ঃঃ স্কুলব্যাগ, তুমি বড্ড ভারি ঃঃ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৫/০৩/২০১২ - ১২:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাক ডাকা ভোরে যখন বাসা থেকে বের হই অফিসের উদ্দেশে, রাস্তা প্রায় ফাঁকা। সবচেয়ে বেশি যাদের দেখি তারা হোলও কিছু উদ্বিগ্ন বাবা-মা আর তাদের স্কুলগামী বাচ্চা। এই সময় টায় রিকশার বড়ই অভাব থাকে। বাচ্চার কাধেঁর ব্যাগটা দেখলে খুবই কষ্ট লাগে। এখন দেখি অনেক বাসার সামনে এই সময়টায় রিকশা দাঁড়ানো থাকে, কারন বাবা-মা বাধ্য হয়ে রিকশা ওয়ালার সাথে মাসকাবারি চুক্তিতে গেছেন। কিন্তু সবারতো আর এটা করা সম্ভব নয়। তাই চোখে পড়ে অনেক উদ্বিগ্ন মুখ। আমি অনেক আগেই সকালে বাসা থেকে বাস-স্টপিজ বা মেইন রোড পর্যন্ত আসার জন্য রিকশা চড়া ছেড়ে দিয়েছি, যাতে একজন বাচ্চা হলেও সেটাতে স্কুল যেতে পারে। নরমাল সময় থেকে মাত্র ১০ মিনিট আগে আমি বাসা থেকে বের হই তারপর হেটে হেটে বাস-স্টপিজ...।
কথা হচ্ছে, এই বাচ্চাগুলোর হয়তো নিজের ওজনের চেয়ে কাঁধের ব্যাগের ওজন বেশি। মনে হয় জ্ঞানের হাতি ঘোড়া সব এই ব্যাগের মধ্যে। সব যদি গেদাকালেই শিখাইতে হয় তাইলে বাকি জীবন কি শিখবে ? অনেক জ্ঞানী-গুনীজন এই ব্যাপারে অনেক কথা বলেছেন আমি আর নাই বললাম। কিন্তু আমি কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে যাই।

প্রথম কবে ঠিক আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে গেছিলাম মনে নাই। আপা স্কুলে যেতো আর আমিও পিছ পিছ যেতাম। বাড়ি থেকে স্কুল বেশি দূরে না, রাস্তা দিয়ে গেলে ১০ মিনিট আর জমির আইল ধরে দৌড় দিলে ৫ মিনিট। সাধারনত স্কুলে যাবার সময় ভদ্র ছেলের মত রাস্তা দিয়ে যেতাম আর যখন স্কুল ছুটির ঘণ্টা বাজত তখন মাঠ-খেতের মধ্যে দিয়ে এক দৌড়...কার আগে কে যাবে...। এই আনন্দ শহুরে বাচ্চারা কি কখনই পাবে ?

স্কুলের বই, এটা যে ব্যাগে করে নিয়ে যেতে হয় সেটাই তো বুঝেছি অনেক পরে। বই নেবার পন্থা ছিল ৪ ভাবে। মাথায় কিম্বা কাঁধে কিম্বা কাঁখে কেউবা আবার বুকের সাথে বই লেপটে নিয়ে স্কুলে যেত। কারা বই মাথায় নিয়ে যেতো সেটা বোঝার একটা উপায় ছিল। কিভাবে...? তাদের উপরের বইয়ের মলাটে থাকতো তার তৈলাক্ত মাথার ছাপ।

যখন ক্লাস থ্রী তে পড়ি তখন মনে হয় আমাকে আর আমার আপাকে স্কুল ব্যাগ কিনে দেওয়া হোল, সেটা যে কি আনন্দের ব্যাপার ছিল তা বলবার নয়। কিন্তু আসল বিপদ হোল সেই ব্যাগে বই নিয়ে স্কুলে যাবার পর। সবাই এমনভাবে তাকাতে লাগল যেন ভিন গ্রহ থেকে এসেছি আর সে কি হাসাহাসি...!! অগত্যা কিছুদিন ব্যাগ নেবার পরে পোলাপানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রিয় ব্যাগ টাকে বাসায় রেখেই বইগুলোকে আবার মাথায় নিয়ে স্কুল যাত্রা শুরু হোল। হাই স্কুল এ এসে স্কুলের দূরত্ব যেমন বাড়ল তেমনি বইগুলোর দূরত্ব ও বাড়ল অর্থাৎ বইগুলো মাথা থেকে নেমে গেল বাইসাইকেল এর ক্যরিয়ারে। আমার পুরো প্রাইমারী স্কুল জীবনে ২% ছাত্রছাত্রীর ও ব্যাগ ছিল না। এর হাই স্কুলে এ এটা হয়তো ৫% এ উন্নীত হিয়েছিল।
সেই ব্যাগ এখন হইছে এত ভারি যে বহন করাই দায়। এই ওজনদার ব্যাগ কি আমরা তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছি না ...??

