলুন! বৃষ্টিবিলাস আর হয়না; তাই তুষার বিলাস করি!!

মুক্ত বিহঙ্গ

তিথীডোর এর ছবি

ইয়ে বিহঙ্গ, একটু গুছিয়ে... সময় হাতে নিয়েই লিখুন না পর্বগুলো...
এভাবে ঠিক জমছে না!

অ.ট: 'ছুটির দিনে' আপনার একটা লেখা পড়লাম, "আমার বাংলাদেশ" শিরোনাম ছিলো বোধহয়...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে তিথীডোর, মানে .... বুঝতে পেরেছি ...... হাসি

অ.ট. আজ্ঞে হ্যাঁ! 'ছুটির দিনে'-তে ওই লেখাটা এই অধমের-ই ছিলো হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার মন্তব্যগুলো কেমন যেন আমাদের এক অতি পরিচিত ব্লগারের মত হয়ে যাচ্ছে, ভালো থাকুন, হাত-পা খুলে ধুমায় লিখতে থাকুন।

আর হুড ফেলা রিকশায় বসে আপ্নে পূর্ণিমা কিভাবে দেখলেন? রাস্তায় তো বাতি জ্বলে। বাতি যদি নাও জ্বলে, রিকশায় বসলে আমার শুধু রিকশাওয়ালার কষ্টের কথাই মনে পড়ে। পূর্ণিমা দেখার কথা মাথায় আসে না, অন্য কার আসতে পারে, সেটাও এতদিন আমার মাথায় আসে নাই, আপনে নতুন দৃষ্টিতে ব্যাপারটা দেখাইলেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষ আপনে, জানিনা কোথায় বড় হয়েছেন, ঢাকায় থাকলে প্রকৃতি দেখতে হলে কম করেও রমনা বা সোহরোয়ার্দী বা বোটানিক্যাল গার্ডেন এ যেতে হয়, তার কোনটাই প্রকৃত জঙ্গল না। এখানে কিন্তু সেটা খুব সহজেই করা যায়। আমার বাসার ঠিক পিছনে গভীর জঙ্গল। বরং ঢাকা শহর এখন কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। দম নিতে হলে শহর থেকে বের হতে হয়।

আর ওয়াইল্ড স্কোপ দাদার সাথে একমত, এখানে কণা খাতুনের গানটা একদম অপ্রাসঙ্গিক, বরং যে বরফে ভিজে আপনে মহা আনন্দ লাভ করলেন, তার কিছু দেন, দেখে শান্তি পাই। বরফ আমার ভালোই লাগে, যতক্ষন না সেটা বাইরে থাকে আর আমি ভিতরে, বাসা বা গাড়ি যাই হোক না কেন।

পরবর্তী পর্বে আশাকরি আরো বড় করে লিখবেন, কিছু ছবি যোগ করবেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

হা হা - সাইব্বাই - সব জায়গায় দলছুটের গন্ধ পান: তবে এরে মনেহয় আলবার্টাবাসীরা চেনে হাসি
auto

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ তাহসিন,

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

রাস্তায় বাতি জ্বলুক আর না-ই জ্বলুক, আমি রাতে রিক্সায় উঠলে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। রিক্সাওয়ালার কষ্টের কথা অবশ্য তখন মনে পড়তো না হাসি

আমার শৈশব আর কৈশোর ঢাকায় কাটেনি।

ছবি দিতে ভয় পাই; এতো সুন্দর-সুন্দর ছবি সচলায়তনে আসে যে, নিজের তোলা তুচ্ছ ছবিগুলো দিতে সাহস হয় না হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনাকে আরেকজন ভাবার জন্যে আমি লজ্জিত। আর আপনার ছবি ভালো খারাপ যেমনই হোক, দিয়ে দেন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইফ তাহসিন,

অনেক-অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ব্যাপার না ভাই। ভুল বোঝা-বুঝি হতেই পারে। লজ্জা পাবার কিছু নাই। আমরা-আমরাই তো! হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।