দ্য অ্যালকেমিস্ট

মামুন হক এর ছবি
লিখেছেন মামুন হক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৫/২০০৯ - ৯:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

ভূমিকাঃ
আমার একটা ডাইরী আছে যেখানে মরার আগে কি কি করে যেতে চাই তার একটা তালিকা বানানো আছে। ঐ খান থেকে ভালো কয়েকটা আপনাগোরে শুনাইঃ-
১। কয়েক লাখ গাছ লাগানো, যাতে মরার আগেই যে পরিমাণ অক্সিজেন বিনষ্ট করছি বাঁচার নামের তামাশায় তার কিছু হইলেও বদলা দিয়ে যেতে পারি
২। বুয়েনেস আইরেসে এস্তাদিও আলবার্তো জ়ে আর্মান্দোতে দিয়েগো মারাদোনার পাশে বসে বোকা জুনিয়রস আর রিভার প্লেটের মধ্যের খেলা দেখা
৩। একটা কইন্যা সন্তানের বাপ হওয়া
তারপর নানা আব ঝাপ টাইপের খেয়াল...লিস্টির এগারো নম্বরে আছে-
নিজের লেখা একখান পুস্তক প্রকাশিত হতে দেখে যাওয়া যার মলাটে আমার দাঁত কেলানো ছবি থাকবে।

এই জাতীয় বিশাল সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন হইতে সময় লাগে আর এর জন্য প্রচুর প্রস্তুতিরও দরকার হয়। তো আমি বাকী সব খেয়াল পূরণের আক্টিভিটিজ শুরু করে দিছি অনেক আগে থেকেই ( বিয়া করছি মাত্র দুই বছর তাই কইন্যা বানানোর মকশো করতে পারি নাই, কিন্তু সেইটা এই বছরের কার্ডে আছে...জোরে বলেন আমিন!)। কিন্তু বই লেখার ক্ষমতা নাই, ঐ স্বপ্নটার কি হবে? ব্যাপারটা খুব পীড়া দিতে লাগল। কয়েক বছর আগে আমারে এক দোস্ত পাওলো কুয়েলহোর লেখা 'দ্য অ্যালকেমিস্ট' বইটা পড়তে দিল , বইটা পইড়াই আমি কাইত, পড়ে মনে হলো যে এই বইটা বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের পড়া দরকার। তখনই ভাবলাম নিজে যেহেতু লিখতে পারিনা ভালো একটা বই অনুবাদ করলে কেমন হয়? আইডিয়াটা নিজের কাছেই মনে ধরল আর আমি সিরিয়াসলি অনুবাদে নেমে গেলাম। কিন্তু করতে গিয়া দেখি অনুবাদ করতেও অনেক এলেম লাগে শুধু দুই চাইর পাতা ইংরাজি জানলেই হয়না। অনেকবার ভাবছি যে থাউক সবাইরে দিয়া সব কাম হয়না, বই লেখাটা না হয় বাদই যাউক, কিন্তু কেন জানি স্বপ্নটা হত্যা করতে পারলাম না। বইটা আমি হাতে লিখে অনুবাদ করা শুরু করি, কারন তখন কম্প্যুটারে বাংলা লিখতে জানতাম না। অনুবাদের বাজারপ্রিয় রীতিনিতি সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নাই, শুনছি ভাবানুবাদ না কি যেন খুব পপুলার, আমি সে রকম কিছু করি নাই, মূল লেখাটায় গম্ভীর একটা টোন আছে ঐটা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। হয়তো হইছে, হয়তো অশ্বডিম্ব প্রসব ছাড়া কিছুই হয় নাই, কিন্তু আমি আসলেই এটার পেছনে অনেক সময় দিয়েছি। আপনারা যদি কষ্ট করে পড়ে কিছু মতামত দিতেন তাহলে বিষয়টা পরিস্কার হইত। যদি অফ যাইতে বলেন তাইলে বিবেচনা করে দেখব, আর যদি মনে হয় যে চলবে তাইলে বাকীটাও শেষ করতাম।
খুবই কাচা হাতের কাজ, আমি জানি অনেক এডিটিং দরকার হবে, তবুও আপনারা আপন মানুষ... কোন এক নাদানের অযৌক্তিক স্বপ্ন বাস্তবায়নে এতটুকু কষ্ট আপনাদের দেয়ার আধিকারবোধ এতদিনে জন্মে গেছে আর আপনারাই দায়ী এর জন্যে। পুরোটা পড়ার যন্ত্রণা আপনাদের দেবোনা, দুই এক চ্যাপ্টার পড়ে ভালো মন্দ জানালেই কৃতজ্ঞ থাকব।
আগাম ধন্যবাদ সবাইকে।
________________________________________
দ্য অ্যালকেমিস্ট
মূল: পাওলো কুয়েলহো

১.
ছেলেটির নাম সান্তিয়াগো। সে যখন তার পশুপাল নিয়ে পরিত্যক্ত গীর্জাটিতে পৌছাল তখন সন্ধ্যা নামছিলো। ছাদ অনেক আগেই ধ্বসে পড়েছে আর পবিত্র স্থানটির যত্রতত্র ব্যাপকভাবে আগাছা জন্মে উঠেছে। সান্তিয়াগো রাতটি ওখানেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল । সবগুলো ভেড়া ভাঙ্গা দরজাটার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করার দৃশ্য সে তাকিয়ে দেখল । তারপর বড় কয়েকটি ডাল আড়াআড়ি ভাবে সেখানে রাখল যাতে রাতের বেলা ভেড়াগুলো বাইরে চলে যেতে না পারে । ঐ অঞ্চলে কোন নেকড়ের আনাগোনা ছিলনা, তবে রাতের বেলা কোন ভেড়া একা বাইরে চলে গেলে পরের পুরোটা দিন ওটাকে খুঁজতেই কেটে যেত । আলখাল্লা দিয়ে মেঝেটা ঝেড়ে নিয়ে, সদ্য শেষ করা বইটাকে বালিশ বানিয়ে সে শুয়ে পড়ে । মনে মনে নিজেকে বলে তার উচিৎ আরো মোটা বই পড়া, ওগুলো টেকে বেশীদিন আর বালিশ হিসেবেও বেশি আরামদায়ক ।

রাত অন্ধকার থাকতেই তার ঘুম ভেঙ্গে গেল । উপরে তাকিয়ে আধভাঙ্গা ছাদের মধ্য দিয়ে সে আকাশে তারা দেখতে পাচ্ছিল । আমি আরো একটু বেশী ঘুমাতে চেয়েছিলাম-সে ভাবে । ঘুমের মাঝে এক সপ্তাহ আগে দেখা স্বপ্নটাই সে আবার দেখেছে আর এবারো স্বপ্ন শেষ হবার আগেই তার ঘুম ভেঙ্গে গেছে । ছেলেটি জেগে উঠে লাঠি দিয়ে ঘুমন্ত ভেড়াগুলোকে জাগাতে শুরু করল । এটা তার চোখে পড়েছে যে তার ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই অধিকাংশ ভেড়াগুলো জেগে ওঠে। মনে হয় কোন রহস্যময় শক্তি তার জীবনকে ভেড়াগুলোর সাথে গেঁথে দিয়েছে , এদের সঙ্গেই কেটেছে তার জীবনের গত দুইটি বছর , খাদ্য আর পানীয়ের খোজে গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়ে ।

