কথাকলি। ০২। এ্যানার্জি পয়েন্ট

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৫/২০০৮ - ৬:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়েদের সামনে বেহুদা চক্কর দেয়া পাবলিককে দেখিয়ে দিলেন অম্বরীষ দা- ওর কাছে এ্যাপ্লিকেশন আর চাঁদার টাকাটা দাও

এই পাবলিক দাঁড়াতে পারে না। পেশাবি কুত্তার মতো একবার এই পা কাৎ করে আরেকবার ওই পা কাৎ করে। খামাখাই মুখ হা করে হাসে আর ডানে বামে তাকিয়ে দেখে তার দেখাদেখি কেউ হা করল কি না

চাঁদার টাকা সব সময় বাকশে কিংবা প্যাকেটে রাখার নিয়ম। কিন্তু সে আমার দশটা টাকা মানিব্যাগে ঢুকিয়ে দিলো। শালা দুই নম্বর। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই আপাতত। আগে নায়কের ছোটভাই হই। তারপর দেখা যাবে

ইনি মালিক আকতার। কথাকলির তৃতীয় খলিফা। আর অফিসিয়াল নাম সেক্রেটারি

অ-আ-ই-উ-এ-ও-এ্যা। এ্যা-ও-এ-উ-ই-আ-অ

কেমন লাগে মেজাজটা? শিখতে আসলাম অভিনয় আর পড়াচ্ছে স্বরবর্ণ। আবার বলে এগুলো স্বরবর্ণ না। এগুলো স্বরধ্বনি। প্রাকটিস করতে হবে কারণ এগুলোতে আমার সমস্যা আছে

সমস্যা থাকলে আমার কী দোষ? সিলেটি ভাষায় এবং এ্যা জিনিসটাই নাই। দোষকে আমরা বলি দুষ। গোলকে গুল। কোনকে বলি কুন। কবিতা- ববিতা এগুলোকে মুখ খুলে বলি কঅবিতা- বঅবিতা। ...ব্যবহারকে বলি বেবহার। ম্যাগাজিনকে বলি মেগাজিন

কিন্তু বাংলায় কথা বলতে হলে ও-অ এবং এ্যা-এ এর পার্থক্য বুঝতে হবে...

সমাজসেবার বারান্দায় সবাইকে গোল করে বসিয়ে নিজে মেয়েদের মাঝখানে ঢুকে এইসব পড়াচ্ছে গলায় সবচে বেশি আওয়াজওয়ালা সেই লোকটাই

কিছুক্ষণ পরে এইসব টডফড বাদ দিযে শুরু করল কী-কী-কী...। সবাইকে কী শব্দটা দশটা স্টাইলে বলতে হবে। ছেলেরা যখন বলে তখন পাবলিক বারবার থামায়- হচেছ না- হচেছ না। কিন্তু যখনই কোনো মেয়ের পালা আসে তখন বলে- গুড

মেজাজ খারাপ হচ্ছিল টমেটো আর কচ্ছপের মতো ছেলেদুটোকে দেখে। ওরা সিনিয়র। তারা আমাদের সাথে বসবে না। তারা এইসব পারে। ওরা আশেপাশে মেয়েদের সাথে গুলতানি দেয় আর আমাদের উপর কমেন্ট করে...

পাবলিক যতবার আমাকে ধরায় ততবার টমেটো এমনভাবে হাসে যেন সে নিজেই লজ্জা পাচ্ছে। আর কচ্ছপটা এমন ভাব দেখায় যেন আমাকে এখনই তুলে দেয়া উচিত। অবশ্য টমেটোর সঙ্গের মাটি-রং মেয়েটার চোখ যেন আমাকে একটু প্রশ্রয় দিলো

আমাকে দিয়ে কয়েকবার কী কী করিয়ে নাকমুখ খিঁচিয়ে পাবলিক বলল- খুবই খারাপ অবস্থা। এক্সপ্রেশনের সেন্সই নেই....

বাল্যশিক্ষা পড়ানো এই পাবলিক আমিনুল ইসলাম লিটন। কথাকলির প্রথম খলিফা

টমেটোটা কথা বলে ঘাড় কাত করে। হাঁটে এবং কথাও বলে ওরকম। মানুষের চোখে যে টোল পড়ে এই প্রথম দেখলাম। চোখ দুইটা গর্তের ভেতরে ঢুকিয়ে পুরো শরীর দিয়ে হাসে এই টমেটো। বিরতির সময় এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিলো- আমার নাম রেজুয়ান মারুফ
মারুফ ছড়া লেখে। পড়ে আমারই ক্লাসে দক্ষিণ সুরমা কলেজে

কচ্ছপের খোলও এসে দাঁড়ালো মারুফের কাছে। হাতে মোটা একটা বই- বিষয় আবৃত্তি। বললাম- দেখি তো?
একটানে বইটা সরিয়ে নিলো- আগে দশ বছর কথাকলি করো। তারপর এই বই পড়বা

মারুফ ম্যানেজ করে নিলো মেয়েগুলোর সঙ্গে পরিচয় করানোর নামে। মাটি রং মেয়েটা অদ্ভুত এক ঘুমেডোবা গলায় বলল- ওয়েলকাম টু কথাকলি...

