বিহাইন্ড দ্যা সিন অফ অ্যা টিকেট ট্রাজেডী

আশফাক আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন আশফাক আহমেদ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০১/০১/২০১১ - ৭:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি ফেসবুক থ্রেড

দিন পনের আগের কথা। ফেসবুক খুলে দেখি, মুকুল ভাইয়ের থ্রেড। আর মুকুল ভাইয়ের থ্রেড মানেই জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু। এই থ্রেডেও তার ব্যতিক্রম হল না। মুকুল ভাই আমাদের সবাইকে নিয়ে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে চায়। সেই জন্যেই এই মহৎ উদ্যোগ। শুরুতেই থ্রেডের সবাইকে একবার শুধিয়ে নেয়া হল, কার কার স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার ইচ্ছা আছে? বলা বাহুল্য, ভারত-পাকিস্তান, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, ম্যানইউ-বার্সা সবাই এক পায়ে খাড়া। প্রব্লেম হল, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে যাবে কে? একে তো আমাদের টার্ম ফাইনাল চলছে, তার উপর বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেনার ব্যাপারে সবারই চরম ঔদাসীন্য লক্ষণীয়। এ ওকে বুক করে তো ও তাকে বুক করে। তখন পর্যন্ত আমরা জানতাম যে একজন সর্বোচ্চ চারটে টিকেট কিনতে পারবে। এই সুযোগে আমাদের বান্ধবীমহলে তুমুল জনপ্রিয় ফয়সালকে মেয়েরা বুক করে নিয়েছে দেখলাম। শেষমেষ আমিও রাজি হয়ে গেলাম লাইনে দাঁড়ানোর জন্য। সঙ্গী আরো তিন বন্ধু- প্রসূন, সার্থক এবং অতি অবশ্যই মুকুল।

অতঃপর কিছু দুঃসংবাদ

ক'দিন পর পরই একটার পর একটা দুঃসংবাদ কানে আসে। প্রথম দুঃসংবাদ- মিরপুর স্টেডিয়ামের সংস্কারের ফলে এর ধারণ ক্ষমতা নাকি ৪০ হাজার থেকে নেমে ২৫ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। তার মানে টিকেট পাবার প্রোব্যাবিলিটি পূর্বে ১০০% হলে এখন তা ৬২% এ নেমে এসেছে। পরবর্তী দুঃসংবাদ- এই ২৫ হাজার টিকেটের মধ্যে নাকি মাত্র ১৫ হাজার আমাদের মত ম্যাঙ্গো পিপলের জন্য ছাড়া হবে। বাকিটা মহামান্য রাজা-উজির, তাদের ভাই-বেরাদর ও ক্লাব ক্রিকেটারদের জন্য। বন্ধু, সম্ভাবনা এখন ৩৭% মাত্র। তাতে কী? মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন, টিকেট কিনিতে হবে এই যাদের পণ- তাদেরকে কী আর প্রোব্যাবিলিটির হিসেব কষে থামানো যায়? আমরা চারজন তখনও স্থির- থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, কিনবো টিকেট পকেট পুরে। এর মধ্যে হলের কিছু ফ্রেন্ডের সাথেও যোগাযোগ হয়েছে। ওরাও ১ তারিখেই (তখন পর্যন্ত আমরা জানতাম, ১ তারিখ থেকে টিকেট ছাড়বে) আমাদের সাথে টিকেট কিনতে যাবে। আমাদের দুচোখ জুড়ে তখনো স্বপ্নেরা হাডূডূ খেলছে। এই তো সুযোগ। হলে মজাসে থার্টিফার্স্ট করবো। দেন, একটা বাজতে না বাজতেই দলবল নিয়ে সিটিব্যাঙ্কের সামনে গিয়ে তাবু গাঁড়বো।

