শিশুদের গড়া শহীদমিনার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৮/০২/২০১৬ - ৮:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


শক্ত কাগজের ওপর শহীদমিনারের ছবি আঁকা। কাগজের নিচের অংশটা ভাঁজ করে তৈরী করা হয়েছে শহীদমিনারের বেদী, সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আঁকা হয়েছে বাংলা বর্ণমালা। আর তারপর সেই কাগজের বেদীর উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফুল আর ফুলের পাপড়ি। শহরের ঘরবন্দি এক শিশু যখন এই শহীদমিনার গড়ে তুলছে তখন কয়েক মাইল দুরে আরেকটি বাড়িতে নির্মিত হচ্ছে আরেকটি শহীদমিনার। এই শহীদমিনারটি শোলা কেটে ছোট্ট করে বানানো এখানেও নির্মাতা ফুল দিতে ভোলেনি। এক মফস্বল শহরের রাস্তার ধারেই কয়েকজন শিশু মিলে কয়েকখানা ইঁট সাজিয়ে পাশপাশি তিনটি মিনার বানিয়েছে আশেপাশের শিশুরা এসে ফুলে ফুলে ভরে দিয়ে গেছে সেই শহীদমিনার। এরকমই আরেকটা রাস্তার ধারে ছোট ছোট পাতলা তিন টুকরো কাঠের তক্তা পাশপাশি দাঁড় করিয়ে রেখে খবরের কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্য একটাই শহীদমিনার বানানো। গ্রামের গাছতলায় কয়েকজন বালিকা মিলে কলাগাছের শাখা কেটে তাকে ফুল-পাতা দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে গড়ে তুলছে তাদের শহীদমিনার। এই শিশুরা জানেনা অন্য শিশুদের শহীদমিনার বানানোর খবর। এমন নয় যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে। নেহায়েত প্রাণের টানে খেলতে খেলতেই এরা বানিয়ে ফেলছে শহীদমিনার। বেশি কিছু না জানলেও এরা জানে বহুদিন আগে আমাদের দেশের কয়েকজন বীর আমাদের এই বাংলা ভাষার সম্মান রাখতেই নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অনেক শিশু অবশ্য এতকিছু না বুঝলেও উপলব্ধী করেছে একুশে ফেব্রুয়ারী উদযাপনের ভাবগম্ভীর আবহটা আর এখান থেকেই খেলার মধ্যে ঢুকে পড়েছে একুশে ফেব্রুয়ারী।

