বাংলাদেশী সিনেমার এই বেহাল অবস্থা কেন?

অদৃশ্য মানব এর ছবি
লিখেছেন অদৃশ্য মানব [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৮/০৬/২০০৯ - ৬:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাহ, কোন নির্দিষ্ট বাংলা সিনেমা দেখে এই লেখা লিখতে বসিনি। যখনই কোন ভালো মুভি দেখি (ইংরেজি কিংবা হিন্দি) তখনই এই চিন্তাটা আরো একবার আমার মাথায় এসে গিজগিজ করতে থাকে।

কোন একটা জাতির সংস্কৃতির পরিচয় নাকি পাওয়া যায় তার শিল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ইত্যাদি দেখে। আমার মতে, বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য বেশ উচুমানের। বাংলাদেশের নাটকও ফেলে দেয়ার মত কিছু নয়, বিশেষ করে মঞ্চ নাটকের মান তো খুব, খুব ভালো। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, আমাদের দেশে গুণী কাহিনীকার, অভিনেতার অভাব নেই। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের সিনেমার এই বেহাল দশা।

কেন?

মূল ধারার বাংলা সিনেমার কথা বলছি। আমরা নাটকে, গল্পে, উপন্যাসে, কবিতায় তো খুব একটা পিছিয়ে নেই। তারপরও মানসম্পন্ন বাংলা সিনেমা সেই হারে উঠে আসছে না কেন? ভালো কোন সিনেমা বানাতে গিয়ে হয় আমরা বানিয়ে ফেলছি টেলিফিল্ম, নাহয় ৩ ঘন্টার নাটক। অশ্লীলতা বাদ দিয়ে সুস্থ ধারার কোন সিনেমা বছরে একটা হলেই সেটা নিয়েই মাতামাতি করছি, আদতে সেটি যতই সাধারণ মানের সিনেমা হোক না কেন...সেটি সবার প্রশংসা পেয়ে যাচ্ছে শুধু মাত্র সুস্থ ধারার সিনেমা বলে। (আমি জানি কথাটা ঠিকভাবে বোঝাতে পারিনি)

অন এভারেজ, বাংলাদেশের সিনেমা রুচিসম্পন্ন মানুষদের টার্গেট করে বানানো হয় বলে আমার মনে হয় না। পত্র পত্রিকা, গল্প উপন্যাস, টিভি, নাটকে যদি সুস্থ বিনোদন চর্চিত হতে পারে মূলধারার ভিতরে থেকেই, এবং একই সাথে লাভবান হতে পারে, তবে চলচ্চিত্র কেন নয়?

এমন না যে বাংলাদেশে ভালো সিনেমা দেখার মানুষ নেই। চাহিদা আছে, চাহিদা পূরণ করার যোগ্যতা সম্পন্ন নির্মাতা আছে, তারপরও দেখে মনে রাখার মত সিনেমা তৈরী হচ্ছে না, বিষয়টি আমার কাছে রহস্যময় ঠেকে।

ভালো সিনেমা তৈরি না হওয়ার পিছনের কারণ কি তাহলে অর্থের অভাব? তাহলে অন্য যারা সারাবছর নিম্নমানের সিনেমা তৈরি করছে, তারা টাকা পাচ্ছে কোথায়? হয়তো বলবেন, নিম্নমানের সিনেমার বাজেটও কম থাকে। কিন্তু শুধুমাত্র টাকার কারনে বাংলাদেশে ভালো সিনেমা তৈরী হচ্ছে না, এটা কেন জানি বিশ্বাস হতে মন চায় না।

তাহলে সমস্যা কোথায়?

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, একটা ভালো বই, বা ভালো গান বা ভালো নাটক দিয়ে মানুষের মনে যত না দাগ ফেলা যায়, একটি খুবই ভালো সিনেমা তারও চেয়ে তীব্রভাবে মানুষের মনের মধ্যে দাগ কাটতে পারে। আর তাই, চারপাশে চেয়ে যখন দেখি দাগ কাটার মত তেমন কোন সিনেমা আমাদের দেশে তৈরী হচ্ছে না, বা হলেও সেটা আশরাফুলের একটা ভালো ইনিংসের মত, যার জন্য বছর, দুই বছর অপেক্ষা করে থাকতে হয়, তখন খুব আফসোস হয়।

একটা ভালো সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখি প্রায়ই। জানি না, স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে কিনা।


