শুভ জন্মদিন, মুহম্মদ জাফর ইকবাল!

অদৃশ্য মানব এর ছবি
লিখেছেন অদৃশ্য মানব [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৩/১২/২০০৯ - ১২:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুহম্মদ জাফর ইকবালমুহম্মদ জাফর ইকবাল

ছোট্টবেলা পেরিয়ে এসেছি সেই কবে। তবু যার বই পড়তে বসলে হারানো কৈশোরে হারিয়ে যাই এক ঝটকায়, তিনি মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

বাংলাদেশে একবার বিখ্যাত হতে পারলে আমজনতাকে যাচ্ছেতাই মানের জিনিস গছিয়ে দেয়ার প্রবনতা প্রায় সবার মধ্যেই বিদ্যমান। একমাত্র মুহম্মদ জাফর ইকবালকেই এখনও পর্যন্ত মাথা ঠিক রাখতে দেখেছি (অবশ্যই ব্যক্তিগত মতামত)।

এই মানুষটাকে যে কি পরিমাণ পছন্দ করি, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমার বন্ধুবান্ধবের অনেকেই তার সরাসরি ছাত্র। তাদের যে কি পরিমাণ হিংসা করি তাও বলে বোঝানো সম্ভব না।

আমি বই পড়ছি, আর খুট খুট করে আপন মনে হেসে যাচ্ছি, ছোটবেলায় এটি ছিল একটি অত্যন্ত পরিচিত দৃশ্য। এই দৃশ্যের অনেকটা কৃতজ্ঞতাই মুহাম্মদ জাফর ইকবালের। 'দুষ্ট ছেলের দল', 'হাত কাটা রবিন', 'দীপু নাম্বার টু', 'টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান', 'মেকু কাহিনী' এরকম আরো অসংখ্য বই যারা তাদের কৈশোরে পড়েনি, তাদের জন্য সত্যিই দুঃখ হয়।

এবার আসা যাক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ের কথায়। 'আমার বন্ধু রাশেদ' আমার পড়া বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাস। এখনো মনে আছে সেই দিনের কথা। কাঁদতে কাঁদতে বইটা শেষ করেছিলাম। বুকের ভিতর কিযে এক চাপা কষ্ট হচ্ছিল! এম্নিতেই বই পড়ে হাসি বলে আত্মীয়মহলে আমাকে অনেক ঠাট্টা সহ্য করতে হত...সেদিন যদি কাঁদতে গিয়েও ধরা খেতাম, তাহলে কি একটা কেলেংকারিয়াস ব্যাপারটাই না হত!

এছাড়াও বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দুটি ছোট গল্পের কথা। একটি হলো 'বলদ' (একজন দুর্বল মানুষ) ও 'ওয়ার্কশপ' (নুরুল ও তার নোটবুক)। অসাধারণ বললেও কম বলা হয়!

বাংলা সায়েন্স ফিকশন সাহিত্যে অপ্রতিদ্বন্দী এই লেখকের হাত ধরে এসেছে কত স্মরণীয় বই! 'মহাকাশে মহাত্রাস', 'বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার', ' কপোট্রনিক সুখদুঃখ' কোনটা রেখে কোনটার কথা বলি!

লেখক হিসবে প্রিয় তো বটেই, উনাকে এরচেয়েও বেশি ভালো লাগে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য। দেশকে নিয়ে কি গভীর মমতা ধারণ করে আছেন, এবং এই মমতা তার লেখনীর মাধ্যমে আরো হাজারো তরুণ প্রাণে ছড়িয়ে দিচ্ছেন!

মহান কীর্তিমান এই অসাধারন লেখকের জন্মদিনে আমার ও সচলায়তনের পক্ষ থেকে অনেক, অনেক শুভেচ্ছা।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

জন্মদিনে শুক্না কাঁথার শুভেচ্ছা জানাই হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে মনে হলো লেখাটা যেন আমি লিখেছি!!.. শুভেচ্ছা।

অদৃশ্য মানব এর ছবি

আপনি কিডা? চিন্তিত
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

মামুন হক এর ছবি

শুভ জন্মদিন স্যার! শতবর্ষী হোন।

অনিকেত এর ছবি

শুভ জন্মদিন, স্যার।
আপনার মত কিছু মানুষকে আমরা নিজের করে পেয়েছি বলেই এখনো হারতে হারতে আমরা ঘুরে দাঁড়াই। আপনি আছেন বলেই এখন অনেক কিশোর স্বপ্ন দেখে দেশ কে নিয়ে, গণিতকে নিয়ে, বিজ্ঞান কে নিয়ে----

জয়তু মুহম্মদ জাফর ইকবাল
আপনাকে প্রণাম!

