সেনইয়াং এর পথে একদিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৩/১২/২০১২ - ১০:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোট বেলায় খুব স্বপ্ন ছিল একদিন বড় হয়ে ঘুষখোর পুলিশ কর্মকর্তা (একান্তই নিজের ইচ্ছে)হবো কিন্তু সে স্বপ্ন আমার পূরণ হয়নি। তারপর এমনি অনেক স্বপ্ন ভেঙ্গেছি আর গড়েছি।অবশেষে ছোট ছোট কিছু স্বপ্নকে রঙ দিতে নিজ জন্মভূমিকে ছেড়ে পরবাসী জীবন মেনে নেওয়া ।২৬ শে সেপ্টমবর ঢাকা থেকে রাত ২ টায় আমার ফ্লাইট চাইনা ইস্টার্ন এয়ারলায়েন্স এ, রাত ১০ টার মধ্যে এয়ারপোর্টে পৌছে গেলাম এবং তারপর থেকেই বিড়ম্বনার শুরু।

প্রথমেই বলা প্রয়োজন যে এমন পরিস্তিতি জীবনে প্রথম বারের মত আমার সামনে এসে দাড়িয়েছে। টলমল চেখে নিজের চেনা পৃথিবীটাকে ছেড়ে এবার সামনে যাবার পালা, ভেতরে ঢুকে কাছে রাথা জিনিসপত্রের নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে চুপচাপ দাড়িয়ে (ভেবেছিলাম এয়ারপোর্টে সব কিছু গোছানো হবে)। খোজাখুজি শেষে চেক ইন কাউন্টারের লাইনে দাড়ালাম ।এমা একি, লম্বা লাইনের মাঝ থানে আমি আর আমার সামনে পেছনে সব পুতুল।অবশেষে কাস্টম কর্মকর্তা কে আমার পাসপোর্ট ও টিকিট দিতেই তিনি বললেন আরেক বার চেক করিয়ে আসুন (খুব সম্ভবত আমার পাসপোর্ট নতুন হবার কারনে বিশেষ নিরপত্তা)।চেক করতে যেয়ে অফিসার আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়,মন্ত্রালয় থেকে শুরু করে সকল কাগজপত্র দাবি করলেন,সব কিছুই দেথালাম কিন্তু তিনি এবার মধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সনদ চাইলেন।ভাবছি এতকিছু দেখানোর পর সনদের প্রয়োজনীতা কি?জানতে চাইলাম সনদ যদি না থাকে কাছ(কারন আমি সনদ নিয়ে আসি নাই)?সোজা কথায় উত্তর আপনি যেতে পারবেন না,কিন্তু এ যাত্রাই বড় ভাইয়ের জন্য রক্ষা, সাথে মুক্ত পরামর্শ সব কিছু সাথে রাখুন সব খানে দেখানো লাগবে(তার ব্যবহার দেখে বুঝতে বাকি থাকে না একটা বংলাদেশী পাসপোর্টের অধিকারী হওয়া কতটা অপমান(দেশ কে সব কিছুর উর্দ্ধে রেখে) আর বিড়ম্বনার তার শুরু হয় এখান থেকেই) । তারপর বোডিং কার্ড হাতে ইমিগ্রেশন এর বাইরে দাড়িয়ে,কারণ মোবাইল সহ সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখতে হবে।

হাজারো ভাবনায় স্থির পাথরের মত দাড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষণ,তারপর কাছের সব মনুষ গুলোর সাথে শেষ বারের মত কথা বলা।আর হয়তো কোনদিন কথা নাও হতে পারে এই ভেবে বুকের হৃদ স্পন্দন বেড়েই চলেছে।এবার এই ছেলে মানুষী ছেড়ে একটু বড় হবার চেষ্টা।এবার ইমিগ্রেশন এর জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছি আছি আছি,পাশের সাতটা লাইন শেষ কিন্তু আমার অবস্থান একই।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ০১.৫৫,আর মত্র ৫ মিনিট। তবু নিশ্চিনতে দাড়িয়ে এই ভেবে পাইলট চাচাই আমারে রেখে যাবে না।রাত ২.১৫ গেট-৩সি নিরাপত্তা তল্লাশি,একজন এসে কানেকানে বলে আপনার কাছে কোন বাংলা টাকা আছে?(বুজতেছি না চোরের মত বলল কেন?)এইবার মনে পড়েছে আমার কাছে অনেকগুলো টাকা আছে যেগুলো আমি Exchange করতে ভুলে গেছি।আমিও কানে কানে বললাম অছে কিছু,দেখাও-ভাবলাম গেল।এবার ব্যাটাই ডলার খুজে পাইছে,কয় কত আছে-কনফিডেন্ট নিয়ে বললাম ১০০০(কোন উপায় ছিল না,এক্স ক্যাটাগরির ভিসার জন্য কেউ এনডোর্স করে দিতে চাই না),অমার পাসপোর্ট এ এনডোর্স করা আছে।এইবার যদি বলে দেখাও-তাহলেই গেল ৩০০০ ডলার।হঠাৎ আমার হাত ব্যাগ থেকে কিছু বের করছে,অনেক কৌতুহল নিয়ে।বন্ধুর দাবি রাখতে যেয়ে এমন বিবরত কর অবস্থায়,কিন্তু এটা হাত ব্যাগে আসলো কিভাবে?এবার দেখামাত্র অফিসার আমার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে আর বাকিরা মিটমিট করে হাসে। বলতেই পারলাম না আমি ভাল ছেলে ওটা আমর না,বন্ধুদের জন্য জান দিতে পারি ওটা তার ই নমুনা।

