দশদিনের স্পেন-২

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: সোম, ০৫/১০/২০০৯ - ৬:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দশদিনের স্পেন-২
http://www.sachalayatan.com/mustafiz/27740">দশদিনের স্পেন ১

ঢাকা থেকে দোহা ফ্লাইট ভর্তি মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক, কেউ ছুটি শেষে কাজে ফিরছে, কেউবা নুতন। আমার পাশের কয়েকজন প্রথমবারের মত যাচ্ছে দেশের বাইরে। জিজ্ঞেস করে জানলাম লিবিয়া যাবে। আমি যা করি দেখাদেখি ওরাও তাই করে। হাত ফসকে একবার আমার কফির কাপে চিনির কাগজের প্যাকেট পড়ে গেলে পাশের জন দেখাদেখি প্যাকেট সহ চিনি গুলে কফি খেয়ে নিলো। মাতিস আর রিতার সীট আরো পেছনে। আমাদের সময় রাত বারোটায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে যেয়ে দেখি সেখানে তুমুল আড্ডা, আঁখি আলমগীর, পলাশ, একজন ফটোসুন্দরী, আরো কয়েকজন যাচ্ছে দোহা কোনো এক স্বাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবার জন্য। আড্ডা এই মহিলাদের, সাথে এক শ্রীলংকান মহিলা, ঢাকায় উনার বায়িং হাউস আছে, যাচ্ছেন আমেরিকায়।
দোহায় কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষার সময় ছিলো অল্প। এয়ারপোর্টে নেমেই দৌড় ট্রান্সফার ডেস্কে। মধ্যপ্রাচ্যের সকল এয়ারপোর্টে ভারতীয় আর পাকিস্তানী কর্মচারীদের আধিক্য বেশী, বাংলাদেশী যাদের চোখে পড়েছে বেশীরভাগই পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নেপালী পরিচ্ছন্নতা কর্মীও আছে, কম, তবে কাঠমান্ডুতে কাতার এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট আছে, সবসময় অভারবুকড্‌ থাকে, আর ভারতের অনেকগুলো বড় শহরে এদের সরাসরি ফ্লাইট যায়। আমাদের ট্রান্সফারডেস্কে বসেছিলেন এক ভারতীয় মেয়ে, সীট খালি থাকাতে খুব সহজেই বোর্ডিং কার্ড হাতে পাওয়া গেলো। এয়ারলাইন্সে কাজ করার সুবাদে আমার স্ত্রীর আবার এসব অভিজ্ঞতা বেশী, বোর্ডিং কার্ড হাতে নিয়ে খোঁজ নিলো আমাদের লাগেজ ঠিকমত মাদ্রিদের ট্যাগিং পড়েছে কীনা। এরপর নিশ্চিত হয়ে বোর্ডিং গেটের সামনে বসার সাথে সাথেই শুরু হলো আরেক সমস্যা।
আমার ছেলে মাতিস, ওর বিমান ভ্রমণে সমস্যা হয়। এটাকে বলে আল্টিচ্যূড সিক্‌নেস। বিমানে ভেতরের প্যাসেঞ্জার কেবিনে বাতাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা থাকে, সাধারণত যেসব দূরযাত্রার বিমান ২০-৩০হাজার ফিট উপর দিয়ে যায় সেসবের ভেতরে বাতাসের চাপ থাকে খোলা জায়গার ৫ থেকে ৯ হাজার ফিট উচ্চতার বাতাসের চাপের মতন। অভিজ্ঞ বিমান চালকেরা সাধারণত সে উচ্চতায় খুব আস্তে আস্তে পৌঁছান যাতে খুব একটা সমস্যা না হয়। স্বল্প দুরত্বের বিমান যাত্রায় সাধারণত নিচু দিয়ে উড়ে বলে ব্যাপারটা তেমন আমলে আনা হয় না। যারা পাহাড়ে চড়েন বা হাই আল্টিচ্যূড ট্রেকিং করেন তাঁদের দেখবেন মাঝপথে ২/১ দিন বিশ্রাম নেন শরীরটাকে অতিরিক্ত উচ্চতায় বাতাসের চাপের সাথে মানিয়ে নেবার জন্য। বিমানে থাকার সময়ই মাতিসের সমস্যা হচ্ছিলো, নেমে আসার পর দূর্বল লাগছিলো আর এখানে এসে বমি করে দিলো। দোহা এয়ারপোর্টের একটা ভালো দিক ভেতরে চমৎকার একটা মেডিক্যাল সেন্টার আছে, আমি মাতিসকে নিয়ে বসে থাকাতে আমার স্ত্রী সেখানকার ডাক্তারের সাথে কথা বলে অষুধ নিয়ে মাতিসকে খাইয়ে দেবার পর আশা করতে থাকলাম ওর সমস্যা কেটে যাবে।