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

আসলেই চিন্তার বিষয়। ডিজিটাল ক্যামেরায় করা সিনেমাকে স্বীকৃতি দেয়া হয় না- এটা একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু তখনই মনে হয়- ৩৫ মিলিমিটারেও তো ভালো সিনেমা হচ্ছে না।
তবে মনে রাখার মত সিনেমা যে একেবারে হয়নি তা না। তারেক মাসুদের অন্তর্যাত্রা মনে রাখার মতো। মাটির ময়নার কিছু দিক খুব ভালো ছিল। মেকিং এর দিক দিয়ে তারেক মাসুদ যথেষ্ট মান অর্জন করতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি কোন সাহসী উদ্যোগ নিচ্ছেন না। বৈচিত্র্য দেখতে পাচ্ছি না।

চাহিদা আছে, কিন্তু সিনেমা নেই- এই যে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এটা স্বভাবতই একটা পরিবর্তন নিয়ে আসবে। সেই পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছি।

অদৃশ্য মানব এর ছবি

একেবারেই যে ভালো হচ্ছে না, তা কিন্তু বলিনি। কিন্তু বছরে একটা মোটামুটি ভালো সিনেমা, বাকি সব অখাদ্য, সেজায়গাতেই আমার আপত্তি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

প্রকৃতিপ্রেমিক(অফলাইনে) এর ছবি

আমার মুভি ক্যারিয়ার ভালোনা। দেখার অভিজ্ঞতাও বেশী নয়। তাই কমেন্ট যা করবো তার ব্যপ্তি খুবই সীমিত।

বাংলাদেশের মুভি নিয়ে অনেক কথাই হয়। সবই খারাপ, কয়েকটা বাদে। আগে ভালো ছবি হতো, এটা সেটা কতো কি। আমার ভুল ভাঙলো কয়দিন আগে। বাসায় অলস বসে থাকার চেয়ে ধার করে কয়েকটা হলিউডের মুভি এনে দেখলাম। (১) আয়রনম্যান (২) দ্য হ্যাপেনিংস (৩) হ্যানকক (৪) এন্জেলিনার একটা মুভি (নাম মনে করতে পারছিনা)

মন্তব্য: হলিউডের গাঁজাখুরি এই ছবিগুলো আমাদের বাংলা মুভির চেয়ে ঢের খারাপ। বাংলা মুভি একটা নিখাদ বিনোদন। আর হলিউডের ছবি দেখে মেজাজ খারাপ হয়। হয়তোবা আশা বেশী থাকে, তাই।

দ্রোহী এর ছবি

অ্যাঞ্জেলিনার মুভিটার নাম "ওয়ান্টেড"। দেঁতো হাসি

রেনেট এর ছবি

আজকে 'up' দেখতে যাব ইনশাল্লাহ। দেখছেন নাকি কেউ? কেমন?
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

দ্রোহী এর ছবি

গতকাল দেখেছি। Wall-E এর অনেকদিন পর আরেকটা মুভি ভালো লেগেছে। Wall-E যদি ১০ এ ১০ পায় তাহলে UP কে আমি ১০ এ ৯ দিবো।

প্রকৃতিপ্রেমিক(অফলাইনে) এর ছবি

আপনি তো দেখছি মহাপন্ডিত! শুধু নায়িকার নাম দিয়েই কিভাবে ঠিক ঠিক ছবিটার নাম বললেন?

দ্রোহী এর ছবি

দেঁতো হাসি

পিপিদা, আপনার শাস্তি হওয়া উচিৎ ওয়ান্টেডের নাম ভুলে যাবার কারণে। এই ধরণের ছবি সারাজীবনে দুই/চারটার বেশি দেখার সুযোগ কারো হবার কথা না।

অদৃশ্য মানব এর ছবি

ওয়ান্টেড এর উপর সবাই ক্ষ্যাপা কেন? বিষয় কি?

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাই নাকি? অল্পস্বল্প দেখার অভিজ্ঞতায় এপর্যন্ত স্টিফেন সিগাল-এর "আন্ডার সিজ" এর মতো ছবি একটাও দেখিনি। ওয়ান্টেড আমার তালিকায় মোস্ট আনওয়ান্টেড থাকবে দেঁতো হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

upকে আমি ১০ এ ১০ দিয়া দিসি.........

