সেলিব্রিটিদের ধূমপান ও তার প্রভাব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৪/২০১০ - ১০:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বড় বড় সেলিব্রিটি বা তারকা যাদেরকে আমরা আমাদের আইডল মনে করি, যাদেরকে আমরা অনুকরণ না করলেও অনুসরন করি, তারা সামাজিক সচেতনতামূলক কাজে এগিয়ে আসলে তা অনেক বড় প্রভাব ফেলে। এটি নিঃসন্দেহে সত্য।
এই সেলিব্রিটিরা যদি ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচারনায় এগিয়ে আসে তাহলে তা তরুন সমাজের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে...এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে আমরা ঠিক এর উল্টোটাই দেখতে পাই। এই ধরণের মানুষ গুলো এ কাজে এগিয়ে তো আসেনই না বরং অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই ধূমপায়ী হয়ে থাকেন। তাহলে কিভাবে হবে??? যে পাঠক হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ছে, সে দেখছে তার প্রতিটি চরিত্র গুলোর মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা। হুমায়ুন আহমেদ নিজেও ধূমপানে আসক্ত। তাঁকে প্রায়ই প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়। তাহলে যে পাঠক হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত, সে খুব সহজেই ধূমপানে আসক্ত হবে। আবার জাফর ইকবাল স্যার তো আরও ভয়াবহ কাজ করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ধূমপান করেছেন। এ কথা আমরা একাধিকবার আমরা তাঁর মুখ থেকেই শুনেছি। পরবর্তি সময়ে তিনি ধূমপান ত্যাগ করেছেন। তাহলে আমরা যারা তাঁর ছাত্র বা তাঁকে দূর থেকে দেখছি, তারা তো এটাই চিন্তাই করবে যে কলেজ জীবনে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধূমপান শুরু করে পরবর্তী জীবনে তা ত্যাগ করা যায়। তাহলে শুরু করি-ই না ধূমপান!!! পরে ছেড়ে দেব!!! জাফর ইকবাল স্যার তো তাই-ই করেছেন, আমিও তাই-ই করব। এই মানসিকতা থেকে অনেকেই ধূমপান শুরু করে পরে ছাড়তে তো পারেই না, বরং ধূমপান থেকে তারা জড়িয়ে পড়ে মাদকের দিকে। আর আজ আমাদেরকে মাদক না নেয়ার শপথ করানো হচ্ছে, কিন্তু আমরা চোখের সামনেই আমাদের আইডলদের এভাবে দেখছি। তাহলে কিভাবে আমরা ভালো থাকব???


মন্তব্য

সজারু এর ছবি

হা হা হা হা!!!
এটা একটা রম্য রচনা!!
_________________________

সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র

_________________________

সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার রম্য রচনা মনে হলে রম্য রচনা...আমার কিছু বলার নাই...

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

ইয়ে, মানে...

সাফি এর ছবি

আমরা কেন এটা ভাববো না যে, জাফর স্যার যেহেতু ধূমপান ছেড়েছেন, নিশ্চয়ই খারাপ বলেই ছেড়েছেন?

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

স্বাগতম জনাব। আপনার লিখা পড়ে ডেভিল'স এডভোকেট সাজতে ইচ্ছে হলো।

আপনার লিখা ভ্রান্ত ধারমাতে ভরা, সেটার শুরু প্রথম লাইন থেকে:

"বড় বড় সেলিব্রিটি বা তারকা যাদেরকে আমরা আমাদের আইডল মনে করি"

তাঁদের আইডল মনে করার কোনো কারণ নাই। কাউকে আইডল বানিয়ে তাদের উপর দোষ চড়ানোর দায়টা তো ভক্তের উপরেই বর্তায়। এর আগে জাফর ইকবাল স্যারের নাচানাচি প্রচেষ্টার ভিডিও রিলিজের পর কিছু আইডলেটর বালককে দেখেছি খেপচুরিয়াস হয়ে - জাফর স্যার তাদের বিশ্বাস ভেঙ্গেছে, নিজের ওয়াদা ভেঙ্গেছে, এর জবাব তাঁকে দিতে হবে ইত্যাদি বলতে। ইমেজের বাস ভক্তের মনোজগতে। ভক্তই উহা গড়ে, ভক্তই উহা ভাঙ্গে। এর দায় আইডলের না। ধূমপান বিষয়ক ক্যাম্পেইনিংয়ের দায়ও না।

