নাস্তিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৩/২০১৩ - ১০:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা জানি মুসলিম মারা গেলে কবর দেয়া হয়, হিন্দু মারা গেলে পোড়ান হয়, লাদেন মারা গেলে সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়, কিন্তু নাস্তিক মারা গেলে কি করতে হবে তার কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না। এহেন সিদ্ধান্তহীনতা নাস্তিকদের মৃতজীবনে কোন সমস্যা সৃষ্টি করে কিনা জানা না গেলেও জীবিতদের জন্য এটা মাঝে মাঝেই সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়ায়। উদাহরনস্বরূপ, কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম ঢাকানিবাসী এক স্কুল/কলেজ শিক্ষকের মৃত্যুর পর তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা নিয়ে আইনের দ্বারস্থ তাঁর দুই স্ত্রী। ভদ্রলোক নাস্তিক ছিলেন কিনা জানা যায়নি, তবে তাঁর দুই স্ত্রীর একজন হিন্দু, আরেকজন মুসলিম। তাহলে দেখা যাচ্ছে, নাস্তিক না হলেও “কমন ল”-র অভাবে ভদ্রলোকের শেষকৃত্য প্রশ্নের সম্মুখীন। আবার সম্প্রতি এক নাস্তিক ব্লগার মৃত্যুবরন করার পর তাঁকে মুসলিম উপায়ে সমাধিস্থ করায় তাঁর বিদেহী নাস্তিক আত্মা শান্তি পেল কিনা সেটা নিয়েও উৎকন্ঠিত অনেক মানবতাবাদী।

এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত যদি সব ধর্মের মত নাস্তিকদেরও একটা “নাস্তিকশাস্ত্র” থাকত। শাস্ত্র থেকে মন্ত্রপাঠ করে নাস্তিকগুরু শিশুদেরকে নাস্তিকধর্মে দীক্ষা দিতেন। নাস্তিকমন্দিরে শাস্ত্রমতে বিবাহ হত, মৃত্যুর পর করনীয় সম্পর্কে ও নিশ্চয় শাস্ত্রে লেখা থাকত। মানলাম নাস্তিকগন হয়তো পরলোকে বিশ্বাস করেন না, কিন্তু যাঁরা করেন তাঁদেরকে এমন কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখী করার কী মানে? সবাই যদি একেকটা ধর্ম নিয়ে জন্মগ্রহন করে, তারপর সেই ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী যদি সব হয়, তাহলে সবকিছুই কেমন সুশৃংখল হয় না? সেই তো শাস্ত্রের কাছে আসতেই হয়। বিয়ে যখন করেন, তখন তো দেখি কাজী, পুরোহিত নাহলে পাদ্রী ডেকে আনা হয়েছে। আবার মারা যাওয়ার পরও দেখি ইমাম সাহেব জানাজা পড়ায়।

জানি, বলবেন, নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়, সব নাস্তিকতাও এক নয়। মোটা দাগে প্রচলিত ধর্মে সংশয় প্রকাশ করা থেকে শুরু করে ঈশ্বর বা সর্বশক্তিমান কোন বুদ্ধিমান সত্বার অনস্তিত্বে নিশ্চিত থাকা সহ অনেক কিছুই তথাকথিত নাস্তিকতা হতে পারে। বলবেন, পারলৌকিক ব্যাপার-স্যাপারে বিশ্বাস-অবিশ্বাস বাদ দিলে নীতি-নৈতিকতা, আচার-ব্যবহার, প্রেম-ভালবাসা, সামাজিকতা-লৌকিকতা, বুদ্ধিবৃত্তি-দেশপ্রেম কোন কিছুতেই সাধারনের সাথে নাস্তিকের কোন পার্থক্য নাই। আর তাই নাস্তিকের জানাজা করে নাস্তিকের বাবা-মা, শুভাকাংখীরা যদি শান্তি পান, তাতে নাস্তিকের আপত্তি করার কোন কারন নাই। অথবা নাস্তিককে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে পুরোহিত ডেকে বিয়ে দিয়ে যদি সবাই আনন্দ পায়, তাতেও নাস্তিকের নাস্তিকানুভূতি আহত হওয়ার কথা না।

