হৃদয়অঙ্গন

মৃত্তিকা এর ছবি
লিখেছেন মৃত্তিকা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/১১/২০০৯ - ৭:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমরা যখন খুব ছোট, সেই সময় বাবা পেশার খাতিরে কিছুদিন ঢাকা-কুমিল্লা যাওয়া আসা করতেন। মনে পড়ে, বাবা প্রতি বৃহস্পতিবার কুমিল্লা হতে ঢাকা আসতেন। দুদিন থেকে আবার ফিরে যেতেন। আমি সারা সপ্তাহ ধরে বসে থাকতাম বৃহস্পতিবারটির জন্য। ঐ দিনটির জন্য আমি জানি, আমার বাবাও অপেক্ষা করতেন প্রতিদিন।

প্রতি শনিবারে বাবা ফিরে যাবার সময় জিজ্ঞেস করতেন, “তোমার জন্য কি আনবো মামণি?” আমি পাশে হাঁটতে হাঁটতে বাবাকে গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে দিতে বলতাম, “কিছু না বাবা”। তারপর গেট ধরে ঝুলে ঝুলে আস্তে করে শেষ বাক্যটি বলে বিদায় দিতাম তাঁকে, “রসমালাই”। বাবা হাসতেন। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতেন কপালে, তারপর বলতেন "আচ্ছা"।

সপ্তাহ পার হয়ে যখন আবার বৃহস্পতিবার আসতো, আমি আর ভাইয়া অপেক্ষা করতাম বাবার জন্য। উঠোনের এক মাথায় খেলাধূলা করতে করতে যেই না গেটের ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ শোনা যেতো, অমনি আমরা গৎ বাধা সেই “বাবা এসেছে, বাবা এসেছে…” বলে চিৎকার করতে করতে ছুটতে থাকতাম, কে কার আগে বাবাকে ছুঁতে পারে! অদূরে দেখা যেতো হাস্যোজ্জ্বল আমার বাবার মুখ! তাঁর এক হাতে ব্যাগ আর অন্যহাতে কখনও মাটির হাড়ি বা কখনও বাদামী কাগজের বিশাল ঠোঙ্গা। আমাদের কল কাকলীতে বাবার সারা সপ্তাহের ক্লান্তি নিমিষেই উবে গিয়ে সেখানে স্নেহ সঞ্চিত আবেগ ধরা পড়তো, তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বন্ধ দু’হাত নিয়ে আমাদেরকে সামলাতে!

সেই রসমালাই, মালাইকারি, ছানামুখি, রসকদম্ব আর ঠোঙ্গা ভর্তি লাল সবুজ আঙ্গুর………. এসবের চেয়েও মিষ্টি লাগে এখন আমার সেসব স্মৃতি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে।

------------------------------------------------------------------------------------------

আজ যেমন আবোল তাবোল লিখে চলেছি, পিচ্চিকালে করতাম ছড়াছড়ি! মানে ছড়া লিখতাম বিস্তর! সেগুলো পড়ে নিজেরই হাসি চাপা দায় হতো! তো যাই হোক। ফাকিবাজির চুড়ান্ত করার ফাঁকে ফাঁকে খানিক সময় পেয়ে, নিজের কাজ কর্ম শেষ করে গত রাতে যখন ঘুমুতে গেলাম, তখন হঠাৎ করে কয়েকটি শব্দ মাথায় ঘোরা ঘুরি শুরু করে দিলো। উঠে লাইট জ্বেলে সেসব টুকে না রাখা পর্যন্ত ঘুম আসছিলো না। তারপর কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম। দু’মিনিট যেতেই আবারো কিছু লাইন চলাফেরা করতে লাগলো চোখের পাতায়। কী আর করা, আবারও লাইট জ্বালালাম, লাইন টুকলাম। তারপর মনে মনে বললাম, আর একবার যদি লাইন ঘুরাইছিস, তো গেছিস!! দিলাম ঘুম। সকালে উঠে জোড়াতালি দিয়ে যা বানালাম তা পড়ে আমি এবার আর হাসলাম না। কাঁদলামও না।

বিহবল হলাম সৃষ্টির আনন্দে(!), হোক না তা আস্ত একটা ঘোড়ার ডিম!

ইচ্ছে চাকা ছুটছে আমার
দুরন্ত ঐ বালক যেমন...
উড়ছে আবার নাটাই বিহীন
হালকা হাওয়ায় ঘুড়ি যেমন!

সুরুজের ঐ কমলা রঙ্গে
মাঝে মাঝেই পুড়ছে যেমন,
ঝরছে আবার ঝির ঝিরিয়ে,
মেঘ গ’লে ঐ বৃষ্টি যেমন!

