মুসান্দামে মেঘ-বৃষ্টি-রোদ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১১/০৪/২০১৫ - ৩:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুসান্দামে প্রথম বার ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা আগেরবার বলেছিলাম - দ্বিতীয়বার যাওয়ার গল্পটা লিখব লিখব করেও হয়ে উঠে নি। আজ মনে হলো লিখেই ফেলি - ঘুমের ঘোরে লিখা, অজান্তে কোনো ভুল চুক হয়ে গেলে পাঠক নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন দয়া করে।

একঘেয়ে ছকবাঁধা জীবন থেকে মুক্তি পেতে ফেব্রুয়ারির এক সকালে চারটি গাড়ির কাফেলা নিয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম মুসান্দামের উদ্দ্যেশে।দুবাইতে সেই সাত সকালেই খটমটে রোদ্দুর - আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছিল বৃষ্টি হবে, কিন্তু মেঘের তো ছিটে ফোটাও চোখে পড়ছে না। তবু কেন যেন জ্যাকেটটা নিয়েই নিলাম । চারটে গাড়ির কাফেলা নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম - শারজাহ পেরুতে না পেরুতেই দেখি মেঘের আনাগোনা শুরু। রাস আল খাইমাহ তে ঢুকতেই মুষলধারে বর্ষণ - ছুটির দিনে খালি হাইওয়ে ধরে আমাদের গাড়ি ঝুম বর্ষায় চলছে – দু’পাশে ভেজা বালির মরুভূমি - যারা ড্রাইভিং পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুন ভালো লাগার আবহাওয়া।

আগেরবার মন্টুদার গাড়ির ইন্সুরেন্স না থাকায় একটু ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল। এবার মন্টুদা আর সে ঝামেলায় যান নি - আগে থেকেই সব করে নিয়ে এসেছেন। নির্বিঘ্নেই সীমানা পেড়িয়ে ঢুকে গেলাম মুসান্দাম উপদ্বীপে। বৃষ্টির দিন বলেই বোধহয় চেক পয়েন্টে ভীড় কম ছিল। চেক পয়েন্ট পেড়িয়ে রাস্তার মোড় ঘুরতেই পাহাড়ের উপর রাস্তা চলে গেছে - মেঘলা আকাশের নিচে একপাশে উত্তাল আরব সাগর, আরেক পাশে পাহাড়ের সারি। মরুভূমিতে থেকে থেকে আমাদের বৃষ্টি-তৃষিত মন এই বৃষ্টি আর মেঘ দেখে আর সইতে পারল না, ছোট একটা পোতাশ্রয়ের পাশে থেমে আমরা সবাই আক্ষরিক অর্থেই চাতক পাখির মত মুখ উঁচু করে বৃষ্টির পানিতে মন ভরিয়ে নিলাম।

ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ার মাঝে হেঁটে হেঁটে চলে গেলাম পায়ে চলা পথটির শেষ মাথায়। পাথরের উপর বসে পাহাড়ের দিকে তাকাতেই মন উদাস হয়ে গেল - সবুজ সাগরের মাঝে পাথুরে পথের ওপাশে পাহাড়, দুই পাহাড়ের মাঝে আরেক পাহাড় - তার উপর মেঘের চাদর। মরু পাহাড়ের দেশে এমন দৃশ্য বড়ই বিরল - জীবনের পথে একা চলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার জন্য খুব কমই আফসোস হয়, কিন্তু সেদিন মনে হয়েছিল এমন পরিবেশে কেউ একজন পাশে থাকলে হয়ত বেশ হত।