ভেবেছিলাম বাংলাদেশে অন্তত প্লেনের যাত্রাসময় ঠিক থাকে কিন্তু আমার সে আশায় গুড়েবালি।তখন রাত ২.১৫, ওয়েটিং রুমে ঢুকতেই বুঝলাম বাংলাদেশ অধ্যায়টা শেষ।এক চাইনীজ কে জিঙ্গেস করলাম আমি কি আপনার পাশে বসতে পারি?তিনি বললেন না,একটু অবাক হয়ে ফিরে আসছি,তিনি আমারে ডেকে বসতে বললেন(দুই বার-ই ইশারাতে)।বুঝলাম আমার প্রশ্ন বোঝেনি উনি, তার পাশে কেউ আছে কিনা এমনটা ভেবেছে।মোবাইলটা অন করলাম,পাইলটের সতর্কতার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু আপন মানুষের কাছে পৌছানোর শেষ চেষ্টা,কিন্তু পারিনি।যাইহোক প্লেনে ৩৪এল জানালার পাশের সিটটি আমার কিন্তু আমার সিটে একটা মদনা (কেবিন ক্রু,ডক্তার)পা দুইটা আকাশে দিয়ে পাশের সিটে বড় একটা ট্রাংক রেখে মরার মত ঘুমাচ্ছে।একজন বিমানবালারে জিঙ্গেস করলাম সিটটি কি আমার?তিনি হ্যা বলেই দৌড়,বুঝলাম না কেন?কয়েকবার ডাকার পরে সে আমার সিটটি ছেড়ে দিল।কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি হাটা শুরু করল,বুকের ভেতর ঢিবঢিব করে।১০-১৫ জন বাদে যত্রীরা সবাই চাইনীজ,তাই চোখ বন্ধ করে আমিই সূরা ইউনূস পড়া শুরু করলাম।চোখ খুলে দেথি আমি ঢাকা শহর থেকে কয়েক শত ফিট উপরে।জানাল দিয়ে বাইরে তাকাতেই ভয়ে বুক কেপে উঠছে,বিমানটা শূন্যে ভেসে আছে, মনে হচ্ছে নড়াচড়া করলেই পড়ে যাবে।

গত ৭দিন থেকে খাওয়া ঘুম কিছুই হয়নি,তাই ঘুমানোর একটা মিথ্যে চেষ্টা করলাম।এবার খুব খিদে পেয়েছে,কিছুক্ষণের মধ্যে রাতের খাবার চলে আসলো্।রাইস,আধা সেদ্ধ মুরগি,আর কি জানি সব লতাপাতা,হাতে নিয়ে বসে আছি।আসে পাশের সবার খাওয়া দেখে পেট না ভরলেও মন ভরে গেছে,খাওয়া আর হল না।কিছুক্ষণ পর দেখি পূর্ব আকাশে একটা রক্তিম সূর্য চারপাশে লাল টকটকে আভা নিয়ে উঠেছে প্রভাতের জানান দিতে,আর আমার চারপাশে শুধু মেঘেদের লুকোচুরি।পৃথিবীর নতুন এক রুপ-সৃষ্টিকর্তার নিজ হাতে গড়া,বিমহিত হযে রইলাম কিছুক্ষণ যেন সমস্ত পৃথিবীই ভুলে গেছি।হঠাৎ ই চাচা মিয়ার ঘোষণা আমরা ২০ মিনিট এর মধ্য কুনমিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছে যাব,বাইরের তাপমাত্রা,আদ্রতাসহ কিছু নির্দেশনা।সকাল ৬.০৫,বিমানটা দুম করে মেঘের মধ্য থেকে মাটিতে নেমে আসলো।আসল বিড়ম্বনার শুরু,বিমান থেকে বের হতেই শীতে কাপতে শুরু করেছি।এখান থেকে সকল যাত্রীদের গন্তব্য(Tibet,Beijing,Hunan,Shanghai, Guangzhou etc) আলাদা হয়ে যাবে,একজন কে জিঙ্গেস করলাম কোন দিকে যাব?সে ইশারায় টিকিট চেয়ে ইশারাতে রাস্তা দেখিয়ে দিল।এরাইভাল কার্ড পূরণের ৫ মিনিটের মধ্যে ইমিগ্রেশন,লাকেজ নেওয়া শেষ যা আমি ৪ ঘন্টা ধরে করেছি ঢাকাতে।