কথা মেয়েগুলোই বলছে আর শুনছে মারুফ। এদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ মনে হলো এখন যদি দূর থেকে কেউ আমাকে দেখে তাহলে ধরে নেবে সবগুলো মেয়ে বোধহয় আমাকেই ঘিরে রেখেছে। বাহ। বিষয়টাতো খারাপ না...

এবার ফিজিক্যাল ক্লাস। লম্বা টিনশেডের শেষ মাথার ঘরে। এই টিনশেডের নাম প্রান্তিক। কিছু লাফালাফি আর ডানে কাৎ- বামে কাৎ- সামনে ঝোঁকো-পেছনে যাও। স্কুলের পিটি আরকি

কিন্তু মানুষটা ভালো। কালো- পোলাইট আর ন্যাচারাল। বাইরের ভুজুংগুলা সৌন্দর্যের দিক দিয়ে একটাও এর ধারে কাছে দাঁড়াতে পারবে না। কথা বলে খুবই মোলায়েম করে গোঁফের ফাক দিয়ে...

আমি লাইনের পেছনে। একটা প্রাকটিস একজন একজন করে দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে। হঠাৎ বেঞ্চের ভাঙা একটা পায়া তুলে ধাম করে আমার ডান হাঁটুতে বাড়ি লাগালো লোকটা- জীবনে কোত্থাও- কোনোদিন হাঁটু ভেঙে দঁড়াবে না। সব সময় হাঁটু আর মেরুদণ্ড টানটান রেখে নাভি থেকে এ্যানার্জি নিয়ে মনে মনে বলবে- আই এ্যাম দ্যা গড...

ইনি শফিক আহমদ জুয়েল

২০০৮.০৫.২৯ বিষুদবার


মন্তব্য

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

sometime i think LEELEN is the part of GOD
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইসব বাতাসে কাজ হবে না
তোমারও সময় আসিতেছে

১৯৮৯ টাই হলো আমার জীবনের স্টাটিং পয়েন্ট
মুরগির খোঁয়াড় থেকে বের হয়ে ৮৯ সালে কলেজে ভর্তি হবার পর থেকেই আমার সবকিছু একসাথে ছয়ভাগে চলতে শুরু করে বহুবছর পর্যন্ত
রাজনীতি-লেখালেখি-চাকরি-নাটক এবং আড্ডা
সবকিছুরই শুরু ৮৯ সালে মাত্র দুয়েকমাসের ব্যবধানে

ভাবছি ছয়টা সিরিয়ালই একসাথে লিখব
এরমধ্যে কমপক্ষে তিনটাতে তো তোমার উপস্থিতি থাকবে স্যার?

সুতরাং কোনো ধরনের কোনো তেল গ্রহণযোগ্য নয়
যা আসবে তা একেবারে আনক্লিন বাম্বো

(এই সিরিজগুলোতে নিজের এবং অন্যের পিঠ বাঁচানোর কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় নাই)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

হায় লীলেন!
লীলেন এখন উত্তরের হাওয়া ছাড়া আর বাতাসকে বাতাস মনে করে না।
মনে হচ্ছে সম্ভাব্য তত্বাবধায়কের খাতায় নাম লিখিয়েছে।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি


তোমরা যেহেতু এখন দখিনা বাতাসে মগ্ন
তখন আমাদেরকে উত্তরেই যেতে হয়

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

ঈশ্বর হতে আমার কোনো ক্ষতি নেই
যদি এই দুটি হাত আবারো আগুনের হাতে তুলে দেই

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আসছি ইলিয়াস ভাই অনুপমের আড্ডায় খুব শিঘ্রই
ফকির ফরিনি সবই এসে যাবে আস্তে আস্তে
এসে যাবে একই পাত্রে শয়তান এবং ভগবানকে ভূত বানিয়ে পান করার সেই সময়

আরিফ জেবতিক এর ছবি

শফিক আহমদ জুয়েল ।

মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় জানতে , গডের সামনে উনি কিভাবে দাড়িয়ে আছেন এখন ?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই সিরিজ যখন শেষ হবে তখন এখানে কমপক্ষে ৫০টা মৃত্যু কাহিনী থাকবে
দুই পর্বে নাম উল্লেখ করেছি ছয়টা
তার মধ্যে দুজন এখন মৃত
সোহেল ভাই আর জুয়েল ভাই

ভয় পাচ্ছি সিরিজটা কতটুকু ভারী হয়ে উঠবে একেকটা সময়...

