সে অনেক কাল আগের কথা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের বৃষ্টিভেজা এক সন্ধ্যা। তখনও সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, বাইরে খাওদাওয়া, আড্ডা দেয়া, এমনকি সহকর্মী সহযোগে বড়দিন উপলক্ষে নৈশভোজ করতে গেলেও বাঁধা পাবার বা দুবার ভাবার কোন কারণ ছিলনা। ছিলোনা করোনা! বহুল প্রতীক্ষিত, বহু আলোচিত এমনকি গুটিকয় কারণে বহু আরাধ্য বড়দিনের ডিনার পার্টি থেকে সবার আগে ছুটি নিতে চাওয়া আমার কারণ শুনে অধিকাংশের অবাক চাহনি আর আহা উহু উপেক্ষা করেই বেড়িয়ে গেলাম আমি। উদ্দেশ্য ব্রিটেনের সর্বোচ্চ চূড়া বেন নেভিস জয় করা; সকলের অবাক চাহনির কারণ! কেন, সে কথায় আসছি একটু পরেই।
লন্ডন থেকে আসা ভাইকে স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে বাসায় ফিরে একটু ঘুমিয়ে নেয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত একেবারেই পালন করতে পারা গেলো না, অথচ সারারাত গাড়ি চালিয়ে ভোরে পৌঁছানোর ইচ্ছে বেন নেভিসের কাছে! উদ্দেশ্য সোজা, সন্ধ্যা মেলাবার আগেই যেন ফিরে আসা যায়; ডিসেম্বর মাসে যা কিনা আবার ৩:৩০ এর দিকে! পরীক্ষা ছাড়া যখন তখন যে ঘুম আসবে না সেটা সদ্য ছাত্র জীবন পার করে আসা আমি তখনও ঠিক আমলে নিয়ে উঠতে পারিনি। তাই ক্ষণিকের এপাশ ওপাশ করে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা শেষে গাড়ি বোঝাই করাটাই বরং সমীচীন মনে হচ্ছিলো।
রাত আটটায় গাড়িতে উঠে প্রয়োজনীয় চেক সেরে বেড়িয়ে পড়তে আর দেরি হলো না একদমই। ৮/৯ ঘণ্টায় ৪৫০ মাইল পথ, হিমাঙ্কের নীচে পারদ, গাড়ির রেডিয়েটরে আরামদায়ক তাপমাত্রা আর শব্দযন্ত্রে প্রিয় গান। সব দিক দিয়েই আমরা তখন রোড ট্রিপ রেডী। একে একে বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, কামব্রিয়া পেছনে ফেলে ইংলিশ-স্কটিশ সীমানার কাছাকাছি শহর কার্লাইল এর এক সার্ভিস স্টেশনে থামি বিরতি নিতে। শুরুর সময়কার উদ্দীপনায় কিছুটা ভাটা পরে তখন ক্লান্তি এসে বাসা বাঁধার যেন একটা প্রয়াস পাচ্ছিল। সত্যি বলতে যেটা বেশি আমলে নেয়া হয়নি তা হচ্ছে ঘুম! রাতের ড্রাইভে ঘুম আসবেই। পরে আসতে পারে, অনেক পরে আসতে পারে কিন্তু আসবেই। ম্যাড টাইটান থানোস যেমন বলছিল - আই অ্যাম ইনেভিটেবল! কফি খেয়ে, কিছুক্ষণ আকাশকুসুম গল্প করে আর চালকের দায়িত্ব বদল করে রওনা দিয়ে দি আবার। এবার আমার পালা!