বুঝলাম, আপনারা নাস্তিকরা অনেক কিছু ইহলৌকিক কারনে করেন, যা অন্যরা হয়তো ইহকাল-পরকাল উভয় কারনে করেন। কিন্তু আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন, গ্রন্থ মেনে যারা সবকিছু করেন তাঁদের পক্ষে গ্রন্থ ছাড়া আপনাদেরকে বুঝা কত কঠিন? তাই নাস্তিক ভাই-বোনদের কাছে আবেদন, আপনারা হয় নাস্তিকশাস্ত্র রচনা করুন অথবা বলে দিন আপনাদের মৃত্যুর পর কি করতে হবে। আর জলদি করুন, আপনাদের মৃত্য অবধারিত, আপনারা এখনো বেঁচে আছেন কিভাবে সেটাই আশ্চর্যের ব্যাপার।

(চলমান ঘটনাবলীর আকস্মিকতা, দ্রুততা, প্রভাব, উত্তেজনা আর সংখ্যার চাপে কিছুদিন আগের হট টপিকটি ইতিমধ্যে অনেকের বিস্মৃতিতে জায়গা করে নিলেও বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করত কয়েকদিন আগের লেখাটি প্রকাশ করার উদ্যোগ নিলাম)

অনির্ণেয়


মন্তব্য

আচার্য এর ছবি

সত্যিই নাস্তিকদের মৃত‌্যুর পর কী করা হবে তা নিয়ে মৃতের কিছু না এসে গেলেও জীবিতদের ঘুমই হারাম হয়ে যায়! তাই মনে হচ্ছে অতিব দ্রুত গতিতে নাস্তিকশাস্ত্র রচনা করা যেন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে!

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

পৃথ্বী এর ছবি

অ্ন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতায় না গিয়ে মানুষ দেহদান বা অর্গান অনুদান করে গেলে অনেক মৃত্যু এড়ানো যেত। কিন্তু ধার্মিকদের মত নাস্তিকদের যেহেতু এক্ষেত্রে কোন কেতাবি বাধ্যবাধকতা নাই, অন্যের প্রাণ প্রদীপ প্রদীপ্ত রেখে যাওয়াটাই হোক নির্ধার্মিকদের অন্তিম অনুষ্ঠান।


Big Brother is watching you.

Goodreads shelf

অতিথি লেখক এর ছবি

আচ্ছা এই ব্যাপারটাকে এমন ভাবে দেখা যায় না? একজন নাস্তিক একটা পরিবারের অংশ। জানাযা পড়ানো, খতমে কোরআন এরপরে দেখেছি শিমের বিচি গুনে গুনে কি যেন করে চল্লিশা অনেক ধরনের সামাজিকতা আছে। একজন নাস্তিক মানুষ নাস্তিক হিসাবে জন্মায় না নাস্তিক হিসাবে মারাও যায় না। সে মারা যায় মানুষ হিসাবে। তার পরিবারের আস্তিক সদস্যরা কেন সামাজিকতা থেকে বঞ্চিত হবে?
সৌম্য

কালো কাঠবিড়াল এর ছবি

আমি মনে করি , যায় না । একজন মানুষ নাস্তিক হিসেবে জন্মায় না বটে , কিন্তু সে কোনও সমাজ বিশেষেও জন্মায় না । তাকে যে সমাজে বড় করা হয় সে সেই সমাজের অংশ হয়ে পরে । আর সে যখন মারা যায় তখন তো সে তার পরিচয় মুছে নিয়ে যায় না !! যে নাস্তিক সে নাস্তিকই । এটাই তার পরিচয় । Einstine কে তার মৃত্যুর এত বছর পরও বিজ্ঞানী বলা হয় ! আর মৃত্যুর পরের সামাজিকতা যতটা না সামাজিকতা তার চেয়ে বেশি ধর্মীয় অনুষ্ঠান । যে মানুষটা ধর্মের পুরোপুরি বিপরীতে চলেছে তার মৃত্যুর পর এসব হাস্যকর সামাজিকতা করা তার প্রতি চূড়ান্ত অসম্মান নয় কি ??

