ভালোবাসার দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২২/০৮/২০১২ - ৪:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ধুরো হালার, আগেই বলছিলাম এইসব করে কোনো লাভ হবেনা, কাজের সময় দেখবা একটারেও পাওয়া যাবেনা, এখন বুঝো!!"

২০০০ সালের গ্রীষ্ম, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, দুপুর ১২ টা। প্রবল ঝমঝম বৃষ্টিতে, আমরা আশ্রয় নিয়েছি পাশের মেডিক্যাল গেটের যাত্রী ছাউনিতে। আকাশ কালো আর মেঘে ঢাকা, আমাদের ৪/৫ জনের মুখও আকাশের মতই। আমরা এসেছি আমরণ অনশনে বসতে।

আমরা সবাই শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমি ফার্স্ট ইয়ার ফার্স্ট সেমিস্টারের ছাত্র, ফাইনালটাও তখনো দিয়ে উঠতে পারি নাই। সবচেয়ে জুনিয়র ক্লাসের আছি আমি, আমার বন্ধু নাসির, লম্বা, শুকনা, মুখে চাপ দাড়ি, কখনই হাল ছাড়ে না। সবচেয়ে বড় আছেন মাণিক ভাই, এমএসসির ছাত্র, ভালোমানুষ, ভাবুক চেহারা, মোটা কাঁচের চশমা। ফিজিক্সের খালেক ভাই, উপরের মন্তব্য তারই করা। স্বাস্থ্যবান, লম্বা-চওড়া চেহারা, সহজেই ক্ষেপে যান, সহজেই হাসেন। আজকে অবশ্য ক্ষেপে ওঠা স্বাভাবিক, অনেকেই বলেছিল যে আসবে ৯ টার মধ্যেই, কিন্তু আসেনি।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গত ৭ মাস ধরে বন্ধ। কারণ, জাহানারা ইমাম। ভার্সিটির একমাত্র ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয়েছে জাহানারা ইমাম ছাত্রী হল, যেটা ছাত্র শিবির, সিলেট শহরের জামাতে ইসলাম, শহরবাসীর একটা বড় অংশ, কারোরই মনোপুত হয় নি। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে, জাফর ইকবাল-ইয়াসমিন হক গং এর কালো থাবা থেকে শাহজালাল ভার্সিটিকে রক্ষার পবিত্র চেষ্টায় শরীক অনেকেই। বাজারে জোর গুজব, ভার্সিটি নাম পরিবর্তন করে "গৌর গোবিন্দ" করার বন্দোবস্ত(!) প্রায় পাকা করে এনেছে জাফর ইকবালরা। যে গৌরগোবিন্দের অত্যাচারের হাত থেকে হযরত শাহ জালাল এই জনপদের মানুষকে রক্ষা করেছিলেন, সেই গৌরগোবিন্দ যাতে ফিরে না আসে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি জামাত-শিবিরের। চলছে তাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। সাথে আছে সিলেটবাসীর বড় অংশের সহানুভূতি, সবমিলিয়ে মার মার কাট কাটা অবস্থা।

আরো মজার বিষয় হলো, দেশবাসী সবারই দেখি এই নামকরণ নিয়ে কোনো না কোনো পক্ষে মতামত আছে! কেউ বলেন দেশের একমাত্র পুণ্যভূমি সিলেটে নামকরণ হতে হবে পুণ্যভূমির হিসাবেই, আবার কারো মতে, ছাত্রী হলের নাম জাহানারা ইমাম রাখাটা ৭১এর প্রতি আমাদের দায়শোধ। পুরো দেশের সবারই এইটা নিয়ে মাথাব্যাথা, প্রথম আলোতে ২/৩ দিন পর পরই এইটা নিয়ে বুদ্ধিজীবি কলাম প্রকাশিত হচ্ছে। আমাদের ছাত্রদের নিয়ে দেখি কেউ তেমন চিন্তিত না, সেশন জ্যাম তো হবেই, এটা আর নতুন কী!