একটু পরই ডাক এলো বিমানে চড়ার, গেটে পাস্‌পোর্ট আর ভিসা চেক করছে এক বাঙ্গালী, ভালোই লাগে দেখতে। দোহা এয়ারপোর্টে বোর্ডিং ব্রীজ নেই, গেট থেকে বেড়িয়ে বাসে করে অনেকদূরে নিয়ে এয়ারবাস এ৩৩০-৩০০ এর সামনে নামিয়ে দিলো আমাদের। কাতার এয়ারলাইন্সের বর্তমানে মোট ১৮টি এয়ারবাস এ৩৩০-৩০০ আছে, এছাড়াও ১১টি এয়ারবাস এ৩৩০-২০০ সহ মোট ক্রাফটের সংখ্যা ৬৮। ডাবল ডেক এয়ারক্রাফট সহ ওদের পাইপলাইনে যা অর্ডার দেয়া আছে তাতে ২০১৩ নাগাদ এ সংখ্যা প্রায় দিগুণ হয়ে যাবে। অন্যদিকে আমাদের অবস্থা দেখুন।
কাতার এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ কিংবা এমিরেটস্‌ সবারই মধ্যপ্রাচ্য পেরুলেই ইনফ্লাইট সার্ভিসের মান বেড়ে যায়, একটা প্রতিযোগিতা চলে সার্ভিসের মান নিয়ে, এটা টের পেলাম এবারও। আতিথেয়তার শেষ নেই। ওদিকে মাতিস বিমানে উঠেই ঘুম। দোহা আর মাদ্রিদের সময়ের ব্যবধান একঘন্টা, রাত প্রায় এগারোয় ছেড়ে স্থানীয় সময় আটটার দিকে মাদ্রিদ পৌঁছাবো আমরা। ওর একটা ভালো ঘুম অনেক সমস্যার সমাধান করে দেবে।
মাদ্রিদ এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে আমাদের তিনজনে সময় লাগলো মাত্র মিনিট খানিক। সেটা পেরুতেই দেখলাম বড়ভাই আর ভাবী দাঁড়িয়ে আছেন। ঈদ মোবারক। বুঝলাম মাদ্রিদে আজ ঈদ। লাগেজ নিয়ে বাইরে বড়ভায়ের ভক্সওয়াগনে। বাসায় ফিরেই যেতে হবে ঈদের জামাতে।
মাদ্রিদ এক সময় মুসলমানদের অধীনে থাকলেও এখন মুসলমানরা এখানে সংখ্যালঘু। বেশীরভাগই মরোক্কো থেকে আসা আর এশিয়ান অভিবাসী। এখানে এখন মসজিদ বানাতে অনুমতি মেলেনা। আমরা যেখানে নামাজ পড়তে গেলাম সেটা ইসলামিক কালচারাল সেন্টার, এরই ভেতরে পুরুষ আর মহিলাদের আলাদা নামাজের জায়গা, লাইব্রেরী, জিম্‌, কফি হাউস আর একটা রেষ্ট্রুরেন্ট। শুনেছি এটা বর্তমানে ইউরোপের সবচাইতে বড় মসজিদ। সৌদী বাদশাহ্‌ ফাহাদ্‌ বিন আবদেল আজিজের অর্থানুকুল্যে (২৭মিলিয়ন সৌদী রিয়াল) তিনজন পোলিশ আর্কিটেক্টের ডিজাইনে বানানো এ মসজিদ ১৯৯২ সালে উদ্ভোদন করেন স্পেনের রাজা জোয়ান কার্লোস আর সৌদী প্রিন্স সালমান।
আবহাওয়া পরিবর্তনে একটু শীত শীত লাগাতে বাইরে রোদে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। এদিন প্রচুর রোদ ছিলো, আগেরদিন মাদ্রিদে বৃষ্টি হয়েছে শুনেছি, আমাদের ভাগ্য ভালো, স্পেনে যে কয়দিন ছিলাম শুধুমাত্র ফেরার দিন সকালে হালকা বৃষ্টি ছাড়া সবদিনই আকাশ ছিলো চমৎকার। আমরা অংশ নিয়েছি দ্বিতীয় জামাতে। প্রথম জামাতের মতই দ্বিতীয় জামাতেও বেশ ভীর। রিতা এই প্রথম বারের মতন মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়লো। এখানে বাঙ্গালীদের খুব একটা দেখলামনা, অথচ মাদ্রিদেতো আনেক বাংগালী, জিজ্ঞেস করাতে শুনলাম মাদ্রিদের বাঙ্গালী প্রধান এলাকায় স্থানীয়রা পাশাপাশি দুটো ফ্ল্যাট কিনে মসজিদ বানিয়েছে, সেখানেও ঈদের জামাত হচ্ছে।
জামাত শেষে বের হয়ে বড়ভায়ের অফিসের কয়েকজনের সাথে দেখা হলো। লম্বা যাত্রায় এসেছি বলে সেখানে খুব একটা সময় কাটালামনা। মাতিসকে দেখলাম পুরোফিট। ওর কাজিনদের সাথে মিশে গেছে। বড় ভায়ের তিন ছেলে, বড় পান্থ, মেঝ প্রাজ্ঞ আর ছোট দৃঢ়। এরমাঝে প্রাজ্ঞ ওর দুবছরের বড়, ওর সাথেই মাতিসের খাতির বেশী। সবসময় একসাথে।
নীচের ছবিগুলো মসজিদের ভেতরে বসে রোদ পোহানো
Centro Cultural Islámico