রিক্তা এর ছবি

সারকাজম হলে ঠিক আছে চলুক

(খালেদা ম্যাডাম এর বক্তৃতা পড়লে ইদানিং পুরা দিনের জন্য সারকাজম বুঝার ক্ষমতা চলে যায় মন খারাপ )

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পোস্টটির ক্যাটেগরি, ডিসক্লেইমার বা ফুটনোট কোথাও এটা রম্য রচনা কিনা সেটা উল্লেখ করা নেই। পোস্টের টোনও satirical বা sarcastic মনে হয়নি। এতে পোস্টটি শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকরই মনে হয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পাণ্ডবদা, লেখা যদি আসলেই রম্য হয় সেখানে 'রম্যরচনা' ট্যাগটা কতটা জরুরী? ট্যাগ দেখে যদি রম্য চিনতে হয় তাহলে তো সমস্যা। তবে লেখটায় 'চিন্তাভাবনা' ট্যাগ দেখে রম্য হিসাবে ধরছি না, যদিও রম্যের মাধ্যমে চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ করা যাবে না তা না। লেখাটা আমার কাছেও শুধু বিভ্রান্তিকরই মনে হয়েছে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লেখাটা রম্য কিনা সেটা বুঝতে পারি নাই বলেই ট্যাগ/ডিসক্লেইমার/ফুটনোটের শরণাপন্ন হতে চেয়েছিলাম। লেখাটা পড়ে বিভ্রান্ত হয়েছি। তার ট্যাগ দেখে আর ব্র্যাকেটে লেখা ফুটনোট পড়ে বিভ্রান্তি আরো বেড়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পার্থ এর ছবি

আসলে যারা আস্তিক তাদের শেষ আশ্রয় তাদের "গ্রন্থ/আসমানি কিতাব", তাদের দিল-দিমাগ জুড়ে আসমানী ঠাকুরদাদার ঝুলি থাকে তাই অন্যদের তা না থাকলে আস্তিকরা একটু অসহায় বোধ করেন বৈকি।।।

নাস্তিক শব্দটার মানে হয়তো লেখক বোঝেন না, তাই এমন একটা লেখা প্রসব করেছেন। নাস্তিকতা হচ্ছে সকল ঠাকুরদাদার ঝুলি হতে মুক্তি, বাস্তবতাবোধ বিসর্জন দেয়া নয়। মৃত্যুও একটি বাস্তবতা, নাস্তিকদেরও মৃত্যু আসে। বাস্তবতার আলোকে মৃতদেহ সৎকারের যে পদ্ধতিগুলো আছে আসুন সেগুলো নিয়ে একটু তুলনা করি। প্রচলিত মৃতদেহ সৎকারের পদ্ধতিগুলো হচ্ছে আগুনে পোড়ানো আর মাটিচাপা দেয়া। আগুনে দেহ পোড়ানোটা অপচয়মূলক এবং পরিবেশদুষণমূলক। কারণ পোড়ানোর জন্য কাঠ এবং অন্যান্য সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে যা অপচয় হয় আর পরিবেশ দুষিত হয়। অন্যদিকে মাটিচাপা দেয়া কম ব্যয়বহুল এবং পরিবেশবান্ধব। ফলে নাস্তিকদের জন্য মাটিচাপা দেয়াটাই যুক্তিযুক্ত। তাছাড়া পৃথ্বী আগেই বলেছেন মেডিকেলে অঙ্গদানও একটা উপায় হতে পারে।

লেখক আবার বলে বসেন না যেনো এই পদ্ধতিগুলো তো একান্ত আস্তিকদের। মাটিচাপা দেয়া বা আগুনে পোড়ানো তখনই ধর্মীয় আচার হবে যখন এগুলো করার সময় ধর্মীয় আচারাদি পালন করা হবে, যেমন মন্ত্র বা দোয়াপাঠ। নাস্তিকদের সৎকার করার সময় সে মন্ত্র বা দোয়াপাঠ না করলেই হয়।

অন্যকেউ এর ছবি

নাস্তিক হিসাবে সহমত দাগাইলাম। আমার ক্ষেত্রে আমি হস্তান্তরযোগ্য যা যা আছে সেইসব সরিয়ে রেখে অবশিষ্টটা মাটিতে পুঁতে ফেলা হোক, এটা চাই। এগুলোর মধ্যে আছে কর্নিয়া, যকৃত, হৃদপিণ্ড, কিডনি, মজ্জা, আরও কিছু থেকে থাকবে, এখন মনে নাই। ফুসফুস দিতারুম না। বিড়ি খায়া কালাইডোস্কোপ বানায়া ফেলাইছি! দেঁতো হাসি

