উড়তি পথে

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: সোম, ৩০/০৮/২০১০ - ১:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবেগের খুচরা ব্যাপার গুলো সেরে ঢু্কলাম জিয়া, অধুনা হাসিনা এয়ারপোর্টে। বেকায়দায় পড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত পচিঁশ পার্সেন্ট বেশি ভাড়া দিয়ে ইত্তিহাদের টিকেট কিনেছি, তাই ভাড়া উসুল করার জন্য ব্যাকপ্যাকে প্রায় দ্বিগুন জিনিস ভরে এনেছি। কিন্তু ব্যাটারা পিশাচ, বাড়তি ওজন নিতে দেবেইনা, শেষ পর্যন্ত হাজার চারেক টাকা বাড়তি দিয়ে রফা করলাম। বাঙ্গালীর ছেলে, বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে আসা চিড়া-গুড়তো আর কয়টা টাকার জন্য ফেলে দিতে পারিনা।

এবার ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাড়াব। গত পাঁচ বছরে শদুয়েক ইংরেজি মুভি দেখেছি, এর মাঝে এয়ারপোর্টে হিরো-হিরোইনদের কত ক্রাইসিস ই তো দেখা হয়েছে, কিন্তু কোথাও ইমিগ্রেশন নিয়া কেউ কিছু দেখায়না। কারণটা বুঝলাম একটু পরেই। এত কষ্ট দেখে যেন কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে না ফেলে, এইজন্যই এই সতর্কতা। অনেক গুলা কাউন্টার, বাংলাদেশি আমজনতা, বাংলাদেশি অভিজাত (ফার্স্ট ক্লাস), বিদেশি হরেক রকম ব্যবস্থা। আমি দাড়াই আমার যোগ্যতা অনুসারে আমজনতার লাইনে। আমার লাইনে প্রায় সবাই আবুধাবী যাবে, অনেকে কোন এয়ারলাইন্সে যাবে তাও জানেনা, ভাব অনেকটা আমার দালাল (সম্মান দিয়ে বললে এজেন্ট) সব জানে। আধাঘন্টা দাড়ানোর পর যখন দুইহাত এগোতে পারলাম, তখন নিজেরে একটু প্রমোশন দিয়ে অভিজাতদের লাইনেই নিয়ে গেলাম। কিছু বললে দেখে সবাইকে বলে দেবে, এমন চেনা লোক তো আর ভেতরে নাই। আরো একঘন্টা পর আমার পালা আসে, আমি যথাসম্ভব নিরীহ চেহারা করে ইমিগ্রেশন পুলিশের সামনে দাড়াই, ব্যাগ খুলে পাসপোর্ট আর I20 এগিয় দেই। কিন্তু ভবি ভুলেনা, সে চায় অফার লেটার, I20 নামে কোন জিনিস আছে, সেটা সে বিশ্বাস করতে রাজীনা। ভাগ্যিস একটা ফটোকপি কি মনে করে নিয়ে এসেছিলাম। অফিসার আমাকে তুমি করে বলছিল। ভাবলাম বয়স্ক লোক, আমারে ছোট মনে করে বলতেছে। ভুল ভাঙ্গে একটু পরেই, যখন আমার চেয়ে ও বয়সে বড় একজনকে ওই তুই... করে বলে। আর মনে মনে বলি মানীর মান আল্লাহ বাচাইছে।

এরপরে কিছু আনুষ্ঠানিকতা(অনুষ্ঠানের সাথে আনন্দের কোন বাধ্যতামূলক সংযোগ নেই ) সেরে ওয়েটিং রূমে বসে থাকি। পাশে বসা এক ছেলে ইংরেজিতে কথা বলতে থাকে আমার সাথে, আমি মনে মনে চিৎকার দিয়ে ওঠি, “ওরে অন্তত প্লেনে উঠতে দে, এরপর ভাষাটা বদলা”। নির্ধারিত সময়ের প্রায় বিশ মিনিট পরে প্লেনে উঠতে অনুরোধ করা হয়। সবাই রিলিফের লাইনের মত প্লেনের দিকে এগোতে থাকে। প্লেনে উঠে দেখি, লোকাল বাসের চেয়ে ও বাজে অবস্থা, গিজগিজ করছ মানুষ। আমি ঝুলে থাকার জন্য উপরে কোন হ্যান্ডেল আছে কিনা তার খোঁজ নেই, নাই দেখে কিছুটা স্বস্তি আসে। দেশে থাকতে ছোট খাট যেমন চাকরি ই করতাম, ভীড়ের জন্য বাসে প্রায় উঠতামইনা। রিকশা, সিএনজি আর টাকায় না কুলালে হন্টন। কিন্তু নিয়তিকে এড়াবে কে!