প্রায় দুই ঘণ্টা বাদে গ্লাসগো; শহর সীমানা পার হতে না হতেই আবার লক লমন্ড ন্যাশনাল পার্কের সীমানা শুরু। সময় তখন রাত দুটোর কিছু বেশি। এদিকে আবার ঝুড়ি ঝুড়ি তুষারপাত হচ্ছে। গ্লাসগো থেকে ফোর্ট উইলিয়াম যাবার প্রধান রাস্তা বিধায় রাস্তা জুড়ে লবণ দেয়া। আর তাতেই রক্ষে; নয়ত তুষার থেকেও খারাপ জিনিস ব্ল্যাক আইস এর ঝামেলায় পড়তে হতো। সহজে দেখা যায়না কিন্তু অসম্ভব বিপজ্জনক! সেটার হাতেকলমে অভিজ্ঞতা হয়ে গেলো একটু খানি ঘুমিয়ে নেয়ার জন্যে একধারে গাড়ি থামিয়ে রাখার জায়গায় যাবার সময়। বিশাল টেইল স্লাইড হতে গিয়েও হয়নি বোধ হয় শক্ত হাতে স্টিয়ারিং ধরে থাকায়। কপাল থেকে যেন ছুটে গেলো কয়েক ফোঁটা কালোঘাম।
গাড়ি ছুটে যাচ্ছে কনকনে ঠাণ্ডা আর তুষারপাতের মধ্য দিয়ে। ছোট্ট একটা গ্রামের ভেতর দিয়ে যাবার সময় বড়দিনের সাজে সুসজ্জিত এক বাসার ততোধিক সুসজ্জিত এক বসার ঘরের দিকে চোখে পড়ে গেল। জ্বলন্ত ফায়ার প্লেসের পাশে রাখা এক মস্ত আরামকেদারা! আমার অনেকদিনের ইচ্ছে কোনো এক ঘোর তুষারপাতের রাতে ফায়ারপ্লেসের পাশে হাতে কোনো বই নিয়ে বসে থাকবো আর জ্বলন্ত উনানে হঠাৎ হঠাৎ ফুটে উঠবে কোনো কাঠের টুকরো। মুহুর্তের এই দৃশ্য যেন আমার সুপ্ত ইচ্ছে টা আরেকটু উস্কে দিলো। উলটো টাও হতে পারে; ঠান্ডায় জমে যাওয়া ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের কল্পনায় আরামদায়ক ঘরের স্থান বেশ ওপরে ই হবার কথা।
আগে থেকেই জেনে বসে আছি যে ফোর্ট উইলিয়াম যাবার পথেই পরবে গ্লেনকো (Glencoe)। কিন্তু আমরা তো সেভাবেই প্ল্যান করে এসেছি যে এই জায়গা অতি অবশ্যই দেখে যাবো। যদিও এবেলা (পড়ুন রাতের শেষ প্রহরে) তা আর সম্ভব হচ্ছে না। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছুই দেখা উপায় নেই। হেডলাইটের আলোয় আর যাই হোক প্রকৃতি দেখা যায় না। তার মধ্যে আবার আছে গাড়ি চালনা! তবে দেখা যায় অনন্ত নক্ষত্র খচিত রাত। এমনিতেও গ্লেনকোর আলো দূষণ মুক্ত আকাশের অশেষ সুখ্যাতি আছে। সহ চালক ততক্ষণে গভীর ঘুমে! আমার চোখের পাতা ভারী হবো হবো করছে। তাই পরবর্তী গাড়ি থামিয়ে রাখার জায়গায় গাড়ি থামালাম একটা আর্ভির (recreational vehicle) পাশে।
পরদিন ফেরার পথে থ্রী সিস্টার্স ভিউপয়েন্ট থেকে তিন পর্বতচূড়া
বাম থেকে Aonach Dubh, Beinn Fhada আর Gearr Aonach
সেই ভিউপয়েন্ট থেকে দেখা Loch Achtriochtan
২০ মিনিটের তড়িৎ ঘুম শেষে উঠে মনে হলো যেন ঠান্ডায় জমে গেছি! গাড়ি বন্ধ করার সাথে সাথে যে হিটার বন্ধ হয়ে যাবে সেটা খেয়াল করার মতন সুবুদ্ধি তখন কাজ করেনি। সেটা ঠিক করে বাহিরে তাকানো মাত্র অস্ফুট বিস্ময়ে হতবাক আমি জাগিয়ে দি ভাইকে। তুষারাবৃত পর্বত, পরিষ্কার আকাশ, লক্ষ তারার ঝিকিমিকি আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডা; পিকচার পারফেক্ট উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড!