আর ধূমপান কেন বর্জন করতে হবে সেইটা নিয়া দুই কথা বললে ভালো হইতে।

ডেভিল'স এডভোকেটগিরি শেষ। হাসি

চালায়া যান। আরেকটু বিস্তারিত লিখেন।

সুরঞ্জনা এর ছবি

ধ্রুব বর্ণনের সাথে সহমত।
ধূমপানের বাজে দিক গুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা করাটাই বেশি কাজে দেবে। একটা বয়সে ধূমপানের চার্ম অন্য কারো দেখা দেখি তৈরী হয় ঠিক, তবে সেটা বেশিরভাগই বন্ধু-বান্ধব বা আরো পাড়াতো বড় ভাই দের কল্যাণে।

প্রথমেই সমালোচনা পেয়ে লেখা ছেড়ে দেবেন না কিন্তু, সমালোচনা গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকাও ব্লগে লেখালিখির অংশ। ভড়কাবেন না আশা করি। আরো লিখুন।
হাসি
.................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

নাশতারান এর ছবি

অন্ধভক্তি খারাপ জিনিস। কাউকে আইডল মেনে তাঁর প্রতিটা আচরণকে আদর্শ মনে করার দরকার নেই। আপনি বরং উনাদের বোঝান যে ধূমপান তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

[ অনুসরন > অনুসরণ, তরুন > তরুণ, কিভাবে > কীভাবে, পরবর্তি > পরবর্তী ]

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নিদ্রালু [অতিথি] এর ছবি

থিওরি! মোতাবেগ হুমায়ুন আহমেদের ভক্তরা বুড়োবয়সে লাইন দিয়ে হাটুর সমান মেয়ে বিয়ে করা শুরু করেদিলেও দিতে পারে কি বলেন?

আসলেই কি এটা রম্য রচনা আছিল নাকি?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নামহীন অতিথি, কি লিখলেন, পড়ে দেখেছেন? ধুমপান মদ্যপান আরো যত পান আছে, সবই একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, এরমাঝে আপনে নাক গলাইতেছেন কেন? লেখাটা আমার কাছে বেশ আপত্তিকর লাগল, ২ জন পরিচিত মানুষকে ঘিরে শুধু শুধু গ্যাঞ্জাম লাগানোর অপচেষ্টা মনে হল।

যারা ডিটেকটিভ থ্রিলার লেখেন, তাদের অনুসরন করতে গিয়ে কি আপনে খুন করা শুরু করবেন? কোন ঠিক বেঠিক সেটা তো আর হুমা বা জাফর ইকবাল ঠিক করে দিবেন না। একইভাবে রেসলিং এর কোন চরিত্র ভালো লাগলে কি কেউ রাস্তায় অর্ধনগ্ন হয়ে বের হয়ে আসেন?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ধুমপান মদ্যপান আরো যত পান আছে, সবই একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার

সঠিক বলেছেন সাইফ ভাই, এই কথাটা মুখের ভিতর লুকিয়ে ছিল, আপনি পেড়ে দিলেন হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

তারপরও হুমায়ুন আহমেদ বা জাফর ইকবাল স্যার যদি কোন সমাজ সচেতনতামূলক কাজে এগিয়ে আসেন তাহলে মানুষ যতটা সাড়া দিবে, আমি বা আপনি ওই কাজে গেলে ততটা সাড়া পাব না।এটা খুবই সত্যি কথা। তাই তাদের উচিত তাদের এই ইমেজটাকে ব্যবহার করে ভালো কিছু কাজ করা।

জি.এম.তানিম এর ছবি

ধূমপানটা ঠিক ব্যক্তিগত থাকে না। কারণ ধূমপানের সময় আশেপাশের লোকেরাও আক্রান্ত হয়। আর আমাদের আশেপাশে প্রকাশ্যে ধূমপায়ীর সংখ্যাই বেশি, খুব কম মানুষই ভদ্রতাবশতঃ আড়াল খোঁজেন।

