শেষ চৈত্র্য আর প্রথম বৈশাখের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০৪/২০১৫ - ১২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পহেলা বৈশাখের আগের দিনটি অবধারিতভাবেই চৈত্র্য সংক্রান্তি ঠিক যেমন মাঘ মাসের প্রথম দিনটির আগের দিন পৌষ সংক্রান্তি। একটা মাস বা বছর শেষ না হলে নতুন মাস বা বছর শুরু হওয়ার প্রশ্ন নেই। বাংলা পঞ্জিকায় ‘পহেলা’ তারিখের আগে তাই ‘সংক্রান্তি’ রয়ে গেছে সবসময়। আর তার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের ছোটবেলার পহেলা বৈশাখগুলোও শুরু হতো চলে যাওয়া বছরের সমাপনী দিনটির রেশ নিয়েই। আজকের শহুরে সংস্কৃতির মতো কেবল একটি দিনকে লাল-সাদা আর ইলিশে-পান্তায় বাঙালিয়ানায় ভরিয়ে দেবার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হতো না তখন, ভোরের সূর্য্য থেকে গোধূলির লালচে আভা, সব ছিল শতভাগ বাঙালি, বিনা চেষ্টায়। চৈত্র্য সংক্রান্তি আর নববর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা স্কুল ছুটি পেতাম টানা দু’দিন, ব্যস! সেই দু’দিন আমাদের জন্য ছিল একেবারে ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা’ টাইপের।

বেলা শেষের গান
ছোটবেলার চৈত্র্য সংক্রান্তির ভোর ছিল ব্যস্ততারই নামান্তর। হবে নাই বা কেন-সাত সকালে বাড়ি থেকে বেরোতে না পারলে কেমন করে সবচেয়ে বেশি প্রকারের শাক পাওয়া যাবে? বা রে, কমসে কম সাত প্রকারের শাক তো ঐ দিন লাগবেই, না হলে আর সংক্রান্তির শাক হলো কী করে! খেত আর মাচানের শাকগুলো ঐদিন পারলে আমাদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচত। তারপর শাক তুলে এনেই আমাদের প্রিয় কাজ ছিল-আমগাছে উঠে পছন্দসই গোটাকতক আম সংগ্রহ করা; তার আগ পর্যন্ত গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে বোল থেকে সবুজ ছোট্ট ছোট্ট আমের কুঁড়ি, তারপর সেই সবুজ কুঁড়ির একটু একটু করে বড় হওয়া চোখের সামনে দেখেও নিজেদের লোভকে বাগ মানাতে আমাদের তো আর কম বেগ পেতে হতো না! ঐ দিন সাত সকালে উঠে তাই গাজা আর ভালো দেখে কিছু আম হস্তগত করাই চাই, কোনোরকমে পূজো শেষে পেটে কিছু দিয়েই লবণ আর ঝাল সহযোগে জিহ্বায় হুঁশ হাশ শব্দ করে চোখের জলই যদি বের না হলো তবে বছরের প্রথম (নাকি শেষ!) টকস্য টক আম খাওয়ার অর্থই বা কী!