গন্তব্যে পৌঁছাতে আর মাত্র বাকি সাকুল্যে ৪০ মিনিট। কিন্তু ঘুমের অত্যাচারে তার মাঝেই থামতে হলো আরো দুবার। ততক্ষণে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করা সারা যে এই মূর্খামি আমি আর করছি না। স্টিয়ারিং এ দুই হাত দিয়ে মনে মনে কান ধরছিলাম দেখেই কিনা, সেই প্রতিজ্ঞা রাখা হয়নি আর, আমিও বারে বারেই বেল তলায় গেছি। অবশেষে যখন পৌঁছাই বেন নেভিসের খুব কাছে সকাল ৬:৩০ টার দিকে, মনে হলো এবার একটু ঘুম দরকার। এবার আর হিটার বন্ধ করিনি; আরাম করে (চালকের আসনে যতটুকু সম্ভব আরকি!) দুই ঘণ্টার এক ম্যারাথন (!) ঘুম শেষে আর পেটের ভেতরে ছুঁচোর কেত্তনে সাড়া দিয়ে হেলেদুলে এগিয়ে যাই গ্লেন নেভিস দর্শনার্থী কেন্দ্রের দিকে, সম্বল বিগত গ্রীষ্মে ওয়েলসের সর্বোচ্চ শিখর স্নোডন বিজয়ের (হাঁচড়ে পাঁচড়ে) অভিজ্ঞতা। ওখানকার দায়িত্বরত ভদ্রমহিলার সাথে কথা বলা আর আমাদের আগমনের কারণ ব্যক্ত করার অনতিকাল পরের চাহনি দেখেই বোঝা গেলো সমস্যা আসলে কোথায় হয়েছে! ওনার সরল স্বীকারোক্তি - তোমরা মোটেই প্রস্তুত না। তোমাদের পোশাক, জুতো কোনোকিছুই পর্যাপ্ত না! কথা ভুল না আসলে - যতই থার্মাল থাকুক; জিন্স কোনোভাবেই শীতের দিনে পর্বতারোহণের জন্য উপযোগী নয়। এছাড়াও আমাদের সাথে নেই ওয়াকিং পোল, জুতোয় নেই বরফ আঁকড়ে ধরার কাঁটা। দৈববলে সুবুদ্ধি সময় মতন আসায় জিজ্ঞেস করেছিলাম বলে রক্ষে; নাহয় হয়ত কঠিন উপায়ে অনুধাবন করতে হতো। সহকর্মীদের অবাক চাহনির কারণ ও এবার বেশ পরিস্কার মনে হচ্ছিল। এমনিতেই এখানের বদনাম আছে বছরে মাত্র বিশ দিন ভালো আবহাওয়া থাকার! আর পর্বতের নিজস্ব আবহাওয়া তৈরি করে নেবার এক অদ্ভুত কিন্তু যৌক্তিক বাতিক থাকে। নিচে যা দেখে যাবো উচ্চতা বাড়তে বাড়তে হরেক রকম অভিজ্ঞতার (চূড়ান্ত পরিণতির মুখোমুখি হবার ও ঘটনা আছে এখানে) সম্মুখীন হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ব্যর্থ মনোরথ হওয়ার প্রশ্নই আসে না কারণ আমরা এ যাত্রায় বিফল হতে পারি তা হিসেবে ছিলই। প্রতিকূল আবহাওয়া, ভারী তুষার বা বাতাস অথবা বৃষ্টি; কোনো একটা আমাদের প্রতিকূলে থাকলেই আমরা ফিরে যাবো ওরকম সংকল্প নিয়েই পথে বেরোনো। শেষমেষ ঐ ভদ্র মহিলার কাছে থেকে আশেপাশে কোথায় যাওয়া যায় শুনে নিয়ে আবার বেরিয়ে পরি পথে।
