এম জির সাথে জীবন যুদ্ধ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৪/২০১১ - ৭:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিচ (এম জি) অতি বিরল আমরন এক অসুখ, যার পরীক্ষিত কোন চিকিৎসা বা ঔষধ নেই; আছে কিছু পরীক্ষনীয় ঔষধ। ভয়াবহ সেই অসুখের সাথে যুদ্ধ এবং তা জয় করার সত্য গল্প।

প্রথম পর্ব
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/38532

দ্বিতীয় পর্ব
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/38570

তিন

ইউরোপ, আমেরিকার সাথে আমাদের দেশের অসুখ, বিসুখের প্রতি দৃস্টিভঙ্গির একটা বিরাট পার্থক্য হোল, আমাদের দেশে রোগিকে তার রোগ সম্পর্কে একদম অন্ধকারে, অজ্ঞ করে রাখা হয়। আর এদেশে রোগীকে সমস্ত রিস্ক-ফ্যাক্টর সম্পর্কে জানিয়ে তার সচেতন মতামতের ভিত্তিতে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত গুলি নেয়া হয়। প্রি-এডমিশনের এপোয়েনমেন্টে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা। প্রথমেই পেপার ওয়ার্ক, অপারেশানের অনুমতি, কোন জরুরি অবস্থায় রক্ত দেয়া বা অন্য কোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ডাক্তারের করনীয় কাজে অনুমতি ফর্মে সাক্ষরিত করা। ইন্সিওরেন্স চেক করা, পরের পর্বে যিনি আমাকে অজ্ঞান করবেন সেই এনেস্থেটিকের সাথে, তিনি আমাকে জানালেন মেরুদন্ডে ইঞ্জেকশান এবং ইন্ট্রাভেনাসের সাথে ড্রাগ দিতে চান। ব্যাথা নিয়ন্ত্রনে এটা খুবই কার্যকরি ব্যাবস্থা। ইন্টারনাল মেডিসিন ডাক্তার তার পরিচয় দিলেন খুব চমৎকার হেসে আমাকে আস্বস্ত করলেন আমি খুব একটা ভালো টিমের হাতেই আছি। এলেন সার্জন, বললেন ‘আমি এবং আমার টীমের পক্ষ থেকে বলছি, উই উইল ডু আওয়ার বেস্ট, আই প্রমিজ’। সব যখন শেষ হোল তখন নার্স জানালো ব্রিদিং টেস্টের একটা ফ্রি স্লট আছে আড়াইটা বাজে, আমরা কি সেটা নেবো কিনা। তখন ঘড়িতে বাজে একটা, আমার স্বামি আমার মুখের দিকে তাকালেন, আমি লুফে নিলাম সুযোগটা, তাহলে তার আর একদিনের দুই আড়াই ঘন্টার ড্রাইভিং এবং অফিস কামাই এর সময়টা বেচে যায়। তাকে আমিই কতকটা জোড় করেই অফিসে পাঠিয়ে লাউঞ্জে বসে লাঞ্চ খেলাম। সেল ফোনে সে আমার খোজ নিতে থাকল, অফিসের কাজের ফাকেঁ, ফাকেঁ।

ঠিক আড়াইটার সময় আমার ডাক এলো, আমি নার্সের পিছনে হেটে কয়েক কদমের পরেই খুব ক্লান্ত হয়ে গেলাম। রুমে ঢুকে আমার মুখ দেখেই অভিজ্ঞ নার্স আমাকে ধরে সোফায় বসিয়ে পাসে বসলো। হটাৎ আমার মাথাটা দুলে উঠলো, কিছু বোঝার আগেই আমি জ্ঞান হারালাম। কত কতক্ষন পরে জানিনা, আমার জ্ঞান ফিরলে দেখি আমাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে, ঘর ভর্তি ডাক্তার নার্স। আমি কিছু বোঝার আগে প্রবল ভাবে বমি আসলো, বমি হতেই থাকলো, নার্স তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি হাস্পাতালের ইমারজেন্সিত নিয়ে ভর্তি করে দিল। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার আমাকে এমআরআই করতে পাঠালেন। একদম একা আমার আপন জনের অগোচরেই হাস্পাতালের এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং বিভিন্ন চিকিৎসা কর্মিদের সযত্ন তত্বাবধানে আমার এতসব হতে লাগলো। এর মধ্য হটাৎ চারিদিকে কাপিয়ে প্রলয়ের মত তুষার ঝড় এলো। রাত সাড়ে দশটার সময় সেই ঝড় একটু কমলে আমরা ঘরে ফিরে এসে দেখি উৎকন্ঠিত ছেলে মেয়েরা বসে আছে। ফ্রিজে রান্নাকরা নেই কিছু, সবাই বাটিতে বাটিতে সিরিয়াল নিয়ে বসার পর আমার এই দুর্দিনের দিনটি শেষে প্রিয় মুখগুলি দেখে মনে হোল ঐতিহাসিক যুদ্ধ জয়ের আনন্দ কি এর থেকেও বেশি?

