অন্যরকম

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ২৯/১১/২০০৯ - ৬:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১.
ঢাকায় প্রচুর ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখা যায়, এ কোনো নতুন ব্যাপার না। আমরা আমদানিপ্রবণ জাতি, বিনোদনেরও প্রভূত অভাবে আমরা সবসময় ভুগি, তাই বিনোদনের উপাদান আমদানিতে আমরা উদার। শুনেছি ইন্দিরা গান্ধী তথ্যমন্ত্রী থাকার সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যেদিন ভারতে টেলিভিশন উৎপাদন শুরু হবে, সেদিন থেকে ভারতে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হবে, তার আগে নয়। এই সিদ্ধান্তের দৃঢ়তা ভারতের মিডিয়াকে পিছিয়ে যে দেয়নি, তার প্রমাণ ঢাকা, কাঠমাণ্ডু, এমনকি তাশখন্দে গেলেও মিলবে।

আমাদের বাসায় হিন্দি সিরিয়ালের তেমন জনপ্রিয়তা না থাকলেও পশ্চিম বাংলার অনুষ্ঠানগুলি বেশ আগ্রহ করে দেখা হয়। একবার কী একটা চ্যানেল বিগড়ে গেলো, আম্মা আর ভাত খেয়ে মজা পায় না। আমি ফাইন টিউন করেও সেই চ্যানেলের হদিশ পেলাম না, আম্মা নিজেই ফোন করে ডিশঅলা ছোকরাকে অস্থির করে ছাড়লো। কী এক মেগা সিরিয়াল সেখানে চলছে, তার পাত্রপাত্রীদের কী হলো না হলো এই দুশ্চিন্তায় আম্মার আর দিন কাটে না। অবশেষে একদিন গায়েবি ইশারায় আবার সেই চ্যানেল সেই সিরিয়ালসমেত ফিরে এলো, আম্মারও ব্লাড প্রেশার স্বাভাবিক হলো।

আম্মার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছি বলে মনে হতে পারে, কিন্তু আমিও পশ্চিম বাংলার কী একটা সিরিয়াল বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখতাম। মোনামি বলে এক অভিনেত্রী আছেন, তিনি বছর ছয়েক আগে আমার দিল বরাবর এক দারুণ চাকু মেরে দিয়েছিলেন, নিশ্চিতভাবেই আল্লা তাকে শনিবার রয়েসয়ে তৈরি করেছিলেন। "মিসেস দাশগুপ্তা"র সেই সিরিয়াল শুরু হলে আমিও আলগোছে দরজা খুলে অবলোকন করতাম একটু আধটু। সুন্দরী মেয়েদের রূপসুষমা উপভোগ করার সময় নাকি আমার চোখের ভাষা পাল্টে যায়, আম্মা এ কারণে আমাকে শান্তিমতো টিভি দেখতে দ্যায় না, খামাখাই ধমকাধমকি করে ভাগিয়ে দ্যায়। টারজানা খান নামে আমাদের দেশের এক সংবাদপাঠিকাও মোনামির মারা চাকুর ক্ষতের এক সেন্টিমিটার পাশেই আরেকটি ভোজালি প্রোথিত করেছিলেন, একটি বিশেষ চ্যানেলে তার সংবাদপাঠ শুরু হলেই আমি টিভির সামনে বসে পড়তাম। আম্মা একদিন এসে আমার গোলগোল চোখ দেখে বললো, এই মেয়েটাকে দেখে তো মনে হয় ওর দুইটা বাচ্চা আছে, তোর রুচি এইরকম কেন? আমি মুগ্ধচোখ না সরিয়ে বলেছিলাম, আমার সাথে বিয়ে হলে চারটা বাচ্চা থাকতো! এর পর থেকে ঐ চ্যানেল ধরলেই আম্মা কোত্থেকে এসে অন্য এক চ্যানেলে অন্য এক প্রোগ্রাম দেখার জন্য হুলুস্থুলু শুরু করে দিতো, আমার রুচির অবক্ষয় ঠ্যাকানোর আপ্রাণ চেষ্টায়।

যাই হোক, পশ্চিমবঙ্গের চ্যানেলগুলিতে বেশ মজার কিছু প্রোগ্রাম হতো, নাম মনে নেই, সেগুলো মাঝে মাঝে দেখা হতো। একটি প্রোগ্রাম এবং তার উপস্থাপককে পরিষ্কার মনে আছে, হাঁউমাউখাঁউ, উপস্থাপক মীর। একটা গেইম শো, সেখানে নানান কান্ডকারখানা হয়, গানবাজনা হুল্লোড় হাসাহাসি, আর মীরের উপস্থাপনার ঢংটা খুবই আকর্ষণীয়। নানা কথাবার্তার ফাঁকে সে বিভিন্ন চরিত্রকে অনুকরণ করে দেখায়, জাদুকর পি সি সরকার জুনিয়র, বাপ্পী লাহিড়ি, লালুপ্রসাদ যাদব ... আরো অনেককে। ঐ অনুষ্ঠানে মীরের ভাঁড়ামো বেশ পরিমিত ছিলো, সীমার ব্যাপারটা বেশ চমৎকার সামলেসুমলে চলতো সে।