নতুন গন্তব্য স্টিল ফলস আর নেভিস গিরিসংকট (Steall Falls & Nevis Gorge)। বেন নেভিস থেকে বেশ কাছেই, মিনিট দশেকের পথ। রাস্তা চলে গেছে সুবিশাল গ্লেন নেভিস রেঞ্জের পাশে দিয়ে। শীতের সকালের রোদ কেবল উঠি উঠি করছে। তাতে মেঘের রাজ্যে ঘেরা পর্বতশ্রেণীর সৌন্দর্য বর্ণনা করা প্রায় অসম্ভব; আমার পক্ষে আর কি। তার চে বরং কিছু ছবি দেখা যাক।
১২০ মিটার উচ্চতায় স্টিল ফলস স্কটল্যান্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জলপ্রপাত; যুক্তরাজ্যেও। গেলিক (Gaelic) ভাষায় এর নাম আবার ‘সাদা ফোঁটা‘ (The White Spout)।পার্কিং থেকে যেতে আসতে ৫.৫ কিলোমিটার পথ কিন্তু জায়গায় জায়গায় খাড়া পিচ্ছিল পাথুরে পথ বেশ কষ্টসাধ্য মনে হলো। শীতকালে স্কটল্যান্ডে আসার সবচে বড় সুবিধা মনে হয় তখন মিজেস এর অত্যাচার থাকে না। নাহয় এমন জল, তৃণভূমি বেষ্টিত জায়গায় এদের উৎপাতে দাঁড়ানো যেত না। যাইহোক, অনেকগুলো ছোট ছোট প্রপাত পার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। থামছিলাম বার বার একটু ভালো করে দেখার জন্যে।
স্টিল ফলসের কাছাকাছি প্রায় চলে এসেছি তখন। মেঘমুক্ত দিনে নাকি বেন নেভিসের চূড়া দেখতে পাবার কথা এখান থেকে। যার প্রমাণ পেয়েছি মাত্রই গতবছর যখন চূড়ায় পৌঁছুতে পেরেছিলাম। অবশ্য আমরা দেখেছিলাম চূড়া থেক। উল্টোটা পুরোপুরি সত্যি নাও হতে পারে।
জন মুইর কনজারভেশন ট্রাস্ট পরিচালিত এই জায়গা যে পরিচর্যিত তা সহজেই বোধগম্য; আমাদের মতন নভিস ট্রেকার এর ও কোনো সমস্যা হয়নাই সুচিহ্নিত এ পথ অনুসরণ করতে। পথের শেষ খোলামেলা বিশাল এক উপত্যকায়! অনেক দূর থেকেই বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে পাবার পর অবশেষে চোখের সামনে স্টিল জলপ্রপাত। সত্যি বলতে খুব মহিমান্বিত কোনো প্রপাত বলে মনে হচ্ছিল না একে। মনে মনে একটা আশা ছিল একটা কানে তালা ধরিয়ে দেয়া প্রপাতের দেখা পাবো। বাস্তবে জলের ধারা তেমন বেশি ও ছিল না; যদিও তা নির্ভর করে বৃষ্টি আর বরফগলা জলের ওপর। নামকরণের স্বার্থকতা বোঝা গেলো অন্তত; সাদা ফোঁটা! কিন্তু অনুমান করে নিতে কষ্ট হয়না উষ্ণ কোনো বসন্তের দিনে কি ভুবনভুলানো এক দৃশ্যেরই না অবতারণা হতো এখানে!
