কয়েকটি আমেরিকান টিভি সিরিজ এবং বিদেশী চলচ্চিত্র

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০১/২০১১ - ৭:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশে মিডিয়া রিসার্চ কতখানি হয় তা আমার জানা নেই। বেশী যে হয় না সেটা অবশ্য বলে দিতে হয়না। টিভি নাটক গুলোর দুর্দশা দেখলেই বোঝা যায়। বাস্তবতা হচ্ছে যেখানে টিভি চ্যানেলের ভিড়ে টেকা দায় সেখানে মিডিয়ার যোগান দিতেই হিমশিম খায় টিভি চ্যানেল গুলো। কন্টেন্টের কোয়ালিটি বিচার করবে কোন সাহসে?

আমেরিকার টিভি প্রোগ্রামগুলো নিয়ে রীতিমত তুমুল রিসার্চ হয়। আমি এই লাইনের লোক না বলে বিস্তারিত জানা নেই। কিন্তু কিছু কিছু গবেষনার বিবরন পড়েছি আমি। যেমন, একদল জনপ্রতিনিধি লোককে একটা নতুন শো দেখানো হয়। তাদের হাতে একটা ডায়াল দেয়া। নাটকের যে অংশ ভালো লাগবে সেখানে ডায়াল ঘুরিয়ে ম্যাক্সিমাম করে দেবে, না ভালো লাগলে মিনিমাম। এভাবে মিনিট বাই মিনিট প্রোগ্রামটির ভালো মন্দ যাচাই করা যাবে। তাছাড়া একটা আইডিয়া নিয়ে কোনো লেখক/আইডিয়াবাজ আসলে তার সাথে আরো একদল প্রফেশনাল লেখক/আইডিয়াবাজদের বসিয়ে দেয়া হয়। তারপর সবাই মিলে প্রস্তুত করে অনবদ্য সব টিভি সিরিয়াল। এই সকল গবেষণাকে বলা হয় অডিয়েন্স রিসার্চ

এই গবেষণার ফলে আমেরিকার টিভি শো গুলো প্রায় সবগুলোই খুব মনকাড়া হয়। তাই একটা দেখতে বসলে সেই টিভি সিরিজের বাকিগুলো না দেখে ওঠার উপায় নেই। এই পোস্টে এরকম কয়েকটি টিভি সিরিজ নিয়ে আলোচনা করতে চাই। সঙ্গে কিছু বিদেশী ছবির নাম শেয়ার করতে চাই।

টিভি সিরিজ গুলো
প্রথম টিভি সিরিজটা হল ডেক্সটার। খুবই সাদামাটা একটা কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আছে গল্পটা। আইডিয়া হল: সমাজের প্রচলিত আইনে যাদের বিচার হয় না, গল্পের নায়ক রাতের অন্ধকারে তাদের বিচার করে। খুবই সিম্পল এবং পুরোনো আইডিয়া। এই আইডিয়া নিয়ে গল্প হয়েছে প্রচুর: ডার্ক জাস্টিস, নাইট রাইডার, হিন্দী ছবি শাহেনশাহ্ , রবিন হুড সবগুলোই প্রায় একই আইডিয়া থেকে তৈরী। কিন্তু এই সিরিয়ালটির মিল শুধু এইটুকুই।

গল্পের নায়ক ডেক্সটার একজন সিরিয়াল কিলার। তার পালক বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন এবং তিনি তার ছেলের এই দিকটা সর্ম্পকে জানতেন। তিনি তাকে শিক্ষা দেন কিভাবে তার এই স্বভাবকে ভালো কাজে লাগানো যায় এবং কিভাবে আইনের চোখ বাঁচিয়ে চলতে হয়। কিন্তু প্রতিটা পর্বের কাহিনী এতো আকর্ষণীয় করে তৈরী করা এবং আকষর্ণীয় যে আমি হাঁ করে গিলতে বাধ্য হলাম।