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

জোক করলেন? নাকি সিরিয়াসলি কইছেন? চারিদিকে এখন এত ব্যাপাক বিনোদন, যে জোক, স্যাটায়ার নাকি আসলেই কেউ বলতেছে সেইটা বুঝতে কষ্ট হয়। জোক হইলে কথা নাই, সিরিয়াস লেখা হইলে কয়েকখান কথা আছে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

জোক করলাম। চিন্তাভাবনা করেই করলাম। স্যাটায়ার ট্যাগ ইচ্ছা করে দেই নাই হাস্যরসের কোয়ালিটি নিজের কাছে খুব একটা ভাল মনে হয় নাই বলে। কিন্তু অনেকেই লেখাকে বিভ্রান্তিকর কেন বলছেন সেটা বুঝতে পারলাম না। উপরের ১ নং আর ৩ নং মন্তব্যে আমার লেখার সারকথা মোটামুটি চলে এসেছে। বুঝাই যাচ্ছে, লেখা ব্যর্থ হয়েছে বক্তব্য পরিষ্কার করতে। তাও কোন জায়গাটা বিভ্রান্তিকর জানতে পারলে ভাল হত।

সত্যপীর এর ছবি

অন্যদের কথা জানিনা, আমার বিভ্রান্তির জায়গাটা বলি। প্রথম ও চতুর্থ প্যারার শেষ লাইন, এই দুইটি লাইন ছাড়া বাকি লেখায় আমি স্যাটায়ার টোন পাইনি। খালি এই দুইটা লাইনের জন্যই মনে হয়েছে এইটা রিভার্স। নিচে মানিক মনিরুল নামক ভদ্রলোক কিন্তু লেখাটা সিরিয়াস মনে করে কমেন্ট করেছেন। অথবা উনারটাও আপনার মতই অ্যান্টেনার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া স্যাটায়ার।

লেখা ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ লেখা বলে কিছু নেই। লেগে থাকুন। সাথেই আছি।

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ওকে ঠিকাছে, চিন্তা-ভাবনা ঠিক থাকলে সেইটার প্রকাশে একটু সমস্যা থাকলেও চালায়ে নেয়া যাবে। যেহেতু সিরিয়াস লেখা না, হুদাই আর আলোচনায় না যাই। ভাল থাকুন হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্পর্শ এর ছবি

আর জলদি করুন, আপনাদের মৃত্য অবধারিত, আপনারা এখনো বেঁচে আছেন কিভাবে সেটাই আশ্চর্যের ব্যাপার।

হুমকি-ধামকি ছাপা হচ্ছে দেখা যায়। খুব ভালো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি
বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

একটু কনফিউজিং লাগল, একবার মনে হল স্যাটায়ার টাইপ-একবার মনে হল খুব সিরিয়াসলি লিখেছেন আপনি। দুইটার মাঝের থিন লাইন অদৃশ্যপ্রায়।

মানিক মনিরুল এর ছবি

লেখাটি যথেষ্ঠ বুদ্ধিদ্বিপ্ত এবং যুক্তিযুক্ত।যেহেতু প্রত্যকটা জীবন ব্যবস্থারই একটা আদর্শ নির্দেশনা থাকে। আর নাস্তিক দেরওতো জীবন আছে এবং তাদেরও সুষ্টভাবে বেচে থাকার অধিকার রয়েছে। কাজেই তাদেরও জীবন অতিবাহের নির্দেশনামুলক একটা আদর্শ গ্রন্থ থাকা জরুরী।

অন্যকেউ এর ছবি

জি। আমরা বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী গর্দানে কোপ না খাওয়ার অধিকার রাখি। সংবিধান অনুসরণ না করা কিন্তু বিদেশী ভাষায় লেখা বই অনুসরণ করা ও ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ীর পাচাটা কিছু চরিত্র আমাদের গর্দানে কুপায়। আমাদেরকে সংবিধান অনুযায়ী টাইমমত মরার অধিকার দিলে আর ডেডবডি নিয়া কি করা হবে সেইটা ভাবার অধিকার আমার বৌয়ের হাতে ছেড়ে দিলেই হবে। এক্সট্রা বই লাগত না। থ্যাঙ্কু।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