এমনিতেই শীতের বেলা, তার ওপর প্রায় ৪ ঘণ্টার হাইক, বেলা শেষের দিকে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এরপরে কোথায় যাবো তা অবশ্য অনেক আগে থেকেই ঠিক করা। গ্লেনফিনানন ভায়াডাক্ট; হ্যারি পটারের জাদু দুনিয়ার সেই বিখ্যাত ব্রিজ। পৌনে এক ঘণ্টার মাঝেই পৌঁছে গেলাম শিয়েল হ্রদের (Loch Shiel) তীরে। কার পার্কের পাশেই ছোট্ট একটা টিলা। ওখানে থেকে বেশ একটা প্যানোরামিক ভিউ পাবার কথা। বছরের এই সময়ে ট্রেন সেবা চালু না থাকায় এই বিকল্প ব্যবস্থা একমাত্র ভরসা। ঐটুকুন একটু টিলায় উঠতে গিয়ে আবারো প্রমাণ হলো এই সময়ে পর্বতারোহণের ইচ্ছে আদতে বাতুলতা বই কিছু না; জমাট বরফে পা ফেলাই দুষ্কর! হাঁচরপাঁচর করে কোনরকমে ভিউপয়েন্টে উঠতেই প্রায় ২৭০ ডিগ্রির ভিস্তা দেখে যে কোনো কষ্ট স্বার্থক মনে হবে। চার বছর হতে চললো এখনো যে সে দৃশ্য স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল!
এক দিকে শেষ বিকেলের সোনালী আভায় তুষারাবৃত পাহাড়ের পটভূমিতে সেই জাদু সেতু, আর অন্যদিকে মেঘের কোলে অস্তগামী সূর্যের আলো ছায়ায় স্নাত শিয়েল হ্রদ। এক চিলতে মেঘ আসায় ভিস্তা টা যে নতুন এক মাত্রা পেল। বাস্তব কল্পনার জাদু দুনিয়া থেকেও বেশি মোহনীয়, অনেক বেশি বিস্ময়কর; কল্পনাকে হার মানাবে যে কোনো দিন। ইট ডাজেন্ট গেট এনি বেটার দ্যান দিস!
এর পরের ঘটনা সংক্ষিপ্ত। এমন কিছু ইন্দ্রীয়জাত করার পর সবকিছুই কিছুটা ভোঁতা ঠেকলে সেটা তেমন দোষের কিছু নয়। তবে এখানেই স্কটল্যান্ড অনন্য; যেখানেই তাকানো হোক না কেন, সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে আছে তার প্রতিটি কোণে। তুষারে ঢাকা অবারিত সাদা প্রান্তরে, শান্ত সৌম্য লকের পাড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে, পাহাড় থেকে সগর্জনে নেমে আসা বৃষ্টির জলে, এমনকি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ থেকে দৃষ্টিসীমায় থাকা দূরের পাইন গাছের সারিতে। স্কটল্যান্ড আমার বড্ড বেশি ভালো লাগে!
- অর্ণব
মন্তব্য
এত বড় একটা লেখা লিখলেন, অনেকগুলো ছবিও দিলেন, আর নিজের নামটা দিলেন না!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখার শেষে নাম তো জুড়ে দিয়েছিলাম।
সত্যি বলতে শুধু নাম যোগ করার জন্যেই দুবার সাবমিট করেছিলাম
মনোমুগ্ধকর সব ছবি!
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে, মেঘলা মানুষ
হোয়াইট স্পাউটকে বাংলায় সাদা ফোঁটা বললে ভুল হবে (spot নয়, spout), এখানে বোধহয় সাদা ফিনকি বলা যেতে পারে।
ব্রিটেনের লোক Muir-কে যেভাবে উচ্চারণ করে, সেটা বাংলায় লিখলে দাঁড়াবে মিয়োর বা মিউর।
আপনার স্কটল্যান্ড ভ্রমণের সচিত্র বৃত্তান্ত পড়ে ভালো লাগলো, অর্ণব। সচলায়তনে আরও লিখুন।
ঝর্ণার ধারা যেরকম ছিল, সাদা ফিনকি আসলেই বেশি মানানসই।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে
চমৎকার বর্ণনা । অনেক কিছু জানা হল আপনার লেখনির মাধ্যমে । ছবিগুলোও অসাধারণ । ধন্যবাদ ।
নাজমুছ ছাকিব
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে
নতুন মন্তব্য করুন