পল টিবেটস এবং প্রথম আলো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৮/২০১০ - ৮:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পল টিবেটস, ২য় বিশ্ব যুদ্ধে প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপকারী বিমানের চালক ছিলেন (মোটামুটি আমারা সবাই কমবেশী এই তথ্যটি জানি)। পাইলট পল টিবেটস বিমান থেকে বোমা ফেলার কয়েক সেকেন্ড পর হিরোশিমার যে কল্পনাতীত ভয়ংকর দৃশ্য অবলোকন করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি উন্মাদে পরিণত হন এবং অকালমৃত্যু তাঁকে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। এই অসাধরণ তথ্যটুকু খুব সম্ভবত অনেকই জানতেন না! আমিও জানতাম না। জানলাম প্রথম আলোর সৌজন্যে। গতকাল রাতে প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে খোলা কলম বিভাগে জনাব এম এম খালেকুজ্জামান আমাদের এই তথ্যটি জানালেন!

খবরটা পড়েই উইকিতে একটু গুতা দিতেই দেখি এই মহান(!) পাইলটের এর জন্ম ১৯১৫ সালে আর মৃত্যু ২০০৭ সালে। মানে ৯২ বছর বেঁচেছিলেন। আরও কত বছর বাঁচলে তার স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটতো তা আমার মোটা মাথার উপর দিয়ে চলে গেল।

এম এম খা. অবশ্য আরও জানালেন যে তিনি(পল টিবেটস) বোমার ভয়বহতা ("কল্পনাতীত ভয়ংকর দৃশ্য") দেখে পরে উন্মাদে পরিণত হন! তাহলে পি.টি'ই দুনিয়ার একমাত্র বিরল উন্মাদ যিনি ব্রি:জেনারেল হিসাবে পরবর্তীতে অবসর গ্রহণ করেন!

এস এম খা. এর আরেক অমৃত বচন "তাঁকে এ যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেয়" (ছোট্ট চন্দ্রবিন্দুটি কিন্তু বেশ সুন্দর লাগছে!)। তাহলে ইউটিউবে পাওয়া এই ভিডিও সাক্ষাতকারটি খুব সম্ভবত পি.টির লুক এলাইকের দেওয়া।

আর গার্ডিয়ান পত্রিকার নেওয়া সাক্ষাৎকারটি নিশ্চয়ই কাল্পনিক!

যা হোক প্রথম আলোতে নিবন্ধিত হয়ে উইকির লিংকটা দিয়ে লিখেছিলাম যে এস এম খা.-র পি.টি. সংক্রান্ত তথ্যটি সঠিক নয়। আজ আজ আবার চেক করলাম। নাহ্ আমার কোন মন্তব্য যোগ করা হয়নি। তার মানে এস এম খা.-ই সঠিক!

আসুন আমার সবাই মিলে মহান পাইলট পল টিবেটস এর অকালপ্রয়াণ স্মরণ করে শোকসভা করি!



তারাপ কোয়াস


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

প্রথমালু দিঙ্কেদিন একটা স্বয়ংক্রিয় আবর্জনা উদগীরণ মেশিন হতে চলেছে। যত্রতত্র বিনা অনুশোচনায়, বিনা উস্কানিতে এবং মগজহীনতায় পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে নব নবতর আবর্জনার----

এদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আপনি আর কী আশা করতে পারেন?
বিষয়টা নজরে নিয়ে আসার জন্যে ধন্যবাদ।

হিমু এর ছবি

দ্বীন মোহাম্মদের মাই নেম ইজ খানের রিভিউ আর শাহাদুজ্জামানের ঈস্টার দ্বীপের মতো অবস্থা।

দ্বীন মোহাম্মদ সাহেবের বেছে নেয়া শব্দে বললে, একে বলে মূর্খতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্নিগ্ধা এর ছবি

ওরে বাবারে! রাগ হওয়ার বদলে দেখি হাসি পাচ্ছে খালি খালি! নাহ, লজ্জা ঘৃণা ভয় - তিন থাকতে নয় ...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনিকেতদা অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য এবং আমাকে তুমি করে বললেই বাধিত হব(এই সুযোগে আরেকবার ঋণ স্বীকার করি, আপনার লেখা "হাবিব-ফুয়াদ-অর্নব আর আমরা" সুত্র ধরেই সচলায়তনের সাথে আমার পরিচয় তা না হলে কিছু অসাধরণ প্রতিভাধর এবং যুক্তিবাদী মনমানসিকতার বাঙ্গালীদের পরিচয় পেতাম না। )

