এক প্রবাসী বাংলাদেশীর দিনলিপি [১ম পর্ব]

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৩/০৪/২০১০ - ৮:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্ত বিহঙ্গ

[শুরুতে কিছু কথাঃ মহান লেখকেরা তাঁদের জীবনের সাধারণ ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত চমৎকার বর্ণনার মাধ্যমে অসাধারণ করে তোলেন । সেগুলো পড়ে মনে হয়, “আহ ! তাঁদের জীবনটা কত বৈচিত্রময় !” অপরদিকে আমার মত নগণ্য ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে যেসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে যায়, তা সুন্দর বর্ণনার অভাবে অতি সাধারণ-ই থেকে যায় ।

অনেক সাহস করে নিজের জীবনের কিছু ঘটনা লিপিবদ্ধ করবার একটা প্রয়াস নিলাম; কতটুকু পারবো জানিনা । আমি বিখ্যাত কোন ব্যক্তি নই, ভবিষ্যতে হবার কোন সম্ভাবনাও নেই । তাই এটা কখনো বই আকারে বের হবেনা; কোন পাঠক সেই বই পড়ে কোনদিন বলবে না, “আহ ! তাঁর জীবনটা কত বৈচিত্রময় ছিল ! ”

ফেইসবুকে আমার এক প্রবাসী বন্ধুর শেয়ার করা একটা গান শুনছিলাম । অনেক বছর আগে শোনা এই গানের প্রথম চারটি লাইন হঠাৎ করে মাথায় ঢুকে গেলো !

“এই দূর পরবাসে তারাগুলি আকাশে আকাশে
কাটে নিঃসঙ্গ রাত্রিগুলো,
মাঝে মাঝে স্বপ্নের বেশে স্মৃতিরা এসে
আমাকে করে যায় বড় বেশি এলোমেলো….”
[http://www.youtube.com/watch?v=PwUlZY12ymQ]

লিখতে বসে গেলাম । দেখা যাক, কতদুর এগোতে পারি !]

আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের বেশিরভাগ সময় যেটা স্বপ্ন দেখেছি, ঘটেছে তার বিপরীত । তবে সৌভাগ্যক্রমে সেই বিপরীত ঘটনাগুলো কখনোই জীবনের প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠেনি কখনোই ।

ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবো । এই স্বপ্নের পিছনে পারিবারিক কারণ ছিল । বড় দুই ভাইদের একজন কৃষিবিদ এবং অপরজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হবার পর পরিবারের ছোট ছেলেটি ডাক্তার হবে, এই আশাই ছিল সবার মনে । আমিও কল্পনা করতাম, সাদা এপ্রন পড়ে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছি, সব রোগি আমাকে দেবতার মত ভালোবাসছে এবং শ্রদ্ধা করছে । অপারেশনের মত জটিল একটা কাজ খুব সহজেই করে রোগিদের সারিয়ে দিচ্ছি । স্বপ্নটা ভেঙে গেল ক্লাস নাইনের বায়োলজি বই পড়ে । বুঝলাম, এই স্বপ্ন আমার জন্য সত্যি হবার নয় !

সেইসময় গণিত বিষয়টির প্রতি একটা নেশা তৈরি হলো, বিশেষ করে ‘ত্রিকোণমিতি’ আর ‘জ্যামিতি’ । নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম, গণিতের শিক্ষক হবো । কল্পনায় সবসময় চিন্তা করি, আমি ঢাকা ভার্সিটিতে গণিতের ক্লাস নিচ্ছি । মাথা ঘুরিয়ে দেবার মত বিশাল-বিশাল ইকুয়েশন গুলো নিমিশের মধ্যে সলভ করে দিচ্ছি । ক্লাসভর্তি ছাত্র-ছাত্রী অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । ক্যাম্পাসে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর সালামের জবাব দিতে-দিতে আমি ক্লান্ত ! স্বপ্ন ছিল, গণিতের একটা বই লিখবো । এই বিষয়ে যাদের অপরিসীম ভীতি, তারা এই বইটা পড়ে মনে করবে, গণিত তো এই পৃথিবীর সবচাইতে সহজ সাবজেক্ট ! শেষ পর্যন্ত এই স্বপ্নটাও পূরণ হয় নি !

