সে অনেক চাঁদ আগেকার কথা। রুশদেশের এক উপত্যকায় ছিল এক ছোট্ট গ্রাম। আর সেই গ্রামে ছিল এক ছোট্ট মেয়ে। সেথায় সবাই তাকে ডাকত কালিস্কি বলে। তিনকূলে কেউ ছিল না মেয়েটির, তবে তা নিয়ে গ্রামের কারোরই ভাবনা ছিল না – সূর্যের মত তেজী ছিল সে, আর ছিল ঝর্ণার মত উচ্ছ্বল। ওইটুকু বয়সে সে একাই নিজের চুল বাঁধতে পারত, জল আনতে পারত, রুটি গড়তে পারত।
একদিন গ্রাম থেকে বেরিয়ে মেয়েটি নদীতে জল আনতে গেছে, এমন সময় দেখে, নদীতে ভেসে যাচ্ছে একটা হাঁড়ি, তার ভিতরে কী যেন নড়ে চড়ে। সাঁতার কেটে গিয়ে মেয়ে তুলে আনল হাঁড়িটা, দেখে, তার ভেতরে শুয়ে আছে ছোট্ট একটা বাচ্চা! বাচ্চাটা নড়ে চড়ে, আর তার দিকে তাকিয়ে কেবল হাসে। তার চুলের মতই ঘন কালো রঙ বাচ্চাটার, এমন আগে গ্রামের কেউ কখনও দেখে নি।
একদৌড়ে তাকে নিয়ে গ্রামে ফিরল সে, গ্রামের ছেলে-বুড়ো-বৌ-মেয়ে সবাই ভিড় করে দেখতে এল। কিন্তু বাচ্চাটার দেখভালের ভার নিতে কেউই রাজি হল না। তখন গ্রামের মুরুব্বি বললেন, ওকে যখন তুই কুড়িয়ে পেয়েছিস, তখন তুই-ই ওকে রাখ না ঘরে, তোর ভায়ের মতন করে পেলেপুষে বড় কর। মেয়েটির খুব পছন্দ হল কথাটা, কোলে করে ঘরে নিয়ে এল বাচ্চাটাকে, গরম এক বাটি হরিণের দুধ খেতে দিল তার নতুন ভাইকে।
*********************
দিন যায়, যায় বছর; ভাইবোনে আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠে। ছেলেটি এখন হয়ে উঠেছে এক লম্বাচওড়া জওয়ান – কাঠ কাটতে, বলগা হরিণের স্লেজ চালাতে, ঘর বানাতে তার জুড়ি নেই। শিকার করতে বেরিয়ে ভাল্লুক মেরে আনতে পারে সহজেই। তবুও তার মনে কষ্ট, গ্রামের কোনো মেয়েই তার সঙ্গে গল্পসল্প করে না। তার দিদিকে গিয়ে বলে সে কথা। বুদ্ধিমতি দিদি বলে, ‘শোন ভাই, তোর জন্য কন্যে আছে সে এখানে নয়, সে অপেক্ষা করে আছে সেই দূর দক্ষিণে। তুই দেশ সফরে বেরিয়ে পড়, ভাগ্যকে নিজে যাচাই করে দেখ।’
দূর যাত্রায় ভাইয়ের জন্য সে গড়ে দেয় এক থলি রুটি। বলে, ‘কখনও যদি বিপদে পড়িস, মনে রাখবি, শক্তি নয়, বুদ্ধি দিয়ে কাজ করবি।’ রওনা হওয়ার আগে ভাই বার্চ গাছের ডাল কেটে একটা লাঠি বানিয়ে নেয়। তারপর সোজা সড়ক ধরে রওনা হয়ে পড়ে।
*********************
এমনি করে হাঁটতে লাগল সে, গেল অনেক দূর নাকি অল্প দূর, এসে পৌঁছালো এক টিলার পাদদেশে, এক নির্জন জায়গায়। দুই ধারে ঘন জঙ্গল, মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এক হিমশীতল স্রোত। নদীর উপরে পাথরের সেতু ধরে যেই না অর্ধেকটা গিয়েছে, অমনি জল থেকে হুস করে ভেসে উঠল এক তিন-মুণ্ডুওয়ালা ড্রাগন।
ড্রাগন বলে, ‘এই ছেলে, তুই কোথায় যাস? এই নদী পেরোতে হলে আমাকে নজরানা দিতে হয়, তুই না দিয়েই পেরোচ্ছিস যে বড়?’