আম পেড়ে রেখেই ছুটতাম স্নান করতে। আমাদের গ্রামে নদী ছিল না, নেই এখনও-শহরের অনেকেই যারা গ্রাম দেখেনি কখনও, ছবিতে গ্রাম দেখে ভাবে, বাংলাদেশের সবগুলো গ্রামে বুঝি অন্তত একটি করে নদী থাকা বাধ্যতামূলক, তাদের সবসময়ই বলি, নদী ছাড়াও খুব সুন্দর ছবির মতো গ্রাম অনেক আছে বাংলাদেশে। তো, নদী ছিল না আমাদের গ্রামে, আমরা স্নান করতাম যার যার বাড়িতে টিউবওয়েলে। স্নান করেই ঠাম্মা, মা-কাকিমাদের পায়ে পায়ে ছুট আবার, পাড়ার ঠিক বাইরেই আমার ছোটকাকুর একটা জমির একধারে আছে শিবের থান, চৈত্র্য সংক্রান্তিতে সেই থানে পূজো দেয়া বাধ্যতামূলক। সংক্রান্তির সকালের বিশেষ খাবার ছিল চাল, গম, বুট, ছোলা ইত্যাদি ভেজে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, লবণ আর সর্ষের তেল দিয়ে একসাথে মাখা। গরম কড়াইতে বালি গরম করে আমার মা-কাকিমারা এসব ভাজত, বালির খোলায় পটপট করে ফুটত ডাল, গম। তো সকলের আগে সেই খাবার নৈবদ্য হিসেবে দেয়া হতো বাড়ির নিত্য পূজনীয় কৃষ্ণ বা গোপালকে আর তারপরই সেই শিবঠাকুরকে। কৃষ্ণ না হয় সাক্ষাৎ ভগবান, তাই সবার আগে তার নৈবদ্য থাকা বাধ্যতামূলক কিন্তু তার পরপরই নিজের ভাগ না পেলে চুপটি করে থাকবার মতো ধৈর্য্য যে দেবাদিদেবের নেই, এ গল্পই আমাদের পেটে খিদের অনুভূতি সঞ্চারে বাধা দিত। আর তাছাড়া সবাই মিলে পূজো দিতে যাওয়ার মধ্যে একটা নেশাও ছিল; পূজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের খিদে পেত না সে বেলা যতই হোক না কেন। পূজো শেষ করে বাড়ি ফিরেই চাল-ডাল ভাজা খেয়ে নিতাম পেট পুরে। বছরের শেষ দিনে নাকি তেতো খাওয়া বাধ্যতামূলক, তাই মা তেলে ভাজা নিমপাতা ছড়িয়ে দিত খাবারের বাটিতে, আমরা সোনামুখ করে তেতো খেতাম সারাবছর পেটে কৃমি হবে না বলে।

তারপর আম খাওয়ার পালা, যার যার জমানো আম নিয়ে হাজির হয়ে যেতাম আমাদের বিশাল আকারের বাইরের উঠোনটায়-সঙ্গে কলাপাতা, ছুরি, লবণ, কাঁচা মরিচ আর সর্ষের তেল। একটা দু’টো আম শুধু লবণ দিয়েই কচকচ করে চিবিয়ে খেয়ে নিতাম, বাকিগুলো কলাপাতায় করে লবণ, মরিচ আর তেল দিয়ে ‘ঝালা’ বা ভর্তা করত সীমা; ঐটুকু বয়সেই সীমা আমভর্তা বানানোর ক্ষেত্রে যে কোনো বিখ্যাত রান্নাবিদকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার মতো দক্ষ ছিল! ওর মাখানো আমভর্তা কলাপাতার ছোট ছোট টুকরোয় নিয়ে আমরা হুঁশহাঁশ করে খেতাম আর চোখের জলে নাকের জলে একাকার হয়ে যেতাম। আহা! আজ অব্দি অমন করে আম ভর্তা খাওয়া হলো না আর কোত্থাও।

সংক্রান্তির দুপুরের খাবারের তালিকায় নানা পদের তোতো খাবারের উপস্থিতি ছিল অনিবার্য। করলা, গিমা শাক ভাজির পাশাপাশি ডালের বড়ার সাথে নরসিং পাতাও বেটে দেয়া হতো। অনেকগুলো পদ রান্না করত মা, অন্যদের বাড়িতেও অনেক পদই হতো। এঁচোড় আর মাছ অবশ্যই থাকত বছরের শেষ দিনের খাবারে, বেশিরভাগ বাড়িতেই পাঁঠা বা খাসির মাংস রান্না হতো তবে নববর্ষে খাবে বলে অনেকেই আবার সংক্রান্তির দিন মাংস বাদ রাখত। খুব একটা খারাপ খাবার হতো না কোনো বাড়িতেই, আক্ষরিক অর্থেই মঙ্গাকবলিত পরিবারগুলোও দু’টো ভালোমন্দ খেত এ দু’দিন, অন্যান্য উৎসবের মতোই। দাদু-ঠাম্মা আমাদের বাড়িতে খেত ঐদিন অবশ্যই নিয়ম করে। ভালো ভালো খাবার খেয়ে পুরনো বছরকে বিদায় দেয়ার নিয়ম ছিল আমাদের বাড়িতে।