দেশের খবরের কাগজ মাঝে মধ্যে পড়লে এখনো প্রথম আলোর সাইটেই ঢু মারি কারণ এটা ছিল আমার সর্বশেষ প্রিয় পত্রিকা(ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ তারপর ভোরের কাগজ প্রিয় প্রত্রিকার তালিকা থেকে বাতিল হবার পর)। প্রিয় প্রত্রিকার টাইটেল থেকে প্রথম আলোও বাদ পড়লো কার্টুনিষ্ট আরিফের ঘটনার পর। কিন্তু তারপরও(হয়তো এখনও) চাই প্রথম আলো তার আগের রুপে ফিরে আসুক। এ কারণেই কিনা এই পত্রিকায় কোন ভুল সংবাদ বা পক্ষপাতিত্তমূলক সংবাদ পড়লে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আপনার কথার সুত্র ধরেই বলতে চাই এরা প্রতিনিয়ত নিজেদর মান নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতমের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

আবারো অনিকেতদা আপানাকে অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।



তারাপ কোয়াস

অতিথি লেখক এর ছবি

(সচলায়তনের প্রিয় মানুষদের প্রায় সবাইকে একসাথে পেয়ে খানিকটা ঝিম মেরে ছিলাম! যাইহোক, ঝিমভাব কাটিয়ে উঠার পর আবার লিখছি হাসি )
হিমু ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। মুর্শেদ ভাইয়ের লেখাটি পড়ে ব্যাপক বিনোদন পেয়েছিলাম, তবে আপানার ঈষ্টার দ্বীপ নিয়ে লেখাটি আগে পাইনি(রাত গভীর হওয়ায় মন্তব্য আর দীর্ঘ করতে পারলাম না মন খারাপ )
ভালো থাকবেন হিমু ভাই।


তারাপ কোয়াস

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি স্নিগ্ধাপা অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।



তারাপ কোয়াস

দ্রোহী এর ছবি

যা কিছু ভালু তার সাথে প্রথম আলু।

বুড়ো বয়সের পল টিবেটস্ এর একটি সাক্ষাৎকার টেলিভিশনে দেখেছিলাম বছর দুয়েক আগে। মনে হয় হিস্ট্রি চ্যানেলে। মনে হয় অকাল মৃত্যুর পর পল টিবেটস-এর বুড়ো ভুত এসে সাক্ষাৎকার দিয়েছিল। হো হো হো


কি মাঝি, ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্রোহীদা কয়েকদিন পরে লিখতে হবে প্রথম আলো, একটি নাম নয় ইতিহাস! দেঁতো হাসি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দ্রোহীদা, ভাল থাকবেন।



তারাপ কোয়াস

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বিনোদন
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বাবুবাংলা এর ছবি

বাজারের মুখরোচক গাল-গল্পে এমন কত নাটকীয়তা যুক্ত করা থাকেই।
চাঁদে কি যেন এক দ্বিখন্ডিত রেখা দেখে নীল আমস্টং এর ইসলাম ধর্মগ্রহন, ভুপেন হাযারিকা কিংবা ফকির আলমগীরের গান ব্যান হয়ে যাওয়া- নানা ঘটনার সাথে ইত্যাদি কত আজাইরা নাটকিয়তা যুক্ত করার প্রয়াস অতীতে আপনিও নিশ্চয়ই দেখছেন বা শুনেছেন। এটাও তেমনি এক বাজাইরা গল্পের তথ্য লিখার মধ্যে চালাইয়া দেয়ার কাহিনী।

