সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর উগ্র হিন্দুত্ববাদ

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ১২/১২/২০১১ - ৮:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১) স্বামীর প্রলাপ

জনতা পার্টির সভাপতি (ভারতীয় জনতা পার্টি মানে বিজেপি নয় কিন্তু) Subramanian Swamy-র নামকে বাংলায় লিখতে গেলে ফোনেটিকে কাছাকাছি হয় সুব্রমন্যন, যদিও আনন্দবাজারের ব্যবহৃত সুব্রহ্মণ্যন বানানটাই বেশি মূলানুগ, ব্যুৎপত্তির দিক থেকে। আর সেই নামের কী অর্থ? এই ব্যক্তির সু-ব্রাহ্মণত্ব আছে, অর্থাৎ ইনি চতুর্বর্ণের শ্রেষ্ঠ, জ্ঞানী, সম্মানার্হ। কিন্তু তাঁর মুখনিঃসৃত মহান বাণী নিয়ে এই ঘোর কলিযুগে ম্লেচ্ছরা আজকাল কিছু প্যাঁচাল তুলেছে।

১৩ই জুলাই মুম্বাইয়ে একসারি বিস্ফোরণের ঘটনায় বহু লোক মারা যাওয়ার পর ১৬ তারিখ ভারতীয় সংবাদপত্র Daily News and Analysis বা DNAindia-তে (জেনেটিক্সের ছাত্র হিসাবে নামটা খুবই হাস্যকর লাগে আমার) ইনি একটা কলাম লেখেন, ‘How to wipe out Islamic terror’ নামে (মূল লেখাটার লিঙ্ক এখন আর কাজ করে না, রিপোস্ট এখানে)। সেই রেটোরিক বা পোলেমিকে তিনি ভারতকে হিন্দুস্থান নামে ডেকে, ইসলামি উগ্রবাদীরা তার কেমন ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা করছে, তাই নিয়ে বিস্তর কান্নাকাটি করেন। এবং সরকার যে এই বিষয়ে কেমন নপুংসক, তাই নিয়ে অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই হিন্দুস্থান নামক ‘বৃহৎ হিন্দু সমাজ’ রক্ষার ভার আমাদের হিন্দুদেরই হাতে তুলে নিতে হবে। এই উদ্দেশ্যে তিনি অনেকগুলো স্ট্র্যাটেজির কথা বলেন –

  1. কাশ্মীরে হিন্দু বসতি স্থাপন করতে হবে, হিন্দুদের জন্য বিশেষ কিছু জায়গা আলাদা করে দিতে হবে।
  2. পাকিস্তানকে শায়েস্তা করার জন্য বালুচি আর সিন্ধিদের স্বাধীনতার লড়াইতে মদত দিতে হবে।
  3. হিন্দু মন্দিরে বিস্ফোরণের উচিত জবাব হিসাবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে যে মসজিদটা আছে সেটা এবং আরো শতিনেক মসজিদ ভাঙতে হবে।
  4. ভারতের ‘ক্রম-ইসলামীকরণ’ ঠেকাতে দেশকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে হিন্দুস্থান নাম দিতে হবে।
  5. সবার জন্য একই সিভিল কোড চালু করতে হবে। সংস্কৃত শেখা এবং বন্দেমাতরম গাওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।
  6. যে অহিন্দুরা এটা অস্বীকার করবে যে এদেশে একসময় তাদের পুর্বপুরুষরা হিন্দু ছিল, তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে হবে।
  7. হিন্দুত্ব থেকে ধর্মান্তরীকরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
  8. কাস্ট অর্থাৎ জাতি বা বর্ণ জন্মভিত্তিক নয় বরং আচরণভিত্তিক হিসাবে নির্ধারণ করতে হবে। এবং অহিন্দুদের হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে আহ্বান জানানো হবে, নিজেদের ইচ্ছামত বর্ণ তারা বেছে নিক, যেমন আচরণবিধি তারা মানতে ইচ্ছুক সে অনুসারে।
  9. বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে হারে বেআইনী অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তার প্রতিদান হিসাবে সমান অনুপাতের জমি ভারত দখল করে নিক। আপাতত সে দেশের উত্তরের এক-তৃতীয়াংশ, সিলেট থেকে খুলনা পর্যন্ত, দখল করে নেওয়া যেতে পারে।
  10. মসজিদ-মাদ্রাসা-চার্চে হিন্দুদের সম্বন্ধে যে নিন্দাসূচক কথা বলা হয়, তাতে হিন্দুদের আত্মসম্মান হারিয়ে ধর্ম পরিত্যাগ করার সম্ভাবনা আছে। তা ঠেকাতে জাতীয় স্তরে ‘হিন্দু মানসিকতা’র বিকাশ ঘটাতে হবে।

তিনি বলেন, এক অর্থে ভারতের এসব সমস্যার জন্য মুসলিম উগ্রপন্থীদের চেয়েও আমি হিন্দুদেরই দোষ দেব, তাদের উদারপন্থী মনোভাবের জন্য। কংগ্রেস যেমন সে সুযোগে নানা ঘটনা ঘটিয়ে সেগুলোকে হিন্দু উগ্রপন্থা বলে রটনা করায়। কলিযুগে দয়াশীল হয়ে উপায় নেই, আপৎধর্ম মেনে আমাদের শক্ত হতে হবে, কড়া হাতে হাল ধরলে পাঁচ বছরের মধ্যেই ভারতের টেররিস্ট সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইহুদীরা যেমন গ্যাসচেম্বারের দিকে হাঁটতে থাকা নির্বীর্য ভেড়ার পালের থেকে দশ বছরেই বিশ্বরাজনীতিতে দারুণ প্রভাবশালী জাতি হয়ে উঠেছিল। গুরু গোবিন্দ সিং দেখিয়ে গেছেন, মাত্র পাঁচজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তিই আধ্যাত্মিক বলে বলীয়ান হয়ে উঠলে পারে একটা সমাজকে বদলে দিতে; তেমনই হিন্দু ভোটারদেরও জেগে উঠে এই দেশকে বদলে দিতে হবে।

(স্বামীর এই কথাগুলো বিজেপি-রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী লাইনে হলেও, স্বামী নাকি তাদের কাছে প্রিয় নন, অটুট-অক্ষয় বর্ণপ্রথাকে সংশোধন করার পরামর্শের মত অভাবনীয় ধৃষ্টতা দেখানোয়। একজনের মতে, তামিল ব্রাহ্মণদের যে দারুণ উচ্চবর্ণের এবং উচ্চশিক্ষার অহঙ্কার, এবং সমাজে কিছুটা সংখ্যালঘু হয়ে দমে থাকার অভিমান, এই দুইয়ের ফলে তাদের মধ্যে একটা অদ্ভুত উগ্রবাদী গোঁড়া মানসিকতা দেখা যায়, স্বামীও তার ব্যতিক্রম নন।)

(২) হার্ভার্ডে হট্টগোল

স্বামী হার্ভার্ডের সামার স্কুলে অর্থনীতির দুটো কোর্স পড়াতেন। Economics S-110: Quantitative Methods in Economics and Business এবং Economics S-1316: Economic Development in India and East Asia. ওই প্রবন্ধ লেখার পর হার্ভার্ডের কিছু ভারতীয় ছাত্র একটা পিটিশন শুরু করেন, স্বামীর সঙ্গে হার্ভার্ড সম্পর্ক ছিন্ন করুক, এই মর্মে। প্রায় শপাঁচেক সই পড়ে তাতে।

তাঁরা বলেন, এমন কথা কোনো ধর্মপ্রচারকের থেকে এলে বোঝা যায়, কিন্তু হার্ভার্ডের ছাত্র এবং প্রফেসর কারো কাছ থেকে? হার্ভার্ডের নাম ভাঙিয়ে স্বামী তাঁর এসব কথার পেছনে অনেকটা জোর পাচ্ছেন। এবং কোন রাইট-উইং সরকার ভারতে ক্ষমতায় এলে স্বামী মন্ত্রীও হয়ে পড়তে পারেন। অতএব তাঁর কথার বিরোধিতা করা জরুরি। দেখানো দরকার, যে সব হিন্দুই তাঁর মত ভাবে না। কেবল কিছু স্টিরিওটাইপ গোঁড়া হিন্দুর মতনই স্বামী আচরণ করছেন।

হার্ভার্ড ক্রিমসন, হার্ভার্ডের নিজস্ব পত্রিকা, এই নিয়ে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি বলেন, কই, ভারতে তো সবাই আমার প্রবন্ধ নিয়ে ভালো কথাই বলছে, শুধু লেফট-উইং লোকেরা চটেছে। আমি নিজে হিন্দু ঠিকই, কিন্তু সব মুসলিমকে তাই বলে অপছন্দ করি, এমন তো নয়।

হার্ভার্ড কতৃপক্ষ বলে, বিষয়টা নিয়ে তারা বিবেচনা করে দেখবে। কিন্তু সেই সময় ‘নিন্দাজনক হলেও ব্যাপারটা ফ্রি স্পিচ’ বলে তারা আর কোনো পদক্ষেপ নেয় না

(৩) স্বামীকে অব্যাহতি

এই ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ফ্যাকাল্টি মিটিংয়ে আগামী বছরের কোর্স তালিকা অনুমোদন করার সময় আবার এই প্রসঙ্গ ওঠে। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের প্রফেসর ডায়ানা এক ওই প্রবন্ধের কথা তুলে বলেন, ওটা একটা গোটা ধর্মের অনুসারীদের শত্রু হিসাবে ধরে লেখা, তাদের পবিত্র স্থান আক্রমণ করার জন্য উস্কানি দেওয়া। কোনো সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমন মনোভাব রাখা কারোর সঙ্গে হার্ভার্ডের সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়।

প্রফেসর সুগত বসু বলেন, স্বামীর আচরণ আমেরিকায় আফ্রিকান বা ইহুদী মাইনরিটির প্রতি হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট-দের মনোভাবের মত। অন্য কিছু প্রফেসরও বলেন, ব্যাপারটা ফ্রি স্পিচ থেকে হেট স্পিচে পর্যবসিত হয়েছে।

শেষে ফ্যাকাল্টির মধ্যে ভোট হলে অধিকাংশই স্বামীর ওই কোর্সদুটি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অর্থাৎ স্বামীকে হার্ভার্ডে আপাতত কোনো পড়ানোর দায়িত্বে রাখা হল না।

এতে, স্বভাবতই, স্বামী খুবই আহত হন। তিনি অভিমান করে বলেন, আমার কন্ঠরোধ করার হার্ভার্ডের এই প্রয়াস খুবই ভয়ঙ্কর নিদর্শন হয়ে থাকবে। ওদের উচিত ছিল এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা।

(৪) এক স্বামী লোকান্তরে, লক্ষ স্বামী ঘরে ঘরে

মনের কথাগুলো প্রকাশ করে ফেলায় প্রাক্তন ছাত্র ও প্রফেসর স্বামীকে হার্ভার্ড পড়ানোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিল ঠিকই, কিন্তু হার্ভার্ডের ছাত্রসমাজে, বা সারা আমেরিকার শিক্ষিত ভারতীয় ছাত্রসমাজেও এমন লোক মোটেই বিরল নয়। এখানে এসেই ডর্মে এক ছাত্রকে পেয়েছিলাম, যার সঙ্গে বাক্যালাপের অভিজ্ঞতা নিয়ে বহুদিন আগে লিখেছিলাম,

ইংরাজি উচ্চারণ নিয়ে কথা হচ্ছিল। আরো মজার হল NRI-দের দিশি ভাষা উচ্চারণ। আমার ফ্লোর-এ একজন ছিল, সে আবার হার্ভার্ড হিন্দুধর্ম সমিতির প্রেসিডেন্ট। আমাকে ডাকল, আমাদের সমিতিতে যোগ দিতে চাও? জিজ্ঞেস করলাম, কি হয় তাতে? বলল, এই ধার্‌মা নিয়ে আলোচনা। বললাম মনে মনে, ধার করা মা-ই বটে, হিন্দুধর্ম তো তোমার আসল মা হতে পারে না বাপু, আমেরিকানিস্‌ম্‌-ই তোমার আপন। আর এতে অন্যায়েরও কিছু নেই। তবে আমারে ক্ষ্যামা দাও।
আরেকদিন পাকড়েছিল, বলে, বীফ খাও না তো? সরল ভাবে প্রশ্ন করলাম, খেলে কি হয়? খানিকক্ষণ বোঝাবার চেষ্টা করল, ঘোর অধর্ম হয়! কিন্তু ধার করা মা নিয়ে কতক্ষণ লড়বে? তখন ধর্ম ছেড়ে বিজ্ঞানের শরণাপন্ন হল, বলল, “আসলে কি জান, আমাদের হিন্দুদের শরীর বীফ হজমের উপযুক্ত নয়, শরীরের ক্ষতি হয়।” “ও, কোন জার্নালে বেরিয়েছে?” “না না, খেলে দেখেছি লোকের পেট ছাড়ে, তাই মনে হয়...”। অকাট্য যুক্তি!