আমার পরবর্তী ফ্লাইট সকাল ১০.৪৫ এ,তখন মাত্র ৬.৪৫ আর ফ্লাইট এর ৩ ঘন্টা পূর্বে কোন বোডিং কার্ড দিবে না।ওয়েটিং রুমে একা বসে আছি,কোথাও কেউ নেই তবু ফ্লোরে ল্যাপটপ ও কিছু মোবাইলে চার্জ হচ্ছে বুঝলাম সত্যিই নতুন একটা পরিবেশে চলে আসছি।হঠাৎ মনে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল এফেয়র বিভাগে একটা কল করতে হবে,নইলে আমারে নিতে কেউ আসবে না।এবার মুরগি খোজার পালা,যার মোবাইল থেকে একটা কল করা যাবে। একটা সিগেরেট নিয়ে মুরগি আর ধুমপানের জন্য উপযুক্ত জাইগা খুজতে শুরু করলাম। Smoking Room এ ঢুকে দেখি একজন কথা বলছে।তার কথা শেষ হতেই তারে সব কিছু খুলে বললাম,একটা কল করতে চাইলাম।সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু হাসে,কোন কথা বলে না।ব্যাটা নন্দু আমার কথা একলাইনও বোঝেনি।এবার ইশারা করে বুঝাচ্ছি তাও বোঝে না।তার ধারণা অমি বাড়ী ফোন করতে চাচ্ছি।সে শুধু একটা ইংরেজি জানে sorry.কথা শেষে তার দৌড়ে পালানো দেখে মনে হল যমের কাছ থেকে বেচে গেল।

সকাল ৯.৩০ তৃতীয় তলায়,কিছু Authenticated Machine বসানো আছে সেলফ চেক ইন করতে হবে।হায়,সবকিছু চাইনীজ ভাষা,একজনরে বললাম করে দিতে কিন্তু আমারটা সাপোর্ট করে না।অবশেষে কাউন্টারে,ভদ্র মহিলা আমারে কিছু জিঙ্গেস করছে কিন্তু কি বুঝতেছি না।সরি বলতেই আবার বলল,বুঝলাম ইংরেজীতেই কিছু বলছে,আবার সরি, আবার বলল(ইংরেজী হলেও উচ্চারণ চাইনীজ ভাষায়,বোঝাটা প্রায় অসম্ভব),এবার বুঝছি সিট রিজার্ভেশনের জন্য বলছে,জানালার পাশে চাই কি না-বললাম হ্যা,যদি সম্ভব হয়।এবার ১৮নম্বর গেটে তল্লাশি শেষে আর খুজে পাচ্ছি না কোথায় যাব।এয়ারপোর্টটা এত বড় দিশা পাওয়া কঠিন।একটা গেট দিয়ে ঢুকলাম,ভেতরে আরো ৬০-৭০ টা গেট।এক চাচারে বললাম তিনি আমারে নিয়ে ডেস্ক এ গেলেন তারপর কি বলেছে আমি বুঝিনি,২৭নং গেটে বসলাম।ডান পাশে চাচা-চাচি আর বাম পাশে তার বন্ধু,তারপর ৩জন মিলে আমারে কতগুলো প্রশ্ন করেছে কিছু বুঝি নাই।বললাম আমি চাইনীজ জানি না,আমি ইংরেজী জানি।তখন তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল আমি বড় অন্যায় করে ফেলেছি,তারপর থেকে আর কখনও কোথাও বলিনা আমি ইংরেজী ভাষা জানি(মহাপাপ)।অতপর ফ্লাইটে, সেনইয়াং এর পথে।