লেখকের দোষটা এই যে তিনি মুখরোচক বাজাইরা গল্প সত্যা-সত্য অনুসন্ধান না করেই লিখে দিয়েছেন।আর সেটা তার লিখার আবেগের সাথে ভালোই মিলেছে বলতে হয়। তবে এই ভুয়া গল্পটা তো আর অন্তত লেখকের মুল বক্তব্য না। আর পত্রিকাওয়ালাদের ভুল হলো তারা লিখার মাঝখান দিয়ে মেরে দেয়া এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করার কথা হয়তো ভেবে দেখেন নাই। আপনার প্রতিবাদ ছাপা হয় নাই- এটা নিশ্চয়ই অন্যায়। ওয়েব সাইটের পাঠক মন্তব্যের বিষয়টা পত্রিকা ওয়ালারা চিঠিপত্র কলামের মতো গুরুত্বের সাথে নেয় বলে মনে হয়না। নানা পাঠকের হাবিজাবি মন্তব্যের মান দেখে আপনিও ইতোমধ্যে নিশ্চয়ই সেটা জানেন। তাই আপনার এই গুরুত্বপুর্ন মন্তব্য পোস্ট না হয়ার পিছেন কোন সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তের চাইতে বোধকরি কোন অলস ওয়েবমাস্টারের দায়িত্বহীনতাই বেশী দায়ী।

আপনি একটা মারাত্নক ভুল ধরে ফেলেছেন। তবে লিখার শিরোনাম দেখে প্রথম আলোর আপরাধ যত গুরুতর ভাছিলাম, বিস্তারিত পড়ে আর ঘটনাটা আর শিরোনামের মতো অত গুরুতর মনে হইলো না।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দ্রোহী এর ছবি

বাবুবাংলা লিখেছেন:
আপনি একটা মারাত্নক ভুল ধরে ফেলেছেন। তবে লিখার শিরোনাম দেখে প্রথম আলোর আপরাধ যত গুরুতর ভাছিলাম, বিস্তারিত পড়ে আর ঘটনাটা আর শিরোনামের মতো অত গুরুতর মনে হইলো না।

লেখার শিরোনামটা খুবই নিরীহ ধরনের "পল টিবেটস এবং প্রথম আলো"। ঠিক কী কারণে শিরোনামটা আপনার কাছে গুরুতর মনে হল?

একটি প্রথম শ্রেনীর পত্রিকায় মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এটা বোঝেন নিশ্চয়ই। তাহলে ঠিক কী কারণে আপনি তাদের বেনিফিট অব ডাউট দিতে চাইছেন?

আশা করছি সবকিছু আপনার মাপ মত গুরুতর হওয়া বাঞ্ছনীয় না।


কি মাঝি, ডরাইলা?

বাবুবাংলা এর ছবি

ভুলতথ্যটা মূল রচনার গুরুত্বপুর্ন অংশ ছিল না।
এটা একটা ভুল, মনগড়া সংবাদের পর্যায়ে পড়ে না।
এই জাতীয় শিরোনামের ক্ষেত্রে আমার আমি সাধারনতঃ সংশ্লিস্ট পত্রিকার সচেতন সিদ্ধান্ত কিংবা নীতিগত দৃস্টিভঙ্গি ঘটিত কোন বিষয় আশা করি। সেই জন্যই ব্যাপারটা গুরুতর লাগে নাই। মন্তব্যটা আমার- এটা কেবল আমার দৃস্টিভঙ্গিটাই প্রকাশ করে। আর সকলের মাপ মতো সেটা হতে হবে কিংবা অন্যদের সেই দৃস্টিভঙ্গি মেনে চলতে হবে- এমন কথা তো বলি নাই। সেমাইয়ের বাটি দেইখা সেমাই খাইতে আসছিলাম, খাইতে গিয়া আমার স্বাদের মাপে একটু কম মিস্টি লাগছে, তাই সিম্পলি বললাম- মিস্টি একটু কম হইছে। এখন চিনি বেশী দেয়া হবে কি হবে না- সেটা পুরোটাই খালাম্মার এখতিয়ার।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দ্রোহী এর ছবি

ভাই বাবু,

খালাম্মা চিনির বদলে লবন দিয়া সেমাই রানছে। তাও আপনার খাইতে তেমন খারাপ লাগল না কেন সেইটাই জানতে চাইছিলাম!

ইতিহাস বিকৃতি আপনার দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কী না জানলে বাধিত হতাম। যদি মনে করেন ইতিহাস বিকৃতি শাস্তিমূলক অপরাধ তাহলে দয়া করে বলবেন খালেকুজ্জামান সাহেব কি অপরাধী নাকি নিরপরাধ?