" ওরা আমার সাথে চলতে এতটাই অভ্যস্ত যে আমার দৈনন্দিন সময়সূচী পর্যন্ত ওদের জানা "-ছেলেটি স্বগতোক্তি করে । একটু ভেবে তার মনে হল এর বিপরীতও হতে পারে, হয়ত সে নিজেই ওদের সময়সূচী অনুযায়ী চলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে ।

কয়েকটি ভেড়া সবসময়েই উঠতে বেশী সময় নেয় । ছেলেটি লাঠি দিয়ে সেগুলোকে খোঁচাতে লাগল , একের পর এক,নাম ধরে ডেকে ডেকে । সে বিশ্বাস করে যে ভেড়াগুলো তার কথা বুঝতে পারে । তাই অনেকবারই সে তার পছন্দের বইগুলো থেকে ওদের পড়ে শুনিয়েছে, অথবা নিঃসঙ্গ এক রাখালের সুখ-দুঃখের কথা বলেছে।কখনো চলার পথে দেখা বিষয়ের উপরে ওদের সাথে মতামত বিনিময়ের চেষ্টাও করেছে ।

কিন্তু গত কিছুদিন যাবৎ সে ওদের সাথে কেবল একটি বিষয়ে কথা বলেছে-সেই মেয়েটি, চারদিন পড়ে তারা যে গ্রামে পৌছাবে সে গ্রামের এক ব্যবসায়ীর মেয়ে । এর আগে ঐ গ্রামে সে মাত্র একবারই গিয়েছে -গতবছর । ব্যবসায়ী লোকটির মনোহারী এবং শুকনা দ্রব্যের একটি দোকান আছে । নিজে সামনে থেকে সে ভেড়ার পশম তোলা দেখত, যাতে করে তাকে কেউ ঠকাতে না পারে । এক বন্ধু তাকে দোকানটি সম্পর্কে জানালে ছেলেটি তার ভেড়ার পাল নিয়ে ওখানে গিয়েছিল।

***********************************
"আমি কিছু পশম বিক্রী করতে চাই "-ছেলেটি ব্যবসায়ীকে জানায়। বেচাকেনায় ব্যস্ত লোকটি তাকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে। তখন সময় কাটাতে সে বাইরে সিড়িতে বসে একটি বই খুলে পড়তে শুরু করল ।
"আমি জানতাম না যে রাখালরা আবার পড়তেও জানে "-পেছন থেকে একটি মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসল । মেয়েটি আন্দালুসিয়ার আর সব মেয়েদের মতই দেখতে , ঢেউ খেলানো দীর্ঘ কালো চুল আর বিজয়ী মূরদের (উত্তর আফ্রিকা থেকে আগত মুসলিম জাতি যারা স্পেন বিজয় করেছিল) মত চোখ তার ।
"আসলে আমি বই থেকে যা শিখি, আমার ভেড়ার পাল থেকে তার চেয়েও বেশী শিখে থাকি " -সে জবাব দিল।

পরবর্তী দু'ঘন্টার আলাপে মেয়েটি তাকে জানাল যে ব্যবসায়ী লোকটি তার বাবা , এবং তারা গ্রামীন জীবন সম্পর্কে আলাপ করল যেখানে প্রতিটি নতুন দিন অন্যান্য সব পুরনো দিনের মতোই। ছেলেটি তাকে আন্দালুসিয়ার শহরতলী আর অন্যান্য যে সব শহরে সে থেমেছে সেগুলো সম্বন্ধে জানাল । ভেড়ার পালের সাথে কথা বলার চেয়ে এটি একটি চমৎকার ও আনন্দময় পরিবর্তন ছিল ।
"তুমি কি করে পড়তে শিখলে?"-মেয়েটি একপর্যায়ে জানতে চাইল ।
"যে ভাবে আর সবাই শেখে, -বিদ্যালয়ে" – সে বলল ।
"তো তুমি পড়াশোনা করেও কেন সামান্য রাখাল হলে?" - ছেলেটি দায়সারা গোছের একটি জবাব দিয়ে প্রশ্নটি কাটিয়ে দিল । সে নিশ্চিত ছিল যে মেয়েটি কখনই এটা বুঝতে পারবেনা । সে তার ভ্রমন কাহিনী বলে যেতে লাগল আর মেয়েটির মূরদের মত উজ্জল চোখদু'টি শিহরণ ও বিস্ময়ে বড় হতে থাকে । এক পর্যায়ে ছেলেটি আশা করতে লাগল এই দিনটি যেন আর কখনই শেষ না হয়, ব্যবসায়ী লোকটি যেন আরো ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং তাকে আরো তিন দিন অপেক্ষায় রাখে । এমন এক আশ্চর্য অনুভূতি সে বোধ করতে লাগল যা সে আগে কখনো করেনি-একই যায়গায় চিরদিন থাকার ইচ্ছা। আন্দোলিত চুলের এই মেয়েটির কারনে তার জীবন আর কখনই আগের মত থাকবেনা ।
কিন্তু অবশেষে ব্যবসায়ী লোকটি হাজির হয়ে তাকে ভেড়ার পশম তুলতে বলল । পশম তোলা শেষ হলে দাম মিটিয়ে দিয়ে লোকটি তাকে আবার আগামী বছর আসার অনুরোধ জানাল ।

***************************
এবং আর মাত্র চারদিন পরেই সে ঐ গ্রামে যাবে । ভাবতেই তার উত্তেজনা বোধ হলো, কিছুটা অস্বস্তিও , হয়তো এতদিনে মেয়েটা তাকে ভুলে গেছে । পশম বিক্রির উদ্দেশ্যে আরো কত রাখাল এই পথে আসা যাওয়া করে ।
" এটা কোন ব্যাপার না"-সে ভেড়াগুলোকে লক্ষ্য করে বলে- " আমি অন্য যায়গায় আরো মেয়েদের চিনি " ।

কিন্তু এটা তার মনে একটা বড় ব্যাপার হয়েই ছিল । সে জানত যে রাখালরা নাবিক বা ফেরীওয়ালাদের মতোই , চলতি পথে তারা হঠাৎ এমন সব যায়গার সন্ধান পায় যা তাদের নিরুদ্বিগ্ন ঘোরাফেরার আনন্দকে ভুলিয়ে দেয় ।