বিদেশে যাবার প্রতি আমার বিশেষ ধরণের এলার্জি ছিলো সারাজীবন-ই । স্বপ্ন দেখতাম, বুয়েট (BUET) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে সরকারি চাকরি করবো – পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা বিসিএস ক্যাডারে । নয়টা-পাঁচটা অফিস করবো, সাপ্তাহিক ছুটিতে বাসায় ঘুমাবো । ঈদ সহ অন্যান্য ছুটিতে সবার জন্য গিফট নিয়ে দেশের বাড়ি বেড়াতে যাবো । ঝামেলা বিহীন সুখী জীবন ! এই নিয়ে ‘দৈনিক প্রথম আলো’-র ক্যারিয়ার পাতায় ‘কেন সরকারি চাকরি করতে চাই’-শিরোনামের একটা জনমত জরিপের রিপোর্টে কয়েকটা যুক্তি উল্লেখ করলাম । বুয়েটে আমার যেসব ক্লাসমেটরা ফার্স্ট ইয়ার থেকেই বিদেশ-বিদেশ বলে পাগল ছিলো, তাদের সবসময় ক্ষেপাতাম । আমার নিজের মেজো ভাই যখন বুয়েট (BUET) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে কানাডায় পাড়ি জমালো, তখন বাসায় মা কে বলতাম, “এই যে আপনার ছেলেটা চলে গেল, এ কিন্তু আর কোনদিন-ও দেশে ফিরবে না !” আমার কথায় মা কষ্ট পেতেন, আর এটা ভেবে স্বান্তনা পেতেন, অন্ততঃ তাঁর আদরের ছোট ছেলেটা তাঁকে ছেড়ে কখনো বিদেশে চলে যাবে না । মায়ের এই স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে তাঁকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিয়ে আমি বি. এস. সি. পাশ করবার ছয় মাসের মাথায় কানাডায় চলে আসলাম !

[ইচ্ছা ছিল, ১ম পর্বে প্রবাসের কোন ঘটনা দিয়ে শুরু করবো । কিন্তু লেখা শুরু করবার পর দেখলাম, বাংলাদেশ থেকে বের হতে পারছিনা ! আগামী পর্বে ইনশা-আল্লাহ চেষ্টা করবো ।]

Edmonton City,
এপ্রিল ৩, ২০১০
রাত চার টা ।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এত অনিচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কেন কানাডা গেলেন বললেন না!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

সেটা আরেকটা ঘটনা, ভবিষ্যতে বলবো ইনশা-আল্লাহ !!

মুক্ত বিহঙ্গ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটা মনে হল পুরো লেখার একটা আউটলাইন। আরেকটু বিস্তারিত করলে পড়তে আগ্রহ থাকবে। আরেকটা অনুরোধ-- দাড়ি বা আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দেয়ার আগে কোন ভাবেই যেন স্পেস না দেন। স্পেস দিবেন দাড়ির পরে। যেমন--

এখানে দাড়ির আগে স্পেস দিয়েছি । এটা ভুল।
এখানে দাড়ির আগে স্পেস দেইনি। এটা সঠিক, পড়তে আরাম, লাইন ভাঙবেনা। শব্দ মচকাবে না। আরো অনেক সুবিধা আছে। হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অনেকের কাছে লাইনের শেষে দাড়ির অবস্থান বেশী কাছে মনে হয়। অরূপের করা প্রথম প্রোটোটাইপ বাংলা কিবোর্ড স্ক্রীপ্টটা দাড়ির আগে আগে একটা স্পেস দিতো। পরে আমরা আলোচনা করে ঠিক করলাম যে কিবোর্ড লেআউটে ফরম্যাটিং ঢুকানো ঠিক হবে না।

তবে আপনার অবজার্ভেশন ঠিকাছে। যে কোন ভাষায় পূর্ণ যতিচ্ছেদের আগে কোন স্পেস থাকে না, থাকে অব্যবহিত পরে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক,

"অনেকের কাছে লাইনের শেষে দাড়ির অবস্থান বেশী কাছে মনে হয়।" - মাহবুব মুর্শেদের এই কথাটা ঠিক! আমার ক্ষেত্রেও এই ঘটনাটাই ঘটেছে। স্পেস না দিয়ে দাড়ি দিলে 'আ'-কার এর মত মনে হয়!