তানবীরা এর ছবি

আমারো ঠিক একই কথা।

একবার ২০০৬ সালে বইমেলাতে দেখা হয়েছিল, দুই কন্যা সমেত ওনার সাথে। কথা বলতে যে কি ভালো লেগেছিল। মহাপুরুষ, বিনয়ী আর সজ্জন।

শুভ জন্মদিন স্যার।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শশাঙ্ক বরণ রায় এর ছবি

স্যারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা! নিরন্তর শুভকামনা, সুন্দর এই মানুষটির জন্য...
লেখককে ধন্যবাদ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

প্রিয় মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা...অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা লালন করি এই মানুষটির জন্য...

(ছবিটি শাফায়াত খান শাফু'র তোলা। কোথাও ব্যবহার করতে চাইলে তার অনুমতি নিতে হবে।)

____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নাশতারান এর ছবি

শুভ জন্মদিন, স্যার। ভালো থাকুন। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আবির আনোয়ার [অতিথি] এর ছবি

শুভ জন্মদিন স্যার।

মুস্তাফিজ এর ছবি

Muhammed Zafar Iqbal

শুভ জন্মদিন

...........................
Every Picture Tells a Story

নদী এর ছবি

চারিদিকে দুর্বল মানুষ দেখে দেখে বড় হয়েছি। দুর্বল শব্দটা হয়তো পর্যাপ্ত নয়; 'স্বার্থপর ' বলাই যথার্থ হবে। শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই ধরণের মানুষের সংখ্যাই বেশী । যেখানে তাঁদের দার্শনিক হবার কথা, সেখানে তাঁরা গায়ে কাঁদা মেখে, কাঁদা ছড়িয়ে দিন কাটান। তবুও প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাধীন সত্ত্বার মানুষ তৈরি হন। সামাজিক 'প্রচলিত' নিয়ম ভেংগে ইবসেনের গনশত্রু'র নায়ক জন্ম নেন।

আমার কাছে প্রফেসর জাফর ইকবাল স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানো ওইরকম নায়ক। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করি।

নদী

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তিথীডোর এর ছবি

জন্মতিথিতে প্রিয় লেখককে শুভেচ্ছা নিরন্তর!

--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার তোলা গোলাপ
জাফর ইকবাল
একজন জগ্রত সকাল
শুভ জন্মদিন
আমার একগুছা ফুল
ও অনন্ত শ্রদ্ধা নিন

স্পার্টাকাস এর ছবি

মনে আছে, আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, তখন জাফর স্যারের ২টা সায়েন্স ফিকশন সমগ্র বের হয়েছিল। ৩ নম্বরটা পাই যখন কলেজে পড়ি। মধ্যের এই চার বছরে ওই দুইটা বই যে আমি কতবার পড়েছি গুনে শেষ করা যাবে না। তাঁর সব ধরনের লেখার আমি ভক্ত, সাইফাই, কিশোর, ছোট গল্প থেকে প্রবন্ধ, পেপারের কলামগুলো পর্যন্ত গোগ্রাসে গিলি।

আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে আমিও কেঁদে দিয়েছিলাম খাইছে

--------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

আকতার আহমেদ এর ছবি

শুভ জন্মদিন!

খেকশিয়াল এর ছবি

শুভ জন্মদিন স্যার
সেই স্কুল থেকে এখনো মেলায় তার নতুন সাই ফাই বা ভুতের গল্প কিনে তাকে খুঁজি, আটোগ্রাফ নেবো বলে

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার প্রিয় স্যারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমিও একটা লেখা লিখেছিলাম।কিন্তু অদৃশ্য মানব আপনার কাছে হার মানতে হলো। আমি আমার লেখাটি এখানে মন্তব্য হিসেবে তুলে দিচ্ছি। মডারেটরদেরকে অনুরোধ করব আর লেখাটি না প্রকাশ করতে যদি এটি মন্তব্য হিসেবে প্রকাশিত হয়।

---------------------------------------------------------------------------------
---------------------------------------------------------------------------------
স্যার,

ইমদাদুল হক মিলন তাঁর একটি লেখায় এরকম একটি কথা বলেছিলেন--"যে মানুষদের আলোয় আমাদের সময় আলোকিত মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁদের মধ্যে অন্যতম।"
কথাটি আমার এত ভালো লেগেছিল!

আপনাকে কখন থেকে আমার ভালো লাগে তার তত্ত্ব-তালাশ করতে গেলে ফিরে যেতে হবে সেই কৈশোরে। স্কুলে তিন বন্ধু মিলে টিফিনের টাকা জমিয়ে একটি লাইব্রেরি করেছিলাম--সেই লাইব্রেরির একটি বই ছিল 'দীপু নাম্বার টু'।
আমাদের তিনজনেরই বইটি এত ভালো লেগেছিল! এরপর স্কুলেরই এক বইমেলায় এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে কিনেছিলাম 'আমার বন্ধু রাশেদ'।
এরপর থেকে আপনার খুব কম লেখাই সম্ভবত আমার পড়া হয়নি। এখনও পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে আনন্দের কাজগুলোর একটি হচ্ছে আপনার নতুন কোনো লেখা পড়া।আমার আরও মজা লাগত শেষদিকে যখন আপনাকে কোনো একটি লেখা পড়ে অনুভূতি জানালে আপনি মাঝে মাঝে মজার সব প্রতি-উত্তর দিতেন।