আমরা যারা ঢাকার আরো বড় বড় সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে শাহজালালে গিয়েছিলাম, তাদের বড় একটা আকর্ষণ ছিল সেশন-জ্যাম বিহীন ক্যাম্পাস। বড় ভাইদের কাছে শুনেছিলাম ৩ বছর ১১ মাসে কোর্স শেষ হওয়ার কাহিনী,যেখানে তখন বুয়েট-ঢাবিতে ৬ বছর লাগতো। সেই আমরা, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার আগে ক্লাস শুরু করার পরেও, সেমিস্টার ফাইনাল দিতে পারিনি, তার আগে থেকেই ধর্মঘট, ১২ মাসেও ১ম সেমিস্টার আর শেষ হলো না!

বাসায়, বাসার বাইরে মুখ দেখানো দায়। হেভী ভাব নিয়ে শাবিতে পড়তে গিয়েছি, সব ফুটো বেলুনের মত চুপসানো। "এর থেকে তো সিলেট এমসি কলেজে অনার্স পড়া ভালো! তাড়াতাড়ি বের হবে, হেহে" ইত্যাকার মন্তব্যে কান ঝালাপালা। এর মধ্যেই আমার প্রিয় বন্ধু নাসির একদিন ঢাকার বাসায় এসে হাজির। "দোস্ত, এইভাবে বসে থেকে আর সম্ভব না, আন্দোলনে যেতে হবে, অন্য উপায় নাই।"

"বলস কী, আন্দোলন! এইগুলা তো আগে করি নাই কখনো, মাত্র ফার্স্ট ইয়ারে ঢুকলাম, সিনিয়র ভাইরা করলে হয় না?"

"ওদের জন্য বইসা থাইকা লাভ নাই। বলছিলাম ওদেররে, উল্টা আরো ভয় দেখায়, বলে কিনা, সাংবাদিকরা চাইপা ধরলে, উল্টাপাল্টা বললে আরো ক্ষতি হবে, আমরা নাকি এতো প্রেশার হ্যান্ডেল করতে পারবো না। কিন্তু আমি বলে দিছি, আমরা শুরু করতেছি, আপনারা আসেন আর না আসেন"।

"ও আচ্ছা, আন্দোলন কেমনে করে? কী কী লাগে? জানস কিছু? কোথায় করে? সারাজীবন মা-বাপের আদরে থাকছি, কিছুই জানি না। আমরা তো এখন ঢাকায়, ঢাকায় আন্দোলন করলে কি কাজ হবে?"

"ঐসব চিন্তা করিস না। বাসার পাশে আনন্দবাজার আছে, ঐখানে বাঁশ-চাটাইয়ের দোকানে গিয়ে বলবি দশটা হ্যান্ডেলওয়ালা ব্যানার-ফেস্টুন বানায়ে দিতে, ঐটার উপরে পোস্টার কাগজে লিখে আঠা মেরে দিব।, ব্যাস, আন্দোলন শুরু। "

তো এইভাবেই আন্দোলনের শুরু। পরের দিন মিটিং ডাকা হলো টিএসসিতে। অনেকেই আসলেন, হিসাব করে দেখা গেল,কম করেও ২শ শাবি ছাত্র আছে ঢাকায় কনফার্ম, তার ১০০ হাজির করতে পারলেও অনেক। ঠিক হলো, ৩ দিন পর হবে আমাদের প্রথম কর্মসূচি, মিছিল। নাসির সংবাদপত্রগুলোর অফিসে গিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসলো। মিছিলের সামনের লম্বা ব্যানার বানানো হলো নীলক্ষেতে, আর হাতের ব্যানারগুলো আনন্দবাজারের চাটাইয়ের দোকানে। আমার বাসা টিএসসির সামনেই, তাই ঠিক হলো, এইগুলো আমার জিম্মাতেই থাকবে।

৩দিন পর, টিএসসি, সকাল এগারোটা, জমায়েত হচ্ছি আমাদের প্রথম কর্মসূচির জন্য। সর্বসাকুল্যে ৫০ জন এলেন, কী আর করা, ঝাঁকড়া চুলের শিহাব ভাই দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বললেন, "৫০ জনেই করতে হবে, উপায় নাই"; কিছু বাইরের পোলাপানও জুটে গেল, নাসিরের এক ক্যাডেট ফ্রেন্ড তার মহাসুন্দরী গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ডেটিংএ এসেছিল, তাদেরকেও পটিয়ে মিছিলের সামনে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো।