অনেক ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য; মেনে চলবার চেষ্টা করবো এখন থেকে ইনশা-আল্লাহ্ হাসি

নাশতারান এর ছবি


আমি এক্কেবারে ছোটবেলায় নার্স হতে চাইতাম। কারণ সে বয়স পর্যন্ত কোন মেয়ে ডাক্তার আমি দেখি নি। আমার ধারণা ছিলো ছেলেরা ডাক্তার হয় আর মেয়েরা হয় নার্স। একটু বড় হওয়ার পর যখন ভুল ভাঙলো, তখন আমিও ডাক্তার হতে চাইলাম। কেন, তা নিজেও জানি না। হয়তো সবাই ভালো বলে দেখেই। এরপর পাইলট হতে চেয়েছিলাম। চোখে ভারী চশমা ওঠার পর সেটাও ভেস্তে গেছে। বড় হতে হতে এরপর অনেক দফা স্বপ্ন বদল হয়েছে। এবং শেষমেষ যে ঘাটের স্বপ্ন কখনো দেখি নি সে ঘাটেই তরী ভিড়িয়েছি। আমার মনে হয় পেশাবিষয়ক স্বপ্নগুলো অধিকাংশই কল্পনানির্ভর। চুলোয় ঝাঁপ দেয়ার পর আমরা বাস্তবতার উত্তাপটুকু উপলব্ধি করি।


ইউটিউবের লিঙ্কে গিয়ে দেখুন হাতের ডান পাশে এমবেড লিঙ্ক আছে। ওটা এখানে দিয়ে দিলে ভিডিওটা সরাসরি এখানেই দেখা যেতো।


বুয়েটের পাশে ব্র্যাকেটে BUET কেন লিখছেন ?


আপনার শহরের নামটি বাংলায় লিখলে ভালো লাগতো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি


শুনে ভালো লাগলো হাসি


অনেক-অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্য! এটাই খুঁজছিলাম! হাসি


বাংলার পাশে ইংরেজী নাম লিখেছি confusion এড়ানোর জন্য। কারণ, দেশে এখন প্রায় এক-ই উচ্চারণে কয়েকটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আছে। [যেমন, 'ব' এর নিচে একটা ছোট্ট ফোটা দিলেই 'র' দিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে যায়]


আমার কাছে মনে হয়েছিল, 'এডমন্টন সিটি' লেখার চাইতে 'Edmonton City'-টাই বেশি সুন্দর দেখায়। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

নাশতারান এর ছবি

যতদূর জানি, সচলায়তনে ইংরেজি হরফে লেখালিখি নিরুৎসাহিত করা হয়। তাই ঠেকায় না পড়লে ও পথ না মাড়ানোই শ্রেয়। বুয়েট নিয়ে ভাববেন না। এ নিয়ে কনফিউজড হওয়ার সুযোগ কম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বুনোহাঁস,

"সচলায়তনে ইংরেজি হরফে লেখালিখি নিরুৎসাহিত করা হয়" - তথ্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ; তাহলে আজ থেকে শুধুই বাংলা হাসি

"বুয়েট নিয়ে ভাববেন না। এ নিয়ে কনফিউজড হওয়ার সুযোগ কম।" - সাহস যখন দিলেন, তখন আর কোন চিন্তা নেই হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

কাকুল কায়েশ এর ছবি

বেশ ভাল একটা সিরিজের সূচনা হল মনে হচ্ছে! লেখার স্টাইলটা বেশ ভাল লাগল।
পিপিদা ও বুনোহাঁসের মন্তব্যগুলা মাথায় রেখে পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিবেন এই আশা করছি।

=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

কাকুল কায়েশ,

খুব খুশি হলাম লেখা ভালো লেগেছে শুনে হাসি

আপনার আশা পূর্ণ করবার সর্বাত্বক চেষ্টা করবো।

মুক্ত বিহঙ্গ

তিথীডোর এর ছবি

১) গণিত আমার চারচোখের বিষ! রেগে টং

২) রোগী
বৈচিত্র্যময়
সান্ত্বনা
নিমেষ

৩) "ছুটির সকালে" লেখার ধাঁচ আরো ঝরঝরে ছিলো, এটায় প্রথমাংশ একটু রাশভারী ঠেকলো!