কি মাঝি, ডরাইলা?

স্তব্ধ এর ছবি

আরও আছে এরকম আলু নিউজকাহিনি। একদিন "আসছে নতুন ১০০ ডলারের নোট" শিরোনামে একটি রিপোর্টে বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিনকে "আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট" বলে উল্লেখ করা হয়েছিলো। আমি ফোন করায় ইনটারন্যাশনাল ডেস্কের এক সাংবাদিক আমি জেনেশুনে বলছি কিনা তা জিজ্ঞেস করেছিলেন।

সেই নিউজের লিঙ্ক

শামীম এর ছবি

পুরা প্রথম আলো-ই রসালো হয়ে যাচ্ছে দেখি!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আলো থেকে আলু হলো, এরপর কি হবে?? প্রথম হালুম?? ভাই, আপনি তো শুধু ফিচারের কথা বললেন। এরা কিছুদিন পরপর নির্দিষ্ট একটা পেশাশ্রেনী টার্গেট করে লেখালেখি শুরু করে। বিশ্বস্ত সুত্রে প্রকাশ আর নিজস্ব সংবাদদাতা জানিয়েছেন বলে বিচিত্র সব নিউজ ছাপায়। দুর্ভাগ্যক্রমে কয়েকটা নিউজের আশেপাশে আমি ছিলাম, অভ্রের মেহদী ছিল। তাই জিনিষটা বিশ্বাস করি। এখনো পত্রিকা পড়ি। পড়ার পর কোন খবরই পুরোটা বিশ্বাস করিনা। শুধু বিশ্বাস করি ওইরম কিছু একটা হইছে। পত্রিকাটার কি যে হইল!!!!!!!!

জাহামজেদ [অতিথি] এর ছবি

যা কিছু ভালু তার সাথে প্রথম আলু, ছোট আলু, বড় আলু, গোল আলু !!!

প্রথম আলুর ফানতাসা কাহিনী পইড়া সারাদেশটাই একদিন এভাবে আলুময় হয়ে যাবে।

জাহামজেদ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কী বলবো... বলেই ফেলি, 'বদলে যাও, বদলে দাও।'

_________________________________________

সেরিওজা

হাসিব এর ছবি

এইটা শুধু প্রথম আলোর বিষয় না। আবার এইটা সাম্প্রতিক প্রবণতা সেইটা বললেও ভুল হবে। সাংবাদিকেরা কোনকালেই পড়ালেখা করতো না বাংলাদেশে। এখনও করেনা। আগে পড়ে তারপর লেখা হলো পড়ালেখা। আগিলা যুগের সাথে এখনকার পার্থক্য হলো আগে এই আবর্জনাগুলোই মানুষ সত্য মনে করে পড়তো, আর এখন ইন্টারনেটের যুগে মানুষ এই ভুলগুলো ধরতে পারে। ব্লগ আসার পর দুষ্টু লোকেরা এইসব নিয়ে দুকলাম লিখেও ফেলে।

বাউলিয়ানা এর ছবি

বিশ্বব্যাপী অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে এরা কিভাবে এসব ভুল করে আমার জানতে খুব ইচ্ছা করে। যেকোনো সঠিক তথ্য চাইলে পাওয়া যাবে না এমন কেইসতো খুব বিরল।

আজিব!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দেশের সর্বাধিক প্রচারিত আবর্জনা প্রথমালু...
(অবশ্য প্রথমালু ভালো কিছু যে দেয় না তাও নয়...)

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ অনিন্দ্য রহমান, স্তব্ধ, শামীম ভাই, অতিথি লেখক, জাহামজেদ, সুহান রিজওয়ান, হাসিব ভাই, বাউলিয়ানা, মুর্শেদ ভাইকে। ভালো থাকবেন।

বাবুবাংলা আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। দ্রোহীদা মূল কথাটি ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন তার সাথে আমি আমার দৃষ্টি ভঙ্গিটাও ব্যাখ্যা করি। তার আগে গার্ডিয়ান পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষৎকার থেকে কয়েকটা লাইন তুলে দেই(লিংক আমার লেখায় পাবেন)

"ST: Do you ever have any second thoughts about the bomb?