০২

এই পর্বেই প্রথম প্রান্তিকের নাম উচ্চারণ করেছি
সিরিজটা প্রান্তিকে অভ্যস্ত হয়ে গেলে প্রান্তিকের জন্য সংযোজনী দিও

তীরন্দাজ এর ছবি

পেশাবি কুত্তার মতো একবার এই পা কাৎ করে আরেকবার ওই পা কাৎ করে। খামাখাই মুখ হা করে হাসে আর ডানে বামে তাকিয়ে দেখে তার দেখাদেখি কেউ হা করল কি না

কী তীক্ষ্ন পর্যবেক্ষন আপনার! অসাধারণ!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মানুষকে বর্ণনা করা খুব কঠিন স্যার
এজন্য আমি ট্রাই করি পয়েন্ট অব ভিউ ন্যারেশন দিতে
যাকে যখন দেখে আমার যেরকম মনে হয়েছে ঠিক সেরকম বর্ণনা
দেখি এটাতে কতটুকু যেতে পারি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কথাকলির ছেলেমেয়ে তৈরীর কায়দা তো দুর্ধর্ষ মনে হচ্ছে !
জমে উঠছে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমরা বিশ্বাস করতাম কবর দেবার পরেও মাটি খেয়ে কমপক্ষে আরো দু মাস বেশি বাঁচে কথাকলির লোকজন

অতিথি লেখক এর ছবি

         .---.
    ___ /_____\
   /\.-`( '.' )
  / /    \_-_/_
  \ `-.-"`'V'//-.
   `.__,   |// , \
       |Ll //Ll|\ \
       |__//   | \_\
      /---|[]==| / /
      \__/ |   \/\/
      /_   | Ll_\|
       |`^"""^`|
       |   |   |
       |   |   |
       |   |   |
       |   |   |
       L___l___J
        |_ | _|
       (___|___)
        ^^^ ^^^

- এনকিদু

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই পাবলিক তো দেখি পূর্বজন্মে কথাকলি করত

অতিথি লেখক এর ছবি

চিনতে পেরেছেন তাহলে হাসি

-এনকিদু

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

মানুষের চোখে যে টোল পড়ে এই প্রথম দেখলাম।

আপনার চোখের ধার যে আমাকেও হার মানালো গুরু। আপনার লেখা পড়ে শরীরে 'রেখটার' স্কেলে ১৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প তুইলা হাসতে হাসতে আরেকটু হলেই মারা গেছিলাম।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ঠিক আছে
আপনি নিজের সম্পর্কে একপাতা লিখে আমাকে দেন
আমি আপনাকে নিয়ে যেরকম চান সেরকম একটা গল্প লিখে দেবো

নিজের দাম বাড়াতে বসকে দেখানোর জন্য গল্প চান? কোনো মেয়েকে পটানোর জন্য চান? নাকি কোনো বর্তমান বান্ধবীকে তাড়ানোর জন্য চান?

যা চান বলে দেবেন
ইনফরমেশন বিন্দুমাত্র চেঞ্জ না করে গল্প লিখে দেবো আপনাকে নিয়ে

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

সেইটা আমি আগেই বুঝছিলাম। আপনার সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে। আর ইয়ে, কাচের বোতল সাথে থাকবে, নো টেনশান।

মুজিব মেহদী এর ছবি

পেশাবি কুত্তারা আপনাকে এবার পেলে হয়।
লোকগুলো মরেটরে যাবার আগেই যেভাবে বলছেন, ওরা না আবার চাকুতে শাণ দেয়!
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যাদেরকে গালি দেওয়ায় আমার অধিকার সম্পর্কে তারা নিজেরাই আদালতে রাজসাক্ষী হবে
আর গালি দেবার অপরাধে আমার শাস্তি হয়ে তারা নিজেরাই বদলি সাজা নিতে রাজি হবে
এখানে শুধু তাদের নামই উল্লেখ করব স্যার