২.
আমাদের আত্মীয়বর্গে পুরুষরা বেশ পুরুষালি, একটা সিংহপুরুষ সিংহপুরুষ ভাব আছে সকলের মধ্যে। ছেলেদের মধ্যে কুসুমকোমল বা ললিত চারু-চারু ভাব দেখলে আমাদের আত্মীয়বর্গের পুরুষরা তো বটেই, মহিলারাও বিরক্ত হন। সেরকম আচরণ কোনো ছেলের মধ্যে দেখলে তার স্বভাবকে বলা হয়ে "মাইগ্যা স্বভাব।" কান্নাকেও তাচ্ছিল্য নিয়ে দেখে সবাই, আমার বাবাকে কোনোদিন কাঁদতে দেখিনি, আমার ভাইয়েরা দুঃখ পেয়ে কাঁদলে সাধারণত আশেপাশে তিনফিট ব্যাসার্ধের মধ্যে যা কিছু আছে ভেঙে ফেলেন, দুই চারজন গিয়ে তাকে পরাস্ত করতে হয়। হযবরল-র ন্যাড়ার মতো "না না, আমায় গাইতে বোলো না" টাইপ মুদ্রা আমরা এই পারিবারিক সংস্কৃতির কারণেই শৈশব থেকে অপছন্দ করতে শিখেছি। এর ভালো মন্দ বিচার করা আমার জন্যে একটু কষ্টকরই বটে। যাদের এই বৈশিষ্ট্য আছে, আমি গায়ে পড়ে তাদের খোঁচাই না, কিন্তু বিরক্তিও চেপে রাখতে পারি না।

ঋতুপর্ণ ঘোষকে দেখলে এই কারণেই আমার একটু বিরক্ত লাগতো। তার গুণের কদর করতে আমি পশ্চাদপদ নই, কিন্তু তাকে কথা বলতে দেখলে আর শুনলেই অস্বস্তি লাগে। এই এফিমিনেইসি বা নারীসুলভতা সম্পর্কে সেই পারিবারিক পরোক্ষ শিক্ষার কারণেই একটা অবন্ধুতা মনের ভেতরে তৈরি হয়ে গেছে, তাই ঋতুপর্ণকে টিভিতে দেখলে ভুরু কুঁচকে যায়। বুঝতে পারি, তিনি এমনই, কিন্তু মানতে সময় বা প্রচেষ্টা লাগে।

গতকাল অচ্ছ্যুৎ বলাইয়ের বাসায় ঈদ সমাগমে বসে দেখছিলাম ঋতুপর্ণের "অন্তহীন"। এর "যাও পাখি বলো" আর "রাত জাগা তারা" গান দু'টি শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, নায়িকা রাধিকা আপটেও যাকে বলে আই-ক্যান্ডি বা চোখচুষনি, গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত তাই বসে বসে ঢুলতে ঢুলতে দেখলাম সিনেমাটা। সদলে সিনেমা দেখলে নানারকম মন্তব্য বিনিময় হয়, সবচে "সিরিয়াস" সিনেমাও তার তোড়ে হাস্যরসাত্মক হয়ে ওঠে। ঘরে বসে এই যূথবদ্ধ সিনেমা শেষ পর্যন্ত সিনোমত্ব ছাপিয়ে অধিসিনেমা হয়ে ওঠে এই ফিডব্যাকের চাপে। যেমন এক জায়গায় নায়িকা নিশুতি রাতে চ্যাট করছে নায়কের সাথে, পরস্পরের বাস্তব পরিচয় জানে না তারা, নায়িকা মুখে পেলব সব আদুরে অভিব্যক্তি নিয়ে শুধাচ্ছে নায়ককে, সে হ্যাপিলি ম্যারিড কি না। আমার মনে প্রশ্ন খেললো, হ্যাপিলি ম্যারিড একটা লোক রাতবিরাতে অন্য মেয়ের সাথে চ্যাট করে কি? নায়কের হয়ে আমিই উত্তরটা দিয়ে দিলাম, তুমি কি আমাকে লুল্পুরুষ ভাবছো নাকি? আমাদের হা হা হো হো হি হি তে ঐ রোম্যান্টিক ইন্টারকোর্স ভেসে গেলো, সেইসাথে সিনেমার পরিসীমা ছিঁড়ে-ফেটে ব্যাপারটা যা দাঁড়ালো, সেটাকেই অধিসিনেমা বলছি।

যাই হোক, গোয়টিঙেন থেকে আগত দুই ভারতীয় বাঙালি ছাত্র ছিলেন সেই আসরে, তারা কথায় কথায় জানালেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ হ্যাজ কাম আউট অব দ্য ক্লোজেট, তিনি নিজেকে গে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্তহীন দেখা শেষ করে ইউটিউবে ঋতুপর্ণ ঘোষ লিখে সার্চ করে দেখি প্রথমেই আসে ঋতুপর্ণ আর মীরের সাক্ষাৎকার। বাকিরা ততক্ষণে আরেকটা সিনেমা দেখার তোড়জোড় করছেন, ঠিক করলাম বাড়ি ফিরে দেখবো নাহয়।

বাড়ি ফিরে দেখি, মীর নতুন একটা প্রোগ্রাম শুরু করেছে কোনো একটা চ্যানেলে, তার বিভিন্ন পর্ব ইউটিউবে আপলোড করা আছে। কয়েকটা পর্ব দেখে বুঝলাম, সময়ের সাথে মীরের উপস্থাপন একটু লঘু হয়েছে, আর হাস্যরসের প্রকৃতিও একটু ঠেলছে ভব্যতার পরিধিকে। এবং সেখানেই দেখলাম, মীরের মিমিক্রির তালিকায় ঋতুপর্ণ ঘোষ উঠে এসেছেন। নিচে দু'টো উদাহরণ এমবেড করলাম।

১.

.
.
২.

.
.