PT: Second thoughts? No. Studs, look. Number one, I got into the air corps.........."

ST: One last thing, when you hear people say, "Let's nuke 'em," "Let's nuke these people," what do you think?

PT: Oh, I wouldn't hesitate if I had the choice. I'd wipe 'em out. You're gonna kill innocent people at the same time, but we've never fought a damn war anywhere in the world where they didn't kill innocent people. If the newspapers would just cut out the shit: "You've killed so many civilians." That's their tough luck for being there."
এই মনমানসিকতার একজনকে যখন প্রথম আলোর মত পত্রিকা উল্লেখ করে যে তার কৃতকর্মের জন্য তিনি উন্মাদ হয়ে অকাল মৃত্যু বরণ করেছেন তখন আমার মনে হয় এটা একটা গুরতর অপরাধ।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ



তারাপ কোয়াস

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পল টিবেটের বিকল্প কী করার ছিলো? সে তো আজ্ঞাবহ ছিল মাত্র, তাই নয় কি? পল টিবেন না করলেও অন্য কেউ করতো। সে তো মেশিনের মতো কাজ করেছে। মেশিন যারা অপারেট করে সমস্যা সেখানে।

তবে পরবর্তীতে পল টিবেটের কোন রিমোর্স দেখা যায় না। প্রথম আলোর কলামিস্ট মনে হয় সেটা ধরতে পারেন নি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ব্যাপারটা এতো স্ট্রেইট নয় পিপিদা। ঠান্ডা মাথায় হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলতে হলে মিরর নিউরন সেইরকম ফাকড আপ হতে হয়। এই কাজে জড়িতরা সম্ভবতঃ সেইরকমই ছিলেন। অথচ তাকে একেবারে মহৎ বানিয়ে দিলেন প্রথমালুর এই লেখক।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্লগের অত্যাচারে এসব কলামিস্টের দৌড় সীমিত হয়ে যাবে।

পত্রিকার হায়ারার্কি জানিনা, এই কলাম এডিট করার কথা কার? নাকি কলামিস্ট যা দেয় সেটা হুবহু ছাপা হয়? প্রথম আলো সহ পত্রিকাগুলোর সাংবাদিকদের আসলে প্রশিক্ষণ দরকার। কাজ করতে করতে এরা মনে হয় কাজ শেখে। সেজন্যই এই অবস্থা।

হিমু এর ছবি

প্রথম আলোর প্রোডাকশন কস্ট শুনেছি ২৮ টাকার মতো [যদিও মূল্য ৮ টাকা, বাকিটা বিজ্ঞাপন থেকে আসে]। ২৮ পাতার পত্রিকার প্রোডাকশন কস্ট ২৮ টাকা হলে, এক পাতার মূল্য এক টাকা। এই আর্টিকেল এক পাতার চার ভাগের এক ভাগ জুড়ে আছে, কাজেই এর মূল্য ২৫ পয়সা। প্রথম আলোর সার্কুলেশন নাকি চার লাখের ঘরে। কাজেই এই ভুল তথ্যক্লিষ্ট লেখাটির জন্যে খরচ হয়েছে মোট এক লক্ষ টাকা।

এক লক্ষ টাকা খরচের আর্টিকেলগুলো একটু দেখে শুনে ছাপানোই উচিত। সবার ইন্টারনেট নেই। গ্রামে বা মফস্বলে যারা পত্রিকা পড়ে বাইরের বিশ্ব সম্পর্কে জানে, তারা একটা ভুল তথ্য জেনে সামনে এগোবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

তানভীর এর ছবি

কলামে ভাষাগত বিষয় ছাড়া আর তেমন কিছু মনে হয় এডিট হয় না। তথ্যের ব্যাপারে কলাম লেখকের ওপর আস্থা রাখা হয়। অনেক সময় অবশ্য ভাষাগত পরিমার্জনের কারণে তথ্য ওলট-পালট হয়ে যায়। পল টিবেটসের ব্যাপারে এখানে আলুর দোষের চাইতে আসলে খালেকুজ্জামান মূলত দায়ী; যদিও হাতের কাছে গুগল থাকতে সম্পাদকের আরো খাইট্টা খাওয়া উচিত।

