সাকিন সুন্দরবন ৩। ঘেরাটোপ

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ১৫/০১/২০১১ - ১১:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুবলার চর। সুন্দরবনের অস্থায়ী পুরুষ বসতি; এক অস্থায়ী গ্রাম। ঘোরেপ্যাঁচে কোনো নারী যদি সেখানে পৌঁছে যায় তবে দিনে দিনে তাকে চর ছেড়ে আসতে হয়। এটাই নিয়ম। ভাসান নদীর বুকে সাগরের মুখে এই চরে পুরুষেরা বছরের শুকনা মৌসুমে পাঁচ মাসের গ্রাম বেঁধে থাকে। সেখানেই বসে রাসপূজার আসর আর মেলা। দূরান্ত থেকে শতশত নারী পুরুষ তীর্থযাত্রী সেখানে গেলেও মেলা শেষে সবাই ফিরে আসে। শুধু মজুর পুরুষেরাই সেখানে থেকে যায়। তারা সেখানে বড়ো বড়ো মহাজনের নামে মাছ ধরে- শুঁটকি বানায়- নৌকায় শুঁটকি তুলে দেয়। তারপর মৌসুম শেষ হলে ফিরে আসে নিজেদের গ্রামে। চরে যাবার সময় তারা রাস্তা থেকে- বিধবাদের গ্রাম থেকে কিংবা দরিদ্র পল্লি থেকে কিশোরদেরকে সাথে করে নিয়ে যায়। কিশোরদের কাজ বেশি নেই; শুঁটকি শুকাবে- শুঁটকি তুলবে- রান্নাবান্না করবে- খাবেদাবে- ঘুমাবে এই তাদের কাজ। কিন্তু কিশোরেরা চরে পা দিয়েই দেখে চারপাশে থৈ থৈ জল। চরে পা দিয়েই দেখে মহাজনের নৌকা ছাড়া বাড়ি ফিরবার আর কোনো পথ নেই। চরে পা দিয়েই তারা মুখোমুখি হয় কিল থাপ্পড় ঘুসির। তারপর তাদের পাঠানো হয় দূর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে। তাদের যেতে হয় ভয়ানক খালে মাছ ধরে আনতে। তাদের টানতে হয় নৌকা- বাছাই করতে হয় মাছ। কেটে আনতে হয় জ্বালানির কাঠ। সামলাতে হয় শুঁটকি। কাঁধে করে নৌকায় তুলে দিতে হয় ভারী ভারী শুঁটকির বোঝা। এইসবের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় কিংবা মারা যায় তবে তার লাশ সুন্দরবনের কোনো খালে কুমির কিংবা কামটের খাদ্য হয়ে ভাসে। আর যারা তারপরও টিকে থাকে; মৌসুম শেষ হবার আগে পর্যন্ত অন্য কাজের সাথে নারীবিহীন দুবলার চরে তাদেরকে মেটাতে হয় সমর্থ পুরুষের নারীদেহের ক্ষুদা...

ফটোগ্রাফারদের ট্রলারটা যখন দুবলার চর ঘেঁষে যায় তখন তাদের ক্যামেরা দখল করে রাখে খালের একপাশে বিশাল একটা বানর পরিবার। বানরদের কেউ আগায়- কেউ পিছায় আর সবাই ধরা পড়ে ক্যামেরায়। খালের অন্যপাশে দুটো কিশোর তখন কাজ করতে করতে বারবার তাকায় থাকে ফটোগ্রাফারদের দিকে। বানরের ছবি তোলা শেষে ফটোগ্রাফাররাও তাদেরকে দেখে বিস্মিত হয়। তারা কাদায় হাত ডোবায় আর মাছ তুলে এনে লুঙ্গির কোঁচড়ে রাখে। মাছ ধরা এত সহজ। বিস্ময় কাটে না কারো। দুবলার চরে এত মাছ। কাদায় হাত দিলেই মাছ। কিন্তু গাইড গাজী সদরুল মাথা নাড়ে- এই মাছ নদীর মাছ নয়। এগুলো জাল থেকে পড়ে যাওয়া কিংবা ফেলে দেয়া কাদায় আটকে থাকা মরা মাছ। এই মাছ সেদ্ধই হয়ত দুই কিশোরের আজকের খাবার কিংবা কাল সকালেরও...

কিশোররা মাছ ধরতে ধরতে ফটোগ্রাফারদের দেখে। ফটোগ্রাফাররা কিশোরদের ছবি তুলতে তুলতে এগিয়ে যায় ঘাটের দিকে আর কিশোররাও মাছধরা বাদ দিয়ে ফিরে যায় শুঁটকি পল্লিতে...