আপনার প্রতি ভালো লাগা আরও বাড়তে থাকে যখন আপনি 'সাদাসিধে কথা' নামে পত্রিকায় কলাম লিখা শুরু করলেন। 'প্রথম আলো' পত্রিকাটি আমাদের বাসায় রাখা শুরু করার একটি বড় কারণ আপনি মাঝে মাঝে তাতে লিখেন।এখনও আমি প্রতিদিন 'প্রথম আলো' খুলেই দেখে নিই আপনার কোনো লেখা আছে কিনা তাতে।নিরানব্বই সালে যখন হলের নামকরণসংক্রান্ত জটিলতায়; ধর্মব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য আর তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকারের মেরুদণ্ডহীনতায় শাবিপ্রবি মাসের পর মাস বন্ধ থেকেছে আর আপনি পত্রিকায় একের পর এক কলাম লিখে আপনাদের অবস্থানের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে চলেছেন--সেই সময়ই নটরডেম কলেজে প্রথম বর্ষে পড়া এই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম আমাকে আপনার ছাত্র হতেই হবে।আমার মনে আছে সে সময় আমার এক বন্ধুকে লেখা চিঠিতে আমি লিখেছিলাম--" অনেকেরই স্বপ্ন থাকে বাংলাদেশের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ার--কিন্তু আমি শাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে চাই। আমি মুহম্মদ জাফর ইকবালের পায়ের কাছে বসে মানুষের মত মানুষ হতে চাই।" আমার খুব সৌভাগ্য যে আপনার ছাত্র আমি হতে পেরেছিলাম, আক্ষরিক অর্থেই আপনার পায়ের কাছেও বসতে পেরেছিলাম--যদিও মানুষ হওয়া আমার এখনো অনেক বাকি!

স্যার, আপনার মনে আছে কিনা জানি না-- একবার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কাজে সিলেট এলেন। শহরের কাজ শেষ করে আমরা যারা পাঠচক্রের সাথে জড়িত ছিলাম তাদের সাথে দেখা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন । খবর পেয়ে আপনি,ইয়াসমিন ম্যাডাম, সুশান্ত স্যার, নাজমুল স্যার ছুটে এলেন শহীদ মিনারে। সায়ীদ স্যার সে সময় আমাদের বোঝাচ্ছিলেন শুধু বই পড়ে কিছু হবে না, কাজ করতে হবে-- এমনকি যুদ্ধ্ও করতে হবে জাফর ইকবাল যেমনটি করছেন। সত্যিই তো, নিজের আদর্শের জন্য, দেশের প্রতি ভালোবাসার জন্য মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়ে জয়ী হওয়ার এত সুন্দর উদাহরণ আর কয়টি আছে!

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আপনার সাথে ক্লাস করতে যেয়ে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনা-র কাজ করতে যেয়ে, বন্যাত্রাণের কাজ করতে যেয়ে, গণিত অলিম্পিয়াডের কাজ করতে যেয়ে অথবা স্রেফ ঘুরতে যেয়ে যে অসম্ভব সুন্দর স্মৃতিগুলো আমার হয়েছে সেগুলো নিয়ে আহমদ ছফার 'যদ্যপি আমার গুরু'-এর মত একটা বই লিখে ফেলি।কিন্তু গুরুত্বে-প্রভাবে আপনি প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক হয়ে উঠলেও (এবং হয়ত ছাড়িয়ে গেলেও)-- আমার যে ছফা হতে এখনও অনেক বাকি।

আমার এক বন্ধু একবার আমায় বলেছিল--"দোস্তো জানিস, জাফর স্যারকে আমার ভালো লাগে--এই কথাটা ভেবে আমার নিজেরই নিজেকে ভালো লাগে"।
আমি একটু ভেবে ওকে বলেছিলাম-- "আমারও "।
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ভালোবাসলে যে বাংলাদেশকেই ভালোবাসা হয়-- নাকি?

রাজিব মোস্তাফিজ

শাহাদাত হোসেন জুয়েল এর ছবি

রাজিব ভাই, আমার মনের কথাগুলো যেন এক নিমিষেই বলে দিলেন।আপনাকে ধন্যবাদ।
জাফর স্যারকে নিয়ে আমার একটা মজার স্মৃতি আছে।আমি যখন ২য় সেমেষ্টারে প্রথম ইন্টার ব্যাচ প্রোগ্রামিং কনটেষ্টে অংশগ্রহন করি এবং মোটামুটি ভালো রেজাণ্ট করি তখন তিনি আমাকে তার একটা বই দিয়েছিলেন।তাতে তার অটোগ্রাফ সহ লিখা ছিলো "প্রিয় জুয়েলকে প্রোগ্রামিং এর শুভেচ্ছা"।এটাই মনে হয় আমার জীবনের শ্রেষ্ট উপহার।