সে বলে, ‘নজরানা কী দেব? আমার কাছে রুটি আছে, দিদি গড়ে দিয়েছে, রুটি খাবে?’
হা হা করে হেসে ওঠে ড্রাগন, বলে, ‘বোকা ছেলে, ড্রাগনেরা কি রুটি খায়? মাংস চাই আমার; তোর কাছে মাংস না থাকে, তোর বাঁ হাত থেকে খানিকটা মাংস কেটে দে আমায়!’
ছেলেটি বলে, ‘তা কী করে দেব? আমার কাছে তো ছুরি নেই!’
আবারও জোরে হেসে ওঠে ড্রাগন, বলে, ‘ছোঃ, কিচ্ছুটি না নিয়ে তুই দেশভ্রমণে বেরিয়েছিস? এইখানে চুপ করে দাঁড়া, আমি তরোয়াল এনে দিচ্ছি, সেই দিয়ে কেটে দে আমায়।’
এই বলে তাকে সেতুর মাঝে দাঁড় করিয়ে উড়ে যায় ড্রাগন।
দিদির উপদেশ মনে পড়ে যায় তার, সে অমনি এক ছুটে নেমে আসে সেতু থেকে, দৌড়ে উঠে পড়ে টিলার মাথায়। উপরে পৌঁছে দেখে, একখণ্ড বড় পাথর চকচক করছে, আর তার গায়ে খোদাই করা একখানা মন্তর। সেইটা পড়তে শুরু করে সে –
সিভ্কা-বুর্কা
জাদুকা লেড়কা
চেকনাই ঘোড়া
সামনে এসে দাঁড়া।
অমনই বিশাল পাখা ঝটপট করতে করতে তার সামনে এসে দাঁড়ায় একটা মস্ত বড় সাদা ঘোড়া, পিঠে তার সোনার জিন, রুপোর রেকাব। মানুষের গলায় সে বলে, ‘তুমি ভালো ছেলে, তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে, তোমায় আমি সওয়ারি নিতে পারি। বলো, কোথায় যেতে চাও?’
জাদু ঘোড়ার পিঠে চেপে সে টিলা থেকে নেমে আসে, দেখে, একটা ধারালো ঝকমকে তলোয়ার সেতুটার উপর রেখে বোকা ড্রাগন তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে চারিদিকে। চুপিচুপি গিয়ে সে সেটাকে তুলে নেয়, তারপর ড্রাগনের মাথার কাছে উড়ে গিয়ে বসায় এক কোপ। এমনি করে তিনটে মাথাই কেটে ফেলে ড্রাগনের, নদীতে ভাসিয়ে দেয়। তারপর ঘোড়ার পিঠে চেপেই উড়ে যায় দক্ষিণের পানে।
*********************
তাকে পিঠে নিয়ে জাদু ঘোড়া ডিঙিয়ে যায় পাহাড়-পর্বত, পেরিয়ে যায় নদ-নদী। চোখের নিমেষেই তারা হিমালয় পেরিয়ে পৌঁছে যায় ভারতের কোনো এক মস্ত বড় শহরে, গিয়ে নামে ঠিক সোনারুপো দিয়ে বাঁধানো রাজপ্রাসাদের সামনে। রাজা তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে আখরোট খেতে ব্যস্ত, সিভ্কা-বুর্কা’কে দেখে দারুণ হিংসা হয় তার, হুকুম দেয়, ‘এই, কে আছিস, বন্দী কর এই ছেলেটাকে, আর ওই চমৎকার ঘোড়াটাকে ধরে নিয়ে আয় আমার আস্তাবলে!’