প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে,তাই কোন কিছু না ভেবেই ঘুমিয়ে গেছি,হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখি ফ্লাইট ল্যান্ড করছে। কিন্তু ভাবছি মত্রই তো ঘুমালাম,এত তাড়াতাড়ি কিভাবে ৫ ঘন্টার রাস্তা চলে আসলাম।পরে ভাবলাম আমি ঘুমালে তো পুরো পৃথিবী ভুলে যায়,ঠিকই আছে মনে হয়(ভৌগলিক অবস্থানের পার্থক্য আর ফ্লাইট ডিলের জন্য ঘড়ি দেখিনি)।নেমেই আর্মির কসটিউম(কাস্টম অফিসার)পরা এক ভদ্র মহিলাকে জিঙ্গেস করলাম আমি কোথায়?সে আমার কথা না বুঝতে পারায় আরেক জনকে ডেকে আনলো, জিঙ্গেস করলাম আমি কি এখন সেনইয়াং এ,উত্তর হ্যা।এখন আমাকে কি করতে হবে?২০মিনিট অপেক্ষা করুন,তারপর আপনার আরেকটা ফ্লাইট আছে।হ্যা,বলে কি?আমি যদি সেনইয়াং এ থাকি তাহলে আবার আমারে কোথায় পাঠাবে?কিছুক্ষণ পরে আমার হাতে একটা বাড়তি বোডিং কার্ড দেখে বুঝলাম যাত্রাবিরতির জন্য মাঝখানে Xi’an বিমান বন্দরে নেমেছি,যেটা আমার টিকিটে এত ছোট করে লিখা ছিল যে আমার চোখেই পড়েনি।পরে যেটা বুঝলাম Xi’an এর উচ্চরণ শিয়ান আর Shenyang এর উচ্চরণ সেইয়ান(চাইনীজ)তাই এই বিড়ম্বনা।অবশেষে শিয়ান থেকে সেইয়াং এর পথে কিন্তু ততক্ষণে আমি ক্ষুধায় মরি।দুপুরের খাবার ঘুমের মাঝেই ফিরিয়ে দিয়েছি,১দিন ধরে আকাশে,পুরো শরীর ড্রিহাইড্রেট হয়ে গেছে,শ্বাষ কষ্ট,বুকের ব্যথা হচ্ছে,নড়াচড়া করতে পারি না ।পানি আর অরেন্জ জুস চেয়ে নিলাম,জীবনে এত তেত জুস কখনো খায়নি ভাবলাম আমিই মনে হয় তেত হয়ে গেছি কিন্তু আসলেই জুসটা তেত ছিল।

সন্ধ্যা ৫টায় ১ঘন্টা দেরিতে সেনইয়াং এয়ারপোর্টে পৌছালাম।সব কিছু শেষে বের হয়ে বন্ধুবর মামুন এর সাথে দেখা।এবার ক্যাম্পাসে যাবার পালা কিন্তু ড্রাইভার গাড়ি খুজে পায় না। অবশেষে আধা ঘন্টা খোজার পর গাড়ি পেযেছি কিন্তু এবার ততক্ষণে আমার গায়ের তাপমাত্রা ১০৩ এর উপরে।

নোট: খন্ড খন্ড কিছু অবসর কে জোড়া লাগিয়ে, সুন্দর কিছু সমযের প্রত্যয়ে এই লেখা।দু:খ আর লজ্জাজনক হলেও বাংলা লেখাটা আমার কাছে একটা যুদ্ধের সমান তবু সাহস করে লিখলাম।ভাষাগত(কিছু ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেছি,যার কিছু সঠিক বাংলা শব্দ বা ভাষায় সঠিক প্রয়োগ জানা নেই) ও বানানের অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য সকলের নিকট ক্ষমা প্রার্থী।

ফিরোজ কবির
School of Computer Science & Information Technology
Shenyang University Of Chemical Technology
Shenyang,China 110142
রিক্তের(নিবন্ধিত)

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আসলেই চায়না গেছেন অথচ চায়নিজ জানেন না, এতো রীতিমত অপরাধ। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

জান্‌তাম চাইনীজ ভাষা জানাটা জরুরী,কিন্তু এতটা জরুরী জানতাম না।

-----------------------------------
রিক্তের

মৌনকুহর এর ছবি

আপনার রসবোধ বেশ! লেখালেখি চলুক! হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ।

------------------------
রিক্তের
কবিকে ভালবাসা মরন,
কবিকে বিদ্রুপ করা মরন,
কবি হওয়া মরন।

কৌস্তুভ এর ছবি

প্রথমবার একা একা বিদেশযাত্রার সবস্ময়েই একটা অন্যরকম ব্যাপার, কিছুটা অনিশ্চয়তা কিছুটা বিস্ময় কিছুটা হ্যাপা...