মিছিল বের করব, এমন সময় কলম-ডায়রি হাতে এক লোক পথ রোধ করলো। "নাম, টার্গেট এইসব বলেন"। বললাম "আপনি কে?" "আমি ডিবির (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) লোক, এইখানে যত মিছিল বের হয়, সবগুলোর হিসাব রাখা হয়। আপনাদের দাবী কী, উদ্যোক্তা কারা, এইসব লিখে নিতে হবে, এইটাই নিয়ম।" শুকনা মুখে বললাম "লেখেন, উদ্যোক্তা নাসির, আদনান। আর দাবী হলো....."। মনে মনে ভাবলাম, বেশ বেশ, পুলিশের খাতায় নাম উঠানোর বউনি হয়েই গেল, বাসায় শুনলে না জানি কী বলবে!

মিছিল বের হলে দেখলাম, ডিবির লোকটা তেমন খরাপ না। ওয়াকিটকিতে কাকে যেন কী বললো, আর ওমনি ২ জন পুলিশ আমাদের মিছিলের সামনে পিছনে এসে দাঁড়িয়ে গেল। আমরা যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, ঐ পুলিশরাই ট্রাফিক সরিয়ে দিচ্ছিল। মিছিল শেষ হলো প্রেস ক্লাবে গিয়ে। প্রেস ক্লাবের দিকে যেতেই ফটোসাংবাদিকরা ফটো তোলা শুরু করলেন, এবং তাদের ফটো তোলার স্টাইলে বেশ বড় একটা ভিমড়ি খেলাম।

"আপা, আপনে সামনের দিকে আসেন"। "ভাইয়া আপনে পিছনে সরেন", "ভাইয়া আপনি আপামনিরে সামনে দেন" এইসব বলে মিছিলের সামনের সারিকে একেবারে মেয়েদের বানিয়ে ফেললো, আর তার মধ্যমণি হলো নাসিরের সেই ক্যাডেট ফ্রেন্ডের গার্লফ্রেন্ড। এরপর ছবি তোলা শুরু হলো ঝাঁকে ঝাঁকে। দেখে মনে হচ্ছিলো, মিছিলের না, আসলে সেই মেয়েদের ছবিই যেন তারা তুলছে। ১২ বছর আগের সেই নাদান আমি, এক ফটোসাংবাদিককে জিজ্ঞাসাই করে ফেললাম, "ভাই আপনারা খালি মেয়েদের ছবি তুলতেছেন কেন?" তিনি একগাল হেসে বললেন "মেয়েদের ছবি না থাকলে পত্রিকার পাঠকরা সেদিকে তাকাবেইনা,আপনার আন্দোলনের খবরও কেউ পড়বেনা" ।, অতন্ত সৎ জবাব। সেইদিনের পর থেকে, খবরে "আজ এসএসি পরীক্ষা শুরু" জাতীয় খবরে, শুধু ছাত্রীদের ছবি দেখে আর বিস্মিত হইনা।

তো যাই হোক, এর পর শুরু হলো আমাদের আন্দোলন জীবন। মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট। মৌন মিছিল। চ্যান্সেলরকে স্মারললিপি প্রদান। মানব বন্ধন। ঢাকা মেডিকেলে। বুয়েটে।একদিন গেলাম জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটিতে। সেইখানে বড় বড় মূর্তি দেখে এক বিস্মিত সিনিয়র ভাই মন্তব্য করলেন, এইরকম একটা মূর্তি আমাদের শাহজালালে বানাইলে তো পুরা ৫ বছর ভার্সিটি বন্ধ থাকবো! আমরা কষ্টের হাসি হাসলাম। (সুখের খবর, গত বছর শাবিতে ৭১ স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ভার্সিটি কিন্তু বন্ধ হয়নি!)