একটুখানি পিছুটান

আরো একখান দুঃসংবাদ। একজন নাকি সর্বোচ্চ দুটো টিকেট কিনতে পারবে। এইবার তো আবাল-ব্‌দ্ধ-বণিতা সবার মাথায় হাত। দু'সপ্তা ধরে যা যা প্ল্যানিং করে রেখেছিলাম, সব শালা ভেস্তে গেলো। বিশেষতঃ আমাকে যারা বুকিং করে রেখেছিলো, তাদের সবাইকে হতাশ করতে হল। থার্টিফার্স্টের খুব সম্ভব দু'দিন আগে জানা গেলো, ১ তারিখ থেকে নয়, ২ তারিখ থেকে টিকেট বিক্রয় শুরু হবে। এদিকে ৫ তারিখ আমাদের ডিএসপি এক্সাম। এই খবর শুনে অনেকেই আবার এক পা পিছিয়ে গেলো। তাদের বুঝানো হল, ১ তারিখ সন্ধ্যায় হলে এসে সবাই কোপায়ে পড়াশুনা করবো। ৩ বছরের কোশ্চেন-টোশ্চেন সব সল্‌ভ করে উড়িয়ে দেবো। তারপর পেনাংযে উদরপূর্তি সেরে ঠিক ১২ টা বাজার আগেই সটান লাইনে দাঁড়িয়ে পড়বো।

ট্রাজেডীর শেষ অঙ্কে

সবকিছু ভালোই এগোচ্ছিল। আজ সকালে মুকুল ভাই ফেসবুকে আরেকটা দুষ্টখবর শেয়ার করলেন। খবরটা এরকম-এক ব্রাঞ্চ থেকে নাকি এক দিনে ৪৮০'র বেশি টিকেট বিক্রি হবে না। ওরা হিসেব কষে দেখিয়েছে, প্রতিটা টিকেট প্রসেস করতে যদি ওদের ৩ মিনিটের মত সময় লাগে, তবে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসে এর চেয়ে বেশি টিকেট বেঁচা সম্ভব নয়। মনটা একটু দমে গেলো। হতাশা-টতাশা সব ঝেড়ে উঠতে উঠতে দুপুর হয়ে গেলো। খেয়েদেয়ে একটু জিরিয়ে নেবো ভাবছি, তখনই শুনলাম, বাংলার আকাশে আজ মেঘের ঘনঘটা। অতি উৎসাহী মানুষজন নাকি এবেলাতেই চেয়ার-টেবিল আর বিছানাপত্তর সমেত লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। মালিবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি ২৭-সব জায়গা থেকেই খারাপ খবর আসতে লাগলো। অমুক ব্রাঞ্চে ৩টার মধ্যেই ১০০ লোক দাঁড়িয়ে গেছে, তমুক ব্রাঞ্চে ৪টা বাজে অনুমান ২৫০ লোক দেখা গেছে। টিকেট পেতে হলে এই মুহূর্তে কোন একটা ব্রাঞ্চে পৌঁছানো চাই। কিন্তু, পূর্বপ্রস্তুতি বলে তো একটা ব্যাপার আছে। এই অল্প সময়ের নোটিশে চেয়ার-টেবিল, বিছানা-পত্তর যোগাড় হবে কোত্থেকে? দু'দিন পরেই পরীক্ষার খাতায় ডিজিটাল সিগন্যালের বাপ-মা, ভাই-বোন সবাইকে প্রসেস করে আসতে হবে। অথচ, বই খুললে এখনো যাই পড়ি, তাই হিব্রু ভাষায় লিখিত দুর্বোধ্য শ্লোক মনে হয়। অগত্যা, টিকেট কেনার প্ল্যান আপাতত স্থগিত করতেই হল। সে যাই হোক, মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারি বা নাই পারি, টাইগাররা, আমরা তোমাদের সাথেই আছি। তোমরা করবে জয়, এ বিশ্বাস আছে বলেই আজও আমরা গান গাই, আজও আমরা পরীক্ষার পূর্বরাত্রে কীবোর্ডের বারোটা বাজাই। টাইগারদের জন্য এবং যারা মাঠে গিয়ে খেলা দেখছেন, তাদের সবার জন্য শুভকামনা।

