দেশটা চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
লিখেছেন সবুজ পাহাড়ের রাজা (তারিখ: মঙ্গল, ০২/১০/২০১২ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসভ্যতার সবগুলো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি আমরা।

নিম্নমানের এক ভিডিও'র ট্রেইলার (ধর্মান্ধরা একে মুভি বলে, আমার রুচিতে বাঁধে একে মুভি বলতে) নিয়ে আমাদের দেশের ধর্মান্ধরা যা করল, তাতে মনের মধ্যে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েছিলাম।

ধর্মান্ধরা ইউটিউব বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করল। ওরা সফলও হল। সরকার ইউটিউব বন্ধ করে দিল।

মনে পড়ল এডমুন্ড বার্কের উক্তি-

অন্যায়কে তুমি আজ প্রশ্রয় দিলে, আগামীকাল এই অন্যায় তোমাকে গিলে খাবে।

কথাটা সত্যই হয়ে গেল। কয়েকদিনের মাঝে আমাদের দেশের ধর্মান্ধ মুসলমানরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঘর-বাড়ি-উপাসানালয় জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিল।

ভাবতাম সভ্যতা সামনের দিকেই এগোয় কিন্তু এখন মনে হয় আমার ধারণা ভুল ছিল। আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি মনুষ্যত্বের দৌঁড়ে।

গতকালও ভেবেছিলাম এখনো সময় আছে। আজ মনে হচ্ছে, আমরা বাংলাস্তানের দ্বারে বসে আছি।

মনুষ্যত্ব-মানবতা আমাদের দেশে এমনভাবে ধর্ষিত যে আংশকা বা, ভয় পাবার আর সময় নেই। আমাদের দেশের পরতে পরতে নীতিহীনতা, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা জড়িয়ে গেছে।

অবস্থা এতটাই করুণ যে মৃত্যুই বাংলাদেশে বেঁচে যাবার একমাত্র পথ। তবে, মরে যাওয়ার আগে লড়াই করে যাবো সব ধর্মান্ধতা- সাম্প্রদায়িকতা-নীতিহীনতার বিরুদ্ধে।

অনেকে ভাবছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে কিছু ঠিক হবে না।

'ইসলাম গেলো, ইসলাম গেলো' বলে ওরা বাংলাদেশে ইসলাম বাঁচানোর নাম করে ক্ষমতায় আসবে। বাংলাদেশকে বানাবে আরেকটি আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ইরান।

ভয়াবহ দু:সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। নিশ্চিন্তে চুপ করে বসে থাকার সময় নেই।

আজকে পোস্টার নিয়ে আমরা চার-পাঁচজন দাঁড়িয়ে ছিলাম প্রেসক্লাবের কাছে।
আশ-পাশের মানুষরা উৎসুক দৃষ্টিতে দেখল।
এক মাঝ বয়েসী কায়:দুরস্থ ভদ্রলোক এসে জিগ্ঞেস করল, 'ঘটনা কি? কি হয়েছে?'
ভদ্রলোককে খুলে বললাম সব।
এরপর উনার উত্তর শুনে হাঁ হয়ে রইলাম।
উত্তরটি হল: 'চোদানির পোয়াসাক্কলরে নো মারের ক্যা? কোরআন লইরে তামশা খরিলে তো এ্যান অইবো। অনেরা কি মুসলমানের ফোয়া নো নে?'
(তর্জমা: ***ওদের(বৌদ্ধদের) কাউকে মারেনি কেন? কুরআন নিয়ে ব্যঙ্গ করলে তো এমনই হবে। আপনারা কি মুসলমানের সন্তান না?)।
ভদ্রলোককে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম। লাভ হল না। উল্টো উনি আমাদের নালায়েক বলে চলে গেলেন।

আমাদের দেশের সাধারণ মুসলমানদের বড় একটা অংশ এখন ধর্মান্ধ।

দেশের অবস্থাটা এতটাই ভয়াবহ যে, আগামীতে হয়ত, উগ্রপন্থী তালেবান টাইপ মতাদর্শে বিশ্বাসী মুসলমান ছাড়া আর কেউ এই দেশে বসবাস করতে পারবে না।

আমার ফেসবুক উন্মুক্ত। গতকাল রাতে ফেসবুকে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে কিছু স্ট্যাটাস, কমেন্ট দেই, সাথে মুক্তমনায় একটি লেখা। মাঝরাতে, ফেসবুকে ঢুকে দেখি, আমার 'ফেসবুক মেইলে' 'টেম্পরারি মেইল এড্রেস' থেকে একটা মেইল আসে, 'পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে'।

কিছুই ভালো লাগছে না। গত কয়েকদিন আর এর আগের কয়েক মাসের ঘটনায় ভবিষ্যত নিয়ে ভীত।