একটা সময় পর্যন্ত পাশের পাড়ায় ফসল উঠে যাওয়া খেতে চড়কের মেলা হতো, বছর তিনেক আমাদের সেই শিবের থানেও হয়েছে-সেই দিনগুলোতে বিকেল না হতেই আমরা ভালো জামা কাপড় পরে বেড়াতে যেতাম চড়কের মেলায়। মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথ-বড়দের লাগত না, আমরা পুঁচকের দল নিজেরাই যেতে পারতাম। হাতে থাকত দুই, পাঁচ বা দশ টাকার এক দু’টো নোট, তখনকার দিনে সেই টাকার মূল্য নেহাত কম ছিল না। আমরা ইচ্ছেমতো খেতাম, কিছু কিনে নেবার হলে অবশ্য বড়দের কাছেই বায়না করতাম তখন। সন্ধ্যে পার করে দিয়ে হাতে মাটির জিনিসপত্র ঝুলিয়ে কেউবা কোলজোড়া তরমুজ নিয়ে গল্প করতে করতে এবড়োখেবড়ো পথে বাড়ি ফিরতাম। আরেকটু বড় হয়ে যখন সেই চড়কের মেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, দূরের গ্রামে একবার গিয়েছিলাম মেলা দেখতে। মন টানেনি যদিও দর্শক টানবার জন্য সেই মেলাগুলোতে বিভিন্ন আয়োজনের কমতি ছিল না। বিশাল মাঠ, হরেক জিনিসের দোকার আর ‘মহা আকর্ষণ’ ‘পিঠিফোঁড়া’। এই মহা আকর্ষণই আমার মহা বিকর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পিঠের মধ্যে মোটা মোটা লোহার শিক গেঁথে মাঠের মাঝখানে এক বিশাল পিলারের সাথে দঁড়ি বেঁধে বনবন করে একটা মানুষের ঘুরতে থাকার দৃশ্য আমাকে পাগল বানিয়ে দিয়েছিল প্রায়। সেই একবারই শেষ, দিদি আর ছোট বোনটার মতো আমিও আর কোনোদিন পিঠিফোঁড়া দেখতে যাইনি।

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
পান্তা-ইলিশের কোনও চিহ্ন ছিল না ছোটবেলার নববর্ষে। ইলিশ রান্না হতো মাঝে মাঝে তবে তা বাধ্যতামূলকভাবে নয়। আর পান্তার প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল বাড়িতে। আগের বছরের রান্না কোনোকিছু পরের বছরে বয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে বিশ্বাস করত মায়েরা। নেহাৎ আগের দিনের রান্না খাবার বেঁচে গেলে তা যেত গরু-ছাগল না হয় পুকুরের মাছেদের ভোগে। এদিন সকালেও আমরা ছুটতাম শাক তুলতে, খেত ভরা কচি সবুজ পাটশাক তুলে আনতাম কোঁচড় ভরে, তবে এদিন কমসে কম সাতটা শাক খাওয়ার নিয়ম ছিল না। পাড়ার কোনও বউকে নিয়ে মা ভোরবেলাতেই বাড়িঘর সব মুছে নিকিয়ে ঝকঝকে করে তুলত। ঝকঝকে তকতকে নিকোনো মাটির উঠোনে প্রথম সকালের রোদ্দুর পড়ে হাসত মুক্তোদানার মতো।

বছরের শুরুর দিনে সকালবেলা স্নান করা ছিল অলিখিত কিন্তু অবশ্যপালনীয় নিয়ম। স্নান করে মা পূজো করত, সারা বাড়িতে ধূপ দিতাম আমরা ছোটরা। তারপর কপালে এতবড় এক একটা তিলকের ফোটা লাগিয়ে দই-চিড়ে-মুড়কি মেখে খেতে বসতাম আমরা। বিজয়ার মতো নববর্ষেও দই-চিড়ে খাওয়ার চল ছিল আমাদের গ্রামে। দাদু-ঠাম্মার নেমন্তণ্ন ঐ দিনও বজায় থাকত। কাকাতো-জ্যাঠাতো ভাইবোনগুলোরও সবার নেমন্তণ্ন থাকত সবার বাড়িতে, সকাল-দুপুর-রাত, প্রতি বেলায়। অবশ্য একই খাবার সব বাড়িতে খাওয়ার কোনও আগ্রহ ছিল না আমাদের, সকালের নেমন্তণ্ন রক্ষায় তাই আমাদের যথেষ্ট অনীহা ছিল। আমরা তার চেয়ে খেলতাম দল বেঁধে। ছোটবেলায় উৎসব মানে ছিল অন্যদিনের মতো কেবল বিকেলে নয়, সারাদিন ইচ্ছেমতোন খেলা, এই ব্যাপারটা আমাদের সবচাইতে পছন্দের ছিল।