---আশফাক আহমেদ


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হ। আমিও টিকেট পাই নাই। তাই টিভির সামনেই খেলা দেখুম, বাংলাদেশের জার্সি পইরা। কিন্তু সমস্যা হইলো, আমার তো টিভিও নাই। তাই কম্প্যুটারই ভরসা। এবং বাংলাদেশের জার্সিও নাই, তাই স্যান্ডু গেঞ্জি জিন্দাবাদ। হাসি



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুগোদা, আপনার লগে খেলা দেখতে মন চায়। আপনার ঠিকানাটা দেন তো দেখি হাসি

---আশফাক আহমেদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হ! গুডলাক উইথ দ্যাট! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

খেলাটা বন্ধুদের সাথে একত্রে দেখাটাই বড় কথা; কোথায় দেখা হল সেক্ষেত্রে সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে আমার মনে হয়। তাছাড়া খেয়াল করে দেখ যে

- একটা আন্তর্জাতিক মানের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার আসর হচ্ছে যে মাঠে তার ধারণ ক্ষমতা মাত্র ২৫০০০(মতান্তরে ২৬০০০)!!!!!ঢাকা শহরের মানুষই যদি শুধুমাত্র আসতে চায় তবে তার কত শতাংশ পারবে ভেবে দেখ।

-এমন একটা সম্মানজনক দায়িত্ব যার মাধ্যমে আমাদের কিছু সুযোগ এসেছে নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরার সেখানে এই উদ্বোধনীর দায়িত্ব নাকি পাচ্ছে ইন্ডিয়ার একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বলে শুনলাম!!!!!!! আর তার পাছা চাটছে দেশীয় যে প্রতিনিধি আছে (শুনলাম এটিএন এর কর্ণধারেরা) শাহরুখ কিছু দিয়ে গেল। আমরা তাতে সন্তুষ্ট হইনি মনে হচ্ছে। নিজের দেশকে আরও জঘন্যভাবে হেয় করতে যাচ্ছি মনে হয়।

এতকিছু না ভেবে আপাতত যেটা করতে পার সবাই মিলে হলের প্রাঙ্গনে কিংবা খেলার মাঠে প্রজেক্টর লাগাতে পার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস; উপভোগ তাতে কম হবে না।
বাংলাদেশ ঝলসে উঠুক আরেকবার। আপাতত সব ভুলে এটাই চাই।

-অতীত

অতিথি লেখক এর ছবি

খেলাটা বন্ধুদের সাথে একত্রে দেখাটাই বড় কথা; কোথায় দেখা হল সেক্ষেত্রে সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে আমার মনে হয়।

মনটা ভালো হয়ে গেলো, বদ্দা, আপনার কথা শুনে

এতকিছু না ভেবে আপাতত যেটা করতে পার সবাই মিলে হলের প্রাঙ্গনে কিংবা খেলার মাঠে প্রজেক্টর লাগাতে পার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস; উপভোগ তাতে কম হবে না।
বাংলাদেশ ঝলসে উঠুক আরেকবার। আপাতত সব ভুলে এটাই চাই।

বদ্দা, আপনি কোন একটা খেলা হলে এসে দেখবেন কিন্তু।

---আশফাক আহমেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

অবশ্যই; আমার আর হলের খেলা দেখার মাঝে শুধুমাত্র ঢাকার চিরসুন্দর ট্রাফিক জ্যাম অন্তরায়; যেহেতু বাংলাদেশ নিয়ে কথা; মনে হয় হজম করে ফেলব ঠিকই

-অতীত

কৌস্তুভ এর ছবি

আহা বেচারা! তবে লিখেছেন ভালো। পড়েও মনটা ভাল হয়ে গেল, যে যাক, এই প্রবাসীর মত আপনিও মাঠে যাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা তো ভাইয়া নিজদেশে পরবাসী হয়ে গেলুম। মন খারাপ

---আশফাক আহমেদ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হে হে হে... মজার লেখা। দুঃখিত, দুঃখ দেখেও মজা পেয়েছি দেখে। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

এইভাবে আমার অসহায়ত্বের মজা নিলেন, ভাইয়া। কষ্ট পাইলাম। হাসি

---আশফাক আহমেদ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মন বলছে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে তেমন আহামরি কিছু করতে পারবে না। সেদিক থেকে মাঠে গিয়ে কষ্ট করার কী দরকার?