সকালের উজ্জ্বলতা বাড়ার সাথে সাথে ছেলেটি সূর্যকে মাথার উপরে নিয়ে পথ চলতে থাকে । ভেড়াগুলোকে কখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়না -সে ভাবে , হয়তো একারণেই এরা সবসময় আমার কাছাকাছি থাকে। কেবল মাত্র খাদ্য আর পানীয়ই চিন্তার বিষয় ওদের কাছে । যতদিন ছেলেটি আন্দালুসিয়ার সবচেয়ে ভালো মাঠগুলোর সন্ধান জানবে, ততদিন তাদের বন্ধুত্বে ঘাটতি হবেনা । তাদের দিনগুলো সব একই রকমের ,আপাতদৃষ্টিতে অন্তহীন সময় সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মধ্যে , যৌবনে বই পড়ার কোন চিন্তা ওদের মাথায় আসেনা ,এবং ছেলেটি যখন ভেড়াগুলোকে লোকালয়ের নিশানা সম্পর্কে বলে তখন ওরা কিছুই বোঝেনা । কেবল খাদ্য আর পানীয়ের মধ্যেই ওদের জগৎ সীমাবদ্ধ, এবং এর বদলে ওরা উদার ভাবে পশম জোগায়, আর মাঝে মধ্যে মাংস । আমি যদি কোনদিন দানবে পরিনত হই এবং এদের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই, একের পর এক, তাহলে এরা সাবধান হবে অধিকাংশ জবাই হয়ে যাওয়ার পর--ছেলেটি ভাবল। ওরা আমাকে বিশ্বাস করে, এতটাই যে ওদের নিজস্ব সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো পর্যন্ত ব্যবহার করতে ভুলে গেছে, কারণ একটাই-আমি চলার পথে ওদের তরতাজা রাখি ।
ছেলেটি তার নিজের ভাবনায় নিজেই অবাক হয় । হয়ত যত্রতত্র আগাছা জন্মে ওঠা গীর্জাটিতে ভুত-প্রেত বাস করে । এর কারনেই সে একই স্বপ্ন দু'বার দেখেছে এবং তার বিশ্বস্ত সঙ্গীদের প্রতি রাগান্বিত বোধ করছে । সে আগের রাত্রের অবশিষ্ট পানীয় থেকে কিছুটা পান করে আলখাল্লাটি শরীরে আরেকটু জড়িয়ে নিল । তার জানা ছিল যে আর কয়েকঘন্টা পরে সূর্য যখন তেজীভাবে উঠবে চারদিক তখন এত গরম হয়ে যাবে যে ভেড়ার পাল নিয়ে আর পথ চলা যাবেনা । এটা এমন এক সময়ের কথা যখন সমগ্র স্পেন গ্রীস্মকাল ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিত । রাত নামা পর্যন্ত সবকিছু গরমে তেতে থাকত আর পুরো সময়টাই তাকে আলখাল্লা বয়ে বেড়াতে হতো । ভারী এই পোষাকটার ওজন নিয়ে তার মনে বিতৃষ্ণা আসতেই তার মনে পড়ল ভোররাতে এটাই তাকে উষ্ণ রাখে ।
পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে--সে ভাবে, আর একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা বোধ করে ভারী পোষাকটির ওজন এবং উষ্ণতার প্রতি ।

আলখাল্লাটির একটি বাস্তব প্রয়োগ আছে,আছে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য,যেমন আছে তার নিজের জীবনেরও । তার জীবনের লক্ষ্য ভ্রমন করা আর গত দু'বছরের একটানা দীর্ঘ ভ্রমনের কারনে আন্দালুসিয়ার সমস্ত লোকালয়গুলো সে খুব ভালো করে চেনে । তার পরিকল্পনা হলো এবার দেখা হলে ঐ মেয়েটির কাছে ব্যাখ্যা করবে কী করে এক সামান্য রাখাল পড়তে শিখল । সেটা হচ্ছে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা । তার বাবা-মা চেয়েছিলেন তাকে ধর্মযাজক বানাতে যাতে করে সে তাদের সাধারন কৃষক পরিবারে সম্মান বয়ে আনতে পারে । ভেড়ার মতই ছিল তাদের জীবন , প্রতিদিন উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে হত খাদ্য আর পানীয়ের জন্য । ছেলেটি লাতিন,স্প্যানিশ আর ভূ-তত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা করছিল । কিন্ত বাল্যকাল থেকেই তার কাছে ধর্মের আগে পৃথিবীকে ভালোভাবে জানা বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হতো । কোন এক দুপুরে সাহস সঞ্চয় করে পরিবারের সবার সামনেই তার বাবাকে জানাল, সে ধর্মযাজক হতে চায়না । তার ইচ্ছা পর্যটক হবার ।
****************************
"শোন ছেলে-পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকেরা এই গ্রামে এসেছে " -তার বাবা বলতে থাকেন -" তারা নতুনত্বের সন্ধানে আসে কিন্তু যখন তারা ফিরে যায় তাদের নিজেদের মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখা যায়না । তারা পাহাড় ডিঙ্গিয়ে দুর্গ দেখতে যায় আর ভাবতে বসে যে অতীত দিনগুলো বর্তমানের চেয়ে ভালো ছিল । তাদের চুল সোনালী বা গায়ের রং কালো ,কিন্তু আসলে তারা এখানে যারা বাস করে তাদের মতই সাধারন মানুষ "।
" আমি যেখানে তারা বাস করে ঐ শহরগুলো দেখতে চাই "--ছেলেটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।
" ঐ লোকগুলি যখন আমাদের অঞ্চল দেখে, তারা চিরদিন এখানেই থেকে যেতে চায় " -তার বাবা পাল্টা যুক্তি দেখালেন ।
ঃ "ভালো কথা, কিন্তু আমি তাদের দেশ দেখার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রাও দেখতে চাই, বুঝতে চাই "-ছেলেটি নাছোড়বান্দার মত বলে ।
-"একটা কথা ভাবো যে যারা এখানে দেশভ্রমনে আসে তাদের অনেক টাকা আছে,ভ্রমনের খরচ তারা বহন করতে পারে । আমাদের মধ্যে কেবল রাখালরাই ভ্রমন করতে পারে " ।
ঃ "বেশ, আমি তাহলে একজন রাখালই হব "--ছেলেটি সরল অথচ দৃঢ় ভঙ্গীতে জানাল।
বাবা একথা শুনে চুপ হয়ে গেলেন । পর দিন তিনি তার ছেলেকে তিনটি স্প্যানিশ স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি একটি থলে হাতে দিয়ে বললেন " আমি এগুলো একদিন পথে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম । ভেবেছিলাম এগুলো তোমার উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাব । যাই হোক, এখন তুমি ভেড়া কিনতে এটা ব্যয় করতে পারো । ভেড়ার পাল নিয়ে পথে নাম কিন্তু একদিন তুমি ঠিকই বুঝবে যে আমাদের দেশ সবচেয়ে ভালো আর আমাদের মেয়েরা সবচেয়ে সুন্দরী ।"