কিন্তু জাদু তরবারি দিয়ে সব সৈন্যকেই হারিয়ে দেয় সে, সেনাপতিরা কোনোক্রমে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচে। ভয় পেয়ে যায় রাজা, তাকে সসম্মানে প্রাসাদে নিয়ে আসার হুকুম দেয়।
রাজসভায় গিয়ে নিজের পরিচয় দেয় সে, বলে, দিদির আদেশে আমি দূর দেশ থেকে এসেছি, আমার জন্য কন্যে খুঁজতে। তার বীরত্ব দেখে খুশি হয় রাজা, তাকে বলে, ‘তবে তোমার হাতেই আমার মেয়েকে দান করব, তুমি বীরপুরুষ, আমার প্রধান সেনাপতি হবে।’
সে খুশি মনেই রাজি হয়ে যায়। রাজা তাকে প্রাসাদের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ভালো খাবার-দাবার আর নতুন পোশাক দিতে বলে, বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হুকুম দেয়।
খানাপিনার পর রাজপ্রাসাদ ঘুরে দেখতে বের হয় সে, নতুন সেনাপতিকে দেখে সান্ত্রীসেপাইরা সবাই বারবার কুর্নিশ করে। ঘুরতে ঘুরতে একটা চুনী-পান্না-হিরে-মোতি-দিয়ে সাজানো ঘরে গিয়ে পড়ে, দূর থেকেই দেখতে পায়, বসে রয়েছে এক পরমাসুন্দরী কন্যে, সে রাজকুমারী না হয়েই যায় না। তার ভ্রমরের মত সুন্দর চুল, পদ্মকলির মত নিটোল ঠোঁট, মুক্তোর মত ঝকমকে চোখ, ডালিমের মত নিবিড় বরণ। ছয়জন সুন্দরী চৈনিকা সহচরী রাজকুমারীকে ঘিরে বসে আছে, মধুর মত মিষ্টি স্বরে গল্পসল্প করছে।
কিন্তু সে অবাক হয়ে দেখে, মেয়েগুলি রাজকুমারীর সঙ্গে কথা বলছে না, তারা তাকিয়ে আছে ঘরের অন্য প্রান্তে – সেখানে সোনার কেদারায় আরাম করে বসে রয়েছে এক সুপুরুষ যুবক, অনেকটা তারই মতন দেখতে, কিন্তু রুপেগুণে আরো বেশি। রাজকুমারীও দেখা যায় আলাপ করছেন তারই সাথে। দারুন বিস্ময়ে সে প্রশ্ন করে, ‘রাজকুমারী, ইনি কে?’
খিলখিল করে হেসে ওঠে রাজকুমারী, দোয়েলের মত মিষ্টি গলায় বলে, ‘ইনি বঙ্গদেশের রাজকুমার, পক্ষীরাজ ঘোড়ায় করে উড়ে এসেছেন আমাদের প্রাসাদে। কিন্তু আপনি কে, আমাদের প্রাসাদে কী বলে?’
সরল ছেলেটি অবাক হয়ে বলে ওঠে, ‘আমাকে চিনলেন না রাজকন্যা? আমি রুশদেশের তরুণ, নাম আমার কোস্তভ, উড়ে এসেছি সেই সুদূর থেকে... আপনার বাবা যে বলেছেন, আপনার সঙ্গেই আমায় বিয়ে দেবেন!’
পাকা পীচের মত লজ্জারাঙা হয়ে ওঠে রাজকুমারীর মুখ, মাথা নামিয়ে আলতো করে বলে, ‘সে বাবার কথা বাবাই বলতে পারবেন; তবে জানি, ইনিই আমার পছন্দনীয়!’
***************************************************************
এইটি যে কার জন্মদিনের শুভেচ্ছা-পোস্ট, তা অনুমান করতে নিশ্চয়ই কারোরই সমস্যা হবে না। সেই দুষ্ট সচলভ্রাতা আবার দেখা যায় তুলিদির বিশেষ স্নেহের পাত্র, অতএব তার উপলক্ষে ওনার সিরিজের নাম অনুকরণ করলেও তিনি রুষ্ট না হয়ে হৃষ্ট হবেন বলেই অনুমান করি।
মন্তব্য
বাহ! খাসা রূপকথা!
খালি বেচারা কোস্তভের জন্যে দুঃখে চউক্ষে পানি আয়া পড়লো... ইয়ে মানে চোখ দিয়ে হীরে মাণিক ঝরে পড়লো (রাশান রূপকথা স্টাইলে আরকি)... বেচারা...
কিন্তু পছন্দনীয় যে একই সাথে জম্মদিন, রাজকন্যে, আদ্ধেক রাজত্ব নিয়ে নিল তার জন্যে তাকে !!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ
(কৃতজ্ঞতাবশত রাজত্বের আদ্ধেকটা কোস্তভকে দিয়ে দিতে রাজি আছি অবশ্য )
রাজকন্যা, তুমি কার? ডুয়েল না লড়েই রাজকন্যা ছেড়ে দিলেন পছন্দনীয়ের কাছে?!