কিন্তু এই খেলার মধ্যে জায়গা করে নেওয়াটা মুখের কথা নয়। শিশুদের খেলার জগৎ এমন একটা স্থান যেখানে জায়গা করে নিতে গেলে তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হতেই হয়। আমরা আগের আমল গুলোয় দেখতাম বড়দের পুজো করা দেখে শিশুরাও নিজেদের পুজো তৈরী করে নিত। এই ভাবেই ইতু পুজা বা পুন্যি পুকুর ব্রতর মত ছোটদের পুজা অনুষ্ঠান গুলোর জন্ম। পশ্চিমবঙ্গেও রথযাত্রাকে সামনে রেখেই শিশুদের ছোট ছোট রথ গড়া তা জাকজমকে সাজিয়ে শহর প্রদক্ষিণের ঘটনাটিও এ প্রসঙ্গে স্মরন করা যায়।
বড়দের দেখতে দেখতে শিশুরাও উপলব্ধী করে যে একটা গুরুত্ববহ কাজ চলছে আর সেখান থেকেই তার অনুকরনে খেলার মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠানকেই ওরা নিজের করে নেয়। এখানে লক্ষনীয় বড়দের অনুকরন করে অনেক খেলাই হয়তো ছোটরা খেলে কিন্তু সেই খেলা গুলোই প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় যা বড়দের সমাজে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ভাবগম্ভীর একটা আবহ সৃষ্টি করে। যেমন প্রায় ক্ষেত্রেই বালিকাদের দেখা যায় খেলনার হাড়ি-পাতিল নিয়ে রান্নার অনুকরনে খেলতে। নিজেদের বাড়িতে মা বা মাতৃস্থানীয়াদের তারা দেখেছে প্রতিদিনই আয়োজন করে রান্না-বান্না করতে। এই রান্নাটা জরুরী কেননা প্রাত্যহিক খাদ্য প্রস্তুত ও একসঙ্গে সবাই মিলে সেই খাদ্য খাবার মধ্যে যে গুরুত্ববহ আনুষ্ঠানিকতা আছে তাকে শিশুর উপলব্ধীও অনুধাবন করে। এই খাদ্য প্রস্তুত আর পরিবেশনের মাধ্যমে মা যে সংসারে একটা মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে তা অনুভব করেই কিন্তু এই অনুকরনমূলক খেলাটা জন্ম নেয় আর প্রতিষ্ঠা পায় ছোটদের খেলার জগতে। ঠিক তেমনি বিবাহ অনুষ্ঠানের সামাজিক গুরুত্বটাও শিশুকে পুতুল খেলায় অন্যের পুতুলের সাথে বিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে উৎসাহিত করে তোলে। শিশুদের খেলার জগতে এভাবেই প্রাপ্তবয়স্কদের অনুকরন প্রবনতার সাথেই মিশে যায় সমাজের বিভিন্ন দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নেবার সুপ্ত ইচ্ছেটাও।