দ্বিতীয় টিভি সিরিজটা একটা জাপানীজ অ্যানিমেশন সিরিজ- ক্লেমোর। সেখানে এক পৃথিবীর কথা বলা হয় যেখানে মানুষ এবং এক প্রকার দানোর বসবাস। কিন্তু এক মধ্যবর্তী প্রজাতি এই ক্লেমোর। এদেরকে মানুষের সাথে সেই দৈত্যের সংমিশ্রনে তৈরী করা হয়। এরা মানুষদের সাহায্য করে। কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে নিজেরাই দৈত্যে পরিনত হয়। কাহিনীর মধ্যেকার টুইস্ট মিলিয়ে উপভোগ্য একটা সিরিজ।

তৃতীয় টিভি সিরিজটা জামার্নী আরেকটা অ্যানিমেশন সিরিজ - ব্ল্যাস রাইটার। একদল মেশিন - মানুষ হাইব্রিড দানোর গল্প। অনেক গুলো চরিত্র একসাথে মিলে কাহিনীটা একটু দুর্বোধ্য করে দেয়। অতটা উপভোগ্য না লাগলেও অ্যানিমেশন ভক্তরা দেখতে পারেন।

চর্তুথটা একটা পুরোনো টিভি সিরিজ - হিরোস। পুরোনো এই টিভি সিরিজ নিয়ে লেখার তেমন কিছু নেই। আমি প্রতিটা পর্ব গোগ্রাসে গিলেছি। কিন্তু সাম্প্রতিক লো রেটিংয়ের কারনে টিভি সিরিজটাকে শেষ না করে একেবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুঃখু, দুঃখু....

বিদেশী ছবিগুলো
কয়েকটি বিদেশী ছবি দেখলাম। বেশীরভাগই ভালো। ভালো রেটিং দেখেই ইংরেজী সাব টাইটেল সহ দেখলাম কষ্ট করে হলেও।

দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাটো একটা সুইডিশ থ্রিলার ছবি। ছবিটা ইন্টারেস্টিং। এছাড়া আহা উহু করার তেমন কিছু পাইনি।

লেট দ্যা রাইট ওয়ান ইন আরেকটি সুইডিশ ভুতের ছবি। একটি ছোট্ট ভ্যাম্পায়ার মেয়ের সাথে আরেকটি ছোট্ট ছেলের প্রেমের গল্প এটি। কিন্তু ভুতের ছবি এই ধরণের পার্সপেক্টিভ থেকে আগে কখনো দেখিনি। তাই আকর্ষণীয় মনে হয়েছে মোটেমাটে।

ক‌্যারামেল একই লেবানিজ ছবি। প্রায় মধ্যপ্রাচ্যের ছবির ধাঁচে তৈরী কয়েকটা বিউটি পার্লার গার্লের জীবন নিয়ে ছবিটা। মন্দ না। তবে একসময় একটু বোরিং লাগতে পারে।

প্রায় একই রকম সাদামাটা জীবনের গল্প নিয়ে তৈরী ইরানী ছবি দ্যা সং অফ স্প্যারোস। দরিদ্র উট পাখির ফার্মের রাখাল করিম। তার ভুলের কারনে একটা উট পাখি পালিয়ে যায় ফার্ম থেকে। সেই থেকে তার দুদর্শার শুরু।

চমৎকার আরেকটি ইরানী ছবি হল দ্যা স্টোনিং অফ সোরাইয়া এম.। ইরানের মুসলিম সমাজে ধর্মকে কিভাবে ব্যবহার করে নারীদের প্রতি অন্যায় করা হয় এটা তারই গল্প। ছবিটির চিত্রায়ন এবং আবহ সঙ্গীত মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়।


মন্তব্য

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আরেকটু বিস্তারিত লেখা আশা করেছিলাম। হাসি
আমি টিভি দেখি না, তবে কয়েকটা টিভি সিরিজ নামিয়ে দেখি।
আসলটার কথাই তো বললেন না! বিগ ব্যাঙ থিউরি (Big bang theory)। আমি সিএসআই কয়েক পর্ব দেখছি, খারাপ না। ডেক্সটার-ও কিছু কিছু দেখেছি। ইদানীং থ্রিলার বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিমূলক কিছু খুঁজছি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বিগ ব্যাঙ থিউরি জোস! কিন্তু নেটফ্লিক্সে নেই। তাই পুরোপুরি দেখা হয়নি।

আরো বিস্তারিত লেখলে দেখার আগ্রহ হারিয়ে যেতো। চোখ টিপি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বিগ ব্যাঙ থিউরি কি হুলু তে দেখা যায় না?