৪) পরের পর্ব জলদি চাই! হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

তিথীডোর,

১) নাহ ! আমার গণিতের শিক্ষক হওয়াই উচিত ছিল; তাহলে হয়তো গণিত আপনার 'চারচোখের মধু' হত !! দেঁতো হাসি

২) আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ এই উপকারের জন্য। এর আগে বুনোহাঁস এই উপকার করতেন; এবার থেকে আপনিও আমার কৃতজ্ঞতা পাবার খাতায় নাম লিখালেন হাসি

৩) 'রাশভারী' ব্যাপারটা বোধ-হয় নির্ঘুম রাত-এর কারণে ! ['নাঁচতে না জানলে উঠান বাঁকা'-র মত একটা অজুহাত দিলাম আর কি! দেঁতো হাসি ]

৪) আ.........সি.........তে.........ছে ....... হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

নাশতারান এর ছবি

নাঁচতে > নাচতে দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

"নাচতে" দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

এহ-হে-রে !!!

আবার ভুল করেছি :'-(

তবে এই যে সুন্দর করে ভুল ধরিয়ে দিলেন, সেই জন্য খুশিতে "হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে......." দেঁতো হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমি ছোটবেলায় যা যা হতে চেয়েছিলাম সেগুলা মোটামুটি এই --
১) বাংলাদেশ টিমের উইকেট কিপার
২) বাংলাদেশ হকি টিমের লেফট ব্যাক
৩) আর্মি অফিসার
৪) ফিল্ম ডিরেক্টর
৫) প্রত্নতাত্ত্বিক
৬) টিভি রিপোর্টার
৭) কূটনৈতিক
৮) গডফাদার
৯) পুলিশ
১০) গায়ক
১১) লিরিসিস্ট
১২) নোবেল লরিয়েট

এইতো...

নাশতারান এর ছবি

১২ নং টা তো আমি এখনো হতে চাই গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

লাবণ্য [অতিথি] এর ছবি

একটা ক্যারিয়ার ক্লাসে ইন্সট্রাক্টর প্রথমদিন জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ থেকে ১০ বছর পর সবাই নিজেকে কি হিসাবে দ্যাখে। তিনি সবার স্বপ্নের কথা জানতে চেয়েছিলেন। একেক জন দাড়িয়ে বলতে লাগল - মাল্টিমিলিয়নার, কর্পোরেট সিইও, astronaut, প্রেসিডেন্ট, ইত্যাদি। আমি দাড়িয়ে বললাম পদার্থবিদ্যায় নোবেল জয়ী। পুরা ক্লাস মনে হয় হোচট খেল। নোবেল জয় যে কার স্বপ্ন হতে পারে, সেটা মনে হয় সাধারণ পশ্চিমারা খুব একটা বুঝে না। এমনকি ইন্সট্রাক্টরও আমাকে প্রশ্ন করল আমি কেন এই স্বপ্ন দেখি, কি যন্ত্রনা!

নাশতারান এর ছবি

একটা গল্প মনে পড়ে গেলো। বুয়েটের মাঝামাঝি সময়ে কোন এক ইলেক্ট্রিক্যাল ডে তে স্যুভেনির বের হবে। পোলাপানের প্রোফাইল জমা নেয়ার দায়িত্ব নিলো আমাদের ক্লাসের এক বিশিষ্ট জ্ঞানপাপী। সে নাম, ঠিকানা, জন্মদিন, শখ ইত্যকার পয়েন্টের শেষে যে পয়েন্টটা দিলো তা হলোঃ বড় হয়ে কী হতে চাই।
বিশ্বাস করুন। একটুও বাড়িয়ে বলছি না।

আমাদের এক বান্ধবী সেখানে লিখেছিলোঃ ডাক্তার হতে চাই।

এর চেয়ে ভালো জবাব আর কী হতে পারে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

ব্যাপারটায় খুব মজা পেলাম - হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মত অবস্থা একেবারে! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

তাসনীম এর ছবি

কারো কারো পক্ষে হয়ত সম্ভব। আমার একবন্ধু বিদেশ থেকে ইলেক্ট্রিক্যালে পাশ করে এসে বাংলাদেশে প্রাইভেট মেডিক্যালে ভর্তি হতে চেয়েছিল। শেষে আদুভাই হওয়ার ভয়ে ক্ষ্যান্ত দেয়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপু, আমি আর আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এখনও কেউ জিগাইলে বলি, 'আমি বড় হয়ে ডাক্তার হবো।' ও আবার অ্যাড করে, 'চর্ম ও যৌন রোগের!' এই নিয়ে যে কত ইতিহাস! ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