Centro Cultural Islámico

Centro Cultural Islámico

মসজিদের মূল অংশে
Centro Cultural Islámico

বাচ্চাদের জন্য বেলুনও ছিলো
Centro Cultural Islámico

জুতো রাখার জায়গা
Centro Cultural Islámico

বাইরে থেকে ইসলামিক সেন্টার
Centro Cultural Islámico

Centro Cultural Islámico

বাসার সামনে, পাতাগুলো রঙ বদলাচ্ছে
IMG_5185


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

আগেরটাই পইড়া শেষ করতে পারলাম না।

মুস্তাফিজ এর ছবি

পড়েন, সময় আছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

আলমগীর এর ছবি

আহারে! আমি জায়গা দখল করলাম। আপনি রিপ্লাই দিয়া তো এডিট বন্ধ করে দিলেন মন খারাপ

মসজিদের ভেতরের ছবি তোলার সময় কেউ কিছু কয় নাই?

নিচে থেকে দুই নাম্বার ছবিটা কী ধরনের লেন্স? মিনারটা রম্বসের মতো হয়ে গেছে ক্যান?

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছবি তোলা তো ব্যাপারনা, ঐ খানে বাচ্চারা নামাজের সময় খেলাধুলাও করেছে দেখেছি, একজনকে হালকা পানীয়ে বসে বসে চুমুক দিতে, কয়েকজনকে গোল হয়ে আড্ডা দিতে, একজনকে কানে ওয়াকম্যান লাগিয়ে চুইংগাম চাবাতেও দেখেছি।

ঐছবিটা ১০-২২ (ওয়াইড) এম এম লেন্সে তোলা।

...........................
Every Picture Tells a Story

রেশনুভা এর ছবি

যে কোন স্ট্রাকচার (যুতসই বাংলা কি? স্থাপত্য? দালান?) এর ছবিই ওয়াইড অ্যাংগেল এ তুললে একটা নাটকীয় ভাব চলে আসে। ঐ ছবিটা পছন্দ হইছে বেশী।

মুস্তাফিজ এর ছবি

স্ট্রাকচার মানে কাঠামো
...........
ওয়াইড লেন্স আমারও পছন্দ

...........................
Every Picture Tells a Story

নাতাশা এর ছবি

বলেন কি !
মসজিদের ভেতরে এতো কিছু করতে দেয় ওরা?

মুস্তাফিজ এর ছবি

তাইতো দেখলাম। আসলে আমরা যতটা মোল্লা ওরা অতটা না।

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মসজিদটা তো বিশাল আর সুন্দর মনে হলো।
বড় হয়ে মাদ্রিদে যাওয়ার একটা অদম্য ইচ্ছে আমার। বার্সেলোনা তার চেয়েও বেশি! ইউরোপের 'লাইভলী লাইফ' দেখতে হলে নাকি ওখানে যাওয়া অবশ্য কর্তব্য। দেখি কবে বড় হই, আর সুযোগ আসে কবে!

আমরা কিন্তু অনেক আশা করেছিলাম মুস্তাফিজ ভাই। আপনি এলে পরে দুইটা মডেল মার্কা পোজ দিমু আপনের সামনে। দিলেন, গরীবের দিলডা কাঁচের টুকরার মতোন টুংটাং কইরা ভাইঙা দিলেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

মসজিদ টা আসলেই বেশ বড়। পুরটা মোটা নরম কার্পেটে ঢাকা। সে তুলনায় ঢোকার রাস্তা মানে গেট ছোট। হয়তো ঈদটিদ ছাড়া লোক বেশী হয়না তাই।

আমার প্ল্যানে বার্সিলোনা ছিলোনা, পরে গিয়েছিলাম, খুবই ভালো লেগেছে, আবার যেতে বললে আমি এক পায়ে খাড়া, এমনই ভালো।