এরপর দেখলাম ঋতুপর্ণের নিজস্ব টক শোতে মীরের সাথে তার আলাপচারিতা। পাঁচপর্বের এই সাক্ষাৎকারটা উপভোগ্য নানা কারণে। একজন এফেম রেডিও জকি থেকে কীভাবে মীর উপস্থাপনায় স্ট্যান্ড আপ কমেডির মিশেল দিয়ে নতুন একটা হাস্যরসের ধাঁচ তৈরির পায়োনিয়ার হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে বেশ আগ্রহোদ্দীপক আলাপ আছে। একজন ব্লগারের সাথে একজন রেডিওরাখালের বেশ মিল আছে, দুটি মাধ্যমেই ফিডব্যাকের মাধ্যমে অডিয়েন্সের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ঘটে, আবার দুটি মাধ্যমেই কর্তা অডিয়েন্সের চোখের আড়ালে থাকেন। এই যে দৃষ্টির অন্তরালে থাকা দু'টি পক্ষ একজন আরেকজনকে প্রভাবিত করে চলছে, এই ব্যাপারটি আমার জন্যে বেশ আগ্রহজাগানিয়া। বাংলাদেশে এফেম রেডিও একটা তুলনামূলকভাবে নতুন ঘটনা, এবং আমাদের দেশে নিজস্ব ঘরানা তৈরির পরিবর্তে তৈরি সামগ্রী আমদানির মনোবৃত্তি যেহেতু অধিকতর শক্তিশালী, তাই এই মাধ্যমের রেডিওরাখালরাও প্রশিক্ষিত হয়েছেন ভারতীয় প্রশিক্ষকের হাতে, তাই মীরের মতো স্বশিক্ষিত রেডিওরাখাল দেশে এখনও তৈরি হয়নি, সাক্ষাৎকারটি আগ্রহোদ্দীপক সে কারণেও।

সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ মীরের অনুকরণচর্চা নিয়ে বেশ তীব্র বক্তব্য রেখেছেন, সেটা শুনে দেখার মতো। তার তর্কের ভঙ্গিটা বেশ ধারালো, গোটা সাক্ষাৎকারে মীর নিজেও বোঝেনি, কখন কীভাবে সে ঋতুপর্ণের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। যদিও দু'জনের সাথেই দ্বিমত পোষণ করার মতো বেশ কিছু জিনিস পেলাম, কিন্তু সব মিলিয়ে সাক্ষাৎকারটি তথ্যবহুল, ভাবনাউদ্রেককারী এবং উপভোগ্য। প্রথম পর্বটা নিচে এমবেড করে দিলাম, বাকি চারটা আপনারা ইউটিউবেই পর পর পেয়ে যাবেন।

খেদের সাথে একটা জিনিস মাঝে মাঝেই অনুভব করি, দেশে আমরা যতটা বহির্বিশ্ব দিয়ে প্রভাবিত, ঠিক ততটাই যেন আত্মগুণবিমুখ। অন্যের ছাপ্পা মারা জিনিস ‌আপন করে নিয়ে আমরা যতটা উল্লসিত, ঠিক ততটাই রহিত নিজস্ব ব্র্যান্ডিঙে। আমাদের গজগামিনী তিশমারা নড়তে পারে না, কিন্তু শাকিরাকে অনুকরণের চেষ্টায় এতটুকু অনধ্যবসায়ের পরিচয় দেয় না। আমরা মূলরসটাকে অনুকরণ করতে চাই না, করি উপসর্গ আর প্রান্তিক মুদ্রা-লক্ষণগুলোকে। অথচ আমাদের কি কোনো নিজস্ব ভঙ্গিমা নেই, গ্ল্যামার নেই, আবেদন নেই, যা অন্যের জন্যে অনুকরণীয় হয়ে উঠবে? আছে, আমি নিশ্চিত, কিন্তু আমাদের মধ্যে তা খুঁজে বেছে সামনে তুলে ধরার চেষ্টাটা চোখে পড়ে না। শেষ বিচারে মনে হয় ভোক্তা খোঁজে মৌলিকত্ব, কারণ অনুকৃত পণ্য, হোক সে গান-নাটক-রেডিও-সিনেমা, আবেদন হারায় যখন মূল পণ্যটি পাশাপাশি চলমান ও সুপ্রাপ্য হয়। মূল ঋতুপর্ণ তাই প্রবল আত্মবিশ্বাস আর দম্ভ নিয়ে অনুকারী মীরের মিমিক্রিকে পিষে ফেলতে পারেন।


মন্তব্য

নিঘাত তিথি এর ছবি

হিমু ভাই,
"অন্তহীন" কিন্তু ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালিত মুভি না। এটার পরিচালক হচ্ছে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরি।
ঋতুপর্ণর নতুন একটা মুভি দেখলাম, "সব চরিত্র কাল্পনিক"। দারুন লেগেছে আমার। এই লোকের টক শো দেখে খুবই ব্যথিত হয়েছিলাম, বলে উঠেছিলাম ইনিই সেই তুমুল ট্যালেন্টেড ঋতুপর্ণ?! যাক, সেটা দেখতে হয় তার কথা শুনতে গেলেই, সে নাহয় নাই দেখলাম, তার পরিচালিত মুভির আমি মহা ভক্ত।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

হিমু এর ছবি

আয়হায়! ভুল প্যান্ট পরে বের হয়ে গ্লাম দেখি।

তবে এই তথ্যপ্রমাদের জন্যেই ইন্টারভিউটা দেখা হয়েছে। সব চরিত্র কাল্পনিক আমিও দেখেছি কনফুর সৌজন্যে, ভাবছিলাম একটা রিভিউ লিখবো, কিন্তু আর সময় পাবো না। একেবারে আগামী বছর ... বেঁচে থাকলে ... ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঋতুপর্ণ নামটা শুনলেই নীল নীল চোখের নাইকা আমার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। সাংবাদিক মি. ঘোষকে ভুলেও মনে আসে না। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হাসিব এর ছবি

ভাইগ্য ভালো কাসেলে এইবেলা যাই নাই ।

হিমু এর ছবি

আপনারে হাত পা বাইন্ধা মুখে মুজা বাইন্ধা এই ছিনামাখান দ্যাখানো হইবেক দেঁতো হাসি । আগামী শনিবার, ভুয়র্তসবুর্গে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হাসিব এর ছবি

গিয়ানজাম হৈবো কৈলাম !