তির্যক এর ছবি

নাস্তিকরা যতই নিয়ম ভাঙ্গুক, তাদেরকে বুঝতে ( এবং যুঝতে ) কোনো না কোনো নিয়ম লাগবেই আস্তিকদের। কারণ নিয়মের বাইরে তারা কিছু ভাবতে পারে না। নাস্তিকদের নিয়ে আস্তিকদের এইসব হট্টগোলে কান্ড-কীর্তি নিয়ে আপনার এই ব্যাঙ্গাত্মক লেখা ভালো লাগলো। বৈঠকি চালে হালকা বিদ্রুপাত্মক এরকম আরো লেখার আশায় রইলাম। ...... তবে আপনার নামের মতই আপনার লেখাটাও অনির্ণেয় রয়ে থাকলো অনেকের কাছে। কেন থাকলো, বুঝতে পারলাম না। প্রথম লাইন থেকেই (বাক্য গঠন দেখেই) বুঝা যাচ্ছিল লেখাটা ব্যাঙ্গাত্মক।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় মডারেটর, এখানকার কমেন্টের উত্তরে আমার লেখাটা একটু বড় আর সাধারন হয়ে যাওয়ায় আলাদা একটা পোস্ট হিসেবে ("নাস্তিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াঃ কমেন্টের উত্তরে" নামে) পাঠিয়েছি। পরে সচলায়তন এর নীতিমালায় দেখলাম, কমেন্টের উত্তরে ব্লগিং কে নিরুতসাহিত করা হয়। সেক্ষেত্রে আমার লেখাটা প্রকাশের জন্য মনোনীত না হলে, দয়া করে লেখাটা এখানে মন্তব্য হিসেবে প্রকাশ করলে বাধিত হব।

অনির্ণেয়

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক, পোস্টটা স্যাটায়ার জেনে ভালো লাগলো। গত পরশু থেকে হাত নিশপিশ করছিলো কিছু কথা বলার জন্যে। স্যাটায়ার তাই কিছুই আর বলার নেই। আস্তিকতার জয় হোক। আমরা ছায়াতেই রয়ে যাই। সমস্যা নেই। হাসি

সামি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা প্রচুর বিভ্রান্তি তৈরী করেছে। সত্যপীর এর কথা ঠিক, প্রথম এবং চতুর্থ প্যারার শেষ লাইন ছাড়া আর কোথাও স্যাটায়ার বোঝা যায়নি, যদিও আমি লাইনে লাইনে স্যাটায়ার করতে চাইওনি। তাও রাজীবের মৃত্যু নিয়ে সাদেক হোসেন খোকার মন্তব্য জানা না থাকলে শেষ লাইনের স্যাটায়ার বোঝা মুশকিল। কিন্তু একবার যদি ধরে ফেলেন এটা স্যাটায়ার, তাহলে বাকিটুকুর বক্তব্য ধরতে অসুবিধা হওয়ার কথা না। হয়তো আমার লেখার দুর্বলতা, অথবা পাঠকের স্যাটায়ার কিনা এ ব্যাপারে আস্থাহীনতা এ জন্য দায়ি। যাহোক, কি বলতে চেয়েছি সেটা আবার খোলাসা করার চেষ্টা করি একটু।

ব্লগার রাজীব হত্যার পর তার জানাজা পড়ানো নিয়ে অনেককে মন্তব্য করতে দেখি। একধরনের মন্তব্য ছিল নাস্তিকের জানাজা পড়ানো উচিত কি না, অর্থাৎ ইসলাম সেটা সাপোর্ট করে কিনা। আরেক দল এই প্রশ্নে যাচ্ছেন না, কিন্তু তারা একটা মানবিক প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। একজন নাস্তিক যেহেতু সারাজীবন নাস্তিকতার চর্চা করে গেলেন, তাই মুসলমান উপায়ে জানাজা পড়িয়ে কি তার অপমান করা হল না? অনেক আস্তিক তো এটা বলছেন ই, এমনকী অনেকে যারা নিজেকে নাস্তিক দাবি করেন, তারাও এই প্রশ্নে দ্বিধান্বিত, তারাও অনেকে মনে করছেন এসব না করে কোন হাসপাতালে দান করলে ভাল হত কিনা?