বছরের প্রথম দিনে ভালো খাবার মানে সারা বছর সমৃদ্ধি আর ভালো খাবারের অভাব না হওয়া। এদিনও তাই দুপুরবেলা অনেক পদের রান্না হতো, সাথে মিষ্টি, মণ্ডা। নেমন্তণ্ন রাখতে রাখতে আমাদের তখন ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। না, ছাড়তে রাজি ছিল না কেউই। তখনও গ্রামের বাড়িতে আমাদের মা-কাকিমারা এখনকার বৌয়েদের মতো অতিথি দেখলেই নাক সিটকোনো ভাব করত না বরং অন্তত পালাপার্বনে আমাদের খাওয়াতে না পারলেই যেন তাদের দুঃখের অবধি থাকত না; তাই একের পর এক আমরা খেয়ে বেড়াতাম এবাড়ি ওবাড়ি। সারাবছর এমনি করে ভরপেটে আরও আরও খেয়ে যেতে হবে কিনা তা ভাবতেও ভয় হতো একটা সময়। এটা ঠিক, তখন আমরা বিশ্বাস করতাম-বছরের প্রথম দিন যা কিছুই করা হবে, তার রেশ রয়ে যাবে সারাটা বছর!

পয়লা বৈশাখে মেলা হতো না আমাদের পাড়ায়, কেবল যে তিন বছর আমাদের শিবের থানে চড়ক পূজো হয়েছিল, সেই তিন বছর মেলার অস্তিত্ব ছিল মোট তিন দিন করে। ঐ তিন বছর আমরা মেলা দেখেছিলাম পহেলা বৈশাখে আর তার পরের দিনও, অন্য বছরগুলোর বিকেলগুলো বরাদ্দ ছিল শুধুই খেলার জন্য।

পরিশেষ
সরকারি হিসেবে রাত পোহালেই চৈত্র্য সংক্রান্তি আর তার পরদিন পহেলা বৈশাখ। পঞ্জিকার হিসেব অনুযায়ী দিনগুলো আর এক দিন করে পেছাবে। শহুরে সকল বাঙালির মতোই আমিও উৎসবের দামে ইলিশ কিনেছি, লাল পাড় সাদা শাড়ির সাথে মিলিয়ে দুল আর মালা কিনেছি, দাদার জন্য শার্ট কিনেছি, হলজীবনের বন্ধুর সাথে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা আয়োজন করেছি। বেশ আনন্দেই করেছি এসব, অফিসের অনুষ্ঠানের জন্য সঞ্চয়িতা আর জীবনানন্দের কবিতাসমগ্রের প্রতিটা পাতা উল্টেছি। বেশ হবে এবারের পহেলা বৈশাখ। কিন্তু আমার বাবা-মা’র ঘরে গত কয়েক বছরের মতো এবারও চৈত্র্য সংক্রান্তি আর পহেলা বৈশাখ অনাদৃত, অনাহুত হয়ে থাকবে, জানি। আমার মা এবারও সংক্রান্তির দিনে গরম বালিতে চাল-ডাল ভাজবে না, কষানো এঁচোড় রাঁধবে না, আমার বাবার এবারও মনে থাকবে না বছরের প্রথম দিনে দুপুরের খাবারে মাংস থাকতেই হবে বলে একটা নিয়ম ছিল ও বাড়িতে এক সময়। আমার মা বৈশাখের প্রথম দিনে লাল-সাদা শাড়ি পড়বে না এবারও, পড়েনি কখনও, গ্রামে পড়তে দেখিনি কাউকে নতুন বছরে। আমরা হুল্লোড়ে, উৎসবে আর আড্ডায় মেতে উঠব একটা দিন আর আমার বাবা-মা একলা বাড়িতে বসে তাদের একঘর ছেলেমেয়ের কথা ভাবতে ভাবতে শূন্য ঘরের দিকে তাকাবে হয়ত।

দেবদ্যুতি


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এইবার চৈত্র-সংক্রান্তির আগে কামারু-সংক্রান্তি ফ্রি, এই আনন্দে আগাম "শুভ নববর্ষ" দেঁতো হাসি

[ ডিয়ার মোডুসকল, অন্তত শিরোনামের চৈত্র্য টাকে চৈত্র বানায়ে দ্যান, পিলিজ লাগে ইয়ে, মানে... ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

এ হে, এনসিটিবি তো এমন করেই চৈত্র বানান লেখে। আমার কী দোষ! আমি তো তাদের বানান ‘ফলো’ করতে বাধ্য-‘ফলো’ করতে করতে অভ্যেস হয়ে গেছে মন খারাপ !