ইয়েল ইউনিভার্সিটি, যা কিনা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মত হার্ভার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী, সেখানকার এক চিড়িয়ার গল্প শুনি আমার জুনিয়রের মুখে। তার নাম অঙ্কুশ শর্মা ওরফে শর্মাজি। উত্তরপ্রদেশের বিশুদ্ধ ব্রাহ্মণ, আইআইটি পাশ। তবে স্ট্যাটে ঢুকে তেমন সুবিধা করতে পারছে না। এক প্রখ্যাত প্রৌঢ় প্রফেসর তাই তাকে ক্লাসে একদিন বললেন, ‘বাবা অঙ্কুশ, তোমার তো মনে হয় বেশ সমস্যা হচ্ছে এই বিষয় নিয়ে, একদিন এসো আমার অফিসে, বসে ধীরেসুস্থে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে, উই ক্যান হ্যাভ এ ড্রিঙ্ক টুগেদার।’ সাধারণ প্রস্তাব। কিন্তু তাতে শর্মাজি একটা অসাধারণ প্রতিক্রিয়া দিল তার পাশে বসা জুনিয়ারকে, ‘বিদ্যা কি পবিত্র মন্দির মেঁ শরাব? চোর সালে!’

হার্ভার্ড ক্রিমসনে বেরোনো ওই খবরের নিচে অনেকেই এসে স্বামীর পক্ষেও মন্তব্য করে গেছে। কেউ বলেছে, হার্ভার্ড স্বামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়েই এই ব্যবস্থা নিয়েছে, এটা নিশ্চিতভাবেই ক্যাঙ্গারু কোর্ট। কেউ বলেছে, তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সেই হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি পান, তারপর পঞ্চাশ বছর ধরে এখানে পড়াচ্ছেন। অতএব উনি নিশ্চয়ই খুব প্রতিভাবান ব্যক্তি, হার্ভার্ডের খ্যাতির যোগ্য বাহক, ওনার সঙ্গে এরকম করা ঠিক না।

সে যদি মেনেও নিই, যে স্বামী খুবই ট্যালেন্টেড লোক, তাহলেও তাঁর এই উগ্র ধর্মীয় বুদ্ধিবিবেচনা থেকে আসা কথাগুলোকে কিছুতেই মানা যায় না। আর স্বামী থেকে শর্মাজি, এই বিবিধ উচ্চশিক্ষিত কিন্তু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী জনতাকে দেখে সেই কথাটাই আবার মনে পড়ে, religion poisons everything.

(৫) নিজের কোলে ঝোল টানা

ফেসবুকে অনেক বাংলাদেশী বন্ধুকে বিডিনিউজের এই খবরটা শেয়ার দিতে দেখলাম, “বাংলাদেশ দখলের প্রস্তাব দিয়ে সুব্রামনিয়াম বহিষ্কৃত”। খবরটার যেমন শিরোনাম এবং বক্তব্য, তাতে এটার মতিকণ্ঠ ভার্শন হলে শিরোনাম দাঁড়াত, ‘বাংলাদেশের পুটু মারাতে বলে নিজেই পুটুমারা খেলেন স্বামী’। এবং বিডিনিউজের রিপোর্টিংও পুরোই মতিকণ্ঠ-মাফিক। ঝাড়া পাঁচ মিনিট ধরে হেসে গড়াগড়ি খেয়েছি, হার্ভার্ড ক্রিমসন (ক্রিমসন রঙ হার্ভার্ডের গৃহীত প্রতীকী রঙ) পত্রিকাকে সেখানে লেখা হয়েছে ‘দ্য হার্ভার্ড ক্রাইমসিন’!

খবরটায় ‘বাংলাদেশের পুটু মারাতে বলে নিজেই পুটুমারা খেলেন স্বামী’ এই মুডেই নিজেদের কোলে ঝোল টেনে আত্মতুষ্টির মনোভাবটা খুবই প্রোজ্জ্বল। কিন্তু কথা এই যে, শিরোনামেই দুটো বড় ভ্রান্তি তাদের খবরে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্বামীর যে রাজনৈতিক পরামর্শ, সেটা অত বড় একটা ফ্যাক্টর নয় কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের মনোভাবে। সামগ্রিকভাবে ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি তাঁর যে মনোভাব, সেটাই তাদের নিন্দার প্রধান কারণ। সেটাই হার্ভার্ড ক্রিমসনে উল্লেখিত প্রফেসরদের বক্তব্যেরও সার। এখন বিডিনিউজ কি ওই মিটিংয়ে কোনো বিশেষ প্রতিবেদক নাকি মতিবেদক পাঠিয়েছিল, তা তারাই বলতে পারবে।

দ্বিতীয়ত, স্বামী কিন্তু বহিষ্কৃত হন নি। তাঁকে পড়ানোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মাত্র। তাঁর প্রফেসর পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত কিন্তু হার্ভার্ড নিয়েছে বলে জানা নেই। অতএব তাঁকে বহিষ্কৃত বলা যায় না কিন্তু।

(ফুটনোট হিসাবে যোগ করি, ‘আনন্দবাজারীয় নাম-ভ্রান্তি’ কিন্তু বিডিনিউজও করেছে বেশরকম। ‘ক্রাইমসিন’ তো বললামই, মূল লোক স্বামীর নামই লেখা হয়েছে সুব্রামনিয়াম। হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট ড্রিউ ফাউস্টের নাম লেখা হয়েছে ফোস্ট। ডায়ানা এক-কে ইক। কাশীর জ্ঞানবাপী-কে লিখেছে জ্ঞানপায়স। ইত্যাদি ইত্যাদি।)


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

সেই স্বামী কিসের শিক্ষায় শিক্ষিত জানতে মুঞ্চায় ! ব্যাটা ও ব্যাটার চ্যালাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাঞ্চাই! অবশ্য এরা এমনিই মানসিক রোগী, কদিন পর বিশেষ গারদ আপনা থেকেই তাদের খুজে নেবার কথা।

কৌস্তুভ এর ছবি

নামে অর্থনীতি, আসলে হিন্দুত্ববাদের 'শিক্ষা' দিয়ে এদের মাথা বোঝাই...

তাপস শর্মা এর ছবি

এই মানুষ গুলির আর খাইয়া দাইয়া কাজ নাই... কি যে উল্টা পাল্টা কথা বলতে থাকে। ছাগলও এদের সামনে কোন ছার। ম্যা ম্যা করে আর প্যাদানি খায়...

কৌস্তুভ এর ছবি

কী যে কও। আসল কথা তো এরাই বলে। এরা মন্ত্রী হলে বীফ খাওয়ার অপরাধে আমার ফেরার পাসপোর্ট জব্দ করবে...

তাপস শর্মা এর ছবি

আরে ধুর। কোন শালায় তোমার পাসপোর্ট জব্দ করব ? ওর ইয়েতে ইয়ে দিয়ে ইয়ে দেওয়া হবে । আর কানে কানে কই, খোকা এত্ত বড় সাহস একমাত্র দেখাতে পারে বারবারা মোরি, আজকালতো দেশের মধ্যে বিদেশীরাই বেশী কথা বলে খাইছে

এই যে দেখোনা। আমার বন্ধু কাল কলকাতা থেকে বলল - ভাইরে মানুষ দেখি বাঙলায় কথা কইতে ডরায় চিন্তিত । আমি ভাবলাম বেচারা বাবার ট্রটমেন্ট করাতে গিয়ে মাতৃভাষা ভুলে যাবার উপক্রম হল নাকি অ্যাঁ

আহা স্বামী মামি সমকামী - এদের নিয়েইতো গড়ছি আমরা বৈচিত্র। আহা সাধু সাধু থুক্কু স্বামী স্বামী ...

নুভান এর ছবি

এক হিটলার লোকান্তরে, লক্ষ হিটলার ঘরে ঘরে! অবাক করা বিষয়, এদের মূল আইডল কিন্তু হিটলারের মতন মানুষ। হিটলারের রক্তে যেমন বিশুদ্ধ জর্মন রক্তের মিশ্রনে ভেজাল থাকায় অতি জাতিয়তাবাদীতা দেখাতে গিয়ে লাখো-লাখো মানুষের রক্তে স্নান করেছে, তেমনি আমাদের স্বামীজি-র ও হয়তো রক্তে কোন সমস্যা আছে। ভয় হয়, এধরনের লোক ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের অবস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধাকালের অস্ট্রিয়ার মতন হয় কিনা! মিয়ানমারের হয়তো তখন রাশিয়ার ভূমিকা পালন করতে দেরী হবেনা। ভয়টা যেন ভয়ই থেকে যায়, বাস্তবে রূপ না নেয়!

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার কথায় এই ঘটনাটা মনে পড়ে গেল - খ্রীষ্টধর্মের প্রথম প্রধান প্রচারক এবং সংগঠক সেন্ট পল, যার থেকেই ওই ধর্মের আজকের চেহারাটার উৎপত্তি, তার কথায় সমকামীদের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দেমন্দ ও অভিশাপ থেকেই খ্রীষ্টধর্মে সমকামীদের এই খারাপ অবস্থা, আমেরিকা DADT নিয়ে সরগরম। অনুমান করা হয় যে পল নিজেই "self-loathing and repressed gay male" ছিলেন, যা থেকে তাঁর ওই কথাবার্তা।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

কৌস্তুভ এর ছবি

হাসি

হাসান এর ছবি

ছাগু দিয়ে দুনিয়া ভরে যাচ্ছে দেখি। ইনার কথার সাথে প্যাট রবার্টসন, জেরি ফলওয়েল আর আমাদের দেলোয়ার ছাইদীর কথাবার্তার মিল পেলাম। উত্তম।

কৌস্তুভ এর ছবি

'যাচ্ছে' মানে কী? দুনিয়ায় কোনোদিন ছাগুর অভাব ছিল নাকি!