অতিথি লেখক এর ছবি

জুয়েল,
আমাদের সবারই কত মজার স্মৃতি আছে স্যারের সাথে --সেগুলো একসময় আমরা নিশ্চয়ই লিখব।ভালো থেকো।

রাজিব মোস্তাফিজ

অদৃশ্য মানব এর ছবি

রাজিব,
তোমার লেখাও খুব ভালো লাগলো। (তুমি করে বললাম, কারন ৯৯ সালে আমিও প্রথম বর্ষে এবং নটরডেমে দেঁতো হাসি )
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

অতিথি লেখক এর ছবি

তাইলে আমরা দোস্ত মানুষ!

বন্যরানা [অতিথি] এর ছবি

স্যুটেড-বুটেড কখনও তাঁকে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। পায়ে কেডস, বগলের নীচে বই, কাঁধে স্কুল ব্যাগ, পাশে ছাতা মাথায় ইয়াসমিন হক এর সাথে বিকেলে ডিপার্টমেন্ট থেকে বাসায় ফিরছেন- এরকম প্রতিদিনের দৃশ্য এখনো চোখে ভাসছে।

সাদাসিধা অথচ 'ড্যাম স্মার্ট' এই ভদ্রলোকের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এই মানুষটাকে যে কী পরিমাণ শ্রদ্ধা করি বলে বোঝানো যাবে না ...

শুভ জন্মদিন স্যার ...

[আমার ছোটভাইয়ের ডাক নাম মেকু, কারণ তাকে ছোটবেলায় ননস্টপ মেকু কাহিনী পড়ে শোনাতে হত ... সকাল-দুপুর-রাত সারাটা সময় তার পাশে পাশে কাউকে না কাউকে মেকু কাহিনী নিয়ে বসে থাকতে হইতো, কি যন্ত্রণা দেঁতো হাসি ]
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অদৃশ্য মানব এর ছবি

এ তো তাও আপনার ছোট ভাই, মেকু কাহিনী যখন প্রথম বের হয়, (সঠিক সাল মনে নেই) সম্ভবত আমি তখন কলেজে পড়ি। মা আমার জন্মদিনে এই বইটি দিয়েছিল। ভিতরে গুটি গুটি হরফে লেখা, "প্রিয় বাবুকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা। সারাজীবন এরকম বাবু হয়েই থাকো"...বইটি পড়ে যে কি মজা পেয়েছিলাম!
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

তারানা_শব্দ এর ছবি

ভাগ্যিস বাংলাদেশের মাটিতে বড় হয়েছিলাম!!! নাহলে এমন এক জন মানুষকে কি চ্রম মিস টাই না করতাম!!!

গত বছর বই মেলায় গিয়ে আমি তো হা করে তাকায় ছিলাম --- মনের সৌন্দর্যে মানুষটার বাহিরটাও এতো সুন্দর হয়!!!

জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আমার প্রিয় মানুষ ও লেখককে!!

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

একেক জনের কমেন্ট পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম বাপ্রে সব ভাল কথা গুলা দেখি এতাই বলে দিল!!! আমি এখন কি বলব!!!
কারণ তিনি এমন একজন মানুষ যাকে নিয়ে ভাল কিছু বললে নিজের কাছেই নিজেকে ভাল লাগে/ তার সম্পর্কে ভাল কিছু শুনতেও ভাল লাগে।

আমি একবার অটোগ্রাফ নিচচছিলাম তখন আমার নামের বানান লিখছিলেন বাপ্পী ঈ কার দেবার আগে আমি বললাম স্যার আমার ই কার হবে । এরপর ই কার দিয়েই লিখলেন ।

বোহেমিয়ান

বাকবাকুম [অতিথি] এর ছবি

শুভ জন্মদিন স্যার।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একবার বইমেলায় গিয়েছি। দেখলাম সো-কলড প্রতিথযশা লেখকরা বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলে বসে (পয়সা নিয়ে নিশ্চয়ই), অটোগ্রাফ বিক্রী করছেন। বিরক্তি নিয়ে ওদিকে পা না মাড়িয়ে ঘুরে ঘুরে বই দেখছিলাম। হঠাৎ দেখি আমার পাশে ডঃ জাফর ইকবাল। নিতান্তই সাধারন মানুষের মত বই দেখছেন!