(ছবি: "চেতনা ৭১", শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মারক ভাস্কর্য। ছবিসূত্র।)

এর মধ্যে টিএসসিতে আমাদের নিয়মিত সভা অব্যাহত আছে। আমরা একত্রিত হই, মানুষজন আস্তে আস্তে আরো বাড়ে। খুব সাবধানে আন্দোলনের পথ ঠিক রাখতে হয়, অনেকেই বলে আন্দোলনকে সোজাসুজি জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে নিয়ে যেতে, কিন্তু ঠান্ডা মাথার অন্যান্য লোকজন বলে, এতে সাধারণ লোকের সহানুভূতি হারানোর চান্স আছে। অন্যান্য ভার্সিটিতে পড়া আমাদের বন্ধুদের আসতে বলি, কেউ আসে, কেউ আসেনা। প্রথম প্রথম মেজাজ খারাপ হতো, আমাদের এত বড় সমস্যা, আর এরা একবার আসতেও পারেনা?? কেন!! পরে বুঝি, আসলে আমরাই তো কতবার কত জায়গায় যাইনি। সবাইকে সবজায়গায় চাওয়াটাও ভুল।

এর মধ্যে বুঝে গেছি, শেষ পর্যন্ত আমরণ অনশনেই বসতে হবে। আমাদের আন্দোলনের ছবি পত্রিকায় আসে, কিন্তু সাড়া পাওয়া যায় না তেমন। আমাদের চ্যান্সেলর, প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দীন, ভালো মানুষ হিসাবে দেশজোড়া খ্যাতি, তার কাছ থেকেও তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। বাসাতেও এইসব আন্দোলন নিয়ে মা অসন্তুষ্ট। বাবার কোনো সমস্যা নাই। তবে একদিন বললেন, পরের বছর ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আবার অংশ নিতে, বুয়েটেরটা আগেই হয়ে গেছে। অত্যন্ত অভিমান হল।

বুঝতে পারলাম, আমার ভার্সিটি আসলে আমি মনে প্রাণে বরণ করে নিয়েছি, এটা আর বদলানো আমার পক্ষে সম্ভব না। সিলেটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে যে মুগ্ধতার শুরু, সেটা রয়ে গেছে আজ ১৩ বছর পরেও। আমার ভার্সিটি, "এ" বিল্ডিং, আমার ডিপার্টমেন্ট, আমার সহপাঠীরা, আমাদের বাসগুলো, যেগুলোয় চড়ে বসলে চা বাগানের ভেতরেও ঘুরে আসে, ডিপার্টমেন্টের সেই ল্যাবে রাত আটটা পর্যন্ত কাজ করা, সন্ধ্যা বেলা খালি ক্লাসে গানের প্র্যাকটিস করা, ঝুম বৃষ্টিতে রাতের বাসে করে ঘরে ফেরা। সিলেটের বৃষ্টি, সিলেটের সেই সবুজ পাহাড়গুলো। আমি ঠিক করলাম, পড়লে এখানেই পড়ব, নাইলে নাই।

একদিন মিটিংএ শিহাব ভাই আবার দাঁতমুখ খিঁচিয়ে বললেন, আর দেরী করা যাবে না, পরবর্তী কার্যক্রম--আমরণ অনশন। এসপার নাইলে ওসপার। শহীদ মিনারে বসতে হবে। প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দীন যদি এখন কিছু করেন। একটু ভয় পেলাম, এইগুলা কেমন হয় তাও জানিনা। আসলেই না খেয়ে থাকতে হবে? কেউ যদি অনশন ভাঙাতে না আসে, তখন কী হবে? ঠিক হলো, পরের সপ্তাহেই সবাই অনশনে বসছি। ২০০ জনের একটা তালিকাও করা হলো। সকাল ১০ টা থেকে শুরু।

অবশেষে এসেও গেল সেই দিন। সকাল ১১ টায়, হাজির মাত্র ৫ জন। শহীদ মিনারের সামনের ঘাসে গোমড়া মুখে বসে আছি সবাই। এরমধ্যেই শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি।

(২য় পর্বে সমাপ্য)