তানভীর এর ছবি

দ্বিতীয়ত, স্বামী কিন্তু বহিষ্কৃত হন নি। তাঁকে পড়ানোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মাত্র। তাঁর প্রফেসর পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত কিন্তু হার্ভার্ড নিয়েছে বলে জানা নেই। অতএব তাঁকে বহিষ্কৃত বলা যায় না কিন্তু।

স্বামী হার্ভার্ডের সামার স্কুলে পড়াতেন। সামার স্কুলে যারা পড়ান তারা সম্ভবত এডজাঙ্কট বা কন্ট্রাক্টে কাজ করেন। এদেরকে হার্ভার্ডের কোর ফ্যাকাল্টি বলা যায় না। সামার স্কুলের ফ্যাকাল্টি লিস্টে দেখতে পাচ্ছি হার্ভার্ড কিংবা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকেও বিশেষজ্ঞরা এখানে পড়ান। স্বামীর পরিচিতিও লেখা আছে-

Subramanian Swamy, PhD (Harvard University), Chairman, Board of Governors, School for Communication and Management Studies, Cochin, India. Swamy teaches ECON S-110, ECON S-1316.

এক্ষেত্রে কোর্স থেকে অব্যাহতি দেয়া বা স্বামীর কন্ট্রাক্ট রিনিউ না করার অর্থই হার্ভার্ড থেকে স্বামীকে বহিষ্কৃত করা। স্বামী যেহেতু হার্ভার্ডে টেনিউরড পজিশনে ছিলেন না, কাজেই সে অর্থে তিনি হার্ভার্ডের 'প্রফেসর' নন; তাই সেটা কেড়ে নেওয়া বা না নেওয়ারও কিছু নেই।

কৌস্তুভ এর ছবি

দ্বিমত করছি। সামার স্কুলের প্রফেসরদের সাধারণত অ্যাডজাঙ্কট ধরা হয়। স্বামী কনট্রাক্টে কাজ করেন এমন কোথাও বলা হয়নি, বা তাঁর 'কন্ট্রাক্ট রিনিউ করা হয়নি' এমন কথাও কোথাও বলা হয়নি। টেনিওরড পদে না থেকে অ্যাডজাঙ্কট পদে থাকলেও, যতক্ষণ না কোনো প্রফেসরের পদ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ expel করা হচ্ছে অফিশিয়ালি, ততক্ষণ তিনি বহিষ্কৃত নন। কোর্স থেকে অব্যাহতি দিলেও তাঁকে (অ্যাডজাঙ্কট) ফ্যাকাল্টির তালিকায় ঠিকই রেখে দেওয়া হবে, যার প্রমাণ আপনারই দেওয়া তালিকায় তাঁর নাম এখনও থাকা।

ব্যাপারটা এইভাবে দেখতে পারেন - হার্ভার্ড ফ্যাকাল্টি হিসাবে স্বামীর নিশ্চয়ই একটা হার্ভার্ড আইডি আছে; সেটা কিন্তু রিভোক করা হয়নি। অন্তত, হয়েছে এমন কোনো ঘোষনা অফিশিয়ালি দেওয়া হয়নি। তাঁর কনট্র্যাক্ট উইথড্র করা হয়েছে, বা তাঁকে এক্সপেল করা হয়েছে, এমন কিছুও ঘোষণা করা হয়নি।

তানভীর এর ছবি

ওয়েবসাইট যদি আপডেট করা না হয়, তালিকায় নাম থাকতেই পারে, যেখানে এখনো লেখা আছে- Swamy teaches ECON S-110, ECON S-1316. আগামী বছর তালিকায় নাম থাকে কিনা সেটা জানিয়েন।

কোর্স থেকে অব্যাহতি দেয়া মানেই কন্ট্রাক্ট উইথড্র করা। কন্ট্রাক্ট মানে হলো টাকা-পয়সার হিসাব। এডজাঙ্কটরা না পড়ালেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় টাকা দেয় এমন কথা আমি কখনো শুনিনি।

কৌস্তুভ এর ছবি

হুঁ। তবে আমার মূল বক্তব্যটা এই যে, কনট্র্যাক্ট উইথড্র করা ধরলেও, কনট্র্যাক্ট খারিজ করা বা সম্পর্ক ছিন্ন করা এসব ক্ষেত্রে বহিষ্কার বা এক্সপেল শব্দটা ঠিক প্রযোজ্য বলে মনে হয় না। এবং অফিশিয়ালি ওই শব্দটা ব্যবহার না করা হলে, কোনো সংবাদপত্রের সেটা ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। যাহোক, আপনার যদি তা মনেও হয়, উই ক্যান এগ্রি টু ডিসেগ্রি।

তাসনীম এর ছবি

এই ছাগলটা এতোদিন কিভাবে হার্ভাডে ছিল এটাই বিস্ময়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

সব ফ্যাকাল্টিরা মিলে চাপ না দিলে আরো অনেকদিন থাকত, দেখছেনই তো প্রথমে 'ফ্রি স্পিচ' বলে হর্তাকর্তারা এড়িয়ে গেছিলেন। চরম প্রো-ইজরায়েলি Alan Dershowitz প্যালেস্টাইন সম্পর্কে একইরকম আগ্রাসী কথাবার্তা বলেও তো দিব্যি টিঁকে আছেন, যেমন স্বামী বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছেন। হার্ভার্ডের কর্তৃপক্ষও তো আর ধোয়া তুলসীপাতা নয়।

চরম উদাস এর ছবি

স্বামী কেন আসামী? ইয়ে, মানে...

কৌস্তুভ এর ছবি

সেই তো, খুবই অন্যায়!

দুর্দান্ত এর ছবি

আইভি লীগের ব্রাহ্মনেরা আগে 'হিন্দুত্ব' কারে কয় হেইডাই ঠিক কইরা কউক।

১। সিন্ধু-পাড়ের মানুষ হিন্দু অইলে, পাইক্কা আর পান্জাবীগো খালি 'হিন্দু' কইক। গংগা, ব্রহ্মপুত্ররে সেকুলার হাতে ছাইড়া দেইক।

২। বেদ -এর টুরু ফলোয়ার হিন্দু হইলে তো ইন্ডিয়ায় বিফস্টেক খাওয়ার হড়িক পড়ব।

৩। যদি 'সনাতন' কালচার (যদি থাকে) এর ফলোয়ারদের হিন্দু ধরি, তাইলে তো বৌদ্ধ গোও হিন্দু কওন লাগে - কিন্তুক তেনারা তো অহিংস - তাইলে ম্লেচ্ছ মারি কেমনে?

সভারকারের মতবাদ অনুসারে হিন্দু থাকতে হইলে তো সিন্ধু-থেইকা-ভারত সাগরের মধ্য়স্থানের বাইরে যাওয়ার উপায় নাই। বাইরে গেলেই ম্লেচ্ছ। তাইলে আম্রিকা গিয়া নিজে ম্লেচ্ছ হওয়ার পরে 'হিন্দুত্ব' নিয়া লাফালাফি করাটা কি ঠিক?

কল্যাণF এর ছবি

দুর্দান্ত...

কল্যাণF এর ছবি

চলুক

কৌস্তুভ এর ছবি

ভালো বলেছেন।

অ্যান্টি-বীফ হিন্দুত্ব তো সাম্প্রতিককালে দয়ানন্দ সরস্বতীর রিফর্মিস্ট আন্দোলনের ফসল। এখন হিন্দুত্ব রিচুয়াল দ্বারাই নির্ধারিত হয়, ভারতের কয়টা হিন্দু আসলে বেদ পড়েছে, সংস্কৃত জানে, গুণে দেখুন দিকি...

তাপস শর্মা এর ছবি

ভারতের কয়টা হিন্দু আসলে বেদ পড়েছে, সংস্কৃত জানে, গুণে দেখুন দিকি..

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাধু সাবধান ঃ লাউকৃষ্ণ থুক্কু লালকৃষ্ণ আডবানি পড়ছে এটা আমি জানি ইয়ে, মানে...

দুর্দান্ত এর ছবি

দয়ানন্দ তো মূররতিপুজাও বাদ দিতে কইছিল। সেইটা আর হইল কই? হালায় ইস্পিরিচুয়ালিটির চিপায় চিপায় চেরিপিকিনং।

তবে পশুর গোস্ত (খালি গরু না কিন্তু) না খাওয়ার পিছনে দয়াবাবার লজিকটা খিয়াল কইরাঃ

" Similarly, horses, elephants, camels, donkeys and sheep are of great service to man in various ways. Those who slaughter these animals should be looked upon as enemies of the whole human race. When the Aryas were in power, these most useful animals were never allowed to be killed. ~ How can you get fruits and flowers of a tree when its root is cut off?"

কৌস্তুভ এর ছবি

খাইছে

হিমু এর ছবি

পিথিমিতে প্রতি পাঁচজনে তিনজন ছাগু, একজন ছাগুপোন্দা, বাকিজন চীনা।

কৌস্তুভ এর ছবি

খাইছে

কল্যাণF এর ছবি

দেঁতো হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটা কি স্টিকি পোস্ট?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

একই প্রশ্ন। হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কৌস্তভ বলেছিলেন,

ধর্মসঞ্জাত কারণে প্রত্যক্ষভাবে অন্যের ক্ষতি করার ক্ষেত্রে মনে হয় ইসলামী মৌলবাদীরাই অগ্রগণ্য।

মহামান্য স্বামী বলেছেন,

I think Islamic terrorism is an even more serious existential threat.

কবি বলেছেন,

Great minds think alike.

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনি মুসলিম অ্যপোলজিস্ট হলেন কবে থেকে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখানে মুসলিম অ্যাপোলজিস্টের কি দেখলা?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধর্মীয় কারনে অন্য ধর্মের লোকদের ক্ষতি করার ব্যাপারে মুসলিমরা বেশ কয়েকবছর যাবৎ অগ্রগণ্য। অতীতেও কম ছিলো না। বিগত দশকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বরীরা হম্বি তম্বি করলেও, কিংবা অন্যান্য কারনকে কেন্দ্র করে বিগ্রহ করলেও শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে ম্যাসিভ গণহত্যা হয়নি তেমন। এটা একটা ফ্যাক্ট।

I think Islamic terrorism is an even more serious existential threat.