সাবিহ ওমর এর ছবি

ব্যাপারটা এতো স্ট্রেইট নয় পিপিদা। ঠান্ডা মাথায় হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলতে হলে মিরর নিউরন সেইরকম ফাকড আপ হতে হয়।

কিন্তু নিউরন সিগনালের সেরকম ফাকড আপ হয়ে যাওয়া কি খুব কঠিন? যারা হিরোশিমায় বোম ফেলেছে, তারা কিন্তু মানুষ মারে নাই, জাপানি মেরেছে। তাও আবার বোমটা কোন মানুষের মাথায় না, একটা 'হস্টাইল টার্গেটে' ফেলা হয়েছে। এখন আপনাকে একটা স্পঞ্জের সেন্ডেল দিয়ে যদি বলা হয় ঐখানে ১০-১২ টা তেলাপোকা আছে, মেরে দিয়ে আসো, আপনি খুশিমনে, চোখের পাত্তি না ফেলে মেরে দিয়ে আসবেন। কখনো ভাববেন না, আহা! এই তেলাপোকাটা মাত্র জ্বর থেকে উঠলো, ঐ তেলাপোকিটা মাত্র ডিম ছাড়লো। যুদ্ধ-টুদ্ধেও সেরকম মানুষ কখনো ভাবে না ঐপাশের লোকটার একটা 'লাইফ' আছে-- পরিবার-পরিজন, বাচ্চাকাচ্চা, জমিজমার সমস্যা, সর্দিকাশি, পেটব্যাথা, বদহজম সব আছে। মানুষ খালি ভাবে ওটা দুশমন, ওটাকে খতম করতে হবে। অনেকটা জেনোফোবিয়ার মত ব্যাপার। ফাকড আপ জেনোফোবিয়া। এটার জন্যই 'মানুষ' মারা এত সহজ।

অতিথি লেখক এর ছবি

মামারে... নীল আর্মস্ট্রং ও নাকি চান্দের মাটিতে পাও রাইখাই আজানের শব্দ শুনছিলেন আর পেয়ারা নবী যে মাজেজা দেখাইতে গিয়া দুইভাগ কইরা চান্দের ১২টা বাজাইছিলেন, সেই ফাটলও দেইখা আসছেন আর দুনিয়ায় ফিরাই কলমা পইড়া ইমান আইনা সাচ্চা মুসলমান হইয়া গেছিলেন!

--- থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও একটা মন্তব্য করে এলাম, তবে মনে হয় না আমার মন্তব্যও প্রকাশিত হবে!

--- থাবা বাবা!

রাগিব এর ছবি

বাংলাদেশের পত্রিকার এই দশা নিয়ে আমরা উইকিতে আলোচনা করেছি। পত্রিকার বা তার সাপ্লিমেন্টের লেখাকে আস্তে আস্তে উইকিতে রেফারেন্স হিসাবে বাদ দেয়ার প্রস্তাব চলছে।

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

সাবিহ ওমর এর ছবি

আজকে ফেসবুকে দেখলাম কুরানে বর্ণিত আ'দ সম্প্রদায়ের সত্তর ফিট লম্বা মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গেছে মাটির নিচে। কিন্তু সৌদি সরকার (কি উদ্দেশ্যে কে জানে) সেটা আর্মি দিয়ে ঘেরাও দিয়ে রেখেছে বলে কোন সাম্বাদিক সেখানে যেতে পারছে না।

কে একজন কমেন্টে খালি ছোট্ট করে লিখেছিল "ফটোশপড", আর তাতেই তাকে নাস্তিক-টাস্তিক বলে গাল খেতে হল। সে দেখি আবার মিনমিন করে বলে, "আমি আসলে গুগলে চেক করেছিলাম।" তখন দেখি আমাদের আস্তিক ব্রো চেইতা গিয়া বলে, "গুগলে কি সব পাওয়া যায়? নীল আর্মস্ট্রং যে চান্দে গিয়া মুসল্মান হয়ে গেসিলো, সেটা কি গুগলে আছে?" নাস্তিক ব্রো দেখি চুপ, এরকম কঠিন যুক্তির পর আর কিছু বলার থাকে?