তখন ছোট বেলায় পড়া আলিফ লায়লার গল্পগুলো মনে পড়ে গিয়েছিল - যেখান রাজা সাধারন প্রজা হয়ে ঘুরে বেড়াতেন সাধারন মানুষদের স্পর্শ পাবার জন্য।

ডঃ জাফর ইকবাল কে ঘিরে যে অন্ধ ভক্তি দেখা যায় সেটাকে আমার অনেক সময়ই অতিরিক্ত মনে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে এই রকম অতি সাধারন কিন্তু অসাধারন কিছু বিষয় চোখে পড়লে মানতে বাধ্য হই যে লোকটা অতি সাধারন ভাবেই অসাধারন।

আমি শুনেছি ডঃ জাফর ইকবাল ব্লগ পড়েন মাঝে মাঝে। সচলায়তন শুরুর দিকে আমরা উনাকে আমন্ত্রন জানিয়েও ছিলাম। ব্যস্ততার জন্য কিংবা সচলায়তনের কলেবর তখনও সমৃদ্ধ হয়নি বলেই হয়ত সেই আমন্ত্রন রক্ষা করা হয়ে ওঠেনি। যদি ডঃ জাফর ইকবাল এই ব্লগ পড়ে থাকেন তাহলে তাকে অনুরোধ করব সচলায়তনের আমন্ত্রন পুনরায় বিবেচনা করার।

জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইল ডঃ ইকবাল।

আশা করি আমরা যেন বিদেশ ছেড়ে আপনার মত ঘরে ফিরতে পারি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সম্ভবত ৯৫ সালে, একুশে বইমেলায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের স্টলে আমি তখন দোকানদার। একদিন সন্ধ্যার পরে ভীড় একটু কম। সায়্যিদ স্যার নিজেও স্টলে উপস্থিত, আড্ডা চলছে। এসময় একজন মানুষ পরিবার নিয়ে এসে স্যারকে সালাম দিলো, কুশল জিজ্ঞাসা করলো। জানালো যে স্যারকে অনেক পছন্দ করে।
এরকম কথা অনেকেই বলে, কিন্তু এই লোকটার কথাবার্তায় বেশ একটা ভাব ছিলো, স্যার জিজ্ঞেস করলো তার পরিচয়। তখন তিনি জানালেন যে তাঁর নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
এই নামটি ততদিনে বিখ্যাত হওয়ার পথে, কিন্তু লোকটি তখনো পর্দার আড়ালেই। বিদেশ থেকে বেশিদিন হয়নি দেশে এসেছেন।
তারপর স্যার তাঁকে আর ছাড়লেন না। সেখানেই আড্ডা শুরু হলো। আমরা মুগ্ধ দর্শক।
তাঁকে সেই প্রথম দেখা। সেই থেকে তাঁর ভক্ত হয়ে আছি।

শুভ জন্মদিন স্যার...

আমার তোলা দুটি ছবি উপহার দিলাম...
jafor-sir-2

jafor-sir-1
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত এর ছবি

জন্মদিনে সফদার আলির গরম জিলাপির শুভেচ্ছা

তুলিরেখা এর ছবি

এমন মানুষের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পেরেও ভালো লাগছে। ওঁর সম্পর্কে যত জানছি ততই ভালো লাগছে আর অবাক হচ্ছি। আমি প্রথমে তো জানতাম না, এক বন্ধু পাঠালো "ফোবিয়ানের যাত্রী" বলে কল্পবিজ্ঞানটি। পড়ে আমি আরো খুঁজতে লাগলাম, একে একে ওনার লেখা অনেক কল্পবিজ্ঞান গল্পই পড়লাম। ভালো লাগলো "কপোট্রনিক সুখদুঃখ", "অবনীল" "ওমিক্রনিক রূপান্তর" তারপরে একসময় পেলাম "রঙীন চশমা" নামে বইটি। আশ্চর্য সরল আর নিরাবেগ ভঙ্গীতে একটি সদ্য স্বাধীন দেশের তরুণ-তরুণীরা দেশকে কিভাবে গড়ে তুলছে, কত অভাবের ও বেদনার মধ্য দিয়েও কোনো অভিযোগ না করে তারা এগিয়ে যাচ্ছে যৌবনের সতেজ আশাবাদ ও ভালোবাসা সম্বল করে, তার এমন আশ্চর্য কাহিনি আমি আর কোথাও পাই নি। এমন কাহিনি মানুষকে দেয় বিরাট অনুপ্রেরণা। স্যালুট। অনেক অনেক স্যালুট।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অদৃশ্য মানব এর ছবি

রঙীন চশমার পিডিএফ চাই!
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

মেলিতা [অতিথি] এর ছবি

নিচের লিংক এ গিয়ে পিডিএফ এর আইকন এ ক্লিক করুন
http://zina.shopnilchat.com/?p=BOOKS/JAFAR%20IQBAL/RONGIN%20CHOSHMA

অদৃশ্য মানব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

আনাম এর ছবি

অসামান্য একটা বই। অনেক ধন্যবাদ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হে "রাজু ও আগুনালির ভূত", "কপোট্রনিক সুখ দুঃখ", "যারা বায়োবট" এবং অবশ্যি "আমার বন্ধু রাশেদ" এর স্রষ্টা ____ শুভ জন্মদিন।

_________________________________________

সেরিওজা

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শুভ জন্মদিন !