তারাপ কোয়াস এর ছবি

'ডেক্সটার' এর রেটিং দেখে আর দেরি করতে পারলাম না, নগদে ডাউনলোড শুরু করে দিলাম হাসি
দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাটো' দেখা ছিলো, অত ভালো লাগেনি, বাকিগুলার রেটিং দেখি বেশ চড়া; দেখতে হবে।
(নামগুলা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই)


love the life you live. live the life you love.

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাট্টু ভালু পান নাই, মিয়া আপনারে কইষা মাইনাচ! শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্পর্শ এর ছবি

এত রিসার্চ করে বানায়!! বাহ। ডেক্সটার দেখার আগ্রহ সৃষ্টি হলো, দেখি সময় সুযোগ করতে হবে... চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বাংলাদেশে মিডিয়া রিসার্চ খুব একটা হয় না, এটা ঠিক। আবার ন্যাশনাল মিডিয়া সার্ভে বলে যেটা হয়, সেটা কিনতে ম্যালা টাকা লাগে! তাই তেমন, একটা কেউ কিনে না। টিভি প্রোগ্রাম নিয়ে রেটিং করে সিরিয়াস বলে একটা প্রতিষ্ঠান। তারা আবার ডেটা ম্যানিপুলেট করে বলে অভিযোগ আছে। তাদের প্রোগ্রাম রেটিং এ ইসলামিক টেলিভিশনও কখনো কখনো এক নম্বর হয়!
আবার প্রোগ্রাম ভালো না হওয়া নিয়ে যা বললেন, তার নানাবিধ কারণ আছে। একে আমাদের দেশের প্রোগ্রাম তৈরি করতে বাজটে থাকে না। আবার প্রোগ্রাম কিনে টিভি চ্যানেলগুলো ঠিকমতো টাকাও দেয় না। ঠিকমতো পেমেন্ট না পাবার কারণে নির্মাতারা বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে সাহস পান না। এই পরিপ্রেক্ষিতে কম টাকার বিনিয়োগে ফারুকী ও তার ভাই বেরাদরদের উদ্ভব হয়েছে। এছাড়া আছে চয়নিকা চৌধুরীদের মতো হিন্দি সিরিয়ালের ফর্মুলা মার্কা নাটক। ম্যালা টাকার বাজেট আছে যেসব স্পন্সর প্রোগ্রাম হয়, সেগুলো বানানোর আগে যথাযথ রিসার্চ করে না। বাইরের প্রোগ্রাম নকল করে ছেড়ে দেয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার জবাবটির জন্য ধন্যবাদ!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আহ, Dexter!! কী যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখে সারলাম! কাহিনীর বিবরণ পড়ে আমিও ভেবেছিলাম যে এটা আর দশটা টিভি সিরিজের মতো কিছু হবে। এদেশে দেখেই সাহস পেয়েছিলো এরকম একটা শো তৈরির। এতটা প্রভোকেটিভ কাহিনী ও মেকিং কল্পনা করতে পারি না। অন্যগুলো দেখিনি, তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে Dexter একটা মাট-ওয়াচ সিরিজ।

অফটপিকঃ আপনি টিভি শো দেখেন ধরে নিয়ে বলছি -- House এবং বিশেষ করে Chuck-এ বিভিন্ন ছুতায় বাংলাদেশের তির্যক রেফারেন্স দেয়, খেয়াল করেছেন নাকি?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

House আর Chuck দেখি নাই। কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে তীর্যক রেফারেন্স সেদিনও কোথায় জানি দেখলাম।

ফাহিম হাসান এর ছবি

দ্যা সং অফ স্প্যারোস এর সিনেমাটোগ্রাফি চমৎকার। অভিনয়ও দুর্দান্ত। মাজিদ মাজিদি ভাল পাই। এত অল্প কথায় গল্প বলেন মুগ্ধ ন হয়ে পারা যায় না।