বছরখানেক আগে আমরা আহমাদিয়াদের বাঁচায়নি, কয়েকমাস আগে আমরা চট্টগ্রামের খ্রীস্টানদের বাঁচায়নি, ফতেয়াবাদ-হাটাজারীর হিন্দুদের বাঁচায়নি, আজ বৌদ্ধদের ব্যাপারে অধিকাংশই চুপ থাকবে। কাল ওরা নিরেশ্ববাদীদের, পরদিন মুক্তমনাদের মারবে। চলবে মানবতাবাদীদের উপর স্টীম রোলার। বাঁচবে না মূলধারার মুসলমানরাও।
সেদিন মনে হবে, আমরা সবাইকে অত্যাচারিত হতে দেখেছি কিন্তু আমরা সেদিন চুপ ছিলাম। সেদিন আপনাকে-আমাকে বাঁচাতে কেউ আসবে না।

দেশটা চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে।

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ-পরিষদ;- চ’লে যাবে অত্যন্ত উল্লাসে
চ’লে যাবে এই সমাজ সভ্যতা-সমস্ত দলিল-
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চ’লে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ’লে যাবে শহর বন্দর ধানখেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ পবিত্র প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ’লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ
শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।
রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবিশংকরের
সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙুর
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল
কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।
চলে যাবে সেই সব উপকথাঃ সৌন্দর্য-প্রতিভা-
মেধা; -এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
নির্বাধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে
অত্যন্ত উল্লাসভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুইহাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ’লে যাবে,
কিশোরীরা চ’লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক’রে চ’লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের স্বর
গদ্য পদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্ক্স-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মত আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্থ সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক-
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে।
-হুমায়ুন আজাদ।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মনটা খারাপ হয়ে আছে। তারপরও সচলে সবার এই প্রতিবাদী মনোভাব দেখে আশা জাগছে মনে - হয়তো সব নষ্টদের অধিকারে যাবে না, রোমেল ভাইয়ের কবিতার মতো ছাই থেকে ডানা মেলবে নতুন ফিনিক্স।

রাজাসাহেব, ফিনিক্সের শুরুর নমুনা তো আপনার মাঝেই পাচ্ছি, পাচ্ছি সচলের লেখাগুলোতে। আশাবাদী হতে আশা করছি।

-অয়ন

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আশা ছাড়া যাবে না। আশা নিয়েই তো বেঁচে আছি।
সবাইকে তার নিজ স্থান হতে নিজের সার্মথ্য অনুসারে প্রতিবাদ করতে হবে।

ভালো থাকবেন।
ধর্মান্ধতা নিপাক যাক!

শান্ত এর ছবি

নিজেকে মানুষ ভাবতে ঘেন্না হচ্ছে।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

এই ঘেন্না থেকেই প্রতিবাদী হতে হবেরে ভাই। না হলে একদিন আর কিছুই করার থাকবে না।

ধর্মান্ধতা নিপাক যাক!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মেইলের বিষয়টা সত্যি উদ্বেগজনক । ভাবতে অবাক লাগে ছাইয়ের নিচে লুকিয়ে আছে বারুদের স্তূপ । আমাদের দেশের র‍্যাব-পুলিশ কি করে ! যারা এই দেশকে নিয়ে পাক-আফগানি স্বপ্ন দেখে তাদের বাংলা ভাই, জেএমবি অথবা হিজবুত তাহিরে করুণ পরিণতির কথা ভুলে যাওয়া ঠিক হবেনা ।

oparazita99@gmail.com

স্বয়ম এর ছবি

জেএমবি, বাংলাভাই, হিজবুত তাহরিরের করুণ পরিণতি! কোথায় কি হলো যে করুণ হয়ে উঠলো? দু একজনকে ধরে চোখ দেখানো মন ভোলানো শাস্তি কি যথেষ্ট? ব্যাবস্থার ভিতরে সব টিকিয়ে রেখে, বাড়তে দিয়ে, প্রশাসন ও গুরুত্বপূণৃদের মৌন সমর্থনে আরো আগ্রাসি হওয়ার সুযোগ দিয়ে আমরা কোণ পরিণতিকে করুণ বলছি?
স্বয়ম

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

স্বয়ম,
সেটাই।
দেশকে বাঁচাতে হলে দু'একজন নয় এইসব কীটদের মূলোৎপাটন ছাড়া উপায় নেই।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

অপরাজিতা,
আমাকে পাঠানো মেইল নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন নই, কারণ, আজীবন তো আর বাঁচবো না। তবু যতক্ষণ বাঁচি, জন্জাল সরাবোই।

জেএমবি, হিজবুত তাহরীরকে সরকার দমন করার চেষ্টা করছে। - এ প্রসঙ্গে বলব, গোড়া রেখে দিয়ে আগা কাটলে কোন লাভ নেই। ওই গোড়া থেকে আবার নতুন ছাগশিশু জন্ম নেবে।

ভালো থাকবেন।
ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।

তারেক অণু এর ছবি

দেশটা চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে, কিন্তু মানুষের উপর বিশ্বাস হারাতে পারি না যে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

সেটাই।
সবার উপর বিশ্বাস হারালে কেমন করে চলবে।
সমমনাদের নিয়ে সকল ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

অমি_বন্যা এর ছবি

সত্যি সব নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

দেশটাকে পুরো নষ্ট করে ফেলার আগেই, ওদের হাত থেকে দেশটাকে বাঁচাতে হবে।
ধর্মান্ধতা নিপাক যাক!