তাই বলি ভাইসকল, ইয়াহুদি-নাসারাদের অপপ্রচারে কান দেবেন না। পল টিবেটস অতি অবশ্যই বোম ফেলার পর হাউমাউ করে কান্নাকাটি করেছিল এবং দুই মাস পরে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে তিব্বত চলে গিয়েছিল (তার লাস্টনেমই প্রমাণ)। থোকচুম গুম্ফায় গেলে এখনো তার ডেডবডি দেখা যায়। এখনো তার কঙ্কাল থেকে নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন বেরোয়। আর মাঘী পূর্ণিমায় তার অশান্ত আত্মা হিরোশিমার বাতাসে উড়ে উড়ে কান্নাকাটি করে। জাপানি সরকার এটা ধামাচাপা দিতে চাইলে কী হবে, আপনি নাগাসাকি গিয়ে একটা দুধের বাচ্চাকে জিগ্যেস করলেও সে বলে দিতে পারবে...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

http://www.answering-islam.org/Hoaxes/neil.html

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সাবিহ ওমর এর ছবি

ছিহ ভাই এইসব ইয়াহুদি-নাসারাদের লিঙ্ক দিয়েন নাতো...

টিউলিপ এর ছবি

আরে কি যে বলো না, আমাদের ভার্সিটিতে একটা আস্ত সেন্টরের কঙ্কাল আছে, আর মানুষের কঙ্কাল কোনো ব্যাপার হলো?
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

হিমু এর ছবি

আমাদের আরবান লিজেণ্ডগুলোর একটা তালিকা করা যায় না?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সাবিহ ওমর এর ছবি

রাগিব ভাইকে বলেন একটা উইকি আর্টিকেল বানায় ফেলতে খাইছে

মূর্তালা রামাত এর ছবি

প্রথম আলোর মাথা দিনদিন দেহি খারাপ হইয়া যাইতেছে!!!

মূর্তালা রামাত

তিথি এর ছবি

মনে হয় গুলিয়ে গেছে। হয়তো এটা পল টিবেটস না, সঙ্গে যিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি, কো-পাইলট রবার্ট এ লিউইস। এই ভদ্রলোক খুব শকড হয়েছিলেন। (এনাকে নিয়ে অনেক বাংলা রেডিওনাটকও শুনেছি প্রি-গুগল যুগের ব্যাপার সেসব, আর অল্প তথ্য আসতে থাকা যুগে বাঙালি আবেগ মিশলে কী হয় সে আর না বলাই ভালো, বাইরের কেউ শুনলে বলবে কী! )
তবে অকালমৃত এনাকেও বলা যায় না, গুগলে দেখলাম বছর ষাটেকের বেশী জীবিত ছিলেন। তবে মনোকষ্টে থাকতে পারেন, সেকথা কে বা জানে!
আসলে ব্যাপারটা হলো মানবজাতি আসলে যাই হোক, ভাবতে ভালোবাসে সে ন্যায়পরায়ণ, দয়াশীল, প্রেমময় করুণাময় জাতি। তাই নিষ্ঠুর ব্যপার বাধ্য হয়ে করলেও খুবই কষ্টে করে আরকি।
কী আর বলবো! ভাগ্য ভালো ভালকানের মি. স্পক কোনো বাঙালিকে দ্যাখে নি। দেখলে কাজে রিজাইন দিয়ে চলে যেত।

হিমু এর ছবি
সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

ইনারা এক পাইলট নিয়ে ক্ষেপে উঠলেন??

বোমার ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাই আগে থেকেই অবহিত ছিলে
ন। রবার্ট অপেনহাইমারের একটা বিখ্যাত আফসোসই আছে "I have become death, the destroyer of things" বলে; নিউ মেক্সিকোর মরুভুমিতে ট্রিনিটি প্রজেক্ট এর প্রথম সফল বিস্ফোরণ দেখার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এই প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত সবাই নিশ্চিত ছিলেন এই ভেবে যে তারা যদি কিছু না করেন তাহলে হিটলারের মতো উন্মাদ পুরো পৃথিবীকে হুমকির মুখে ফেলবে।

আগ্রহীরা "The day after trinity" এবং কিছুটা সম্পর্কিত "The Trial of J Robert Oppenheimer" দেখে নিতে পারেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।