----দিফিও

স্মৃতিচারণ লেখা নিয়ে আমি কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ---যে জিনিসগুলো আমার মনে খুব উজ্জ্বলভাবে দাগ কেটে আছে, সেটা পাঠকের মনেও যে সেভাবে দাগ কাটবে, এমন কোনো কথা নেই। আর এই লেখটা সচলে দিচ্ছি, তাই লেখাটার গুণগত মান নিয়েও আমাকে কিছুটা ভাবতে হয়েছে। বাংলাদেশে বেশীরভাগ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন একটা নিয়মিত ব্যাপার, সেটায় অংশগ্রহণকারীর অভিজ্ঞতার লেখা খুব বেশী সচলে দেখেছি বলে মনে পড়ছেনা, সেই হিসেবে এই লেখাটা হয়ত কিছুটা মূল্য পাবে। লেখার মান নিয়ে সব মন্তব্যকে স্বাগতম (এবং অবশ্যই বাকী সব মন্তব্যও স্বাগতম)।

লেখায় কিছু নাম বদলে দেওয়া হয়েছে।


মন্তব্য

পিয়াল এর ছবি

ভালো লাগছে, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, পরের পর্ব আসছে।

--দিফিও

অতিথি লেখক এর ছবি

শাবিপ্রবি'র সাথে পারিবারিক সম্পর্ক।

চলুক।

---ফ্রুলিংক্স

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--দিফিও

অতিথি লেখক এর ছবি

পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই। লেখায় চলুক
-ব্যাঙের ছাতা

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, পরের পর্ব দেব তাড়াতাড়িই।

--দিফিও

--দিফিও

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আপনার হেডিং দেখে ভয় পেয়েছিলাম। ব্লগের পাতায় ভালোবাসা শিরোনামের পোস্ট রীতিমত আতঙ্কের।

অচল এর ছবি

সুমনদা, ভালোবাসা শব্দটা কেন আপনের কাছে এত রীতিমত আতঙ্কের, কেন এমন অশৌচ পালন করেন ভালোবাসা বিষয়ক পোস্টগুলাতে। মজা করে জিজ্ঞাসা করছি কিন্তু, আবার সিরিয়াসলি নিয়েন না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কারণ, ভালোবাসা সুমন্দারে ভিখিরি করেছে বটে, কুইন এলিজাবেথরে ভাবী বানাতে পারেনি আদৌ!

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো আপনার কথাটা ধর্তে পার্ছি

---দিফিও

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

ব্লগের পাতায় ভালোবাসা শিরোনামের পোস্ট রীতিমত আতঙ্কের। হো হো হো

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, আপনি কোন সেশন?
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক। আহ! আমার বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃষ্টি'র রঙ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ! আমি অনেক আগের সেশন হাসি

--দিফিও

আবছায়া এর ছবি

ভাইয়া মনে হয় ৯৮ব্যাচ, সিএসই!! হাসি

অচল এর ছবি

লেখা ভাল্লাগছে ... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাহবুব রানা এর ছবি

সন্ধ্যা বেলা খালি ক্লাসে গানের প্র্যাকটিস করা

ক‌্যান্টিনেও টেবিল চাপড়ায়ে প্র‌্যাকটিস করসেন কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যাঁ,, আমি না করলেও বন্ধু-বান্ধবরা তো করেছেই!

আমার ফার্স্ট সেমিস্টারে ক্যান্টিনটা বেশ ছোট ছিল, ঠিক জুত করে গান গাওয়ার মত না। এখন শুনেছি বড় আরেকটা ক্যান্টিন হয়েছে, আমার দেখা হয়নি অবশ্য। প্রিয় জায়গাটার অনেক কিছুই বদলেছে, আমার দেখা হয় নি মন খারাপ

---দিফিও

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস, এইটা পড়ার জন্য আর ২য় পর্ব চাওয়ার জন্য, শীঘ্রই দিয়ে দিব।

---দিফিও

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

এর মধ্যেই আমার প্রিয় বন্ধু নাসির একদিন ঢাকার বাসায় এসে হাজির। "দোস্ত, এইভাবে বসে থেকে আর সম্ভব না, আন্দোলনে যেতে হবে, অন্য উপায় নাই।"