অজ্ঞাতবাস

মেলিতা [অতিথি] এর ছবি

শুভ জন্মদিন স্যার।

(আমার আজকের অবস্থান এর জন্য উনার অনেক অবদান।স্যার এর মুখস্ত বিষয়ক লেখা গুলো পড়ে আমি খুব অনুপ্রানিত হয়ে ছিলাম। সেজন্য এক এক টা অংক, এক এক টা থিওরি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম যতক্ষন না বুঝি। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক এ মেধা তালিকায় ছিলাম না ঠিকই, কিন্তু বুয়েট এ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম ৫০ জনেই ছিলাম। এখন কানাডায় এম এস করছি, এখনও না বুঝে কিছু পড়তে পারি না। জানি না লেখা টা খুব আত্ন বিজ্ঞআপন মুলক হয়ে গেলো কিনা, অনেকে আমাকে মেধাবী বলে, কিন্তু আমি জানি আসলে আমার বুনিয়াদ খুব পোক্ত, যার জন্য আমি উনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ )

অদৃশ্য মানব এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে খুব আনন্দ হলো হাসি
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

শুভ জন্মদিন স্যার।
অনেক দিন পর বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার বইটার কথা মনে হতেই ফিক করে হেসে ফেললাম। এত মজার বই খুব কমই পড়েছি। এক এক বই এক এক ধরনের। তাঁর সাইন্স ফিকশনের মধ্যে মানবিকতা এত চমৎকার ভাবে উঠে আসে যে পড়তে গেলেই বার বার চোখ ভিজে যায়। আর আমার বন্ধু রাশেদ!অসাধারণ বই।
স্যার এরকম আরও অনেক লেখা আপনার কাছে চাই।

অদৃশ্য মানব এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, নজরুল ভাই, অনার্য্য সঙ্গীতকে অনেক ধন্যবাদ ছবি শেয়ার করার জন্য!
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় জাফর স্যার,
আপনাকে প্রথম চিনি আমি যখন ক্লাশ সিক্সে পড়ি তখন, 'ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম' বইটি দিয়ে। তারপর যেখানে আপনার যতো লেখা পেয়েছি গোগ্রাসে গিলেছি। স্যার আপনার সাথে আমার এখন পর্যন্ত তিনবার সত্যিকারে দেখা হয়েছে। আপানার মনে থাকবে না জানি, কিন্তু ওই তিনটি দিন আমার জীবনের অন্যতম সেরা তিনটি দিন।

স্যার মনে আছে, একবার রাশান কালচার সেন্টারে 'ভেলেন্তিনা তেরেশকোভা'-এর জন্মদিন উপলক্ষে জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ হয়েছিলো? সেখানে জ্যোতির্বিদ্যা -এর উপরে কুইজ প্রতিযোগিতায় আপনার কাছ থেকে দ্বিতীয় পুরস্কারটি নিয়ে নিজেকে নোবেল বিজয়ী বিজয়ী মনে হয়েছিল।

আবার অষ্টম শ্রেণীতে থাকতে আরেকটা ওয়ার্কশপে আপনাকে ত্রিমাত্রিকতা এবং চতুর্মাত্রিকতা নিয়ে কি একটা হাবিজাবি প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি আমাকে উত্তরটা দিয়ে বলেছিলেন, 'কি, খুব সায়ন্স ফিকশান পড়া হচ্ছে না ?' আমার খুব মজা লেগেছিল।

স্যার, আপনি 'নিউরনে অনুরনন' বইটিতে আমাকে একবার লিখে দিয়েছিলেন, 'বিজনকে গণিতের শুভেচ্ছা'...স্যার আপনাকে জন্মদিনে আমার হৃদয়ের 'ভালবাসার' শুভেচ্ছা।

---নীল ভূত।

শেখ নজরুল এর ছবি

তিনি আমার অতিপ্রিয় একজন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

সাফি [অতিথি] এর ছবি

জাফর ইকবার স্যারের বইগুলো হাসিয়েছে কাঁদিয়েছে, দেশকে আরো ভালবাসতে শিখিয়েছে, বীরদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে - বলতে গেলে শেষ হবেনা। কিন্তু ওনার লেখার কারণেই কখনওই মনে হয়নি দূরের কেউ। এইভাবে মানুষের আপন হতে পারার গুণ খুব বেশী মানুষের নেই।
শুভ জন্মদিন

বর্ষা এর ছবি

শুভজন্মদিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

রেনেট [অতিথি] এর ছবি

একটা বাংলা নাটক খুঁজছি...মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা...ইন্তেখাব দিনার ছিল সেই নাটকে...কিন্তু নাম ভুলে গেছি...কেউ জানেন?

নাটকটি সম্ভবত ২০০৩-০৪ এর দিকের...ঈদের নাটক সম্ভবত...ইন্তেখাব দিনারের চাকরীর ইন্টারভিউ নিয়ে নাটক...দেখে বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম...কিন্তু নাম মনে নেই...এখন দেখতে ইচ্ছে করছে...