শিশিরকণা এর ছবি

আমার প্রিয় সিরিজ "বোন্‌স" এক্স ফাইলসের ভক্তরা প্রধান দুই চরিত্রের রসায়ন উপভোগ করতে পারেন। হুলুতে পাওয়া যায়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ডেক্সটার এর মত অসাধারণ টিভি সিরিয়াল মনে হয় না আর একটাও বানানো হয়েছে, এক কথায় অসাধারণ। তবে ফ্রিঞ্জ ট্রাই মারতে পারেন, বেশ ভালো। এর পাশাপাশি স্পার্টাকাস, মেন্টালিস্ট, টুয়েন্টি-ফোর এর প্রথম ৫ সিজন, লাইফ, হাউজ এমডি ও দারুণ। স্পার্টাকাস ব্লাড-গোর ভায়োলেন্স ছাড়াও সেক্সুয়ালি এক্সক্লুসিভ এর চূড়ান্ত, তবে গল্পে তারা টান টান উত্তেজনা ধরে রাখতে পেরেছেন নির্মাতারা একদম শেষ পর্যন্ত। মেন্টালিস্ট এর প্রথম ২ সিজন খুব ভালো লেগেছে। মেন্টালিস্টে সাইমন বেকারের অভিনয়ের কারণে গল্পটা দাড়িয়েছে। লাইফ ২ সিজনের পর আর হয়নি, কিন্তু গতানুগতিক ধারার বাইরে বলে ভালো লাগত, আর সেখানে যে নায়িকা, তাকে দেখলেই আবার ঐ সিরিজ দেখতে মঞ্চায় খাইছে (এইটা অবশ্য লুল দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হাউজ এমডির কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই, ৭ সিজন হয়েছে, তাই কাউকে সাজেস্ট করি না সহজে, একবার ধরলে ৭ সিজনের প্রায় ১৬০-১৭০ পর্ব না দেখে থামতে পারবেন না শয়তানী হাসি । হিরোস আর প্রিজন ব্রেক বন্ধ হওয়ায় আমার কোন দুঃখু নাই, হিরোস যেভাবে নিম্নগামী পথ অনুসরণ করতেছিল, প্রথম সিজন এর পর বাকিগুলা একেবারের সুবিধার হয় নাই। আর প্রিজনব্রেক এমন ত্যানা পেচাইতেছিল যে নিজেদের তেনায় নিজেরাই পা প্যাঁচায় প্লটি খাইসে, অথচ প্রথম ২ সিজনে টান টান উত্তেজনা ছিল।

গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাট্টু এর ২য় পর্ব গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার এখন নেট ফ্লিক্সে আছে। ২ টা ছবিই দারুণ লেগেছে আমার কাছে। ৩য় পর্ব আসি আসি করছে, অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি সেটার জন্যে। নতুন ছবির মধ্যে দ্যা টাউন দেখতে পারেন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার রিভিউ এবং মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ! দেখবো দেখি। সমস্যা হইলো বাসায় নেটফ্লিক্স এনেইবলড টিভি একটা - সেটাতেই বাংলা টিভি চলে, বাবুর জন্য গান চলে। আমি আর ভাগ পাইনা। মোবাইল ফোনই ভরসা।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সেটাতেই বাংলা টিভি চলে, বাবুর জন্য গান চলে

চলুক চলুক চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, স্পার্টাকাস ল্যাপি বা মোবাইলে দেখাই ভালো। নাহইলে মহা মাইঙ্কা চিপায় পড়বেন বস! পর্দা বা লজ্জার কোন ব্যাপার নাই।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বিবিসির শার্লক দেখলেন কেউ?

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আবার জিগস, ৩ পর্ব দেইখা পাংখা হইয়া আছি, কতখানি ভালো লাগছে সেটা বুঝবেন যখন জানবেন ব্রিটিশ এক্সেন্ট বুঝতে কষ্ট হয়, তারপরেও ২ বার দেখেছি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হা হা! আমি কিন্তু সাবটাইটেল ছাড়াই দেখেছি সাফল্যের সাথে! আর সত্যি বলছি রিওয়াইন্ড করে দেখি নাই! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চলুক আসল আকর্ষন ছিল শার্লকের আধুনিকায়ন, আমার ধারণা ঠিক এই কারণেই এই সিরিয়ালটা এত জনপ্রিয় হয়েছে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা থাকতাম, কখন আবার ক্লু গুলো বর্ণনা করবে, আর সেই সাথে স্ক্রিনে ইনফরমেশনগুলো আসতে থাকবে। তাছাড়া আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকলে শার্লক কি করতে পারত সেটাও দারুণ ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে। থাম্বস আপ ফর বিবিসি এবং শার্লক এর নির্মাতা টিম।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তুহিন [অতিথি] এর ছবি