আলমগীর এর ছবি

মীর রূঢ় না হয়েও ভাল বলেছে, ঋতুপর্ণের হাতে লাঠি তুলে দিয়েছে তা মনে হয়নি।

ঋতুর আপত্তি:
মীর যাকে মিমিক করে সে বা সে যাকে প্রতিনিধিত্ব করে আঘাত পেতে পারে।
মিমিক শিল্প নয়, শিল্প হলে, খুবই নিম্মমানের।

কথা হলো:
তথাকথিত আর্ট ফিল্মে যা দেখায় তাতেও কি কারো আঘাত পাবার উপাদান থাকে না? দারিদ্র যেসব আর্ট ফিল্মের বড় একটা উপাদান, সেসব ছবি দেখে গরীব লোক নিশ্চয়ই আঘাত পেতে পারে।

আঘাত দেয়ার সম্ভাবনা ছাড়া কি আদৌ কোন বিনোদন হতে পারে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সেক্ষেত্রে যুক্তি আসতে পারে, আর্ট ফিল্মে দারিদ্রকে তুলে আনা হয় যাতে করে দারিদ্রের মূল শনাক্ত করে তা উৎপাটন করতে সমাজ তৎপর হয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা.. এর ছবি

মীর আসলেই রক করে।
জি বাংলায় মীরাক্কেল নামের এক কমেডি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মীরের সাথে প্রথম পরিচয়। ওর উপস্থাপনা আসলেই অসাধারণ। মীরাক্কেল শেষ হয়ে যাবার পর মীরের সাথে আবার দেখা হয় আকাশ বাংলায়, বাঙালির ভুরিভোজ নামের একটা অনুষ্ঠানে সেখানে মীরের ভোজন রসিক চরিত্রটা বেশ ভালভাবেই ফুটে ওঠে। ওপার বাংলার বেশ কিছু ভাল রেস্টুরেন্টের সাথে পরিচয়টা মীরের মাধ্যমেই হল। এর পরে জি বাংলার ড্যান্স বাংলা ড্যান্স দেখে মেজাজ টা খিঁচড়ে গেছিল। তয় ওই অনুষ্ঠানটা মীর আর না করায় আমার চেয়ে খুশি আর কেউ হয় নি।

মীরের আসল নাম মীর আফসার আলী।
মীর সম্বন্ধে কারো কাছে আর কোন লিংক থাকলে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

"রেডিওরাখাল" শব্দটা ভালো লাগল...

বুনোহাঁস

হিমু এর ছবি

ধন্যবাদ। সচলায়তনে আমরা সুযোগ পেলেই বাংলা প্রতিশব্দ বের করার চেষ্টা করি। যেমন ঈভ টিজিঙের একটা বাংলা করেছি, বণিতাবিপীড়ন। এটা একটা খেলার মতো, কিন্তু খেলতে খেলতে মাঝে মাঝে কিছু কার্যকর বিকল্প পাওয়া যায়। আপনিও চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ইয়ে, "বেতারজকি" মনে অয় বেশি ভালু লাগবে...

_________________________________________

সেরিওজা

হিমু এর ছবি

পোলা আর্জে = বেতারবাবু
মাইয়া আর্জে = বেতারবিবি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

পোলা আর্জে = বেতারবাবু
মাইয়া আর্জে = বেতারবিবি

হো হো হো হো হো হো

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হিমু ধন্যবাদ, ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে লেখার জন্য।

দময়ন্তী এর ছবি

সেই খাসখবর থেকে মীরকে দারুণ লাগে৷ মীরাক্কেল একটা প্রচন্ড এন্টারটেনিং অনুষ্ঠান৷

এই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রচন্ড বিতর্ক হয়েছিল৷ আমি ঋতুপর্ণর কথা বলা ইত্যাদি একেবারে পছন্দ করি না, সহ্য করতে পারি না বললেই ঠিক বলা হয়৷ কিন্তু এক্ষেত্রে মনে করি উনি ঠিকই বলেছেন৷ উনি আজ সমাজের যে জায়গায় আছেন, তাতে ওঁকে নিয়ে হাসাহাসি করলে সত্যিই কিছু যায় আসে না৷ কিন্তু যাঁরা নারীত্বকামী পুরুষ এবং অর্থ সামর্থ্য তেমন কিছু নেই, তাঁদের জন্য এটা মারাত্মক৷ যদিও সেটা করতে গিয়ে মিমিক্রিকে এত ছোট করেছেন যে সেটায় ঠিক একমত হওয়া যায় না৷ আর পরে মীরের স্পুফগুলোও বড্ড মোটাদাগের৷

রেডিওরাখাল শব্দটা ভাল, কিন্তু রাখাল শুনলেই কেমন রাখালবালক মনে হয়৷ তাহলে বালিকা জকিরা উপেক্ষিত থেকে যায়৷ হাসি

সৌরভের "দাদাগিরি' দেখতে পারেন৷ ওটাও জম্পেশ হয়৷ নেটেই দেখা যায়৷
আর যাঁরা অন্তহীন দেখেছেন ও যাঁরা ভবিষ্যতে দেখবেন তাঁদের সবার জন্য বস্তা বস্তা সহানুভুতি রইল৷ দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

হিমু এর ছবি

রাধিকা আপটেকে ব্যাপক ভালু পাইসি, তাকে জাপটে ধরতে ইচ্ছা করতেসে। বড়ই মিষ্টি। ইয়াম ইয়াম। তার স্যান্ডোগেঞ্জিগুলির পেমে পজ্যন্ত হাপুডুপুখাই।

auto

আমার সাথে কী চমৎকার মানাবে, দ্যাখেন খালি একবার! দুইজনের হাত বেঁধে দাঁড়ানোর ভঙ্গিটা পজ্যন্ত য়্যাক্রকম!