জানালার পাশে সিট। অনেক পরিকল্পনা করা ছিল, জানালা দিয়ে বাংলাদেশকে ভালভাবে দেখব। এমন ও ভাবছিলাম পুরো ম্যাপটা হয়তো দেখা হয়ে যাবে। শুরূটা খারাপ হয়নি, সুতার মত নদী, ফার্মভীলের মত শহর-গ্রাম-জনপদ দেখে মুগ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে গেলাম কিছুক্ষণ। তারপর মেঘের উপরে প্লেন উঠে গেলে আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে আসতে থাকে বাংলাদেশ। আর তখনি বুঝতে পারি, আমি দেশ ছেড়ে আসতে চাইনি। হয়তো কখনো বুঝিনি আমি আসলে কি চাই, গতানুগতিক সাফল্যের ট্রেইল ধরে দৌড়াতে গিয়ে একসময় যখন পেছনের পথ প্রায় মুছে গিয়েছে, তখন সব হাহাকার পিছনে ফেলে আসা ঘরের জন্য। জানালা বন্ধ করে, কম্বল টেনে নিয়ে সবকিছু থেকে লুকানোর একটা চেষ্টা করে গেলাম।

আমার ধারণা ছিল (মূলত ইংরেজী সিনেমা দেখে), প্লেনের সীটগুলা অনেক আরামদায়ক হবে, ঘুমাতে ইচ্ছা করলে সীটকে প্রায় বিছানার মত করে ফেলা যায়। কিন্তু এখানে হাটু ঠেকে যায় সামনের সীটে। সত্যি বলতে কি, ভলবো বাসে এরচেয়ে বেশি আরামে বসা যায়। কিন্তু কিছু করার নাই, “ওই মিয়া বাস থামান, আপনার গাড়িতে যামুনা ” বলেতো আর নেমে পড়া যায়না। তাই প্লেটোর “…উপভোগ করা শ্রেয়” বাণী মেনে মুভি দেখার চেষ্টা করলাম একটু পরপর। সামনে পরীক্ষা নেই, এই অবস্থায় কেন জানি মুভি ঠিক জমেনা। ব্রেকফাস্ট এল একটু পরে, খাবার দেখে ভয়ে গা একটু শিওরে উঠল। টিকেট করে দিয়েছে এক পরিচিত দাদা, উনি আবার গোড়া হিন্দু। তাই খাবারের প্রেফারেন্সে উনি আমাকে না বলেই হিন্দু মীল দিয়ে দিয়েছেন, উনি তো আর জানেননা আমার গাড়ি অনেক আগেই লাইন হারিয়েছে। উনি হয়ত আমার খাবারে শুধু গরূর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নিজের অজান্তে উনি সমস্ত প্রাণীকূলের জন্যই আমার খাবারকে “No Entry Zone” এ পরিণত করেছেন। আশংকা সত্যি হয় যখন লাঞ্চে ও কোন প্রাণিজ আমিষ চোখে পড়েনা। আধপেটা খেয়ে বসে থাকি। আমি নাহয় কিছু মানিনা, কিন্তু আমার বাবা-মা তো অন্তত কোনটা খাওয়া যাবে, কোনটা যাবেনা তা নিয়ে বিস্তর জ্ঞান ধরেন। তাহলে হিন্দুরা যে খালি নিরামিষ খায় সেটা কেন জানতে পারলামনা, এটা ভেবে তাজ্জব বনে যাই। ইউএসএ এসে অবশ্য জ্ঞানচক্ষু খুলে গেছে, প্রায় সব ইন্ডিয়ান(আমার সাথে যাদের পরিচয় হয়েছে) ই হয় ভেজি না হয় প্রায়-ভেজি। রহস্যের জট খুলে গেছে ঠিকই, তবে বড় দেরীতে।