আমিও মনে মনে ঠিক করেছিলাম অন্তত মিউনিখ যাবো, যাহোক হয়নি, হয়ে যাবে একদিন। কাচের টুকরো গুলো রেখে দিয়েন জ়োড়া লাগিয়ে দেবো।

...........................
Every Picture Tells a Story

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ওয়াইড এঙ্গেল-এর পুরা মজাটাই পাইলাম। আর আপনার লেখা নিয়া তো নতুন কইরা কিছু বলার নাই।

-----------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধন্যবাদ।

তবে আর কিছু না হোক বানান ভুলতো ধরিয়ে দিতে পারো, শিখতে তো আর লজ্জ্বা নাই।

...........................
Every Picture Tells a Story

নাতাশা এর ছবি

আমি যা করি দেখাদেখি ওরাও তাই করে। হাত ফসকে একবার আমার কফির কাপে চিনির কাগজের প্যাকেট পড়ে গেলে পাশের জন দেখাদেখি প্যাকেট সহ চিনি গুলে কফি খেয়ে নিলো।
এটা তো মজার !

মুস্তাফিজ এর ছবি

এরকম মজার কাজ আরো করেছে, লিখলামনা কারন আমরা দেখে দেখে শুনে শুনেই শিখি।

...........................
Every Picture Tells a Story

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মসজিদের ভেতরটা দেখে অবিশেষণসম্ভব বলে মনে হচ্ছে...
সিরিজ চলুক। বর্ণনাও নিদারুণ লাগছে কী না...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

মুস্তাফিজ এর ছবি

এটা যদি সুন্দর হয় তাহলে আলহামরা বা কর্ডোভা তো লজ্জ্বায় মরে যাবে। সে ছবিও আসবে।

...........................
Every Picture Tells a Story

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ছবি না দিলে পরের পোস্ট থেইকা তারা নাই দেঁতো হাসি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মুস্তাফিজ এর ছবি

তারার জন্য লিখি নারে ভাই। তবে তোমার আরো অপেক্ষা করতে হবে আলহামরার জন্য, সেখানে গেছিলাম ২৭ তারিখ।

...........................
Every Picture Tells a Story

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

কাতার এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ কিংবা এমিরেটস্‌ সবারই মধ্যপ্রাচ্য পেরুলেই ইনফ্লাইট সার্ভিসের মান বেড়ে যায়, একটা প্রতিযোগিতা চলে সার্ভিসের মান নিয়ে, এটা টের পেলাম এবারও। আতিথেয়তার শেষ নেই।

ওরা বোধহয় আমাদের আদমদের(মধ্যপ্রাচ্য শ্রমিক) মানুষ মনে করেনা।

মুস্তাফিজ এর ছবি

কথাটা ঠিক এভাবে না বলে বলা যায় ওরা আমাদের কারনেই সার্ভিস দিতে পারেনা।
যেমন ধরেন আপনার কিছু দরকার পড়লে আপনি সীটের উপরের লাল বাতি জ্বালাবেন সাথে সাথে ক্রু এসে হাজির হবে, কিন্তু এদিককার ফ্লাইট গুলোতে অপ্রয়োজনে সবাই বোতাম চাপতে থাকে, বোঝেওনা কখন বাতি জ্বালিয়েছে, ক্রুরা ব্যস্ত থাকে সেই বাতি নেভাতে, কিংবা এদিক থেকে ফ্লাইট ছাড়ার সাথে সাথে সবাই উঠে ঘোরাঘুরি করা শুরু থেকে বাথ্রুমের সামনে ভীর জমায়। যখন বেল্ট পড়ে বসে থাকার কথা সে সময় উঠে উপরের বাঙ্কে নিজের মালপত্র খোলাখুলিতে লেগে যায়, আর সিগারেট ধরানো তো খুবই কমন একটা কাজ। ক্রুরা দেখা যায় এসব নিয়েই দৌড়াদৌড়িতে থাকে।

...........................
Every Picture Tells a Story

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নীল যেন ঠিকরে বের হয়ে আসতেছিল ছবি থেকে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মুস্তাফিজ এর ছবি

আকাশ পরিষ্কার ধুলাবালি কম

...........................
Every Picture Tells a Story

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার লাগলো বর্ণনা আর ছবি দুটোই।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধন্যবাদ ভুতুম

...........................
Every Picture Tells a Story

জাকির বেপারী এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, আমিও মাদ্রিদে থাকি। আপনার বর্ণনা ও ফটোগুলো চমতকার লেগেছে, যদিও এই মসজিদ ও মাদ্রিদ শহর আমার কাছে খুব আগে থেকেই পরিচিত। যাই হোক পরেরবার আসলে আমাকে জানাবেন প্লিজ।

অফটপিক : স্পেনের রাজার নাম ''খোয়ান কারলস'' ওরা J-এর উচ্চারন ''খ''এর মত করে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।