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

ফ্রি সংক্রান্তিখানার সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এই বানান কোথা থেকে শিখেছি? এনসিটিবি’ও তো এটা লেখে না দেখছি ইয়ে, মানে... । আপনি না বললে কোনোদিন সচেতনভাবে খেয়াল করা হতো না হয়ত। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আয়নামতি এর ছবি

যথার্থ ব্লগর ব্লগর চলুক
শাড়ি পরতে খুব পছন্দ করেন বুঝি? আমি তেমন পরিনি, এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকবার পরেছি।
তারচে' বই পড়া সহজ লাগে দেঁতো হাসি আগাম শুভকামনা থাকলো বাংলা নতুন বছরের হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আর শুভেচ্ছা আপনাকেও । শাড়ি খুব পছন্দের কিন্তু পরা হয় না তেমন। তাই বন্ধুদের সাথে যেমন হতো, কলিগেরা মিলেও তেমনটাই করি এখন, ছুতো পেলেই শাড়ি পরতে হবে! জানেন-বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ ম্যাচে জিতলেও আমরা সেই উপলক্ষে অফিসে শাড়ি পড়তাম দেঁতো হাসি দল বেঁধে । তবে বই পড়া যে বেশি সহজ, তাতে সন্দেহ নেই মোটে হাসি

কিন্তু এতগুলো বানান ভুল হলে কী করে হয়! এখন দেখি ‘তাজা’ হয়ে গেছে ‘গাজা’, ‘দোকান’ হয়েছে ‘দোকার’। একটা বাক্যে দেখি ‘অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা আয়োজন করেছি’! মন খারাপ আগে সব নজর এড়িয়ে গেছে।

দেবদ্যুতি

আয়নামতি এর ছবি

আমি তো ভেবেছি 'গাজা' কোন শাকের নাম হবে। একদম খাঁচার মুর্গির জীবন কাটিয়েছি ঢাকায়,
আপনার লেখা অনেক নামই তাই নতুন ঠেকেছে। জিজ্ঞেস করে খামোখাই নিজের বিজ্ঞতা ফাঁস করতে চাইনি। হয়ে গেলু ঠিকই ওঁয়া ওঁয়া হাচল হয়ে সব ফকফকা করে নেবেন, তিষ্ঠ ক্ষণকাল! হাসি
শাড়ি পরার গপ লিখবেন নাকি? লিখুন, কী আছে জীবনে!

অতিথি লেখক এর ছবি

শাড়ি পরার গপ! লোকে পিটানি দিলে দৌড়াব কই? আপনার কাছে যাওয়া হবে না-পিলেনের ভাড়া নাই চোখ টিপি

আমারও সেই একই দশা! নতুন কিছু রাঁধতে গেলে দেখি উপকরণের অর্ধেক জিনিস চিনি না, এতই বিজ্ঞ! লইজ্জ্বায় কাউরে কইতেও পারি না-এইসব কি কওনের মতন কতা? আপনারে কইয়া দিলাম কানে কানে দেঁতো হাসি

আয়নামতি এর ছবি

পিটানি দিলে সোনামুখ করে খাওয়ার দিন আর নাই হে বঙ্গ ললনা।
কাজেই ভয়ডর ভাসান দিয়ে লিখেই ফেলুন। রান্না আমার একদমই পছন্দের কাজ না।
বলি এতসব ফার্ষ্টফুডের দোকান, রেস্টুরেন্ট হলু কি জন্যে! পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

তাইলে শাড়ি পরার গপ্পগুলা এক জায়গায় করতে করতে ভাবতে থাকি ক্যামনে লেখা যায় হাসি ।... আমি আবার রাঁধতে এত পছন্দ করি, এত পছন্দ করি, এত পছন্দ করি যে...এ...এ পারলে রোজই একখান দুইখান নতুন রেসিপি ঝাড়ি। রান্নার ধারে কাছেও আপনার যাবার দরকার নাই, দিদিভাই, একখান চুপ কথা কইয়াই দিই- আমারও একখান রেস্টোরেন্ট দিবার শখ, আপনাদের দিকেই তাকায়া আছি কিনা চাল্লু

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমি তো ভেবেছি 'গাজা' কোন শাকের নাম হবে।

এক্করে ভুল ভাবেন নাই, খালি চন্দ্রবিন্দুটা বাদ পড়ছে দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চন্দ্রবিন্দু দিলে যে ‘শাক’টা হয়-সেটা আপনার খুব পছন্দের বুঝি?! দেঁতো হাসি