পাঁচঘন্টার মত উড়ে পৌছাই আবুধাবীতে। এয়ারপোর্ট খারাপ না, চলন্ত সিড়ি ধরে যেকোন দিকে চলে যাওয়া যায়। কোন গেটে যেতে হবে পুরা বুঝতে না পেরে, প্লেনে থাকা দুই বন্ধুর সাথে এগোই সামনে। এদের একজন তার হ্যান্ড লাগেজে ৫ কেজির মত বেশি ওজন নিযে এসেছে, কিন্তু তাকে কেউ কিছু বলেনি। রেট্রোস্পেক্টে নিজের পুরূষ জন্মকে ধিক্কার দেই। এবার সামনে সিকিউরিটি চেকিং। সাথে যা আছে সব মেশিনের মধ্য দিয়ে পাস করে, নিজে এগোই গেট দিয়ে। গেটের অন্য পাশে এক রোবট দাঁড়ানো আছে, যার শব্দ ভান্ডারে শুধু দুইটি শব্দই আছে, “Go Back”। প্রথম আংগুল দেখায় আমার কেডসের দিকে, খুলে মেশিনে পাচার করে দেই। এবার ঢুকতে গেলে আবারো “Go Back”, আর আংগুল কোমরের বেল্টের দিকে। আমি দ্রৌপদীর মত ত্রস্তে শ্রীকৃষ্ণের শরণ চাই। গায়ে সবমিলিয়ে চারটি বস্ত্র খন্ড, আর চারবার “Go Back” শুনলে বিদেশ বিভূঁইয়ে ইজ্জত হারাই। ডাকার মত ডাকতে জানলে নাস্তিকের ডাক ও ঈশ্বর শুনেন, তাই এই যাত্রায় আমার আর কিছু খুলতে হয়না।

এরপর কোন গেটে যেতে হবে তার তালাশ মিলে ডিসপ্লে দেখে। হাসিখুশি একলোক বন্ধুর মত জিজ্ঞেস করে, “তুমি কম্পিউটার ইঞ্জিনীয়ার?”, আমি যথোচিত ভাব নিয়ে হ্যা বলি। সে তখন উচ্ছ্বসিত হয়ে বলতে থাকে “ওহ ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার!”। হায় কত মহাকাশ যান আমরা শুন্যে পাঠালাম, কত সূক্ষ অস্ত্রোপচার করলাম, আর লোকে কিনা আমাদেরকে চিনবে ফেসবুক আর ম্যাসেঞ্জার দিয়ে! বেশিক্ষণ দুঃখ করা গেলনা, কারণ আবারো সিকিউরিটি চেক। এবারের লোকগুলো একটু সভ্য, কথাবার্তা ও বলতে পারে। কিন্তু ওদের সমস্যা অন্য জায়গায়, একটা পেপার ওয়েট দেখে অনেক সন্দেহে পড়ে গেছে, আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করছিল, এটা দিয়ে কি হয়। আমি বার কয়েক পেপার ওয়েট, সেটা কি বস্তু বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে একসময় হাল ছেড়ে দিয়ে বড় রেস্টুরেন্টে টীপস দেয়ার মত ভাব নিয়ে বললাম, “কীপ ইট”।

এবার কানেক্টিং ফ্লাইট শিকাগো পর্যন্ত। এবার প্লেন ছাড়ে দেড় ঘন্টা দেড়িতে। পরে অবশ্য “জোরে টেনে” অনেকটা পুষিয়ে দিয়েছে। আমি বুঝতে পারিনা এরা কেন বেশি ভাড়া নেয়, ট্যাক্সির ওয়েটিং পিরিয়ডের মত ভাড়া এডজাস্ট করে কিনা কে জানে। যাইহোক, প্লেন ছাড়ে। পাশের সীটটা খালি ছিল, ভাবলাম দুইসীট নিয়ে একটা জবরদস্ত ঘুম দেই। কিন্তু পাশে এসে বসে এক সিরিয়ান ছেলে। খুবই মাইডিয়ার টাইপ, একটু পর পর বাড়ি থেকে নিয়ে আসা চকলেট সাধে। আমি বেশিক্ষণ না করতে পারিনা, আর ছেলের ধৈর্য্যের ও কমতি নাই, তাই দুয়েক টুকরা চকলেট নেই। প্রকৃতি ডাক দেয়, আমি সাড়া দিতে গিয়ে আর তাকে খুঁজে পাইনা। অনেক বুদ্ধি খরচ করে ল্যাভেটরি লেখা দরজা ঠেলতে তার সন্ধান মিলে। তবে ল্যাভেটরির যে সাইজ, কিছু মুভিতে ওই যায়গায় যে কিসব দুষ্টু মিষ্টি দৃশ্য দেখায়, তা পুরোই অসম্ভব বলে মনে হল আমার কাছে।