অতিথি লেখক -- স্বপ্নখুঁজি

ছবি: 
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

হুমম, দেখলে কষ্টই লাগে!

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

হ্যাঁ, কষ্ট থেকেই লেখা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। >> অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

এখানকার[সুইজারল্যান্ড] স্কুলে দুই সেট বই দেয়া হয়। এক সেট স্কুলের ডেস্কে আরেক সেট বাসায় তাই যাতায়াতের সময় বইয়ের বোঝা টানতে হয়না। ঠিক এই বই গুলাই পরের বছর অন্যদের দেয়া হয় তাই ঘন ঘন রিসাইকেল নিয়ে ভাবতে হয়না. ৫/৬ বছর পর বেশি পুরানো হলে তখন বদলে নেয়
আর আমাদের দেশের মত এরা রাজনিতিক সরকার পালটালে দেশের ইতিহাস নতুন করে লিখে না।
আপনার লেখার টপিকটা খুব ভালো দেখি আর কে কি মন্তব্ব্য দেয়

guest_writer এর ছবি

নতুন জিনিস জানলাম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আমাকে মা প্রথম স্কুল ব্যাগ কিনে দিয়েছিলেন ক্লাস টুতে থাকতে চট্টগ্রামের হারমেনমাইনারে পড়ার সময়।
বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের ভারী ভারী স্কুল ব্যাগ বহন করতে দেখে সত্যি কষ্ট লাগে। আপনার মত করে বলি: "সব যদি গেদাকালেই শিখাইতে হয় তাইলে বাকি জীবন কি শিখবে? "

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

মন্তব্যএর জন্য ধন্যবাদ।
>> অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আজকাল অনেক কিছু বদলে গেছে। শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত স্কুলেই তো পড়েছি। কিন্তু আমাদের সময়ে প্রাইমারী হাই কোন স্কুলে আমরা ব্যাগ নিয়ে যাইনি। যে পরিমান বইপত্র ছিল সব হাতের কব্জায় ধরে যেতো। পুরো স্কুল জুড়ে দুয়েকজনকে ব্যাগ নিতে দেখা যেতো। ওরা ছিল ব্যাতিক্রম।

আজকাল একটা নার্সারি বয়সের বাচ্চাকেও ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। কারণ বইয়ের সংখ্যা আমার অতীতের ক্লাস টেনের চেয়েও বেশী। সেই ব্যাগ বহন করার যোগ্যতা শারিরীক অবস্থা তার থাকুক বা না থাকুক। তাকে ওই বোঝা নিয়েই যেতে হবে। ব্যাগের বোঝা না হয় বাবা মা বহন করলো। কিন্তু জ্ঞানের বোঝা কে বহন করবে? এত তাড়াহুড়ো করে শিশুর মাথায় জ্ঞানের বোঝা চাপানোর চেষ্টা করা হয় কেন? যে জ্ঞান আরো পাচ বছর পরে হলেও চলবে, তা এখনি কেন ঠেসে দেয়ার চেষ্টা?

৫ বছরের একটা বাচ্চাকে ৫০ বছরের বয়স্ক মানুষের মতো ব্যস্ত থাকতে হয় স্কুল, পড়া, টিচার, হুজুর ইত্যাদির চাপে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নিলয় নন্দী এর ছবি

বিশ্বাস করবেন কি না জানি না। আমার এক পরিচিত সেদিন আমাকে জানালেন, স্কুল থেকে ভাগ্নীকে নিয়ে ফেরার পথে ভাগ্নী ঠিক মতো হাঁটতে পারছিল না। বাড়ি ফিরে তিনি মেপে দেখলেন ব্যাগের ওজন সাড়ে আট কেজি !
এই অভিশপ্ত শিক্ষা-ব্যবস্থার প্যাঁচে পড়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের হাঁটা একদিন বন্ধ হয়ে যাবে। ল্যাপটপ দোয়েল কোয়েলের নাম শুনিয়ে আর কাজ হবে না।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