ব্রিটিশ এক্সেন্ট এর জন্য ক্লু গুলোর বর্ণনা বুজতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। যাই হোক BBC এর planet earth ও শার্লক দেখার পর BBC এর ফ্যান হয়ে গেছি। অন্য কোন series খুজছি। কারো জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লাইফ ২ সিজনের পর আর হয়নি, কিন্তু গতানুগতিক ধারার বাইরে বলে ভালো লাগত, আর সেখানে যে নায়িকা, তাকে দেখলেই আবার ঐ সিরিজ দেখতে মঞ্চায় খাইছে (এইটা অবশ্য লুল দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

হাত মেলান, ভায়া। আরেকজনকে পেলাম অবশেষে যার 'লাইফ' পছন্দ এবং আমার মতো করেই পছন্দ। চোখ টিপি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, এটার কথা জানতামই না, অনিকেতদা একদিন কইল, তখন ২য় সিজন কেবল শুরু হইছে, ব্যস, টরেন্ট কইরা এক এপিসোড দেইখাই পাংখা। একটানে পুরা ১ম সিজন দেখেছি। হাত মিলাইলাম না, এক্কেবারে কোলাকুলি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ্যাঁ, দুইটাই নেটফ্লিস্কে আছে। প্রথমটা দেখা শুরু কর্সিলাম। এখনো শেষ করি নাই।

সুইডিশ লেখক লারসন এই মিলেনিয়াম ট্রিলজির লেখক। বই প্রকাশ করার আগেই তিনি মারা যান। এরকম একটা কথা চালু আছে- উপন্যাসগুলোর থিম লারসনের হলেও সম্পাদনা করেছে অন্য কেউ।

তাঁর লেখা ক্রাইম নভেলগুলোতে ধর্ষনের বিস্তারিত বিবরণ থাকে।এগুলো নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা কথা আছে। নিউ ইয়র্কার তাদের জানুয়ারি ১০ তারিখের সংখ্যায় লারসনের ওপর কলাম ছেপেছে। সেখান থেকে দুইটা প্যারা তুলে দেই:

According to certain researchers, another sexual fantasy common among men is rape. Larsson’s campaign against the abuse of power eventually became focussed on one victimized group: women. A friend of Larsson’s tells the story that, at the age of fifteen, Larsson watched as several boys he knew gang-raped a girl. Later, ashamed, he telephoned the girl and asked her to forgive him. She refused. He is said never to have forgotten this episode. In these three violent novels, no species of assault is more highly featured than the rape of women by men. Furthermore, you can’t go twelve pages without being almost screamed at on the subject of feminism. Larsson’s original title for his trilogy was “Men Who Hate Women.” (This remained the title of the first book in the Swedish edition. Gedin says that he absolutely insisted.) All the sections of the first book are prefaced with statistics on crimes against women. The epigraphs in the third book all have to do with female warriors—the Amazons, and so on.

Yet some critics have accused Larsson of having his feminism and eating it, too. They say that, under cover of condemning violence against women, he has supplied, for the reader’s enjoyment, quite a few riveting scenes of violence against women. There are indeed many such scenes, the most vile being the sex murders in the first book. It should be noted, however, that we never see those crimes. They are in the past—they are told to Mikael and Lisbeth, and hence to us. Other crimes against women get curiously brief coverage. Niedermann’s murder of the two Russian girls takes only four lines.