আমার কাছে মনে হয়েছে, এই দুই দলের চিন্তার মধ্যে একটা সাদৃশ্য আছে। উভয়ই নাস্তিকদের জন্য কিছু নিয়মকানুন এর প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে আসে (যেটা আমার দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয়, আর এই নিয়মকানুন কেই নাস্তিকশাস্ত্র বলে স্যাটায়ার করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে আমার আগের লেখায়। আমার কাছে কিতাবহীনতাই নাস্তিকতা ) যারা আস্তিক, কোন একটা প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাঁদের অনেকের কাছেই জীবনের অধিকাংশ গুরূত্বপূর্ন ঘটনার (বিয়ে, মৃত্যু) সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে। তারা যদি নাস্তিকতাকেও একটা ধর্ম বা বিশ্বাস বলে মনে করেন, তাহলে সেই অভ্যস্ততা থেকে মনে হতে পারে, নাস্তিকদের জানাজা পড়ালে নিশ্চয় তার নাস্তিক ধর্মস্বত্বা আহত হয়। আবার অনেক নাস্তিক যারা মনে করেন নাস্তিক্য একটা মতবাদ এবং নাস্তিকদের ক্ষেত্রেও “প্রেফারড ওয়ে অফ ডুইং থিংস” থাকা উচিত তারা কি প্রকারান্তরে নাস্তিক্যকে আরেকটি ধর্মবিশ্বাসের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছেন না? এখানেই দেখলাম দু’একজন নাস্তিকদের সৎকারের “যুক্তিযুক্ত” উপায় কি হওয়া উচিত সেটা নিয়ে কথা বলেছেন।

এবার আসি আমি নাস্তিক্য বলতে কি মনে করি। আমার কাছে পুরো ব্যাপারটাই “সর্বশক্তিমান বুদ্ধিমান স্বত্বা” র অস্তিত্বে বিশ্বাসের একটি স্কেল। কেউ মনে করেন, আছে, কেউ মনে করেন নেই, কেউ মনে করেন থাকলেও থাকতে পারে। এই আছে, নেই সেটাতেও সবার আস্থার মাত্রা সমান নয়। আবার আপনি যখন মনে করবেন নেই, অথবা আপনি যখন প্রচলিত বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হবেন, তখন আপনার জন্য হাজারো রাস্তা খোলা থাকবে। এজন্য নাস্তিকতা যদি প্রচলিত বিশ্বাস থেকে বিচ্যুতি হয়, তাহলে নাস্তিকতার কোন নির্দিষ্ট জীবনবিধান থাকার কথা না, “প্রেফার্ড ওয়ে অফ ডুইং থিংস” এর প্রশ্ন ও আসে না।

তাহলে নাস্তিকের মরদেহ মেডিকেলে দান করার কি দরকার নাই? অথবা পরিবেশের সবচাইতে কম ক্ষতি করে দেহ সৎকার কি করতে হবে না? অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেটার সাথে নাস্তিকতাকে এক করা যাবে না। পরিবেশ নিয়ে যারা চিন্তিত তাদেরকে নাস্তিক হতে হবে এমন কোন কথা নাই। নাস্তিক আস্তিক যে কেউই পরিবেশবাদী হতে পারেন। পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট কনসার্ন্ড হওয়ার পরেও একজন একজন হিন্দু ধর্মীয় অথবা অন্যান্য কারনে দেহ ভস্ম করার বিরোধীতা না করতে পারেন। আবার আরেকজন হিন্দু থাকতে পারেন, যিনি বিশ্বাসী হওয়ার পরেও মৃতদেহ হাসপাতালে দান করে গেছেন। মানে উনার কাছে হাসপাতালে দেহ দান করার উপকার ধর্মীয় রীতি না মানার ক্ষতির চেয়ে হয়তো বেশি। একইরকমভাবে একজন নাস্তিকের কাছে ধর্মীয় রীতির গুরুত্ব না থাকতে পারে, কিন্তু সামাজিক রীতির গুরুত্ব থাকতে পারে, পরিবার-পরিজনের চাওয়ার গুরুত্ব থাকতে পারে। আবার কেউ যদি মনে করেন, হাসপাতালে দেহ দান করাই সবচেয়ে ভাল, তিনি হয়তো সেটা তার প্রিয়জনদেরকে বলে যাবেন। যদি না বলে যান, তাহলে তারা যা ভাল বুঝেন করবেন। এখানে “নাস্তিক সমাজ” এর কিছু বলার আছে বলে মনে করি না।