নিরবতা এর ছবি

ভাবতে অবাক লাগে। এ কোন দেশে আছি আমরা। আমরা কি আসলেই মানুষ নাকি মানুষরূপী পশু!!! লেখাতে চলুক

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

মানুষরূপী পশুরা সবকিছু গ্রাস করার আগেই আমাদের মাঠে নামতে হবে।
ধর্মান্ধতা নিপাক যাক!

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার শুরুটা তো দেখছি বন্যাদির মন্তব্যের স্টাইলে! প্রতিবাদ চলুক।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আসলেই তো।
বন্যা আহমেদের লেখা মন্তব্যর স্টাইলের সাথে আমার এই পোস্টের শুরুর অংশের মিল আছে।
হয়ত পোস্টটি লেখার সময় বন্যা আহমেদের লেখা ওই মন্তব্য মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল।

ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।

অরফিয়াস এর ছবি

ঘুনে ধরা সমাজটায় একটা ঝাঁকির দরকার ছিলো, একটা না অনেকগুলো ঝাঁকি দেয়া হয়েছে এখন অস্তিত্বের লড়াই। শালা, মরার আগে একটা অন্তত বেজন্মা মেরে মরবো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

স্বয়ম এর ছবি

সহমত
স্বয়ম

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

শালা, মরার আগে একটা অন্তত বেজন্মা মেরে মরবো।

ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।

অতিথি লেখক এর ছবি

মনটা ভীষণ অস্থির হয়ে আছে।
সাম্প্রদায়িকতার ঘূণপোকা যে আমাদেরকে বেশ ভালো ভাবেই পেয়ে বসেছে রামুর বৌদ্ধবিহারসহ বড়ুয়াপাড়ার ধবংসযজ্ঞ যেন তারই নিদর্শন।
"তারপরও একদিন আমরা আলোর পথেই হাঁটব"-এত কিছুর পরও এ স্বপ্ন হারাতে ইচ্ছে করে না।
মোহছেনা ঝর্ণা

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আপনার-আমার-আমাদের এই খারাপ লাগাটাই আমাদের শক্তি। এই খারাপ লাগা থেকেই আমাদের শুরু করতে হবে কার্যকর প্রতিবাদ।

ধর্মান্ধতা নিপাত যাক।

তাপস শর্মা এর ছবি

আরও বাকি আছে

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

নষ্টদের সবকিছু দখলের নাটকের শেষাংশটা যাতে না দেখতে হয়, সেটার জন্য কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মান্ধতা নিপাক যাক!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, কেউ কেউ এ ব্যাপারটাতে মোটেই দুঃখিত নয় বরং উল্লসিত। এরা আমাদের সাথে আমাদের সমাজে বহাল তবিয়তে দাপটের সাথেই বিরাজমান।
বড় কষ্ট হয় যখন ভাবি, এ দেশের জনগণ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। এই ৪১ বছর ধরে কি দেখছি!
ইদানিং যুব সমাজের একাংশের প্রতিবাদী হয়ে ওঠা দেখে আমি আশাবাদী।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

একাত্তরের স্পৃহাটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। আর এ সুযোগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে বড়াহর দল। তবু আপনার মত আমিও আশাবাদী।
রোমেল দা'র মত বলি-
সব কি পুড়ে শেষ ?
চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ; বীভৎসতার আধপোড়া দগদগে ক্ষত।
এস তবু এই পোড়া মাঠে
হাতে হাত ধরে মানবতার কসম নিয়ে রুখে দাঁড়াই
আবার উঠবেই জেগে নবীন ফিনিক্স —

অনেক মৃত্যুতেও জীবনের বিনাশ নাই।

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

দেশ টা চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে, আসলেই আমারও মনে হয় আমরা কি বাংলাস্থান যুগের সূচনায় বসে আছি?
মানতে পারিনা কিছুতেই,কিছুতেই না!

সেই কোন ছোটতে শিখেছিলাম - কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়,
আমরা কিন্তু শুধু পরের লাইনটাই করতে যাই।
আমাদের জাত আজকাল খুব সহজে চলে যায় !!!
খুব সুন্দর লিখেছেন!!! হাসি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আমি-আপনি-আমরা সচেতন হলে এই অবস্থার পরিবর্তন একদিন হবেই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।