ততক্ষণে ফটোগ্রাফারদের একদল অন্য ট্রলারে করে দুবলার চরে নেমে গেছে। শহরের দশভাগের একভাগ দামে নিখুঁত শুঁটকির আশায় অনেকেই হাঁটতে হাঁটতে চরের অনেক ভেতরে চলে গেছে। দ্বিতীয় দল চারপাশ ঘুরে এসে যখন চরে নামে তখন শেষ বিকাল। মাছধরা সেই দুই কিশোর ঘাটে এসে তাদের সামনে দাঁড়ায়। একজনের আছে দুইশো টাকা আরেকজনের কাছে তিনশো। এই টাকা তারা ফটোগ্রাফারদের দিতে চায়। বিনিময়ে শুধু জাহাজে করে তাদেরকে নিয়ে কোনো লোকালয়ে ছেড়ে দিতে হবে...

দুই কিশোরের বাড়ি কক্সবাজার। শুঁটকি মহাজনের সাথে গিয়ে আব্দুল ওহাব সেখানে তাদের সাথে খাতির জমায়। তারা তখন বাজারে এটা ওটা করে আর ঘুরে বেড়ায়। আব্দুল ওহাব তাদেরকে দুবলার চরের কথা বলে। লাখে লাখে মাছ আর হাজারে হাজার মণ শুঁটকি। যত মাছ তত শুঁটকি। যত শুঁটকি তত টাকা...

টাকার কথা শুনে দুই কিশোর আব্দুল ওহাবের সাথে মহাজনের নৌকায় চড়ে দুই মাস আগে এসে দুবলার চরে নামে। এবং তারপর আজ তাদের ফটোগ্রাফারদের সাথে দেখা...

দুই কিশোর ফটোগ্রাফারদের টাকার লোভ দেখিয়ে অনুনয় করে। ফটোগ্রাফাররা তাদের অনুনয়ের ছবি তোলে। তারা বিস্তারিত জানতে চায় আব্দুল ওহাব তাদের সাথে কী কী করে? কীভাবে নির্যাতন করে? কিশোরেরা মুখ কাঁচুমাচু করে রাতের আর দিনের আব্দুল ওহাবের বর্ণনা দেয়। ফটোগ্রাফাররা কিশোরদের কাহিনী শোনে আর ছবি তোলে আর একটু একটু করে হাঁটে। কিশোররাও তাদের সাথে হাঁটে আর গলা নিচু করে অনুনয় করে। অনুনয় করতে করতে যখন দুই কিশোরের চোখে সুন্দরবনের খাল বয়ে আসে তখন- যাবার সময় দেখা যাবে’ বলে ফটোগ্রাফাররা দুই কিশোরকে ঘাটের কাছে দাঁড় করিয়ে চরের ভেতরে ঢুকে যায়। চরের ভেতরে গিয়ে তারা শুঁটকি ও শুঁটকি বানানো মানুষের ছবি তুলতে তুলতে শুঁটকি কেনার জন্য দরদাম করে

এর মধ্যে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে বনবিভাগের গার্ড। জাহাজ থেকে নেমে আসে জাহাজের লোকজন- তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি। তাড়াতাড়ি সবাই ফিরে চলেন বোটে। ডাকাত পড়েছে ডাকাত। সত্তর জনের একদল ডাকাত নেমেছে চরে

কেউ বিশ্বাস করে; কেউ না। ফরেস্ট আর ট্যুর অপারেটর লোকদের কাজই হলো ভয় দেখিয়ে সবাইকে ছোট এক জায়গায় আটকে রাখা। এতে তাদের কষ্ট আর ঝামেলা দুইটাই কমে। তাই ফটোগ্রাফাররা কেউ এগিয়ে যায় চরের ভেতরে- কেউ ভয় পেয়ে নৌকার দিকে দৌড়ায় আর কেউ এদিক সেদিক তাকিয়ে এলোমেলো হাঁটে। এর মধ্যেই গলায় মাফলার আর মাথায় টুপি দিয়ে বাজার থেকে ঘাটের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসে আব্দুল ওহাব। ফটোগ্রাফারদের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বলে- ওদিকে যাবেন না আপনারা। ফিরে যান নৌকায়
- কেন কী হয়েছে?

আব্দুল ওহাব দাঁড়িয়ে ডানে বামে তাকায়- কারে বিশ্বাস করা যায় কারে না; জানি না। তবু বলি; নতুন একটা দল নেমেছে ওই পাশে। আপনারা ফিরে যান

আব্দুল ওহাব আবার হাঁটতে শুরু করলে ফটোগ্রাফাররাও তার সাথে হাঁটে- আপনি কোথায় যান?