মিঠুদা হিন্দু মিলের মত মেল কেবিন ক্রু টাইপ কোন প্রেফারেন্স দিয়ে রেখেছিল কিনা জানিনা, কিন্তু আমার সারিতে খালি ধাড়ি বিমানবালক রাই আসছিল। কাহাতক সহ্য হয়! আবারো লাঞ্চ সার্ভ করা হয়, লাঞ্চ ই বলতে হচ্ছে, কারণ শিকাগো পৌছার আগ পর্যন্ত একবারের জন্য ও দিনের আলো মলিন হতে দেখিনি। এবার আর না পেরে, “ভাই, আমারে একডা মুরগীর ঠ্যাং দেন” বলে কাতর অনুনয় করি। কিন্তু ব্যাটা অ্যা্রাবিয়ান ইংলিশে যা জানায়, তার সারমর্ম হচ্ছে, প্লেনে খাবারের প্যাকেজ প্রি প্ল্যান্ড এবং সীমিত। তাই এই যাত্রায় মোটামুটি না খেয়েই বাকি পথটা পাড়ি দিতে হয়। মনে মনে আমার ভোকাবুলারি উজার করে গালি দেই, আর আফসোস করি স্টকে আরো কয়টা গালি কেন জমা নাই, এই কয়ডা গালি দিয়া কি আর ঝাল মিটানো যায়! এক আরব বাচ্চা, আর এক ইউরোপিয়ান(অথবা অ্যামেরিকান) বাচ্চা কান্না জুড়ে দেয় আগে পরে। একটা জিনিস ই শিখার মত ছিল, কান্নার ভাষা সব মহাদেশে একই।

শিকাগো নেমে আবারো ইমিগ্রেশন। ইংরেজীতে সুবিধা হচ্ছে, তুই-তুমি-আপনি এসবের বালাই নেই। তাই এবার আমাকে বলা ইউ এর অনুবাদ আপনি ধরে নিয়ে দেশের তুমির সাথে একটা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। প্রায় পচিঁশ ঘন্টা দেশ ছেড়েছি, তাই বাড়িতে ফোন করা দরকার। জীবনে কয়েন ফোন ব্যবহার করিনি, তাও না হয় চেষ্টা করে দেখলাম। কিন্তু সমস্যা হল, সাথে কোন কয়েন নিয়ে আসিনি। দেশের স্টাইলে, একটা পানির বোতল কিনে দশ ডলার ভাংগালাম। দাম হল তিন ডলার, হিসাব করে দেখলাম, দেশে হলে এই টাকা দিয়ে ডুবে মরার মত পানি কিনতে পারতাম। নিজেকে মনে মনে বললাম “ওয়েলকাম টু আমেরিকা”। এরপর এমেরিকান ঈগলের কানেকশন ধরে রলের(Raleigh) পথে। ইত্তিহাদের তুলনায় এই প্লেনের সাইজ একরত্তি, কিন্তু দুই সারিতে দুইজন করে চারজন এক লাইনে, তাই অনেক শান্তি লাগল। তারপর একঘুমে রলে। আমাকে নিতে আসার কথা ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়রের, লাগেজ সেকশনে গিয়ে দেখি সে ছোট একটা কাগজে আমার নাম লিখে সেটা হাতে ধরে দেয়ালে হেলান দিয়ে বই পড়ছে। অভ্যাস বশত বলতে ইচ্ছা করে “ব্যাটা আঁতেল”।

এয়ারপোর্ট থেকে বেরোতে পেরে অসম্ভব শান্তি লাগে, প্লেনে মনে হচ্ছিল অনন্ত নরকযাত্রায় যাচ্ছি। তারপর অনুভূতিহীন শরীর টেনে আমার “মেন্টরের” গাড়িতে করে ভার্সিটির দিকে এগোই। মনে মনে হিসাব করতে থাকি, দেশে ফিরে যেতে চাইলে কত মাস কত টাকা করে জমাতে হবে।