মনের ভাবনাটা ভুল হলেই হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাঁ ঈশ্বর, পিপিদা'র মনের ভাবনাটা যেনো ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ভুল প্রমাণিত হয়।

---আশফাক আহমেদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মাঠে গিয়ে খেলা দেখার মজাটাই আসলে আলাদা। হাসি
আশাকরি বাংলাদেশ ভালো খেলবে পিপিদা। কিন্তু মুশকিল হলো, একদিন ভালো খেললেই অবধারিতভাবে পরেরটা খারাপ খেলে। মন খারাপ
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কিন্তু বাংলাদেশ ভালোই ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলো।
সুতরাং, একটু আশা করতে দোষ কী? হাসি

---আশফাক আহমেদ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি ভাবছিলাম বিশ্বকাপের টেম্পারমেন্ট, নিজ দেশে খেলার বাড়তি চাপ, এসব নিয়ে। দেখা যাক ওরা কতটা প্রফেশনাল হতে পেরেছে হাসি

...............................
নিসর্গ: বাংলার প্রকৃতি

সার্থক এর ছবি

শপথ নিলাম, জীবনে আর কিছু হইতে পারি বা না পারি, বাংলাদেশের একখান ভি আইপি আমি হমুই। আজ থেকে ১৬ বছর পরে যখন দেশে আবার বিশ্বকাপ আসবে, তখন আমার কাছে ডাক মারফত গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড এর টিকেট আসবে, নিচে "স্যার, আশা করছি আপনার মূল্যবান সময় আমরা পাব"-কর্তৃপক্ষ' লিখা।
ক্রিকেট অনেক ভালবাসি। সবার পক্ষে তো আর সব পাওয়া সম্ভব হয়না, তবে তাতে টাইগার বা ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা কমবেনা। এগিয়ে যাও বাংলাদেশ!

পল্টু, চল ডিএসপি পড়তে বসি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্রিকেট অনেক ভালবাসি। সবার পক্ষে তো আর সব পাওয়া সম্ভব হয়না, তবে তাতে টাইগার বা ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা কমবেনা। এগিয়ে যাও বাংলাদেশ!

ক্রিকেটকে তোর মত ভালবাসি কিনা, জানি না। তবে দেশটাকে মনে হয় ভালবাসি। দেশের আনন্দ-বেদনার মুহূর্তগুলো আশপাশ্র মানুষের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই। নাই বা গেলাম স্টেডিয়াম। তাতে টাইগার বা দেশের প্রতি ভালবাসা কমবেনা

যাই, ডিএসপি পড়তে বসি চোখ টিপি

---আশফাক আহমেদ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আরে ক্রিকেট আমি ভালু পাই না। আর খেলাধূলার কিছু বুঝিই না! কিন্তু তাও একজনকে সারপ্রাইজ দেবার জন্যে প্রথম ম্যাচের দুইটা টিকেট খুঁজছি। এখন আপনার লেখা পড়ে জানলাম এত্ত কাহিনি! যদিও ভয় পাচ্ছিলাম এমনই হবে। খুঁজে পেতে দেখলাম খবরে বলছে অগ্রণী ব্যাঙ্কের ৩০ টা শাখায় নাকি দেবে? কিন্তু কোন্‌ কোন্‌ শাখা তা কোথাও লিঙ্ক নেই। এখন কালকে সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়ে রাবি শাখায় যদি পাই, আল্লাহ ভরসা! মন খারাপ