কখনও বা হাঁটছে ধীরে
ছোট্ট পায়ে কিশোরী যেন,
পরক্ষণেই ছুটলো আবার
তীরের বেগে নৌকো যেন!

হঠাৎ আবার ধাক্কা খেয়ে,
পথটা ভূলে, দিক হারিয়ে
চল্লো এবার হেলে দুলে।

জমছে সে তো শিশির যেমন
গলছে আবার বরফ যেমন,
জ্বলছে সে যে আগুন সম
নীভছে না আর প্রবল ঝড়েও!

উড়ছে যখন...উড়ুক না সে!
ঘুরুক আমার ইচ্ছে চাকা।

(দুঃখিত!) লইজ্জা লাগে
-----------------------------------------------------------------------------------------

সব শেষে একটা অর্কেস্ট্রা শুনিয়ে যাই। এটা বহু ঘেঁটে অন্তর্জাল থেকে ধার করা। গানটা তেমন একটা শোনা যায়না, তবে অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন। আমি প্রথম শুনেছিলাম ‘চোখের বালি’তে। ঐ সিনেমাটা ভালো লাগার আমার একমাত্র কারণ এর পেছনের যন্ত্রসংগীতসমূহ। সেখানে একটা রবীন্দ্রসংগীতের অংশবিশেষ শোনা যায়, বহু খোঁজাখুঁজি করেও এর ভালো একটা রেকর্ডিং ভালো কারও গলায় পাচ্ছিলাম না। পরে অবশ্য পেয়েছি, মোহন সিং এর গলায়, অ-সাধারণ!

তবে এখানে শুধু অর্কেস্ট্রাটাই দিলাম আপনাদের জন্য, হয়তো এটিও শুনে থাকতে পারেন। আমি আবার সবকিছু থেকে পিছিয়ে কিনা! দেঁতো হাসি

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA


মন্তব্য

kaalni এর ছবি

which song is this?

মৃত্তিকা এর ছবি

রবীন্দ্রসংগীত, 'এ কী লাবণ্য পূর্ণ প্রাণ'।

রেজওয়ান [অতিথি] এর ছবি

স্মৃতিচারণের অংশটুকু খুব খুব ভালো লাগলো।
আর আমি আপনার থেকেও পিছিয়ে। কম্পোজিশনটা প্রথম শুনলাম এবং শুনছিই ...

মৃত্তিকা এর ছবি

তাই? হাসি
ধন্যবাদ রেজওয়ান।

অতিথি লেখক এর ছবি

(--------“কিছু না বাবা”। তারপর গেট ধরে ঝুলে ঝুলে আস্তে করে শেষ বাক্যটি বলে বিদায় দিতাম তাঁকে, “রসমালাই”।)----------------- আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
এস হোসাইন

---------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ......বাবা কখনও এই পোস্ট পড়লে আপনার মন্তব্য দেখবেন নিশ্চয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাবা-মা কে নিয়ে লেখা যেকোন পোষ্টই ভীষণ মনোযোগে পড়ি...প্রথম অংশটুকু দারুণ..ভালবাসা রইলো এই লেখার প্রতি! *তিথীডোর

মৃত্তিকা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তিথী হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

স্মৃতিচারণ+ছড়া ভালো হৈছে!
.................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মৃত্তিকা এর ছবি

ভালো হৈছে আসলেও নাকি ভুং ভাং দিতেসেন?
যাই দেন, থ্যাংকু হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগল আপু। স্মৃতিচারণ সব সময় আমাদেরকে আবেগতাড়িত করে, ভালো লাগায় বিমুগ্ধ করে। আপনার স্মৃতিচারণ আমাকেও যে কিছুটা আবেগতাড়িত করে তুলল। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
দলছুট।

মৃত্তিকা এর ছবি

লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ দলছুট।

আহির ভৈরব এর ছবি

খুব ভালো লাগলো! বাবা-অংশটা ভীষণ মিষ্টি, নিজের "বাবা এসেছে!" কাহিনীগুলি মনে পড়ে গেল হাসি

ছড়াটা তো আমার বেশ লাগলো, লজ্জা ইমো কেন দিলেন ভাই? আমার ছোটো বেলার ছড়া যদি পড়তেন...সেগুলি আবার মা-বাবার কুমন্ত্রণায় পত্রিকায়ও পাঠাতাম মাঝে মাঝে, আবার ছাপাও হয়ে যেত...কী লজ্জা, কী লজ্জা!