সাবিহ ওমর,

বিশা.....ল লিস্ট ! শেষ পর্যন্ত কোনটা হয়েছেন, জানিয়েন হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সচল জাহিদ এর ছবি

যেকোন মানুষের আত্মজীবনী আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি কারন বিশ্বাস করি একেকটা মানুষের জীবন দর্শন একেক রকম, যদিও অনেক কিছু মিলে যায় তারপরও জানার থাকে অনেক কিছু। সেই বিচারে তোমার এই প্রয়াস ভাল লাগলো। ধরে নিচ্ছি এটি তোমার সূচনা তাই ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত পাব সেই বিশ্বাস আছে।

এটা ঠিক যে স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝখানে বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা যায় বিশেষ করে ক্যারিয়ার বিষয়ক চিন্তাভাবনা গুলিতে। এর পেছনে পরিবারের অবদান বা চাপ নিছক কম নয়। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে 'আমি কি হব' তার অনেকটাই নির্ভর করে 'কি হলে আমি ভাল চাকরী পাব' তার উপর। ফলে অধিকাংশ পরিবারেই দেখা যায় সন্তানরা কি হবে তা পরিবার ঠিক করে দেয়। এটি নিয়ে আক্ষেপ করার কিছু নেই, আমিও স্বপ্ন দেখি আমার ছেলেটা এটা হবে উটা হবে, কি হবে তা ভবিষ্যতই বলে দিবে হয়ত।

তোমার লেখায় একটি অসংগতি লক্ষ্য করেছি, কেন গণিতের শিক্ষক হবার স্বপ্ন থেকে সরে গিয়ে তুমি বুয়েটে ভর্তি হলে সেটা উল্লেখ করোনি আশা করি আগামী পর্বে তা জানাবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

"মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে 'আমি কি হব' তার অনেকটাই নির্ভর করে 'কি হলে আমি ভাল চাকরী পাব' তার উপর। ফলে অধিকাংশ পরিবারেই দেখা যায় সন্তানরা কি হবে তা পরিবার ঠিক করে দেয়।" - সম্পূর্ণ একমত !!

"কেন গণিতের শিক্ষক হবার স্বপ্ন থেকে সরে গিয়ে তুমি বুয়েটে ভর্তি হলে" - হয়তো চলে আসবে কোন পর্বে হাসি

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

বৈদেশে উড়াল দেয়ার আগে দেশের কাহিনী শেষ না করাটা ঠিক হবেনা বোধ হয়।

গড়াক গল্পের চাকা... হাসি

মর্ম

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মিঁয়াও হাসি

দেখা যাক কী হয় !

মুক্ত বিহঙ্গ

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

ভাই লিখতে লিখতেই লেখা আরো ভালো হয়ে যাবে, সমালোচনাকে বেশি পার্সোনালি নিয়েন না - চালিয়ে যান চলুক - আছি পরের পরের পর্বগুলির অপেক্ষায় হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

একমত!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ তাহসিন হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ওয়াইল্ড-স্কোপ হাসি

আমি গঠনমূলক সমালোচনা কে সবসময় পছন্দ করি; পার্সোনালি নেই না হাসি

সমালোচনা না পেলে শিখবো কিভাবে বলেন ! হাসি

পরের পর্ব গুলো আসছে .........

মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ববি খুব ভাল লেগেছে লিখাটা।লিখতে লিখতেই একদিন পাকা লেখক হয়ে যাবে।সময় তো তোমার সামনে.....................।।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

অতিথি লেখক এর ছবি

মিতু ভাবী,

অনেক ধন্যবাদ হাসি

"লিখতে লিখতেই একদিন পাকা লেখক হয়ে যাবে" - আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক হাসি

তবে আমার সামনে 'জ্যোতি'-র অভাব ........... দেঁতো হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

বোহেমিয়ান এর ছবি

আমার তো ভালো লাগল , বেশি ভালো লাগল এই কারণে এর আগের বেশ পচা লেখাটা দেবার পর ঘুরে দাঁড়ানো! চলুক চলুক