এখানে Islamic terrorism শব্দ বন্ধটাকে একসাথে দেখতে হবে। আলাদা করে দেখলে ভুল ইন্টারপ্রিটেশন হবে। Islamic terrorism যে মানবজাতির জন্য একটা থ্রেট এটা একটা ফ্যাক্ট।

সমস্যাটির সমাধাণে সুব্রহ্মণ্যন বা সুব্রামানিয়ানের প্রস্তাবিত পদ্ধতিগুলোতে সমস্যা। কৌস্তুভ সেটাই আলোকপাত করেছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ধর্মীয় কারনে অন্য ধর্মের লোকদের ক্ষতি করার ব্যাপারে মুসলিমরা বেশ কয়েকবছর যাবৎ অগ্রগণ্য। অতীতেও কম ছিলো না। বিগত দশকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বরীরা হম্বি তম্বি করলেও, কিংবা অন্যান্য কারনকে কেন্দ্র করে বিগ্রহ করলেও শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে ম্যাসিভ গণহত্যা হয়নি তেমন। এটা একটা ফ্যাক্ট।

এটা ফ্যাক্ট না। তবে এটা ফ্যাক্ট, নাকি ফ্যাক্ট না, আমার উপরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সেই হিসাবে যাওয়ার দরকার নেই। আমি শুধু কৌস্তভ আর স্বামী বক্তব্যের মিলটা দেখালাম। তাদের বক্তব্য সত্য, না মিথ্যা সেটা ভিন্ন আলাপ। এখন এই মিল দেখানোর কারণে মুসলিম অ্যাপোলজিস্ট ট্যাগ পেলে ক্যামনে কি!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনি যে টেকনিকটা এক্ষেত্রে ব্যবহার করলেন সেটাকে বলা হয় স্ট্র-ম্যান। দুটো লেখা থেকে একটা লাইন তুলে এনে বলে দিলেন তাদের বক্তব্য একই!? আবার বলছেন

তাদের বক্তব্য সত্য, না মিথ্যা সেটা ভিন্ন আলাপ

আমার তো মনে হচ্ছে আপনি কৌস্তুভকে সুব্রহ্মণ্যন বা সুব্রামানিয়ানের সাথে এক কাতারে ফেলবার একটা প্রি-ডিটারমাইন্ড অবস্থান থেকে সমালোচনা করছেন।

আমার মনে হয় পুরো ব্যাপারটা সঠিক ভাবে আলোচনা করা দরকার। এভাবে একটা লাইনের মিল খুঁজলে (যেটা ফ্যাকচুয়ালি সঠিক) সমস্যা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

'মনে হচ্ছে' / ধরে নিচ্ছি - এগুলো থেকে বেরোতে হবে।

এই প্রসঙ্গে আমি দুইজনের দুইটা বক্তব্য পাশাপাশি রেখেছি। তাদের মিলটা চোখে পড়েছে। ব্যস।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সচলে ধর্মপ্রচারের পোস্ট যেমন দেখতে চাই না, "religion poisons everything." - এই মহান বাণী প্রচারের পোস্টও দেখতে চাই না। কারণ, দুইটাই শান্তি নষ্ট করে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

"religion poisons everything." - এই মহান বাণী

কার শান্তি নষ্ট করে? আপনার?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই মহান বাণী কমনসেন্স আছে, এরকম যেকোনো মানুষেরই শান্তি নষ্ট করবে, সে ধার্মিক হোক আর ধার্মিক না হোক। 'ধর্মই সকল মধুর ভাণ্ড' এটার প্রচার সচলে নিষিদ্ধ হলে 'ধর্মই সকল বিষের ভাণ্ড' এটার প্রচার সচল কেন করবে, আমার বোধগম্য না। সচল কি উগ্রনাস্তিকদের সাইট নাকি?

আমি যতোদূর জানি, সচল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে দ্ব্যর্থহীনভাবে কথা বলার সাইট। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অধিকাংশ মানুষই ধার্মিক। ধর্ম বাংলাদেশের এই অধিকাংশ মানুষকেই বিষাক্ত করে ফেলেছে - এরকম কথার প্রচার সচলের উদ্দেশ্যের সাথে ১০০% সাংঘর্ষিক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নুভান এর ছবি

চলুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চলুক

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তোমার লজিকের অবস্থা ভয়াবহ। নিজে নিজের মন্তব্যগুলি পড় মনোযোগ দিয়া।

সচলায়তন কিন্তু ঠিক "বাংলাদেশী" সাইট না। সচলায়তন একটা আন্তর্জাতিক সাইট যেইখানে লেখার মাধ্যম বাংলা। ডিরেক্টিভ প্রিন্সিপল "সেক্যুলারিজম" এবং সেটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অনেক আগে থেকে। "সেক্যুলারিজম" শব্দের অর্থ "ইহজাগতিকতা"। সুতরাং সচলায়তনে ইহজাগতিকতাবাদী বক্তব‌্যের হেজিমনি থাকবেই। হেজিমনিমুক্ত অবস্থিতি পৃথিবীতে নাই। বাইরের মহাবিশ্ব সম্পর্কে ততটা জানিনা।

মুক্তিযুদ্ধকে সচলায়তন "গণযুদ্ধ" হিসাবে সমর্থন করে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের পারলৌকিক পদ্ধতি সেখানে অগুরুত্বপূর্ণ তথ‌্য।

এই কথাগুলি তুমি খুব ভালো করে জানো এবং বোঝ। বলতে খুব খারাপ লাগলো।

তাপস শর্মা এর ছবি

সচলায়তন কিন্তু ঠিক "বাংলাদেশী" সাইট না। সচলায়তন একটা আন্তর্জাতিক সাইট যেইখানে লেখার মাধ্যম বাংলা। ডিরেক্টিভ প্রিন্সিপল "সেক্যুলারিজম" এবং সেটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অনেক আগে থেকে। "সেক্যুলারিজম" শব্দের অর্থ "ইহজাগতিকতা"। সুতরাং সচলায়তনে ইহজাগতিকতাবাদী বক্তব‌্যের হেজিমনি থাকবেই। হেজিমনিমুক্ত অবস্থিতি পৃথিবীতে নাই। বাইরের মহাবিশ্ব সম্পর্কে ততটা জানিনা।

মুক্তিযুদ্ধকে সচলায়তন "গণযুদ্ধ" হিসাবে সমর্থন করে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের পারলৌকিক পদ্ধতি সেখানে অগুরুত্বপূর্ণ তথ‌্য।

সুমন চৌধুরী মহাশয় আপনাকে গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

- পাশাপাশি বলে যাই এই পোস্ট কোনভাবেই আমার শান্তি নষ্ট করে নাই...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সুমন, সরাসরি আসি। সচলে 'ধর্ম মধুর ভাণ্ড' এটা প্রচার নিষিদ্ধ হলে 'ধর্ম বিষের ভাণ্ড' এটা প্রচার নিষিদ্ধ হবে না কেন?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কেননা "ধর্ম বিষের ভান্ড" এই থিসিসটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, আলোচনার ভিত্তিতে যাচাই করা যায়। কিন্তু "ধর্ম মধুর ভাণ্ড" এর পিছনে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নাই। বরং এ বিষয়ে আলোচনার পুরোটা জুড়েই থাকবে ধর্মীয় ক্যাচাল। আপনি যদি মনে করেন এর পিছনে কোনো যৌক্তিক আছে, তাহলে ধর্ম প্রচার এড়িয়ে, যুক্তি তর্ক সহকারে এ বিষয়ে আপনি লিখে বুঝিয়ে দিলে বুঝতে পারতাম।

"ধর্ম বিষের ভান্ড" নিয়ে আপনি আরো বলেছেন:

এই মহান বাণী কমনসেন্স আছে, এরকম যেকোনো মানুষেরই শান্তি নষ্ট করবে, সে ধার্মিক হোক আর ধার্মিক না হোক।

অথচ এটা আমার শান্তি নষ্ট করে না। এবং আমার মনে হয় আরো অনেকেরই করে না। তাহলে কি আমার এবং এদের কমন সেন্স নাই?

আরেক জায়গায় আপনি আমাকে 'মনে হচ্ছে', 'মনে হয়' থেকে বেরুত বলেছেন। আমার মতে এগুলো পোলায়েট জেসচার। অপরপক্ষকে রিফিউট করার সময় তার ইগোকে আঘাত না দিয়ে বলতে চাইলে এভাবে বলা যায়। যেটা আপনার মধ্যে প্রকটভাবে অনুপস্থিত। যেমন ধরুন "মনে হচ্ছে" বাদ দিয়ে আমার একটা কথা আবার লিখে দেখাই কেমন শোনায়।

আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আপনি কৌস্তুভকে সুব্রহ্মণ্যন বা সুব্রামানিয়ানের সাথে এক কাতারে ফেলবার একটা প্রি-ডিটারমাইন্ড অবস্থান থেকে সমালোচনা করছেন।

মনোয়ার এর ছবি

মা.মু. ভাই - উপরের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য গুলো যেহেতু রেস্ট্রিকটেড না, তাই সিনয়র ব্লগারদের অলোচনার মাঝে আমার বাম হাত ঢুকালাম (অফটপিক হলে ডিলিট করে দিবেন)

এখন আমার অচল দুইটা পয়সা যোগ করি:

কিন্তু "ধর্ম মধুর ভাণ্ড" এর পিছনে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নাই

কেনো নেই? জানতে পারি প্লিজ? এইটা নিয়ে আলোচনা করলে যদি সেটা যদি 'ধর্মীয় ক্যাচাল' বা ধর্মীয় 'ক্যাচাল' অথবা 'ধর্মীয়' ক্যাচাল -এর ট্যাগ পরে তাহলে তো আমার এবং আরো অনেকের শান্তি নষ্ট হবে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার জানা মতে "ধর্ম মধুর ভান্ড" দাবীটির যৌক্তিক ভিত্তি নাই। আপনার জানা থাকলে সেটা নিয়ে লিখুন। আর "ধর্ম মধুর ভান্ড" এই দাবী আমি করি নাই। সুতরাং এটা প্রমানের দায় আমার না।

আপনি দুনিয়ার যাবতীয় ধার্মিকের তালিকা তুলে দিয়ে আমার পয়েন্টটাই জোরালো করলেন। কার শান্তি নষ্ট হবে সেটা চিন্তা করে আলোচনা করা বন্ধ করাটা ভুল। যুক্তির ভিত্তিতে কোন কথাটা দাঁড়ায় কোনটা দাঁড়ায় না সেটাই সর্বাগ্রে প্রাধাণ্য পাওয়া উচিৎ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সচলায়তন কিন্তু ঠিক "বাংলাদেশী" সাইট না।

সচলায়তনকে বাংলাদেশী সাইট বলেছি নাকি?

সচলায়তনকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলার সাইট বলেছি। বাংলাদেশের ৯৯% মানুষকে বিষে আক্রাণ্ত আখ্যা দিয়ে স্বাধীনতার কথা কিভাবে বলা যায়, আমার বোধগম্য না। অবশ্য স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলার অবস্থান থেকে সচল সরেছে কিনা, আমার জানা নাই। রিসেন্টলি নীতিমালা পড়ি নাই; কোন পরিমার্জন, পরিবর্ধন হয়েছে নাকি?

ধর্মপ্রচার বন্ধের কারণ কি? ধর্মের প্রতি বিষোদগার প্রচারও কেন সচলের বৈশিষ্ট্য হবে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কৌস্তুভের বক্তব্যকে একজন উগ্রপন্থী ধর্মীয় মৌলবাদীর বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে করা এই মন্তব্যটিকে সহসচল কৌস্তুভের জন্য অপমানজনক হিসেবে দেখছি।

একজন সহসচলের প্রতি এরকম মন্তব্য সচলায়তনে কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়।

মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মনোয়ার এর ছবি

রতন ভাই - স্যরি একমত হতে পারলাম না

(কৌস্তুভের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলছি) বলাই'দা তো মন্তব্য দুইটার মিল তুলে ধরেছেন মাত্র - কৌস্তুভকে তো অপমান করেননি। তাঁর ৩য় মন্তব্যটি হয়ত দরকার ছিলনা, কিন্তু তাই বলে এখানে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কিছু আমি দেখছিনা।

সচল একটা অনেক বড় পরিবার - এখানে বহুমত থাকতেই পারে। শালীন ভাবে মত প্রকাশ করলে যদি মডারেটর'দের খড়গ নেমে আসে তাহলে ক্যাম্নেকি?

তাপস শর্মা এর ছবি

মনোয়ার মহাশয় -

জ্বী, না উনার মতে কোথাও শালীনতা ছিলনা। একজন ছাগল এবং আরেকজন ছাগলপোন্দা কি করে এক হতে পারে কন তো দ্যাখি ?