জেবতিক রাজিব হক [অতিথি] এর ছবি

নাটকটির নাম সম্ভবত 'ঘাস ফড়িং-এর গল্প/স্বপ্ন'।

রেনেট [অতিথি] এর ছবি

ঘাস ফড়িং এর স্বপ্ন দেখলাম...না এটা সেই নাটক না মন খারাপ... ঐ নাটকে দিনার মিয়া ভবিষ্যতবাণী করতে পারে এই টাইপের ব্যপার ছিল...শুরু থেকেই বেশ চমক...আর এই নাটক তো সুইসাইড নিয়া...

রাহিন হায়দার এর ছবি

শুভ জন্মদিন স্যার। ব্যক্তিগত পরিচয় নেই তবু কেন যেন আপনাকে খুব কাছের মানুষ মনে হয়।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

স্বাধীন এর ছবি

শুভ জন্মদিন!

আনাম এর ছবি

শুভ জন্মদিন

দৃশা এর ছবি

অনেক লেখকের বই আছে প্রথম পড়ে ভাল লাগলেও, পরে গিয়ে সেই লেখকের নামও আর শুনতে ইচ্ছা করে না।
এই মানুষটা সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত প্রিয় লেখকের স্থান দখল করে আছে। যখন থুরথুরে বুড়ি হয়ে যাবো তখনও মনে হয় তিনি এতোটাই প্রিয় থাকবেন একজন লেখক হিসেবে একজন মানুষ হিসেবে। যতবার আমি 'আমার বন্ধু রাশেদ' পড়ি ততবারই মনে হয় জাফর স্যারের বুকটাও নিশ্চয় এই বইটা লেখার সময় বার বারই ডুকরে কেঁদে উঠত। মোরশেদুল ইসলাম 'আমার বন্ধু রাশেদ' কে বড় পর্দায় আনতে যাচ্ছেন, শুধু এইটুকু মন থেকে আশা করি ছবিটা যেন বই এর মতই মনকাড়া হয়।

প্রিয় লেখককে, প্রিয় একজন মানুষকে জানাই জন্মদিনের অফুরান শুভেচ্ছা।

দৃশা

কনফুসিয়াস এর ছবি

শু জ দি টু মু জা ই। হাসি

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

৫ বছর পড়েছি উনার ডিপার্টমেন্টে... আমার দেখা সবচেয়ে সত লোক...

অনিন্দ্য এর ছবি

"সামাজিক 'প্রচলিত' নিয়ম ভেংগে ইবসেনের গনশত্রু'র নায়ক জন্ম নেন। " - নদী।

আসলেই তাই। উনি যা বলেন সেটা খুব ভাল ভাবে জেনেবুঝেই বলেন এবং তাকে ম্যাথ অলিম্পিয়াড এর কারনে কাছাকাছি দেখার সুযোগ হয়েছে। এমন মানুষ আছেন বলেই আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন আশার আলো দেখতে পাই,বরাহশিকারে যাবার কথা ভাবি।বিদেশ থেকে আরো অনেকেই উনার মত যোগ্য হয়ে ফিরে আসবেন,এই আশাই করি।

দ্রোহী এর ছবি

১.
বাংলা সিনেমার নায়ক জাফর ইকবাল আর কপোট্রনিক সুখ দুঃখ বইটির লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল যে একই মানুষ না এটা বুঝতে আমার বহুদিন লেগেছিল!

কপোট্রনিক সুখ দুঃখ বইটির লেখকের প্রতি মুগ্ধতা থেকে জাফর ইকবাল অভিনীত কত ছবি যে বাধ্য হয়ে গিলেছি তার ইয়ত্তা নেই।

২.
জন্মদিনে এই প্রবাদ প্রতিম মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাই।

হিমু এর ছবি

১ নাম্বার পড়ে হাসতে হাসতে সিরিয়াস গা ব্যথা করতেসে!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

তানভীর এর ছবি

তাও ভালো জসিমের ছবি দেখেন নাই। জাফর ইকবাল তো সে তুলনায় ফেরেশতা দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তাঁর শালি আমার জন্য একটু বেমানান হয়ে যাবে বলে "শালি প্রশ্ন" ব্যতিরেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম খুব প্রিয় এই মানুষটির জন্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আবির আনোয়ার এর ছবি

