এক একদিন প্রতিদিন-৫

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৭/২০১৪ - ৩:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাক ভোরে ঘুম ভাঙলেও অনেকক্ষণ দুই চোখ বুজে শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। কান পাততে ইচ্ছে করে নৈশব্দের গহীন কুহরে, কোন অনুদ্দেশের পাড় থেকে সেখানে ভেসে আসে নিলীয়মান কিছু ভৈরবী সুর...।

হয়তো কোন বোষ্টমী বাড়ীর পেছনের সরু পথ দিয়ে যেতে যেতে তার ছোট্ট একতারায় প্রভাতী সুরে ঘুম ভাঙানিয়া গায়,

"প্রভাত সময়ে
শচীর আঙিনার মাঝে
গৌর চাঁদ নাচিয়া বেড়ায় রে।
জাগ নি গো শচী মতো
গৌর আইল প্রেম দাতা
ঘরে ঘরে হরিনাম বিলায় রে।
রাতুল চরণে সোনার নূপুর
রুনুঝুনু রুনুঝুনু বাজে রে ..."

বাড়ির বউটি তার প্রাতঃস্নান সেরে লালপেড়ে শাড়ী পড়ে সদ্য ঘরে ঢুকেছিল। সে কপালে সিঁদুরের বড় লাল টিপ দিয়ে, সিঁথিতে সিঁদুর এঁকে, দুই হাতের সাদা শাঁখায় সিঁদুর ছুঁইয়ে, এক টুকরো সুপুরি মুখে পুরে চিবোতে চিবোতে ঘোমটা টেনে দ্রুত পায়ে উঠোনে নেমে আসে, বোষ্টমীর জন্য চালের থালা হাতে করে। ঘরের ভেতরে তার বৃদ্ধ শ্বশুর তখন ধুপ জ্বালিয়ে ঠাকুর আসনের সামনে হাতে সেলাই করা নকশি আঁকা ছোট্ট আসনে বসে আপন মনে গাইছেন,

"গুরু উপায় বলো না,
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু আমি একজনা।
শিশুকালে মরে গেল মা,
গর্ভে থাকতে মরল পিতা গুরু
চক্ষে দেখলাম না...।
গিয়াছিলাম ভবের বাজারে
ছয় চোরাতে করল চুরি
গুরু ধরল আমারে।
চোরায় চুরি কইরা খালাস পাইল গুরু
আমায় দিল জেলখানা..."

বউটি গোয়ালের গরু দুটির সামনে শুকনো কিছু খড় টেনে দিয়ে রান্না ঘরে ঢোকে এইবার। কেরোসিনের কুপির আগুনের পাটখড়ি জ্বালিয়ে কাঠের চুলায় আগুন ধরায়। ভাতের হাঁড়ি চুলায় বসিয়ে ত্রস্ত পায়ে চাল-ডাল ধুয়ে আনতে বাড়ির সামনে কল পাড়ে হেঁটে যায়। ধোয়া জলটুকু বালতিতে জমিয়ে রাখে গরু দুটোর জন্য। এরপর চুলার পাড়ে ফিরে তরকারি কাটায় মন দেয়, মনে মনে ভাবনা কি দিয়ে কি রাঁধবে আজ। শ্বশুর তার হাটে যাবেন খেয়ে একটু পরেই, আজ গ্রামের হাটবার।

ধীরে ধীরে সকাল মুখরিত হয় জেগে ওঠা মানুষের কলরবে। টিনের ঘরের বারান্দায় শিতল পাটি বিছানো চৌকির উপরে বসে বউটির ছেলেমেয়েরা কাঁসার বাটিতে করে মায়ের দেয়া মুড়ি গুড় খেতে খেতে সুর করে পড়ে,

"সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন ভালোভাবে চলি
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে..."