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

মৃত্তিকা এর ছবি

লজ্জার ইমো দিলাম কারণ নির্লজ্জের মতো আমি আমার এই অপরিপক্ক ছড়া ছাপালাম বলে। হাসি
বুঝতে পারছি, আপনার ছড়া পড়তে হবে, জলদি ছেপে ফেলুন দেখি!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আহির।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

ছোটবেলার স্মৃতিটুকু পড়তে বেশ ভালো লাগলো।

------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালোলাগলো স্মৃতিকথন। ধন্যবাদ।

নীলআমার [অতিথি] এর ছবি

হৃদয়অঙ্গন, নামটা ভীষন সুন্দর হয়েছে, ইস আমি যদি বাবাকে নিয়ে এমন করে লিখতে
পারতাম, শ্রদ্ধা রইল বাবার প্রতি।

নীলআমার

মৃত্তিকা এর ছবি

মউ, নীল আর নামবিহীন অতিথী লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ!

ওডিন এর ছবি

তুমি ত বেশ ভদ্র শিশু ছিলা। আমি সবসময় লিস্ট ধরায় দিতাম।

আর- আস্ত ঘোড়ার ডিম যদি এই ছড়ার মতন হয় তাহলে ঘোড়ার ডিম জিনিসটাকে ভালোই বলতে হবে। দেঁতো হাসি
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

মৃত্তিকা এর ছবি

ধুর! কী যে বলো.... হাসি
থ্যাংকু।

**না এর ছবি

সুন্দর লেখা !

এ কী লাবন্যে পূর্ণ প্রাণ-- আমি প্রথম শুনি সাহানা বাজপেয়ী এর গলায়! ওটা না শুনে থাকলে শুনে দেখতে পারেন !

এল্বামের নাম " নতুন করে পাবো বলে " এল্বামের সবকয়টি রবীন্দ্র সংগীত ই সুন্দর!!

মৃত্তিকা এর ছবি

বলেন কি? সাহানার ঐ এল্বামটা আমার আছে, কিন্তু সেখানে ঐ গানটি তো পাইনি!
যাক, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

কনফুসিয়াস এর ছবি

কুমিল্লার রসমালাইয়ের কথা লিখেছেন বলে আপনাকে পাঁচ তারা দিয়ে গেলাম।
আহা, কী জিনিস মনে করিয়ে দিলেন, আজ রাতে ঘুম হবে বলে মনে হয় না।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মৃত্তিকা এর ছবি

কুমিল্লার রসমালাই, সে কী কখনও ভোলার? আমি তো স্বপ্নেও ঐ হাড়ি দেখি! হাসি

অনেক অনেক ধন্যবাদ কনফু'দাদা!

রাহিন হায়দার এর ছবি

কুমিল্লার রসমালাই আর ছানামুখী...কী মনে করালেন! মন খারাপ
গানটা অর্কেস্ট্রায় এই প্রথম শুনলাম। অনেক ধন্যবাদ তার জন্যে। দেঁতো হাসি

গদ্য ও পদ্য
দুই'ই অনবদ্য!
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

মৃত্তিকা এর ছবি

যদিও অনবদ্য কিছু রচনা করতে আমাকে আরও বহুদূর যেতে হবে, তবুও শেষের লাইন দুটোর জন্য অনেক ধন্যবাদ!

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আচ্ছা, শিরোনামে হৃদয় আর অঙ্গন দুটো আলাদা শব্দ হবে না?

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ ঠিক করে দেবার জন্য যুধিষ্ঠির'দা। মডারেটর ভাই যদি ঠিক করে দেন তাহলে কৃতজ্ঞ হবো।

দময়ন্তী এর ছবি

ছোটবেলার স্মৃত অংশটা বেশ লাগল পড়তে৷ মোহন সিং আর বিক্রম সিং দুজনই আমার বড্ড বড্ড প্রিয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মৃত্তিকা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য দময়ন্তী'দি হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রসমালাইয়ের কথা মনে করালেন, আবার।
যাই, পাঙ্গালোয়াস মাছ দিয়া ডইল্যা ভাত খাই গিয়া! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মৃত্তিকা এর ছবি

দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চেগায়া হাসেন ক্যান মিয়া ভাই? আজকা মদনের দোকান থাইকা এক টিন স্পঞ্জ রসগোল্লা কিনুম বিকালে। তারপর রসায়া রসায়া সেই জিনিষ খামু, একলা একলা। এইবার আমি হাসুম দাঁত কেলায়া দেঁতো হাসি

মুহাহাহা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মৃত্তিকা এর ছবি

ওকে, হাসি বন্ধ।
কিন্তু জর্মান দেশে মদনের দোকান পাইবেন কই?