লেখা ভালো লেগেছে। আপনি ভালো করে পরীক্ষা দেন। এই ডিএসপি জিনিসটা বহুত ক্যাচাইল্লা আছে, আমার পিছা ছাড়ে নাই এখনো... নাকি মহা কাজের জিনিস! মন খারাপ ভালো করে পরীক্ষা দিয়ে, টিভিতে বসে বসে খেলা দেখবেন সব বন্ধুরা মিলে, ঠ্যাং নাচিয়ে, সেটাই ভালো। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিন্তু তাও একজনকে সারপ্রাইজ দেবার জন্যে প্রথম ম্যাচের দুইটা টিকেট খুঁজছি।

হাঁ ঈশ্বর, যাযাবরদার মনোবাসনা তুমি পূর্ণ কর।

বাই দ্যা ওয়ে, সময়-সুযোগ করে ডিএসপি'র ফান্ডামেন্টালসের উপর ঝেড়ে একখানা পোস্ট দিন না। আমাদের নড়বড়ে বেসিকটা যদি তাতে একটু মজবুত হয়।

---আশফাক আহমেদ

কৌস্তুভ এর ছবি

এক্ষুণি আবার ব্যাকপ্যাকার-দিদি বলবেন ওনার পেছনে লাগছি, কিন্তু তাও বলি, আপনি আরো একজন মাসুম নবাগত যিনি ওনার নিক দেখে যাযাবরদা মনে করলেন। আমি একবার সাহস করে বলে ফেলেছিলাম, তাতে আমায় কি ধমকটাই না দিলেন! বিশ্বেস না হয় নিজের চোখেই দেখেন। কেমন একটা সুপরামর্শ দিয়েছিলাম, সেটার জন্যও আরো বকা খেতে হল...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ভাগ্যি ভালো, যাযাবরদি আমাকে ঝাড়ি-ফাড়ি কিছু মারেন নি হাসি

@কৌস্তুভদা, অফ টপিক হলেও কিছু কথা বলি এখানে।
'অটোগ্রাফ' আর 'আবহমান' নিয়ে আপনার লেখা চাই।
আর বায়োস্ট্যাট নিয়ে তো অবশ্যই।

---আশফাক আহমেদ

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার এধরনের অনুরোধে সম্মানিত বোধ করছি। কিন্তু সব নতুন প্রতিভাবান পরিচালকদের সিনেমা তো দেখাই হয়ে ওঠে না। যেগুলো দেখি সেগুলো নিয়ে বেশ উল্লেখযোগ্য কিছু আলোচনার থাকলে লেখার চেষ্টা করব নাহয়, বিশেষ করে যদি সেটা অন্য অনেকের কাছেও আগ্রহের বস্তু হয়। ফেলুদা কি ব্যোমকেশ যেমন সবার কাছেই প্রায় পরিচিত, আবহমান কি আর ততটা। তবে আপনার কথা নিশ্চয়ই মাথায় রাখব।

স্ট্যাট-বায়োস্ট্যাট নিয়ে নিয়মিতই পোস্ট করব, ওটাই পেশা যখন, তবে কতদিন অন্তর অন্তর সেইটা বলা মুশকিল... খাইছে

অদ্রোহ এর ছবি

এবার বোধহয় বিশ্বকাপ দেখার আশায় ক্ষান্ত দিতেই হচ্ছে।খবর পেলাম, সবজায়গাতেই টিকিটের জন্য এর মাঝে লম্বা লাইন পড়ে গেছে। আজ এক দুজায়গায় পাত্তা লাগিয়েছিলাম, কিন্তু আশাবাদী হওয়ার মত কোন খবর পেলমনা। তবে এখনি আশা পুরোপুরি ছেড়ে দিচ্ছিনা, একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা এখনো জিইয়ে আছে..., দেখা যাক...চোখ টিপি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনলাইনে ট্রাই দিছিস?