শুভ জন্মদিন হে পছন্দনীয়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
রাজকুমারীর ইচ্ছার উপর কি আর কথা চলতে পারে?
ধন্যবাদ
(একটুখানি উহ্য আছে - রাজকন্যে আর 'ওই ব্যক্তির' ( ) মাঝখানে ছিলো সুখাদ্য ভর্তি এক ডিনার টেবল। রাজকুমার কোস্তভ সেই টেবিলে ঝাঁপিয়ে পড়লো বলেই তো... নইলে ডুয়েল লড়লে কি এই মোটা ভুঁড়িসহ 'ওই ব্যক্তি' পেরে ওঠে?)
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই, অপছন্দনীয়। এই শুভ দিনে আপনি বরং নিজের নামটা বদলেই ফেলেন। পছন্দনীয়ই যে রাখতে হবে তা না। অন্য যে কোন কিছু রাখতে পারেন, যেমন 'গারফিল্ড' রাখতে পারেন, 'গাবলুর ভাই হাবলু' রাখতে পারেন।
গল্পটা আসলেই ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ রু
ধন্যবাদ
(গাবলুর ভাই হাবলু... এটা দারুণ নাম )
বাহ, খাসা!
আরে আমি তো ভাবলাম রুশ রাজকুমার কোসতভে আর বঙ্গ রাজকুমার পছন্দনীয়ে বেশ জম্পেশ একটা কুস্তির লড়াই হবে বুঝি! লড়াই জিতে (বা হেরে ) কোসতভ হবেন কুস্তিনভ।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পার্ট-২ আপনি লেখেন তাইলে!
(কুস্তিটা যদি প্যাঁচ কষাকষির হয়ে থাকে তাহলে রুশ রাজকুমার কোস্তভ জিতবেন, আর যদি সুমো জাতীয় কিছু হয় তাহলে তিনি হারবেন )
ধন্যবাদ দিদি
গল্পের প্রথম লাইনটা অভিনব। শুধু এইজন্যই আগে
চমৎকার, ঝরঝরে একটা লেখা। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর কায়দাটিও খাসা।
আপনার প্রায় প্রত্যেকটি পোস্টই আমার একাধিকবার পড়া হয়। তাই স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আপনি পোস্ট পরিবেশনার স্টাইলের ব্যাপারে কতটা যত্নবান। বইয়ে আর ব্লগে পড়ার মাঝে তফাৎ আছে। আপনার উপস্থাপনার ধরন থেকে এই পার্থক্যটা সহজেই বোঝা যায়। অনুরোধ করব উপস্থাপনা বিষয়ে আমার পোস্টে কিছু ফিডব্যাক দিতে (এবং প্রয়োজনবোধে সহসচল, হাচল, অতিথিদের সাথে ফরম্যাটিং বিষয়ে আপনার ধারণা শেয়ার করতে)।
--------
* গল্পের প্রথম প্যারার শেষ লাইনে একটুকু বেশি জোর দেওয়া হয়ে গেল না? ওইটুকু, বয়সেই, একাই - একটা ই বেশি পরে গিয়েছে। কিচ্ছুটিই এর বদলে "কিচ্ছুটি" লিখলেই মনে হয় ভালো হত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এত খুঁটিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক
বেশ বলেছেন, বদলে দিলাম।
আর এত প্রশংসার জন্য
আপনার পোস্টে তো নিয়মিতই (যদি পড়ার সুযোগ পাই) মন্তব্য করি, এখন এত খুঁটিনাটি ফিডব্যাক... আচ্ছা, কিছু চোখে পড়লে বলব...
আর ইয়ে, গল্পের খুব কম এলিমেন্টই যে আমার অরিজিনাল, তা তো বুঝতেই পারছেন - সিভকা-বুর্কা, ড্রাগন, বলগা হরিণ, ... ... প্রথম লাইনটার স্টাইলের লাইনও ছোটবেলায় কোনো বইতে পড়েছি বলেই মনে হয়...
একটা সময় তোমাকে বেশ আপনি-আজ্ঞে করে মন্তব্য করতাম। এখন হাসি পাচ্ছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পেটুক পছন্দনীয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ
হুম। কালিস্কি, কোস্তভ আর পছন্দনীয় - চেনা চেনা লাগে।
পছন্দনীয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ও আপনার চোখের ভুল
মোটেও না, দুই চোখে বিশাল ভারি দুটো কাচ আছে, - ৫.৫ এর। সেই কাচের ফাঁক দিয়েও ভুল দেখি বলতে চান? কাচের অপমান? এক্ষুনি কিন্তু বাংলাদেশের ডেল চিহুলিকে ডাক দেব। হুঁ হুঁ বাবা!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ডরাইছি!