কৌস্তভের এই লেখায় জাতিবিদ্বেষ কিংবা উগ্রতা কোথায় আছে ? আর ধর্মের নষ্টামির সরূপ তোলে ধারার পর সে কি করে সেই ধর্মের বাহক হয়ে যায়।

উদাহারন -

কৌস্তভ বলেছিলেন,

ধর্মসঞ্জাত কারণে প্রত্যক্ষভাবে অন্যের ক্ষতি করার ক্ষেত্রে মনে হয় ইসলামী মৌলবাদীরাই অগ্রগণ্য।

মহামান্য স্বামী বলেছেন,

I think Islamic terrorism is an even more serious existential threat.

কবি বলেছেন,

Great minds think alike.

তারপর -

এই প্রসঙ্গে আমি দুইজনের দুইটা বক্তব্য পাশাপাশি রেখেছি। তাদের মিলটা চোখে পড়েছে। ব্যস।

- সুতরাং এইবার তো ক্লাস ইলেভেনের ফিলসফি ক্লাসের ঘুমপাড়ানি ক্লাসের জোকসের মন্তব্যের মতোই বলতে হচ্ছে - রবীন্দ্রনাথের দাড়ি আছে, ছাগলেরও দাড়ি আছে। সুতরাং রবীন্দ্রনাথ হন একজন ছাগল ? বলুন তো কোনটা ঠিক ? ( এখানে আবার কৌস্তভের সাথে রবির মিল খোঁজার / বা তুলনার চেষ্টা করবেন না । দোহাই স্যার )

এইবার কথা হল - মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। অবশ্যই আছে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে আরেকজনের বিরুদ্ধে অমানবিকর মন্তব্য করাটা কতদূর যুক্তিসঙ্গত ? তা কি উনি ঠক করেছেন ?

যার ছাগলামি নিয়ে এই পোষ্টের লেখক কথা বললেন, তার সাথেই ওর তুলনা করে বসলেন ? এটার নাম যদি বাক স্বাধীনতা হয়, দেন আই এম সরি টু সে- উনার চিন্তায় গণ্ডগোল আছে...
উপরে সুমন সুমন চৌধুরী মহাশয় আরও অনেক ভালোভাবে উনার অসংগতি গুলি ধরিয়ে দিয়েছেন। তারপরও যদি উনি উনার বক্তব্যে অনড় থাকেন, তাহলে ক্যাম্নে কী ?

এইবার আপনার কথায় আসি -

(কৌস্তুভের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই বলছি) বলাই'দা তো মন্তব্য দুইটার মিল তুলে ধরেছেন মাত্র - কৌস্তুভকে তো অপমান করেননি। তাঁর ৩য় মন্তব্যটি হয়ত দরকার ছিলনা, কিন্তু তাই বলে এখানে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কিছু আমি দেখছিনা।

আপনার সাথে যদি জামাতের মিল খোঁজা হয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে ? ধরুন আপনি লিখেছেন - সাঈদি নামক রাজাকার বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক। এবং ইসলামকে আশ্রয় করে ধর্মের দোহাই দিয়ে, নানা অপকর্ম করেও সেই মানুষটির বিচার হচ্ছেনা। জবাবে যদি আমি এসে বলি -

এই মহান বাণী কমনসেন্স আছে, এরকম যেকোনো মানুষেরই শান্তি নষ্ট করবে, সে ধার্মিক হোক আর ধার্মিক না হোক। 'ধর্মই সকল মধুর ভাণ্ড' এটার প্রচার সচলে নিষিদ্ধ হলে 'ধর্মই সকল বিষের ভাণ্ড' এটার প্রচার সচল কেন করবে, আমার বোধগম্য না। সচল কি উগ্রনাস্তিকদের সাইট নাকি?

আমি যতোদূর জানি, সচল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে দ্ব্যর্থহীনভাবে কথা বলার সাইট। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অধিকাংশ মানুষই ধার্মিক। ধর্ম বাংলাদেশের এই অধিকাংশ মানুষকেই বিষাক্ত করে ফেলেছে - এরকম কথার প্রচার সচলের উদ্দেশ্যের সাথে ১০০% সাংঘর্ষিক।

- তাহলে আপনি আমাকে সুস্থ বলবেন ? নাকি আপনি তা মেনে নেবেন?

আর তারপর বলতে পারবেন

সচল একটা অনেক বড় পরিবার - এখানে বহুমত থাকতেই পারে। শালীন ভাবে মত প্রকাশ করলে যদি মডারেটর'দের খড়গ নেমে আসে তাহলে ক্যাম্নেকি?

- একজন অসভ্যের সাথে যদি একজন সভ্যের মিল খোঁজা হয়না, তখন তাতে শালীনতা থাকেনা। আর তাই সুব্রহ্মণ্যন নামক কুত্তার মন্তব্যের সাথে কৌস্তভের মন্তব্যের মিল খোঁজাটাতেও শালীনতা নেই। ইটস আনরিয়েলেস্টিক। একটা মুর্খামি...............

তাপস শর্মা এর ছবি

আর এই যে আমি এই কথা গুলি বলছি। এটা সচলে বলেই সম্ভব। আর সচলায়তন বলেই এই ধরণের ছাগুগিরি সহ্য করা হয়না। একজনেরটা দেখলে আরেকজন এগিয়ে আসে, যেমন এসেছেন অনার্য'দা।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি যদি এমন কোনো মন্তব্য করি:

মনোয়ার বলেন: এখানে বহুমত থাকতেই পারে।
গু আযম বলেন: এখানে বহুমত থাকতেই পারে।
কবি বলেন: সব শেয়ালের এক রা।

কেমন হয়? এটা তো আমার স্বাধীন মতপ্রকাশ। আপনি কিন্তু বলেছেন "এখানে ভিন্নমত থাকতে পারে"। গু আযমও বলে থাকবে হয়তো, এখানে (অর্থাৎ, পাকিস্তানের বিভক্তির প্রশ্নে) ভিন্নমত থাকতে পারে।

আমি তো কেবল বক্তব্যের মিল তুলে ধরলাম, তাইনা?

আমার মনে হয় কোন কথাটার কী মানে সেটা বোঝার মতো যৌনকেশ আমাদের সবারই উঠেছে। কী বলেন?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাপস শর্মা এর ছবি

অনার্য দা গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কল্যাণF এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

shafi.m এর ছবি

চলুক

আমি সময়ের জলে গা ভাসায় দিছি, তবু এদের জন্যে খারাপ লাগে। আমার মনে হয়, ওরা যা বলে তার মোটিভ মানুষের এটেনশান আক্রিষ্ট (ভুল বানান, সরি) করা আর দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাবসা (দূরদর্শি পরিকল্পনা)-র মিশ্রন। মনে হয়, দুটোতেই সফল হবেন উনি বা উনারা।

শাফি।

কৌস্তুভ এর ছবি

ঠিক...

রু (অতিথি) এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলেন। লেখা বিষয় নিয়ে কিছু বলছি না। এইধরণের কথাগুলা কান দিয়েই আর ঢুকাতে চাইনা।

কৌস্তুভ এর ছবি

হ্যাঁ দাদা, সময়ের বড়ই টানাটানি যাচ্ছে...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

লেখার জন্য ধন্যবাদ। এই তথ্য জানা ছিলো না।

তবে নামের বাংলাকরণ এবং মূলানুগকরণ নিয়ে ঘোর আপত্তি আছে। আজ পর্যন্ত যতজন সুব্রামানিয়ামের সাথে আলাপ হয়েছে, তারা সবাই বেশ স্পষ্ট করেই তাদের নাম "সু-ব-রা-মা-নি-য়া-ম" বলেছে। একটা এ-কার বা আ-কার এদিক সেদিক হতে পারে। আনন্দবাজারের এই নাম বিকৃতিকরণের প্রচেষ্টাটা সিমপ্লি ডিজগাষ্টিং - এটা নিয়ে এব্লগে-সেব্লগে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের প্রতিক্রিয়াহীনতাটা তাদের মানসিক দৈন্যই প্রকাশ করে। সুব্রামানিয়াম-দের বাবা-মা'রা তাদের যে উচ্চারণে ডাকেন, তারা নিজেদের যে উচ্চারণে পরিচয় দেন, সেটাই তাদের নাম। শিরোনামে আপনি তার নাম বিকৃত করেছেন বলেই মনে করি, এবং ব্যাপারটা আপত্তিকর।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভদ্রলোকের নাম সুব্রামানিয়ান, সুব্রামানিয়াম নয়। কিংবা কৌস্তুভের মতে "সুব্রহ্মণ্যন", "সুব্রহ্মণ্যম" নয়। সে অর্থে আপনিও নাম বিকৃত করলেন। খাইছে

(সহজ-সরল ঠাট্টা হিসেবে করেছি মন্তব্যটা। অন্য কোন মানে দাঁড়ায়নি আশা করি। হাসি )

যুধিষ্ঠির এর ছবি

হাসি

নাহ ভুল করলেন। আমি স্বামী সাহেবের নামই নেই নি, কাজেই সেটা বিকৃত করার প্রশ্নই ওঠে না! আমি বলেছি আমি যাদেরকে চিনি তাদের কথা - তারা সবাই সুবরামানিয়ামই ছিলেন! হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুমম। বিশেষ করে লেখকের এই বক্তব্য চোখে লাগে:

যদিও আনন্দবাজারের ব্যবহৃত সুব্রহ্মণ্যন বানানটাই বেশি মূলানুগ, ব্যুৎপত্তির দিক থেকে।

নামের আবার বুৎপত্তি কি? যার নাম তিনি যেমন চাইবেন সেরকম হবে তার নামের উচ্চারণ। আমি এক ভারত বংশীয় আমেরিকানকে চিনি, নাম Viren, ভারত উচ্চারন ভিরেন, কিন্তু ভদ্রলোক উচ্চারন করে ভরেন হিসেবে - অনেকটা আমেরিকানদের মতো। এবং "মূলানুগ" না হলেও এটাই গ্রহণ করতে হবে। নইলে তাকে অপমান করা হয়।

আউটসাইডার এর ছবি

চলুক চলুক

সাফি এর ছবি

আনন্দবাজারীয় নাম বিকৃতিকরণ আর বিডি নিউজের নাম বিকৃতিকরণে তো মনে হয় পার্থক্য আছে। আমি বাংলায় আমার নাম লিখি "সাফি" আনন্দবাজার এইটাকে হয়ত বাংলাতেই ছাপাবে "শফি"। আমি যদি আরবী ভাষায় আমার নাম লিখতাম তাহলে আমার নামের উচ্চারণভেদ করে পত্রিকায় ভিন্ন বানানে লেখায় দোষ ধরতাম না। পার্থক্যটা কি বুঝাতে পারলাম?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আনন্দোবাযার এটা করে মজা নেয়। এগুলা বুঝতে হপে।

বিডিনিউজ বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ কর্তে গিয়ে ভুল্ভাল করেছে। আনন্দোবাযারের ছাগ্লামির সাথে এটার তুলনা চলে না।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আনন্দবাজারের নাম বিকৃতি অসহ্য লাগে। আর অনেকটা যেন ইচ্ছা করেই সাহিত্যিকদের নামের বানান ভুল করে।