বাকিরা বাদ
ওদেরকে মিশিয়ে দেবো জনৈকদের ভিড়ে

অতিথি লেখক এর ছবি

আখতার ভাই মনে হয় এখনো ঐ রকম লাফায়।

লীলেন ভাই, কথাকলির একটা ঝাপশা মনোগ্রাম আছে আমার কাছে
ওটাতে একটু কাজ করে আপনার কাছে পাঠাবো যদি প্রয়োজন মনে করেন পরের লেখাতে ব্যবহার করতে পারেন। মনোগ্রামের উপরে কথাকলি লেখাটা আসলটা'র মতো হবেনা এর জন্য যেতে হবে ক্যান্সার মার্কা দাড়িওয়ালার কাছে।

সিপন তালুকদার

নজমুল আলবাব এর ছবি

আকতার ভাইয়ে বলছে, তোমাদের দুইটারে ধইরা পাছায় গরম কলকির ছেকা দেবে।

তবে শিপন একেবারেই মিছা কথাও বলে নাই চোখ টিপি

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ছ্যাঁকা দিক আর যাই করুক
৮৯ সালে যে যদি আমার সাথে বাটপারি না করত তাহলে আমার মতো একটা ভালো মানুষ বাটপারি জিনিসটাই জানতো না জীবনে

সেদিন সে আমার দশটা টাকা না মারলেও পারতো

মাহবুব লীলেন এর ছবি

স্বপ্ন আর ক্ষরণের ইতিহাসটা অবশেষে শুরু করে দিলাম স্যার
তোমার ইনপুট দরকার পড়বে অনেক বেশি

০২
মনোগ্রাম একটা আমার কাছেও আছে। আদা ঝাঁপসা
আজ এটাকেই দিয়ে দিচ্ছি

অনিন্দিতা এর ছবি

আপনার কাহিনীর চরিত্রদের জানিয়ে দিন না এরকম সিরিজ লিখছেন। দেখবেন তারাও সচলায়তনের পাঠক হয়ে গেছে। এটা কখনও বই আকারে বের হলে আগেই বেষ্ট সেলার হয়ে যাবে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যে পাবলিক প্রথম দিন আমি চারবার সালাম দেবার পরেও উত্তর দেয়নি
সে তার জীবনের প্রথম দিন সচলায়তনে ঢুকেই দেখে তার সম্পর্কে লেখা
নাম না থাকলেও নিজেকে সে ঠিকই চিনে ফেলে
এবং মিনমিন করে একটা কমেন্টও করে
সেই পাবলিকের নাম এই পর্বে এসেছে
আমিনুল ইসলাম লিটন

কথাকলির আরেক মুনশি কিন্তু সচলায়তনের নাজমুল আলবাব
সেই কী মনে করে সেদিন লিটন ভাইকে সচলায়তন দেখাতে গিয়ে দেখে কথাকলি

লিটন ভাই মনে হয় এখন দুঃস্বপ্নেও সচলায়তন দেখবে
কারণ তার উপর দিয়ে যা যাবে তার একশোভাগ অনুমান তার আছে

আরেক মুনশি মাঝে মাঝে সচলায়তনে ঢু মারতো লন্ডন থেকে
আজ কোত্থেকে যেন খবর পেয়ে ঢুকে কমেন্ট তো করলই আমাকে ফোন করল এবং কথাকলির মনোগ্রামটাও পাঠালো

মনে হয় সেও ফেসে গেলো সচলায়তনে

সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা মক্কেলগুলো বোধহয় এবার আবার এক জায়গায় হবে

(শুধু ঢাকা শহরে থাকা ড়্যাবের এক ওজনদার অফিসার কথাকলির হলেও যেন সচলায়তন না দেখে...)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ড়্যাব থেকে বেচারার চ্যুতি ঘটেছে বেশ আগে। এখন ট্রাফিক ইস্কুলের প্রিন্সিপাল।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তা হলে তো কোনো সমস্যাই নেই
আমার কোনো গাড়িও নেই যে সে ধরে নিয়ে গিয়ে ক্রস ফায়ার করবে

তারও তিনখান কাহিনী আছে
সময়মতো লিখে দেবোনে

অতিথি লেখক এর ছবি

লীলেন ভাই কাকে যেন বললেন যে সব ধরনের লেখা লেখে দিবেন। আমাকে একটা দেন ভাইয়া। যাতে তাড়াতাড়ি সচল হয়ে যাই।
অসাধারণ লীলেন ভাই স্পেশাল।
-উলুম্বুশ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অবশ্যই
তবে আড়ালে যোগযোগ করেন

আর ইয়ে
বহুদিন থেকে ঢাকা শহরে বিদেশি কাচের বোতল ম্যানেজ করা বেশ কঠিন
আসার সময় তো দুচারটা এমনিতেই নিয়ে আসবেন তাই না?