*নিজের কম্পিউটার নাই এখনো, ওই মেন্টর তার ল্যাপটপ ধার দিয়েছে, কিন্তু আমার কোন ইনস্টলেশন প্রিভিলেজ নাই। মেজাজ খারাপ করে রোমান হরফে বাংলা লিখি। আজকে সকালে আবিস্কার করলাম, অ্যামেরিকা আসার পর আমার বুদ্ধি কমে গেছে, পোর্টেবল অভ্রের কথা মনে করতে আমার দুই সপ্তাহ লেগে গেল। ধন্যবাদ অভ্র টীম।

সজল
৩০/০৮/২০১০


মন্তব্য

নীরদ চন্দ্র সাহা এর ছবি

ভায়া, লিখেছেন তো বেশ! মজা পেলাম পড়ে। দু'এক জায়গায় কী কী সব দুষ্টু-মিষ্টি কথা বলেছেন। ভালই। তবে ভায়া, কথা হচ্ছে কি, হিন্দুরা আপনাদের তুলনায় নিরামিষ একটু বেশি খায় বটে তবে তাদের একেবারে সবাইকে নিরামিষভোজী বা প্রায়-নিরামিষভোজী বলে দেয়া যাবে না। যেমন- আমি সপ্তাহে দুই দিন নিরামিষ খাই যাতে পেঁয়াজ-ও থাকে না। কিন্তু এটাও সত্যি, ওই দুই দিন জীবনটাকে অর্থহীন মনে হয়। আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে বরং বেশিরভাগই এরকম- যারা আমিষ খেতে পছন্দ করে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বয়স তো আর কম হইলনা, তাই এখনি যদি একটু দুষ্টু-মিষ্টি কথা না লিখি, তবে আর কবে! চোখ টিপি

আমিও বাংলাদেশি হিন্দু পরিবারের ছেলে, কিন্তু আমাদের আবার দুইবেলা মাছ/মাংস না খেলে পোষাতনা। তবে মাত্র পাঁচজন ভারতীয়কে চেনার অভিজ্ঞতা থেকে তাদের প্রায় সবাই নিরামিষাশি বলে ফেলাটা আসলেই অতি সাধারণীকরণ হয়ে গেছে। আর সবার খাদ্যাভাসের প্রতিই আমি শ্রদ্ধাশীল হাসি

সজল

বাউলিয়ানা এর ছবি

হুম... ভাল লিখছেন। তা আম্রিকার ইমিগ্রেশন নিয়ে কিছু লিখলেন না যে?

লেখালেখি জারি থাকুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

আম্রিকার ইমিগ্রেশন নিয়া আমার কল্পনা ছিল, একটা টেবিলের একপাশে আমি বসে আছি। আর অন্য পাশে হাতে লাঠি নাড়িয়ে এক মহিলা অফিসার ( খাইছে ) ঘ্যান ঘ্যান করে যাচ্ছে, আসল উদ্দেশ্য খুলে বল, নাইলে দিলাম বাড়ি। বাস্তবে যেটা হল, সাপের মত লাইনে দাড়ালাম, লাইন বেশ তাড়াতাড়ি আগালো। অফিসার বলল "Where is your I20 sir(or son?)"। দেখালাম, ছবি তুলে বলল, "ওয়েলকাম"। বাংলাদেশের মতই আসলে, তাই আলাদা করে আর লিখিনাই।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি

সজল

কৌস্তুভ এর ছবি

আমেরিকায় এবং আমেরিকান স্টুডেন্ট লাইফে স্বাগতম।

প্রথমবার বিদেশে আসতে গিয়ে অনেকেরই নানারকম অভিজ্ঞতা হয়। এগুলোই দুবছর বাদে গল্প করবেন, দেখবেন মজা লাগবে তখনকার অবস্থার কথা ভেবে।

আমার জানা মতে, প্লেনে যখন আমিষ খাবার দেয়, অধিকাংশ সময়ে চিকেনই দেয়, কারণ কারুর কারুর ধর্মে পর্ক খাওয়া মানা, কারুর বীফ, কিন্তু চিকেন প্রায় কোনো ধর্মেই মানা নয়। আর হিন্দু মীলে ঝামেলা এড়াতে সবাইকেই নিরামিষ খাবারই দেয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি প্লেনের পুরোটা সময় অনেক খারাপ লাগছিল, দুইসপ্তাহ পর লিখছি বলে এখন একটু হাস্যরস করা যাচ্ছে। আশা করি বাকি বিষয়েও আপনার কথা সত্যি হবে।

আমি আমার এজেন্টকে জিজ্ঞেস ও করেছিলাম, "আবার নিরামিষ দিয়ে দেবেনাতো?"। সে অভয় দেয়াতে আর চিন্তা করিনাই। যাইহোক অভিজ্ঞতা হল, এরপর থেকে আর ঝামেলা হবেনা। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমি প্রায় সবই খাই, তাও আমার কপালে জুটল ঘাস-লতা-পাতা মন খারাপ

সজল

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

মজা লাগল আপনার লেখা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মৃদুল ভাই হাসি

সজল

দ্রোহী এর ছবি

ঝরঝরে, সাবলীল গদ্য। মুগ্ধ হলাম!