আব্দুল ওহাব আর থামে না। হাঁটতে হাঁটতে বলে- ঘরে গিয়ে নামাজ পড়ব আমি...
আব্দুল ওহাবের সাথে ফটোগ্রাফাররাও জাহাজের দিকে ফিরে আসতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে আব্দুল ওহাব জানায় ঘরে গিয়ে সে কিছু টাকা বাইরে রেখে বাকিগুলো কোথাও লুকিয়ে রাখবে। সন্ধ্যার আগেই তারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে প্রতিটি ঘরে এসে হানা দেবে। আসার সময় রাস্তায় যাকে পাবে মারধর করতে করতে জানান দিয়ে আসবে। তারপর ঘরের সামনে এসে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা চাইবে। টাকা দিতে দেরি হলে কিংবা দরদাম করলে মারধর আর আস্তানা জ্বালিয়ে দেয়া তো নগদ; একটা বুলেট কিংবা দায়ের কোপও জুটে যেতে পারে কপালে। তাই আব্দুল ওহাব আগেভাগে বাড়ি যায় টাকা বের করে রাখতে...

হয়ত ডাকাতের ভয়ে অথবা হয়ত আব্দুল ওহাবকে দেখে অথবা হয়ত ফটোগ্রাফারদের উপর বিশ্বাস হারিয়ে সেই দুই কিশোর যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে আর নেই। দুবলার চরের কোস্টগার্ড আর ফরেস্টের লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে ফটোগ্রাফারদের উপর- এক্ষুনি এই জায়গা ছেড়ে যান। অনেক সমস্যা হবে এখানে। তাড়াতাড়ি অন্য কোথাও যান। সবাইকে ঠেলেঠুলে জাহাজে তুলে জাহাজের লোকজনও অস্থির হয়ে উঠে জাহাজ ছাড়তে। কিন্তু গাজী সদরুল আবিষ্কার করে ছবি তুলতে চরের ভেতরে ঢুকে যাওয়া নয়ন তখনও ফেরেনি...

জাহাজের লোকজন জানিয়ে দেয় আর আধাঘণ্টা অপেক্ষা করবে তারা। এর মধ্যে যদি নয়ন না ফেরে তবে তাকে রেখেই তারা জাহাজ ছেড়ে দেবে...

ঘাট থেকে নোঙর উঠিয়ে জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকে মাঝ নদীতে। ফরেস্টের লোক আর কোস্টগার্ড বারবার এসে তাড়া দেয়। সকলেই জাহাজের ছাদে দাঁড়িয়ে দূরে তাকিয়ে থাকে ডাকাত কিংবা চিৎকার কিংবা গোলাগুলি কিংবা নয়নকে দেখার অপেক্ষায়। কিন্তু কিছু দেখা যায় না। ঝাপসা অন্ধকার হয়ে আসছে চর। এর মাঝে হঠাৎ দেখা যায় চরের ঘাটে ছোট ট্রলার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একজন মানুষ। ফরেস্টের গার্ড রতন...

যেখানে কোস্টগার্ড চলে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে। যেখানে স্থানীয় ফরেস্টের লোকজন সরে গেছে নৌকা নিয়ে। সেখানে সত্তরজন ডাকাতের বিরুদ্ধে একটা বন্দুক নিয়ে রতনের এরকম দাঁড়িয়ে থাকা বড়োই বেমানান। জাহাজ থেকে চিৎকার দিয়ে সবাই তাকে চলে আসার জন্য ডাকে। কিন্তু সে কোনো ডাকই শোনে না। দুবলার চরের অন্ধকারে রাইফেল তাক করে একা দাঁড়িয়ে থাকে তার সাহস আর অহংকারের ভরসায়...