আট কেজি !!! কতটা কষ্ট তারা সইছে।

মন্তব্যএর জন্য ধন্যবাদ।

>> অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

"ব্যাগের বোঝা না হয় বাবা মা বহন করলো। কিন্তু জ্ঞানের বোঝা কে বহন করবে? "
মন্তব্যএর জন্য ধন্যবাদ।

>> অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

guest_writter এর ছবি

স্কুলে প্রথম শ্রেনীতে ভর্তির অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য সরকার স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে লটারি ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা দেয়। এর পক্ষে যুক্তি ছিলো প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিশুর অধিকার। আর এই ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে শিশুদের অপ্রোয়জনীয় ও অতিরিক্ত পড়ার চাপ থেকে রক্ষা পাবে।
স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষ সেটা মেনে নেয়, কিন্তু অন্যভাবে। গত কিছুদিন আগে ঢাকায় বসবাসরত আমার একভাবীর সাথে কথা হচ্ছিল। তার ছেলে শহরের একটি কেজি স্কুলে পড়ছে। ভাবী জানালেন, 'তার ছেলে আইডিয়াল স্কুলের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উক্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু লটারিতে না আসায় ভর্তি হতে পারেনি। শুধু তাই নয় অনেকে টাকা দিয়ে লটারির প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।'
অর্থাৎ অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধতো হয়ইনি বরং এর সাথে দুর্নীতি বেড়েছে। অর্থ আদান-প্রদানের মাধ্যমে লটারির ফলাফল আগেই ঠিক করে রাখার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমি নিজে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। এমন অনেক দিন ছিলো যখন স্কুলে গিয়ে বসার জায়গা পায়নি। কিন্তু খাতায় ভুল কোন কিছু শিক্ষকের চোখ এড়িয়ে যায়নি কখনো।
আর আমার বোনকে একটি কেজি স্কুলে ভর্তি করিয়েছি সরকারি স্কুলের শিক্ষার নিম্নমানের কারনে। এখানে অবস্থা আরো বেহাল। প্রতিদিন খাতায় সে ভুল লিখছে, কিন্তু শিক্ষক ভুলগুলো শুদ্ধ করছেন না। অভিযোগ জানালে তিনি উত্তরে জানালেন, 'এত বাচ্চা, সবার দিকে নজর দেওয়া সম্ভব না'।
তিনি মাত্র ৩০ জন বাচ্চার খাতা ঠিক করে দেখতে পারছেন না, তাহলে আমার শিক্ষক কিভাবে ১০০ বা তারও বেশি বাচ্চার খাতা ভালো করে দেখতেন?
এই অসুস্থ ও অপ্রোয়জনীয় প্রতিযোগিতা কি পড়াশোনার মানকে আরো নিম্নমুখী করছে না?
পৃথিবীর কোন দেশেইতো শিশুদের এমন মানসিক চাপ যুক্ত পড়াশোনার মুখোমুখি হতে হয় না।

দীপাবলি।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

"স্কুলে গিয়ে বসার জায়গা পায়নি। কিন্তু খাতায় ভুল কোন কিছু শিক্ষকের চোখ এড়িয়ে যায়নি কখনো।"
মনের কথা বলেছেন।
মন্তব্যএর জন্য ধন্যবাদ।
>> অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ছোটবেলা থেকেই বোঝা বহনে অভ্যস্থ হচ্ছে, ভালইতো। বড় হলে আর ঋণের বোজা, করের বোঝা, আরও কত রকমের না বোঝা বইতে হবে, কে জানে ?
তবে একটা বিষয়ে চরম ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই যে অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপে, তাদে শৈশব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তার কি হবে ?
বিষয় নির্বাচন, ভাল লেগেছে।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।

>>অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

শিশুদের প্রতি রীতিমত আমনবিক অত্যাচার চলছে পড়ালেখার নামে। এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এখনই।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।

>>অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

গৌতম এর ছবি

স্কুলব্যাগ ভারি হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে বিষয়ভিত্তিক খাতা। বিদ্যালয়গুলো এখন শিশুদেরকে বিষয়ভিত্তিক খাতা তৈরি করতে বলে (অনেক স্কুলেই এসব খাতা কিনতে পাওয়া যায়), কেউ বিষয়ভিত্তিক খাতা মেনটেইন না হলে তাদের ভর্ৎসনা করা হয়। একেকটি খাতার ওজন কম নয় এবং প্রায় সবগুলো খাতাই তাদের প্রতিদিন বহন করতে হয়।