সেলিব্রিটিরা আসলে দেবতা নন, দোষেগুণে মানুষ। তাই তাদের সব কাজ ন্যায়শাস্ত্রসম্মত হবে এটাও সব সময় আশা করা ঠিক না। তবে ব্যাপার হলো সাধারণ মানুষ তো রাম-শ্যাম-যদু-মধুকে অনুকরণ করে না, সেলিব্রিটিদের করে। তাই কোন সেলিব্রিটি যদি এটা মনে রেখে নিজের কাজগুলো করেন, সেটা বাহবা পাওয়ার মতো। কিন্তু কেউ না করতে চাইলে আর কী করা?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অতিথি লেখক এর ছবি

সেলিব্রেটিদের আইডল না ভেবে ,ভাল-মন্দ বিচার করে তাদের গুন গুলো গ্রহন করে, দোষ গুলো ত্যাগ করা উচিত আমাদের।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

১ দিলাম। এই পোস্ট মডারেশন ডিঙাইলো কেমনে?

------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

স্পর্শ এর ছবি

এই পোস্ট মডারেশন ডিঙাইলো কেমনে?

আজকাল প্রায়ই অতিথি লেখকদের লেখায় অনেককে মডারেশন নিয়ে এরকম প্রশ্ন করতে দেখি। এটা এইভাবে এখানে করার অর্থ আমার কাছে 'অনর্থক রুডনেস' মনে হয়।
মডারেশন নিয়ে প্রশ্ন থাকলে 'কন্ট্যাক্ট@সচলায়তন.কম' এ মেইল করুন।

আর তারা দাগানো এবং 'লেখার' সমালোচনা করার অধিকার সব সচলেরই আছে, তার প্রয়োগ ঠিক আছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিক আছে। এর্পর তাই করবো। হাসি

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমেই আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এই লেখাটা পড়ার জন্য।
সচলায়তনে এটি আমার প্রথম লেখা...
আপনাদের সবার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল। এটি পুরোপুরি আমার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা। আমি বিষয়টাকে এভাবেই চিন্তা করেছি...এভাবেই লিখেছি...এর সাথে আপনাদের ভাবনা জানতে পেরে খুব ভালো লাগল...ধন্যবাদ সবাইকে...

সংসপ্তক এর ছবি

একেবারেই বালখিল্য কথাবার্তা। আমি ধূমপান করবো না যোগব্যায়াম করবো এইটা আর কারো বিষয় কিভাবে হয়?
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

স্পর্শ এর ছবি

আপনি যোগব্যাম করেন নাকি ডনবৈঠক দেন সেটা আপনার ব্যাপার হতেই পারে। কিন্তু আপনি ধুমপান করলে অনেক সময়ই সেটা অন্যের ব্যাপার হয়ে যায়। তাই হুঠ করে '...খিল্য' মন্তব্য করার আগে চিন্তা ভাবনা করবেন।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

ধুমপান একটা চরম বিরক্তিকর অভ্যাস। এবং এই বদ অভ্যাস নিয়ে যারা গর্ব করে তারা ছাগুরাম সুলভ

সচলায়তনে স্বাগতম। লেখাটা আরো গোছানো হতে পারতো। পরেরগুলো হবে নিশ্চই। লিখতে থাকুন হাতখুলে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ধুমপান একটা চরম বিরক্তিকর অভ্যাস

ধূমপান বিরক্তিকর অভ্যাস কি অর্থে? মদ্যপান কি বিরক্তিকর? একটা অভ্যাস বিরক্তিকর হয় কিভাবে? বোঝার চেষ্টা করি। আমার অভ্যাস আমার। আরেকজনের কাছে তা বিরক্তিকর হতে পারে, আমার কাছে হতে পারে না। ফলে আপনি ধূমপায়ী হলে এটা আপনার কাছে বিরক্তিকর হতে পারে কিভাবে বোঝার চেষ্টা করছি।

তবে আপনি ধূমপায়ী না হলে ধূমপান আপনার কাছে বিরক্তিকর হতে পারে। এটা ধূমপানের সবচেয়ে বড় খারাপ দিক। অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি হয় ধূমপানে। এবং এটা চরম বিরক্তিকর। আমি ধূমপান করছি না অথচ অন্যে আমার নাকের ডগায় করছে। সম্ভবত এই অর্থেই বলেছেন।