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বন্দনা এর ছবি

হো হো হো হো হো হো

আয়নামতি এর ছবি

ঠিক হইছে হো হো হো

বন্দনা এর ছবি

দিলেন তো এই আমের কথা মনে করিয়ে দিয়ে, এখন তো জিভে খালি জল আসছে।
চলুক লেখা জব্বর হয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আমের কথা খালি আমার একার কেন মনে পড়বে, বলুন? তাই এখানে লিখে আপনাদের দশ জনকে মনে করিয়ে দিলুম আর কী হাসি

বি.দ্র.-আমার বাপ-মায়ের হাতে লাগানো গাছের আম খাওয়ার জন্য বাড়িতে লোকের অভাব আর আমাকে আজ একশ’ টাকা কেজি দরে আম কিনতে হলো-সহ্য হয়!! রেগে টং

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- । আর আমের কথা মনে করে খালি একা কেন আমি কষ্ট পাই-তাই দিলাম সবাইকে মনে করিয়ে :D।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো বললে কম বলা হবে।

ভালো থাকুন সব সময়।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি । শুভকামনা আপনার জন্যও, ভালো থাকুন সবসময়।

দেবদ্যুতি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

মাঝরাতের শুনশান নিরবতায় মৃদু আওয়াজে গান শুনতে শুনতে যেন টাইম মেশিনে করে চলে গিয়েছিলাম আমার কৈশোরে। গ্রামে অবশ্য আমার তেমন করে থাকা হয়নি কিন্তু ৫৫/৬০ বছর আগের মফস্বল শহরগুলোতে গ্রামীণ আবহই ছিলো। সেকালে মুসলিম পরিবারে এ পার্বণগুলো এমনভাবে ালিত হতোনা বটে, তবে তখনকার সময়ে হিন্দু প্রতিবেশীর সংখ্যা ছিল অনেক। আমরাও বিভিন্ন হিন্দু বন্ধুদের সাথে সবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে খেয়ে বেড়াতাম। হিন্দু বন্ধুরাও যেমন ঈদের দিনে সারাদিন আমাদের সাথেই কাটাতো। আহা, তখন আমরা 'কী সোন্দর দিন কাটাইতাম!' লেখাটা ভাল লাগলো খুব। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষের শুভেচ্ছা। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভেচ্ছা আপনাকেও। আগের সোন্দর দিনগুলো কেন যে চলে গেল-বুঝে আসে না। আমার বন্ধুদের বাড়িতে ঈদ আর শব-ই-বরাতের বাঁধা নেমন্তণ্ন ছিল, আমাদের বাড়িতে ওদের যেমন পূজোয়। মনে পড়ে গেল মন খারাপ

দেবদ্যুতি

এক লহমা এর ছবি

দ্যুতি-দিদি, ফোনের পর্দায় তোমার লেখা পড়ে কম্প্যু খুলে মন্তব্য না করে ঘুমোতে যেতে পারলাম না। এত এত স্মৃতি এমন চমৎকার করে তুমি উথলে নিয়ে এলে মনের একূল-ওকূল ভাসিয়ে! আর শেষে তো প্রবল বানভাসি! ৫ তারা অবশ্যই।

সারা বছর ধরে এমনি অজস্র লেখা আসতে থাকুক তোমার কাছ থেকে এই আকাঙ্খা জানালাম। ভালো থেকো, যতটা ভাল থাকা তোমায় মানায়, পুরোটা!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

সাত সকালে উঠেই এমন মন্তব্য-অজস্র ধন্যবাদ, লহমা’দা। শুভকামনা আপনার জন্যও, ভালো থাকবেন যতটা ভালো থাকা আপনাকে মানায়। তবে স্মৃতি মনের একূল-ওকূল ছাপিয়ে দিলে বুকের ভেতর আটকে পড়া একটা পাখির ডানা ঝাপটানি বেড়ে যায় যে অনেক গুণে-তার কী হবে?

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আমার পুরান বর্ষবরণ এর কথা মনে পইড়া গেল। বেশি কিছু না শুধু প্রতি বৈশাখ এই বিদ্যালয় থেকে আমরা বনভোজনে যাইতাম নদীর চরে, আর তাহার মজা,,,,,, । তাও কি আর বুজাইয়া বলিতে হয়রে ভাই? এখন শুধু আফসোস -এন জে শাওন

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বনভোজনে যাইতে চাই ওঁয়া ওঁয়া । ক্যান যে জীবন থেকে স্কুল পালিয়ে যায়, কে জানে!