পাথরে ছিটকে আসা পানি আর বৃষ্টিতে পুরোপুরি ভিজে যাওয়ার আগেই আবার গাড়িতে উঠলাম। এবার গন্তব্য বাশা সৈকত, দুপুরের খাবার ওখানেই রান্না হবে। বাশা সৈকত দুই পাহাড়ের মাঝে বেশ লম্বা একটা বালুময় সৈকত - বার বি কিউ করার জন্য এমন খোলা জায়গা মোটেও উপযুক্ত নয় তা আমরা একটু পরেই টের পেলাম। যখন আমরা বাশা সৈকতে এসে পৌছালাম তখনও আকাশে ঘন কালো মেঘের সারি - কিন্তু বাতাসটা বেশ জোরালো। বার বি কিউ মেশিনে কয়লা জ্বালাতে গিয়ে বাতাসের শক্তি টের পেলাম - যতই চেষ্টা করি, কিছুতেই জ্বলে না। তখন মশাদা বুদ্ধি দিলেন গাড়িগুলো ঘুরিয়ে পাহাড়ের উল্টোদিকে একটা দেয়ালের মত করে রাখতে - তারপর গাড়িগুলোর মাঝে যেই অল্প জায়গা থাকবে তাতে ভাবিদের চেয়ারে বসিয়ে দেয়া হবে , তাতে বাতাস চলাচল বন্ধ না হলেও জোর পাবে না। লাগসই বুদ্ধি - কিন্তু ভাবি সম্প্রদায় একটু নাখোশ হলেন, কারণ এভাবে এক গাড়ি তফাতে বসে গল্প করতে কষ্ট হয় !!

কিন্তু পেটপুজোর অন্য কোনো উপায় না থাকায় অগত্যা বসতেই হলো। ঘরে ছেলেরা রান্না করতে যতোই আপত্তি জানাই না কেন (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) - পিকনিকে রান্না পুড়াতে বা বার বি কিউ করতে আমাদের আগ্রহের অভাব নেই। এক ঘন্টার মধ্যেই মাংশ আর মাছ পুড়িয়ে আমরা দাবি করলাম খাবার রেডি - ভাগ্যিস বাচ্চাদের খাবার আলাদা করে আনা হয়েছিল, নইলে সব বীরত্ব ফাঁটা বেলুনের মত চুপসে যেত। খাবার (!) শেষ হওয়ার পর আমরা একটু খাঁটি বাঙালির মত এন্তার রাজা উজির মেরে আমরা যাত্রা শুরু করলাম মুসান্দাম উপদ্বীপের সবচেয়ে উঁচু রাস্তার দিকে - পাহাড়ের নাম খোর আল নাজদা।

পাহাড় আর সমুদ্রের মাঝ দিয়ে আঁকা বাঁকা সড়ক দিয়ে আমরা এগিয়ে চললাম খাসাব প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে। একসময় আমরা পাহাড়ের সারি পিছে ফেলে কিছুটা সমতল এলাকায় পৌছে গেলাম। এখন আমাদের দু'পাশে পাহাড় আর মাঝখান দিয়ে পিচঢালা মহা সড়ক। রাস্তার পাশে একটু পর পর কিছু পোল গাথা আছে, যাতে পানির উচ্চতা আর বিপদসীমা লেখা আছে - বুঝলাম এই রাস্তায় প্রায়ই পাহাড়ি ঢল নামে। আজ বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে - মনে মনে একটু শঙ্কিত হলাম। এখন যদিও খট খটে রোদ্দুর, বৃষ্টি নেমে এলে ঝামেলায় পড়তে পারি।

আধা ঘন্টা চলার পর আমরা পাকা মহা সড়ক ছেড়ে একটু পাথুড়ে পথে উঠে এলাম। পাহাড়ের গা বেয়ে কাঁচা রাস্তা ধীরে ধীরে উপরে উঠে গেছে - এক পাশে আগ্নেয় শিলার কঠিন দেয়াল, গাড়িতে লাগলে গাড়ি বাতিল। আরেক পাশে কিছুই নেই - কোনো ভাবে ফসকে গেলে জীবনটাই বাতিল। রাস্তায় প্রচুর আলগা নুড়ি পাথর, কোনো রকমে দুটি গাড়ি পাশাপাশি যেতে পারে। ওমান সরকার এখনো এই জায়গাটায় হাত লাগায় নি। আমার গাড়ি ফোর হুইল ড্রাইভ না - তখন চেহারা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে গেলেও এখন বলতে দ্বিধা নেই - এটা আমার জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ড্রাইভিং ছিল। বিশেষ করে যখন পিছনের সিটে তিন বছরের ভাতিজি বসে ছিল।