কি মাঝি, ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

এভাবে বললে তো লজ্জা লাগে :">
ধন্যবাদ।

সজল

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার লেখা, দেখার চোখও। লিখতে থাকুন, পড়তে থাকি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মূলত পাঠক হাসি লিখব নিশ্চয়, যখনি প্রফেসর চাপ দেবে, তখনি লিখতে বসে যাব হাসি

সজল

তাসনীম এর ছবি

সজল আপনার লেখা সরস ও টানটান, নিয়মিত লিখতে থাকুন।

ওয়েলকাম টু ইউএস, অনেক মজার জিনিস দেখবেন এই চিড়িয়াখানায়, আশাকরি অনেক কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

আমার ট্র্যাভেল এজেন্ট একবার আমাকে না জিজ্ঞেস করে মুসলিম হালাল মিল করে দিয়েছিল, খাওয়ার সময়ে দেখি এক টুকরা মাছ। আমি একটু গোস্বা করতেই ওর হারাম খাওয়া এনে দিল, সেই সাথে হারাম পানীয়ও।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। দেখার আশায় চোখ খুলে রাখছি ২৪/৭ চোখ টিপি

আমিও শুরু করছিলাম, কিন্তু ব্যাটা বুঝানোর পর আমি আর হাউকাউ করিনাই। এত আমিষ পছন্দ করি, কিন্তু প্রকৃতিতে আমি একেবারে নিরামিষ। নিজেরে নিয়া সামনে কাজ করতে হবে চিন্তিত

সজল

অতিথি লেখক এর ছবি

সজলদা, খুব মজা পেলাম আপনার লেখা পড়ে। আমি এশিয়া, আফ্রিকা আর ইউরোপের কয়েকটা দেশের ইমিগ্রেশনের অভিজ্ঞতা পেয়েছি। তবে বাংলাদেশে ইমিগ্রেশনের মতো এতো 'রসিক' ইমিগ্রেশন আর পাইনি। এদের কথা শুনলেই মনে হয় যে আর যেন কোনওদিন বিদেশে না যেতে হয়। খুচরো কিছু উদাহরন দেই-

১. আমি ২০০৫ সালে ওয়ান ওয়ে টিকেটে ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছিলাম। ওরে প্যাচাল রে ভাই, কি বলবো। তবে ঘুষ না দিয়েই গিয়ে ছেড়েছি। ইমিগ্রেশনের এসআই আপার সাথে কথা বলতে বলতে জানলাম যে তিনি আমার একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বড় বোন। তারপরেই ঘুল্লি শুরু হলো।

২. ২০০৬ সালে আমাকে জেনুইন 'ভোদাই' সাজিয়ে এক যুবক এসআই নগদ ১০০ ডলার মেরে দিলো। আমাকে বললো, "আপনি ওই চেয়ারে বসে অপেক্ষা করেন, আমি আপনার পাসপোর্টে সিল মেরে নিয়ে আসছি। আপনি হাতের মুঠে একটা ১০০ ডলারের বিল রাখবেন, আমি পাসপোর্ট দিলে আপনি আমার সাথে হ্যান্ডশেক করে বিলটা আমার হাতে ছেড়ে দেবেন।" বিশেষ একটা কারনে আমাকে এটা দিতে হয়েছিলো।