দ্রোহী দা রকস!!!!! ঃD
হাসতে হাসতে পেট ব্যথা করতেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বরারবরই একটু পিছিয়ে থাকা মানুষ। স্যারের জন্মদিনে সচলে পোস্ট আসছে আর আমি শুভেচ্ছা দিচ্ছি পরের দিন। হায়রে!!!
জাফর ইকবাল স্যারের লেখার সাথে প্রথম পরিচয় হয় 'দিপু নাম্বার টু' পড়ার মাধ্যমে। তখন অনেক ছোট ছিলাম তো তাই লেখকের নাম খেয়াল না করেই বইটা পড়ে মজা পেয়েছিলাম। দিপু নাম্বার টু এর সম্ভবত প্রথম অথবা দ্বিতীয় মুদ্রনের একটা কপি ছিলো সেটা {স্কুলবন্ধুদের কেউ একজন সেই বইটা নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয়নি ঃ( }। এরপরের ঘটনা একটু দেরীতে, ক্লাস সিক্সে থাকতে আমারই এক শ্রেণীসখার মুখ থেকে শুনি 'আমার বন্ধু রাশেদ', শেষ অংশটুকুতে আমার চোখের পানি আমার অজান্তেই গাল বেয়ে পড়ে কখন স্কুল শার্টটাকে ভিজিয়ে দিয়েছে জানিনা। তারপর থেকে শুরু হয় পাগলের মতো জাফর ইকবালের বই কেনা। নতুন বই না কিনে পুরোন বই কিনে নিতাম নিলক্ষেত এর পুরোন বই দোকানগুলো থেকে। আমার প্রথম কেনা জাফর ইকবালের বই- 'সিস্টেম এডিফাস' সাইফাইয়ের প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষন সৃষ্টি করে দেয়। 'যারা বায়োবোট' আমার এখন পর্যন্ত পড়া অন্যতম স্রেষ্ঠ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী।
আজো মনে পড়ে, ডিসেম্বর মাসের ঠান্ডা এক সকালে আজিমপুরের এক বইয়ের দোকানে মুগ্ধ এই আমি অদ্ভুত ভালোলাগা এক অনুভুতি নিয়ে পড়ে চলছিলাম 'কাঁচসমুদ্র'। পড়া শেষ করে বইটা শেলফে তুলে রাখতে রাখতে নিজের কাছে নিজে একটা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম- জীবনে কিছু পারি আর না পারি, তিনটা চলচিত্র বানাবো। 'আমার বন্ধু রাশেদ', 'কাঁচসমুদ্র' এবং 'যারা বায়োবোট'। প্রতিজ্ঞার আঙ্গিনা থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি কিন্ত মনের কোনে এখনো ডাক আসে- ইচ্ছেপুরণের দাবি নিয়ে...

(শ্রদ্ধেয় মোরশেদুল ইসলাম আমার বন্ধু রাশেদ নিয়ে ছবি তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমি প্রথমে একটু মন খারাপ করে তারপর আবার খুশি হয়ে উঠেছিলাম। 'দূরত্ব' দেখেই বুঝে গেছি তিনি পারবেন এই কাহিনীর সফল রুপদান করতে।)

পুনশ্চঃ আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে মনে হয়েছিল আমিও বুঝি আরেকজন রাশেদ। কিন্তু পরে বুঝে গিয়েছি রাশেদরা আমাদের মতো বুড়োআংগুলচোষা অথর্ব হয় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমার ভিতরের রাশেদ আমাকে ধিক্কার জানিয়ে যাবে প্রতি মুহুর্তে। এ ধিক্কার আমার প্রাপ্য...

মনজুর এলাহী

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

২০০১ সালে আমার সাথে আর যারা শাবির কম্পুতে ভর্তি হয়েছিল তাদের একটা বড় অংশ ছিল তার ভক্ত। আমি তখন পর্যন্ত তার কোন বই পড়িনাই। চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদের ছোট মরিচের ঝাল বেশি টাইপ সদস্য হিসেবে স্টিফেন হকিংয়ের ভুল ধরার ফাকে ফাকে সায়েন্স ফিকশন লেখক দের নিজের হাটুর সমান এবং সমাজের মেধাগত অবক্ষয়ের কারণ ভাবতাম।

ভর্তি হবার পড় অনেক সময় ভাল লেগেছে, অনেক সময় টক্কর লেগেছে (পরীক্ষা পিছানো নিয়ে), কিন্তু জানি ও মানি - উনি অত্যন্ত মেধাবী, ততোধিক সত ও একই সাথে বুদ্ধিমান। রাগ হলেও খারাপ কখনও লাগেনি।

উনার সাথে কোন কাজ না থাকলে ওনার মতো বোরিং মানুষ পৃথিবীতে আর নাই। সেটা পুষিয়ে দিয়েছে ইয়াসমিন ম্যাডাম।

আমাকে টাকা দিলেও আমি ট্রেনে জাফর স্যারের পাশে বসে যাব না। আমি টাকা দিয়ে ইয়াসমিন ম্যাডামের পাশের সিটে বসে যেতে রাজি আছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভদ্রলোকের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার কখনো পরিচিত হওয়ার সুযোগ না হলেও বাংলাদেশের যে কজন বুদ্ধিজীবিকে আমি অন্তর থেকে পছন্দ করি, তার মধ্যে ওনার স্থান এক নাম্বারে।

প্রিয় মানুষটির জন্মদিনে পৃথিবীর সমস্ত লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন স্যার!

র হাসান

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।