দেবদ্যুতি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। ছোটদের ছুরি-চাকু-বঁটি ধরা নিষেধ ছিল বলে কাঁচা আমের খোসা ছাড়ানোর জন্য একটা বিকল্প অস্ত্র ছিল। বড় বড় ঝিনুকের খোলার মাঝখানটা সিমেন্ট বা পাথরের শানে ঘষলে মাঝখানে একটা বড় ছিদ্র হতো। ব্যাস তখন ওটা peeler-এর কাজ করতো। আজকাল লোকে আমভর্তাতে আখের গুড় দেয় না। আমের ভর্তায় গুড়ের দানা না থাকলে টক-ঝাল-নোনতা-ঝাঁজের সাথে আমার কাছে ঠিক জমে ওঠে না।

২। চাল-গম-ছোলা-মটর-পেঁয়াজ-আদা-রসুন-লঙ্কা-লবণ-সর্ষের তেল মাখানো গরমাগরম যে খায়নি সে বুঝবেনা এটা কী অমৃত! নিমপাতার বড়ি বলে এক কৃমিবিনাশক মহৌষধ বাড়িতে বানানো হতো। ঐ অখাদ্য যে খায়নি সে বুঝবেনা কৃমির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতিটা কী ভীষণ!

৩। নরসিং পাতা চিনতে পারলাম না। ডালের বড়ায় গন্ধভাদালী পাতা দেয়া হতো। এখন তো লোকজন পেঁয়াজু আর ডালের বড়ার পার্থক্যই জানে না। বকফুল আর মিষ্টি কুমড়ো ফুল বেসনে ডুবিয়ে ভাজা হতো। এঁচোড় আর ডুমুর রান্না করতে জানা লোকজন এখন অ্যালবামে ঠাঁই নিয়েছেন।

৪। সংক্রান্তির দিনে ২১/২৭/৩১ রকমের নিরামিষ অবশ্যভক্ষ ছিল। এই কালচারটা এখনকার রেস্টুরেন্টরা ফিরিয়ে আনতে পারে। অবশ্য ফার্মের মুরগীর ঠ্যাঙভাজা খাওয়া প্রজন্মের কাছে নিরামিষের কোন আবেদন নেই।

৫। আমাদের কাছে বৈশাখী মেলা মানে লক্ষ্মীনারায়ণ আখড়াতে এক মাসব্যাপী মেলা। সারা বছর পয়সা জমাতাম সেই মেলা থেকে খেলনা কেনার জন্য।

৬। পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাবার কথা শুনছি ইদানীংকালে। এটা বৈশ্যবুদ্ধিজাত বানানো কালচার। এই সময়ে ইলিশ দুষ্প্রাপ্য, আকারেও বেশি বড় হবার কথা না। এর দরকার আছে বলে মনে হয় না।

৭। পিঠিফোঁড়া'র কথা বললেন, আপনি কোন অঞ্চলের মানুষ? এই ভয়ঙ্কর-নিষ্ঠুর প্রথাটা উচ্ছেদ হওয়া দরকার।

দু'হাত খুলে লিখে যান।

শুভ নববর্ষ!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পাণ্ডব দা’, অনেক যত্ন নিয়ে পড়েছেন, কৃতজ্ঞতা। আপনার স্মৃতির টুকরোগুলো অমূল্য, ভালো লাগল। আরেকটু বকরবকর করি-

১। আমি বোধহয় স্বভাবে আপনার ঠিক উল্টো, পাণ্ডব দা’। আমের ভর্তায় গুড় মানে আমার খাওয়া একেবারে মাটি। অন্য সবাই অবশ্য আখের গুড় না হয় নিদেনপক্ষে একটু চিনি মেশাতে চাইত মনে মনে কিন্তু জানেনই তো-‘লিডারবাক্য শিরোধার্য’!