নাস্তিকদের জন্য ও যদি “প্রেফার্ড ওয়ে ডুইং থিংস” থাকে, নাস্তিকদের কি হওয়া উচিত সে সম্পর্কে নাস্তিক সমাজের মতামত থাকে, নাস্তিক্য কি সেটা বুঝার জন্য নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া থাকে, তাহলে নাস্তিকতার কিতাব লিখতে হবে বৈকি।

অনির্ণেয়

কৌস্তুভ এর ছবি

হুমম, খুবই সমস্যা মন খারাপ

looker  এর ছবি

এইজন্য নাস্তিকদের মরারই দরকার নাই। মরলেই ঝামেলা।

ব্যঙের ছাতা এর ছবি

"আমি মরে যাবার পরে মৃতদেহ সৎকার যেভাবেই করা হোকনা কেন বা যদি সৎকার নাও করা হয় আমার কি কিছু আসবে-যাবে?"

লেখাটি পড়ে উপরের এই কথাটি মনে হল।
আরো লিখুন।

রণদীপম বসু এর ছবি

কেউ কি একটু বলবেন, নাস্তিক বলতে আমরা কী বুঝি ?
এই যথার্থ সংজ্ঞাটা যদি নির্ধারণ করে ফেলা যায়, তাইলে বাকি যেসব সমস্যা নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছি আমরা, সেটারও একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে আশা করা যায়।

তবে সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, আজ থেকে আড়াইহাজার বৎসরাধিক কাল আগে প্রথম যখন জৈন বা বৌদ্ধমত প্রচলন হয়, তখন কিন্তু এগুলো নাস্তিক মত হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছিলো, যা এখনো সেভাবেই নাস্তিক দর্শন হিসেবে দর্শনশাস্ত্রের পাঠ্য হয়ে আছে। সেই যুক্তিতে গেলে প্রাচীন আর্য সংস্কৃতির বাইরে বাদ-বাকি সমস্ত মতই কিন্তু নাস্তিক দর্শনের আওতায় চলে যাবে, তা খেয়াল রাখতে হবে। আশা করি এই পোস্ট লেখকের 'নাস্তিকশাস্ত্র' গ্রন্থের অভাববোধ ঘুচবে ! কথাটা খুবই সত্য হলেও এই আকালে আমার এ কথাটা আপাতত স্যাটায়ার হিসেবেই বুঝে নেন সবাই।