রাধিকাআআআআ ... রোককে ডাল্লিঙ ... আমি আসছি ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দময়ন্তী এর ছবি

আহা তা বেশ তা বেশ৷
তা কদ্দুর আগালেন?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কদ্দূর আর, এই যে এই কমেন্ট পর্যন্তই! হাসি

দোস্ত, কাম'ন। তাত্তাড়ি কর বিয়া। তোরে আগাম অভিনন্দন জানাইয়া রাখি। না রে না, বিয়া করবি সেইজন্য না, কিংবা তোর পুলাপান হইবো সেইজন্যও না। তোর ঘরভর্তি করে গুলাবি বংশধর আসতে থাকবে ফি বছর, বিনা খাটনিতে এই 'গেইন'এর জন্য অভিনন্দন তোরে। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নৈষাদ এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগল।

ঋতুপর্ণের টক শোতে মীরের সাথে তার আলাপচারিতার পাঁচটা পর্বই দেখলাম। কিছু বিষয়ে আরও চিন্তা করতে হবে।

মীরের উপস্থাপনা আগে দেখেছি, খুব মনযোগ দিয়ে হয়ত না, তেমন অবশ্য আকর্ষন করতে পারেনি। আলাপচারিতায় আসলেই চৎমকৃত হয়েছি। অন্য দৃষ্টিতে দেখতে হচ্ছে, ভার্সাটাইল একজন মানুষ মনে হয়েছে মীরকে।

মিমিক্রিতে এসে আসলেই ঋতুপর্ণ মীর কে পিষে ফেলতে চেয়েছে। বেশ অ্যাটাকিং (হার্ড টকের টিমের কথা মনে হল)। প্রবল আত্মবিশ্বাস আর দম্ভও ছিল (তোর ঋতুপর্ণের কন্টেন্টকে নকল করার সাধ্যও নেই, অথবা ‘ঋতুপর্ণকে’ নকল করার সাধ্য নেই, শুধু সে কিভাবে কথা বলে...।)

ঋতুপর্ণের পয়েন্টা মেয়েলী পুরূষ মাইনোরিটির ব্যাপারে খুবই ঠিক আছে। এই সেকশনকে হার্ট করা হচ্ছে। স্বীকার করে নিতেই হয় এই পয়েন্টটা।

মীরের পক্ষে বলা যেতে পারে কিন্তু মিমিক্রিও কিন্তু একটা ফর্ম অভ এন্টারটেইনমেন্ট (ঋতুপর্ণ নিজেই বলেছেন ইনফিরিওর হলেও কেউ কেউ তো চর্চা করবেই)। ফটোগ্রাফী এখন একটা শিল্প, কারন এটা শুধু ছবি তোলাই না। সেভাবে মিমিক্রি ব্যাপারটাও এত সোজা না। প্লাস মীর কিন্তু তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরী করেছে। যাক।

আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডিং এর অপেক্ষায় থাকলাম। একদিন নিশ্চয়ই হবে...।

স্বপ্নহারা এর ছবি

আহা মনামি ঘোষ! ব্যাপক ভালু পাইতাম...তবে হিমু ভাই, মেয়েটা নিদেনপক্ষে আমাদের দশ বছরের ছোট ছিল...খাইছে আর প্রথম ভিডিওর বিচারক দুইজন দেবলীনা আর জুন মালিয়াকেও খুব ভাল লাগত...জীবনে সিরিয়াল দেখা হয় নাই তয় অগোরে অনেক দেখছি...দেঁতো হাসি আপনার রাধিকাকেও ভাল লাগল...

আমি ব্যক্তি ঋতুপর্ণ সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম, শুধু তার সিনেমাই দেখেছি। অনেকদিন নতুন বাংলা ছবি দেখা হয় না...চুলার কয়লা নেড়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া...

শেষ প্যারার সাথে ব্যাপকভাবে সহমত! বেড়া লিকেচেন...দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

হিমু এর ছবি

সুন্দরী নারীর কোনো বয়স নাই। ছোটোবড় ভেদাভেদ কোরো না। এই বিভেদের রাজনীতি ছৈল্ত ন।

জুন মালিয়া ... আহ ... আহা ... আহাহাহা ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রাহিন হায়দার এর ছবি

সহমত! দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

**না  এর ছবি

তাই না???? রেগে টং
কুব দাঁত কেলানো ওচ্ছে !!! দেকতেই পাচ্চি!!!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আপু , ব্লগে অন্তত বেচারারে একটু হাসতে দেন। ওটুকু ছিনিয়ে নিয়েন না।
ব্লগ তো আর ব্যক্তিজীবন না , ভার্চুয়াল লাইফ , তাই না ? চোখ টিপি

রাহিন হায়দার এর ছবি

মীরের মিমিক্রিগুলো মাত্রা ছাড়িয়ে যায় প্রায়ই, যদিও উপভোগ করতাম স্বীকার করব। ঋতুপর্ণ ঘোষের যুক্তিগুলো যথার্থ মনে হয়েছে, তবে পেছনের ক্ষোভটা স্পষ্ট। নিজের অনুষ্ঠানের অতিথিকে এভাবে অপমান করাটা মেনে নিতে একটু কষ্ট হয়েছে আমার, হয়তো মীরের প্রতি দূর্বলতা থেকেই।

আরজের বাংলা হিসেবে 'কথাবন্ধু' শব্দটা কোথাও শুনেছিলাম বা পড়েছিলাম। ভালো লেগেছিল।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এফএম ৮৯.২ টুতে যে চ্যানেলটা ( নাম ভুলে বসে আছি ) আছে ওরা কথাবন্ধু ব্যবহার করে। ওদের রেডিও রাখালরা বাংলায়ও কথা বলে। আশ্চর্য।

ভ্রম এর ছবি

মীরকে ভালো লাগে ঠিকই তবে মাঝে মাঝে একটু বেশিই বোধহয় "মিমিক্রি" করে ফেলে।
ঋতুপর্ণের কথা বলাই তারা অনুষ্ঠানটা মাটি করে দেয়, কেবল পরিচালক ঋতুপর্ণকেই ভালো লাগে।
সেদিন তিশমার একটা গান 'দেখলাম' সাদী মোহম্মদ এর সাথে... কিছু বলার নাই।

হিমু এর ছবি

তিশমা তো সাধারণত গানের সাথে নেচেও থাকে। সাদী মহম্মদ আবার তার সাথে নাচেননি তো?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ভ্রম এর ছবি

ভালোই হেলতে দুলতে পারেন...