বাবা ছেলেকে আন্তরিক ভাবে আশীর্বাদ করলেন । ছেলেটি বাবার চোখে তাকিয়ে তার মনের গহীন কোনে লুকিয়ে রাখা এক স্বপ্নকে এখনো জীবন্ত দেখতে পেল । বাবার স্বপ্নও একই-দেশভ্রমনের , পৃথিবীকে জানার । যদিও সেটা ঢাকা পড়ে আছে কঠিন জীবন যুদ্ধের আড়ালে, যুগযুগ ধরে খাদ্য, পানীয় আর বাসস্থান সংস্থানের একঘেয়ে সংগ্রামের নীচে ।
************************
লালচে দিগন্তে হঠাৎ করেই সূর্য দেখা দেয় । ছেলেটি তার বাবার সঙ্গে শেষ আলাপের কথা ভাবছিল , ভেবে একটু খুশী হল যে সে ইতিমধ্যেই অনেক দুর্গ দেখেছে , অনেক মেয়ের সাথে আলাপ হয়েছে (কিন্তু তাদের কেউই তার মত নয় যার জন্য সে গত কয়েকদিন যাবৎ গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে) । সহায়-সম্বল বলতে তার আছে কেবল একটা আলখাল্লা , একটি বই যেটা অন্য একটি বইয়ের সাথে বদলে নেয়া যাবে আর একটা ভেড়ার পাল । তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তার প্রতিদিনের জীবন তেমনই যেমন সে স্বপ্ন দেখেছিল । যদি আন্দালুসিয়ার প্রান্তর তাকে ক্লান্ত করে তোলে তাহলে সে ভেড়ার পাল বিক্রি করে সাগরে পাড়ি দিতে পারবে । আর যতদিনে সাগর তাকে ক্লান্ত করে তুলবে ততদিনে তার অনেক নতুন শহর দেখা হয়ে যাবে , পরিচয় হবে অনেক সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে এবং অনেক নতুন সুযোগ মিলবে সুখী হওয়ার । তাত্ত্বিক ধর্মীয় আলোচনার মধ্যে আমি সৃষ্টিকর্তাকে খুজে পাইনি -উদীয়মান সূর্যের দিকে তাকিয়ে সে ভাবে ।

যখনই সম্ভব হয় সে নতুন পথে ভ্রমন করে । সেই ভাঙ্গা গীর্জাটিতে তার আর কখনই যাওয়া হবে না যদিও সে পথে তার আরো অনেকবার ভ্রমন করা হবে । পৃথিবী বিশাল আর অক্লান্ত , তাকে শুধু ভেড়ার পালকে একবার পথ দেখিয়ে দিলেই হয়, এরপর সে অন্যান্য আকর্ষনীয বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে পথ চলতে পারে । সমস্যা হল তারা এরা বোঝেওনা যে প্রতিদিনই তারা নতুন পথে চলছে । নতুন মাঠ বা নতুন মওশুম তাদের নজরে পড়েনা । তাদের সমস্ত চিন্তা-চেতনা কেবল মাত্র খাবার আর পানি নিয়ে ।
হয়ত আমরা সকলেই ওদের মতোই-ছেলেটি ভাবে । এমনকি আমিও,সেই ব্যবসায়ীর মেয়েটিকে দেখার পর থেকে আমি আজ পর্যন্ত অন্য কোন মেয়ের কথা ভাবিনি । সূর্যের দিকে তাকিয়ে সে অনুভব করল যে দুপুরের মধ্যেই তারা তারিফিয়াতে পৌছে যাবে । সেখানে সে তার বইটি আরো মোটা একটি বইয়ের সাথে বদলে নেবে, ভর্তি করে নেবে পানীয়ের বোতল, দাড়ি কামাবে, চুল কাটাবে-সেই মেয়েটির সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে তাকে ভদ্রস্থ হতে হবে । আর সে এটা নিয়ে ভাবতেও চায়না যে হয়তো তার আগেই অন্য কোন রাখাল , বা আরো বড় কোন পশুপালের মালিক ওখানে পৌছে তার স্বপ্নের মেয়ের পাণিপ্রার্থী হতে পারে ।

স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত হবার সম্ভাবনা জীবনকে আকর্ষনীয় করে তোলে- সে ভাবে, তারপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে যাত্রার গতি বাড়িয়ে দেয় । হঠাৎ তার মনে পড়ল যে তারিফিয়াতে এক বৃদ্ধা বাস করেন যিনি স্বপ্নের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে পারেন ।

**************************************

(চলবে)


মন্তব্য

ভুতুম এর ছবি

চলবে তো অবশ্যই। খুব ভালো লাগলো। তবে গুস্তাখী মাফ হলে একটা ছোট মন্তব্যও জুড়ে দিতে চাই, কিছু জায়গায় আরেকটু সাবলীল হলে আরো ভালো লাগতো।অনুবাদের প্রধান সমস্যা এই যে অনেক কথা যা একভাষায় বেশ চমৎকার লাগে, সেটা অন্যভাষায় একটু গতি হারিয়ে ফেলে যদি একই গাঁথুনিতে লেখা হয়। আপনি আরেকটু স্বাধীনতা যদি নেন অনুবাদের ব্যাপারে তো একেবারে লা-জওয়াব হয়ে যাবে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

বানান নিয়ে কিছু লিখলাম না কারণ আপনার তো আমার করা প্রুফরিডিং পছন্দ হয় না।

একটা প্রশ্ন জাগে মনে, এই যে লিখেছেন, "পড়ে মনে হলো যে এই বইটা বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের পড়া দরকার", এর কারণ কী? একটু ব্যাখ্যা করেন না। যে লেখক লেখেন "আসলে আমি বই থেকে যা শিখি, আমার ভেড়ার পাল থেকে তার চেয়েও বেশী শিখে থাকি", তার বই পড়ে বাংলাদেশের মানুষ কী শিখবে? আমাদের ভেড়া নাই হয়তো, গরুবাছুর তো আছে, বেকার বই পড়ে সময় নষ্ট না করে দুধ আর ঘুঁটের ব্যবসা করলে বেশি শেখাও হয়, চারটে পয়সাও আসে ঘরে। কী বলেন? হাসি

মামুন হক এর ছবি

আমি এক মত। নিজেও ভেবেছি একটু স্বাধীনভাবে লিখবো কিনা। কিন্তু বইটা এত ভারী যে সাহস হয়নি। এটা কিন্তু জাস্ট রাফ একটা অনুবাদ, সংশোধনের সময় এবং সুযোগ দু'টোই আছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

মামুন হক এর ছবি

দাদা পুরো বইটা না পড়েই ক্ষেপে গেলেন? অনুবাদ ভালো হয়নি তা আমিও জানি। শেখার জন্যেই তো এখানে এসেছি।
বইটার মূল বক্তব্য হচ্ছে-
"When you desire your Personal Legend, all the universe conspires to help you achieve it."
আমাদের মতো দুঃখী দেশের হতাশ মানুষদের এই বিশ্বাসটা আত্মস্থ করা খুব দরকারী বলে মনে হয়েছিল , তাই সে কথা বলেছি।
সম্ভব হলে মূল বইটা খুজে বের করে পড়বেন, ভালো লাগবে আশাকরি।
আপনার ভুতের গল্পটা গেল কই?