বাংলাদেশের ডেল চিহুলি কি সায়কাদিদি?
কেন? মনে হয় না?
দুষ্টু বালিকা যখন খুব বিখ্যাত হয়ে যাবে, আমি তখন গর্ব করে বলবো আমার কাছে তিনটা অরিজিনাল সায়কা আছে
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
বিখ্যাত হয়ে পড়লে আর ওগুলো থাকবে না... তখন আমরা ওদিকে ঘুরতে আসব আর...
উঁহু ... কালিস্কি, কোস্তভ ... ঠিক্করে পড়তে হবে তো ... !
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাই তো বলি!
ধন্যবাদ
বঙ্গদেশীয় রাজকুমার পছন্দনীয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। কৌস্তুভকে ভালো পাইলাম তার এই বদান্যতার জন্য(রাজকুমারীকে বিনা প্রতিদন্দিতায় ছেড়ে দিলেন কাহিনি কি, অন্য কাউরে পাইছেন নাকি )।
গল্পে বঙ্গদেশীয় রাজকুমার দেখে চমকে উঠছিলাম একটু।
আরেঃ, কী যে কন, ওই গল্পের লোকটা আমি হতে যাব কেন? তবে তার মনটাও আমার মতনই সরল, রাজকুমারীর মন অন্যদিকে দেখেই সে আর বাকবিতণ্ডা করে নি...
চমকে উঠেছিলেন কেন?
চমকাবোনা, একেতো রাশিয়ান গল্পে বঙ্গদেশীয় রাজকুমার, তার উপর রাশিয়ান পোলারে হারায়ে বঙ্গদেশীয় রাজকুমার রাজকন্যা জয় করে ফেললো। অবশ্য সবি আপনার বদান্যতা ।
ধন্যবাদ...
(আর ইয়ে, সামনে খাবারভর্তি টেবিল থাকলে কোস্তভ রাজকুমারীর দিকে তাকায় নাকি?)
'পেটুকদাস' পছন্দনীয়দাকে জন্মদিনে অনেক অ---নেক শুভেচ্ছা।
'ইতি, ঘচাং ফুঃ'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ খুকি
(তবে ইয়ে, খোকাখুকুদের বয়স দুই এক দশক বাড়লে তারা বড় হয়, আর বুড়োদের বয়স এক বছর বাড়লেও তারা আরো বুড়ো হয় )
গল্প কেমন হইছে কিছু কইলে না যে?
ছোটরা তো রূপকথা এমনি এমনিই খায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা রাজকন্যে
অনেক ধন্যবাদ
(তবে, তরীকায় ভুল থাকলে তীরে (অথবা রাজকন্যের সামনে) এসে তরী ডোবে। নেক্সট টাইম সিভকা বুর্কার ডান কান দিয়ে ঢুকে বাম কান দিয়ে বেরিয়ে এলে সব কিছু ঠিকঠাকমত হবে )
আসেন
আহা, এরকম "মিজান" স্টাইলে এগোলে ক্যাম্নে কী? আমি তো আর, ইয়ে, ওই রাজকুমারী না...
জন্মদিনের শুভেচ্ছা অনীয়;দা (পছন্দ)।
ধন্যবাদ
জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
পড়তে ভালো লাগছিলো। হঠাৎ থেমে গেলো যেন.....
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে। হঠাৎ করে থেমে গেল? যাবেই তো, অমন একটা কথা শোনার পরে কি আর কিছু বাকি থাকে? (এক যদি না গোঁয়ারগোবিন্দ হয়, কিন্তু কোস্তভ তো ভালো সরল ছেলে...)
গল্পটার পুনর্লিখন মজার হয়েছে। তা রাজকুমারীটা কিডা গো? আমরা তাকে চিনি?
শুভ জন্মদিন অপছন্দনীয়!
ধন্যবাদ দ্রোহীদা। রাজকুমারী গল্পের চরিত্র, তাকে আমি তো চিনি না, তবে পছন্দনীয় ভাই চিনতে পারেন...