কেউবা পড়ে,

'অ অজগর ঐ আসছে তেড়ে
আ আমটি খাব পেড়ে
ই ইঁদুর ছানা ভয়ে মরে
ঈ ঈগল পাখি পাছে ধরে'

বোষ্টমী ফিরতি পথ ধরে তার প্রত্যূষের ভিক্ষাবৃত্তি শেষ করে বাড়ির পাশের সেই পথ দিয়ে, এবারে তার একতারা গলার সাথে সুর তুলে গায়,

"সখী লোকে বলে কালো, কালো নয়
সে যে আমারই চোখের আলো
বধূ কালো তাই কাজল লেখায় নয়ন করেছি কালো
রূপ দেখবো বলে, সেই কালো রূপ দেখবো বলে
ওগো আমার বধূর সেই কালো রূপ ভরে পরাণ ভরে দেখবো বলে...
কালো দেখবো বলে নয়ন করেছি কালো..."

ঠিক এই সময় সদ্য ঘুম ভাঙা কিছু বুলবুলির অকারণ কিচিরমিচির এসে কানে লাগে। পাশ ফিরতে ফিরতে ঘোর অনিচ্ছায় চোখ মেলে দেখি, বাইরে তখনও বেশ করে আঁধারের ছায়া বিছানো। জানালা দিয়ে দৃষ্টি মেলে সেই আঁধারেই বোষ্টমীর চলে যাবার পথটা খুঁজে নিতে চেষ্টা করি, ঠিক ঠাহর হয়না। এতক্ষণের সুস্পষ্ট সুরেলা বোস্টমীর গলাটিও ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হতে শুরু করে,

"ওগো আমারে আমি বিকিয়ে দিলাম ও চরণে দুঃখে সুখে
আমার দেহের আরতি প্রণতি করি
আমারে আমি বিকিয়ে দিলাম ও চরণে দুঃখে সুখে"

এলোমেলো পায়ে বাথরুমে ঢুকে টুথপেস্ট লাগাই টুথব্রাশে, উত্তর গোলার্ধে আরেকটি যান্ত্রিক দিনের সূচনা হয়...।

রীতু


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কার্তিক মাসের ভোরবেলার মঙ্গল আরতির গান এখনো কানে বাজে। সময় চলে যাচ্ছে , হয়ে যাচ্ছি আরো যান্ত্রিক। এই ভিনদেশেও ভোর আসে তবেএখানে বোস্টমী নেই,নেই পুজোর জন্য রক্ত করবী তোলা বালিকার দল! কত কিছুই তো নেই, দেশে ফিরেও কত চেনা মানুষকে হয়ত আর দেখব না । ছেলেবেলার এক দুরন্ত বন্ধু শুনেছি বৈষ্ণব হয়েছে , গান বাঁধে নিজেই, জানি না শোনা হবে কবে। আনন্দপুর বলে একটা গ্রাম আছে।
সেই সোমেশ্বরীর মেলা, প্রেমানন্দের গান, গানের গাঁ, আর কবে যাব , কে জানে!

অনেক সুন্দর লিখছেন রীতু দিদি।

রাজর্ষি

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজর্ষি,

আপনি আমাকে আরো নস্টালজিক করে দিলেন। আনন্দপুর গ্রামের ঠিকানাটা জানাবেন, আমারও যে খুব যেতে ইচ্ছে করছে! কোন চৌচালা টিনের ঘরের বারান্দায় বসে আপনার বৈষ্ণব বন্ধুর বাঁধা গান শুনবো প্রাণ ভরে।