আর সমস্যাটা যেহেতু মৃত্যুপরবর্তী মৃতদেহ নিয়ে, এবং যেহেতু একজন নাস্তিকের দায় কোন নির্দিষ্ট ধর্মগোষ্ঠি নিতে পারে না, তাহলে রাষ্ট্রকেই তার নাগরিকের দায় নিতে হবে ! কিন্তু রাষ্ট্রকে এই দায় নিতে আমরা কি দিচ্ছি ? রাষ্ট্রকে তো ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রে থাকতে দিতে চাচ্ছি না আমরা ! তাছাড়া পৃথিবীতে যখনো কোন ধর্মের আবির্ভাব ঘটেনি, তখন কি মানুষ মারা যেতো না ? আমরা ভুলে যাই যে আমাদের যাবতীয় রিচ্যুয়াল কিন্তু সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সংস্কৃতি কেন্দ্রিক, যা কোন সুনির্দিষ্ট ধর্মের ব্যাপ্তির চাইতেও অনেক বিস্তৃত ও গভীর। একই ধর্মের একাধিক ব্যক্তির জীবন-যাপন আচার-উপাচার খাদ্যাভাস ইত্যাদি দেশ-কাল ভেদে কিন্তু অনেক ভিন্ন বা বৈচিত্র্যময়।
আমাদের চিন্তাকাঠামো বাস্তবেই কোন-না-কোন ধর্মীয় বলয়ের দ্বারা প্রভাবিত বলেই আমাদের চিন্তাপ্রকৃতিও কমবেশি এর দ্বারা প্রভাবিত। মানব সভ্যতায় পর্যাক্রমিকভাবে বিভিন্ন ধর্মের আবির্ভাবের আগেও মানুষের পরিবার গঠন, জীবন-যাপনের প্রকৃতি, মৃতের সৎকার ইত্যাদি বিষয় কিন্তু অনুপস্থিত ছিলো না। বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির জীবনবোধ আমাদের বহুল প্রচলিত ধর্মবোধের অনুরূপ না হলেও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিও কিন্তু কোনভাবেই ফেলনা বলা যাবে না। তাই আমরা প্রত্যেকেই যে যে-অবস্থানেই থাকি, যার যার অবস্থান থেকে অন্য বিশ্বাসগুলো কিন্তু একধরনের অবিশ্বাস বা নাস্তিকতাই। কিন্তু তারপরেও আমরা প্রকৃতি বা সংস্কৃতির অভিন্ন অংশ রয়ে যাই ঠিকই। অতএব এটা নিয়ে অযথা ত্যানা পেঁচিয়ে লাভ নেই।

এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে, খুব মোটা দাগে এটা বলা যায় যে, নাস্তিকতা আসলে এক ধরনের উপলব্ধি, আস্তিকতার মতোই, যার যার অবস্থান থেকে। সেক্ষেত্রে একজন রাজীব যদি নিজের এই উপলব্ধিটাকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে নিজের সম্পর্কে কোন ঘোষণা না দিয়ে যায়, তার সম্পর্কে আমাদের অনধিকার চর্চাটাকে কেন অপরাধ বলা যাবে না ! অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের লেখক সুনীল গাঙ্গুলির ঘোষণা অনুযায়ী তাঁর ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয়নি তার পরিবার। সেক্ষেত্রে তাঁর ঘোষণা তো মিথ্যে হয়ে যায় নি। কিন্তু একজন প্রয়াত ব্যক্তির কিছুই করার নেই তার নশ্বর দেহটিকে শেষপর্যন্ত কিভাবে কী করা হলো তা নিয়ে। এতে তাঁর কিছু যায়-আসেও না। সুনীল যা ছিলেন, তা-ই আছেন। মৃতের ভার যেহেতু মৃতব্যক্তি নিতে পারে না, জীবিতদেরই নিতে হয়, তাই জীবিতরা যে ব্যবস্থাকে তাদের সুবিধা হিসেবে মনে করেছেন তাই করেছেন। একইভাবে রাজীব নাস্তিক ছিলেন কি ছিলেন না তা তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি, কিন্তু তার মৃতদেহের দায়িত্ব যেহেতু জীবিতদেরই দায়, তাই তাঁর পরিবার বা সংশ্লিষ্টদের বিবেচনাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এটাই সামাজিকতা, যদি বলি রিচ্যুয়াল কিছু তাও, যা জীবিতদেরকেই বইতে হয়। মৃত ব্যক্তি সবকিছুরই উর্ধ্বে। তার দেহটিকে দিয়ে আমরা দুর্গন্ধ ছড়াবো, না কি আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুকুল আয়োজন করবো, তা আমাদের জীবিতদের সমস্যা। একইভাবে তার মৃত্যু দিয়ে আমরা চেতনাকে শানিত করবো, না কি বিষাক্ত করবো, তাও আমাদেরই দায়। অতএব এ বিষয়টাকে মাথায় রেখেই আমাদের দায়িত্ববোধকে সক্রিয় করা উচিৎ হবে বলে আমার অভিমত।

সবশেষে এসে আবারও প্রথম প্রশ্নটি বহাল থাকলো, নাস্তিকতা মানে কী ?

সবাইকে ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

guest_writer এর ছবি

লাশ নিয়ে আর যাই করেন রাজনীতি কইরেন্না, অসম্মানের কিছু থাকলে শুধু এইটাই

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।