কৌস্তুভ এর ছবি

নাম নিয়ে যাঁরা মন্তব্য করেছেন তাঁদের একসাথে উত্তর দিচ্ছি।

আনন্দবাজারের নাম-সংক্রান্ত নানা অদ্ভুত অভ্যাসের একটা হল, যাঁরা বাংলাতেই নাম লেখেন তাঁদের (বিশেষত বাংলাদেশী) নামের বানানও অদ্ভুত ভাবে লেখা। সেটা নিয়ে আপনারা অনেক সময়ই কথা তুলেছেন, এবং সে নিন্দা আনন্দবাজারের অবশ্যই প্রাপ্য। কিন্তু সেটাই তাদের একমাত্ঃ(বানান-দোষ নয়। অবাঙালি নামেদের বাংলায় ট্রান্সলিটারেট করতে গিয়েও তারা ইচ্ছাকৃত ভুল করে প্রায়ই। শেহবাগ'কে সহবাগ লেখার মত কাজ মোটেই ফোনেটিক-অনুকূল নয়, অর্থাৎ শেহবাগ যেভাবে তাঁর নাম উচ্চারণ করেন সেটা ফোনেটিকে কোনোভাবেই সহবাগ আসে না।

বিডিনিউজের ভুলটাও উচ্চারণ ঠিক রেখে স্রেফ ফোনেটিকে লেখার তারতম্য নয়। Subramanian-কে কোনভাবেই সুব্রামনিয়া লেখাটা জাস্টিফাই করা যায় না। এটা ঠিক যে আমার শোনা অধিকাংশ লোকই তাঁদের নাম সুব্রমন্যম-ই বলেন, কিন্তু স্বামীর নামে যখন ম নয়, ন আছে তখন সেটাই লিখতে হবে বইকি।

সুব্র>সুব্রা, মন্য>মনিয়া এগুলোই "এ-কার বা আ-কার এদিক সেদিক", এগুলো নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কারণ স্বামী কখনই তাঁর নাম বাংলায় লেখেন নি, অতএব তাঁর নির্ধারিত উচ্চারণটার জন্য বাংলায় সঠিক বানান কী হবে সেটা তিনি ঠিক করে দেন নি। অতএব উচ্চারণ ঠিক রেখে বানান ইচ্ছামত লিখলে কিছু যায়-আসে না, আমার মতে।

এই ধারণা থেকেই আমি আনন্দবাজারের সুব্রহ্মণ্যন বানানটা গ্রহণ করেছি, কারণ বাংলা উচ্চারণে সুব্রহ্মণ্যন বা সুব্রমন্যন একই দাঁড়ায়। আর সংস্কৃতের মূল অনুসারে এক্ষেত্রে সুব্রহ্মণ্যন বানানটাই আসে (যদিও এটা ঠিক যে সুব্রহ্মণ্যম সম্ভবত সর্বাদিক প্রচলিত এবং সম্ভবত শুদ্ধতর)। এবং এটা আনন্দবাজারের ভিরাট কোহ্‌লি-কে বিরাট লেখার মত ব্যাপার নয়। কারণ শব্দটা মূলানুসারে বিরাট হলেও, হিন্দি উচ্চারণে যখন ভিরাট তখন সেটাই লিখতে হবে। এখানে বিরাট লিখলে স্পষ্ট উচ্চারণের ভুল।

এবং ওই বানানের সমর্থন আসে এই থেকে - স্বামী অবশ্যই তাঁর নাম হিন্দি/দেবনাগরীতে লিখে থাকেন, বাংলাতে না লিখলেও। এবং सुब्रहमण्यन स्वामी বানানটা সেখানে প্রচলিত, যা সুব্রহ্মণ্যন বানানটার সরাসরি সমান।

অতএব, যুধিষ্ঠিরদা, আমি নাম-বিকৃতি করি নি। উচ্চারণ একই রেখে বানানের যে ফোনেটিক তারতম্য হতে পারত, তার একটাকে গ্রহণ করেছি। এবং তার ব্যাখ্যা দিলাম উপরে।
মুর্শেদ ভাইকে একই বক্তব্য - "যার নাম তিনি যেমন চাইবেন সেরকম হবে তার নামের উচ্চারণ" অবশ্যই, কিন্তু উচ্চারণ এক রেখে প্রতিবর্ণীকরণ করার সময় একটা মূলানুগ বানান লিখলে সমস্যা কোথায়?
সাফি, বিডিনিউজ ন-কে ম করেছে, এবং এই প্রতিবর্ণীকরণে বানান ভুলের অভ্যাসটা আনন্দবাজারেরও আছে। আপনি আনন্দবাজারের যে অভ্যাসটার কথা বললেন, তার উপরেও। মানছেন?
শুভাশীষ, আনন্দবাজারের অনেকরকম 'ছাগ্লামির' ওটাও একটা ধরন। উপরে সাফিকে সে কথা বললাম। আর 'হার্ভার্ড ক্রিমসন'কে 'হার্ভার্ড ক্রাইমসিন' লেখাটা প্রতিবর্ণীকরণে চরম একটা 'বলদামির' নিদর্শন না কি?
ফাহিম, শুধু সাহিত্যিক না, খেলোয়াড় ইত্যাদি অনেকেরই নামের বানান লেখার সময় আনন্দবাজার একটা স্বেচ্ছাকৃত অদ্ভুত কনভেনশন ব্যবহার করে, যেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভ্রান্ত, এবং বিরক্তিকর।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

তিনটা লিঙ্ক দিলাম। উইকিতে লেখা- sometimes spelt Subramaniam Swamy; উইকির হিন্দি ভার্সানে আছে- सुब्रमणियन स्वामी; सुब्रहमण्यन स्वामी নয়। ইউটিউবের ভিডিওতে শুনে মনে হচ্ছে- সুব্রামানিয়ান।

এই অদ্ভুত আনন্দোবাযারীয় বানানটা শিরোনামে দেখতে বিরক্তই লাগছে।

কৌস্তুভ এর ছবি

কিন্তু উইকির হিন্দি ভার্সনে স্বামীর পেজে বা জনতা পার্টির পেজে কোথাওই যে কোনো রেফারেন্স নেই। রেফারেন্স ছাড়া सुब्रमणियन स्वामी বানানটাই বিশেষ করে কেমনে গ্রহণ করি, বলুন?

বেশ তো, আপনি শিরোনামের বানানটা রিফিউট করে এমন একটা পোক্ত রেফারেন্স দিন না, এই যেমন ধরুন স্বামীর নিজস্ব কোনো ওয়েবসাইটে যদি ঠিক বানানটা দেখাতে পারেন তো খুবই ভালো। (আমি পাইনি।) ধন্যবাদসহ যথাশীঘ্র সম্ভব বদলে দেব।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ইউটিউবে কান দিয়ে শুনতে পেলাম। আর ঐ সোয়ামি তখন ঐখানেই বসা। নাম উচ্চারণ ভুল কর্লে প্রতিবাদ তো কর্তেনই।

সোয়ামির ওয়েবসাইটে এইটা পেলাম।

আরেক জায়গায় নামের পিছে 'N' এর জায়গায় 'M' লাগাইয়া হাসতেছেন ভদ্দরলুক।

কৌস্তুভ এর ছবি

তাইলেই বলেন, 'ঠিক' ধরে কোনটাকে শিরোনামে দিই?

swamy39.blogspot.com কিন্তু স্বামীর নিজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট না। এক ফ্যান বানিয়েছে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার কমেন্টের প্রথম লাইনটা কি পর্ছেন?

কৌস্তুভ এর ছবি

হ গো দাদা। কিন্তু য়ুট্যুব ভিড্যুতে তো শুধু উরুশ্চারণটাই শোনা যায়, 'ঠিক বানান' পড়তে পাওয়া যায় না...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আহারে কি কষ্ট গো, দাদা। আনন্দোবাযারের ছুদ্ধ বানান নিয়ে কি ভিষম জিহাদ। আনন্দোবাযারের ছাগ্লামির জয় হোক গো, দাদা।

কৌস্তুভ এর ছবি

আহা রাগবেন না। রাগলে এমন কথাটথা জড়িয়ে যায়, মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে... তাই তো রাগকে চণ্ডাল বলে। সত্যজিৎ বলে গেছেন, অনর্গল ঘৃতকুমারী। খাইছে

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উহ্‌হু, আনন্দোবাযারকে বকেছি। রাগার কথা তো আপনার, ভাইটু। কথাটথা জড়ানোর কথাবার্তাও বলছেন দিকি। তা মশাই, শরিঢ়টরিঢ় ঠিকাছে তো?

হিমু এর ছবি

আপনারা দুইজন দ্বীনের রাহে আসেন। থাজ জমে গেছে বেশি। থাজ থেস করা দরকার। একে অন্যের উপর থাজ থেস না করে মমিনকে তাগ করুন পশুম্যাডামের দিকে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মাত্তর অবসর পাইলাম। দেশেও যাই নাই। এতো অল্পে থাজ থেস হয়ে গেলে ক্যাম্নে কি? শয়তানী হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

দুইজন হেঁদু, তার মধ্যে একজন আবার বামুন - তাদের আপনি এচলামের পথে নিয়ে আসার দুরভিসন্ধি করছেন? স্বামী গং জানতে পারলে তো আপনাকে...

সাফি এর ছবি

আনন্দবাজারের বানান ভুলটা কিন্তু আনন্দবাজার বানান শুদ্ধিকরণ হিসেবে দেখে, অর্থাৎ আমি আমার নামের বানান যাই দাবী করি না কেন, তারা যেটাকে শুদ্ধ মনে করে সেটাকে লেখে - উচ্চারণের ধার না ধরে। এক্ষেত্রে বিডিনিউজের রিপোর্টে যেই ভুলের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, সেটা নেহায়েৎ কাঁচা এবং ভুলে ভরা রিপোর্টিং এর উদাহরন হতে পারে, বিডিনিউজ আর আনন্দবাজারকে এক পাল্লায় তোলার মত হতে পারেনা। ক্রিমসনকে ক্রাইমসিন লেখা অবশ্যই বলদামির নিদর্শন, কিন্তু সেটা ইচ্ছেকৃত কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।

কৌস্তুভ এর ছবি

আচ্ছা, এসব বাদ্দিয়ে বরং আনন্দবাজারীয় বলদামির কিছু নমুনা দেখি। আমার আগে ধারণা ছিল, 'হার্ভার্ড ক্রাইমসিন'এর মত জিনিস তারা করে না। কিন্তু আমার সে ভ্রান্তি অপনোদিত হয়েছে।

এইটা আগেই সচলে লিঙ্কিয়েছিলাম - উইলিয়াম-কেটের বিয়েতে গাওয়া hymn সম্পর্কে আনন্দবাজার বলছে, “তাই তো ডায়ানার শেষকৃত্যে গাওয়া ‘হাইমেন’ গাওয়া হল আজকের অনুষ্ঠানেও।”

আর একজন বিশিষ্ট তরুণ ক্রীড়া-হাম্বাদিক আছেন, রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সৃষ্টিতে প্রায়ই অনির্বচনীয় বিস্ময় পাই। একদা ওয়ার্নের সম্পর্কে লিখেছিলেন, "মোবাইলের আউটবক্স ভরে থাকে বিভিন্ন মহিলার পাঠানো অশ্লীল মেসেজে।"

সাফি এর ছবি

এই রাজর্ষি দেখি বেশ নিষ্পাপ, ইনবক্স আউটব্ক্স গুলিয়ে ফেলেছে হো হো হো

কৌস্তুভ এর ছবি

খিক খিক...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তাও ভালো, আনন্দবাজার যে আনন্দের চোটে শেহবাগ'কে 'সহবাগ' লিখতে গিয়ে তার সাথে 'সহবাস' করে ফেলেনি!