হয়না, ফিরে গেলও ঠিক যেন যাওয়া যায়না সেখানে।

অনেক শুভেচ্ছা

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

অতিথি লেখক এর ছবি

সে আনন্দপুর তো মেলা দূরে দিদি।যেতে হবে বাংলাদেশের এক প্রান্তে সুনামগঞ্জে, যেখানে হাছন রাজার বাড়ি, তাহিরপুরের কাছে অপুর্ব সে যাদুকাঁটা নদী। না, ঠিক ওখানে নয়, কালনী নদীর ধার ঘেঁষে উত্তরপারের শাহ্‌ আব্দুল করিমের টিনের চালা পেরিয়ে আরো দূরে, যেখানে বরষায় দিগন্ত বিস্তৃত হাওর গুলি হয়ে যায় সমুদ্র আর হেমন্তে ধুলোমলিন মেঠোপথে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল। সে গায়ে হয়তো এখনো কেউ, সন্ধ্যাবেলা গান ধরে,
''কোথা চাঁদ আমার,
ভুবন ভরিয়া মোর ঘিরিল আধার''
হয়তো কোন অশীতিপর বৃদ্ধ গাইছে সহজ সরল দুঃখ জয়ের দর্শন। সাংখ্য, পাতঞ্জল মীমাংসায় যার মীমাংসা মেলেনি! অথবা কেউবা খুঁজে পায় মানুষ রতন ,
''মনোমোহন কয় আকুল প্রাণে ,
ঘুরি তার অন্বেষণে,
বিকোই জীবন শ্রীচরণে
যদি এমন মানুষ পাই !''

রাজর্ষি

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজর্ষি,

আনন্দপুরের ঠিকানাটা মনে রেখে দিলাম, কি অদ্ভুত সুন্দর নাম নদীটির, যাদুকাঁটা। আমি সিলেট গিয়েছি জীবনে একবার, মেডিক্যাল কলেজ থেকে, চা বাগান, জাফলং আর মাধবকুন্ডূ দেখার মুগ্ধতা এখনো কাটেনি। দেশে আজকাল যখন যাই, তখন কিছুই দেখা হয়না। কতকিছু করবার প্লান করে যাই, অনেক কিছুই অপূর্ণ রেখেই ফেরত আসতে হয়।
আপনার বর্ণনা শুনে এতো ইচ্ছে করছে যেতে! হয়তো কোন সন্ধ্যা রাতে আবার আমার শোনা হবে,
'কোথা চাঁদ আমার,
ভুবন ভরিয়া মোর ঘিরিল আধার''
নাহয় হোল স্বপ্ন, তবু ভেবে দেখতে দোষ কি!!!

অনেক শুভকামনা,

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ছোট্ট লেখা, কিন্তু কী সুন্দর!

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

এক লহমা এর ছবি

আবারো ৫ তারা হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

এক লহমা,

কেমন আছেন? অনেক শুভেচ্ছা।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

মর্ম এর ছবি

ইশ! প্রত্যেকটা সকাল এমন ছিমছাম একটা লেখা পড়ে শুরু হলে কতই না ভাল হত! ইয়ে, মানে...

আপনার এই সিরিজের প্রথম দুটো লেখার লিংক দিয়ে দেবেন, প্লিজ।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

মর্ম,

অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য। লিঙ্ক দিয়েছি নীচে।

http://www.sachalayatan.com/guest_writer/52345#.U4sesM3camQ.facebook

http://www.sachalayatan.com/guest_writer/52382#.U5N0JBGAnes.facebook

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লেখা ভালো লাগেনি। উদ্ধৃত গান/কবিতা বাদ দিলে লেখা কতটুকু, আর তার কনটেন্টই বা কী?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডব,

আপনার ভালো নয়া লাগা আমার লেখার ব্যর্থতা নিশ্চয়। হয়তো ভবিষ্যতে অন্য কোন লেখা আপনার ভালো লাগবে, আশায় রইলাম।

তবে কনটেন্ট প্রশ্নের উত্তরে বলছি, এটি একটা স্ন্যাপ শট, কেউ একজনের সকাল শুরুর মুহূর্তে কয়েক সেকেন্ডে স্মৃতির রাজ্যে কয়েক পা হেঁটে আসার। লেখার সাইজ সব সময় বড়ো হতে হবে এমন ধারনায় আমি বিশ্বাসী নই, আমি একটা দৃশ্য আঁকতে চেয়েছি শব্দমালায়, গান/কবিতাগুলো সেই দৃশ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদিও পড়ার জন্য-ই এই শব্দমালা, তবু অনুরোধ থাকবে চোখ বন্ধ করে অনুভবে ছবিটা আঁকবার।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