তিশমা-সাদী মোহম্মদ

দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি [অতিথি] এর ছবি

এই হাতপাও ছোঁড়া বান্দরটাই তিশমা? শালার আমি তো তারে আরেকটু মানুষের মতোন মনে করতাম!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি আবার অতিথি হলেন কবে থেকে?

মানব সন্তান এর ছবি

আপনারটা চলে না। এটাতে দেখেন সাদী- তিছমা।
http://blip.tv/file/991870

আনন্দ [অতিথি] এর ছবি

সিনেমা আমার খুব বেশি দেখা হয় না। ঋতুপর্ণের একটা কি দুটা ছবি দেখেছি। তার মধ্যে রেইনকোট-এর কথা মনে আছে। বাঙালি পরিচালক বলিউডে ভাল কাজ করছে দেখে তখন বেশ ভাল লেগেছিল। আগে কখনও দেখিনি ভদ্রলোক কে। আজ প্রথম দেখে একটু ধাক্কা লাগল স্বীকার করতেই হবে। ভদ্রলোক শব্দটা খাটল কিনা সেটা নিয়েও দ্বিধায় পড়লাম।

কিন্তু ওনার কথা, আত্মসম্মানবোধ আর কনফিডেন্স লেভেল দেখে ভারি ভাল লাগল। যে লোক খুব সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলো পর্দায় এত সুন্দর করে দেখাতে পারে, তার তো এভাবেই ঠুনকো তামাশাগুলো পিষে ফেলতে পারার কথা; তাই প্রাথমিক ধাক্কাটা আর মনে স্থায়ী হল না। স্থায়ী হল ওনার অন্তর্দৃষ্টি।

এখানে এসে প্রথম প্রথম আমার ইউনিভার্সিটিতে টিউটরিং করতাম। তখন আমার এক ছাত্রের চালচলনও একটু কেমন কেমন লাগত। তার মধ্যে ঐ লোক আবার বাম কানে দুল পড়ত। আমি বুকাসুকা মানুষ। আমার এখনকার চাকরিটার ইন্টারভিউ দিতে আসার দিন ওকে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করলাম। আসার সময় কথা প্রসংগে জানতে পারলাম জনাব gay! স্বভাবতই একটু নড়েচড়ে বসেছিলাম। পরে টিউটরিং ছেড়ে দেবার পরেও সেই ছাত্র আমাকে বার তিনেক ফোন দিয়েছিল। আমার কখনও দেয়া হয়নি।

আজ হিমুদার পোস্টটা দেখে ওকে ফোন দিলাম। বললাম থ্যাঙ্কসগিভিং-এই আসলে তোমাকে থ্যাঙ্কস দেয়া উচিৎ ছিল সেদিনের উপকারের কথা মনে করে। খুউব খুশি সে। আমারও ভাল লাগল। ধন্যবাদ হিমুদা। আশা করি, হোমো/বাইসেক্সুয়াল নির্বিশেষে সব মানবের সাথে বন্ধুতা করতে ফ্রব্লেম হবে না। [বিপরীত লিঙ্গের সুন্দরী বন্ধুদের প্রতি একটু এক্সট্রা অ্যাটেনশন থাকবেই, কিচ্ছু করার নাই :p]

সচলভিধানে gay এর কোন পরিভাষা থাকলে জানাবেন।

অমিত আহমেদ এর ছবি

বাম কানে কিংবা দুই কানেই রিং পরলে কিছু আসে যায় না, কিংবা কিছু প্রকাশ পায় না। নেহায়তই ফ্যাশন। তবে ডান কানে রিং পরলে বুঝতে সেই ভদ্রলোক সমকামী (কারণ ডান কানে তারা ছাড়া আর কেউ রিং পরেন না।)। এটা নিয়ে উত্তর আমেরিকায় একটা কথা চালু আছে - "Left is right and right is wrong."


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই কথাটা জার্মানভাষাতেও আছে আরেক্টু মজা কইরা :

Links cool rechts schwul ....(schwul মানে গে)



অজ্ঞাতবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি শুধু মীরের কথা বলব - একটু। "হাউ মাউ খাঁউ", "ড্যান্স বাংলা ডান্স", "ব্যাটা-বেটির ব্যাটেল", "এনজয় গুরু" বা "ই এম আই" দিয়ে নয়, মীরকে চেনা যাবে "মীরাক্কেল" দিয়ে। ওইখানেই মীর আসল পরীক্ষাগুলোতে পড়েছেন এবং অসাধারণভাবে উৎরে গেছেন। বাংলা ভাষার টিভিগুলোর মধ্যে উপস্থাপণায় মীর অবশ্যই সেরাজন। সেরা বলার কারণ মেধা, জ্ঞান, হাস্যরস, পরিমিতিবোধ সব কিছু মিলিয়ে মীর অসাধারণ - আবারো বলছি মীরাক্কেলের মীর। মীরাক্কেল সম্ভবতঃ প্রথম বাংলা টিভি অনুষ্ঠান যার নাম উপস্থাপকের নামে হয়েছে। এমনকি বর্তমানে অনুষ্ঠানটিতে মীর উপস্থাপনায় না থাকলেও নামটি আর বদলানো যায় নি। মীর অনুষ্ঠান করেন কোন স্ক্রীপ্ট ছাড়া। মীর আবহ বুঝে স্বতঃস্ফূর্ত কাব্য করতে পারেন, বিশেষতঃ উর্দু শের। সংবাদ পাঠে বা চলচিত্রে অভিনয়েও মীরের দক্ষতার প্রমাণ মেলে। উপস্থাপনায় মীর ট্রেন্ডসেটার। ভাঁড়ামী করা, মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া মীর এসবও করেন। কারণ, তিনি সাধারণ মানুষ। তবে mimicry নিয়ে আমাদের কারো কারো মধ্যে একটু দ্বৈততা কাজ করে বৈকি। যে বিষয়কে উত্তর আমেরিকা বা বৃটিশ টেলিভিশনগুলোতে দেখলে আমাদের কাছে ভাঁড়ামো মনে হয় না বাংলা টেলিভিশনে তার কাছাকাছি কিছু দেখলেই তাকে আমাদের কারো কারো কাছে মাত্রাছাড়া বলে মনে হয়। বাংলা টেলিভিশনে উপস্থাপনায় বা অনুষ্ঠান নির্মাণে অপরিপক্ক্বতা আছে ঠিক, তবে তার সবটাই ফেলনা নয়। আর কে না জানে সমালোচনাকে positively নেবার মত সামর্থ্য আমাদের গুণীজনদের একটু কমই আছে।

হিমুকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আলমগীর এর ছবি

মন্তব্যে চলুক
হাউমাউয়ের পর আর কিছু দেখার সুযোগ হয়নি।
এক কথায় ছেলেটা জিনিয়াস।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমার ধারনা ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষ একটি নায়িকার নাম। আজকে তুমি আমার দিব্যচক্ষু খুলে দিলে হিমু ভায়া!

লেখায় পঞ্চবটিকা!!

**না এর ছবি

আমার ধারনা ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষ একটি নায়িকার নাম।

হাসিতে হাসিতে মাটিতে গড়াগড়ি!!

সত্যি বলতে কী...এক সময় আমি ও এটাই ভাবতাম!!!হিহিহিহিহি

হিমু এর ছবি

ঋতুপর্ণা নামে একজন নায়িকা কিন্তু আছেন। তবে তার পদবী ঘোষ নয়, অন্য কিছু।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দময়ন্তী এর ছবি

সেনগুপ্ত৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আলমগীর এর ছবি

সেলিম নামে আমাদের গ্রুপে একটা ছেলে আছে। আমাদের সাদা সুপারভাইজার তাকে মাঝেমধ্যেই সেলিমা ডাকে দেঁতো হাসি

শুধু একটা আকারের ফের।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, যতদুর মনে আছে, সেটা ঋতুপর্ণা ঘোষ ছিল, পরে বিয়ে করে ঋতুপর্ণা শর্মা হয়েছেন, অথবা আমি প্রথম থেকেই ভূল জানতাম। সে বেশ কিছু বাংলা ছবিও করেছে কিনা চোখ টিপি যেমন 'আমি সেই মেয়ে' নামে এক জারজ সন্তানের নিজের বাপকে খোজার গল্প দেঁতো হাসি

@দময়ন্তীদি, তাহলে উনি সেনগুপ্ত? অর্থাৎ শর্মা নামক মহিলাও অন্য মানুষ, আমি তো দেখি এক ভূল থেকে আরেক ভূলে লাফিয়ে বেড়াচ্ছি। ধন্যবাদ দিদি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নামটা মনে হয় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ। সেনগুপ্ত। উয়কি তো তাই কয়।

http://bn.wikipedia.org/wiki/ঋতুপর্ণা_সেনগুপ্ত
http://bn.wikipedia.org/wiki/ঋতুপর্ণ_ঘোষ

ঋতুপর্ণারে নিয়া কতো লেখা বাংলা উয়কিতে কিন্তু ঋতুপর্ণকে নিয়ে কতো কম কথা।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ঋতুপর্ণারে নিয়া কতো লেখা বাংলা উয়কিতে

ঠিক বলেছেন দাদা, কারন মহিলা একটু খুল্লাম খাল্লাম কিনা চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দময়ন্তী এর ছবি

আরে এই ইংরিজি বানানের শেষে a দেওয়ায় যা সব কেলো হয় না৷ পর্ণ আর পর্ণা দুইই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সবাই 'পর্ণা' বলে উচ্চারণ করে৷ কদিন ধরে শুনছি আমার টিমে সুপ্রিয়া বসু নামে একজন জয়েন করবে৷ আজ দেখি গ্যাটম্যাট করে এক ছয় ফুটিয়া, ইয়াম্মোটা গোঁফওয়ালা সুপ্রিয় বসু এসে হাজির৷ আমার তাতে খুব একটা সমস্যা হল না, কিন্তু সবার সাথে পরিচয় করানোর পর টিমের যুবকবৃন্দ কিরকম মুষড়ে পড়ল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

হিমু এর ছবি

আমার এক বন্ধু একবার ম্যাথ কুইজে ১২তে ৬ অ্যানসার করে ৮ পেয়েছিলো নামের শেষে একটা আবছা A যোগ করে চোখ টিপি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চিন্তিত , অনেক কিছু জানতে পারলাম পোস্টা পড়ে, তবে আরেফীন ভাইয়ের মত আমিও ভাবতাম ঋতুপর্ণা আর ঋতুপর্ণ একই মানুষ মন খারাপ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দ্রোহী এর ছবি

○ ঋতুপর্ণ যে গে তা জানতাম
○ মীরকে ভালো লাগে না
○ রাধিকা আপটেকে দেখে মনের ভেতর এক তুমুল ঝড় বয়ে গেল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

রাধিকা আপটেকে দেখে মনের ভেতর এক তুমুল ঝড় বয়ে গেল

আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম কিডা'র ঠিকানা?