আসেন
খাঁটি বুদ্ধি দেবো

দ্রোহী এর ছবি

গুরু। এই সিরিজ যাতে কিছুতেই বন্ধ না হয়।


কি মাঝি? ডরাইলা?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

পেশাবি কুত্তার মতো একবার এই পা কাৎ করে আরেকবার ওই পা কাৎ করে। খামাখাই মুখ হা করে হাসে আর ডানে বামে তাকিয়ে দেখে তার দেখাদেখি কেউ হা করল কি না

শিখতে আসলাম অভিনয় আর পড়াচ্ছে স্বরবর্ণ।
অ-আ-ই-উ-এ-ও-এ্যা। এ্যা-ও-এ-উ-ই-আ-অ

মেজাজ খারাপ হচ্ছিল টমেটো আর কচ্ছপের মতো ছেলেদুটোকে দেখে।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আপনার এটা পড়ে অফিসে জোরে হেসেফেলসিলাম। আশেপাশেররা জানতে চাওয়াএ আপনার কাহিনী সামারাইজ করে হাসির এই অংশগুলো তাদেরো বললাম।
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার প্রথম অফিসে রিক্রুটমেন্টের সময় পরিষ্কার বলে দেয়া হতো- নো কথাকলি প্লিজ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কুত্তা, টমেটো, কচ্ছপ...
তুলনাও আপনার! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কিন্তু মূল তুলনাগুলো তো দিতে পারছি না খালি ভাষাগত প্রব্লেমের কারণে
ওগুলো সবই খাঁটি সিলেটি ভাষায়
উলুবুড়া-উলুকুন্দা-গান্ডু- বেঙ্গি- বগডুল-পুঙ্গা-গাড়িয়া

এগুলোই হলো মূল উপমা
এগুলো যখন আসাবে তখন বঙ্গানুবাদ করতে করতে আমার অবস্থা যে কী কেরোসিন হবে কল্পনাও করতে পারছি না

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ঠিকাছে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

স্পর্শ এর ছবি

-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!

মাহবুব লীলেন লিখেছেন:

জীবনে কোত্থাও- কোনোদিন হাঁটু ভেঙে দঁড়াবে না। সব সময় হাঁটু আর মেরুদণ্ড টানটান রেখে নাভি থেকে এ্যানার্জি নিয়ে মনে মনে বলবে- আই এ্যাম দ্যা গড...

কথাটা দারুণ লেগেছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আহ্... কঠোর সব ওয়ার্কশপের কথা মনে করায়ে দিলেন... শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে জাফর স্যারের গণ্ডগোলে হুমায়ুন আহমেদ সদলবলে অনশন করতে গেছিলো যেবার... সেবার আমি গেছিলাম ছয়জনের অগ্রবর্তী দলে... তখন আমি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় করি (সেই সুবাদেই আসলে নূর ভাই পাঠাইছিলো আমগোরে, মরনের দশাও হইছিলো তখন)।
সেই রাতে (২৬ মার্চে) সম্ভবত কথাকলির কয়েকজনের সাথেই পরিচয় হইছিলো... সাচ্চু ভাই পরিচয় করায়ে দিছিলো। তাদের কাউরেই মনে নাই... আপনে ছিলেন কি না তাও জানি না।
তবে শিবিরের দৌড়ানি খায়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে আরিফ জেবতিকের লগে দেখা হইছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সাচ্চুভাই যদি পরিচয় করিয়ে দেয় তাহলে নির্ঘাত আমার সাথেই কয়েকবার বিশেষণসহ পরিচয় করিয়ে দিয়েছে
কারণ তখন সাচ্চুভাই শয়তান থেকে শুরু করে ফেরেশতা সবার কাছেই আমার কথা বলত এবং ধরে ধরে নিয়ে গিয়ে আমার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিতো

কিন্তু তখন আমার স্ট্রাডিজি ছিল- আমি কাউকে মনে রাখবো কেন?
আমাকেই মনে রাখবে সবাই

এজন্য আপনার কথাও আমার মনে নেই

০২

সেই প্রোগ্রামে আগাগোড়াই ছিলাম
শুধু তাই না
সেই প্রোগ্রামের সাথে শহীদ মিনারেও একটা প্রোগ্রাম প্লান করা হয়েছিল
একবার শোনা গেলো শিবির প্লান করছে ভোর বেলা এসে শহীদ মিনার দখল করার

আমি আর ফয়সল দুই বীর সেনানী খালি হাতে মাঝরাতে গিয়ে শহীদ মিনারের স্টেজে বসেছিলাম শহীদ মিনারের দখল রাখতে