কল্যাণ এর ছবি

দিনপঞ্জিটা কার? রীতুর না বাড়ির বউটার? নাকি বোষ্টমীর? কিচ্ছু বুঝতে পারিনি। লেখা ভাল লাগে নি।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

"দিনপঞ্জিটা কার? রীতুর না বাড়ির বউটার? নাকি বোষ্টমীর? কিচ্ছু বুঝতে পারিনি।"

আমার লেখার ব্যর্থতা আপনি বুঝতে পারেননি। প্রথম আর শেষের কয়েকটি লাইন যার, দিনপঞ্জি তার।

"লেখা ভাল লাগে নি।"

তবুও পড়েছেন, সেজন্যে ধন্যবাদ।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

কল্যাণ এর ছবি

আশা করি আপনার পরের লেখাটা বুঝতে পারব চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি চাইলে আগেরগুলোও পোরে দেখতে পারেন।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

আয়নামতি এর ছবি

ঘটনা ঠিক স্পষ্ট হতে না হতেই পটাং করে শেষ হয়ে গেলো যে! আরেকটু লিখতেন দিদি।
প্লিজ! প্লিজ! বানানের প্রতি আররেকটু যত্নশীল হবেন। লিখুন আরো। শুভকামনা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘুম থেকে উঠে যেতে হোল যে! চোখ টিপি

বানান নিয়ে দারুন সমস্যায় থাকি, অভ্র দিয়ে স্পেল চেক করার পরেও অনেক ভুল রয়েই যায়। দুঃখিত।

তবু কষ্ট করে পড়বার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

তিথীডোর এর ছবি

বেশ আশাহত হলাম। ঠিক কী লিখতে চেয়েছেন, কিছু বুঝতেই পারিনি।

ওয়েল, পরের পর্ব আসুক। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ আশাহত করার জন্য দুঃখিত।

কষ্ট করে 'ষষ্ঠ পান্ডব' কে দেয়া উত্তরটা পড়বেন। তাহলে হয়তো বুঝতে ........।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা নিয়ে এতো শক্ত করে বলার কিছু নেই।
রীতু বলেছেন যে, এটি একটি স্ন্যাপশট। কয়েক সেকেন্ডের দৃশ্য। ঘুম ভেঙ্গেই সব সূত্র ছিঁড়ে গেছে। আমরা তাঁর মত করেই ভাবিনা কেন?
রীতুর দেখানো দৃশ্যটা আমার কল্পনা করতে অসুবিধা হয়নি।

ভালো থাকবেন রীতু।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যি বলতে, অনেক দিন ধরেই আমি এরকম কিছু একটা ভাবছিলাম। হ্যা, বাঙ্গালী জীবনের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে এমন অনেক রঙ্গীন ছবি। এগুলো বলে শেষ হয় না। একবার সিলেটের বনকলা পাড়া দিয়ে খুব ভোরে হাটছিলাম। চা-বাগানে যাওয়ার আগে থেকেই দেখছিলাম কিছু রংচটা বাড়ি সামনে জীর্ণ ফুলের বাগান, দেখে মনে হচ্ছিল যেন আশি-নব্বই এর দশকে বানানো।এক মুহূর্তের স্মৃতিতে ভাসছিল হুমায়ূন আহমেদের প্রথম দিককার উপন্যাসের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলির কথা। এরকম বাড়িতেই হয়তো সরকারী কোন ছাপোষা চাকুরের বসবাস। যেখানে ভাই বোন, মা বাবা,অন্যরকম ছোট মামা নিয়ে কত কত সুন্দর দৃশ্য ।
এই দিনপঞ্জির অপূর্ণতাই যেন একটা পূর্ণতা। আরো শোনার আশা জাগানিয়া।

রাজর্ষি

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজর্ষি,

আপনি কি লিখেন? না লিখলে লিখতে শুরু করেন। আপনি অনেক চমৎকার লিখবেন আমি বুঝতে পারছি।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও শুভেচ্ছা, পলাশ। ভালো থাকবেন অনেক অনেক।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।