কৌস্তুভ এর ছবি

সে কাজও কি আর করেনি? উপরের কমেন্টটাতেই দেখুন না!

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছাগুবচন:

ছাগু সর্বত্র বিরাজমান।

ছাগু বিদ্বান হলেও সঙ্গ পরিত্যাজ্য।

দুষ্টু ছাগুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল।

অল্প ছাগু কাতর, অধিক ছাগু পাথর।

উঠন্ত ছাগু পত্তনেই চেনা যায়।

ঘর পোড়া ছাগু সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পায়... ইত্যাদি।

কৌস্তুভ এর ছবি

হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছের মত কিছু ভাবছেন? হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

আরে নাহ।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আনন্দবাজারের অ্যাপলজি নাকি?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কৌস্তুভ এর ছবি

আহা, দারুণ প্রশ্ন। পুরো লেখাটার শেষে একটা টীকা থেকেই পুরোটাকে আনন্দবাজারের অ্যাপলজি বলে ধরে নেওয়া যাচ্ছে কিনা, আপনিই বলুন না।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

তা যাচ্ছে না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কৌস্তুভ এর ছবি

বেশ। ধন্যবাদ।

কৌস্তুভ এর ছবি

সাফি ভাইয়ের উত্তরে আমার ৭২ নম্বর কমেন্টটাও দেখতে পারেন, তাহলেও দেখবেন আনন্দবাজারের অ্যাপলজিস্ট হওয়ার জন্য আমি কতটা উদগ্রীব। হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পুরা পৃথিবী শিক্ষিত বালছালে ভইরা যাচ্ছে

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কৌস্তুভ এর ছবি

মন খারাপ

দ্রোহী এর ছবি

ছাগুতে ছয়লাপ চারিদিক.....

কৌস্তুভ এর ছবি

আসেন সবাই কালীভক্ত হয়ে যাই। টপাটপ পাঁটা বলি দেবো আর পাঁটার কালিয়া পাঁটার কোর্মা খাবো। ছাগুর সংখ্যা এক্সপোনেনশিয়ালি কমে যাবে।

দ্রোহী এর ছবি

পৃথিবীতে ৫ জনে ৩ জন ছাগু! বলি দিয়ে আর কয়টা কমানো যাবে?

ইয়ে, মানে...

কৌস্তুভ এর ছবি

আর কি, এই তো ২০১২-তে অ্যাপোক্যালিপ্স চলে এল বলে, সব ছাগু ঝাড়েবংশে ধ্বংস হয়ে যাবে...

কৌস্তুভ এর ছবি

একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে একটু কথা যোগ করে যাই এখানে। স্বামী গোটা লেখাটায় সম্ভবত একটাই সঠিক প্রসঙ্গ তুলেছেন, সেটা হল অভিন্ন দেওয়ানী বিধির দাবি। এইটা ভারতের বিভিন্ন মানবাধিকার ও নারী-অধিকার সংগঠন চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। ভারতের মত ধর্মনিরপেক্ষ দেশে জাতি-ধর্ম ভেদে ভিন্ন দেওয়ানী বিধি থাকাটা মানায় না। এবং এটার সুযোগ নেওয়া হয় নানাভাবে। হিন্দু বিবাহ আইনে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ বলে, চিত্রতারকা ধর্মেন্দ্র এক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রেয়সী নায়িকা হেমামালিনীকে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হয়ে যান এবং তারপর বিয়ে করেন। তবে এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা হচ্ছে শাহ বানু মামলা, যেখানে ১৯৭৮য়ে এক মুসলিম মহিলা স্বামীর থেকে তালাক পাওয়ার পর খোরপোষের দাবী করেন, কিন্তু মুসলিম আইনে প্রত্যাখ্যাত হন। তিনি মামলা করলে সুপ্রীম কোর্ট একটি বিশেষ ধারা দেখিয়ে খোরপোষের পক্ষে রায় দেয়, এবং বলে যে আইন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রযোজ্য। আর এদিকে বিজেপি যেমন উগ্র হিন্দুত্ববাদী, কংগ্রেস তেমনই সংখ্যালঘু-তোষক, অবশ্যই ভোটের লোভে। রাজীব গান্ধীর কংগ্রেস সরকার মুসলিম গোষ্ঠীগুলির চাপে পড়ে যে আইন পাশ করে, তাতে কোর্টের ওই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মুসলিম পার্সোনাল ল-কেই অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

এই সোয়ামীজির যতো যতো শিক্ষিত সমর্থক, বাংলাদেশে জামাতের ও অপরাপর হিন্দুবিদ্বেষী- (নাকি বৈরী-?) -দেরও কি একদিন ততো ততো শিক্ষিত সমর্থক হবে? এমন সত্যবাদী গো . . .

কৌস্তুভ এর ছবি

যারা শিক্ষিত হয়েও মৌলবাদী ভাবনা পোষণ করে থাকে, তাদেরই ভয়টা বেশি...

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

একেবারে খারাপ বলেন নাই। সোয়ামীর কাণ্ডটা কিন্তু আইনত দণ্ডনীয় না। সেক্ষেত্রে হার্ভার্ড তার বক্তব্যের উপর মোরাল জাজমেন্ট আরোপ করতে পারে কিনা তাও দেখার বিষয়। ব্যাপারটা কিন্তু পরিষ্কার না।

তাপস শর্মা এর ছবি

দু এক পেকেট কাজু বাদাম দুচার কিলো চিনি - সময় মতো সন্ধ্যে হলে সব শালাকে চিনি চোখ টিপি

কৌস্তুভ এর ছবি

তোমার স্বরচিত নাকি? দ্বিতীয় লাইনটা বেশ লাগল হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

শিলাজিত

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি রেস্ট্রিক্ট-এ লিখলাম না, সরাসরি বলছি, এই পোস্টটা স্টিকি হয়ে থাকার গুরুত্ব বুঝতে পারছি না।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি ক্রিমসন-মডু বটে, কিন্তু এ বিষয়ে আমার হাত ছিলনা... অনুজীব-মডুর কাজ বোধহয়...

যদুদত্ত  এর ছবি

আমার সীমাবদ্ধতা ক্ষমা করবেন, শেষ মন্তব্যটা পড়ে মনে হলো ভারতীয় দেওয়ানী বিধি ঠিক ঠিক কি বলে জানা উচিৎ - কিন্তু কোথায় পাওয়া যায় তা জানিনা - লিঙ্ক দিতে পারবেন একটা?

কৌস্তুভ এর ছবি

ওই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির সম্পর্কে উইকিতে খানিকটা লেখা আছে, http://en.wikipedia.org/wiki/Uniform_civil_code_of_India

আর ভারতের সংবিধান পুরোটা দেখা যাবে এখানে - http://indiacode.nic.in/coiweb/welcome.html

যদুদত্ত  এর ছবি

অজস্র ধন্যবাদ! পড়লাম, ভাবলামও খানিকক্ষন ... অভিন্ন দেওয়ানী বিধি যে যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন নেই, কিন্ত বিভিন্ন পক্ষের ঐকমত্য না হলে আইন প্রনয়ণ করা নির্ঘাত খুব মুশকিল, আর এ কথা তো বোধকরি তাত্ত্বিক ভাবে প্রমাণ করা যায় যে সবার অবস্থান/পছন্দ (অর্থাৎ ইউটিলিটি ফাংশান) ও অভিজ্ঞতা খুব আলাদা আলাদা হলে ঐকমত্য অসম্ভব - আপোষ ছাড়া গত্যন্তর নেই ...
(অবান্তর মনে হলে দুঃখিত)

Sohel H Rahman এর ছবি

ইনি আবার মন্ত্রী হলেও আবাক হবনা। দিল্লির অনেক কর্তাব্যক্তিরই বাংলাদেশ সম্পর্কে একই মত।

কৌস্তুভ এর ছবি

বিজেপি ক্ষমতায় এলে ইনি, নরেন্দ্র মোদী, ইত্যাদি অনেক ডেঞ্জারাস লোকজনই মন্ত্রী হবে। তবে কংগ্রেসের মন্ত্রীরাই বা খারাপ কাজকর্মে কম যায় কিসে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আচ্ছা, ইন্ডিয়ায় ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ নয় কেনো বলুন তো? এই প্রশ্নটা ইন্ডিয়ায় কীভাবে ডিল করা হয়? নাকি এই প্রশ্নটাই ভারতে ওঠে না?

তাপস শর্মা এর ছবি

কোন দেশে কোন কালেই ধর্ম রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করা যায় কি ? কি করেইবা করা যাবে। তাহলে তো বলা শুরু হবে ধর্মের উপর আঘাত হানা হচ্ছে !! আর তাতেই করে শুরু হবে লাশ ফেলার যজ্ঞ। আসলে ধর্মীয় রাজনীতিই মানে হচ্ছে একটা শ্রেণীর ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে রাজনিতিক ফায়দা তোলা, তাই না। তবে এখন আগের থেকে অনেকটা কমেছে বলা যায়। বিজেপির উগ্র হিন্দু রাজনীতির চোটে ভোট কামানোর ব্যাবসায় গত দুই দশক ধরে পাব্লিক জল ঢেলে দিয়েছে। আবার ভোট প্রচারে গিয়ে উগ্র ধর্মীয় প্রচারণায় যাওয়ায় অনেকের জেল পর্যন্ত হয়েছে ( উদাহারন গত লোকসভা নির্বাচনে বরুণ গান্ধী ) ।

ধর্মীয় রাজনীতির সাথে কোন ভাবেই ডিল করা যায়না। আসল কথা হল কোন কোন জায়গায় বা অংশে এরা বিশেষ ভাবে সক্রিয় থাকে। এরা আবার বিশেষ সমাজ দরদী কাজও করে থাকেন, ফলে একটা বিশেষ শ্রেণীর আনুগত্যও ওরা আদায় করে ফেলেন। ফলে একটা নিদৃস্ট অঞ্চলে বা জন গোষ্ঠীর মাঝে এরা সক্রিয় থাকেন, (যেমন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা )। ফলে রাষ্ট্রের ইচ্ছা থাকলেও এই শ্রেণীর এই সত্তাকে অপসারিত করতে পারেনা। তাহলেই গৃহযুদ্ধ হওয়া সম্ভব। আর ভারতে এই শ্রেণীর কিছুটা রাজনীতি দেখার কারণ এর ভৌগোলিক পরিকাঠামো। এত বৃহৎ একটা রাষ্ট্র - যেখানে এত ধর্ম, বর্ণের লোক আছেন- যে একজনের বিশ্বাসে আঘাত হানলে তো আরেকজন প্রশ্ন তুলবেন ? কিংবা সে নিজের পক্ষে সওয়াল করবেন।

আর এই নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। ভারতে ধর্ম নিয়ে সক্রিয় রাজনীতি একসময় বিজেপির হাত ধরে ( এখন করত বলা যায় - কিছু কিছু ক্ষেত্রে ) তুমুল উচ্চতায় পৌঁছেছিল। কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় ছিল অটলবিহারি বাজপেয়ী এর আমলে 'রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ' ( RSS) এর সাথে কিন্তু দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। হালে নিতিন গডকরি ( বিজেপির মহাসচিব) এসে সখ্যতা পাকাচ্ছে। তাছাড়া আডবানি কিংবা মোদিরা তো রয়েছেন !!