আঁকা বাঁকা এই পথটা অত্যন্ত সাবধানে কাটিয়ে আমরা যখন পাহাড়ের মাথায় উঠলাম, তখন মনটা একটু দমে গেল। জায়গাটা একটু মালভূমির মত সমান, আর কিছু নেই - সেখানে গাড়িগুলো রেখে দশ কদম সামনে এগোতেই চোখে পড়ল এক অসাধারণ দৃশ্য। এমন দৃশ্য ওমানে দেখব আশা করিনি, বন্ধুবর শারাফিনকে ধন্যবাদ এমন জায়গার খোঁজ দেয়ার জন্য।

তিন পাহাড়ের মাঝে মৃদু তরঙ্গায়িত এক নীল উপসাগর।পাহাড়ের চূড়ার সুনসান নিস্তব্ধতার মাঝে ওই নীল সাগর আর ধুসর পাহাড়ের মিতালি এক অপার্থিব অনুভুতি এনে দিয়েছিল - সে অনুভুতি লেখায় প্রকাশ করার ক্ষমতা ঈশ্বর আমায় দেন নি ....

মরুচারী


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, দারুণইতো মনে হচ্ছে। বিশাল মরুসাগরের মাঝে নীল সমূদ্র! চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ প্রৌঢ়দা - আসলেই প্রকৃতি যে কখন কোন সারপ্রাইজ সামনে নিয়ে আসে তা বুঝা দায়।

মরুচারী

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনিতো দেখি আসলেই মরুচারী।

কেউ ঘুরছে দেখলেই কেমন হিংসা হয়। পড়ব না পড়ব না করেও পড়ে ফেলি। দুধের স্বাদ ঘোলেতো মেটে।

লেখা ভালো লাগলো।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা - মরুদেশে থাকি বলে মরুভুমিতেই ঘুরি, আর তো কোনো বিকল্প নেই হাসি
লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মরুচারী

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সাধারণ আর সাবলীল লেখা পড়ে ভালো লাগলো! সেই সাথে গত বছরের দুবাই আর শারজা ট্যুরের কথা মনে পরে গেলো! ধন্যবাদ লেখককে!
[সামশাদ]

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সামশাদ - সাধারণ জীবনের কথাকে সাধারণ লেখনীর মধ্যে প্রকাশের চেষ্টা করছি মাত্র। আপনাদের ভালো লাগাই আরো চেষ্টা চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

মরুচারী

বন্দনা এর ছবি

মিডলিইস্ট্রান কান্ট্রি মানেই মরুভূমি দেখবো তেমনটাই মনে হত, আজকাল সচলে বেশ কিছু ভাল পোস্ট আসছে তাতে ধারনাই পরিবর্তন হয়ে গেছে অনেকটা। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ - মধ্যপ্রাচ্যে পাহাড়গুলো কিন্তু মরুভূমিরই অংশ। যেসব পাহাড়ে একটু পানি বা ঝরনা থাকে তাতেই একটু সবুজের ছোঁয়া পাওয়া যায় কেবল, বাকি সব পাহাড়ই একদম ন্যাড়া।

মরুচারী

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শেষের লেকটা কি rift lake? এর নাম কী? ইউএই থেকে ওমানে ঢুকতে কি ভিসার বাধা নেই?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ষষ্ঠ পান্ডবদা
শেষেরটা লেক না - পাহাড়ে ঘেড়া উপসাগর। তবে rift lake - এর মত এর সৃষ্টিও দুই টেক্টোনিক প্লেটের সংঘর্ষে। ইরান থেকে শুরু করে ওমান পর্যন্ত পুরো হাজর পর্বতমালা এভাবে সৃষ্টি - মুসান্দামে পাহাড়ের মাঝখানের অংশে সাগরের পানি এসে ভরে দিয়েছে। শেষের ছবিটার জায়গার নাম খোর আল নাজাদ - আরবিতে খোর মানে খাল বা খাড়ি।

ইউ এ ই ও ওমান দুটাই GCC-ভুক্ত দেশ - এ জন্য এক দেশের রেসিডেন্স ভিসা থাকলে আরেক দেশে যেতে on arrival ভিসা পাওয়া যায়।