আমাদের দেশে অনেক দিন থেকেই একুশে ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শহীদ দিবস হিসেবে যে ভাবগম্ভীর আবহে ও মর্যাদায় এই দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়েছে তার অভিঘাত সমাজের সর্বস্তরেই সঞ্চারিত হতে থেকেছে বছরের পর বছর। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে যখন সারা বিশ্ব এই দিনটি উদযাপন শুরু করলো তখন এর আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপকতা আরো বেড়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারী উদযাপনের মধ্যে শুধু শোক নয় জাতি হিসেবে গৌরবের অনুভবটাও যুক্ত হয়েছে।
একটা জাতীয় অনুষ্ঠান হিসেবে সব দিক দিয়েই অনন্য আমাদের মহান একুশে ফেব্রুয়ারী। এই কয়দিন আগে একুশে ফেব্রুয়ারীর একটা অনুষ্ঠানে রাজশাহীর ভাষা সৈনিক শ্রদ্ধেয় মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জী সাহেবকে বলতে শুনি একুশের আন্দোলনটা শুধু ভাষা নিয়ে নয়, আমাদের পৃথক জাতিসত্ত্বার উপলব্ধী, স্বায়ত্বশাসন আর স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাও এসে মিলে ছিল এই আন্দোলনে। উনসত্তরের গনআন্দোলন হোক কি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শুরুটা হয়েছিল ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারী। রাজশাহীর ভাষা আন্দোলনের সময়ও মোহসিন প্রামানিককে দেখেছি “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” শ্লোগানটাকে মাঝে মধ্যেই ঘুরিয়ে “বাংলা ভাষায় রাষ্ট্র চাই” এভাবে শ্লোগান দিতে। সেদিনের ভাষা আন্দোলনের সময় কাউকে বলে দিতে হয়নি কিন্তু সবাই অনুভব করেছেন এই মাতৃভাষা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যেই বীরদর্পে মাথা ঝাঁকাচ্ছে একটা জাতির জাতীয়সত্ত্বার আত্মোপলব্ধী। বঙ্কিমচন্দ্র একবার কোথায় যেন বলেছিলেন ভারতে আর সবাই আগে ভারতীয় তারপর তাদের প্রাদেশিক পরিচয় আর বাঙ্গালীর ক্ষেত্রে তারা আগে বাঙ্গালী তারপর ভারতীয়। সেই বাঙ্গালীকে ১৯৪৭ এর দেশভাগের নামে আরেকটা জাতির সাথে জুড়ে দিলে যা হয় তাই হয়েছে। ১৯৪৮ থেকেই অসন্তোষ, ১৯৫২তে প্রতিবাদ, ১৯৬৯এ ফুঁসে ওঠা আর ১৯৭১এ প্রত্যক্ষ মুক্তি সংগ্রাম পাকিস্তানকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার সোনালী রোদ্দুরকে স্বপ্ন থেকে বাস্তবে রূপায়িত করলো।
আর এসবের শুরুটাই হয়েছিল ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে। একুশে ফেব্রুয়ারী তাই বাঙ্গালীর জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের প্রথম সোপান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আগেই একুশে উদযাপনকে সে সময়ের পাক-সামরিক সরকার দেখতো ভয়ের দৃষ্টিতে। পাকিস্তানের নিগড় থেকে মুক্তির আগেই তাই ঘটা করে একুশে উযাপন করেছে বাঙ্গালী। আজ এতগুলো বছর পর একুশে ফেব্রুয়ারী তাই এতখানি সম্মান আর মরযাদার সাথে অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের খেলার মধ্যেও যখন দেখি শহীদমিনার নির্মিত হচ্ছে, সেই শহীদমিনারকে শিশুরাও ফুলদিয়ে সাজাচ্ছে তখন উপলব্ধী করতে বাকি থাকেনা আমরা সত্যিকার অর্থেই আমাদের জাতীয় চেতনাকে সমাজের সর্বস্তরে প্রবাহিত হতে দেখছি। কাজ হয়তো এখনও অনেক বাকী। এখনও অনেক অর্জন লড়াই করে, পরিশ্রম দিয়ে তুলে আনতে হবে কিন্তু আশা হারাবার কিছু নেই। ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের হাতে কোথাও শহীদ স্মরনে নির্মিত সৌধ ভাঙ্গা পড়লেও শিশুদের এই পলকা অস্থায়ী শহীদমিনার গুলোই দেখিয়ে দেয় একুশের চেতনা কত গভীরে প্রোথিত হয়েছে। ইঁটের শহীদমিনার ভাঙ্গা সহজ কিন্তু শিশুদের হৃদয় থেকে এই শহীদমিনার গুলোকে উৎপাটন করবে কে।
শিশুদের গড়া শহীদমিনার গুলো খেয়াল করলে দেখা যাবে বেশির ভাগ শহীদমিনারই ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদমনারের স্থাপত্যটাই অনুসৃত হয়েছে। যেখানে শিশুদের হাতে গড়া বলে সৌধগুলো খানিকটা বা অনেকটা অন্য রকম হয়েছে সেখানেও অন্তত তিনটি কাঠামোকে দাঁড় করানোর একটা প্রয়াস আছে। এ প্রসঙ্গে আরেকটি দিক সম্পর্কে উল্লেখ না করলেই নয় আর তা হলো এর অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চরিত্রটি। পুন্যি পুকুর ব্রত বা পশ্চিমবঙ্গের রথযাত্রার অনুকরনে ছোটদের রথনির্মাণ ধর্মীয় উৎসবের প্রভাবে এসেছে। ধর্মীয় আচার যেভাবে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে প্রায়শই নিয়ম করে অনুষ্ঠিত হয় এবং তা স্বাভাবিক ভাবেই শিশুমনে প্রভাব ফেলে। ধর্মের অনেক আচারই এভাবে শিশুকে সেই আচারে অভ্যস্ত ও সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহনে উৎসাহিত করে তোলে। কিন্তু মহান একুশে ফেব্রুয়ারী একটি আপাত নতুন, অসাম্প্রদায়িক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান হয়েও তা বাংলাদেশের শিশুদের মনোজগতে ঢুকে পড়তে পেরেছে। এর কারন জাতি হিসেবে আমরা এই জাতীয় দিবসটিকে যে শ্রদ্ধা আর সম্মানে আমাদের জীবনে অঙ্গীভূত করে নিয়েছি তা আর বাইরের একটা অনুষ্ঠান মাত্র নেই। এই দিবসটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের শিশুরাও স্বাভাবিক ভাবেই সেই সংস্কৃতির উত্তরাধিকারকেই উপলব্ধী করে তাদের শিশু সুলভ খেলার মধ্যেই গড়ে তুলছে শহীদমিনার। আর সেই সাথে তারা গড়ে তুলছে নিজের ভেতরের সেই বাংলাদেশের নাগরিককে মহান ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাদের হৃদয়ে স্পন্দিত হচ্ছে।
কিন্তু আগেই বলেছি কাজ এখনও অনেক বাকী। এই ছবি গুলোর একটায় দেখা যাচ্ছে কয়েকজন উপজাতীয় শিশু কলা গাছের শাখা কেটে শহীদ মিনার বানিয়ে তাতে ফুল দিচ্ছে। ঠিক এই ছবিতে যে শিশু গুলো একুশে উদযাপন করছে তাদের মাতৃভাষা বাংলা নয় কিন্তু তাতে করে তাদের ভালোবাসা কম হয়নি। আর এ সূত্রেই বাংলা ভাষার এই রাষ্ট্রেরও দায় থেকে যায় এই শিশুদের মাতৃভাষাকেও সম্মানের স্থানে তুলে ধরার। আজ বাংলাদেশের অন্য ভাষাভাষীদের উপর বাংলা ভাষাকে চাপিয়ে দিয়ে তাদের মাতৃভাষাকে যথাযোগ্য সম্মান থেকে যদি আমরা বঞ্চিত করি তবে সেটা একুশের চেতনা নয় পাকিস্তানের সে সময়কার অগনতান্ত্রিক চেতনারই অনুসরন হবে যার জোরে তখন এক নির্বোধ উচ্চারন করেছিল, উর্দু, একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