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে না না ক্ষেপি নি, একটু পদাকর্ষণ করছিলাম আর কি। হাসি

গল্প এডিট হচ্ছে, দু-এক দিনের মধ্যে পোস্টাবো। আপনি তো অল্পেই খুশি, আমি ততো সদাশিব নই, তাই শেষটা নিয়ে আরো দু জনের মতামত নিলাম। তাঁরাও সন্দিহান, তাই কিছু ছোটোখাটো এডিটকর্ম চলছে।

সিরাত এর ছবি

হুমম। কি যে একখান আইতেছে না! চোখ টিপি

কয় পর্বে দিবেন? একটু টিজার মারেন না!

মূলত পাঠক এর ছবি

বেশি না, দুই পর্বেই হয়ে যাবে মনে হয়। আসলে প্রথম গল্প লিখছি, তাই এই সতর্কতা।

এই নেন টিজার (মামুন ভাই কিছু মনে করবেন না আশা করি, ওঁর পোস্টের নিচে দিলাম বলে):

যাঁরা বিদেশের ক্যাম্পাসে থেকেছেন তাঁরাই জানেন লম্বা ছুটি পড়লেই ক্যাম্পাসঅঞ্চল মোটামুটি একরাতেই ভৌতিক চেহারা ধারণ করে। আমেরিকান ছেলেমেয়েরা শেষ পরীক্ষাটা দিয়েই হয় বাড়ি চলে যায় কিংবা আর কোথাও, পড়ে থাকে শুধু যত বিদেশিরা যাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটা ভয়ানক লম্বা, তাদেরও অনেকে আত্মীয়বন্ধুর বাড়িটাড়ি চলে যায় সম্ভব হলে। ফলে গরমের ছুটিটা যখন পড়লো তখন খুশি হওয়ার বদলে বেজায় বিরক্ত লাগতে লাগলো, কী করে এই ভয়ানক রকমের লম্বা ছুটি কাটবে সেই ভেবে। আমারও পরিকল্পনা আছে বেড়াতে যাবার, কিন্তু গোটা ছুটি তো ঘুরে বেড়ানো যায় না। কাজেই আপাতত একমাত্র উপায় বন্ধুরা মিলে ডাউনটাউনে গিয়ে হুল্লোড় ও মদ্যপান, যতদিন এরা দু-একজন শহরে আছে ততোদিন অন্তত।

প্রথম লাইনেই ভৌতিক শব্দটা আছে, এ ভূতের গল্প না হয়ে যায়? হাসি

মামুন হক এর ছবি

ভালো দাদা কিন্তু অ্যাডভান্স পাঠক প্রিয়তা যাচাই করে গল্প নামানোর ধৈর্য আমার নাই হাসি আর যত কষ্টই মশাই সবাইকে খুশি করা সম্ভব বলে মনে হয়না। তাড়াতাড়ি নামান আমি কিন্তু ভালোই ভয় পেয়েছি প্রথম এডি শনটা পড়েই। এখন তো মনে দাঁত কপাটি লেগে যাবে।

খেকশিয়াল এর ছবি

অ্যালকেমি নিয়ে অদ্ভুত সুন্দর একটা অ্যানিমি সিরিজ দেখতাম, ফুল মেটাল অ্যালকেমিস্ট। আপনার লেখাটা সময় করে পড়ব।

------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সালাহউদদীন তপু এর ছবি

কৃতিত্বটা কাকে দেব বুঝতে পারছি না, মূল লেখককে নাকি অনুবাদককে। তবে অনুবাদের জোরেই এত ভাল লেগে থাকে তো অনুবাদককে ধন্যবাদ। আর যদি মূল লেখকের উপস্থাপনার জন্য ভাল লেগে থাকে তো মূল লেখককে ধন্যবাদ।

তবে আপনাকে ধন্যবাদ এই শুভ উদ্যোগটি হাতে নেয়ার জন্য। অনুবাদটি ভাল হয়েছে, অর্থাৎ আপনার যে স্বাতন্ত্র্য তা ক্ষুন্ন হয় নি বরং বহাল তবিয়তেই টিকে আছে এই লেখায়ও। আপনি লিখে যান, আমরা তো আপনার সাথে আছিই।

মামুন হক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তপু।

s-s এর ছবি

আজ প্রায় সারাদিনই সচলে পড়ছি, লিখছি, কাল থেকে অনেক কাজ করতে হবে আবার তাই। মামুন ভাইয়ের লেখাটার বিষয়ের জন্য আগ্রহ বোধ করছি, কিন্তু এও জানি যে অনেক কিছুই বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে এতো আবেদন হারায়, যে সেটা আর পড়তে ইচ্ছে করেনা। আজ এ নিয়েই কথা হচ্ছিলো এক বন্ধুর সাথে, তাই বলি, সবকিছুর "বাংলাফাইং" হয়না আসলে। আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে কিন্তু এটা ভালো একটা বাংলায় বলা গল্প হতে পারে। কারণ গল্পটা বলার ভঙ্গী বেশ নিস্পৃহ, সেটা কি অনুবাদ না আসল গল্পের জন্য, তা বলার জো নেই। অনুবাদের কিছু আড়ষ্টতা থাকেই, সেটা যে কোন অনুবাদকই অনুভব করেন, আবার একটানা লিখলে সেটা কেটেও যায়। সুতরাং থাম্বস আপ করে লিখতে থাকুন, একসময় দেখবেন তরতর এগোচ্ছেন! আর মূলতঃ রাজর্ষিদা'র বলা কথাটার পরিপ্রেক্ষিতে বলি, হয়তো কিছু খুব ভালো লাগলে খুব বাচ্চাদের মতোই সবাইকে পড়াতে ইচ্ছে করে তাই না? লেখক কত বড় মর্কট বা বাংলাদেশীরা কি শিখবে সেটা বাংলাদেশীদের হাতেই ছেড়ে দিই, অনুবাদটা হলে একটা অন্য সংস্কৃতির আদানপ্রদানের কথা তো জানা যাবে, সেটা খুব খারাপ হয়তো নয়, কি বলেন?হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে ঐটা একটা সেমাই-জোক ছিলো (আধা রসিকতা?) হাসি
অনুবাদ করা তো ভালো জিনিস, সেই নিয়ে সন্দেহের অবকাশও আছে নাকি।

বাংলাফাই নিয়ে মনে পড়লো, সত্যজিত রায়ের একটা গল্পে ছিলো কয়েক বন্ধু রাত্তির বেলা ডাকবাংলোয় বসে হ্যাজাকের আলোয় চৌকিদারের বানানো ডিমের ডালনা খাচ্ছে, এর ইংরিজি অনুবাদে গোটা পরিবেশটাই হারাবে। সব ভাষাতেই সেই সমস্যা। তবু তো লোকে অনুবাদ করে, কাজের কাজ কিছু না হলে কি আর করতো!