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ডেক্সটার আমি দেখি নাই! অন্যদের বিবরণে ভালো লাগবে না ভেবেছিলাম, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে দেখলে হয়! চিন্তিত

আপনি অ্যানিমেশন দেখেন নাকি? জানতাম নাতো! নারুতো দেখেছেন? আমি ম্যাঙ্গা অত ভালু পাই না, ইমোশনগুলো দেখাবার এক্সট্রিম এক্সপ্রেশনে কারণে বিশেষ করে। কিন্তু এইটা আমার এক বন্ধু আমাকে খালি দেখতে বলতো, শেষে তার কাছ থেকেই সবগুলো এপিসোড সবগুলো সিজনের নিয়ে এসে দেখা শুরু করে হুকড হয়ে গেছি। মারাত্মক কাহিনি। আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ এক নিনজা বালকের সত্যিকারের একজন নিনজা হয়ে ওঠার কাহিনি হলেও, জটিলতা, নতুনত্ব আর কাহিনির ভয়াবহতায় (হ্যাঁ বেশ আতঙ্কিত করে দেয় মাঝেমাঝে এত গভীর সব বিপদ চলে আসে বাচ্চা-কাচ্চা নিনজাগুলোর উপরে!), আর ভিলেনেরা এতটাই ভয়ঙ্কর যে বেশ ভালোই জমাটি ব্যাপার। ধরে রাখতে পারে বেশ। দেঁতো হাসি

আভাতার - দ্য লাস্ট এয়ারবেণ্ডার দেখতে শুরু করেছি ধুগোদা আর আরো অনেকের বক্তব্যে। এইটার সাথে নারুতোর কিছুটা মিল থাক্লেও, আভাতার খুবই ইনোসেন্ট নারুতোর হিসেবে। তবে এটা বেশ সুন্দর, মনভালো করা টাইপ, একেবারেই নারুতোর উল্টো কিছু দিক দিয়ে। দ্বিতীয় সিজনের মাঝ পর্যন্ত দেখে এখন আর মাত্র একটা সিজন দেখা বাকি আছে ভেবে মন খারাপ লাগছে একটু। এটার সিনেমা বানিয়েছিল ২০১০-এ, সবাই একবাক্যে জঘন্য বলেছে, আমার দেখার ইচ্ছা নাই।

হিরোস হলো এক্স-মেনের মতো, কিন্তু তাও প্রথম দুইটা সিজন ধরে রেখেছিল, ৩ নম্বরটা গড়াগড়ি খাচ্ছে হার্ডডিস্কে, অর্ধেক দেখেছি, আর দেখবো না মনে হয়, মুছে দিতে হবে।
লস্ট দেখতেন? শেষটা অমন হবে জানাই ছিল, শেষ সিজনটা টেনেওছে খামাখা, কিন্তু আমার শেষ এপিসোডটা দেখতে ভালো লেগছিল।

বোনস দেখেন। অন্যতম ভালো শো গুলোর একটা বানিয়েছে। রহস্যগুলো ভাল, আর ফরেন্সিক সায়েন্স বলেই এটা মোটেও CSI-এর মতো না, বরং CSI এর থেকে সব দিক দিয়েই আলাদা (CSI যে ক্যান মানুষ দেখে!), এইটা একটু জানিয়ে রাখতে চাই! আর প্রধাণ দুই চরিত্রের মাঝের বন্ধুত্ব তৈরির ব্যাপারটা খুব চমৎকার, কিন্তু শুধু তাদেরকে নিয়েই শো না, অন্য চরিত্রেরাও প্রায় সমান গুরুত্ব পায় এটা ভালো লাগে, আর মজারো বেশ। হাসি

লেট দ্যা রাইট ওয়ান ইন - নিয়ে বেশ আলাপ হয়েছিল অপ্র-র এই পোস্টের মন্তব্যে। হাসি

আপনি উইয়ার্ড বিদেশি সিনেমা পছন্দ করলে দুইটা স্প্যানিশ সিনেমার নাম দেই -
ফ্যামিলিয়া
আর টাইম ক্রাইমস
আমি বেশি কিছুই বলবো না, স্রেফ এইটা বাদে যে স্প্যানিশরা টুইস্টেড সামাজিক কাহিনি নিয়ে সিনেমা বানায়ে ফেলতে সবচাইতে ওস্তাদ বলে আমার ধারণা হয়েছে!