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিস্কার সত্যি যাদুর মত। মানুষকে নিরাময় করার পদ্ধতি, ঔষধ, সেবা কত যে উন্নত হয়েছে সেটার কিছু পরিচয় পাওয়া গেল। আমার পরবর্তি এপোয়েনমেন্টে আমার স্বামি এবং বড়মেয়ে এলো। তিন দিনের প্রথম দিনের প্লাজমা রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি। নির্দিস্ট রুমে ঢোকার পর একজন নার্স সহাস্য এসে আমাকে বললো, ‘আসমা তোমাকে আজকে এত ভালো যত্ন নেবো যে তুমি আর বাসায় ফেরতই যেতে চাইবে না’। আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আরাম দায়ক আক্ষরিক অর্থেই গরম কম্বলে, চাদরে আমাকে আবৃত করলো। বিছানার দুই পাসে দুটি স্ট্যান্ড। আমার ডান হাতে বাংলাদেশের লেপ সেলাই এর মত মোটা একটা ইনট্রাভেনাসের সুই ঢুকিয়ে ক্রমাগত পাম্প করে নলের মাধ্যমে শরীরের সমস্ত রক্ত বের করে একটা অতি দ্রুত ঘুর্নায়মান মেশিনে রক্তটাকে ভেংগে হোয়াইট এবং রেড সেলকে আলাদা করে সাথে সাথেই বাম হাতে আর একটি ইন্ট্রাভেনাসের সুই ঢুকিয়ে আরেকটি নলে আমার শরীরে ফেরত পাঠাতে লাগলো, একই সাথে শরীরে যেতে থাকলো নুতন হালকা হলুদ রঙের তরল প্লাজমা পরিমান মত। মেশিনের আর একটি পাত্রে জমা হোতে থাকলো পুরাতন এন্টিবডিসহ পরিত্যাক্ত প্লাজমা, যেটা দেখতে আরেকটু গাড়ো হলুদ। চার ঘন্টার ব্যাপার। তিন ঘন্টা পরে হটাৎ মেশিনটার এলার্ম বাজতে লাগলো। দৌড়ে এলো নার্স। হটাৎ আমার কোমরের নীচে দুটো পায়ে প্রথমে খুব ভারি, মুহুর্ত পরেই প্রচন্ড, পাশবিক, অসহনীয় ব্যাথা, একই সাথে মনে হোল আশে পাশে কোন বাতাস নেই, নিশ্বাস নিতে পারছি না, বুক ফেটে যাচ্ছে যেন। অভিজ্ঞ নার্স আমাকে প্রশ্ন করে কোন সাড়া নাপেয়ে অতি দ্রুত হাতে মেশিনটা বন্দ করে দিল। আমি আবারো জ্ঞান হারালাম। জ্ঞান ফেরার মুহুর্তটা আমার মনে হয় সেই ছোটবেলায় বাজি রেখে দম আটকে ডুব সাতারে পুকুর পাড়াপাড়ের পর পানির উপরে মুখ তুলে হা করে শ্বাষ নেবার, বাচবার তীব্র আকুতি, জীবনে ফেরার অনভুতি। কতক্ষন পরে জানি না, কোন অতল থেকে উঠে এলাম, মনে হোল নাহ জীবন আর মৃত্যুর মাঝের চৌকাঠ ডিঙ্গানো হয়নি, কোন ভাগ্য বেচে এলাম! ঘর ভর্তি ডাক্তার, নার্স,।প্রায় দুই ঘন্টা পরে হুইল চেয়ারে যখন বের হয়ে আসছি তখন সকালের সেই হাস্যমুখি নার্স আমাকে বিদায় জানাতে এসে অনুযোগের সুরে বললো, ‘আসমা, ইউ লুক সো ইননোসেন্ট, বাট টুডে ইউ গেভ আস লটস অফ ট্রাবল’। আমি তাকে উত্তরে বললাম, ‘ওহ নো, নো, নট মি, ইট ইজ ড্যাট ডিজিজ হুইচ গেভ ইউ ট্রাবল’।