আর পাইলেও একলা সব খাইলে উপরের ছবি খানা সত্য হয়ে যাবে! দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

সন্ধে সাতটা বাজে, পেট চোঁ চোঁ করছে, কখন সেই সুপস্যালাডের লাঞ্চ জুটেছিলো। আরো বসে থাকতে হবে দু ঘন্টা। এর মধ্যে খাওয়া যায় একমাত্র সিগারেট, তাতে পেট ঠিক ভরে না। এর মাঝে ঐ রসমালাইয়ের গল্প পড়ে রাগে গা জ্বলছে যে, তার কী হবে?

লেখার প্রথমাংশটা ভালো, তারপর তাড়াহুড়ো করে শেষ করে দৌড়োলেন, বোধ হয় ঐ রসমালাই খেতেই। সে বস্তু কি পালিয়ে যাচ্ছিলো? পরের বার এই রকম তাড়াহুড়ো করলে রসমালাইয়ের মালসা কেড়ে নেওয়া হবে।

কম্পোজিশনটা শুনে মুগ্ধ হলাম।

মৃত্তিকা এর ছবি

"লেখার প্রথমাংশটা ভালো, তারপর তাড়াহুড়ো করে শেষ করে দৌড়োলেন, বোধ হয় ঐ রসমালাই খেতেই। সে বস্তু কি পালিয়ে যাচ্ছিলো?"
--- হো হো হো
এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মূলো'দা!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পৃথিবীর তাবৎ স্মৃতি মূল্যবান। নইলে পৃথিবীর মূল্য কী?
গানটা রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ...
অনেক ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মৃত্তিকা এর ছবি

"গানটা রবীন্দ্রনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ "
--- সহমত। আমার ধারণা কি জানেন? এই গানের সাথে তাঁর বিশেষ কোন আবেগ, স্মৃতি বা ঘটনা থেকে থাকবে। কারণ, তাঁর খুব কম গানই কিন্তু এমন উচ্চ লয়ের।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার মিষ্টান্ন নিয়া আকুলতা নাই... কিন্তু পয়লা অংশে বাবার কথা মনে করায়ে দিলেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মৃত্তিকা এর ছবি

সময় করে পড়া আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

তানবীরা এর ছবি

মৃত্তিকা, আজকাল ঢাকায় রসমালাই পাওয়া যায়, মিষ্টিমুখের মতো না হলেও মজাদার। কিন্তু আমি মিষ্টিমুখের "ছানামুখী" খুব মিস করি।

লেখা ভালো লাগলো।

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মৃত্তিকা এর ছবি

ঢাকাতে তো সব মিষ্টিই পাওয়া যায় আপু কিন্তু ভিন্ন স্বাদ। ঢাকার রসমালাই গোল গোল, পাতলা। আর কুমিল্লার গুলো জাম আকৃতির, ঘন এবং ওটার ফ্লেভার........................থাক, আর বললাম না! হাসি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু!

তুলিরেখা এর ছবি

এ হে হে হে! এখন আমি রসমালাই রসকদম্ব ছানার পিঠা চিত্রকূট বালুসাই পাই কই?
লেখা চমৎকার হয়েছে মৃত্তিকা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মৃত্তিকা এর ছবি

ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম তুলি'দি!

প্রবাসিনী এর ছবি

আমার পাপা এখনো জানতে চায় কি আনবো? যে কোন জায়গাতে গেলেই পাপা হাতে করে কিছু না কিছু নিয়ে আসে।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

মৃত্তিকা এর ছবি

তাই? তাহলে তো তোমার অনেক সৌভাগ্য! বাবাকে দেখি না অনেকদিন।
ভালো থেকো তোমরা..........।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, লেখাটা কুমিল্লার রসমালাইয়ের মালসার মতই রসালো হয়েছে। কবিতা ঠিক বুঝি না, প্রথমে মনে হয় ছড়া লেখছিলে, তারপর দিক পালটে কবিতা লিখে ফেলেছ। আমি অবশ্য কবিতা দেখলেই উল্টাদিকে দৌড় দেই দেঁতো হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মৃত্তিকা এর ছবি

থ্যাংকিউ হাসি
এটা ছড়াও না, কবিতাও না..........হঠাৎ উঠে আসা মনের কিছু ভাবনা মাত্র!
ভালো থাকুন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পদ্যের চেয়ে গদ্যটা বেশি ভাল্লাগল হাসি

কম্পোজিশনটা শুনে দেখি..

মৃত্তিকা এর ছবি

ভাল্লাগবে কী করে ভায়া? আগেই বলে রেখেছি, উহা আস্ত একটা ঘোড়ার ডিম! হাসি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।