একেক বিষয়ের জন্য একেক খাতা থাকবে, এরকম নিয়ম স্কুলগুলো তৈরি করেছে তাদের সুবিধার জন্য। কিন্তু এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিশুদের। খাতার এই বিষয়টা বদলে একটি খাতায় সবকিছু করানোর পুরনো রীতিটি পালন করা হলে ব্যাগের ওজন অর্ধেক কমে যাবে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

লেখিয়া লেখিয়া ভরিয়া ফেলিয়াছ খাতা
ভনভনিয়ে ঘুরছে শুধু ছোট্ট তোমার মাথা ।।

পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।
>>অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

দুর্দান্ত এর ছবি

মন্টেসরি রীতির স্কুলে দেখছি বই খাতার বালাই খুবই কম। বড় মেয়ে তার সপ্তম স্কুলবছরেও স্কুলে যাচ্ছে শুধু টিফিন ও পানিয় সাথে নিয়ে।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

আপনার মেয়ে ভাগ্যবতী।

পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।
>> –স্বপ্নখুঁজি (অতিথি লেখক)া

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমার ছেলেটা ব্যাগের ভারে হাটতে পারে না।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

কষ্টকর ।
পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।
>>অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

দ্রোহী এর ছবি

একটি শিশুর সৃজনশীলতা নষ্ট করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবই খুব যত্ন সহকারে করা হয় আমাদের দেশের স্কুলগুলোতে। মন খারাপ

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।
>>অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

প্রায় দশ-বারো বছর আগে আমার মা ক্লাস ওয়ানে পড়ুয়া স্কুলফেরত আমার এক বোনের পিঠ থেকে ব্যাগ খুলে তার আর ব্যাগের ওজন মেপেছিলেন, দুইটা পাঠই প্রায় কাছাকাছি ছিলো!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

"তার আর ব্যাগের ওজন মেপেছিলেন, দুইটা পাঠই প্রায় কাছাকাছি ছিলো!" কিভাবে বইবে সে এই ভার।

পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ।
>>অতিথি লেখক –স্বপ্নখুঁজি

এবিএম এর ছবি

খুব কষ্ট লাগে এখনকার বাচ্চাদের অবস্থা দেখলে। আমার এক ভাগ্নে এবার কেজি ওয়ানে উঠল মাত্র। কিন্তু ওর বুকলিস্ট দেখে মাথা নষ্ট হবার মত অবস্থা হল। জেনারেল সায়েন্স, বায়োলজি, ম্যাথ, জিওগ্রাফি, ইংলিশ লিটারেচার, এইসব হাবিজাবি জিনিসের জন্য আলাদা আলাদা সব বই !!! মোট বই তার ১২ টার মত ! আর একটা জিনিস অবাক করল খুব। তার একটা বইতে দেখলাম "সি" প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর একটা কোড দেয়া !

কেজি ওয়ান এর একটা বাচ্চার বইতে "সি" প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর একটা কোড দেয়া কেনো, সেটা আমার মাথায় কিছুতে্ই ঢুকল না।

হিমু এর ছবি

বাচ্চাদের পাঠ্যবইয়ের ওপর বুক রিভিউ করতে পারবেন কেউ? অবস্থা তো খুবই খ্রাপ মনে হচ্ছে।

এবিএম এর ছবি

বুক রিভিউ করা দরকার, আর বিষয়টা সবার নজরে আনা উচিৎ.......এত অল্প বয়সে এত জ্ঞান অর্জনের বৃথা চেষ্টার কোন মানেই হয় না! বাচ্চাদের একাডেমিক বই থাকা উচিৎ অল্প কয়েকটা। আর ঘর ভর্তি থাকবে গল্পের বই। সেই বই পড়েই তারা ইতিহাস শিখবে, বায়োলজি শিখবে, বিজ্ঞানের বিষয়গুলো আস্তে আস্তে বুঝবে। একাডেমিক বইয়ের বোঝা না চাপিয়ে অনেক সহজে আর অনেক ইফেক্টিভলি শেখানো যেতে পারে এই বাচ্চাগুলোকে........

এত চাপ নিয়ে যাদের জীবনটা শুরু হয়, তারা চাপ সইতে না পেরে জ্ঞান অর্জনের বদলে অজ্ঞান হয়ে যায় কিনা কে জানে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।