মামুন হক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ আর কষ্ট করে পড়ার জন্য।
আমি চেষ্টা করে যাব সুখপাঠ্য করতে, মূল ভাবের সাথে গিয়াঞ্জাম না করেই হাসি

মধ্যসমুদ্রের কোলে এর ছবি

ভালো লাগলো পড়ে। একটা জিজ্ঞাস্য ছিলো এ ব্যাপারে-
মূল বইয়ের আর আপনার অনুবাদের মোট লাইনসংখ্যা কি সমান/সেইম হচ্ছে?

মামুন হক এর ছবি

মনে হয়না। আমি ভাবানুবাদ ভালো বুঝিনা। লেখকের প্রতি, তার সৃষ্টির প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ, কৃতজ্ঞতা অনেক পুরু। মূল লেখার আবহাওয়া না বদলে যতটুকু সম্ভব ভাষান্তর করার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।

বন্যরানা এর ছবি

পুরোটা পড়ার যন্ত্রণা আপনাদের দেবোনা

পুরাটা না পড়াইলে এই দুই চাপ্টারও পড়মুনা। আগে কন পুরাটা পড়াইবেন, তারপর বিসমিল্লাহ্ কইয়া পড়া শুরু করুম।

মামুন হক এর ছবি

পুরাটা নামাইতে কমসে কম ছয় মাস লাগবো, এতদিন বন্যেরা বনে ধৈর্য ধরে বসে থাকবে?

মুস্তাফিজ এর ছবি

অনুবাদ করে ফেলুন। করার পর কোথাও ভাষাগত পরিবর্তন আনতে হলে আনবেন। ছাপার ব্যাপারটা পরে, আগেতো আমরা পড়ে নিই।

...........................
Every Picture Tells a Story

মামুন হক এর ছবি

ঠিকাছে। এইটা খুব কাজের কথা বলছেন। আগে লেখাটা শেষ করি। এটা ছাপার যোগ্য না হলে পরে অন্য কিছু লিখে ফেলব।

দময়ন্তী এর ছবি

এই বইটা কেন জানিনা কোনওদিনই তেমন ভাল লাগে নি৷ বহু লোকের সাথে বহু তর্ক হয়ে গেছে এই নিয়ে৷
আমার ব্যক্তিগত মত হল, ভাগ্যনির্ভরতার বদলে আত্মনির্ভরতার পাঠ শিখতে "জোনাথন লিভিংস্টোন সিগ্যাল' অনেক বেশী আবেদন রাখে৷

অনুবাদ চলুক৷
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ। বইটা কিন্তু মোটেও ভাগ্য নির্ভরতার কথা বলে না হাসি

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

এখন উৎসাহ দেই-চালিয়ে যান। সামালোচনা শেষ হলে করবো।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মামুন হক এর ছবি

হুম। পাগলকে বলেছি নারাস নে সাঁকো, এখন শিশিরে কি ভয়।

সাইফ এর ছবি

বস, আপনে দেখি ব্যাক ইন বিজনেস। অনুবাদ কোপাকোপি হৈতেছে কিন্ত আগেও বলছিলাম, ভাষাগত পার্থক্যের জন্য জোরটা কমে যায়, কিন্তু আমার বোঝার ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশী। চালায় যান মামুন ভাই, এমন ও হইতে পারে, আপনার ভাব ভঙ্গীর কারনে বইটা নতুন রূপ পাবে, যদি বলতেন আপনার নিজের লেখা, তাহলে হয়ত আমরাও ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতাম পুরা অনুবাদটা।
চলবে, উড়বে এবং জ্বলবে হো হো হো

মামুন হক এর ছবি

সাইফ দেখি পুরা জ্বালাও-পোড়াও ফর্মে হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মূল ইংরেজি বইটা নামায়া নিলাম নেট থেকে। পড়ব সময় করে।

আপনার অনুবাদ পড়লাম। আমার মতে, অনুবাদ করা মহা শক্ত একটা কাজ। আমি একবার একটা গল্প অনুবাদের চেষ্টা করে পুরাই বাজে অবস্থায় পড়সিলাম। কিছুতেই ভাবটা ঠিকমতো প্রকাশা করা যায় না। তাই যারা অনুবাদ করেন, তাদের জন্য আমার বিশেষ একটা ভাললাগা কাজ করে এখন।

আপনার অনুবাদ সুন্দর হচ্ছে কিন্তু। হালকা পাতলা ঘষামাজার স্কোপ আছে যদিও, সেটা ধীরে ধীরে হয়ে যাবে। তবে পুরা অনুবাদ পড়তে চাই। দাবি জানায়া গেলাম জোরালোভাবে। দুই এক চ্যাপ্টার পর বন্ধ করে দিলে কিন্তু পড়াই বাদ দিয়ে দিব! হাসি

মামুন হক এর ছবি

ঘষা মাজা চলছে,চলবে হাসি
অনুবাদ আসলেই জটিল একটা কাজ। চেষ্টা করে দেখি পাতে দেয়ার মতো কিছু বানানো যায় কিনা । অনেক ধন্যবাদ ভাই।

সিরাত এর ছবি

মামুন ভাই,

আমি আমার অনেস্ট ফিডব্যাক দিলাম, যা আপনি চাইছেন। এখন চেইতা আর লাভ নাই! হাসি

পড়ার আগে জানিয়ে দেই আমি আদৌ অনুবাদের পক্ষপাতী না, সরাসরি মূল ভাষায় পড়াই শক্তভাবে সমর্থন করি। একই সাথে আমি সেবা প্রকাশনীর কাছে চরমভাবে কৃতজ্ঞ ওদের ক্রিয়েটিভ অনুবাদের জন্য। এই অনুমিতিগুলো মাথায় রেখেন।

১। আপনি দেয়ার সময় ফরম্যাটিংটা আরেকটু সাজিয়ে দিলে মনে হয় পড়াটা আরো মসৃন হতো। এটা একটু ইমপ্রুভ করা যেতে পারে সামনে।

২। আমি বানান নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাই না কিন্তু 'যায়গা' দেইখা তো যাইতেগা ইচ্ছা করলো। এগুলি একটু দেখা দরকার।