অনুমান করতে পারেন তখনকার সাহসের স্টক?
আর এখন হিরোইঞ্চি ছিনতাইকারী এলেও বলি- প্লিজ। গায়ে হাত দেবেন না
সিমটা খুলে রেখে মোবাইল দিচ্ছি আপনাকে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে তো মনে হইতেছে আপনের সাথে বহুত আগেই পরিচয়... আমার স্মৃতিশক্তি এমনিতেই ভয়ঙ্কর খারাপ। আপনার কথা তো দূরে কথাকলি কি না সেইটাও শিওর ছিলাম না। তবে সেই রাতে সাচ্চু ভাই কয়েকজন থিয়েটার কর্মীর সাথে পরিচয় করায়া দিছিলো সিলেটের সেইটা মনে আছে। এমনিতেই নানান ভেজালে ছিলাম... কাউরেই আলাদা ভাবে ঠাহর করি নাই।
আর তখন আমিও কাউরে মনে রাখতাম না... সকলে আমারেই মনে রাখতো... কারন কাঠির চাইতেও চিক্কন একটা শরীরের আগায় খালি লম্বা লম্বা চুল ঝুলতো তখন আমার... পিঠে সেইগুলা দোল খাইতো। আমার এই বেশ দেইখাই শিবির আমারে মার্ক করছিলো... পরদিন ধরা পড়ছিলাম... কপাল জোরে বাঁইচ্চা আইছি...
আমরা যে ছয়জন অগ্রবর্তী টিমে গেছিলাম তারা হইলো (আমি তো আছিই) এখনকার জনপ্রিয় নায়ক ইন্তেখাব দিনার, নাট্যকার পান্থ শাহরিয়ার, ইটিভির বড়কর্তা শামীম শাহেদ, মৃত বন্ধু অমল বিশ্বাস কথা আর মাহবুব ভাই (আপনে না নাগরিকের)।
আমরা শহীদ মিনারে ছিলাম প্রায় ভোর রাত পর্যন্ত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

৯৬ থেকে আমি বছরের চারপাঁচমাস থাকতাম ঢাকায়
তখন কথাকলির পাশাপাশি করতাম থিয়েটার সেন্টার
২০০২ পর্যন্ত করেছি

আর ২০০২ এ পারমান্যান্টলি বস্তির বাসিন্দা হবার পর থেকে করি দেশ নাটক

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র- নাটক এতোসব জিনিস কমন থাকতে (আশা করি বলবেন না যে আপনিও ছাত্র ইউনিয়ন করতেন?) সচলায়তনেই আপনার সাথে আমার পরিচয় হলো কেন?

তবে চুলুয়া লোকজনকে আমি ফাউল লোক ধরতাম বলেই খেয়াল করতাম না
যদিও তখন আমি নিজেই ছিলাম চুল-দাড়ি-ক্যাপ-ব্যাগ আর মিলিটারি বুটের পুরা এক বিপ্লবী প্যাকেজ

০২
এখন মনে হচ্ছে গ্যালিলিও নাটকে আপনি বোধহয় কোনো এক ফাদারের চরিত্র করতেন
(লম্বা চুল দাড়িকে স্মরণ করতে পারছি। মানুষ না)

ঠিক কি না?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি আর সুমন একযোগে সুবচন ছাড়ছিলাম নাগরিকে ঢোকার চেষ্টায়... কিন্তু তখন নাগরিক বড় নাক উঁচা দল... তারা কয়েক বছর পর পর গুটিকয় পোলাপান নিতো (এখন তো যে কেউই নাগরিক হইতে পারে)। তো আমি আর সুমন বছর খানেক বেইলী রোডে মাছি মাইরা কাটাইলাম... দুইজনের মিলিত সম্পাদনায় একটা নাটকের পত্রিকাও বাইর করছিলাম... এক সংখ্যা পরেই সেইটা গোল্লায় গেছিলো অবশ্য।
সুমন ধৈর্য্য ধরতে না পাইরা থিয়েটার সেন্টারে গেলো... তার কয়দিন পরেই আমি নাগরিকে।

সেইটা আমিও ভাবি যে এতকিছু কমন জায়গা থাকতে সচলেই কেন আপনের সাথে আমার পরিচয় হইলো?
তবে আমি কখনই কোনও দলের ব্যাণারে কাজ করি নাই। তবে ছাত্র ইউনিয়ন পছন্দে ছিলো। তবে আমার বেশি মিশামিশি হইতো ছাত্রলীগের সাথে, সেইটা বন্ধুতা বশে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় লোকজন অনেকেই আমার সুহৃদ ছিলো। এই ফাঁপড়ে পইরাই আমার ছাত্র ইউনিয়নটা করা হইলো না। নাইলে সেইখানেও হয়তো... হা হা হা হা...
দেশ নাটকেও কিন্তু আমার ম্যালা যাতায়াত ছিলো। কিন্তু আপনে যদি সুমনদের সাথে দেশে ঢোকেন তাইলে বলতে হবে তার আগেই আমার দেশান্তর ঘটছে।
আজকা নাজমুল আলবাব'র লগে কথা হইতেছিলো ফোনে... দেখলাম সিলেটে গিয়া তার সাথেও পরিচয় ঘটছিলো আমার... এমনকি তিনি ২৬ মার্চ রাইতে আমাদেরে পরামর্শও দিছিলেন, সেইটা না শোনাতেই নাকি আমরা বিপদাপন্ন হইছিলাম।