অ্যাঁ! আমি আরো সেজেগুজে বসে আছি কখন রাজকুমারীর সাথে আলাপ করিয়ে দেবেন, আর এখন এসব কী কন???
ধন্যবাদ
শুভ জন্মদিন...
ধন্যবাদ
পছন্দনীয়কে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। এতো চমৎকার লেখার জন্য রুশ বালককেও।
বলি রাজকন্যে তো দেখি যে যার মতো ভাগাভাগি করে নিলে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রুশ বালক ক্যাডা?
দাঁও যা মারবার সে তো পছন্দনীয়ই মারলে, বেচারা কোস্তভের ভাগে কিছু পড়ল কই? ঠ্যাঙাতে হলে তাকেই গিয়ে ঠ্যাঙান!
ধন্যবাদ
আর ইয়ে, রাজকন্যের কথা তুলে এখন ওই ব্যাটা রুশ বালক তার সাথে আলাপ করিয়ে না দিয়েই ভাগতে চাচ্ছে, কাজেই ধোলাই দিলে তাকেই দিন...
রুপকথাতো ভালো পেলাম, আজকে তিন তিনজনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হলো, নজরুল ভাই কেক এর কথা বলছিলেন, কেক না পাই,
জন্মদিনের শুভেচ্ছায় একটা লিংক http://youtu.be/wFh-rX_Sfhs
ঠ্যাংকু
চারপাশে এতো জর্মদিন ক্যান?
যাহোক, এ উপলক্ষ্যে সচলে বেশ গল্প টল্প পাওয়া যাচ্ছে আজকাল...
শুভ জন্মদিন অপছন্দনীয়...
গল্পটা দারুণ হইছে
আমি তো ভাবছিলাম এইটা তুলিদিরই লেখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থেঙ্কু দাদা
ধন্যবাদ
(আমি তো তুলিদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কমেন্টও পোস্ট করে ফেলেছিলাম প্রায়...)
সবই তো বুঝলাম, কিন্তু ভ্রমরের মতো সুন্দর চুল জিনিসটা কী! ঐ রকম গোটা গোটা গোল্লা গোল্লা পাকানো চুল? গোলালুর মতো!
প্রথমে যদিও ভাবছিলাম কালিস্কির আতাপাতালজি পড়তে যাচ্ছি বোধ'য়। পরে বুঝলাম, না কাহিনি অন্য। যাইহোক, অপছন্দনীয়'রে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওইসব বিস্তারিত কল্পনা পাঠকের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হল! (এক্ষেত্রে ঘনকালো-ও ভাবতে পারেন...)
ধন্যবাদ বস
গল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পর শুধুশুধু গ্যালারিতে বসে থেকে কী পাইবেন?
নস্টালজিক করে দিলেন, দাদা!
"সিভকা-বুর্কা, যাদুকা লেড়কা..." রংচঙে ছবিওয়ালা বইটা আমার ছোট্টবেলায় উপহার পাওয়া পরথম গল্পের বই। তখন কেবল ইসকুলে ভর্তি হইসি।
রূপকথা অতি ভালু পাইসি।
পছন্দনীয়-কে রাজকন্যা-রাজত্বের সাথে সাথে জর্মদিনেরও শুভেচ্ছা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ
আরে, এই বইটার সাথে আমার স্মৃতিও কী কম! ছোটবেলায় প্রতিবছর বাবামার হাত ধরে ঝুলে ঝুলে (এইটা বিশেষ করে পরে শোনানো হত, অতএব মনে আছে) বইমেলা যেতাম, একবার জ্বরটর কোনো কারণে যেতে পারিনি, মনটন খারাপ করে ছিলাম, তা বাবাই গিয়ে বিকেলবেলা আমায় এনে দিল দুটো সোভিয়েত রূপকথার বই - একটা মূলত রাশান গল্পের অনুবাদ, আরেকটা দক্ষিণ-পূর্ব সোভিয়েত মানে কাজাখ উজবেক ইত্যাদি গল্পের। কী প্রিয় যে বইগুলো! লেখার ভাষা, আইডিয়া, অনেক কিছুই বইগুলো লক্ষবার পড়ার স্মৃতি থেকে লাফ মেরে চলে এসেছে কীবোর্ডে।
ভাগ্যিস লাফটা মেরেছিলো!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অপছন্দনীয় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ
উরে!!!! দুর্দান্ত রূপকথা।
আর অবশ্যই- শুভ জন্মদিন আমার 'খানেপসন্দ' (মানে যে খেতে পছন্দ করে আরকি) ভাইকে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ, নিজেকে আজকে কী খাওয়ানো যায় চিন্তা করছি, কিছু একটা খাওয়াতেই হবে
থেঙ্কু ওডিন্দা! তা কিছুমিছু (মানে, আপনার স্টেপল, লাচ্ছি আর বিরিয়ানি) খাওয়াবেন না?