৩। সামগ্রিক অনুবাদটি সত্যি বলতে কৃত্রিম লেগেছে। খুব একটা আকৃষ্ট করতে পারে নি। মন খারাপ সেটিংটা তো বেশ ইন্টারেস্টিং, আন্দালুসিয়া অসম্ভব রোমান্টিক একটা জায়গা। কিন্তু অনুবাদটা যাকে বলে 'উডেন', সেরকম মনে হল... একটু বেশি এলিমেন্টারি মনে হল। আরেকটু ভাব বা ম্যাচিউরিটি আনতে পারলে মনে হয় ভাল হত (ভুতুমের চেরাগ আলি গল্পটার টাইপের ভাষা ব্যবহার করা কি সম্ভব?), কিন্তু সে ক্ষেত্রে তো আপনার লজিক আছে কোয়েলহোর ভাষা। শামসুদ্দিন নওয়াবের জুলভার্নের বইগুলো হতে পারে একটা থিম, বা কাজি মাহবুব হোসেনের ওয়েস্টার্নগুলো। গ্রিম, নন-স্প্যাঘেটি কিছু সেবা ওয়েস্টার্ন আছে, ওগুলির স্টাইলটা মাইরা দেন না! 'মালাকাইটের ঝাঁপি' বইটা, যেটা রাশিয়ান থেকে বাংলা করেছে প্রগতি প্রকাশনী, ওটার স্টাইলটাও কাজে লাগতে পারে এক্ষেত্রে, যদি বইটা ওরকম গম্ভীরই হয়।

এবার আমার প্রশ্ন: কোয়েলহো এই বই কোন ভাষায় লিখেছিলেন? ব্রাজিলিয়ান পর্তুগীজ? সেক্ষেত্রে ইংরেজি অনুবাদে সিগনিফিক্যান্ট 'লস্ট ইন ট্রান্সলেশন' হতে পারে ভাষা দুটার মৌলিক সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে।

যাই হোক, আমার দুই পয়সা দিয়া গেলাম। দেখেনই না আগিয়ে, হবে না কেন?

মামুন হক এর ছবি

ধন্যবাদ সিরাত তোমার গঠনমূলক সমালোচনার জন্য। যত যাই কও চেতাইতে পারবানা হাসি সে আশায় গুড়ে বালি।
তোমার ১ এবং ২ পয়েন্টের সাথে পুরোপুরি একমত। তবে টু বি অনেস্ট 'যায়গা' লেখাট একটা স্লিপ অব টাং হয়ে গেছে। ভুলেও আমার চোখে পড়েনি। এমন বিশ্রী ভুল আর হবেনা, সতর্ক থাকব।
কিন্তু ৩ নম্বরটা তোমার ব্যক্তিগত মত, আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। মূল লেখাটা পর্তুগীজে, আমি অনুবাদ করার চেষ্টা করছি ইংরেজী অনুবাদ থেকে। সত্যি বলতে ইংরেজি ভার্সনটা আমার কাছেও প্রথমে একটু রসকষহীন বলে মনে হয়েছে। কিন্তু লেখক হয়তো ভাষার কচকচানি বা শব্দের অলংকারের চাইতে মূল থিমটাতেই বেশি জোর দিয়েছেন। ধৈর্য ধরে পড়লে কয়েক চ্যাপ্টার পরে ভালো লাগতে শুরু করে, অভ্যস্ততা চলে আসে, আমার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। 'লস্ট ইন ট্রান্সলেশন' যাতে না হয় তার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, দেখি কদ্দুর আগাতে পারি।
ধন্যবাদ আবারো।

সাইফ এর ছবি

বস, আর যাই হোক, lost in translation হয় নাই আপনার লেখা, যারা বইটা পরসে, তাদের আকাঙ্খা খুব বেশী থাকবে, সেটাই হল সমস্যা, আমার ধারনা আগামী পর্বে আপনে ঝড় তুলবেন। মুজিব মেহদি ভাইরে আজান দেন, উনি আসলেই আপনারে সাহায্য করবে, কয়লা চিপ্টায়ই তো হীরা হয়, আপনারে দিয়া হবে এই অনুবাদ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তানবীরা এর ছবি

আমার কাছে অনুবাদ করা অনেকটা বিরক্তিকর কাজও। মনে হয় সবসময় মূল ভাবটা বজায় থাকছতো? নাকি নিজের মতো করে ফেলছি। আমি ধৈর্য্যহীন। আপনাকে অগ্রিম শুভকামনা

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জি.এম.তানিম এর ছবি

অসম্ভব পছন্দের একজন লেখক পাউলো কোয়েলো। তার লেখা আমার পড়া প্রথম বই এই দ্য অ্যালকেমিস্ট। প্রাঞ্জল ভাষা এবং খুব নরম করে বলা জীবনের শক্ত শক্ত কথা গুলোর কারণে দারুণ সুখপাঠ্য এই বই। বইটি পড়ার পরে মনে হয়েছিল আমার ভিতরের মানুষটা একটু হলেও বদলে গেল। আমাদের সময়ে অনেক মানুষ স্বপ্ন দেখার আর তা বাস্তবায়নের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। তাদের জন্যে অবশ্যপাঠ্য এই বই। লক্ষ্যের ব্যাপারে কনফিডেন্স থাকলে যে অসম্ভব বলে কিছু থাকে না এটাই শিক্ষা বলে মনে হয়েছে। মামুন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ অনুবাদটির কাজ শুরু করার জন্য।

অনুবাদের এর মান পরিমাপের ধৃষ্টতা করি না, তবে মনে হয়েছে ভাষাটা আরেকটু ঢিলেঢালা হলে ভাল হত... শেষ দেখতে চাই উপন্যাসটির।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

মামুন হক এর ছবি

তানিম, বইটা আমাকেও অনেকবার সাহায্য করেছে, কীভাবে কোথায় তা অপ্রাসঙ্গিক।
আমি বোধ হয় একটু স্বার্থপরের মত অনুবাদ করছি, আটো সাঁটো ভাবটা আমার ভাল্লাগে। দেখি একটু ঢিলে ঢালা করা যায় কিনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

জি.এম.তানিম এর ছবি

এটা পড়ার পর পুরোপুরি লেখকের ভক্ত বনে যাই। অন্য বইগুলো কোনটাই খুব একটা হতাশ করেনি। দ্য যাহির, ইলেভেন মিনিটস অথবা উইচ অফ পোর্টবেলো পড়ে দেখতে পারেন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় মামুন, আমার তরফ থেকে আধা পয়সা।

অনুবাদ অসম্ভব বিরিক্তিকর একটা কাজ। এর জন্য ধৈর্য্য ধরতে পারলে আখেরে তা অন্য কাজে দেবে। অর্থাৎ ধৈর্য্য ধরে অনুবাদকর্ম চালাতে পারলে এটা অভ্যাসে পরিণত হতে পারে।