সাকিন সুন্দরবন ৮। মালজোড়া

সাকিন সুন্দরবন ৭। জলদানো

সাকিন সুন্দরবন ৬। জলপ্রহরী

সাকিন সুন্দরবন ৪। বনপর্যটক

সাকিন সুন্দরবন ২। মরণখোর

সাকিন সুন্দরবন ১। বনমজুর


মন্তব্য

-আমিন এর ছবি

আপনার একটা লেখা আছে না 'প্রান্তিক'?
লেখাটার প্রথমেই চমৎকার একটা চৌহদ্দির বর্ণিত আছে।

সুন্দরবনের বইয়েও তেমন একটা চৌহদ্দি আর তার ভেতরকার কিছু নকশার বয়ান থালে বোধয় ভালো হয়।

-আমিন

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সুন্দরবনের চৌহদ্দি দেয়া কি অতই সহজ
হয় বাউলি না হয় মৌলি না হয় নিদেনপক্ষে মুস্তাফিজ ভাই হতে হবে

দেখি কদ্দুর কী করা যায়

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এই দুঃসাহসী অভিযানের একটি অংশ হয়ে গেছি ইতোমধ্যে। হাসি

অনবদ্য লীলেন দা আপনার এই অভিযান কাহিনী। চলতে থাকুক এটা আপনার অভিজ্ঞতা আর লেখনীর এই দুর্দান্ত মায়াজালে। গুরু গুরু

-অতীত

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ
খালি মুগ্ধ হলে হবে না

এক আধটু ফাঁক ধরিয়ে দিলে সুবিধা হবে আমার

ফাহিম হাসান এর ছবি

সিরিজের নামটা অপূর্ব। লেখাটাও।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভুল চোখে পড়ে না?

মাহবুব লীলেন এর ছবি


টেরাই দেই। দেখি কদ্দুর যায়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

স্বল্প দৈর্ঘের ধারাবাহিক নাটকের মতো জায়গামতো শেষ করে দিচ্ছেন দেখছি হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

গত পর্বগুলির মতো এটিও যথারীতি বেশ ভালো লাগলো!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পরের পর্বগুলো কী হয় দেখা যাক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ডাকাতের ভীতিটা ভালোভাবেই এসেছে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মাত্র ডাকাইত
বাঘ আইলে কী করবা
আসিতেছে

মুস্তাফিজ এর ছবি

কী যে করেন, আমার লেখাটাই বন্ধ করে দিলেন।
যান আপনাকে দুবলার চরের অসহায় কিশোরের একটা ছবি দিলাম
A lonly boy

...........................
Every Picture Tells a Story

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনি না লিখলে আমি মসলা পামু কই?

লিখেন লিখেন
আপনার গুলা সত্য আর আমার গুলা খিচুড়ি

০২

ছবিটা দুর্দান্ত। একেবারে বোধহয় আমি যেভাবে দেখছিলাম সেভাবেই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এই লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে কারন এটায় অযথা মুখখারাপ আর অন্যের কাপড় টানাটানি নেই।
এই রকম লেখা চালিয়ে যান এই শুভকামনা রইল।

--
কালো ও সাদা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মাইচ্চেরে

কে কার কাপড় টানল? কুতায়? ঠিকানাটা দেন ইট্টু দেখে আসি। কাপড়খোলা মানুষ বড়োই সৌন্দর্য। উন্নত দেশে দেখেন না তারা নিজেরাই সবকিছু খুইলা ফালায়

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আপনি তো আর বিদেশি না আর এইটা বিদেশি ব্লগ ও না, কাজেই নিজেকে সুন্দরবন বিষয়ক মহা অভিজ্ঞ প্রমানের জন্য বনপ্রহরিদের কাপড় টানা টা কি খুব জরুরি ছিল?
আমি আপনার এই সিরিজের সবগুলো লেখা পড়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত জানালাম, নেওয়া না নেওয়া টা একান্তই আপনার ইচ্ছা।

--
কালো ও সাদা

নৈষাদ এর ছবি

এটাও চমৎকার লাগল (যদিও বিষয়বস্তু হজম করতে কষ্ট হয়)। মুস্তাফিজ ভাইয়ের কয়টা চমৎকার ছবি থাকলে আরও ভাল লাগত। (দৃশ্যপট কল্পনা করে নেয়ার জটিলতায়/খাটনিতে এখন আর যেতে ইচ্ছা করেনা)। আপনার বইটা খুব ভাল হবে মনে হচ্ছে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বদ হজমের আরো বাকি আছে ভাইজান

০২

ছবি থাকলে তো কথাই নেই
কিন্তু ছবি ছাড়া কদ্দুর কী করা যায় তাই দেখি আর কি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বই কিনব।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

সংগ্রহে রাখার মত একটা বই হবে।

ওডিন এর ছবি

দুর্দান্ত হচ্ছে!! হাততালি

সুরঞ্জনা এর ছবি

আর ছেলেদুটোকে ফেলে আসা হলো, তাই না? মন খারাপ
কিছু জানতেও ইচ্ছা করে না , দেখতেও ইচ্ছা করে না।

লেখা চমৎকার লিলেন্দা।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লেখাটা আপডেট করলাম। বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।