সোহেল ইমাম















ছবির কৃতজ্ঞতাস্বীকার : লেখায় ছবি ব্যবহারের সময় সে ছবি যিনি বা যারা তুলেছেন তাদের নাম উল্লেখ করাটা অত্যাবশ্যক। কিন্তু এই ছবি গুলো সামাজিক মাধ্যম ও নেট থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে কেননা হঠাৎ করেই এসব ছবি নিজে গিয়ে তোলার কোন উপায় ছিলনা। ছবি গুলো নেটে এত হাতে শেয়ার হয়েছে যে অনেক ক্ষেত্রেই ফটোগ্রাফারের হদিস করা সম্ভব হয়নি। তাই এই ছবির নাম না জানা ফটোগ্রাফারদের এখানেই কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখছি কেননা তাদের এই ছবি গুলো ছাড়া এই শহীদমিনার গুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পারতামনা।


মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

অসাধারণ!
মুগ্ধ হয়ে গেলাম ছবিগুলো দেখে।
এতো মেধাবী আইডিয়া শহীদ মিনার বানানোর জন্য, অসাধারণ।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

একটা ছবি নিয়ে বিস্তারিত পাবেন এই পোস্টে

অতিথি লেখক এর ছবি

নজরুল ভাইয়ের এই লেখাটা আগে পড়িনি, খুব ভালো লাগলো,

সোহেল ইমাম

নজমুল আলবাব এর ছবি

চমৎকার

এক লহমা এর ছবি

মন ভালো করা পোস্ট।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আমার ছেলেটাও ছবিগুলো দেখে বানাতে চাচ্ছে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

বানানো হলে ছবিটা অবশ্যই কিন্তু আমাদের দেখাবেন হাসি

সোহেল ইমাম

দেবদ্যুতি এর ছবি

কী চমৎকার সব ছবি, কী চমৎকার সব আইডিয়া শহিদমিনার তৈরির! মন ভরে গেল।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

সোহেল ইমাম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।