আপনি কোন ব্যাচ?
কেন কানাডা গেলেন সেইটাও বলে দিয়েন ।

_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতিথি লেখক এর ছবি

বোহেমিয়ান,

অনেক-অনেক ধন্যবাদ হাসি

আমি এইচ. এস. সি. ২০০১ ব্যাচ।

"কেন কানাডা গেলেন"- চলে আসবে কোন লেখায় হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

চেনা পথিক [অতিথি] এর ছবি

ভাইয়া,
লেখাটা এক কথায়, at least আমার কাছে, অসাধারন লেগেছে।
লেখাটা পড়ে আমার নিজের last ক'বছরের আকাশ-কুসুম পরিকল্পনা, তার অবাস্তবায়ন এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগতের বাসিন্দা হওয়ার কথাটা আরো একবার মনের মাঝে ঝালাই করে নিতে পারলাম। আসলেই, মানুষ ভাবে এক, আর করে+ঘটে আর এক...! সুতরাং কোন কিছু নিয়ে দুঃখ পেয়ে বসে থাকার কোন মানে হয় না। বাস্তবকে সামনে রেখে এগিয়ে চলাটাই জীবনের নিয়ম।
সবচেয়ে ভালো লাগছে এটা ভেবে যে অনেক অপেক্ষার পর আপনার "পর্ব " লেখা পড়ার সৌভাগ্য হতে যাচ্ছে.। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল আপনার জন্য এবং আপনার আগামী সব লেখার জন্য। ^_^

অতিথি লেখক এর ছবি

চেনা পথিক,

বরাবরের মত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আবার-ও ধন্যবাদ হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেখা শুরু করার আগেই দেখি কানাডা চলে গেলেন। এখন কেমনে কী হবে! আবার ফিরে আসুন, খানিকটা ফিরতি বোতাম চেপে পেছন থেকে কিছু ঘটনা আমাদের জন্য তুলে দিয়ে যান ভাই। এইটা জনদাবী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুম। আর দেখেন, আমি সেই যে কানাডার প্লেনে উঠলাম, আড়াই বছর পরও নামতে পারলাম না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনি তো দেখি খেলাপি পিপিদা। সিরিজ খেলাপি না, প্লেনের সিট খেলাপি। এতোদিন কেউ সিট দখল করে বসে থাকে? এইটা কি সোহরাওয়ার্দী হল পাইছেন যে আল্লার নাম নিয়া দখল করে রাখবেন?

এইবার প্লেন থেকে নামেন। সরকার বদল হৈছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ফারুক হাসান এর ছবি

পিপিদা একদিন না একদিন প্লেন থেকে নামবেনই, ইনশা-আল্লাহ !!

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক,

অনেক দেরি করে ফেলেছেন ! এবার কিন্তু প্লেন থেকে আপনার নামা দরকার দেঁতো হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুসর গোধূলি,

জনদাবী-র কাছে মাথা নত না করে কোন উপায় নেই! তাই কানাডায় থেকেও ফ্লাশব্যাক-এ বারবার-ই ফিরে আসবো অতীতে হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

রেনেট এর ছবি

কেন জানি না, লেখাটা পড়ে আমার মন খারাপ হলো। লেখা ভালো হয়েছে।
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

রেনেট,

"কেন জানি না, লেখাটা পড়ে আমার মন খারাপ হলো"- শুনে আমার মন টাও খারাপ হয়ে গেলো !

মুক্ত বিহঙ্গ

তাসনীম এর ছবি

শুভ সূচনা। ভালো লেগেছে, কয়েকটা ত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছে কয়েকজন কিন্তু সেগুলো টেকনিক্যাল (বানান ভুলকেও আমি তাই ধরি)। আপনার লেখার ফ্লো ভালো লেগেছে। সূচনা পর্বটা আরেকটু বড় করলেও পারতেন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তাসনীম হাসি