টেস্ট। কৌস্তুভের পোস্টেই টেস্ট করতে মজা।
দেশবিদেশের রূপকথা দেখে আমি তো ভাবলাম এটা তুলিরেখাদির পোস্ট। পরে ভালো করে চেয়ে দেখি এটা আপনার লেখা! গল্প ভালো হয়েছে।
অপছন্দনীয়, এই জন্মদিনে আপনি মনে হয় আপনার নামের প্রথম অক্ষরটা এবার মুছে দিতে পারেন, কি বলেন?! জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
অনেক ধন্যবাদ
(প্রথম অক্ষরটা তো একদিনে আসেনি, একদিনে আর কি করে মুছি )
বা রে, কটা পাজি লোক কি করেছে, কি বলেছে সেইসব সারাজীবন ধরে বসে থাকলে কি চলে ? আমরা সক্কলে এতগুলো লোক মিলে বলছি তা বুঝি কিছুনা ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তাই তো বলি!
হে হে... ধন্যবাদ বইখাতা'দি।
এত দেরিতে এসে ভাবলাম কেক্কুক সবি শেষ বোধ হয়। ওমা, দেখি কিছুই ব্যবস্থা নাই। কি আর করা ! একখানা পায়েসগন্ধি জন্মদিনের শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।
কৌস্তভর গল্প খাসা হয়েছে ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ...
আর কেক্কুক দিয়ে কী হবে, পায়েসের গন্ধটা শুঁকে শুঁকেই কাটিয়ে দেই...
ও হ্যাঁ শুভ জন্মদিনটাই জানাতে ভুলে গেছিলাম। শুভজন্মদিন ফছন্দনীয়।
ধন্যবাদ
কেমনে কার জন্মদিন কোন্দিক দিয়া চইলা যায় বুঝতেই তো পারি না !!
জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ
শুভ জন্মদিন অপছন্দীয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ
জোশিলা..............................
ধন্যবাদ, গেরিলা।
শুভ জন্মদিন। আপনার লেখালেখি খুব একটা পড়ি নাই। পড়তে হপে।
ধন্যবাদ
কার লেখা পড়ার কথা কইলেন দাদা, আমার না পছন্দনীয়র?
হা হা, হে হে, হি হি, হো হো , নির্মল আনন্দ পেলাম, শুভ জন্মদিন কৌস্তভ দা !!--- অণু
ধন্যবাদ অণু ভাই। রাশিয়াও গেছিলেন নাকি?
খুবই মজার একটা রূপকথা তো!
আহাহা, কৌস্তভদা, এমনি এমনি চলে আসাটা ঠিক হয় নি। আমি রাজকন্যা, আমি বলছি, আপনারা দুজনে মারামারি করুন। আপনাদের মারামারি দেখতে আমার খুব ভাল লাগবে।
অনেক দিন পরে রূপকথা পড়লাম।
আপনি তো "গেস্ট রাইটার রাজকন্যা", যদি "বঙ্গদেশের রাজকন্যা" না হন তবে কথা শুনুম ক্যান?
খুবই অভদ্র আপনি। রাজকন্যারা যা বলে তা বিনা বাক্যব্যয়ে মাথা পেতে পালন করতে হয়। যান! মারামারি করুন।
রাজকন্যা যার ভাগে পড়েছে সেই পছন্দনীয়কে গিয়ে হুকুম করুন গে। আমি রুশদেশে ফির্যা আইছি।
বিকেলে ঘুম থেকে উঠে হঠাত কোরে সচলায়তন খুলে তোমার প্রোফাইল এ গিয়ে আয়েশ করে ইউআরএল টা টুকে নিয়ে মোবাইল থেকে ওপেন করে তোমার গল্প টা পড়তে লেগেছিলাম , হায়রে লাসট এ এসে এইভাবে কষ্ট পেতে হবে তা যদি আগে জানতাম
- কৌস্তভ সমাদ্দার
নতুন মন্তব্য করুন