যেকোন কাজেই সততা, জবাবদিহিতা, যুক্তিবাদিতা, অঘটন টা কেন হোল, কিভাবে সেটা প্রতিহত করা যেতে পারতো, এটা এ দেশের সব কিছুর মত চিকিৎসা ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। প্রাচ্যর মত কেউ সাধারন ভাবে নয়, একটু অন্য রকমে মরে গেলেও, ইন্নালিল্লাহে …রাজেউন বলে সাথে সাথে সাদা কাফনে মুড়িয়ে কবরে ঢেকে না দিয়ে, এখানে ডাক্তাররা রোগীর পরিবারের কাছে অনুমতি নিয়ে অটোপ্সি করে মৃত্যুর কারন খুজবে। চিকিৎসা চলাকালিন সময়ে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, আমাদের দেশে সেটা অন্য কারূ ঘাড়ে দোষটা পার করে দিয়ে অথবা ঢামা চাপা দিয়ে ডাক্তার অবহেলায় স্থান ত্যাগ করা প্রায় নৈমত্তিক ঘটনা। কিন্তু এদেশে চিকিৎসা কালিন সময়ে যেকোন দুর্ঘটনারই কারন খোজা হবে, সেটা কিভাবে আরো ভালো ভাবে সামলানো যেত, সেটার আনুমানিক একটা ইংগিত পরের বারের রোগীর জন্য খুজে পাবার প্রচেস্টাটা এখানে লক্ষনীয়। প্লাজমা থেরাপির দ্বিতীয় বারে আমাকে জানানো হোল আমার এবারের সময় চার ঘন্টা নয়, ছয় ঘন্টা লাগবে। প্রথমে এক ব্যাগ স্যালাইন সাথে বেশ কিছু মিনারেল, তারপর ধীর গতিতে আমার রক্তগুলি পাম্প করে বের করা বা ফেরত রাখা হবে। খুব উপকার হোল এতে। দ্বিতীয় দিনে মেজ মেয়েও গেলো আমাদের সাথে। তৃতীয় বা শেষ দিনের প্লাজমা থেরাপি আমাদের সাথে ছোট মেয়েও গেলো এবং একই ভাবে থেরাপিটা দেয়া হোল। পরের দিনেই আমার অনেক ভালো লাগতে লাগলো, আমি আগামী দুর্দিনের জন্য কাবাব, বার্গার, চিকেন নাগেট কিছু কিছু খাবার রান্নাকরে ফ্রিজ করতে লাগলাম পরের দশ দিন।

নিজ দেহে অস্ত্রপোচার মৃত্যুদন্ড নয়, কিন্ত অসুস্থ দেহের মনে যেন সব হারানোর সুর বাজতে থাকলো। অতি প্রিয় সন্তানেরা, এতদিনের জীবন সাথী, সাজানো ঘর বাড়ী সব কিছুই আমাকে প্রবল ভাবে আকঁড়ে ধরতে চাইলো, তুচ্ছাতিতুচ্ছ স্মৃতি মনকে আদ্র করে দিতে চাইলো। উনিশ তারিখ সকালে সমস্ত গয়নাগাটি খুলে ফার্মেসি থেকে প্রেসক্রিপসনের বিশেষ সাবানে যখন গোসল করতে ঢুকলাম সাবানটা থেকে কেন জানি কর্পুরের গন্ধ লাগলো, মন অবস হয়ে গেলো, এই বুঝি শেষ গোসল! কাপর পরে রেডি হয়ে নীচে নামলাম, এত সকালেও প্রিয় সন্তানেরা সব্বাই জেগে নীচে শুকনো মুখে দারিয়ে। তাদেরকে জরিয়ে ধরে আদর করলাম নিঃশব্দে, নিজ হাতে ঘরের দরোজা খুলে আমার নুতন করোলা গাড়ীকে পাস কাটিয়ে, আমাদের টক টকে লাল মিনি ভ্যানে উঠলাম। আয়তুল কুরসি পরে শেষ বারের মত দাঁড়িয়ে থাকা সন্তানদের হাত তুলে বিদায় দিলাম, চার বেডরুমের বাড়ীটার দিকে তাকিয়েই রইলাম, এই কি শেষ দেখা? তখোনও অন্ধকার, গাড়ী ব্যাক করে রাস্তায় উঠলো, বাঁক নিয়ে বড় রাস্তায় চলতে লাগলো, এলাকাতে একদম নুতন স্ট্রিট মলের লীজ নেয়া একটি মাত্র, প্রথম দোকান ‘ফ্লিকস এন্ড ফ্লেভারস’ সাইনবোর্ডটা ঝল মলে লাল নীল রঙের বৈদ্যতিক আলোয় যেন নেচে নেচে সব্বাইকে আহবান করছে। পরের ট্রাফিক লাইটের পরে শুরু হোল গ্রীন জোন, আদিগন্ত ফসলের ক্ষেত যেখানে সামারে ভুট্টা, সয়াবিন, স্ট্রবেরি চাষ হয়, এখন সাদা শুভ্র বরফে ঢাকা। সেগুলি পার হয়ে হাই ওয়েতে ঊঠলো গাড়ী, ভোরের সুর্য্য তখন পুব আকাশে উকি দিচ্ছে। ফাকাঁ রাস্তা, খুব দ্রুতই হাস্পাতালে চলে এলাম।