তবে আপনের ধারনা ভুল। আমি গ্যালিলিওতে অভিনয় করি নাই। আদতে সুবচনে থাকতে টুকটাক অভিনয় করলেও অভিনয়ে আমার আগ্রহ ছিলো না কখনও। আমি বেশি কাজ করতাম মিউজিকে। আপনে যে বড় চুলওয়ালার কথা বলতেছেন সে গাজী রাকায়েত।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনাদের সাথের শামীম সাহেদ রাতে আমার সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। এর আগে আমি প্রথম আলোর বন্ধুসভা পাতায় আমার ফোন নাম্বার দিয়া দিছিলাম যে কেউ যদি অনশনে যাইতে চায়, তাইলে আমারে ফুনাইতে পারে। আমি নিয়া যামু। বিরাট ক্যাচাল হইছিল এইটা নিয়া। অনেকেই ফোন দিছিল। বুঝতেই পারতাছেন ক্যারাম ছিল সেইসব ফোন...। আমার স্যার মিহির চৌধুরী আমারে পারলে ঝাড়ু পেটা করেন অবস্থা। শেষ কথা ছিল তার, এই মিয়া এই ফোনটা তোমার না তোমার বাপের? আমি কইলাম বাপের, তিনি বল্লেন, অপু তুমি, ঠিক হয়া যাও, নয়ত পস্তাবা... এইরে ধান বানতে শীবের গীত গাইতে শুরু করছি দেখি!!!

তো সাহেদ সাহেব ফোন দিলে আমি তারে বল্লাম পরের দিন যেন তারা আমার লাইগা অপেক্ষা করে। কিয়ের কি তারা আমারে পাত্তাই দিলনা এবং পেদানি খাইল...
আর আমি প্রায় ২০/২৫ জনের একটা দল নিয়া মদীনা মার্কেটের উপর দিয়া সেইখানে গেলাম। যদিও একটা চ্যাংড়া আমারে আটকায়া বলে, অপু ভাই সামনে গণ্ডগোল চলতাছে, যাইয়েন না। আমি তারে বলি, আপনে ক্যাঠা। আমার বন্ধু মাসুদ ( এই পোলায় পলিটিক্স করেনা, নাটক করেনা, কবিতা লিখেনা, মারামারি করেনা তবু কি এক আজব কারণে এইসব আকামে আমার সাথে থাকত আল্লাই জানে) আমারে প্রায় টানতে টানতে সেই পিচকার সামনে থাইকা সরায়া নিল। পরে অবশ্য মাসুদই পোলাটারে এম সি কলেজে আবিস্কার করে আর আমার প্রিয় ছোটভাইরা তারে... সে নাকি বার বার বলছিল তখন, এই আমি তার লগে বেয়াদবি করিনাই, অপু ভাই বলছি... চোখ টিপি

এতবছর পরে আবার সেই পাবলিকগো লগে দেখা হইলেত মজাই লাগে। পিথিমি কেমুন গোল চিন্তা করি আর আল্লার কুদরতের প্রশংসা করি, মাশাল্লা মওলায় বানাইছে দুনিয়া একখান... আর অরূপে বানাইছে একটা সচলায়তন! মাশাল্লা, মারহাবা।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ছোট মানুষ রবীন্দ্র নাথ তার ছোটদের প্রেম কাহিনী শেষের কবিতার কোথাও যেন বলছিল যে বেশি বেশি বড়োরা একসঙ্গে থাকলে বড়োদের ভীড়ে বড়োরাই মাঝারি হয়ে যায়

আমাদের অবস্থাও হয়েছিল তাই
ভেড়ার দলের সব বাছুরেরা হাতির দলে পড়ে ইন্দুর হয়ে গিয়েছিলাম বলে কারো নজরে কেউ পড়েনি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পরেরটা আগে পড়লাম। এইবার ১ম পর্বে যাই।

রানা মেহের এর ছবি

লীলেন ভাই
খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এখন তো দেখি সচলায়তনে প্রান্তিকের অনেক লোক
প্রান্তিক নামে কোনো কিছুর কোনো অস্তিত্ব এখন না থাকলেও
পুরো প্রান্তিকটাকে আমি ধরে রাখতে চাই

হেল্প লাগবে বিভিন্ন ঘাটে

অতিথি লেখক এর ছবি

উলুবুড়া-উলুকুন্দা-গান্ডু- বেঙ্গি- বগডুল-পুঙ্গা-গাড়িয়া

আর

নাড়ুআ-আড়ু্য়া-আড়ুল-ফিছলা?