তবে, আইডিয়াল এনভারনমেন্ট চিন্তা করি, যেখানে ধূমপায়ী বদ্ধ ঘরে কেবল ধূমপান করে, অন্য কারো ক্ষতি না করে। সেক্ষেত্রে ধূমপায়ী তার অভ্যাসের জন্য গর্ব যদি করে, তাইলে কিন্তু সে ছাগল না হাসি, কি বলেন?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ধূমপান একটা কু-অভ্যাস। বড়াই না করে ছাড়লেই ভালু। চোখ টিপি

----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ছাইড়া তো দিছি চার বছর আগেই, কমপ্লিটলি। এগুলো সবোই করতাছি ডেভিল'স এডভোকেটগিরি চোখ টিপি

বাট, আমার কুতর্ক কইতেছে, নিজের ফুসফুসের ক্ষতির বিনিময়ে কেউ যদি কিছু মানসিক শান্তি নিজ দায়িত্বে কিনতে চাই, সেইটা তো একান্তই তার নিজস্ব ইচ্ছা। এইটার কুধীনতা তার অবশ্যই আছে হাসি

স্পর্শ এর ছবি

মজা পেয়েছি। দেঁতো হাসি

আসেন আমরা 'কুধীনতা' নিয়ে আলোচনা করি। আপনি যে যৌক্তিক স্ট্রাকচারটা দাঁড়া করালেন সে স্ট্রাকচারে দাঁড়িয়ে যদি আমি বলি, "আমি আমার বাসায় বসে প্রতি উইকেন্ডে অল্পমাত্রায় কোকেইন সেবন করি। এই কুধীনতা আমার আছে। কারণ এতে আমার কিছুটা শারীরিক ক্ষতি স্বত্তেও মনোদৈহইক শান্তি হয়। এবং এতে অন্য কারো ক্ষতি হয় না।"

তাহলে ব্যাপারটা 'যৌক্তিকও' থাকে, এই যুক্তি খণ্ডন করাও মুশকিল হয়ে যায়। তবুও একথা শুনে কারো 'বিরক্তির উদ্রেগ' কিন্তু হতেই পারে।
চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

মাইনষের কুধীনতার উপর বিরক্তি প্রকাশের প্রতিকুধীনতাতো থাকতেই হইবো দেঁতো হাসি

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

স্পর্শ আপনাকে ধন্যবাদ মনের কথাগুলো বলে যাবার জন্য।

ভারতে শাহরুখ খান জন রোশে পড়েছিলো স্রেফ বিড়ি হাতে ছবি তোলার জন্য। শেন ওয়ার্নের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিলো এক সংস্থা চুক্তি ভেঙ্গে প্রকাশ্যে ধূমপান করার জন্য। কারণ আইডলদের অনুসরণ করা হয়।

এদিকে আমাদের শিক্ষিত সমাজ বলছেন ধূমপান, মদ্যপান তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার!!!!!!! রাস্তায় বের হয়ে মুখভর্তি ধোঁয়া অন্যদের মুখের উপর ছেড়ে দেয়াটাও বোধহয় ব্যাক্তিগত ব্যাপার। পরিবেশ দূষণটাও নিতান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার কারণ পরিবেশতো সবার!!!

জাফর স্যার সম্পর্কে করা লেখকের চিন্তার সাথে আমিও সহমত পোষণ করি না। তাই বলে ধূমপান আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার হয়ে যায় না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আমি নিজে একজন ধূমপায়ী।কিন্তু এইটা ঠিকই মানি ধূমপান মোটেই ব্যাক্তিগত ব্যাপার নয়।তাই চেষ্টা করি, অধূমপায়ীদের আড়ালে সিগারেট টানতে।
তবে লেখকের পোস্টে আমার বিরক্তি উদ্রেক হয়েছে।আপনি যদি সেলিব্রেটিদের ধূমপানের বিরোধিতা করতেই এই লেখা লিখে থাকেন, তাহলে আরও দু'এক জনের কথা বলতে পারতেন । শুধুমাত্র হু.আ এবং জা.ই কেই কেন হাইলাইট করলেন???

>>>আইজুদ্দিন<<<

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।