আসলে এই প্রশ্ন উঠবেনা কেন। প্রতিবাদ হয় ? কিন্তু ঐ যে বললাম না একটা শ্রেণীর বিরুদ্ধে আরেকটা শ্রেণি যদি উগ্রতার অভিযোগ তুলে বন্ধ করতে যায় - তাতে করে এত বড় একটা দেশে গৃহ যুদ্ধ বাধবে এটা নিশ্চিত । কারণ কাকে কাকে সামলানো যাবে ? অবস্থাটা সঙ্গিন হয়ে যাবে। কিন্তু তাই বলে কি কেউ অন্যায় করলে প্রতিবাদ হয়না ? হয় । সব সময়ই হয় ।

আর ঐ যে বললাম না - কোরাপশান যেহেতু সব জায়গায় আছে, তাই এর মধ্যে থেকে অনেকেই পার পেয়ে যায় ( একটা উদাহারন - নরেন্দ্র মোদী )।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ধন্যবাদ তাপস শর্মা। বোঝা গেলো যে উগ্রতার লাগাতার প্রতিবাদ হয়। সেটাই কাম্য।

তবে আমার প্রশ্নটা অনেকটা আদর্শিক প্রশ্ন ছিলো। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নাকি উচিত না, এই নিয়ে ভারতের মন কী ভেবেছে? বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ মন কিন্তু আদিতে ভেবেছিলোই যে এটা উচিত। এখনো ভাবে বলা চলে। এটা বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ মনের আদর্শিক অবস্থান। ধানাইপানাই নাই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল বা এসব সেসব চিন্তা না।

"ধর্মীয় রাজনীতিই মানে হচ্ছে একটা শ্রেণীর ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে রাজনিতিক ফায়দা তোলা"ই যদি হয়, তাহলে খালি লাশ ফেলার ভয়ে মানে শক্তিমত্তার ভয়ে তাদেরকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে, ব্যাপারটা এমন কি? নাকি ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মন নিজেই ভাবে যে ধর্মীয় রাজনীতিকে নিষিদ্ধের আদর্শিক এখতিয়ার তার নাই? পশ্চিমের অনেক সেকুলার গণতন্ত্র জানি আদর্শিকভাবেই এটা মনে করে যে মানুষের তার নিজের মতের পক্ষে রাজনীতি করার অধিকার আছে, তা সে যেই মতই হোক। ব্যাপারটা আপাত সাংঘর্ষিক যে ধর্মীয় রাজনীতি করে ক্ষমতায় এলে তো তারা রাষ্ট্রকে ধার্মিক বানিয়ে ফেলবে, সেকুলার থেকে। কিন্তু সেখানে হাত দেয়ার কারো সাধ্য নাই। ধর্মীয় সরকারী দলকেও সেকুলার শাসনই করতে হবে। যে কারণে যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই যেমন কমিউনিস্টদের রাজনীতি করার এখতিয়ার থাকে, যদিও তাদের এজেন্ডাভুক্ত অনেক বিষয় গণতান্ত্রিক নয়। এই উদার সমাজের ধারণা লিবারালিজম থেকে এসেছে। এখানে ধানাইপানাই নাই যে - পারলে তো ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতামই, কিন্তু লাশ পড়বে দেখে করতে পারছি না। এটা আদর্শিক অবস্থান। সতীদাহ প্রথা মানুষের মন বুঝে বাতিল করবো নাকি করবো না তেমন কি আর হয়? যারা মনে করেছে যে ধর্মীয় রাজনীতি অনুমোদনযোগ্য অধিকার, তারা এটা আদর্শিকভাবে অনুমোদন করেছে। তারা যদি মনে করতো যে এটা আদর্শিকভাবে অনুমোদনযোগ্য নয়, তারা সেটা তখন সংবিধানে যুক্ত করতো, কটা লাশ পড়বে সেই ভয়ে আদর্শ থেকে পিছপা হতো না। তা লাশ পড়ার ভয়ে এই মনস্তাত্ত্বিক লুকোচুরির আদর্শিক অবস্থান বেশ অভিনব ঠেকলো। ধর্মকে গালও দেবো, কিন্তু তার পশুকে বেঁধে রাখতে পারি না দেখে চড়তেও দিবো। এমনটা হয়তো একটা আফটার দ্য ফ্যাক্ট রিয়েলাইজেশান। কিন্তু ভারত জন্মের শুরুর দিকেই এই নিয়ে একটা দফারফা হয়ে যাবার নিশ্চয়ই কথা। সেটাই ভারতের মনে কথা। সেটা বোঝার চেষ্টা করছি।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আর কৌস্তুভের এই লেখার পর সোয়ামীজি, রাজ থ্যাকারে, নরেন্দ্র মোদির বেশ কিছু ভিডিও দেখলাম। বেশ আমোদ পেলাম। ধর্মীয় রাজনীতি আর জাতীয়তাবাদী রাজনীতি কারে বলে। তারপর অমিতাভ আর জয়া বচ্চনের কিছু পিছলামিও দেখলাম। এনারা দেখি একেকজন হিন্দুস্তানি-আল-মাহমুদ, কপট হয়ে উঠছেন, বেশ! তা ভারতের হিন্দুত্ববাদী এই উগ্রতা কি জনমনেই বিরাজ করে দেখে এরা তাদের চড়িয়ে থাকেন, নাকি এরাই সরল মনের হিন্দুস্তানিদের উগ্র করে তোলেন? নিশ্চয়ই এর প্রতিবাদও বটেই হয়। এই বেশুমার ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী উল্লম্ফনের সামনে সেটা তো নূন্যতম করণীয়। তবে হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তি কিন্তু অনেক মূলে প্রোথিত। চাইলেই পুরোটাই নিজের বলে সেই ভাবনায় হারিয়ে যাওয়া যায়। তাদের ন্যারেটিভে তো সেকুলারিজম, মানবতাবাদ এই সকল ধারণাই হিন্দুত্ববাদী ধারণা। ফলে রাষ্ট্রে সেকুলারিজম মানতে হলে, মানবতাবাদী হতে হলে হিন্দুত্বকেই মানতে হবে যেনো। মুসলমানেরা তো আবার এসবের ধার সহসা মানে না। ভারতকে খুব মিলজুল করে চলার মতো কোনো আদর্শ ভারতের মুসলমানদের দিতে পারার তাই কোনো সুযোগ নাই। বাকি থাকে বামরা। তাই ধর্মীয় উগ্রতার কুয়ো থেকে ভারতীয়রা পালাতে মনে হয় বাম কুয়োতে ঢুকে। ভারতের মনের ভেতরে হিন্দুত্ববাদের ঢুকে বসে যেতে পারাটা সে তুলনায় বেশ সহজই ঠেকছে। তাই এতো গণ সমর্থন। এর বিপরীতে আর অল্টার্নেটিভ কী তৈরি হচ্ছে? বলিউডের পাক ও উর্দু রিকনসিলিয়েশান?

তাপস শর্মা এর ছবি

ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নাকি উচিত না,

অবশ্যই উচিৎ। আলবাত...

আপনার অনেক গুলি কথার জবাবে আমি সামান্য কিছু কথা বলতে চাই। আসলে আপনি যেমন ভাবছেন ব্যাপারটা কিন্তু তেমন নয়। ভারতের সংবিধানে ভারতকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলা আছে। তবে এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে ধর্ম নিরপেক্ষতা এখানে মানে হল - সব ধর্মের মানুষদের স্ব স্ব ধর্মাচারণে বাধা না দেওয়া কিংবা ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, এইদিক থেকে দেখতে গেলে ভারতে যে কত ধর্মের লোক আছে তা ঠিক ভাবে যাচাই করে বলা মুশকিল। আর সেই সব মানুষের ধর্মীয় ভিত্তিতে কিন্তু আঘাত করা হয়না। কিছু কিছু উগ্র জিনিষ ঘটে সেটা ঠিক। আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে যে জথেচ্চার হতো এখন সেটা অনেক অনেক অংশে কমেছে। এবং এর কারণ অবশ্যই মানুষের সচেতনতা। স্বাধীনতার পর দু'একটি ঘটনা ছাড়া এ যাবত খুব বড় ঘটনা ( গুজতাট দাঙ্গা/ বাবরি মসজিদ ধ্বংস ) কিন্তু ঘটেনি। তবে বিশ্বাস করুন কমন পাব্লিক কিন্তু ( মেজরিটি ) হিন্দুত্ববাদ নিয়ে উচ্চাচার করেনা। হয়তোবা ধর্মীয় বিশ্বাস আছে। কিন্তু সেটা কখনোই উগ্র হয়না। বিজেপি কিন্তু হালে পানি পাচ্ছেনা। বিভিন্ন রাজ্য নির্বাচনেও হারের মুখ দেখছে ওরা। ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের দিকে নজর দিলে এখন যা চিত্র দেখা যাচ্ছে সেখানে কিন্তু বিভিন্ন আঞ্চলিক দল গুলোই বিশেষ ভাবে উঠে আসছে। বঙ্গে মমতার উত্থান, উত্তরে মায়াবতী, দক্ষিনের বিভিন্ন রাজনিতিক পরিসংখ্যান কিন্তু বদলানোর স্পস্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। অর্থাৎ সময় বদলাচ্ছে। সময় লাগবে নিশ্চয়ই। এত পপুলেশন এর ভিড়ে একটা সঠিক রেভ্যুলুশন আসতে প্রপার টাইম তো লাগেই। আর ততদিনে “প্রতিবাদ হবে রক্তপলাশে রক্তজবায়”।

আর বলিউড নিয়ে কি বলব বলুন। আমি একে বিনোদন হিসেবেই দেখি।

আর একটা ব্যাপার যারা লুটে তাদের তো কিছুই হয়না। বিষ গেঁথে যায় আমাদের মতো দশটা পাঁচটার সীমাবদ্ধতায় আটকে থাকা কোটি মানুষের ভেতর। যার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায়না কখনোই।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই শালা মানসিকভাবে অসুস্থ! এর চিকিৎসা দরকার!

বিডিনিউজের কথাও আর বলবেন না! ক'দিন আগে অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী লিখেছেন

নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী ভাইরাস হল- নিউমোকক্কাস (স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি) ও হেমোফাইলাস ইনয়ুযেকি। এই দুই ভাইরাসকে ধরাশায়ী করতে টিকাদানের বিকল্প নেই।

হাসব না কাঁদব আপনি বলেন! সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেছি ইয়ে, মানে...

"রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে', আপ্নে কী জেনেটিক্সে পর্ছেন্নি!?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাফি এর ছবি

আক্কাস কি করসে?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন খারাপ
এখানে যে দুটো নাম দেয়া এরা ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়াকে ভাইরাস বলা গুরুতর অপরাধ! নিউমোনিয়া ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পরজীবি বহুকিছুর জন্যেই হতে পারে! এই লেখাটা পড়ে মনে হয় নিউমোনিয়া ভাইরাল ডিজিজ।
হেমোফাইলাস ইনয়ুযেকি নামে কিছু আছে কিনা জানা নাই। আসল নাম হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা (Haemophilus influenzae)

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কৌস্তুভ এর ছবি

আমিকিছুবুঝিনাই!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

উপরের ১১৫(১)* নং প্রশ্নোত্তর দ্রষ্টব্য। চোখ টিপি

*আরো উপরে কেউ মন্তব্য করলে প্রশ্নোত্তরের দাগ নং বদলে যাবে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারাপ কোয়াস এর ছবি

ছাগুসব, নিপাত যাক।


love the life you live. live the life you love.

কৌস্তুভ এর ছবি

হ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।