চলবে----

আসমা খান,অটোয়া


মন্তব্য

কাঠপুতুল এর ছবি

শেষ প্যারায় লেখা জীবন্ত হয়ে ভাসছে চোখে। একজন মা...।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য। পরের অংশে মন ভালো করে দেওয়া কিছুর অপেক্ষা করছি। হাসি

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আয়নামতি1 এর ছবি

আপনার সৌভাগ্য যে, সে সময় আপনার অবস্হান বাংলাদেশে ছিল না। যেকারণে এই যুদ্ধ জয়টা কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে। আর আপনার মনোবল যে ভীষণ রকমের শক্ত, সেটা লেখার প্রতিটা শব্দ বলছে! আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আপু! ভালো থাকুন, সুস্হ থাকুন। শুভকামনা।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

সময়ই মানুষকে নির্মান করে। জীবনের কোন কিছুই নিশ্চিত নয়, কে জানে বাংলাদেশে থাকলে হয়তো আমার এ অসুখই হোত না। লেখাটি সাগ্রহে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হই। আপনার অসাধারণ মনের জোরের কাছে এসব এল.এম.জি কেন কামান দাগলেও কিছু হবে না।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

অনুপ্রানিত করতে পারলে কার না ভালো লাগে? অজ্ঞাত এই অসুখ দৈত্য দানোর মত, এর সাথে যুদ্ধ করতে গেলে মনের জোরটা খুব দরকার। জানেনতো জান বাচানো ফরজ!!!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আজকেই তিনটা পর্ব একসাথে পড়লাম। এই পর্বটা পড়ে কেমন অবশ লাগছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

সময় নিয়ে সবগুলি পর্ব একসাথে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

পড়ুয়া এর ছবি

শেষ প্যারাটুকু পড়ে আমি কেঁদে ফেলেছি।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

আপনার অনুভুতির প্রকাশটা সুন্দর। ভালো থাকুন।

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

প্রথম বারে হঠাৎ মেশিনে অ্যালার্ম বেজে উঠল কেন? তখনই শরীর খারাপ লাগার সাথে কী সেটা সম্পর্কিত?

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

একটি নির্দিস্ট অনুপাতে রক্ত মেশিনে ইনপুট হিসেবে যাবার কথা, দেহ থেকে সেটা হটাৎ করে খুব কমে যায়। বিভিন্ন কারনে দুর্ঘটনা ঘটে, তার সমাধানও বিভিন্ন ভাবে করা হয়। আমার ক্ষেত্রে ডাক্তার পরবর্তিতে মেশিনটার স্পীড স্লো করে, কিছু এক্সট্রা মিনারেল সহ এক ব্যাগ স্যালাইন প্রথমে দিয়ে রক্তের ইনপুট ফ্লো মেশিনের সাথে এডজাস্ট কএছিলো। যতদুর মনে পড়ে ডাক্তার আমদের এই ব্যাখ্যাই দিয়েছিলেন।
রিসার্সের অভাবে এখনো মায়েস্থেনিয়ার অনেক কিছুরই কার্য-কারন সম্পর্ক জানা নেই। মনোযোগের সাথে লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

তাসনীম এর ছবি

পড়ছি আপনার যুদ্ধজয়ের গল্প। মানুষের বিজয়ের গল্প শুনতে ভালো লাগে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে তার মাপকাঠিতে অনেক বিজয়ের গল্প থাকে। লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার লেখা থেকে অকুতোভয় শব্দরা মুক্তিসেনার মতো বেরিয়ে এসে আমার সন্ত্রস্ত বুকের ভেতর এক নদী সাহস মিশিয়ে দিয়ে গেল!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

আপনার শব্দচয়ন খুব সুন্দর। লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

শেষ প্যারাগ্রাফটা পড়ে আর মুখে কথা আসছে না। আপনি ভালো থাকেন আপা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।