অজ্ঞাতবাস

কল্পনা আক্তার এর ছবি

আম্মা একদিন এসে আমার গোলগোল চোখ দেখে বললো, এই মেয়েটাকে দেখে তো মনে হয় ওর দুইটা বাচ্চা আছে, তোর রুচি এইরকম কেন? আমি মুগ্ধচোখ না সরিয়ে বলেছিলাম, আমার সাথে বিয়ে হলে চারটা বাচ্চা থাকতো!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

পশ্চিম বাংলার প্রোগ্রাম আমার একবারেই দেখা হয়না বললে চলে তাই উপরের বিষয়গুলো আমার কাছে অনেকটা নতুনই বলা যায়। তবে ইন্টারভিউটা খুবই মনোযোগ দিয়ে দেখেছি এবং তাদের আলাপচারিতায় খুবই চমতকৃৎ হয়েছি।
.......................................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পুরা ফিল্মটাতে আমি কিছুই দেখি নাই শুধু রাধিকা নামের মেয়েটারে ছাড়া... আহা... চোখে লেগে আছে এখনো চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

হবু মিসেস জলদস্যুর দিকে চোখ দিলে সেই চোখে হলুদ পেলাসটিকের সানগেলাস পরিয়ে দেয়া হবে। সাম্ভাল্কে!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে প্রভাবিত হবে কে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

আবার মূলা ঝুলাইলেন। হুমমমম।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

auto
ঋতুপর্ণ ঘোষের এই চেহারাটা মাথায় ছিল, তার নতুন চেহারা এবং কথাবার্তা দেখে বিশাল ধাক্কা খাইলাম ... তবে তাঁর রেইনকোট মুভিটার আমি বিশাল ফ্যান, তাঁর আর কোন মুভি দেখি নাই কিন্তু এই একটা দেখেই মুগ্ধ ভক্ত হয়ে গেছি ...

মীরের হাউ মাউ খাউ দেখেছিলাম মনে হয় এক দুই পর্ব চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতে ... তখন তেমন অসাধারণ কিছু লাগেনি, সেই তুলনায় এই সাক্ষাৎকারের মীরকে অনেক বেশি পছন্দ হইলো ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

দ্রোহী এর ছবি

রেইনকোট ভালো লাগেনি।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ফ্রীডম অভ চয়েস দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

কনফুসিয়াস এর ছবি

রেইনকোট সিনেমা খুবই ভাল লেগেছে আমার। আসলে এক "অন্তরমহল" বাদে ঋতুপর্ণর বাকি সবগুলা মুভিই মুগ্ধ হবার মত।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

অন্তরমহল কিন্তু বেশ ভাল্লাগসে আমার, একটু বেশি সিনেমাসিনেমা যদিও। দোসর দেখলাম, সেটাও বেশ ভালো। কিন্তু সিনেমা শেষ করতে গিয়ে কী যেন একটা করে, গোটা সিনেমায় যে টেনশনটা তৈরি হয়, সেটা একটু নেতিয়ে যায়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অমিত আহমেদ এর ছবি

মীর এর কথা আগে জানতাম না। হিমু ভাইয়ের দেয়া লিংক ধরে বেশ কিছু ভিডিও দেখলাম। ভদ্রলোকের প্রতিভা আছে স্বীকার করতে হবে। ষষ্ঠ পাণ্ডব যেমন বললেন, মীর যদি আসলেই যদি স্ক্রিপ্ট ছাড়া শো হোস্ট করে থাকেন তাহলে তাকে আমার আরেকটা প্রনাম।

মিমিক্রিকে আমি আর্ট হিসেবেই দেখি। তবে এটা যে খুব উচ্চমানের আর্ট না সেটাও মানি। ভিডিও দেখে মীর একটু বেশিই করেন বলে আমার মনে হলো। আমি স্ট্যান্ডআপ কমেডির বিশাল ভক্ত। অনেক পয়সা খরচ করে শো দেখতে যাই। স্ট্যান্ডআপ কমেডির একটা বড় অংশ হলো মিমিক্রি। তবে বড় কমেডিয়ানরা এটা একটা সীমানার মধ্যে রাখেন। এবং সেটাই ভালো বলে আমার মনে হয়। একজন মানুষকে ক্রমাগত অনুকরণ করে গেলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতেই পারে। তবে এই সীমানাটা কে ঠিক করে দেবেন, ঠিক কখন সীমানা অতিক্রম করা হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত হবে, সেটাও একটা ব্যাপার। এটা মীরকে নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।

ঋতুপর্ণ ঘোষকে আগে কখনো দেখিনি। শোতে দেখে টাশকি খেলাম। তবে ভদ্রলোকের আত্মবিশ্বাস আছে বলতে হবে। উনার একটা সিনেমা দেখেছি - রেইনকোট। খুব একটা ভালো লাগেনি।

নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দেখতে আমার দারুন লাগে! অভিনয় দেখার সৌভাগ্য অবশ্য হয় নাই।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

পরী [অতিথি] এর ছবি

রেইনকোট ভালো লাগেনি।টিএসসি তে kকোন এক চলচ্চিত্র উৎসবে বড় পর্দায় দেখা 'অন্তরমহল' খুব জোস লেগেছে। 'চোখের বালি' কি ঋতুপর্নের না? ইয়ে, মানে...

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ঋতুপর্ণের বাড়িওয়ালি দেখেছি। ভালোই লেগেছিল।

কোনপক্ষ নেওয়া উচিত সেবিষয়ে আমি একটু বিভ্রান্ত। মোটা মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি (ধরুন বিগ মামা'স হাউজ) গ্রহনযোগ্য হলে ঋতুপর্ণকে নিয়ে কেন হবে না? সবই বাদ দিয়ে দিলে তো রামগড়ুদের ছানা হয়ে বসে থাকতে হবে।

আবার অনুভুতিতে আঘাত করার বিষয়টাও ভেবে দেখা দরকার। মনে হয় দুটোর মাঝামাঝি একটা পন্থা অবলম্বন করা উচিত।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

ভাই, আপনের রাধিকারে দেইখা তো মন খারাপ হইয়া গেল। সাধারন, তবুও আসাধারন।
কপালের নাইরে ভাই... মন খারাপ

--আসাদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।