প্রথমে অত কিছু না ভেবে আপনার মত করে গোটা বইটা অনুবাদ করে ফেলুন। তারপর পাঠক হিসেবে নিজেই অনুবাদটা একটানে পড়ে ফেলুন দুইবার/চারবার। দেখুন পাঠক হিসেবে আপনার কাছে কেমন লাগে অনুবাদটা। পথই তখন আপনাকে পথের সন্ধান দেবে। তখন কাউকে বলে দিতে হবে না আপনাকে কী করতে হবে।

সাহিত্য এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় গেলেই তা ভাবানুবাদ হয়ে যায়। মূল speed আর spirit টিকে থাকে না। আর এতো দুইবার হাতফেরতা জিনিষ। অনুবাদ হলো, নাকি ভাবানুবাদ হলো, নাকি রূপান্তর হলো তা নিয়ে তাই ভাবার দরকার নেই। বিশেষ কারো স্টাইল অনুসরণ করারও দরকার নেই। নাহয় মামুনীয় স্টাইলই দাঁড়ালো। সেটা যে খারাপ কিছুই হবে, ভালো কিছু হবে না এ'কথা জোর দিয়ে কেউ বলতে পারবেনা।

সোজা কথা, চালিয়ে যান। থামবেন না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মামুন হক এর ছবি

এই জন্যই ষষ্ঠ পান্ডবকে আমি এত পছন্দ করি, কি সুন্দর অল্প কথায় আমাকে পুরো রাস্তাটাই দেখিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি

যখন পড়া শুরু করি। বইটা আমি ছাইরা বাথরুমে জলত্যাগ করতে ও যেতে পারি নাই। কোয়েলহোর ভাষার মধ্যে কি যেন আছে। কোয়েলহো ইশ্বরের মত লেখেন। ছোট এই বইটায় মনে হয় সে সৃষ্টির অনেক গুড় ব্যাখ্যাই দিয়েছে। এই বইটি আসলে নিজেকে খুজে পাবার বই। আন্দালুসিয়ার রাখাল বালকের মতই আমরা সবাই জানিনা। আসলে কি আমরা চাই। নিজেদের লক্ষ্যরে চিহিঋত করতে পারিনা আমরা। যারা পারি তাদের সহযোগিতা করার জন্য তাদের স্বপ্নকে পাইয়ে দেবার জন্য বস্তগ্রহে সাড়া পড়ে যায়। সান্তিয়াগোর এমারাল্ড বিজয়ের অভিযান আসলে প্রত্যক মানুষের স্বপ্ন বিজয়ের ইতিহাস। আর সাহারা পরিভ্রমনের অভিজ্ঞতার কথা নাইবা বললাম। চালিয়ে যান ধন্যবাদ।

*********************************************

দ্রোহী এর ছবি

চলুক অনুবাদ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

যথেষ্ট ভালো হচ্ছে মামুন ভাই। চলুক
পড়লাম, প্রীতও হলাম। হাসি
চালিয়ে যান। বই হবে। হতে হবে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মামুন হক এর ছবি

সাইফুল ভাই যখন বলছেন তখন না হয় কী ভাবে? আপনার কথায় নতুন করে স্বপ্নটাকে ঝালিয়ে নিলাম:)

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

দ্যাট'স গ্রেট! হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

মূল বইডা পত্তি হবি তাইলি...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কোনো পোস্টই পড়া হচ্ছে না। শুধু চোখ বুলিয়ে যাচ্ছি কেবল। সময়হীনতা একটা ভয়ানক সমস্যা।

আপনার অনুবাদও পড়া হলো না। শেষ করে ফেলেন, তারপর পড়বো একবারে। তখন যা বলার বলবো।

এখানে অনেক পরামর্শ আসছে, সেগুলা হয়তো আপনার কাজে লাগবে। তবে আমার কথা হইলো চোখ বন্ধ কইরা কাজটা শেষ করে ফেলেন। মাঝপথে থামাইলে লালকার্ড দিমু।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মামুন হক এর ছবি

নজ্রুল ভাই লাল কার্ড দেখাইলে আমার আর যাওয়ার যায়গা থাকবোনা।
ঠিকাছে ভাই, শেষ করে ফেলব। পরে আপনাদের মতো ভালো লেখক কাউকে হাত-পা ধরে এডিট করে নেয়া যাবে।

মূলত পাঠক এর ছবি

নজ্রুলিস্লামের কথাপ্রসঙ্গে বলি (ওই লালকার্ড), প্রথম অনুবাদকর্ম একটা আস্ত বই দিয়ে শুরু করলে বেশি লোড নেওয়া হয়ে যায় (সাধারণত)। কাঁধের সেই জোর থাকলে তো অতি উত্তম, সময় বার করে করা গেলে আরো ভালো। যদিও একটা গল্প দিয়ে ওয়ার্ম আপ করে নিলে সব দিক থেকে সোজা হয়। বিনিপয়সায় জ্ঞান দিলাম খানিকটা। হাসি

শেষ না হলে প্রচুর দুঃখ আছে কপালে আপনার, এতো লোকের মন্তব্য দেখে সেইটা বুঝেছেন তো? কয়েক হপ্তা আগে একজন একটা গোটা বই ধরে দুই তিন লপ্ত দিয়ে থেমে গেছেন, আপনি যেন সেই পথে যাবেন না, তাহলে কিন্তু কপালে গণধোলাই আছে।

মামুন হক এর ছবি

রাজু ভায়া শোনো , আমি ১০০ পাতা হাতে লিখেই অনুবাদ ( বা ছাইপাশ যাই হোক) করে রেখেছি। আর বাকী আছে ৬০ পাতার মতো, সেটাও হয়ে যাবে। এখানে পুরোটা দিয়ে সবাইকে জ্বালাবো নাকি পিডিএফ করে তুমি বা আরো দুই চার জনকে দিয়ে ঘষা মাজা করিয়ে নেবো তাই ভাবছি। শেষ পর্যন্ত কিছু একটা দাড়িয়েই যাবে। এত মানুষের সস্নেহ পীঠে-মাথায় হাত বুলানো বৃথা যাবেনা হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পড়া শুরু করলাম। যেমনটা বলেছেন, লেখাটাতে ভারী ভাব আছে, আপনার অনুবাদেও তা টের পাচ্ছি। শুধু এটুকু বলি, উৎসাহের জন্য নয়, সত্যিই আমার ভালো লেগেছে। দেখি সময় করে বাকী গুলো পড়ে ফেলব।

হাসান এর ছবি

আমার মতে এই বই সব চাইতে বেশি overrated বই । এই বই কেম্নে মিলিয়ন মিলিয়ন বিক্রি হয় আল্লা মালুম ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।