২।হুঁ, ‘চাল ভাজা’ বলে অবজ্ঞা করবার বস্তু যে এ নয়, সেটা জানার জন্য হলেও এটা একবার চেখে দেখা উচিৎ বটে। আর কৃমির ব্যাপারটা কী বলব, সব জড়িবটি সমানে অকৃতকার্য হতো আমার বেলায় এসে, নিমপাতা ভাজির পরিমাণ আমার পাতেই তাই সবচেয়ে বেশি থাকত! বড়িটা অবশ্য খাইনি কখনও।

৩।গন্ধভাদালী আমাদের গ্রামে হয় না। আর নরসিং দেখতে ঠিক যেন ছোট নিমগাছটি। লম্বায় ৩/৪ ফুট, পাতাগুলো নিমপাতার মতোই-আকার ও স্বাদে, শুধু ডালের বড়ায় বেটে দেয়ার জন্যই ব্যবহার করা হতো… দিলেন তো মশাই বকফুল আর কুমড়ো ফুলের বড়ার কথা মনে করিয়ে! কাঞ্চন ফুলেরও বড়া খেতাম আমরা, ভোলার মতো নয়… আমি কিন্তু এখনও বহাল তবিয়তে অ্যালবামের বাইরে রয়ে গেছি চোখ টিপি

৪। নিরামিষ এখনও আমরা খাই, যত প্রকার সবজি পাওয়া যায়, ততগুলো দিয়ে। আর কী জানেন, এই ফার্মের মুরগির ঠ্যাঙভাজা খাওয়া প্রজন্মটার খাদ্যাভ্যাস অদ্ভুত! বাড়িতে রুচবে না ঠিকই কিন্তু শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে সেলফি তুলতে তুলতে নিরামিষ রান্না রীতিমতো দৌড়াবে বলে মনে হয়। আর যদি ব্যুফেতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কয়েকটা নিরামিষ পদ, সেটার বিক্রিবাট্টার ঠেলায় বোধহয় রেস্টোর্যা্ন্ট মালিক দৌড়ে কূল পাবে না। মানে আমি নিজেও তো সেই প্রজন্মেরই একজন হাসি

৫। পয়সা জমাতাম, বাড়ির দূর্গাপূজোর মেলায় খুব ভালো করে কেনাকাটা করব বলে! আক্ষরিক অর্থেই পয়সা, টাকা নয়।

৬। বৈশ্যবুদ্ধির বিষয়টা একেবারে খাসা বলেছেন। যাদের মাথা থেকে বের হয়েছে বুদ্ধিটা, তাদের প্রতিভার কথাটা একবার ভাবুন তো-তারা কোন জিনিসটা ব্যবসার বাইরে রাখে সে এক চিন্তার বিষয়!

৭।আমি ‘মঙ্গা এলাকার’ মানুষ ভাই, একেবারে আদ্যোপান্ত। প্রথাটা বোধহয় উচ্ছেদ হয়েই গেছে, অনেক বছর শুনি না পিঠিফোঁড়ার কথা। আসলে আমার মনে হয়, আগে মঙ্গা ছিল প্রবল, তাই কেউ দু’টো খাবার যোগাতে বীরত্বের ভান করে ফ্রি ঘি পিঠে ডলে লোহার শিক পিঠ পেতে নিত কান্না আড়াল করে আর কেউ এই অমানুষিক বীরত্বের প্রদর্শনী দেখে নিজের পেটের খিদে ভুলে যেত। আজ মঙ্গা কমেছে, তাই হয়ত দুই পক্ষেরই প্রদর্শনী আর দর্শনের আকাঙ্ক্ষা কমে গেছে।

ভালো কাটুক বছরটা।

দেবদ্যুতি

রানা মেহের এর ছবি

কী মায়াময় একটা লেখা!

সারাজীবন শহরে থাকায় পহেলা বৈশাখ বলতে শহরের প্রোগ্রামই বুঝি। বহু আগে একবার গ্রামের মেলায় গিয়েছিলাম। কোন টাকা পয়সা ছিলনা দেখে খালা মামা খালারতো ভাইয়েরা কী কী সব কিনে দিয়েছিল দেঁতো হাসি

আমি প্রায় ১২ বছরের মতো নিরামিষাশী ছিলাম। দেশে আর এখানকার বাঙালি পরিবারে খাবারের ব্যাপক পেইন খেয়েছি। বাঙালি মুসলমানরা পরিবারে ভেজ খাবার চল সেভাবে নেই। আমাদের কাছে ভেজ মানে হল মাছের সাথে মটরশুটি আর মাংশের সাথে আলু খাওয়া। একমাত্র স্বান্তনা ছিল দেশের হিন্দু বন্ধুরা আর এখানে সাউথ ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট গুলো।

যাই হোক। শুভ নববর্ষ। নতুন বছর ভাল কাটুক

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভ নববর্ষ আপনাকেও হাসি । আমাদের সমাজে খাঁটি নিরামিষাশী হবার যন্ত্রণা ব্যাপক, আপনার মন্তব্য দেখে আরও একবার বুঝলাম।

দেবদ্যুতি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।