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অদৃশ্য মানব এর ছবি

তাহলে তো দেখতেই হবে হাসি

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

জি.এম.তানিম এর ছবি

শুধুমাত্র টাকার কারণে ভালো মুভি হচ্ছে না এটা সত্য না। একটা নিম্নমানের মূলধারার ছবি যে বাজেটে তৈরি হয়, সেই বাজেটে অবশ্যই মোটামুটি মানের ভালো ছবি তৈরি সম্ভব। বাজেট কম থাকলে আমাদের এখন ম্যাট্রিক্স তৈরির দরকার নেই। ভালো গল্পের, ভালো অভিনয়শৈল্পির চলচ্চিত্র তো বানানো যেতেই পারে।

বর্তমানেও ভালো কাজ হচ্ছে। নির্ঝরের আহা ভালো লেগেছিল।তারেক মাসুদের কাজ অনেক ভালো লাগে। ফারুকীর মেড ইন বাংলাদেশ হতাশ করলেও থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার এর প্রোমো দেখে অনেকটাই আশাবাদী। মুরাদ পারভেজ এর চন্দ্রগ্রহণ প্রচলিত বাণিজ্যিক ছবির অনেক উপাদানে তৈরি হলেও সীমিত সম্পদ এর ইউটিলাইজেশন এবং কারিগরী মুন্সিয়ানা চোখে পড়ার মতন।

আরেকটা ব্যাপার। অশ্লীলতামুক্ত ছবি মানেই যে ভালো ছবি নয়, এটা অনেক পৃষ্ঠপোষকরাই জানেন বলে মনে হয় না। রাবেয়া খাতুন এর কিছু অসামান্য শিল্পকর্মের বারোটা বাজিয়েছেন এমনই কিছু নির্মাতা।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অদৃশ্য মানব এর ছবি

অশ্লীলতামুক্ত ছবি মানেই যে ভালো ছবি নয়, এটা অনেক পৃষ্ঠপোষকরাই জানেন বলে মনে হয় না।

সেটাই

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

সাইফ এর ছবি

আমার ধারনা, যারা নিম্নমানের ছবি বানাচ্ছেন, তাদের রুচির অভাব বলেই তারা ভালো কিছু বানাচ্চেন না, আর যাদের ক্ষমতা আছেন তাদের ইচ্ছার অভাবে এধরনের ঘটনা ঘটছে, ভাল ছবি হলে তা অবশ্যই চলবে, অতীতে চলেছে, কেউ আগ্রহ নিয়ে বানাতে চান না কেন, সেটা জানা গেলে ভাল হত

অদৃশ্য মানব এর ছবি

সেটাই...সিনেমা বানানো তো কোন নোংরা কাজ না...তাও কেউ করতে চায় না কেন?

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

প্রযোজক প্রকাশক হয়ে গেলে-ভালো ছবি কেমনে হবে???

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

অদৃশ্য মানব এর ছবি

রশীদ ভাই সিনেমা বানাবেন নাকি? চোখ টিপি

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

স্পর্শ এর ছবি

সিনেমা নিয়ে হতাশ। আজকাল বাংলা নাটক দেখেও হতাশ। একুশেটিভির আমলে দুর্দান্ত নাটক হতো অনেক। বিটিভি এবং একুশেটিভি দুটোতেই।

গত ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রকাশ হওয়া বিশ্বমানের কোনো উপন্যাস এর নাম কি আমাকে বলবেন কেউ? বড়ো কলেবরের কিছু লেখার দম মনে হয় দেশের কোনো লেখকের নেই এখন আর। মন খারাপ
'ক্রীতদাসের হাসি'র মতো তীব্র কিছুও কাওকে লিখতে দেখিনা। এমন না যে আমাদের এখন আর কোনো দহন নেই। লেখকদের নিয়ে হতাশ। আমাদের লেখকরা সব ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছে(নাকি গেছে ?)


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অদৃশ্য মানব এর ছবি

বাংলা টিভি নাটক যে বেশিরভাগই ভালো, তা না। কিন্তু নাটকের গড় মান সিনেমার গড় মানের চেয়ে তো ঢের ভালো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

# অতি সাঙ্ঘাতিক কথা বলেছেন!

# নাটক নিয়ে একটা স্বস্তির ভাব ছিল আগে। এখন সেটা কমেছে।

# স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্বস্তিকর অবস্থানে পৌছানোর চেষ্টায় ব্যস্ত।

# লেখার বিষয়ে আপনার কথাটা ১০০% খাঁটি। তবে আমার মনে হয় এটা একটা সাইনুসয়ডাল রীতি, সামনে হয়তো ভালো সময় আসছে।

# সিনেমা নিয়ে বলার কিছু নেই। সিনেমা দেখি কেবল হাসির একট রিভিউ লিখতে ইচ্ছে করলেই। তাওও টেনে টেনে। আর কিছু না হোক ঢালিউডের ছবিগুলো হাসির জন্য ভালো খোরাক হাসি