প্লেনের অরেঞ্জ জুস সবসময়েই তেতো আর টক হয়, আমি তাই অ্যাপল জুস নিই।

আমাদের ওডিন্দা তো কয়দিন আগেই চীনে গেল, তার মনে হয় ভাষা নিয়ে এয়ারপোর্টে এত হ্যাপা হয় নি?

অতিথি লেখক এর ছবি

ওডিন্দা কোথায় আছেন? আমরা এখানে যারা বাঙ্গালী আছি তাদের তুলনা্য আমার সমস্যাই সব চেয়ে কম হয়েছে ।আর সবার গল্প আরো ভয়াবহ।ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

---------------------------------------------------
রিক্তের
কবিকে ভালবাসা মরন,
কবিকে বিদ্রুপ করা মরন,
কবি হওয়া মরন।

নুভান এর ছবি

নি হাও। চায়নাতে চায়নিজ ভাষা না জানা থাকলে অবশ্যই সমস্যা হবে, কিন্তু আপনি যদি কোন সমস্যায় পড়েন আর কারও কাছে সাহায্য পেতে চান, ইংরেজী ভাষায় কখনও বয়ষ্ক কারও কাছে সাহায্য চাইবেন না, কারন তাদের ইংরেজি জানার পরিধি বেশ কম। বরঞ্চ বাচ্চা ছেলে বা কিশোরদের কাছে জানতে চাইবেন, নতুন প্রজন্ম বেশ ভালো ভাবেই ইংরেজী শেখার চেষ্টা করছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

নি হাও।হ্যাঁ,ঘটনা সত্য তবে তারাও ইংরেজি বলাটা খুব অপছন্দ করে। আপনার পরামরশের জন্য ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------
রিক্তের
কবিকে ভালবাসা মরন,
কবিকে বিদ্রুপ করা মরন,
কবি হওয়া মরন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রথমে ভেবেছিলাম মন্তব্যে অনেক কিছু বলবো, পরে ভাবলাম - না, থাক। আপনাকে যেহেতু আরো অনেক অনেক দিন চীনে থাকতে হবে, তাই সব কিছু ঠেকে ঠেকে শেখাটাই ঠিক হবে। বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েরা যে একদিন লি-ঊ নিঙ (লিয়াওনিঙ)-এর মুকদেন (সেঙিয়াঙ)-এ পড়তে যাবে সেটা কোনদিন ভাবতেও পারিনি। আপনাদের এই স্পিরিটকে শ্রদ্ধা জানাই। এখন তো ওখানে ভয়াবহ শীত হবার কথা। সামনে আরো কঠিন দিন আসছে। তবে এক সময় দেখবেন দেশটা সুন্দর, আর তার মানুষগুলোও মন্দ না। ভালো থাকবেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তবের জন্য। আপনাদের অনুপ্রেরণা আর ভালবাসাই আমাদের প্রবাস জীবনের সঙ্গী। হ্যাঁ, শীতটা দিন দিন বাড়ছে আর দেশ টা সত্যি মন্দ না।ভাল থাকুন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনাকে ঈর্ষা জানাচ্ছি ঢাকা এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন এতো সহজে পেরিয়ে গেছেন বলে, বিশেষ করে অধ্যায়ন ভিসায় বিদেশ যেতে। চীনে ভালো থাকুন আর প্রবাসজীবন নিয়ে লিখতে থাকুন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, আশা করি খুব তারাতাড়ি আরো কিছু লিখা দিতে পারব আপনাদের জন্য, তবে কতটা ভাল লাগবে আপনাদের জানি না। ভাল থাকুন।
--------------------------------------
রিক্তের

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

নি হাও!!! লেখা চালিয়ে যান। কয়দিনের মাথায় দেখবেন ইংলিশের থেকে বাংলা টাইপ তাড়াতাড়ি হচ্ছে দেঁতো হাসি
লেখা চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

নি হাও, আসলে বাংলা টাইপ কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হল আমি ইউনি কোডে লিখাটা পছন্দ করি না।কারনটা যদিও হাস্যকর।ভাল থাকুন, ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
রিক্তের
কবিকে ভালবাসা মরন,
কবিকে বিদ্রুপ করা মরন,
কবি হওয়া মরন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।