নীড় সন্ধানী এর ব্লগ

আমরা তোমাদের ভুলে গেছি: নুরুল আলম, কমলদহ, মিরসরাই

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ২৫/০৩/২০১৫ - ৭:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[i][ওরা যুদ্ধ করেনি, ওদের সার্টিফিকেট নেই, ইতিহাসে ওদের কোন পদবী নেই। ওদের কেউ অন্ধকার রাতে টর্চলাইট হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পথ দেখিয়েছে, কেউ রাতে ঘরের দাওয়ায় আশ্রয় দিয়েছে, নিজের খাবার বাঁচিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছে, তাঁদের অস্ত্র, তথ্য, সংবাদ পারাপার/পাচার করেছে দীর্ঘ নয়মাস ধরে। অতঃপর দেশ স্বাধীন হবার পর কৃতিত্ব দাবীদারের ডামাডোলে ওদের কথা ভুলে গেছি আমরা। সেই সব অনালোচিত, ভুলে যাওয়া অমুক্তিযোদ্ধা স


এক টুকরো দুপুর

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০২/২০১৫ - ১০:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সরু গলিপথ। বাঁয়ে ঘোলা জলের পুকুর। জলের ছাদে কলমিলতার সাজানো বিছানা। ডানে সারিবদ্ধ ঘুপচি দোকান। একটি সেলুন, একটি লণ্ড্রি এবং একটি দর্জিঘর। দর্জিঘরের পাশেই বাঁধানো গেটের ভেতর সাজানো নিঃসঙ্গ কবরখানা।

কবরখানার উল্টোদিকে প্রাচীন মসজিদ। মসজিদের পাশে সারি বেঁধে শুয়ে কাজীবাড়ির সাতপুরুষ।

খোদার ঘরের দরোজায় মেহেরবানীর প্রতীক্ষায় লুলা ভিখিরির তোবড়ানো বাটি। খিদে পেটে জপছে আল্লা রসুলের নাম।


অপ্রত্যাশিত বিদ্যুতের চমক

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/১০/২০১৪ - ২:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গল্পের সুত্রপাতের গল্প-

তিনি মাঝে মাঝে গল্প লেখেন। সবগুলো ঠিক গল্প হয়ে উঠতে পারে না। তবু একজন স্থায়ী পাঠকের মনোযোগ পেয়ে তিনি লেখালেখি জারি রেখেছেন। এই পাঠক তাঁর লেখার ঠিক ভক্ত নয়। যদিও তাঁর সব গল্প মনোযোগ দিয়ে পড়ে। গল্পের রেটিং করে, সমালোচনা করে, মাঝে মাঝে উৎসাহও দেয়। লেখক সেদিন একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন। পাঠকের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনে একটা গল্প হোক। কিন্তু এত রাতে কোথায় খুঁজবে পাঠককে। তাছাড়া ভৌগলিক দূরত্বও কম নয়। হোক দূর, হোক রাত, এখন ইন্টারনেট যুগ, এই যুগে পৃথিবীতে কিছুই দূর নয়, কোন সময়ই অসময় নয়। কিছু মানুষ আছে যাদের গরু খোঁজা করে বাস্তবে কোথাও পাওয়া না গেলেও ইন্টারনেটে বা ফেসবুকে ২৪ ঘন্টাই খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তিনিও যথারীতি খুঁজে পেয়ে গেলেন পাঠককে। দূরবর্তী পাঠক তখন ঘুম থেকে উঠে নাশতা করতে বসেছে মাত্র। প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে দোনোমোনো করলেও অবশেষে সে রাজি হয়েছে গল্প সৃষ্টির অংশীদার হতে। লেখক এখনো জানেন না কি গল্প হবে। গল্পের কাহিনী না জানলেও তার একটা চটকদার নাম ঠিক করা হয়েছে- "অপ্রত্যাশিত বিদ্যুতের চমক"।


আপাততঃ সুসংবাদ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/১০/২০১৪ - ১:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুপুরে কেন্টিনের পচা তেলাপিয়ার মাছের ফ্রাই চুবানো ঝোল দিয়ে ভাতের গেরাসটা নিয়ে যখন মোচড়ামুচড়ি করছিল ঠিক সেই সময়ে সরফরাজের বাম পকেটের মোবাইলটা ক্যাঁক ক্যাঁক করে আর্তনাদ করতে শুরু করলো।


আই লাভ মাই chum

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ০৩/০৯/২০১৪ - ২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি নিশ্চিত কমপক্ষে ৯৫% পাঠক শিরোনামের ইংরেজী শব্দটার সাথে পরিচিত নন। ডিকশেনারী না খুলে শব্দটার অর্থ বলতে পারবেন খুব কম মানুষ। এমনকি যারা পারবেন আমি প্রায় নিশ্চিত তাদের ঘরে নার্সারি-কেজি পড়ুয়া বাচ্চা আছে।