সং অফ স্পারোস আছে আমার কাছে, এখনো দেখার সময় পাইনি। আর বাকিগুলো দেখি নাই।

স্টোনিং অফ সুরাইয়া এম-এর কথা অনেকের কাছেই শুনলাম। মনে হয় দেখব না, কারণ আমার যেকোন ধরণের অত্যাচার টাইপ জিনিস দেখতে খুব খারাপ লাগে, (অ্যাকশন বা থ্রিলার-এ যেমনটা আসে, অমনগুলোর কথা বলছিনা)।
তবে এই সিনেমার কাহিনি থেকে মনে পড়লো, আপনি কি খালেদ হোসেইনির আ থাউস্যান্ড স্প্লেনডিড সানস পড়েছেন? কাইট রানার আর এই বইটা পড়া উচিত যারা পড়তে পছন্দ করেন তাঁদের, আফগানিস্তানের ৫০ বছরের সামাজিক জীবনের পরিবর্তন দেখতে। আমি ৪০ বছর আগের কাবুল দেখা কিছু বাংলাদেশীর বর্ণনার সাথে এই বই দুইটার কাবুল আর আফগানিস্তান নিয়ে আমার সীমিত জ্ঞানে জানা পরিবর্তনগুলোর মিল পেয়েছি। মনে হয়েছে হোসেইনি যথেষ্ট নিরপেক্ষভাবে দুই জেনেরাশনের দুই নারীর দৃষ্টি দিয়ে অর্ধ-শতকের পরিবর্তনগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন।

সর্বশেষে আমার একটা প্রশ্ন আছে - আপনি চাকরি, বাবু, বাসা আর সচলায়তন সামলায়ে এ্যাত কিছু দেখার সময় কখন পান?! অ্যাঁ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সর্বশেষে আমার একটা প্রশ্ন আছে - আপনি চাকরি, বাবু, বাসা আর সচলায়তন সামলায়ে এ্যাত কিছু দেখার সময় কখন পান?!

এটা একটা প্রশ্ন বটে। উত্তর জানা নেই। তবে এখানকার ছবিগুলো প্রায় ৮/৯ মাস ধরে দেখা। বাবু হবার আগে থেকে দেখতে শুরু করেছি। অনেক দিন ধরে লিখবো ভেবেছি। লেখা হয়নি। এবারে লিখে ফেললাম।

অন্যান্য ছবি/সিরিয়ালের জন্য ধন্যবাদ!!!

অদ্রোহ এর ছবি

গতানুগতিক ক্রাইম সিরিজের চেয়ে ডেক্সটারের ধাতটা আমার কাছে খানিকটা আলাদা মনে হয়। ক্রাইম সিরিজগুলোতে যেটা হয় আর কি, ক্রাইমস্পটে দেখা যায় চরিত্রগুলো খানিকটা আড়ষ্ট হয়ে পরে, ফলে গোটা দৃশ্যটা ক্লিশে হয়ে পড়ে, মেকি তো বটেই। কিন্তু ডেক্সটারে দেখা যায় ক্রাইমস্পটে চরিত্রগুলো এমনকি রসিকতাও করে, যেটা আদপে আমার কাছে অনেক সহজাত মনে হয়। আর কাহিনিতে অত টানটান ভাব না থাকলেও মেকিং এর কল্যাণে ডেক্সটার শুরু করলে ছেড়ে ওঠা দায়।

অ্যানিম খুব বেশি দেখা হয়না, এ নিয়ে কথা বলার কামেলের অভাব আমার চারপাশে নেই। তবে যারা দেখেননি তাদের জন্য ছোট্ট সাজেশন, ডেথ নোট না দেখলে মিস!

হিরোসের পয়লা সিজন দেখেছিলাম ২-১ এর পিএলে। টানা দুদিন নাওয়া খাওয়া হারাম হয়ে গেসল। এখন অবশ্য টুইনপিকস দেখছি, শুরুটা মন্দ নয়। আর ফাঁকে ফাঁকে আমার অলটাইম ফেভারিট ফ্রেন্ডস, বিগ ব্যাং থিওরি ত আছেই।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

দ্রোহী এর ছবি

ডেক্সটার সবগুলো সিজন দেখেছি। হাসি

বাকিগুলোর একটাও দেখিনি। মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।