"সূচনা পর্বটা আরেকটু বড় করলেও পারতেন" - বড় করে লিখতে গেলে ভয় লাগে! আমার লেখার যে অবস্থা!! লোকে পড়বে তো!! তাই ছোট-ছোট লিখি; যেন পাঠক পড়তে না চাইলেও মনের ভুলে কিছুক্ষণের মধ্যে পড়ে ফেলে দেঁতো হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমি এখনও বিশ্বাস করি যে বড় হয়ে আমি ডাক্তার হবো। কী মজা! আমিতো এখনও বালিকা! হাসি তবে আমার বোনের ও আমার ইচ্ছা আছে যে যদি আমাদের পরিকল্পনা কাজ না করে তবে আম্রিকা যামু গিয়া [ডাক্তারি পড়তে, ঐখানে যেন কত্তো সোজা! { আমাদের মাথা খ্রাপ, কিন্তু আমরা কামড়াইনা! প্রমিস!} ]

লেখা ভালু লাগলো... প্রতিদিনের একঘেয়েমী কাঁটিয়ে নয়া নয়া মানুষের জীবনে খন্ডিতাংশ পড়ছি, জানছি... মজাই লাগেরে ভাই...তাই চালায় যান তাত্তাড়ি! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুষ্ট বালিকা-র এমন সুন্দর দুষ্ট মন্তব্য আমার এই লেখা প্রকাশের প্রথম চব্বিশ ঘন্টায় না পেয়ে ভাবছিলাম, ঘটনা কী! দুষ্ট বালিকা কী শিষ্ট হয়ে গেলো নাকি! দেঁতো হাসি

[কখনো শিষ্ট হবেন না প্লীজ! কাউকে-কাউকে শিষ্ট হলে আর ভালো লাগেনা!] হাসি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

লেখা চলছে....... হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো, চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নজরুল ইসলাম হাসি

চলছে ....... হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

স্মৃতিচারণ স্মৃতিতেই থাকলে ভালো হতো না?
খামাখা লেখার অর্ধেক জুড়ে একখান ভূমিকার কি খুব দরকার ছিল?

অতিথি লেখক এর ছবি

মাহবুব লীলেন,

একটা ধারাবাহিক লেখা শুরু করবার আগে 'ভূমিকা'-র মাধ্যমে পাঠকদেরকে লেখাটি শুরুর পটভূমি জানানো টা দরকার মনে করেছিলাম।

আমার এই লেখাটি আপনার ভালো লাগেনি; এই কারণে আমি সত্যিই দুঃখিত!

আমি নতুন লেখক। কীভাবে লিখলে আরো ভালো হয়-এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। 'সচলায়তন'-এ আপনাদের মন্তব্য আমার লেখার মান উন্নত করে তুলবে-এই আশা করি। হাসি

অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়বার জন্য।

মুক্ত বিহঙ্গ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লেখা ভালো না লাগার গন্ধ কোত্থেকে আসলো বুঝলাম না

আমি আসোলে আমার কতগুলো দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলছিলাম
যেগুলো আপনি মানতেও পারেন নাও মানতে পারেন

০২

যেকোনো জীবনীই একটা ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন ধাপের কিংবা বাঁকের বর্ণনা
এতে কে বিখ্যাত কে অখ্যাত তার সাথে জীবনীর কোনো সম্পর্ক নেই
আর কেউ বিখ্যাত হলেই যে তার জীবনী ভালো হবে তাও কিন্তু না
বই হিসেবে জীবনী ভালো হয় জীবনের ঘটনাবহুলতার উপর

০৩

আপনার শেষ লাইনটার সাথে প্রথম লাইনের ভূমিকাটা মিলিয়ে দেখেন তো?
শেষ লাইনে এসে বলছেন যা বলতে চাচ্ছিলেন তা বলতে পারেননি
অথচ লেখার অর্ধেক জুড়ে রয়েছে ভূমিকা
ভূমিকা বাদ দিয়ে সরাসরি ঢুকে গেলে বোধহয় আপনার শেষ লাইনটা লিখতে হতো না

০৪

বিনয় বাদ দিলে আপনার জীবনীর জন্য উপরের ভূমিকাটা কতটুকু অনিবার্য?

০৫

এই পুরোটাই আমার চিন্তা
মানা না মানা যেমন আপনার বিষয় তেমনি এই চিন্তার সাথে লেখা ভালো লাগা না লাগারও কোনো সম্পর্ক নেই

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম। দ্বিতীয় পর্ব পড়ি যাই হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অতন্দ্র প্রহরী,

অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়বার জন্য হাসি

মুক্ত বিহঙ্গ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।