শব্দটির সাথে আমিও পরিচিত ছিলাম না দুদিন আগে। এই শব্দটা না জানার কারণে সারাজীবন আমার কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আমার ধারণা এই chum শব্দটার অর্থ একজন মানুষ সারাজীবন না শিখলেও কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু ক্লাস টুতে পড়ুয়া বাচ্চাটি এই শব্দ না জানার কারণে স্কুলে বকুনি খাবে হয়তো নাম্বারও পাবে না। আমার কন্যা একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে। তার বইতে শব্দটা পেয়েছি। আমাকে তাই অর্থটা ডিকশেনারী খুঁড়ে বের করতে হয়েছে।


পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্টের সত্যগোপন অথবা মিথ্যাভাষণ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ৪:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক: মর্মান্তিক এক ফিকশন যেন

১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ : রাত ২.৪৫মিনিট - ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

ডিজিএফআই(প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা) প্রধান ব্রিগেডিয়ার রউফের কাছে একটা বিশেষ খবর নিয়ে এলেন ডিএমআই(সেনা গোয়েন্দা) প্রধান কর্নেল সালাহউদ্দিন।
খবরটা খুব খারাপ। আজ ভোরে মারাত্মক কিছু একটা হতে যাচ্ছে দেশে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্রাকে ট্রাকে সৈন্য আর আর্টিলারী ট্যাংক বহর বেরিয়ে গেছে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর প্রেসিডেন্টের বাড়ির দিকে। ভয়ংকর ব্যাপার। খবরটা সেনাপ্রধানকে জানানো উচিত।


পাংখি ঘুড়ি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ০৩/০৮/২০১৪ - ৫:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
সারাবছর যে বন্ধুর সাথে কাটাই তাকে বিশেষ কোন দিবসে আলাদা করে শুভেচ্ছা দিতে কেমন বিব্রত লাগে। সৌজন্য বস্তুটা বন্ধুতার সাথে সম্পূর্ণ বেমানান। বন্ধুর কোন কাজ করে দিলে যদি ধন্যবাদ পেতে হয়, সেই কাজটা ছোট হয়ে যায়। ঠাট্টা বাদে সিরিয়াস শুভেচ্ছা বা ধন্যবাদ কখনো দেইনি বন্ধুকে। যেমন দেইনি বিশেষ দিবসের কোন রঙিন কার্ড। তার চেয়ে ক্যামেরায় একটা ক্লিক করে ছবিটা বন্ধুর কাছে পাঠাই। নইলে সাদা খাতায় আঙুল বুলিয়ে কিছু আঁকিবুকি। আমার তেমনি ভালো লাগে। খুব সাদামাটা কিছু। অথবা ছোট্ট কোন রেস্তোঁরায় বসে ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে মুচমুচে পিয়াজু সালাদ। সাথে খানিকটা বৃষ্টি হলেও হতে পারে, না হলে কিছু মেঘের দল ভাসতে ভাসতে দক্ষিণ সমুদ্র থেকে উত্তর হিমালয়ের পথে চলে যেতে পারে।


বালিশ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০১৪ - ১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাদিমের পেটে ভুটভুট আওয়াজ হয়। গুহায় কোন শব্দ নাই, আলো নাই। অন্ধকারে ভুসভুস করে নাক ডেকে ঘুমায় একপাল মানুষ। হাদিম ঘুমাতে পারে না। গুহামুখে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে আকাশ দেখে। চিকচিক করে অনেক তারা। আজকে চাঁদের থালিটা নাই। মেঘও নাই।


তোকে আমার এখন ভালো লাগছে না, বন্ধু!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৭/২০১৪ - ৩:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুদিন আগেও পৃথিবীর সুখী মানুষদের একজন ছিলি তুই। প্রিয় দুই সন্তানকে স্কুলে নামিয়ে নটার অফিসে কখনো কখনো সাড়ে নটায় পৌঁছে গেছিস কোন কোনদিন। দেরীতে বিয়ে করেও দুশ্চিন্তায় ভুগিসনি সন্তান বড়ো হতে হতে তুই বুড়িয়ে যাবি। আড্ডায় তোর উচ্ছ্বাস আর উচ্চকন্ঠ দেখে বোঝা যেতো না বয়সটা ৪৫ নাকি ২০। টাকাকড়ির কিছু অংশ যে ভবিষ্যতে সঞ্চয়ের জন্যও রাখতে হয়, হোটেলে বিল দেবার সময় সেটা কখনো মনে রাখিস নি। চা সিগ্রেট নাস্তা লাঞ্চ


এলেবেলে দিনপঞ্জি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৭/২০১৪ - ১:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়াতেই বোধহয় বারবার হাই ওঠে। বারবার হাই ওঠা খারাপ লক্ষণ। যখন হাত এবং মগজ কোনটাতেই কাজ থাকে না তখনই হাইগুলো উঠে। হাই উঠার ঘন্টাখানেক পরই কপালের দুপাশ পিনপিন করতে শুরু করবে। পিনপিনটা মৃদু থেকে তীব্রতার দিকে যেতে যেতে সমগ্র মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক জুড়ে ঝিমঝিম করে বাজতে শুরু করবে। চোখের সামনে যত আলো আছে সবকিছু অসহ্য ঠেকবে। মাথাটা কোথাও ঠেকানোর জায়গা খুঁজবে। চোখটা অন্ধকারের আশ্রয় চাইবে