৩. এই জুলাইতে দেশ থেকে আসার সময়ের কাহিনী। এসআই আমার ভিসা দেখে কনফিউজড, ইন্সপেকটর সাহেব রায় দিলেন আমার ভিসা জাল। আমি জানতে চাইলাম যে এই জাল ভিসা নিয়ে আমি কিভাবে এর আগে তিনবার ঢাকার ইমিগ্রেশন পার হলাম। তিনি বললেন যে ডিউটিতে ওই সময়ে যারা ছিলো তারা 'কাজ বোঝেনা'। আমাকে নেওয়া হলো এসি সাহেবানের রুমে। তিনি আমার সোমালিয়া যাবার কারণসহ অনেক কথা জানতে চাইলেন। তারপর তিনি দায় চাপালেন এসআইএর উপর। বললেন যদি আপনি এনাকে 'সন্দেহজনক' মানে না করেন তবে এক্সিট দিয়ে দেন। আমি বললাম যে আপা সন্দেহজনক কথাটা তো ভালো শুনালো না। তিনি বললেন যে আপনারা সবকিছু বেশি বেশি বোঝেন। এসব আমাদের পুলিসের মধ্যের কথাবার্তা। এসআই যখন এই ব্যাপার ইন্সপেকটরকে বললেন, ইন্সপেকটর বললেন যে 'বাই দ্য অর্ডার অব ওসি' ডেটাবেসে এভাবে একটা নোট দিয়ে রাখতে।

তবে সামান্য কিছু ভালোমানুষও ঢাকা ইমিগ্রেশনে পেয়েছি।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ইমিগ্রেশনের অভিজ্ঞতায় আসলে শুধু অপেক্ষা করার বিরক্তি ছাড়া বাজে জিনিস ছিলনা বলা যায়। তবে অ্যাটিচ্যূডে সমস্যা আছে, মনে হয় মিডল ইস্টে এ যারা যায় তাদের কে মানুষ মনে করেনা, এই জন্য অভ্যাসে মিশে গেছে। আর প্রচুর সময় নষ্ট করে, কেন তাদের এত সময় লাগে কে জানে! তবে আমি চাইব আপনার মত এত বিচিত্র অভিজ্ঞতা যেন আমার না হয়।

সজল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনে মিয়া এতো কম লেখেন ক্যা?? ...এর আগেও আপনার ভিসা নিয়ে অভিজ্ঞতা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম, এবারো হলাম।

আপনার হিউমার দারুণ !!

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

আম্রিকা আসার পর কিছুতেই কিছু জুইত করতে পারিনাই এই কয়দিন। আজকে নিজের অফিস পাইছি, সাথে সেইরকম কম্পিউটার। আর নিজের ল্যাপটপ হয়তো কালকেই কেনা হয়ে যেতে পারে, এরপর আমারে ঠেকায় কে!

পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি

সজল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার পরিমিতিবোধ ভাল ,হিউমারগুলো একেবারে লাগসই হয়েছে,এই যেমন

তবে ল্যাভেটরির যে সাইজ, কিছু মুভিতে ওই যায়গায় যে কিসব দুষ্টু মিষ্টি দৃশ্য দেখায়, তা পুরোই অসম্ভব বলে মনে হল আমার কাছে।

আরও ঢের ঢের কোট করা যাবে চাইলে...।

অদ্রোহ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আর ল্যাভেটরির কথা বলে নস্টালজিক করে দিলেন খাইছে

সজল

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

ব্যাপক মজা পাইলাম। আপনার লেখার স্টাইলও খুব ভাল।

-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ রিজভী হাসি

সজল

পথহীন পথিক [অতিথি] এর ছবি

সজল দা, অনেক দিন আগে সচলায়তন এ নিবন্ধন করাটা আজ কাজে দিল। আপনাকে একটা ধন্যবাদ না জানালেই নয়।অসাধারণ! আম্রিকা ভ্রমনের কাহিনী গুলো ও এভাবে লেখা চাই......
অয়ন...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অয়ন হাসি

সজল

দীপেশ দাস এর ছবি

বন্ধু, সেরাম লিখছিস। তোর লেখাটা পড়ে খুব লিখতে ইচ্ছে করতেছে। আমার রাস্তায় এতকিছু ঘটছে যে লিখতে গেলে ২ দিন লাগবে...... ভাল থাকিস............