আচ্ছা, নাসির(ভাই)-এর কি এমন কোন বন্ধু আছে সে যার প্রিয় না?
এই ঘটনারও যে একদম শুরুর দিকে নাসির ভাই ছিলো (পরের আরও অনেক কিছুর মত) এইটা জানতাম না -- জানানোর জন্য ধন্যবাদ !
আর শিহাব ভাইয়ের নামের শেষ অক্ষরটা একটু উল্টাপাল্টা হবে তাই না?
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতেসি -- তাড়াতাড়ি ছাড়েন।
আর লেখার মান নিয়ে এত কাঁচুমাচু করার কিছু নাই -- আপনি অনেক ভালো লেখেন; তার উপর এই ঘটনার তো একটা ঐতিহাসিক মূল্য আছে -- অন্তত আমাদের(শাবিপ্রবির ছাত্রদের) কাছে!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি আর "শিহাব" ভাইরে চিনলা কিভাবে? ঝাঁকড়া চুল দেখে, না দাঁত কিড়মিড়ানি দেখে? হাহাহাহাহা, মজা পাইলাম দেঁতো হাসি

উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এই লেখাটা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা, আরো অনেকের কথাই বাদ পড়েছে স্বাভাবিকভাবেই।

---দিফিও

শাহরিয়ার  এর ছবি

সুন্দর লেখা হাসি
শেষটা দেখার জন্যে উন্মুখ হয়ে আছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। পরের পর্বও দিচ্ছি কিছুদিনের মধ্যে।

---দিফিও

Anisul Huq এর ছবি

বন্ধুর এই লেখাটা পড়ে অনেক পুরানো কথা মনে পড়ে যাইতেছে| ওই সময় আমি থাকতাম চট্টগ্রামে| ওই খানেও আমরা আন্দোলন শুরু করি| বেশ কিছু সিনিয়র ভাইয়েরা (আমাকে ক্ষমা করবেন, মানুষের নাম আমার খুব একটা মনে থাকে না; বংশে alzheimer's এর সমস্যা আছে!) + আমাদের করিতকর্মা সনৎ, দিদার ভাই মিলে মিটিঙ করেছিলাম স্টেডিয়াম এলাকায়| অনশন করেছিলাম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে| পরে অবশ্য আমিও ঢাকায় গিয়েছিলাম অল্প সময়ের জন্য|

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

এই করিৎকর্মা অসাধারণ মানুষগুলো মিলেই পরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকেও এমন রঙিন করে তুলেছিলেন!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

---দিফিও

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আনিস, ঐ সময়ের কথাগুলা আসলে মনে খুব বেশী করে দাগ কেটে আছে। চট্টগ্রামের আন্দোলনের কথা মনে করায় দিলি, ধন্যবাদ! আর আমার এই লেখাতেই কত মানুষের কথা যে বাদ পড়ছে, সেটা এখন টের পাচ্ছি, যারা কোন ভাবেই আমার থেকে কম খাটে নাই। তাও ভাবলাম, আংশিক লেখা ইজ বেটার দেন নো লেখা!

---দিফিও

নবীন পান্থ এর ছবি

দারুন বন্ধু। ,,,,,,,,,,,,,,,, চালিয়ে যাও।
শেষটা দেখার জন্যে বসে আছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!
---দিফিও

অতিথি লেখক এর ছবি

একটি আন্দোলনের সূচনা দেখছি? ভালো লাগছে - ২য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
-অয়ন

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ! কিছুদিনের মধ্যেই দেব আশা করি।

---দিফিও

স্যাম এর ছবি

চলুক

শামীমা রিমা এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
শাবিপ্রবিতে এখনও পড়ছি। শাবিপ্রবি বিষয়ক লেখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি।

সৌরভ কবীর

দিঘ্রাংচু এর ছবি

এই নাসির কি সিলেট ক্যাডেট কলেজের নাসির ভাই? উনি কলেজে থাকতে একটা কবিতা লিখেছিলেন ম্যাগাজিনের জন্য-আবার যুদ্ধ হলে রাজাকার হব। অসাধারণ কবিতা, উনারে একটু ব্লগে আনন যায় না?

নাসির এর ছবি

মনে আছে এখনও ? হা হা হা...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আমি আপনার স্মার্ট গদ্য পড়ে বিমোহিত!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।