দ্রোহী এর ছবি

আমি টিভি দেখি না। প্রতি সপ্তাহে হলে গিয়ে কমপক্ষে একটা ছবি দেখি। প্রতি রাতে আহারান্তে আমি দুই ঘন্টা কোন কাজ করি না। সে সময়টুকুতে আমি শুয়ে শুয়ে একটা সিনেমা দেখি। সেই হিসাবে আমি বছরে কমপক্ষে ৪০০ ছবি দেখি। দেঁতো হাসি

আমি বাংলা সিনেমা সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে রাজী না। আমি বড় হয়েছি বাংলা সিনেমা ভালোবেসে। দেঁতো হাসি

অনেকগুলো বাংলা সিনেমা দেখেছি যেগুলো আমার জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখে গেছে। এখানে সেরা তিনটির নামোল্লেখ করলাম:

১. বিস্ফোরণ - জসিম, রোজিনা। যশোরে থাকতাম তখন। ১৯৮৮/৮৯ সালের কথা। সিনেমার এক পর্যায়ে তুমুল মারামারি চলছে। বেরসিক আমি হিসুর চাপে কাবু। এদিকে এমন উত্তেজনাকর মুহুর্তে কেউ আমাকে হিসু করাতে নিয়ে যেতে রাজী না। কী আর করা! হলের মেঝের কার্পেটেই কাজ সেরেছিলাম সেদিন। দেঁতো হাসি

২. বজ্রমুষ্টি - ফাইভ প্যাটার্ণ ড্রাগন ক্লস এর বাংলা সংস্করণ। ছবির শেষ দৃশ্যে নায়ক রুবেল ভিলেইন ড্যানি সিডাকের বিচি গলিয়ে দেয় বজ্রমুষ্টির মাধ্যমে। ছবি দেখে প্ররোচিত হয়ে আমিও একদিন দিসিলাম একজনরে বজ্রমুষ্টি মেরে।

৩. সত্যমিথ্যা - আলমগীর, শাবানা। ছবিটা দেখেই শিখেছিলাম বাচ্চারা যখন গান গায় তখন রুনা লায়লার কন্ঠ বের হয়। বাচ্চাকালে রুনা লায়লার কন্ঠ অনুকরণ করতে গিয়ে তাই আমার আর সকন্ঠে কিছু গাওয়া হয়নি। এই ছবি দেখে বাসায় এসে মাকে বলেছিলাম, "মা, আমি শাবানারে বিয়া করুম।"

কেউ যদি অনলাইনে বাংলা বানিজ্যিক ধারার ছবি দেখতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। http://www.banglamovieonline.com/

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

অদৃশ্য মানব এর ছবি

দুয়েকটা ভালো-মন্দ ছবির নাম দেননা দ্রোহীভাই দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

রায়হান আবীর এর ছবি

শাবনুর, রিয়াজ অভিনীত "মন বসেনা পড়ার টেবিলে" শীর্ষক সিনেমাটা খুবি দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু পরীক্ষার জন্য মিস্কর্ছি। অনলাইনে তন্ন তন্ন খুঁজেও পাইলাম না। আপনার চোখ টিপি সাইটেও নাই। সন্ধান আছে দ্রোহীদা?

তানবীরা এর ছবি

দ্রোহীদা, আমিও প্রচুর বাজে হিন্দী মুভি দেখেছি, বুয়াদের সাথে বসে বসে। ছোটবেলায় মনে মনে আমি কতোদিন শ্রীদেবীকে ডিলিট দিয়ে জিতেন্দ্র এর সাথে নেচেছি। আমার প্রথম ক্রাশ "জিতেন্দ্র"।

তবে যে কথা কইতে চাচ্ছিলাম, পানির ধর্ম গড়ানো, যেদিকে ঢালু পাবে সেদিকে গড়াবেই। শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা যদি রাজনীতি, সিনেমা এগুলো না জয়েন করে, জায়গাতো শূন্য থাকবে না, তখন হেজিপেজি তা দখল করবেই। শুধু তারেক মাসুদ আর সারুকী ধরে বসে থাকলে চলবে? আরো নতুন ব্রেন চাই, নয় কি?
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অদৃশ্য মানব এর ছবি

রাজনীতির ব্যাপারটা নাহয় বুঝলাম, অনেক গোলমেলে, নোংরা দেখে কেউ জড়াতে চায় না। কিন্তু সিনেমা বানাবে, এতে না করার কি আছে? চিন্তিত