সিপন তালুকদার

নজমুল আলবাব এর ছবি
অনিন্দিতা এর ছবি

আপনার ১ম পর্বের একটা কমেন্ট-

যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের চিনি না ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সবাই লোক
আর যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আমাকে চেনে না ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই পাবলিক

এটাও কথাকলির থিওরি


যখন আপনি তাদের চিনে ফেলেন আর তারাও খানিকটা আপনাকে চেনে তখন কী হয়?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যখন আপনি তাদের চিনে ফেলেন আর তারাও খানিকটা আপনাকে চেনে তখন কী হয়?

তখন বলি এই শুয়রের বাচ্চা তোর যদি কোনোদিন আত্মজীবনী লেখার শখ হয় তবে আমাকে বলিস
লিখে দেবো তোর থেকে বেশি পারফেকশন দিয়ে
কারণ আমার স্মরণশক্তি শয়তান থেকে বেশি আর প্রতিটা দেয়ালে জন্মদাগের মতো গেঁথে আছে তোর নাম

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কাছে ধরা খাওয়ার পর থেকে আকতার ভাই বাটপারির টাকা মানিব্যাগে রাখেনা । এখন সে কার্ডহোল্ডার ব্যবহার করে যাতে কেউ সন্দেহ না করে।

সিপন তালুকদার

অনিন্দিতা এর ছবি

আমার স্মরণশক্তি শয়তান থেকে বেশি আর প্রতিটা দেয়ালে জন্মদাগের মতো গেঁথে আছে তোর নাম

খুব পরিচিত লাগছে কথাগুলো । আপনার কোন লেখায় এর আগে লিখেছেন?

অন্য প্রসঙ্গ:
একটা মেইল ছিল। দেখতে পারেন।

রেজওয়ান এর ছবি

মাহবুব লীলেন লিখেছেন:

তখন বলি এই শুয়রের বাচ্চা তোর যদি কোনোদিন আত্মজীবনী লেখার শখ হয় তবে আমাকে বলিস
লিখে দেবো তোর থেকে বেশি পারফেকশন দিয়ে
কারণ আমার স্মরণশক্তি শয়তান থেকে বেশি আর প্রতিটা দেয়ালে জন্মদাগের মতো গেঁথে আছে তোর নাম

ডরাইছি। থিয়েটার সেন্টারের মীরন আমার দোস্ত। কিন্তু কি পোলারে বাঘে খাইল।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

৯৬ এর শেষ দিক থেকে ২০০২ পর্যন্ত কথাকলির পাশাপাশি আমি কাজ করতাম থিয়েটার সেন্টারে

সেই গল্পও আসবে আশা করি
সেখানেও পড়ে আছে অনেকগুলো গল্প

তারপর দেশ নাটক
এখনও প্রতিদিন গল্প তৈরি করে যাচ্ছে

দেখি আমি কতদূর যেতে পারি

রেজওয়ান এর ছবি

আপনার যেমন শুরু কথাকলি দিয়ে আমার বরবাদী কন্ঠশীলন দিয়ে। শুরু করেছিলাম রেডিওতে প্রোগ্রাম করব বলে তৈরি হবার জন্যে। আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে যে বন্ধুটি নাম লিখিয়েছিল সে কর্মশালা খতম করার আগেই উধাও। আমি কেন যেন থেকে গেলাম। তারপর অনেক ঘাটের পানি খাওয়া অনেক গল্প অনেক কাহিনী।

লিখলে জানি একটি উপন্যাস হবে তবে সাহস হয় না কারন আপনার মত স্মরণশক্তি/লেখনী শক্তি নেই। তাই আপনারটির মনোযোগী পাঠক আমি।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লিখে ফেলেন
ভুল করে হোক কিংবা পথ ভুলেই হোক
যেভাবেই যাই না কেন
আমাদের সবচে নির্ভেজাল সময় বোধহয় ওগুলোই

আমার নিজের কথা জানি
কথাকলিতে না গেলে আমি জঘন্য একটা মাস্তান হতাম এ ব্যাপারে একশোভাগ নিশ্চিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।