---আশফাক আহমেদ

তুহিন [অতিথি] এর ছবি

টিকিট পাব না তাতে কি, হলে বসেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইভা রহমানের গান, ভারতীয় নায়ক নায়িকাদের নর্দন কুর্দন ও পরের খেলা গুলো দেখব ঠিক করেছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যদি তিন দেশের ক্‌ষ্টি-কালচারকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হয়, তাইলে ঠিকাসে। কিন্তু যদি কোনভাবে দেখি, ইন্ডিয়াকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, তাইলে :@:@:@

---আশফাক আহমেদ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ফুটবল যদিও আমার একটু বেশিই প্রিয়, ক্রিকেটও আমার ভীষণ পছন্দের খেলা। যদি বলি কেবল মাত্র ক্রিকেট সাহিত্যের ক্লাসিকগুলোর জন্যেই ক্রিকেট প্রিয়, সেটা বোধহয় অতিরঞ্জন হবে না...

যাজ্ঞে, আসল কথা ঘরে বসে রিভিউ পদ্ধতিতে ম্যাচ দেক্তে দেক্তে আম্পায়ারের চতুর্দশ উর্ধ্বপুরুষদের স্মরণ করাতেই আমার শান্তি লাগে। মাঠে গিয়ে দেখার আগ্রহ কম। কাজেই টিকিটের জন্যে বেশি দৌড়ঝাঁপ করিও নাই, তাই ভাগ্যে টিকিট জোটার কোন সম্ভাবনাও নেই।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্র্যাডম্যানের উপর তোর লেখাটা দারুণ লেগেছিলো।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কিছু লেখা-টেখা দাও, বন্ধু।

---আশফাক আহমেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্রিকেটে এযা্বতকালে শুধুমাত্র বাংলাদেশের খেলাই টিভিতে দেখা হয়েছে। অন্যগুলোর টুকটাক খবরাখবর- পেপার, লাইভস্কোর আর ক্রিকিনফোর কল্যানে কালে ভদ্রে জানা হয়। কলেজে থাকতে বন্ধুদের নিয়ে মাঠে গিয়ে যে গুটিকয়েক ম্যাচ দেখেছি তার চেয়ে বরং আমার টিভিতে ক্রিকেট দেখতেই ঢের ভাল লাগে।

আর, পোস্টটার নাম বাংলা শব্দে দিলেই মনে হয় ভাল হত

ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও খালি বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার খেলা হলে ফলো করি চোখ টিপি

আর, পোস্টটার নাম বাংলা শব্দে দিলেই মনে হয় ভাল হত

ভালো একটা বংলা নাম খুঁজে মরছিলাম। শেষ্মেষ না পেয়ে চলনসই একটা ইংরেজী শিরোনাম দিয়ে দিলাম। তুই একটা ভালো বাংলা শিরোনাম দে তো দোস্ত। পরে ওটাকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজ চালিয়ে নেবো

---আশফাক আহমেদ

সজল এর ছবি

লেখাটা পুরা করুণ রসে সিক্ত, পড়ে দারুণ মজা পেলাম। হলে তো বেশ বড় স্ক্রীন দেয়া আছে, ওইখানেই দেখেন, আর কী করবেন!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাই আমার দুঃখের মজা কুড়োচ্ছে। হাসি
আমি আর দুঃখের কাহিনী লেকবো না। চোখ টিপি

---আশফাক আহমেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

পৃথিবীটা কর্মক্ষেত্র, ক্রীড়াঙ্গণ নহে।
লেখা উত্থম হয়েচে।
আশফাক আহমেদ, মুখে ক্রীম মেখে ডিএস্পি পত্তে বসেন। যান।

অন বিহাফ অব ড. শেখ আ. ফা.--

সাত্যকি

অতিথি লেখক এর ছবি

সৌমিত্র, ডিএসপি'র উপর খান একাডেমী লেভেলের একটা ভিডিও বানাও না চোখ টিপি

---আশফাক আহমেদ

রু [অতিথি] এর ছবি

সারারাত জেগে খেলা দেখতে হবে। এখন একটু ঘুমায় নেই। -রু

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও টিকিট লাগপে! কী যে করি!? চিন্তিত

কুটুমবাড়ি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।