মরুচারী

আয়নামতি এর ছবি

প্রথমেই চিমটি! কেন দিলাম চিমটি বলতে পারলে পুরস্কার পাবেন দেঁতো হাসি
লেখাটা পড়তে পড়তে দু'জন কবি উঁকি দিয়ে গেলেন। পাহাড়ের ওপাশে পাহাড়, **** তোমার হৃদয় আছে নাকি শুধুই দুইশ'ছয়খান হাড়! মূল কবিতা 'আকাশের ওপাশে আকাশ সুরঞ্জনা, তোমার হৃদয়ে আজ ঘাস(বলি বালির উপ্রে হৃদয়খানা আঁকিল কে!)'আর কয়লা জ্বালাবার কসরতে , যতবার কয়লা জ্বালাতে চাই নিভে যায় বারে বারে, বজ্জাত বাতাস আসিয়া কেবলি ঝাপটা মারে। মূল কবিতা, 'যতবার আলো জ্বালাতে চাই নিবে যায় বারে বারে, আমার জীবনে তোমার আসন গভীর অন্ধকারে।' দেঁতো হাসি

আচ্ছা মরুভূমি বলতে প্রথমেই মনে আসে মরিচিকার কথা, আপনার এমন অভিজ্ঞতা আছে নাকি? কিংবা উইলি উইলি'র? থাকলে ঝটপট রেসিপি বসিয়ে লিখে ফেলুন আমাদের জন্য। বাংলা লেখায় আপনি খুব সাবলীল, 'গুন' বাদে আর কোন টাইপো চোখে পড়েনি। আপনাকেই তাই বাংলা নববর্ষের প্রথম আগাম শুভেচ্ছা খান দিলাম ভাইয়া হাসি পাহাড়ি এলাকায় সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা আছে নাকি? কেমন সেটা? লিখুন থাকলে। হাত পা খুলে লিখতে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আয়্নাদি - পাহাড় আর সমুদ্র বুঝি আপনারও পছন্দ - তাই চিমটি? হাসি

আমি একটু "আইলসা" টাইপের মানুষ - পাহাড়ে তাই সাইকেল না চালিয়ে গাড়ি চালাই দেঁতো হাসি
মরিচিকার দর্শন মরুভূমিতে মিলে নি - তবে মহাসড়কে দেখে ছিলাম। জানি না ওকে মরিচিকা বলে কিনা।
আর সৈকতে কে কি আঁকলো তা না হয় নাই বললাম, তবে মনে হয় আরবের সুরঞ্জনাদের হৃদয়ে ঘাসের বদলে থাকে কেবলি বালি চোখ টিপি

আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ আর শুভ নববর্ষ

মরুচারী

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ ঝরঝরে লেখা! টাইপো আছে কিছু, নিজ গুণে নাকি লেখার গুণে ক্ষমা করতে চাইছে মন, বুঝতে পারছি না চোখ টিপি

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজগুণেই করে দিন দাদা লইজ্জা লাগে

মরুচারী

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি আরও ছবি দ্যান পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে মানে দেয়ার যোগ্য আর তো নাই, পরের বার গেলে বেশি করে তুলব - আপনার দিব্যি দেঁতো হাসি

মরুচারী

তিথীডোর এর ছবি

৩ নং ছবিটা খুব সুন্দর! চলুক

মরুচারী, মরুদ্যান-- সচলে দেখি আরববাসীদের ছড়াছড়ি। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
সচলে তো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত - আরব দেশই বা বাকি রইবে কেন?

মরুচারী

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মরুদ্যান আর মরুভূমিতে যে নাই সেকথা তো ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে গেছেন। এখন মনে হয় আরব/মরুবাসী সচল খুব বেশি নেই। এককালে জুলিয়ান সিদ্দিকী আরব দেশ থেকে বড় বড় উপন্যাস লিখে পোস্টাতেন।

সচলে বোধকরি আফ্রিকাবাসী লেখক অনেক আছেন। লাতিন আমেরিকাবাসী সচল এখনো দেখি নাই। তুমি গাঙ পাড়ি দিয়া লাতিনা হইয়া যাও। তাইলে কোটা পূর্ণ হইবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তিথীডোর এর ছবি

লাতিনা কি আমারে হৈতে কইলেন?
তাহলে ঠিক আছে, আমার পেরু আর মাচ্চু পিচ্চু দেখার বেজায় শখ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঐখানের ছবি তো পাপিষ্ঠ তারেকানু পোস্টাইয়া দিছে, আন্নে আমাজনের লাইভ টেলিকাস্ট করেন গে। লগে আন্দিজের বুদ্ধমূর্তির দু-চারটে ছবি দিয়েন। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।