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

জি.এম.তানিম এর ছবি

সিনেমা তৈরির ভেতরেও অনেক রাজনীতি লুকিয়ে থাকে। পড়েছিলাম প্রযোজক পরিচালক সমিতির সদস্য হতে হয়, সেখানে উঁচু চাঁদা দেওয়া লাগে। প্রতিকূল পরিবেশে ভাল ব্যাক আপ ছাড়া টিকে থাকা অনেক কষ্টকর।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তানবীরা আপুর কথায় সহমত। স্পর্শের মন্তব্য খুব পছন্দ হয়েছে। দ্রোহী ভাইয়ের সাথে হিসু করার সাল মিলে গেছে, বয়স না। চোখ টিপি

ফোকাস গ্রুপ বদলাতে হবে।

অদৃশ্য মানব এর ছবি

হিসু তো আমি এখনও করি...তবে টয়লেটে গিয়ে হো হো হো

--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয়, বাংলাদেশে সিনেমার দর্শক দুই ভাগ হয়ে গেছে। একভাগ পর্নোঘেঁষা সিনেমা দেখে খুশি। আরেকভাগ জানে না তারা কী দেখতে চায়, কিন্তু যা-ই দেখে তা নিয়েই হতাশ হয়। কারণ তাদের অন্যান্য দেশের সিনেমা দেখা চোখ একটা কিছু আশা করতে শেখায় তাদের।

আমার মনে হয় খুব খুব সাধারণ প্রস্তুতি নিয়ে কারো শুরু করা উচিত, একেবারেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সিনেমা বানানো। জাঁ লুক গোদার কিংবা স্ট্যানলি কুবরিক হওয়ার আশায় কেউ এই পথে হেঁটে বাংলাদেশে সুবিধা করতে পারবে না। গোদার আর কুবরিকের দেশের দর্শকের বাস্তবতা আলাদা। বাংলাদেশের সিনেমাহতাশ দর্শককে হলে টানতে না পারলে ভালো সিনেমা হবে কিভাবে?

আর প্লটেও কোন বৈচিত্র্য নাই। বাণিজ্যিক ছবিতে সেই ঘাড়ে ধরে করানো প্রেম, তার ফাঁকে ফাঁকে পর্নোগ্রাফিক উপাদান, আর "অবাণিজ্যিক" ছবিতে নতুন কিছু করার প্রাণান্তকর ব্যর্থ চেষ্টা। এর ব্যতিক্রম হিসেবে যে ছবিগুলি উঠে আসে, সেগুলি হাতে গোণা। ওগুলিকে সম্বল করে ইন্ডাস্ট্রির সুনাম গাওয়া যায় না। "রুচিশীল" নির্মাতা হাত বাড়ায় কিছু পুরনো ভাঁড়ারেই, মুক্তিযুদ্ধের ত্রুটিপূর্ণ দৃশ্যায়ন, নরনারীর সম্পর্কের জটিলতা ... ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতিদিনের জীবনে কতো রূদ্ধশ্বাস সিনেম্যাটিক উপাদান, সেগুলো নিয়ে কেউ প্লট লেখেন না। মানুষকে অনুপ্রাণিত করার মতো সিনেমা খুব কমই নির্মিত হয়, যা বানানো হয় তা পুকুরে ক্ষণিক ঢিল, একটু পরই তার রেশ হারিয়ে ফুরিয়ে যায়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি এক উদীয়মান, সব্যসাচী সুলেখককে চিনি যিনি একবার বিশাল এক চিত্রনাট্য রচনায় হাত দিয়েছিলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাহিনীর মূল অবয়ব দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, চরিত্রের নাম দেওয়া হয়েছিল, এবং কিছু দৃশ্য লেখাও হয়েছিল। দুর্দান্ত রকম হাস্যরসে ভরা সেই চিত্রনাট্যের কিছু নজির এখনও আছে অধমের কাছে। চোখ টিপি

... [অতিথি] এর ছবি

উদীয়মান, সব্যসাচী সুলেখককে চেনা চেনা লাগে।
উনার কি লেখালেখি করার ফাঁকে ফাঁকে চা খাওয়ার বদঅভ্যাস আছে ? হাসি

রেনেট এর ছবি

গত ১০/১২ বছরে একটা বাংলা সিনেমাই ভালো লেগেছে, তা হলো হঠাৎ বৃষ্টি (যাও আবার যৌথ প্রযোজনার)
শ্রাবণ মেঘের দিনও ভালো লেগেছিল, কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের কাছ থেকে ভালো কিছু আর আশা করি না।
আমার স্কুলের এক বন্ধু তানিম একটা ডিজিটাল ফিল্ম বানাচ্ছে শুনছি (জয়া আহসান, হুমায়ুন ফরিদী আর কে কে জানি)...জানি না কেমন হবে।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।