দীপেশ

অতিথি লেখক এর ছবি

দীপেশ, চল তুই আর আমি মিলে "বাঙ্গালের আকাশ দর্শন" নামে একটা উচ্চ মান সম্পন্ন বই রচনা করি।

সজল

নাদির জুনাইদ এর ছবি

আমাদের এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন অফিসার আপনাকে তুমি করে বলছিলো, আরেক জন বয়স্ক ব্যক্তিকে তুই করেও ডাকতে শুনেছেন। কী আর বলা যাবে! এই বিচ্ছিন্ন ব্যাপারগুলি আমাদের দেশের অনেক মানুষের মানসিকতা আর রুচিবোধ এখন কেমন হয়েছে তাই নির্দেশ করে। আজ থেকে দুই-তিন দশক বা তারও আগে কী আমাদের দেশের মানুষ বিভিন্ন স্থানে এমন অবলীলায় রুক্ষতা দেখাতো? মনে হয় না...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাকে তুমি করে বলার পর প্রথমে মেজাজ খারাপ হইছিল, পরে ভাবলাম ঝামেলা করলে মামা-চাচার পরিচয় দিয়ে বের হয়ে আসব সে উপায়তো আর নাই। তাই নিজেরে সান্ত্বনা দিলাম, বয়স্ক মানুষ, ছোট মনে করে বলছে। আর আমার চেয়ে বড় (ত্রিশের মত বয়স) যাকে তুই করে বলছে, সে লাইন ভেংগে সামনে চলে গেছিল, কিন্তু তাই বলে তাকে তুই বলে ফেলা যাবে, এত সহজ তো আর না। আমার মনে হয়, সোশ্যাল স্ট্যাটাস দেখে এদের আচরণ বদলায়। আর ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমরা তা মেনেও নেই।

সজল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

স্বীকার করতেই হবে আপনার দেখার চোখ আছে, আবার সেটা চমৎকার ভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতাও আছে। পরীক্ষা সামনে থাকলে যেমন মুভি দেখা হয় (আপনি বুয়েটিয়ান হলে এই রোগ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত), তেমন পড়াশোনার চাপ বাড়লে ব্লগ লেখার হার বেড়ে যায়। কামনা করি আপনার 'কফিল' আপনাকে কঠিন পড়াশোনার চাপে রাখুন, তাতে আমরা নিয়মিত আপনার লেখা পাবো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক ধরছেন, মুভির ব্যাপারটা উত্তরাধিকার সূত্রেই প্রাপ্ত হাসি । আর ব্লগ লেখার কারণও তাই। বুধবারে প্রফেসরের সাথে অন্য ভার্সিটিতে একটা মিটিং এ যেতে হবে, তাই সে দুইটা বই ধরিয়ে দিয়েছে, পড়তে গিয়া দেখি এতদিন পরে আর পড়তে ভাল্লাগছেনা, তাই ব্লগ লিখে চাপমুক্তি দেঁতো হাসি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সজল

বাপ্পি এর ছবি

খুব ভালো লাগলো সজল। চালাইয়া যা।

বাপ্পি

অতিথি লেখক এর ছবি

থ্যাংকস বাপ্পি।

সজল

মুস্তাফিজ এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো। ইমিগ্রেশনের ব্যাপারে আমি এখন পর্যন্ত ভাগ্যবানই বলতে হবে। তবে একবার জুরিখে ইমিগ্রেশনে ঢোকার আগেই বিমানের গেটে আধ ঘণ্টা ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিলো সবুজ পাস্‌পোর্ট হাতে দেখেই।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। একদিন যখন আমাদের ইকনমি অনেক স্ট্রং হবে, তখন ব্যাটাদের সবকিছু ফিরিয়ে দিতে হবে। আমি সত্যি আশাবাদি।

সজল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অতিরিক্ত ভাল লেখা। খুব জোশ নিয়ে পড়া গেল।
দ্রুত সচলত্ব প্রার্থনা করি আপনার। বেশি করে লেখেন। অনেকদিন পরে সচলে সচল হিসেবে ঢোকাটা সার্থক মনে হচ্ছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। দ্রুত সচল হতে যে ফ্রিকোয়েন্সিতে লেখা দরকার, সেটা সম্ভব হবে কিনা বুঝতে পারছিনা। তবে একদিন আমি সচল হয়েই ছাড়ব হাসি

সজল

তিথীডোর এর ছবি

মজা প্লাম! দেঁতো হাসি
'ভিসা' পেয়ে 'উড়তি পথে' আম্রিকা তো গেলেন, এবার লিখুন নিয়মিত...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর। এরপরের পর্বের নাম দেয়া যায় "ক্র্যাশ ল্যান্ডিং"। মাত্রই প্রফেসরের সাথে মিটিং সেরে আসলাম কিনা, গা থেকে ধুলাবালি ঝেড়ে যাচ্ছি।

সজল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।